Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Makar Sankranti Weather: মাঘের শুরুতেই বৃষ্টি! মকর সংক্রান্তিতে ঠান্ডার দাপট, বাংলায় শূন্যে নামল দৃশ্যমানতা

    Makar Sankranti Weather: মাঘের শুরুতেই বৃষ্টি! মকর সংক্রান্তিতে ঠান্ডার দাপট, বাংলায় শূন্যে নামল দৃশ্যমানতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) সকালে ঘন কুয়াশায় ঢাকল জেলা থেকে শহর। কোথাও কোথাও দৃশ্যমানতা পৌঁছল শূন্যতেও। কনকনে ঠান্ডাতেই রাজ্য জুড়ে গঙ্গায় পুণ্যস্নানে ব্যস্ত হাজার হাজার মানুষ। পুরুলিয়া সহ পশ্চিমের কিছু অংশে শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে এরই মধ্যে রয়েছে বৃষ্টির ভ্রূকুটি। মাঘের শুরুতেই ভিজবে বঙ্গ, বলছে আবহাওয়া দফতর (Weather Office)। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে হবে বৃষ্টি।

    কুয়াশার দাপট সর্বত্র

    সোমবার, ঘন কুয়াশার (West Bengal Fog) চাদরে ঢাকল উত্তর থেকে দক্ষিণ। রাস্তায় একটি গাড়ি থেকে সামনের গাড়িকেও দেখা যাচ্ছে না, এমনই পরিস্থিতি। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা সর্বত্র একই অবস্থা। সকাল ৯ টার পরও সূর্যের দেখা মেলেনি। শিলিগুড়িতে দৃশ্যমানতা নেমেছে শূন্যে, কলকাতায় দৃশ্যমানতা ২৫ মিটার, ডায়মন্ড হারবার দৃশ্যমানতা ৫০ মিটার, কোচবিহার দৃশ্যমানতা ২০০ মিটার। ঘন কুয়াশা চাদরে ঢেকেছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও। রাত আড়াইটায় দৃশ্যমানতা নেমে যায় ২৫ মিটারে। ভোর সাড়ে পাঁচটায় দৃশ্যমানতা পৌঁছয় ১৫০ মিটারে। সকাল ৮ টায় দৃশ্যমানতা ৩০০ মিটারে পৌঁছে যায়।

    আরও পড়ুন: আজ ‘মকর সংক্রান্তি’, জানুন এই পুণ্য তিথির মাহাত্ম্য

    হাড় কাঁপানো ঠান্ডা

    উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে পৌষ সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti Weather) শীতের দাপট। শীতের স্পেল আরো ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা থাকবে। পশ্চিমের পুরুলিয়া জেলায় আজও শৈত্য প্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া পরিবর্তনের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।  ২-৩ দিনে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। মঙ্গলবার বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। বুধবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং নদীয়া জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ বঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: এবার ভুতুড়ে চাকরির হদিশ! ৫৮ শিক্ষকের নিয়োগ সম্পর্কে জানে না খোদ এসএসসি

    Recruitment Scam: এবার ভুতুড়ে চাকরির হদিশ! ৫৮ শিক্ষকের নিয়োগ সম্পর্কে জানে না খোদ এসএসসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নয়া ‘চাঞ্চল্যকর’ তথ্য সামনে এল। এবার ভুতুড়ে চাকরি ধরা পড়ল। যে চাকরি গুলি সম্পর্কে এসএসসি নিজেই জানে না। অথচ বহাল তবিয়তে মাস পোহালে বেতনও তুলছেন ওই ভুতুড়ে শিক্ষকরাও। জানা গিয়েছে ৫৮ জন শিক্ষকের চাকরি পাওয়া নিয়ে ‘ধোঁয়াশা’ রয়েছে খোদ এসএসসির কাছে। কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়ে এসএসসি জানিয়েছে, ওই ৫৮ জন শিক্ষকের কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। ওই শিক্ষকদের পার্সোনালিটি টেস্ট, ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি। এমনকি নিয়োগের প্যানেলও তাঁদের নাম ছিল না। ফলে তাঁরা কী ভাবে চাকরি পেলেন তা নাকি এসএসসি জানেনা।

    কীভাবে পাওয়া গেল ৫৮ জনের সন্ধান?

    স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। শাসকদলে বেশ কিছু রাঘববোয়াল থেকে মন্ত্রী-বিধায়ক এই মামলায় বর্তমানে গারদের অন্দরে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশ মতো তদন্তে উঠে আসা তথ্য এসএসসিকে পাঠানো হয় সিবিআই-এর তরফে। ওই তথ্য যাচাই করে বেআইনি নিয়োগ সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান কোর্টকে জানায় এসএসসি। গত সপ্তাহে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে এসএসসি ৫৮ জন শিক্ষকের নাম আদালতে রিপোর্ট আকারে জমা দেয়। সেখানেই এসএসসি জানায়, নবম-দশম শ্রেণিতে ৪০ জন এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ১৮ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা কী ভাবে চাকরি (Recruitment Scam)  পেয়েছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাঁদের কোনও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

    মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam)  সাদা খাতা জমা দিয়েও চাকরি পাওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে । পরীক্ষা না দিয়েও অনেক অযোগ্য প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এবার উঠল নতুন অভিযোগ। ৫৮ জনের ভুতুড়ে চাকরি। কী ভাবে তাঁরা চাকরির সুপারিশপত্র পেলেন তা খুঁজছে খোদ এসএসসিও। আগামী সপ্তাহে আবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET 2014: পিঠে চাবুক মেরে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের, কবে টনক নড়বে সরকারের?

    TET 2014: পিঠে চাবুক মেরে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের, কবে টনক নড়বে সরকারের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরির দাবিতে পথেই কাটিয়ে ফেলেছেন ৫০০ দিন। বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একাধিকবার। তার পরেও টনক নড়েনি সরকারের। অগত্যা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অভিনব উপায় বের করলেন ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিপ্রার্থীরা (TET 2014)।

    চাবুক মেরে বিক্ষোভ

    রবিবার মুখে কালি মেখে, পিঠে চাবুক মেরে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রোদ-জল-ঝড় উপেক্ষা করে আন্দোলন করছেন তাঁরা। চাকরির জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দরবারও করেছেন (TET 2014)। তার পরেও সদর্থক কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই কারণেই এদিন পাঁচশো দিনের মাথায় কষাঘাত করে সরকারের উদাসীনতার প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, “আমরা বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করে চলেছি। আর কবে চাকরি পাব? সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আমরা ক্লান্ত। এখন এই পন্থা ছাড়া আমাদের কাছে অন্য কোনও উপায় ছিল না।”

    চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য

    আর এক আন্দোলনকারী বলেন, “জানি না আর কতদিন এভাবে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আর কতদিন চোখের জল ফেলতে হবে। দুর্নীতি করে স্কুল দখল করে বসে রয়েছে, আর আমরা রাস্তায় বসে প্রাপ্য চাকরির জন্য হাহাকার করছি।” কষাঘাত কেন? চাকরি প্রার্থীদের (TET 2014) মধ্যে একজন বলেন, “আমাদের জীবনে আর আঘাতের কী বাকি আছে? ন’টা বছর তো এমনই কেড়ে নিয়েছে। আমরা বাবা-মায়ের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। এই চাবুকের আঘাত আসলে সরকারের চাবুকের আঘাত, যা দেখা যায় না।” আর এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “মুখের কালি প্রতীকী। সংগঠিত অপরাধীদের কালি এটা। গত কয়েক দিনে বারংবার চাকরির প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসকদল বলছে আইনি জটিলতা রয়েছে। যা কাটলে তারা চাকরি দিতে প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “দুর্নীতি হয়েছে। আর আমরা কেন তার পেনাল্টি দেব?”

    আরও পড়ুুন: “চোরেদের এনার্জি অভিষেক ব্যানার্জি”, বিশাল জনসভায় তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    গান্ধী মূর্তির পাদদেশে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। হাজার বছর পূর্ণ হওয়ার দিন প্রতিবাদ জানাতে চুল কামিয়ে নেড়া হয়েছিলেন এক মহিলা আন্দোলনকারী। ক্ষোভের আগুনে ধামাচাপা দিতে দ্রুত তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই সমস্যার সুরাহা হয়নি এখনও। তার মধ্যেই কষাঘাত করে আন্দোলনের আঁচ উসকে দিলেন প্রাইমারি টেট চাকরিপ্রার্থীরা। 

    আন্দোলনকারীদের (TET 2014) পিঠে নয়, এ চাবুকের ঘা বুঝি এসে পড়ল সমাজের বিবেকের পিঠে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: ডিআই ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন করণিকের বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? জানতে চায় সিআইডি

    Purba Medinipur: ডিআই ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন করণিকের বিপুল সম্পত্তির উৎস কী? জানতে চায় সিআইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) বিদ্যালয় পরিদর্শক থাকার সময় আর্থিক দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছিল চাপেশ্বর সর্দারের বিরুদ্ধে। এরপর তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। সিআইডির নজর এবার এই পরিদর্শকের অফিসের অ্যাকাউন্ট বিভাগের প্রাক্তন করণিকের বিপুল সম্পত্তির হিসেবের উপর। তদন্তের জন্য তাঁকে ডাকা হতে বলে জানা গিয়েছে। এই ব্যক্তির দেওয়া তথ্য এবং বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই চাপেশ্বরকে গ্রেফতার করে ছিল সিআইডি।

    তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে খবর (Purba Medinipur)

    সিআইডি তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপেশ্বরের ডান হাত ছিলেন পাঁশকুড়ার (Purba Medinipur) এই ব্যক্তি। তাঁর বিরাট সম্পত্তি কীভাবে গড়ে তুলেছেন এই নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সামান্য অ্যাকাউন্ট বিভাগের কর্মকর্তা হয়ে কীভাবে এতো পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির গড়ে ফেললেন এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, সূত্রের আরও খবর যে চাপেশ্বরকে গ্রেফতার করার আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই কর্মীকেই ডেকে পাঠানো হয় এবং তাঁর বয়ানের উপর নির্ভর করেই সিআইডি চাপেশ্বরকে গ্রেফতার করেছিল। ফলে এবার কি তাঁর পালা?

    মেচগ্রাম এলাকায় বিপুল সম্পত্তির খোঁজ

    চাপেশ্বরের পাঁশকুড়ার (Purba Medinipur) ছায়াসঙ্গী করণিকের মেচগ্রামে একাধিক সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এখানে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট, উঁচু পাঁচিল তোলা একাধিক বাড়ি এবং আরও বেশ কিছু দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও মেচগ্রাম থেকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত বনমালী কলেজ যাওয়ার পথে দুই পাশে প্রচুর জমির মালিক বলে জানা গিয়েছে। অবশ্য স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, প্রাক্তন করণিক এলাকায় শিক্ষকদের পছন্দের জায়গায় বদলি করার কাজ করতেন টাকার বিনিময়ে। সেই সঙ্গে মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরিও বিক্রির কাজ করতেন তিনি। চাকরি দেওয়ার জন্য তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গেও তাঁর বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। এবার কি তাহলে শুধু গ্রেফতারর অপেক্ষা মাত্র? এমনটাই মনে করছেন এলাকার মানুষ।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: চালকহীন মেট্রো কলকাতায়! ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে সফল হয়েছে ট্রায়াল রান

    Kolkata Metro: চালকহীন মেট্রো কলকাতায়! ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে সফল হয়েছে ট্রায়াল রান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীঘ্রই চালকহীন মেট্রো চলবে কলকাতায় (Kolkata Metro)। শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক পর্যন্ত এবং হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক পর্যন্ত চালকহীন মেট্রোর ট্রায়াল রান  ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সফল ট্রায়াল রানের পরেই এই দুই লাইনে চালকহীন মেট্রো চালু করা হবে, বলে মেট্রো রেল সূত্রে খবর। দিল্লির পর দেশের মধ্যে দ্বিতীয় কলকাতা শহরে এই মেট্রো পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। 

    অত্যাধুনিক প্রযুক্তি 

    মেট্রো (Kolkata Metro) সূত্রে খবর, অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন (এটিও) প্রযুক্তির সাহায্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে কোনও মোটরম্যান বা চালক ছাড়াই একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটবে মেট্রো রেল। যে রুটে এই অটোমেটিক মেট্রো চলবে, সেখানে সিগন্যালিং ব্যবস্থা পরিচালিত হবে কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোলের (CBTC) সিস্টেমের মাধ্যমে। উন্নততর এই সিগন্যালিং সিস্টেম রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রুটে। সেই কারণে এই রুটে অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন প্রযুক্তিতে চালকহীন মেট্রো চালানো সম্ভব হবে। চালকযুক্ত মেট্রোতে ‘হিউম্যান এরর’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে এক্ষেত্রে সেটা নেই।

    আরও পড়ুন: নজরে চিন! দেশে তৈরি লাইট ব্যাটল ট্যাঙ্ক ‘জোরাবর’-এর পরীক্ষা শুরু লাদাখে

    বিনা চালকের রেকে ঝুঁকি কম 

    শুক্রবার কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি প্রযুক্তি নির্ভর এই মেট্রো চলাচল ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। কলকাতা মেট্রো রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে নিউ গড়িয়া–এয়ারপোর্ট এবং জোকা মেট্রো রুটেও চালকবিহীন পরিষেবা চালু হবে। ইতিমধ্যেই ইস্ট-ওয়েস্ট রুটে যাত্রী ছাড়া বিনা চালকের রেক চালিয়ে মহড়া সফল হয়েছে। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর রুটে চালকের ভুলে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার সাক্ষী হয়েছেন যাত্রীরা। অর্থাৎ হিউম্যান এরর হয়। ভুল করে চালক ডান–দিকের বদলে বাঁ–দিকের বোতামে হাত দিয়ে ফেলেন। তখন আচমকাই প্ল্যাটফর্মের উল্টোদিকে মেট্রোর দরজা খুলে যায়। দরজা খোলা রেখেই মেট্রো এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে পৌঁছে যাওয়ার সাক্ষী থেকেছেন যাত্রীরা। কিন্তু চালকবিহীন রেকগুলি যন্ত্রের সাহায্যে পরিচালিত হবে। ফলে এড়ানো যাবে হিউম্যান এরর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন”! তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    Birbhum: “রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন”! তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন’ ঠিক এমন মন্তব্য করে তীব্র বিতর্ক উস্কে দিলেন বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ শতাব্দী রায়। উল্লেখ্য, মাত্র আর কয়েকটা দিন পরেই অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের মন্দির উদ্বোধন হবে। গর্ভগৃহে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশ জুড়ে এখন রাম ভক্তদের মধ্যে তীব্র উন্মাদনা। ঠিক এমন সময়েই তৃণমূল সাংসদ সাঁইথিয়ার রবীন্দ্রভবনে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম চন্দ্রকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে। পালটা বিজেপির বক্তব্য ঝাঁটা দিয়ে তাড়া করা উচিত এই তৃণমূল নেত্রীকে।

    কী বললেন তৃণমূল সাংসদ (Birbhum)?

    সাঁইথিয়ায় (Birbhum) তৃণমূলের এক প্রশিক্ষণ শিবিরের এক সভায় বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “বিজেপি রামকে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছে। রাম বোধ হয় বিপিএল! আমরা যেমন বিপিএল কার্ড দিয়ে বাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি, ঠিক সেই ভাবে রামকে বাড়ি দিয়েছে বিজেপি। রামের ছেলে লব-কুশকেও একটি করে বাড়ি দেওয়া প্রয়োজন।” ভিডিওর এই বক্তব্য সর্বত্র ভাইরাল হয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের নিজের সাফাই দিয়ে শতাব্দী বলেন, “বিজেপি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছে আমরা রামের বাড়ি করে দিয়েছি। এত ঔদ্ধত্য কোথা থেকে এলো, তারা ভগবানের বাড়ি করে দিচ্ছে!”

    বিজপির বক্তব্য

    বীরভূম (Birbhum) জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা তৃণমূল সাংসদকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “বীরভূমের সনাতনী মানুষকে বলব এলাকায় ভোট চাইতে এলে সাংসদ শতাব্দীকে যেন ঝাঁটা দিয়ে তাড়া করা হয়।” এলাকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “রামপুরহাটে শতাব্দী হারেন নি হেরেছে তৃণমূল। পুরনির্বাচনে দিদির পুলিশ, গুন্ডা বাহিনীর বোমা, কাটমানি, তোলাবাজি, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের বাতাবরণের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন করতে দেওয়া হয়নি বিরোধীদের। ভোটাদের ভোট দিতে দেয়নি বলেই এলাকায় তৃণমূল জয়ী হতে পেরেছিল। আগামী দিনে স্বচ্ছ নির্বাচন হলে তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Banga Sangeet Utsav 2024: শহরে বিজেপির সঙ্গীত উৎসব, কোথায়-কখন অনুষ্ঠিত হবে গান-মেলা?

    Banga Sangeet Utsav 2024: শহরে বিজেপির সঙ্গীত উৎসব, কোথায়-কখন অনুষ্ঠিত হবে গান-মেলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবের আয়োজন করতে চলেছে বিজেপি। আগামী ২০ জানুয়ারি কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাটে এই সঙ্গীত মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সঙ্ঘ পরিবার ঘনিষ্ঠ এক সাংস্কৃতিক মঞ্চ এই গান মেলার আয়োজন করছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির পৃষ্ঠপোষকতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন বলে জানা গিয়েছে। 

    কবে-কোথায় সঙ্গীত উৎসব

    কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবের সূচনা করা হয় আনুষ্ঠানিক ভাবে। প্রকাশ্যে আনা হয় এই অনুষ্ঠানের দুটি ব্যানারও। আগামী ২০ জানুয়ারি কলকাতার প্রিন্সেপ ঘাটে রাজ্যের সমস্ত গুণী অথচ বঞ্চিত শিল্পীদের নিয়ে এই বঙ্গ সঙ্গীত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি রাজ্য সঙ্গীত মেলায় স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন। সেখানে গুণী শিল্পীদের কদর করা হয়নি বলেই কি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন? বঙ্গ সঙ্গীত উৎসবের আয়োজকরা জানিয়েছেন, ‘আমরা চাই না শিল্পীদের নিয়ে দলবাজি হোক। কিন্তু সরকার যোগ্য এবং গুণী শিল্পীদের সম্মান দিচ্ছে না। কোনও নেতার অনুগামী যাঁরা তাঁদেরই সঙ্গীত মেলায় সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাই যাঁরা যোগ্য শিল্পী তাঁদের সুযোগ করে দিতে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।’

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন হিন্দু কর্মীদের জন্য বিশেষ ঘোষণা মরিশাস সরকারের

    কী বলছেন উদ্যোক্তারা

    উল্লেখ্য, এই মেলার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছে সংস্কার ভারতী। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ‘কালচারাল লিটারেসি অফ বেঙ্গল’। সঙ্গীতের নির্দিষ্ট কোনও রং নেই। বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের যে প্রাচীন সংগীতের ধারা, যেমন মালদহের গম্ভীরা, পুরুলিয়ার ঝুমুর, বীরভূমের বাউল, পটের গান, এমন অনেক উপেক্ষিত সঙ্গীত ধারাকে বাংলার প্রাণকেন্দ্র কলকাতার বুকে নিয়ে আসার চেষ্টা মাত্র। সেই কাজে সকল সংস্কৃতিপ্রেমী, বিবিধ সংগঠন এক জায়গায় এসে একটি উদ্যোগ নিয়েছে। সেই উদ্যোগে শামিল হয়েছে সংস্কার ভারতী সাংস্কৃতিক সংগঠন। তাঁদের দাবি, বিবিধ ধারার যে সংস্কৃতি বাংলায় আছে তার পুনর্জাগরণের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: অভিনব কায়দায় বিদ্যুৎ চুরি! তিন গ্রাহকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের

    North 24 Parganas: অভিনব কায়দায় বিদ্যুৎ চুরি! তিন গ্রাহকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনব কায়দায় বিদ্যুতের মিটার থেকে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ব্যরাকপুরের তালপুকুরে। বিল ফাঁকি দিয়ে মারাত্মক অভিনব কায়দায় বেলাগাম চলছিল বাড়িতে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা। বিদ্যুৎ যা খরচ হবে তার ১০ শতাংশ বিল হওয়ায় সন্দেহ করেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা আর এরপর থেকেই শুরু করেন অভিযান। এরপর তাল্লশি করতেই মিটারে কারচুপির কথা ধরা পড়ল। ঘটনায় এলাকার তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে, জরিমানা করে টিটাগড় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

    কীভাবে করা হয়েছে চুরি (North 24 Parganas)?

    স্থানীয় (North 24 Parganas) সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের মিটারে যে সরকারি সিল রয়েছে তা গরম জলে ডুবিয়ে সেগুলির ফুটোকে আরও বড় করে বাইরে বের করে ফেলা হয়। এরপর মিটারের সার্কিটে একটা প্রতিরোধক বা রেজিস্টেন্স লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে যে পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যয় হচ্ছে সেই পরিমাণে খরচের রিডিং উঠছেনা। ১০০ ইউনিটের বিদ্যুৎ যদি খরচ হয় তাহলে মিটারে উঠে মাত্র ১০ ইউনিট। এইভাবেই অভিনব কায়দায় করা হচ্ছে বিদ্যুতের চুরি। যাদের বিল হয় ২০০-২৫০০ টাকা তাদের এই চুরির ফলে বিলের পরিমাণ হচ্ছে মাত্র ২০০-২৫০ টাকা। এই ভাবেই জানা যায় বিদ্যুৎ চুরির বিরাট চক্র চলছে এলাকায়। এরপর অভিযান চালায় বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকেরা।

    বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির বক্তব্য

    এই ঘটনায় জোনাল ম্যানেজার বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি লিমিটেড উৎপল ঢালী জানিয়েছেন, “এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরপর তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ চুরিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রত্যকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির ধারা আরোপ করে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে টিটাগড় (North 24 Parganas) থানায়। যাদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ উঠেছে তারা হল, মহম্মদ সেলিম আনসারী, তাকে জরিমানা করা হয়েছে ২১৭৪৫৯ টাকা, আসলাম আনসারী, তাকে জরিমানা করা হয়েছে ১৬৫০১৬ টাকা এবং মহম্মদ মুস্তাফা, তাকে জরিমানা করা হয় ২৪০৫৬ টাকা।” বিদ্যুৎ চুরির ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Child Marriage: দেশে কমলেও বাল্য বিবাহ বাড়ছে বাংলায়, ল্যানসেটের রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ

    Child Marriage: দেশে কমলেও বাল্য বিবাহ বাড়ছে বাংলায়, ল্যানসেটের রিপোর্টে বাড়ছে উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে এখনও চলছে নাবালিকার বিয়ে (Child Marriage)। তবে সংখ্যাটা আগের চেয়ে ঢের কমেছে। বর্তমানে ভারতে প্রতি পাঁচজন বিবাহিতা নারীর মধ্যে একজন নাবালিকা। প্রতি ছ’ জন পাত্রের একজন নাবালক। গোটা দেশের এই ছবিই উল্টে গিয়েছে বাংলায় এসে। ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এ রাজ্যে পাঁচ লক্ষেরও বেশি নাবালিকা গিয়েছে ছাদনাতলায়, বসেছে বিয়ের পিঁড়িতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশে যেখানে বাল্য বিবাহের হার গড়ে ২৩.৩ শতাংশ, সেখানে বাংলায় ৪২ শতাংশ নাবালিকার বিয়ে হয়ে যায় ১৮-য় পা দেওয়ার আগেই। 

    ল্যানসেট পত্রিকা

    তামাম বিশ্বে ল্যানসেট পত্রিকার জনপ্রিয়তার অন্যতম প্রধান কারণ তার তথ্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন। এই পত্রিকায়ই তুলে ধরা হয়েছে বাংলায় নাবালিকা বিয়ের করুণ ছবি। ২০১৯-২০-র জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষার রিপোর্টেও মিলেছিল বাংলায় বাল্যবিবাহের চোখে জল আনা ছবি। ল্যানসেটের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ১৯৯৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতে নাবালিকা বিয়ের হার ৪৯.৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ২২.৩ শতাংশ। বাল্য বিবাহ (Child Marriage) রুখতে নানা পদক্ষেপ করছে সরকার। চালু হয়েছে একাধিক প্রকল্পও।

    বাল্য বিবাহ রুখতে নানা প্রকল্প

    ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েদের বিয়ে দেওয়া না হলে কন্যাশ্রী কিংবা রূপশ্রী প্রকল্পে টাকা মেলে। টিন-এজ মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে নানা প্রকার বৃত্তি। সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে একাধিক। তার পরেও বেড়ি পরানো যায়নি বাল্যবিবাহের পায়ে।

    ল্যানসেটের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে বাল্যবিবাহের ঘটনা তিরিশ বছর আগে ছিল ৩৩ লক্ষের ঘরে। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৬-১৭ লাখে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং ছত্তিশগড়ের পরিস্থিতিও বাংলার চেয়ে ভালো বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত বাংলার চেয়ে ঢের ভালো নীতীশ কুমারের বিহারের পরিস্থিতি।

    রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৪১.৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায় প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই। একুশ বছর হওয়ার আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসে ২০.১ শতাংশ ছেলে। ২০১৬ সালের বাংলায় বাল্য বিবাহের হার ছিল ৪০.৮ শতাংশ। তার পরে তা পেরিয়েছে একচল্লিশের কোঠা। গোটা দেশে যেখানে বাল্য বিবাহের হার গড়ে ২৩.৩ শতাংশ, সেখানে বাংলায় ৪২ শতাংশ নাবালিকার বিয়ে হয়ে যায় ১৮য় পা দেওয়ার আগেই। বাংলার নীচে রয়েছে বিহার। সেখানে এই হার ৩৮.৭। রাজস্থানে ২১.৩ শতাংশ। ঝাড়খণ্ড ও অসমে এই হার যথাক্রমে ৩১.৫ ও ৩১.৯। জনজাতি অধ্যুষিত ত্রিপুরায় বাল্যবিবাহের হার ৪০.২ শতাংশ। রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, বাংলা, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা এবং মণিপুরে ক্রমেই বাড়ছে বাল্যবিবাহ।

    আরও পড়ুুন: মমতার রাজত্বে এ কী হাল! গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার পথে সাধুদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ল্যানসেটের রিপোর্টে অতিমারি-উত্তর কাণ্ডের ছবি নেই। এই সময় বাল্য বিবাহ আরও বেড়েছে। তবে ২০০৬ সাল থেকে পরের দশ বছর, এই সময় সীমায় বাল্যবিবাহের হার কমেছিল। ২০১৬ সালের পর ফের তা বেড়েছে। এবং ভারতের অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় তা বেশ বেড়েছে বাংলায় (Child Marriage)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Purulia Incident: পুরুলিয়ায় সাধুদের গণপিটুনির ঘটনায় মমতা সরকারকে তুলোধনা বঙ্গ বিজেপির

    Purulia Incident: পুরুলিয়ায় সাধুদের গণপিটুনির ঘটনায় মমতা সরকারকে তুলোধনা বঙ্গ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগর যাওয়ার পথে পুরুলিয়াতে গণপিটুনির (Purulia Incident) শিকার তিন সন্ন্যাসী। তিনজনেই মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে উত্তরপ্রদেশ থেকে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। এই ঘটনায় বিজেপি নিশানা করেছে তৃণমূল সরকারকে। বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য এ প্রসঙ্গে টেনে এনেছেন মহারাষ্ট্রের পালঘর প্রসঙ্গও। বিজেপি নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও (Purulia Incident)। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে মহারাষ্ট্রের পালঘরে শিশুচুরির গুজবে ৩ সন্ন্যাসী-সহ ৩ জনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। সেই একই কায়দায়  এবার আক্রমণ হল পশ্চিমবঙ্গেও।

    সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত লেখেন, ‘‘মমতার জমানায় শেখ শাহজাহানের মতো নেতারা রাজ্য সরকারের নিরাপত্তায় গা ঢাকা দিয়েছে অথচ সাধুদের ওপর হামলা হল পালঘর স্টাইলে।’’

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অমিত লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ায় মারাত্মক ঘটনা ঘটেছে। মকর সংক্রান্তির জন্য় গঙ্গাসাগর যাচ্ছিলেন সাধুরা। পালঘরের মতোই তাঁরা গণপিটুনির শিকার (Purulia Incident) হয়েছেন। তৃণমূলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা তাঁদের বিবস্ত্র করে মারধর করেছে।’’

    ঘটনার বিবরণ

    উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা ওই সাধুরা পুরুলিয়ার (Purulia Incident) কাশীপুরের গৌরাঙ্গডি গ্রামে পৌঁছে তিন নাবালিকাকে রাস্তা জিজ্ঞাসা করেন। এতেই তাঁদের অপহরণকারী সন্দেহে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। পরে স্থানীয় মানুষজন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share