Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Weather Update: কাঁপছে কলকাতা থেকে জেলা! কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে এবার বৃষ্টিও?

    Weather Update: কাঁপছে কলকাতা থেকে জেলা! কনকনে ঠান্ডার সঙ্গে এবার বৃষ্টিও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঁপছে কলকাতা। আজ, কলকাতার তাপমাত্রা ১৩.৬ ডিগ্রি। জাঁকিয়ে শীত পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা পাল্লা দিচ্ছে দার্জিলিং-গ্যাংটকের সঙ্গে। ভোরের দিকে কিংবা সন্ধ্যার পর কুয়াশায় ঢাকছে চারপাশ। এবার সঙ্গী বৃষ্টি। দ্রুত হাওয়া বদলের সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। শুধু তাই নয়, রয়েছে বৃষ্টিরও পূর্বাভাস। আজ মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা পাহাড়-উপকূলে।

    শীতের মধ্যে বৃষ্টি

    মাঘের প্রথম দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দিল আবহাওয়া দফতর। এদিন হালকা বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু অংশে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার দক্ষিণের প্রায় সব এবং উত্তরের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলতে পারে বৃষ্টি। শীতের বৃষ্টিতে আলু ও সব্জি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সেই নিয়ে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে বাড়তে পারে ভোগান্তি। স্কুল, কলেজ, অফিস যাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও উচ্চচাপ বলয়ের জেরে সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণ বঙ্গে। এর ফলে মঙ্গলবার থেকে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত আবহাওয়া এরকমই থাকবে।

    আরও পড়ুন: উদ্বিগ্ন মায়ানমার সরকার! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহরের দখল নিল বিদ্রোহীরা

    উত্তরের হাওয়া

    মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হতে পারে। হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে আলিপুরদুয়ার জেলায়। এছাড়া বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি বুধবার দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হাল্কা বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হতে পারে। কার্শিয়াং-এ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময় বাকি জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকের মামলা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়!

    Justice Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকের মামলা প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামলাটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বৃহত্তর স্বার্থ। তাই মামলাটির শুনানি করা উচিত জনস্বার্থ মামলা হিসেবে। সেই কারণে প্রাথমিকের একটি মামলা ছেড়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। পাঠিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে।

    মামলার কারণ

    প্রাথমিকের এই মামলাটি করেছিলেন জনৈক বিদেশ গাজি। তাঁর বক্তব্য, পঞ্চম শ্রেণিকে পুরোপুরি অন্তর্ভুক্ত করা হোক প্রাথমিকে। বিদেশের আইনজীবী ওমর ফারুক গাজি জানান, এনসিটিইর ২০০৯ সালের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য একটিই পরীক্ষা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য হবে অন্য একটি পরীক্ষা। সব রাজ্যে এই স্ট্রাকচার অনুসরণ করা হলেও, এ রাজ্যের অনেক স্কুলেই পঞ্চম শ্রেণি জুড়ে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিকের সঙ্গেই (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

    ‘জনস্বার্থ মামলা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত’

    সরকার যদি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত একটিই টেট নেয়, তাহলে পঞ্চম শ্রেণিকে কেন প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় রাজ্য সরকারের নীতি জড়িয়ে রয়েছে। তাই একে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। সেই কারণেই মামলাটি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য উপযুক্ত। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত একটি মামলায় তিনি অবৈধভাবে নিযুক্ত হওয়া শিক্ষকদের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট আবার মামলাটি হাইকোর্টে ফেরত পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়, বিশেষ বেঞ্চ গড়ে করতে হবে শুনানি।

    আরও পড়ুুন: “দীর্ঘদিন চাকরি করলেই অবৈধ নিয়োগ বৈধ হয় না”, বলল হাইকোর্ট

    সেই মতো বিশেষ বেঞ্চ গড়ে চলছে শুনানি। তবে এদিন যে মামলাটি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পাঠিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতির কাছে, তার গায়ে কেলেঙ্কারির গন্ধ পর্যন্ত নেই। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, মামলাটির সঙ্গে জনস্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। তাই মামলাটির শুনানি হওয়া উচিত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ডালিম, তপনের পর এবার নেতাই গণহত্যায় জামিন পেলেন সিপিএমের রথীন

    Calcutta High Court: ডালিম, তপনের পর এবার নেতাই গণহত্যায় জামিন পেলেন সিপিএমের রথীন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর জামিন পেয়েছিলেন নেতাই গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে। সোমবার ওই মামলায় জামিন পেলেন সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাট। প্রায় দশ বছর পর জামিন পেলেন তিনি। রথীনের জামিন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।

    সিবিআইয়ের অপদার্থতা!

    রথীনের জামিনের পর সিবিআইয়ের দিকে আঙুল তোলেন আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন। তিনি বলেন, “আজ নেতাইয়ের বাসিন্দারা সিবিআইয়ের কাছে প্রশ্ন করছেন। তাঁরা রাজনৈতিক মামলায় এত সক্রিয়। অথচ নেতাইয়ের নয় শহিদের পরিবার কেন এখনও বিচার পাচ্ছে না? সিবিআইয়ের অপদার্থতার জন্য আজও নেতাই মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। শহিদ পরিবার বিচার পাচ্ছে না।”

    নেতাইকাণ্ডের নেপথ্যে

    ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে (Calcutta High Court) দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় ন’জন গ্রামবাসীর। গুলির ঘায়ে জখম হন ২৮ জন। অভিযোগ, স্থানীয় সিপিএম নেতা রথীনের বাড়ি থেকে গুলি চালিয়েছিল সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রথীনের বাড়িতে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনীর শিবির ছিল। স্থানীয়দের তারা নানাভাবে কাজে লাগাচ্ছিল। শিবিরের নানা কাজে সাহায্যের জন্য ডেকে পাঠানো হত বাড়ির মহিলাদের। এসব নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছিল স্থানীয়দের মধ্যে। জানুয়ারির সাত তারিখে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হন স্থানীয়রা। তার পরেই রথীনের বাড়ি থেকে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: “চুরির সাত কাহন কাব্য লেখা উচিত”, তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরে ২০১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হাত বদল হয় তদন্তের রশি। তদন্ত শুরু করে সিবিআই। গ্রেফতার হন সিপিএমের তৎকালীন বিনপুর জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে-সহ ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মী। নেতাই গণহত্যা মামলায় বছরখানেক আগে জামিন পান ফুল্লরা মণ্ডল। গত ফেব্রুয়ারিতে জামিনে মুক্ত হন ডালিম এবং তপন। এদিন পেলেন (Calcutta High Court) রথীন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Case: “দীর্ঘদিন চাকরি করলেই অবৈধ নিয়োগ বৈধ হয় না”, বলল হাইকোর্ট

    SSC Recruitment Case: “দীর্ঘদিন চাকরি করলেই অবৈধ নিয়োগ বৈধ হয় না”, বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দীর্ঘদিন চাকরি করলেই অবৈধভাবে হওয়া নিয়োগ বৈধ হয়ে যায় না।” সোমবার এসএসসি নিয়োগ মামলায় (SSC Recruitment Case) এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চে শুনানি হয় মামলাটির। তখনই বিচারপতি বলেন, “কে, কতদিন কাজ করেছেন, সেটা বড় বিষয় নয়, মূল বিচার্য হচ্ছে, নিয়োগ বৈধ কি না!”

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

    নিয়োগ মামলায় অবৈধ সব নিয়োগ বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে ছ’ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সেই বেঞ্চেই এদিন হয়েছে শুনানি। কর্মরত কয়েকজন শিক্ষকের আবেদন, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা স্কুলে চাকরি করছেন সুপার নিউম্যারিক পদ তৈরি করে চাকরিতে বহাল রাখা হোক তাঁদের। কারণ তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।

    কী বলল হাইকোর্ট?

    এই প্রসঙ্গেই বিশেষ বেঞ্চ (SSC Recruitment Case) বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, তাতে অসুবিধা নেই। কিন্তু আদালত পদক্ষেপ করলে সেটা আদালতের এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয়। বিচারপতি জানান, নিয়োগের বৈধতার ওপরই নির্ভর করবে চাকরির ভবিষ্যৎ। যে নিয়োগ অবৈধভাবে হয়েছে, তা শুধু দীর্ঘদিন চাকরি করা হয়েছে এই যুক্তিতে বৈধ হয়ে যাবে না। এই মামলায় নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।

    আরও পড়ুুন: শতাব্দীর সাংসদ তহবিলের ইডি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

    এ প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “যখনই কেউ কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেন, তখনই তিনি জানেন যে মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে।” আদালতের প্রশ্ন, মেধাতালিকা বা প্যানেল প্রকাশিত হবে কীভাবে কারও সম্মানহানি হতে পারে? বিচারপতি বলেন, “এসএসসির উচিত ছিল আগেই ভুলগুলি স্বীকার করা। যাঁরা বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছেন তাঁদের শনাক্ত করা প্রয়োজন ছিল (SSC Recruitment Case)। অন্যায়ভাবে যাঁরা সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি বাতিল হওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

  • Sukanta Majumdar: “চুরির সাত কাহন কাব্য লেখা উচিত”, তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চুরির সাত কাহন কাব্য লেখা উচিত”, তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার সকালে লালগোলায় পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই দিন সকালবেলায় এসে প্রথমে লালগোলা নেতাজি মোড়ে নেতাজীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর রাজ্য সরকারকে একাধিক বিষয়ে আক্রমণ করেন। তিনি তৃণমূলের চুরি প্রসঙ্গে বলেন, “চুরির সাত কাহন বলে একটি রোমাঞ্চকর কাব্য লেখা উচিত।” তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন সঙ্গে ছিলেন বিজেপির লালগোলা মন্ডল সভাপতি অজয় হালদার, জঙ্গিপুর সংগঠনিক জেলার সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ এবং সংখ্যালঘু পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ-সভাপতি মাফুজা খাতুন।

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বালুর আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের কাছে পাওয়া মেরুন ডায়েরিতে হিতেশ চন্দনের নাম পাওয়া গিয়েছে। রেশন দুর্নীতির ডায়েরি প্রসঙ্গ নিয়ে লালগোলায় এসে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “বাংলায় তৃণমূল এতো চুরি করেছে যে রাজ্যের চুরি প্রসঙ্গে ডায়েরি দিয়ে কিছু হবে না। চুরি নিয়ে বড় রামায়ণ-মহাভারতের মতো কাব্য নির্মাণ করা যাবে। শুনেছি কুনাল ঘোষের লেখালেখি করার অভ্যাস রয়েছে, তাই চুরির সাত কাহন বলে একটি রোমাঞ্চকর কাব্য লেখা উচিত।” শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা এখন জেলে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী যাবো যাবো করছেন। তৃণমূল দুর্নীতি করে মোবাইলের এসএমএসে চাকরি দিয়েছে। যারা দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছে তাদের প্রত্যেকের চাকরি যাবে।”

    ময়া বন্দর হলে কর্মসংস্থান হবে

    লালগোলার অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের আন্তর্জাতিক ময়া বন্দর চালু হতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। আজ সেই বন্দর পরিদর্শনেও যান বালুরঘাটের সাংসদ সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন বন্দরের চারিপাশ ঘুরে দেখলেন এবং আগামী দিনে লালগোলার ময়া আন্তর্জাতিক বন্দর থেকে আমদানি-রফতানি হলে এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন ক্ষেত্র খুলে যাবে বলে দাবি করেন তিনি। এলাকার প্রচুর মানুষ কাজের সুযোগ পাবে বলে দাবি করেন। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই এলাকা অধীর বাবুর সংসদীয় ক্ষেত্র নয়। উনি আসা যাওয়া করেন মাত্র। তৃণমূলের জোট সঙ্গী তিনি। বাস্তবে কাজ করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এসে ছিলেন, আমরাও এই বন্দর বিষয়ে বার বার প্রস্তাব দিয়েছি। কেউ কোনও দিন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বিনামূল্যে দেওয়ার কথা বললেও সরকারি হাসপাতালে মিলছে না জলাতঙ্কের টিকা! ক্ষুব্ধ রোগীরা

    Nadia: বিনামূল্যে দেওয়ার কথা বললেও সরকারি হাসপাতালে মিলছে না জলাতঙ্কের টিকা! ক্ষুব্ধ রোগীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে মিলছে না জলাতঙ্কের টিকা। মহকুমা হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে গড়ে রোগী আসেন ৬০ জন করে। দিনের পর দিন হাসপাতালে ঘুরলেও খোঁজ নেই টিকার। এমনকী অনেক রোগীকে নির্ধারিত সময়ে ডোজ নেওয়ার কথা বললেও মিলছে না টিকা। আবার সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার কথা বললেও না মেলায় বাইরের বাজার থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে রোগীদের। ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। পরিষেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। এমনকী প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।

    রোগীদের বক্তব্য (Nadia)

    স্থানীয় (Nadia) সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর জলাতঙ্কের টিকা নিতে গেলেই হাসপাতাল থেকে বলা হয়, এই মুহূর্তে টিকা নেই। পেশায় গাড়ি চালক বিমল বিশ্বাস বলেন, “সপ্তাহ আগে আমার দশ বছরের ছেলেকে কুকুর কামড় দিয়েছে। জলাতঙ্কের টিকার জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বলা হয়, এই মুহূর্তে টিকা নেই। বাইরে থেকে ওই টিকা নিলে হাসপাতালের নার্সরা এনে দেবেন।” একই ভাবে টিকার চতুর্থ ডোজ নিতে আসা রাজকুমার দেবনাথ অভিযোগ করে বলেন, “হাসপাতাল থেকে টিকা নিতে গেলে বলা হচ্ছে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তাই বাইরে থেকে পাঁচজন একত্রিত হয়ে ওই টিকা কিনে নিন।”

    অবশ্য ডাক্তারদের বক্তব্য, “কুকুর বিড়াল বাঁদর বা অন্য কোনও প্রাণী কামড়ালে রোগীকে আহত হওয়ার দিনেই টিকা দিতে হয়। এরপর তৃতীয় দিন, সাত দিন এবং আঠাশদিনের মাথায় মোট চারবার করে টিকার ডোজ নিতে হয়। কিন্তু একবার, দুইবার ডোজ নেওয়ার পরবর্তী ডোজ নিতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।”

    হাসপাতাল সুপারের বক্তব্য

    রানাঘাট (Nadia) মহকুমা হাসপাতাল সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, ‘‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি, মঙ্গলবার জেলা স্তর থেকে টিকা সরবরাহ করা হবে। গ্রামীণ ও ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে।’’

    জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য

    নদিয়া (Nadia) জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষ চন্দ্র দাস বলেন, “জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে জলাতঙ্কের টিকা মজুত রয়েছে। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের পক্ষ থেকে টিকা শেষ হওয়ার বিষয়ে কোনও কথা ঘোষণা করা হয়নি। রোগীরা যাতে সমস্যায় না পড়তে হয় সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: সরকারি জায়গায় সেতু নির্মাণ করে তৃণমূল নেতার তোলাবাজির ছক, সরব এলাকাবাসী

    Purba Medinipur: সরকারি জায়গায় সেতু নির্মাণ করে তৃণমূল নেতার তোলাবাজির ছক, সরব এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জায়গায় তৃণমূল নেতার নির্দেশে সেতু তৈরি করছে এক যুবক। এরপর সেই সেতু দিয়ে পারাপার করলেই দিতে হবে টাকা। এমনই ছককষা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাই এলাকার মানুষের প্রশ্ন সরকারি জায়গায় কীভবে একজন ব্যক্তিকে সেতু নির্মাণে ছাড়পত্র দিলেন? কীভাবে নেওয়া হচ্ছে টাকা। একই সঙ্গে বিজেপি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলে, পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে সেতু তৈরি করার কাজ চলছে। সেতুকে ঘিরে বেআইনি আয়ের পথ তৈরি করা হয়েছে। বেললাগাম তলাবাজি চলছে জেলায়। এই ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    পশ্চিম মেদিনীপুরের কোথায় সেতু নির্মাণ হয়েছে(Purba Medinipur)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কোলাঘাট ও দাসপুর-২ ব্লকের উপর দিয়ে বইয়ে গিয়েছে দূর্বাচাটি নদী। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট বৈষ্ণবচক এলাকার কলাগাছিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-২ ব্লকের জ্যোৎঘনশ্যাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শ্যামগঞ্জের সংযোগকারী সেতু ছিল কালাচাঁদ সেতু। এই সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন। গত বছরের অক্টোবরে কচুরিপানায় সেতু ডুবে গিয়ে ভেঙে যায়। এরপর তৃণমূল ঘাটাল জেলা সভাপতি আশিস হুদাইতের পছন্দের এক যুবককে দিয়ে নতুন একটি স্টিলের সেতু তৈরি করেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়নি। তবে সম্পন্ন হলে এই সেতুতে শুরু হবে যাতায়তের জন্য টাকা নেওয়া।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    কোলাঘাটের (Purba Medinipur) বিডিও অর্ঘ্য ঘোষ বলেন, “সেতু তৈরির জন্য প্রশাসনের কাছে কোনও অনুমোদন নেওয়া হয়নি।” আবার বৈষ্ণবচক গ্রামের পাঞ্চায়েতের উপপ্রধান রুকসাহানা পারভিন বেগম বলেছেন, “সরকারের অনুমাতি না নিয়েই কাজ করা হয়েছে। সেতু নির্মাণের কাজের সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের ডেকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলেন তৃণমূল ঘাটাল জেলা সভাপতি আশিস হুদাইতের নির্দেশে কাজ হচ্ছে। সরকারি জায়গায় টেন্ডার ছাড়া কাজ করা যায়না।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল ঘাটাল (Purba Medinipur) জেলা সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, “সেচ দফতর এবং দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির অনুমতি নিয়ে এক যুবক সেতু তৈরি করছেন। পঞ্চায়েত সমিতিতে তিনি রাজস্বও জমা দেবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    কোলাঘাট (Purba Medinipur) মণ্ডল ৫-এর সভাপতি বিশ্বনাথ রাম বলেন, “আমরা চাই সরকারি উদ্যোগে ওখানে সেতু তৈরি হোক। মানুষকে যাতে টাকা না দিতে হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তৃণমূলের নেতা প্রভাব খাটিয়ে স্বজনপোষণ এবং তোলাবাজি করছেন।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের শাহজাহান

    Sandeshkhali Incident: হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) পর উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার, পৌষ সংক্রান্তির দিন ‘উদয়’ হলেন তিনি। তিনি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। নিজে প্রকাশ্যে না এলেও, আইনজীবী মারফৎ জানান, সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চান তিনি। কারণ, তিনি চান এই ঘটনায় তাঁর বক্তব্যও শোনা হোক।

    ইডির অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধেই সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল ইডি। শাহজাহানের আইনজীবী জানান (Sandeshkhali Incident), মামলায় যুক্ত হতে চাইলে ওকালতনামা জমা দেওয়া হোক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “ঠিক আছে। রাজ্যকে এই মামলার কেস ডায়েরি নিয়ে আসতে হবে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার। রেশন বিলিকাণ্ডে গ্রেফতার (Sandeshkhali Incident) হন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এই ঘটনায় নাম জড়ায় জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শাহজাহানের।

    ইডির ওপর হামলা

    ৫ জানুয়ারি সরবেরিয়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও দরজা খোলেনি শাহজাহানের বাড়ির। যদিও শাহজাহানের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনে দেখা যায় শাহজাহান রয়েছেন বাড়ির ভেতরেই। ইডির আধিকারিকরা দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন। এই সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ইডির আধিকারিকদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। ছুড়তে থাকে ইট-পাটকেল। ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন। সন্দেশখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “শাহজাহান কোথায়, উত্তর আছে মা গঙ্গার কাছে”, ফের রাজ্যপালের মন্তব্য

    পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের

    সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত হাজার তিনেক মানুষ। এই ঘটনায় মাত্র চারজন গ্রেফতার কেন, পুলিশকে ভর্ৎসনা করে আদালত। গোটা ঘটনার (Sandeshkhali Incident) তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছে ইডি। কেস ডায়েরি না নিয়ে আসায় বিচারপতি বলেন, “পুলিশ এতদিন ধরে কী করছে, সেটা কেস ডায়েরি দেখেই বোঝা সম্ভব।” মঙ্গলবার কেস ডায়েরি আনতে হবে পুলিশকে। বিচারপতি পুলিশের কাছে জানতে চান, ঘটনার পরে কি পুলিশ শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকেছিল? আদালত এজিকে বলেন, “সৎভাবে বিচার করার ইচ্ছে থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “শাহজাহান কোথায়, উত্তর আছে মা গঙ্গার কাছে”, ফের রাজ্যপালের মন্তব্য

    CV Ananda Bose: “শাহজাহান কোথায়, উত্তর আছে মা গঙ্গার কাছে”, ফের রাজ্যপালের মন্তব্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শাহজাহান কোথায়, উত্তর আছে মা গঙ্গার কাছে” মন্তব্যে করলেন রাজ্যপাল। শাহজাহান কোথায়? মা গঙ্গা কী সত্যই জানেন? এই প্রশ্নে ফের গ্রেফতার নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। গতকাল রবিবার ভাটপাড়ায় গঙ্গা আরতি করতে গিয়ে গঙ্গার কাছে উত্তর খুঁজলেন তিনি। উল্লেখ্য, আগেও রাজ্যপাল রাজ্য পুলিশকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু ঘটনার ১৫ দিন কেটে গেলেও অধরা এই তৃণমূল নেতা। এইদিন গঙ্গায় আরতির এক অনুষ্ঠানে ফের রাজ্যপাল সরব হলেন পুলিশের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)?

    মকর সংক্রান্তির ঠিক আগের দিন উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার হিন্দু জাগরণ মঞ্চের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি গঙ্গার ঘাটে আরতি করেন। আরতি শেষ করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “গঙ্গা গোটা দেশের সম্প্রীতি রক্ষা করছে। এখন এই শাহজাহান কোথায় তা মা গঙ্গাই জানেন। উত্তর আছে মা গঙ্গার কাছে।” এই মন্তব্যে রাজ্য প্রশাসনের উপর ফের চাপ বৃদ্ধি করলেন রাজ্যপাল। এখন এই মা গঙ্গা বলতে কাকে ইঙ্গিত করেছেন সেটাও একটা প্রশ্ন। ইতিমধ্যে বিজেপির নেতারা বার বার শাহজাহানের গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রথম থেকেই বিরোধীরা শাহজাহান বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন বলে মন্তব্য করলেও এরপর স্থানীয়রা এই তৃণমূল নেতাকে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন। কিন্তু এখনও শাহজাহানকে কেন পুলিশ গ্রেফতার করছে না তা নিয়েও মানুষের ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে।

    ৫ জানুইয়ারি থেকেই নিখোঁজ

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা শেখ শাহজাহানের উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়িতে তদন্ত করতে গেলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি আক্রান্ত হয়। তিনজন তদন্তকারী অফিসারের মাথা ফাটিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর কেন্দ্রীয় জওয়ানদের মারধর করা হয়। এমনকী তাঁদের গাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতা শাহজাহান পলাতক। ঠিক তার পরেই রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বাংলায় ‘জঙ্গল রাজত্ব’ চলছে বলে মন্তব্য করেন। পুলিশকে আইনের শাসন প্রয়োগের কথা বলেন। এখনও পর্যন্ত মাত্র ৪ জনকে গ্রেফতার হলেও আসল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করিনি পুলিশ। প্রশাসন কবে এখন গ্রেফতার করে তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Gangasagar: লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের ভিড়ে গঙ্গাসাগর যেন এক টুকরো ভারত

    Gangasagar: লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের ভিড়ে গঙ্গাসাগর যেন এক টুকরো ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির পুণ্যলগ্নে পূণ্যার্থীদের ভিড়ে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) যেন এক টুকরো ভারতে পরিণত হয়েছে। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে নানা ভাষা, নানা সংস্কৃতির মানুষ এসেছেন সাগরে। নিজেরা নিজেদের মতো করে ভক্তি ভরে সাগরে স্নান করার পাশাপাশি প্রাণ ভরে ভক্তি নিবেদন করে চলছে তর্পন। আবার কেউ কেউ প্রদীপ জ্বালিয়ে করছেন প্রার্থনা। কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে সংসারের পাপ থেকে মুক্ত হতে কেউ সাগরে দিচ্ছেন ডুব আবার কেউ বাছুরের লেজ ধরে হতে চাইছেন বৈতরণী পার। দূরদূরান্ত থেকে আগত সাধু-সন্তরা জটা ধরে সাগরের জলে দিচ্ছেন ডুব। এই পুণ্যস্নানে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে।

    শাহি স্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ কখন(Gangasagar)?

    মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুণ্যার্থীরা এসেছেন গঙ্গাসাগরে (Gangasagar)। সাগরের জলে ডুব দিয়ে কপিল মুনির মন্দিরের পুজো দিয়ে ঠাকুরের কাছে মঙ্গল কামনা এবং শান্তির জন্য প্রার্থনা জানালেন পুণ্যার্থীরা। রবিবার রাত ১২ টা ১৩ মিনিট থেকে শাহি স্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু হয়েছে এবং চলবে আজ দুপুর ১২ টা ১৩ পর্যন্ত। আর এই পুণ্যলগ্নে স্নান সারছেন দেশ-বিদেশ থেকে আশা পুণ্যার্থীরা। পুণ্যস্নানের রীতি মেনেই  সাগরে ডুব দেওয়ার পর কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন তীর্থ যাত্রীরা। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্য লাভের আশায় সাগরে এসেছেন পুণ্যার্থীরা। একই ভাবে দেশের বাইরে নেপাল থেকেও এসেছেন অনেক ভক্ত। সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার বিকেল পর্যন্ত ৬৫ লক্ষ ভক্ত স্নান করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    তৎপর প্রশাসন

    গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলার বিশাল কর্মযজ্ঞ সফল করতে সবদিকে কড়া নজরদারি রয়েছে প্রশাসনের। নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রাখা হয়েছে সিসিটিভি। রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার বিশেষ ব্যবস্থা। এছাড়াও ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে আকাশ পথেও বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। প্রবল কুয়াশার জন্য ফেরি চলালচল ব্যাহত হয়েছে। কচুবেড়িয়ায় করা হয়েছে বাড়তি সুরক্ষার ব্যবস্থা। একাধিক এলাকায় রয়েছে পুলিশ ক্যাম্প। এনডিআরএফ, অসামরিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি এদিন পুণ্যস্নান সারেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস, মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা সহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়কেরা। এবারের মকরসংক্রান্তিতে নানা ভাষা নানা পরিধান নানান সংস্কৃতির মানুষের ভিড়ে গঙ্গাসাগর যেন এক টুকরো ভারত। প্রশাসনের দাবি এই বছর রেকর্ড সংখ্যক ভিড়ের মাত্রা অতিক্রম করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share