Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • North 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা, দেগঙ্গায় গ্রেফতার ভুয়ো পুলিশ!

    North 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা, দেগঙ্গায় গ্রেফতার ভুয়ো পুলিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রীতিমতো পুলিশ অফিসার সেজে সোজা চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকায় টাকা তুলে প্রতারণা চলছিল। নিজেকে এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে এলাকার মানুষের কাছে টাকা তুলত এই যুবক। সোমবার অভিযোগ পেয়েই উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দেগঙ্গার কার্তিকপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য গ্রেফতার করার সময় পরনে ছিলেন পুলিশেরই পোশাক।

    উল্লেখ্য এই রাজ্যে আগেও ভুয়ো ডাক্তার, ভুয়ো সিআইডিঅফিসার, ভুয়ো সরকারি আমলা, ভুয়ো শিক্ষক, ভুয়ো সেনার পরিচয় দিয়ে একাধিক বার আর্থিক প্রতারণার ঘটনায় রাজ্যে ব্যাপক তোলপাড়ের ঘটনা ঘটেছিল। সরকারের বিরুদ্ধে এই নিয়ে বিরোধীরা তীব্র নিশানা করেছিল। রাজ্যে ফের একবার ভুয়ো পুলিশ কর্মী গ্রেফতার হওয়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    কে এই যুবক (North 24 Parganas)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত এই ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক যুবকের নাম নাদিম হোসেন। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) খড়দায়। দেগঙ্গা এলাকায় বেশ কিছু দিন ধরে বসবাস করছিল। এলাকায় পরিচয় দিত বারাসত পুলিশের ওসি ট্রাফিক যুবক। আর এই পরিচয়ের নাম করেই স্থানীয়দের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা তুলত।

    কীভাবে ধরা পড়ল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার (North 24 Parganas) এক বাসিন্দা নরুন ইসলাম নামক এক ব্যক্তি এই ভুয়ো পুলিশ কর্মীকে ছেলের চাকরির জন্য ৪০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেনি আরও টাকা চেয়েছিল যুবক। এরপর হাতেহাতে টাকা দেওয়ার কথা বললে কার্তিকপুরে আসতে বলা হয় যুবককে। যুবক নকল পুলিশ সেজে পুলিশের পোশাক পরে এসে উপস্থিত হয়। পাশাপাশি এখানে দেগঙ্গা থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে। পুলিশ পরিচয় পত্র জানতে চাইলে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয় যুবক। এরপর তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

    পুলিশের বক্তব্য

    ধৃত ভুয়ো পুলিশ কর্মী নাদিম হোসেন সম্পর্কে দেগঙ্গা পুলিশ জানায় যে বাজার থেকে পুলিশের পোশাক কিনে ছিল। সাধারণত সিনেমার কাজের জন্য এই ধরনের পোশাক খোলা বাজারে ব্যবহার করা হয়। জেরায় জানিয়েছে, ছেলেবেলা থেকেই পুলিশ হওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল তার। স্বপ্নপূরণ না হওয়ায় পুলিশের অভিনয় করে যুবক। তবে পুলিশ তার কথা মানতে নারাজ। চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার জন্যই এই ধরনের কাজ করছে বলে পুলিশের বক্তব্য।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা-সহ পাঁচটি অডিয়ো ক্লিপ ফরেন্সিকে পাঠাল ইডি

    Kalighater Kaku: ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা-সহ পাঁচটি অডিয়ো ক্লিপ ফরেন্সিকে পাঠাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের ‘কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠাল ইডি। গত সপ্তাহেই ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ এবার সেগুলিকে পরীক্ষার জন্য সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ ইডির তরফে দ্রুত নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

    কেন পাঠানো হল রেকর্ডিং ক্লিপিং

    ইডি সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনার সঙ্গে পাঁচটি রেকর্ডিং ক্লিপিংও পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার জন্যই রেকর্ডিং ক্লিপিংগুলি পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা বার বার বলেছে ইডি। সূত্রের খবর, ‘কাকু’র একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং মোবাইল থেকে উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ওই কথোপকথন একাধিক ভাগে ভাগ করে তার সঙ্গে মিলিয়েই গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra) কন্ঠস্বর মেলাতে পারলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে, এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কণ্ঠস্বর রেকর্ড করার সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হয় ইডির তরফ থেকে, ঘটনাচক্রে তার পরেই এসএসকেএমে ভর্তি হয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার কাজকর্ম একটা শ্রেণিকে বিপদে ফেলেছে’’, মন্তব্য বিচারপতির

    প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন ‘কাকু’। তিনি ‘গুরুতর’ অসুস্থ হওয়ায় এসএসকেএম তাঁকে ছুটি দিতে পারছে না। এমনকি, জোকার ইএসআই হাসপাতালে গিয়ে কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এসএসকেএম হাসপাতালের ডাক্তারেরা আপত্তি করেছিলেন বলে ইডি-র অভিযোগ। সম্প্রতি বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় রুদ্ধদ্বার শুনানি করে নির্দেশ দেন,‘কাকু’-র কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করলে এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিচারপতি। তারপরেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এবার সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নতুন প্রচার, শুরু ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’

    Durgapur: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নতুন প্রচার, শুরু ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ প্রচার অভিযানের সূচনা হল। সামনেই লোকসভার নির্বাচন। তাই প্রচার নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে দুর্গাপুরে (Durgapur)। কেন্দ্রীয় সরকারের নানান জনমুখী কাজের প্রচার করতেই এই ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’ ক্যাম্পের আয়োজন। রাজ্যের মধ্যে দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর ওয়ার্ডের ইস্পাতপল্লিতে এই প্রকল্পের সূচনা করলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, আমাদের ‘দুয়ারে সরকার’-এর দেখাদেখি বিজেপি ভোটের আগে প্রচারের আলো পেতে নাটক করছে।

    রাজ্যে রাজ্যে আগে এই যাত্রার সূচনা হলেও বাংলায় এবার শুরু হয়েছে। রাজ্যে মোট এই সংকল্প যাত্রায় দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে মোট ১৮ টি ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র রথ পেয়েছে। রথের মতো করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পোস্টার দিয়ে একটি গাড়িকে সাজানো হয়েছে। গাড়িতে রয়েছে একটি করে বড় টিভি। সঙ্গে চলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ এবং ভিডিও।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ (Durgapur)?

    দুর্গাপুরে (Durgapur) এই দিন ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’-এর সূচনা করে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া বলেন, “মোদি সরকারের জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা সকল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই ক্যাম্প থেকে উজ্জলা যোজনা, মুদ্রা লোন, প্রধানমন্ত্রী জীবন বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা-সহ আরও একধিক কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের কথা সম্পর্কে বিস্তৃত জানা যাবে। কীভাবে আবেদন করবেন, কীভবে প্রকল্পের সুবিধা পাবেন, কোনও অসুবিধা হলে কোথায় জানাবেন ইত্যাদি বিষয়ে ক্যাম্প থেকে সহযোগিতা করা হবে। এমনকী আবেদনকারীরা কীভাবে ঋণ পাবেন সেই ব্যবস্থা করা হবে।” শুধু ক্যাম্প নয়, ক্যাম্পের বিষয় নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি এলাকায় এলাকায় প্রচার করবে বলে জানা গিয়েছে। এই সাংসদ ‘বিকশিত প্রকল্প’ প্রচারে প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলকে বলেন, “যদি বাধা প্রদান করে তাহলে তারাও বুঝতে পারবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে স্থানীয় তৃণমূলের বক্তব্য, “আমাদের সফল প্রকল্প ছিল ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। বিজেপি তৃণমূল সরকারকে অনুকরণ করছে।” দুর্গাপুর (Durgapur) জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের প্রাপ্য টাকা যদি বিজেপি সরকার না দেয় তাহলে ‘বিকশিত ভারত’ প্রকল্পের কর্মীদের আটক করে বিক্ষোভ দেখানো হবে।” প্রসঙ্গত এই ক্যাম্পে যে সব উপভোক্তারা এসেছেন তাঁরা এই উদ্যোগে বেশ খুশি বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, সন্দেশখালিকাণ্ডে জানাল আদালত

    Sandeshkhali Case: ইডির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ, সন্দেশখালিকাণ্ডে জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইডির বিরুদ্ধে করা এফআইআর নিয়ে কোনও তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিশ। শুরু করেছিল তদন্তও। এদিন সেই তদন্তেই স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ।

    কেস ডায়েরি তলব

    রাজ্যের কাছে এই ঘটনার কেস ডায়েরিও তলব করেছে আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে করা এফআইআর নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। ইডি আধিকারিকেরা কি শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকেছিলেন? প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, অনেক চেষ্টা করেও শাহজাহানের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি তাঁরা। সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) একই দিনে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল থানায়। এর মধ্যে দুটি এফআইআরের বয়ানে কোনও মিল নেই।

    বিচারপতির প্রশ্ন?

    সেই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি মান্থার প্রশ্ন, “এফআইআর নেওয়ার আগে পুলিশ কি ন্যূনতম অনুসন্ধান করেছিল?” তাঁর পর্যবেক্ষণ, “ধরুন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ওপর আক্রমণ হয়েছে। ন্যূনতম অনুসন্ধান না করেই কি সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর লিখতে বসে যাবেন? আপনার রায় কি সে কথা বলছে? পুলিশের দুটি অভিযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। একটি ঘটনার সঙ্গে অন্যটিকে মেলানো যাচ্ছে না।” তিনি বলেন, “প্রথমে একটি বয়ানে পুলিশ এফআইআর নিল। ওসি স্বাক্ষর করে দিলেন। আবার দুপুরে আর একজন গিয়ে থানায় উল্টো ঘটনা বললেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেও এফআইআর করা হল। আর তাতেও ওসি সই করে দিলেন!”

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে গ্রেফতারে দাবিতে ন্যাজাট থানা ঘেরাও সুকান্তর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

    বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, “পুলিশের একবারও মনে হল না, একটু আগে এই একই ঘটনা নিয়ে এফআইআর নেওয়া হয়েছে? আগে যিনি এসেছিলেন তিনি অন্য কথা বলেছেন। তখন দ্বিতীয় জনকে পুলিশ তো সেকথা বলবে। তা না করে চোখ বন্ধ করে ওসি স্বাক্ষর করে দিলেন! এটা পুলিশের কী ধরনের বোকামি?” বিচারপতি জানান, এক্ষেত্রে চালাকি করা হতে পারে। তাই কোন এফআইআর আগে হয়েছে, কোনটি পরে, তা জানতে এফআইআরের কপি তিনি পাঠাতে পারেন ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘আমার কাজকর্ম একটা শ্রেণিকে বিপদে ফেলেছে’’, মন্তব্য বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: ‘‘আমার কাজকর্ম একটা শ্রেণিকে বিপদে ফেলেছে’’, মন্তব্য বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। আদালতের ভিতরে হোক বা বাইরে তাঁর একাধিক মন্তব্যে সমস্যআয় পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। এমনকী তাঁর করা মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গেই এবার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “আমার কাজকর্ম-কথাবার্তায় এক শ্রেণি খুব বিপদে পড়ছে, তাই হয়ত নানা পদক্ষেপ।” 

    বিচারপতির প্রশ্ন

    বিবেকানন্দ পাঠচক্র আয়োজিত স্বামী বিবেকানন্দ মিলন মেলায় উপস্থিত হয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “বহু বিখ্যাত মানুষ, যাঁরা কাজ করার চেষ্টা করেছেন, তাঁদেরকে সব সময় টেনে নামানোর চেষ্টা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বহু প্রচার হয়েছে। এমনকি বিধবা বিবাহ প্রচলনের সময় বিদ্যাসাগর মশাই নিজে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন।” এই অনুষ্ঠানে স্বামী বিবেকানন্দের জীবন-আদর্শের কথা তুলে ধরেন তিনি। একই সঙ্গে সমাজের বিচ্যুতি থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। বিচারপতি প্রশ্ন করেছেন, যে বাংলায় এত মনীষীদের জন্ম হয়েছে সেই বাংলার বর্তমান সমাজে এত বিচ্যুতি হয় কীভাবে।

    আরও পড়ুন: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    কী বললেন বিচারপতি

    প্রসঙ্গত, বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক (Abhishek Banerje)। আবেদনে তিনি জানান, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে তৃণমূল সাংসদের আর্জি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক। তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যে কেউ মামলা করতে পারেন। যে কোনও আর্জি জানাতে পারেন। বলতেই পারেন, চাঁদ আমাকে পেড়ে দাও। যিনি শুনছেন (মামলা), তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।” তার পরই বিচারপতির সংযোজন, “মনে হয় আমার কাজে এবং কথাবার্তায় একটা শ্রেণি খুব বিপদে পড়ছে।” তাঁর মন্তব্যে, তদন্তকারী সংস্থা প্রভাবিত হচ্ছে কি না, তা ওই সংস্থাগুলিই বলতে পারবে বলে জানান বিচারপতি। তাঁর কথায়, “একটা কথায় এজেন্সি প্রভাবিত হচ্ছে, এ সব আষাঢ়ে গল্প।” সময় পাল্টে গিয়েছে বলে দাবি করে বিচারপতির প্রশ্ন, “আগে এত চুরি-জোচ্চুরি দেখেছেন? চাকরি বিক্রি দেখেছেন?” হতাশার সুরে বিচারপতি জানান, বর্তমানে বাংলায় অবক্ষয় চোখে পড়ছে, যা বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দের বাংলায় কাম্য নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: জাতীয় কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায় সোনা জিতে তাক লাগালেন হাওড়ার নিখাত পারভিন

    Howrah: জাতীয় কিকবক্সিং প্রতিযোগিতায় সোনা জিতে তাক লাগালেন হাওড়ার নিখাত পারভিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনা জয় করে নতুন বছর শুরু করলেন হাওড়ার (Howrah) মেয়ে নিখত পারভিন। ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (এনসিসি) সদস্যা নিখাত পারভিন এবছর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সিনিয়র জাতীয় কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সেরার শিরোপা পেয়েছেন। নয়াদিল্লিতে ২-৬ জানুয়ারি কিকবক্সিংয়ে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেই তাঁর এই সাফল্য। হাওড়ার মেয়ের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা জেলা।  পরিবারের পাশাপাশি নিখাতকে নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস এলাকায়।

    কী বলেন পারভিন (Howrah)?

    হাওড়ার (Howrah) বেলুড়ের টিএইচ উর্দু হাইস্কুলের প্রাক্তনী হলেন নিখাত পারভিন। তবে, এখানেই থেমে থাকতে রাজি নন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন। নিখাত বলেন, “এখানেই আমি থেমে থাকতে চাই না। আমার পরবর্তী লক্ষ্য হল আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা।” এখন তিনি কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছেন। একই সঙ্গে তিনি এনসিসির ২ নম্বর বেঙ্গল ব্যাটালিয়নেরও সদস্য। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমার মা, এনসিসি প্রশিক্ষক ও কিকবক্সিংয়ের কোচ-এই তিনজনের জন্যই আমি আজ জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিবির থেকে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সেই অভিজ্ঞতা সুবিধা দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আশা করি আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেকে এবার প্রতিষ্ঠা করে লিঙ্গ বৈষম্যকে ভাঙতে সচেষ্ট হব।” তাঁকে নিয়ে গর্বিত পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের এনসিসি ডিরেক্টরেট। এই তরুণীর প্রতিভাময়ীকে বিশেষ সম্মান জানাতে চায় বলে এনসিসি সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।

    জেলা স্তরেও চ্যাম্পিয়ন ছিলেন

    জেলাস্তরে (Howrah) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময়েই পারভিন সকলের নজর কেড়েছিলেন। তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণ দেখা গিয়েছিল রাজ্যস্তরের খেলায়। তখন থেকেই তাঁকে ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়ন বলে মনে করেছিলেন ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় স্তরে সোনা পাওয়ায় তাঁরা একটুও অবাক হননি বলে জানা গিয়েছে। মাত্র সাত বছর বয়সে খেলা শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ৭৫টি পদক জিতে নিয়েছেন তিনি। ক্রীড়াবিদদের মতে, এমন বিস্ময়কর প্রতিভা সচরাচর দেখা যায় না।

    নারীদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করেন

    মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী পরিবারের (Howrah) মেয়ে হিসাবে পারভিন নিজে বিশ্বাস করেন নারীদের ক্ষমতায়নে। এনসিসিতে যোগদান তাঁকে আরও পরিণত ও আত্মনির্ভরশীল করে তুলেছে। এনসিসি থেকে তিনি পুরস্কৃতও হয়েছেন। প্রত্যেক নারীর মধ্যে যে সম্ভাবনা থাকে, উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই তা বিকশিত হয় এবং সেটিই নারী স্বাধীনতা ও ক্ষমতায়নের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে বলে তিনি মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: বাড়িতে আধিকারিকরা! শোনার পরেই ফোন কাটেন শাহজাহান, দাবি ইডির

    Sandeshkhali Incident: বাড়িতে আধিকারিকরা! শোনার পরেই ফোন কাটেন শাহজাহান, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) চাঞ্চল্যকর দাবি ইডির। শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে তাঁকে ফোন করেন দফতরের আধিকারিকরা। ফোন রিসিভও করেন শাহজাহান, আর ইডির (ED Attack) কথা শুনেই কল কেটে দেন। এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা ও জেলার পুলিশ সুপারকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতেও বিষয়টি তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    ফোন কাটেন শাহজাহান

    ইডির অভিযোগ, ওই হামলার ঘটনার ঠিক আগে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল আধিকারিকদের। রেশন দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁর বাড়ির সামনে এসেছে এই কথা শোনার পরেই ফোন কেটে দেন শেখ শাহজাহান। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তৃণমূল নেতার দুটি মোবাইল ফোন। শুক্রবার একটি মোবাইল ফোন নম্বরে শেখ শাহজাহানকে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে এসেছেন বলে জানান ইডি-র আধিকারিক। এরপরই ফোন কেটে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় থেকে তাঁর সেই ফোন নাকি অনবরত ব্যস্ত ছিল। ইডির দাবি, দুটি মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনই দেখাচ্ছিল, তৃণমূল নেতা রয়েছেন বাড়ির ভিতরেই। ইডি-র অভিযোগ, সেই সময় শেখ শাহজাহানই ফোন করে তাঁর অনুগামীদের উস্কানি দেন। ইডির দাবি পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: টাকা তছরুপের অভিযোগ! কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে তলব ইডির

    কোথায় শেখ শাহজাহান?

    গত শুক্রবার রেশন দুর্নীতি তদন্তে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি-র আধিকারিকরা। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না শেখ শাহজাহানের। এই ঘটনায় পালটা ইডির বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে শোনা যায়। সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিশের এফআইআর খারিজের আবেদন করে হাইকোর্টে গিয়েছে ইডি। অন্যদিকে, সন্দেশখালিতে ইডি-র ওপর হামলার ৬ দিন পার হয়ে গেলও কোথায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান? লঘু ধারাতেই বা কেন মামলা রুজু করল পুলিশ? তারই প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির ন্যাজাট থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি, নেতৃত্বে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Anthem Case: বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট নয়, জাতীয় সঙ্গীত মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের

    National Anthem Case: বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট নয়, জাতীয় সঙ্গীত মামলায় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার (National Anthem Case) দু’টি মামলাতেই স্বস্তিতে বিজেপি। আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ ছাড়া ওই মামলায় কোনও চার্জশিট পেশ করা যাবে না। বুধবার জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এছাড়া বিজেপি বিধায়কদের জেরা করা যাবে না বলে যে নির্দেশ আগে দেওয়া হয়েছিল, সেটাও বহাল রাখা হয়েছে। একক বেঞ্চ আগেই এই মামলাকে ‘ছেলেমানুষি’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছিল।

    কী বলল আদালত

    বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা (National Anthem Case) করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে। শাসক দলের তরফে একটি নয়, দুটি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু আগেই এই মামলাকে ‘ছেলেমানুষি’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করেছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে এখনও পর্যন্ত কোনও শুনানি হয়নি। তাই একক বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, দ্বিতীয় মামলাতেও তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে না পুলিশ। পাশাপাশি, হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া দেওয়া যাবে না চার্জশিটও। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দুই মামলারই শুনানি হতে পারে সিঙ্গল বেঞ্চে। যদি তার আগে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের দায়ের প্রথম মামলার শুনানি হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    বিতর্কের সূত্রপাত, গত মাসে বিধানসভায় একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়কেরা। ওই একই সময়ে তৃণমূলের বিক্ষোভস্থল থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে বিধানসভার সিঁড়িতে বসে বিজেপি বিধায়কেরা পাল্টা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তুলছিলেন সরকার-বিরোধী স্লোগান। তৃণমূল বিধায়কেরা সেই সময় জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। সেই সময়েও বিজেপি শিবির থেকে স্লোগান শোনা যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিজেপি বিধায়কদের দাবি ছিল, অপরাধযোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sodepur: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! প্রতারকের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ

    Sodepur: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা! প্রতারকের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুর (Sodepur) এলাকায়। বুধবার প্রতারিতরা  অভিযুক্ত ব্যবসায়ী তপন রায়ের বাড়িতে চড়াও হন। সেখানে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। যদিও ব্যবসায়ী বাড়িতে না থাকায় হতাশ হয়ে ফিরতে হয় প্রতারিতদের। পরে, প্রতারক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sodepur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তপন রায় সোদপুর (Sodepur) এলাকায় ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস-এর ব্যবসা খুলে বসেন। ওই কোম্পানির নাম করে দুবাই সহ বিদেশে চুক্তিভিত্তিক চাকরি দেওয়ার তিনি টোপ দেন। রীতিমতো পোস্টার ছাপিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তা দেওয়া হয়। সেখানে ভাল মাইনের অফার দেওয়া হয়। পোস্টারে দেওয়া হয় ফোন নম্বর। বেকার ছেলেমেয়েরা পোস্টারের সেই নম্বর দেখে যোগাযোগ করেন। এরপরই চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে টাকার দাবি করেন ব্যবসায়ী। ৬০-৭০ হাজার, এমনকী এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রতারিতদের অভিযোগ। মাসের পর মাস কেটে গেলেও কাউকে বিদেশে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। এরপরই প্রতারকের প্রতারণা সকলের সামনে চলে আসে।

    প্রতারিতরা কী বললেন?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করার পর চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাই ব্যবসায়ীর কাছে। কিন্তু, কোনও টাকা ফেরত পাইনি। শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত, কিন্তু বাস্তবে টাকা ফেরত দেননি।  আমাদের মতো এরকম বহু বেকার ছেলেমেয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছে। এরপরেই এদিন আমরা প্রতারিত বাড়িতে যাই। বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাই। তাঁর স্ত্রী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর সম্পর্কে তিনি জানেন না বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেকের কাছে তিনি সাক্ষাৎ ভগবান। কারও কারও কাছে তিনি ভগবানের দূত। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আবার কারও কাছে গলার কাঁটাও। এই যেমন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেক অবশ্য মুখে কিছু বলেননি।

    অভিষেকের আর্জি

    তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের এই দাপুটে বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। আর্জি জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোরও। দেশের শীর্ষ আদালতে করা আবেদনে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো জানিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক। এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হোক কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আদালতের বাইরে বারংবার যে এক পক্ষের বয়ান তুলে ধরছেন, তা থেকে তাঁকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হোক। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশও দেওয়া হোক। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শুনবে (Abhishek Banerjee) সেই বেঞ্চ। বিচারপতি সিনহার এজলাসে যে মামলাগুলি রয়েছে, সেগুলি যাতে ওই বেঞ্চে যায়, তার ব্যবস্থাও করা হোক।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই অভিষেকের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি প্রশ্ন করেন, একজন নেতা হিসেবে অভিষেকের সম্পত্তির উৎস কী? তিনি কি তাঁর সম্পত্তির হিসেব সমাজমাধ্যমে পোস্ট করবেন? তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা দেখতে চাই, কার কত সম্পত্তি আছে। কে কত সম্পত্তি করেছেন। কার সম্পত্তির উৎস কী? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিষেক যদি সমাজমাধ্যমে ওই পোস্ট করেন, তবে তাঁর সমসাময়িক নেতা, ধরুন, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বা অন্য নেতাদের কাছেও একই আবেদন রাখব। তাঁরাও সম্পত্তির হলফনামা তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিন, আমরা দেখতে চাই।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিভিন্ন পদক্ষেপে ওদের অসুবিধা হচ্ছে। ওদের বিভিন্ন চোরেরা জেলে রয়েছেন। আরও কিছু জেলে যাবেন। সেই জন্যই আমার ওপর এত রাগ।” প্রসঙ্গত, ইডি এবং সিবিআই চাইলে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলে গত বছরই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    তাই কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পায়ে বেড়ি পরাতে চাইছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share