Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Primary Recruitment Case: প্রাথমিক নিয়োগ মামলা থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেলকেই সরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    Primary Recruitment Case: প্রাথমিক নিয়োগ মামলা থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেলকেই সরিয়ে দিলেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে এবার এজি-কে সরিয়ে দিলেন বিচারপতি  অমৃতা সিনহা। এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে পারবেন না মুখ্য আইনি উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। বুধবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এজি হিসাবে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের হয়ে কীভাবে আইনজীবী হিসাবে রয়েছেন কিশোর দত্ত? এই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।

    অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন

    তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি যে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এই দুর্নীতির মামলায় কোনও এক অভিযুক্তের আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়ছেন। যদি এটা হয় তাহলে সরাসরি একটা স্বার্থের দ্বন্দ্ব (কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট) তৈরি হচ্ছে। এই জন্য আমি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ডেকে পাঠিয়েছি।’ রাজ্যের লিগল অ্যাডভাইসার কিশোর দত্ত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত  সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রেরও আইনজীবী। কিছুদিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করা হয়েছে। এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিনের শুনানির সময়ে বিচারপতি এজি-র উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “আপনি এই মামলায় একজনের হয়ে সওয়াল করছেন। তার সঙ্গে রাজ্যের স্বার্থের সংঘাত হলে সমস্যা হবে। তাহলে সরকারের হয়ে এই মামলায় থাকতে পারেন না।” এরপরই বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “আপনি বাই ডিফল্ট বেরিয়ে যান।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই, কেন জানেন?

    বিরক্ত বিচারপতি সিনহা

    এদিন শুনানির সময় প্রাথমিকে নিয়েগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্যের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, “চাকরি প্রার্থীদের এক একটা দিন নষ্ট হচ্ছে। রাজ্যকে বলতেই হবে কী চায় তারা। তাদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। কবে নিয়োগ দেওয়া হবে? আর কত অপেক্ষা। এই অপেক্ষা শেষ হওয়ার নয়। উভয় মিটিং করে এব্যাপারে সমাধানে আসা যায় কি না দেখুন।” এই মামলার পরের শুনানি ৬ ফ্রেবরুয়ারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECI: লক্ষ্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই রোজকার রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের

    ECI: লক্ষ্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই রোজকার রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। সিইও অফিস নয়, নিজেদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই তারা জোগাড় করে ফেলেছিল ভিডিওগ্রাফি সমেত সন্দেশখালির পুঙ্খানুপুঙ্খ সব তথ্য। এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এই প্রথমবার তারা যে নির্দেশিকা জারি করল, তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোন পর্যায়ে গিয়েছে, তার পরিষ্কার একটা ছবি ধরা পড়ছে।। কারণ নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এই প্রথমবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার এত আগে থেকে মিডিয়া মনিটরিং শুরু করে দিল তারা। বৈদ্যুতিন মাধ্যম, খবরের কাগজ এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় রাজ্যে প্রতিদিন কী খবর হচ্ছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার সবিস্তার রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    রিপোর্ট পাঠানো শুরু

    কলকাতা উত্তর এবং দক্ষিণ সহ রাজ্যের মোট ২৪ টি জেলার রিপোর্ট পাঠানো শুরু হল বুধবার থেকেই। কেবলমাত্র তাই নয়, জাতীয় নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট করে দিয়েছে মোট সাতটি পয়েন্ট। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ফেক নিউজ সহ অন্যান্য সবকিছুই। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব কখন, কোথায় কে কী বলছে, সেটাও বিস্তারিতভাবে পাঠাতে হবে নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এর আগে এতদিন এইসব রিপোর্ট পাঠাতে হত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে। কিন্তু এই প্রথমবার এত আগে থেকেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এবং সম্পূর্ণ রিপোর্ট হাতে নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    ফেব্রুয়ারি মাসে কমিশনের ফুল বেঞ্চ

    নির্বাচনী বিধির লাগু হওয়ার পর এতদিন ধরে বা এত বছর ধরে যে রিপোর্ট পাঠাত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর, বুধবার থেকে সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে প্রতিদিন। এই রিপোর্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে থাকছে না কোন ছুটি। এমনকী জাতীয় ছুটির দিনেও এই রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশে রয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব মঙ্গলবারই দিল্লি গিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে। কমিশন সূত্রে খবর, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে আসতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ (ECI)। যদিও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে ইতিমধ্যেই সব জেলা থেকে রিপোর্ট নেওয়া শুরু করেছে প্রতি সপ্তাহেই। কোন কোন এলাকায় উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে, পাশাপাশি তার জন্য এখন থেকেই জেলা নির্বাচনী আধিকারিকরা সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, সেই সব কিছুই।

    জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ

    অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবার বিশেষভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে, জামিন অযোগ্য ধারায় যারা এখনও পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের নিজেদের আওতায় রাখতে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর আর কোনও ভাবেই যেন তারা বাইরে থাকতে না পারে, সে বিষয়ে কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সহ প্রত্যেক জেলার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আশি হাজারের বেশি বুথ রয়েছে, যার মধ্যে ৪৭ শতাংশ শ্যাডো জোনের মধ্যে রয়েছে। যেখানে এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) সূত্রে খবর, যে কোনও মূল্যে ১০০ শতাংশ বুথেই এবার ব্রেক কাস্টিং করা হতে পারে। সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, তারপর জাতীয় নির্বাচন কমিশন আর কোনও ভাবেই ন্যূনতম খামতি রাখতে চাইছে না। ফলে কমিশনের এইসব পদক্ষেপ এখন থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এই রাজ্যে এবার কোন রূপ নিতে চলেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি অফিসারদের ওপর হামলার অর্থ ভারতের সংবিধানের ওপর হামলা। বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। ইডি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, রাজ্য সরকারের ভুয়ো কোনও সংস্থা নয়। বুধবার গঙ্গাসাগরে গিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের মেলার খরচ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন তিনি।

    মেলার ২০০ কোটি কোথায় যায়, প্রশ্ন সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলা উদ্বোধনে এসে বলেছিলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় কেন্দ্রীয় কোনও সাহায্য মেলে না। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বুধবার বলেন, মেলার সাহায্য পেতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে হবে। উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগাতে হবে। এখানে মেলা দেখে মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হেলিকপ্টার সার্ভিসটা কোথায়? ১৯ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। আর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গঙ্গাসাগর মেলা করতে ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়. সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, ২০০ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটা খোঁজ নিয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ছবির পিছনে সব টাকা কি খরচ হয়ে যায়?

    ইডি-র ওপর হামলা নিয়ে সরব সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আগামীকাল ইডি-র ওপর হামলার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করার কর্মসূচি রয়েছে রাজ্য বিজেপির। ইডি ভারতীয় সংবিধানের দ্বারা পরিচালিত হয়। লোকসভায় ও রাজ্যসভায় আইন প্রণয়ন করে নিয়োগ করা হয়েছে। ইডি অফিসারদের ওপর হামলা মানে ভারতবর্ষের সংবিধানের উপর হামলা। এই হামলা ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের উপর হামলা। বিচ্ছিন্নবাদী মানসিকতা, পশ্চিমবঙ্গকে ভারতবর্ষ থেকে আলাদা করার মানসিকতা। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিজেপি লড়ছে। যারা ইডি অফিসারদের ওপর হামলা করেছে, তাদেরকে তো গ্রেফতার করতে পারবে না, বরং তাদেরকে ‘বঙ্গরত্ন পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হার্মাদরা তো ভোটে জেতায়। মুখ্যমন্ত্রী কি জনতার ভোটে জেতে! তৃণমূল সরকার যে কাজ করছে সেটি ভারতবর্ষের সংবিধানের ওপর আক্রমণ, ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ। ইডি উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, যেভাবে আইন ভাঙা হয়েছে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না। সময় আসছে বিজেপি সরকার তৈরি হবে। যে বাড়ির তালা ভাঙা যায়নি, সেই বাড়িতে বুলডোজার চলবে।

    গঙ্গাসাগরে সুকান্ত

    দলীয় একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বুধবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গঙ্গাস্নান করেন তিনি। গঙ্গাস্নানের পর তিনি কপিলমুনির মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। এরপর গঙ্গাসাগর মেলা চত্বর ঘুরে দেখেন তিনি। শুধুমাত্র এ রাজ্যই নয়, ভিন রাজ্য থেকেও এই মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। গঙ্গাসাগরে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে ৬ দিন পার! এখনও অধরা সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। কোন ডেরায় তিনি ঘাপটি মেরে বসে আছেন, মেলেনি তার খোঁজ। তবে, বসে নেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ধীরে ধীরে জাল বিছোতে শুরু করে দিয়েছে তারা। আর এই কাজে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ থেকে শুরু করে এনআইএ, এমনকী আয়কর দফতরও।

    শাহজাহানকে নিয়ে নতুনভাবে ব্লু-প্রিন্ট

    রেশন দুর্নীতির তদন্তে গত শুক্রবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) সরবেরিয়াতে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ডেরায় অভিযানে গিয়েছিল ইডি। সেখানেই তাদের ওপর হামলা হয়। শাহজাহানের অনুগামীরা বাঁশ, লাঠি ও ইট দিয়ে হামলা চালায় ইডি অফিসার ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর। হামলার জেরে মাথা ফেটে যায় ৩ ইডি আধিকারিকের। ক্ষতিগ্রস্ত হয় তদন্তকারী সংস্থার গাড়ি। সেদিনকার মতো সন্দেশখালি থেকে খালি হাতে চলে এলেও, শাহজাহানকে ধরতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ইডি। নতুনভাবে ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    সমন্বয় বৃদ্ধি ও নিখুঁত গ্রাউন্ড রিপোর্টে জোর

    মঙ্গলবারই, কলকাতায় এসেছিলেন ইডি-র ডিরেক্টর রাহুল নবীন। এখানকার আঞ্চলিক আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। পরবর্তী পদক্ষেপ কীভাবে করতে হবে, কীভাবে এগোতে হবে তদন্তে, সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যে এলাকায় অভিযান হবে আগে সেই এলাকার নিখুঁত গ্রাউন্ড রিপোর্ট তৈরি করারও নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটিদের।

    ইডিকে সাহায্যের আশ্বাস বাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির

    এর পাশাপাশি, দ্বিতীয় বৈঠক রাহুল নবীন করেন অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এবং নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, সিজিও কমপ্লেক্সে সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ, আয়কর ও এনআইএ-র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন ইডি ডিরেক্টর। প্রত্যেক এজেন্সির থেকে বিভিন্নভাবে সাহায্যের অনুরোধ করেন। সূত্রের খবর, প্রত্যেকটি এজেন্সি ইডিকে যথাসাধ্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    নতুন করে জাল বিছানোর কাজ শুরু

    এর পরই, শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) ধরতে জাল বিছানোর কাজ নতুন করে শুরু করেছে ইডি। তবে, এবার একা নয়। এই কাজে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিএসএফ থেকে শুরু করে এনআইএ, এমনকী আয়কর দফতরও। জানা যাচ্ছে, সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) হল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা। তাই সেখানে বিএসএফ-এর বিচরণ। শাহজাহান যাতে স্থল বা জলসীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে না পৌঁছতে পারে, তার জন্য বিএসএফ সতর্ক। শাহজাহানের নামে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। তা হাতিয়ার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-কে সতর্ক করা হয়েছে। অন্যদিকে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে আগে অভিযোগ উঠেছিল শাহজাহানের বিরুদ্ধে। মানব পাচার যোগ খতিয়ে দেখবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। শাহজাহানের আর্থিক হাল হকিকত নিয়ে তথ্য সংগ্রহে আয়কর দফতর। 

    ‘বাঘের’ ধরা পড়াটা এখন সময়ের অপেক্ষা

    ফলে, এজেন্সির ফাঁসে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। ধীরে ধীরে তাকে ঘিরে ফেলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। শেখ শাহজাহানকে তাঁর অনুগামীরা ‘বাঘ’ বলে ডাকেন। অনুগামীদের মতে, শাহাজাহান নাকি হলেন ‘প্রকৃত সুন্দরবনের বাঘ’। আবার স্থানীয় একাংশ মানুষের কাছে, তিনি ছিলেন ‘মূর্তিমান ত্রাস’। আতঙ্কের অপর নাম। তাঁর অত্য়াচার দিনের পর দিন সহ্য করতে হয়েছে সেখানকার গরিব সাধারণকে। এখন সেই ‘বাঘ’, সেই ‘মূর্তিমান ত্রাস’ এখন বেপাত্তা। তবে, বেশিদিন নয়। শেখ শাহাজাহানকে ধরতে এবার সঠিক জাল বিছিয়েছে ইডি। সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ‘বাঘের’ ধরা পড়াটা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary TET: প্রাথমিকের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে

    Primary TET: প্রাথমিকের একটি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে (Primary TET) চাকরির নিয়োগে প্যানেল প্রকাশ এবং তা আদালতের সামনে জমা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

    ২০১৪ সালের টেটের প্রেক্ষিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছিল ২০১৫ সালের অক্টোবর আসে। ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৬ সালে। এই মামলায় পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ ছিল, ১০ দিনের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে (Primary TET)। সেই মোতাবেক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু, ১০ জানুয়ারি অর্থাৎ বুধবার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, এই মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ (Primary TET)। ওই মামলার শুনানিতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ এদিন একক বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দিল। তবে একক বেঞ্চ মামলার পরবর্তী অংশের শুনানি চালিয়ে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২০১৬ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ ঘিরে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে

    ২০১৪ সালের নিয়োগে ৪২ হাজারেরও বেশি প্রার্থী শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে। কিন্তু, সেই নিয়োগ নিয়ে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে পরবর্তীকালে। এ নিয়ে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনও শুরু করেন। জল গড়ায় হাইকোর্টে। মামলা ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারও হন পর্ষদের (Primary TET) প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। মামলার শেষ শুনানিতে মোট ৪২ হাজার ৯৪৯ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করতে বলেন তিনি। তবে এদিন তাঁর নির্দেশ খারিজ হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা ইডির, বয়ান রেকর্ডে সিজিওতে বসিরহাট পুলিশ

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে মামলা ইডির, বয়ান রেকর্ডে সিজিওতে বসিরহাট পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) তাদের উপরে হামলার ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে তাদের আধিকারিকদের উপর হামলা করা হয়েছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ইডিকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। আগামী কাল বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে বুধবারই ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছল বসিরহাটের পুলিশ। এদিনই ইডি অফিসারদের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    হাইকোর্টে ইডি

    বুধবার হাইকোর্টে ইডি-র অভিযোগ, ‘রেশন দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন অফিসাররা। উলটে আমাদের অফিসারদের বিরুদ্ধেই পুলিশ এফআইআর করেছে বলে শুনতে পাচ্ছি। সব সংবাদমাধ্যমে এটা প্রচার হচ্ছে। আমরা বসিরহাট কোর্টেও খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু সেখানেও এমন কোনও এফআইআর কপি যায়নি। ওয়েবসাইটে আপলোডও করা হয়নি। উলটে পুলিশ প্রতিদিন আমাদের অফিসে গিয়ে খোঁজ করছে, কোন কোন অফিসার সেদিন সেখানে গিয়েছিলেন। আমাদের আশঙ্কা হেনস্থা করার জন্য তাঁদের নামেও নতুন অভিযোগ দায়ের করবে।’ এদিন ইডির আবেদন শোনার পর মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী কাল বৃহস্পতিবারই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    তৎপর কেন্দ্র

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনায় তৎপর হয়েছে কেন্দ্রও। রাজ্যে এসে দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে দফায় দফায় বৈঠক করেন ইডির ডিরেক্টর। কথা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, বৈঠকে ছিলেন সিআরপিএফ, এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ ও আইটি-র কর্তার। সেখানে দফতরের আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ! পড়ুয়াকে লাগাতার হেনস্থার অভিযোগে তোলপাড়

    সিজিও কমপ্লেক্সে পুলিশ

    অন্যদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali Incident) তল্লাশি অভিযানে যাওয়া কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের বয়ান রেকর্ড করতেই বসিরহাটের ডিএসপি-র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সিজিওতে পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে রয়েছে পুলিশের ক্যামেরাম্যানও। বুধবার ১২টা নাগাদ বসিরহাট পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্সে যায়। তবে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর বয়ান রেকর্ডের জন্য উপস্থিত না থাকার কারণে কিছুক্ষণ পরে পুলিশ সিজিও কমপ্লেক্স ছেড়ে বেড়িয়ে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Kalighater Kaku: চাপ বাড়ল কাকুর, ‘‘কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলবে’’, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একক বেঞ্চের পরে ডিভিশন বেঞ্চেও জোর ধাক্কা খেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighater kaku)। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ বিষয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশই কার্যকর হবে, একথা সাফ জানালেন বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবারই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনার পরবর্তী প্রক্রিয়ার উপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

    ইডির তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে

    নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয়কৃষ্ণের (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এনিয়ে বুধবারই হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত শেষ করব কীভাবে? গোটা রাজ্য আমাদের বিরুদ্ধে। প্রতি পদে তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’’ ইডির আইনজীবীর কথায় উঠে আসে সন্দেশখালির ঘটনাও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের তদন্তকারী আধিকারিকদের মারধর করা হচ্ছে। এফআইআর করা হচ্ছে।’’ এর পর ইডির আইনজীবী বলেন, কী ভুল রয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার ওই নির্দেশে? তিনি তো নির্দেশে লিখেছেন যে, কণ্ঠস্বরের নমুনা বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ ছাড়া বিচার প্রক্রিয়ায় প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।

    কী বললেন বিচারপতি সৌমেন সেন

    যদিও কালীঘাটের কাকুর (Kalighater Kaku) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন এদিন তুলতে দেখা গিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চকে। বিচারপতি সেনের মন্তব্য, ‘‘আইন অনুযায়ী প্রত্যেক অভিযুক্তের কিছু অধিকার থাকে। আইন অনুযায়ী তিনি এই নমুনা দিতে অস্বীকার করতে পারেন। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিংহ সঠিক কাজ করেননি। বিচারপতির তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে যখন এই একই বিষয়বস্তু নিয়ে মামলা বিচারাধীন তখন বিচারপতি অমৃতা সিংহের এই নির্দেশ সঠিক নয়। এটা বিচারবিভাগীয় পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে এবং বিচারবিভাগীয় আচরণবিধির ক্ষেত্রে সঠিক উদাহরণ নয়। এটা মারাত্মক প্রবণতা।’’ প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে। এরপরেই সুজয়কৃষ্ণকে (Kalighater Kaku) সঙ্গে নিয়ে রাতে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ed Director: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    Ed Director: কলকাতায় ইডির ডিরেক্টর, বৈঠক করলেন রাজ্যপালের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ইডি। যার জেরে সোমবার রাতে দিল্লি থেকে কলকাতায় এলেন ইডির ডিরেক্টর (Ed Director) রাহুল নবীন। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন এনআইএ, এসএসবি, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ এবং আইটির কর্তারা।

    রাজ্যপাল-ইডি ডিরেক্টর বৈঠক

    বৈঠক শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজভবনে যান নবীন। সেখানে বৈঠক করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও। ইডির প্রতিটি অভিযানে তদন্তকারীদের সঙ্গে থাকেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাই নবীন এদিন কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও। এদিনের বৈঠকে রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি ও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখেন তিনি (Ed Director)। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সূত্রেই শুক্রবার সকালে ইডি হানা দিতে গিয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে।

    আক্রান্ত ইডি কর্তারা 

    শাহজাহানের বাড়ি সরবেড়িয়া গ্রামে। সাত সকালে বাড়িতে গিয়ে শাহজাহানের নাম ধরে ডাকেন ইডি কর্তারা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দরজা খোলেনি শাহাজাহানের বাড়ির। এর পরেই দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, এই সময় শাহজাহানের অনুগামীরা ইডি কর্তাদের বেধড়ক মারধর করেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইটও ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় আধিকারিকদের গাড়িতে। মারের চোটে জখম হন ইডির তিন আধিকারিক।

    আরও পড়ুুন: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    বনগাঁয় প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃণমূলের শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে গিয়েও আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। সন্দেশখালির ঘটনায় এফআইআর করে ইডি। তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে কলকাতায় চলে আসেন নবীন। মঙ্গলবার করেন বৈঠক। বৈঠক শেষেই বেরিয়ে যান নবীন। তিনি (Ed Director) যে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সে ব্যাপারেও বিবৃতি জারি করা হয়নি রাজভবনের তরফে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ustad Rashid Khan: জীবনসফর শেষ পঞ্চান্নতেই, প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান

    Ustad Rashid Khan: জীবনসফর শেষ পঞ্চান্নতেই, প্রয়াত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পঞ্চান্ন বছর বয়সেই থেমে গেল কণ্ঠের জাদু। প্রয়াত হলেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জনপ্রিয় শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান (Ustad Rashid Khan)। গত কয়েক বছর ধরে ভুগছিলেন প্রস্টেট ক্যান্সারে। বাড়াবাড়ি হওয়ায় বেশ কিছুদিন আগে ভর্তি করা হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীনই স্ট্রোক হয় শিল্পীর। মঙ্গলবার বিকেল ৩টে ৪৫ মিনিটে প্রয়াত হন এই শিল্পী। অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পীর অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া শিল্পীমহলে।  

    উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় রাশিদ

    রশিদের জন্ম উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁতে, ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই। ইনায়েত হুসেন খাঁ সাহিব প্রতিষ্ঠিত রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার শিল্পী ছিলেন রশিদ। তালিম নিয়েছিলেন উস্তাদ নিশার হুসেন খাঁ সাহিবের কাছে। ইনি ছিলেন রশিদের দাদু। মামা উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খাঁ সাহিবের কাছেও সঙ্গীতের পাঠ নিয়েছেন রশিদ। কৈশোরে পা দেওয়ার আগেই রশিদ চলে আসেন কলকাতায়। তার পর থেকে এই শহরই হয়ে ওঠে তাঁর ঘরবাড়ি। জীবনে বহু পুরস্কার পেয়েছেন রশিদ। এর মধ্যে রয়েছে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবিভূষণ এবং পদ্মশ্রী সম্মান। বলিউড এবং টলিউডের বহু ছবিতেই গান গেয়েছে রশিদ (Ustad Rashid Khan)।

    “শিল্পীদের প্রতি ঈশ্বরের ইঙ্গিত থাকে”

    রশিদের কণ্ঠের জাদুতে মজেছিল কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। প্রয়াত চলচ্চিত্রকার ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছিলেন, “ভূমণ্ডলের দীপ্যতম সুরগন্ধর্ব”। ভীমসেন জোশী বলেছিলেন, “ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত তার ভবিষ্যৎ পেয়ে গিয়েছে।” এই ভীমসেনের বাড়িতেই গান গেয়ে ১০ হাজার টাকা নজরানা পেয়েছিলেন রাশিদ। তিনি টাকা নিতে চাননি। একপ্রকার জোর করেই রশিদকে টাকা দিয়েছিলেন ভীমসেন। ঈশ্বরে বিশ্বাসী রশিদ বিশ্বাস করতেন, “শিল্পীদের প্রতি ঈশ্বরের ইঙ্গিত থাকে।” সেই ইঙ্গিতেই গানবাজনা করেন তাঁর মতো শিল্পীরা।

    আরও পড়ুুন: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    রশিদ বলতেন, “আমার গুরু উস্তাদ নিসার হুসেন সব সময় বলতেন, আর যাই করো, ভুলেও কাউকে কোনও দিন হিংসে কোরো না। হিংসে করলে সঙ্গীতের মৃত্যু অনিবার্য। সাধনা করতে করতেই গায়কি তৈরি হয়। সঙ্গীত দিল আর দিমাগের কাজ। ওখান থেকেই একটা সোচের জন্ম হয়। ওই সোচই আমায় দিয়ে নানারকম কাজ করিয়ে নেয়।” রশিদ সত্যিই ছিলেন ‘সুরগন্ধর্ব’। এহেন গন্ধর্বই অকালে চলে গেলেন সুরলোকে। ভূমণ্ডল নয়, তিনি চিরতরে হয়ে গেলেন নভঃমণ্ডলের বাসিন্দা (Ustad Rashid Khan)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    Ration Scam: চালকল মালিকদের থেকে নিজেই কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়! দাবি ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) সরাসরি যুক্ত রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ইডির দাবি, নিজেই কাটমানি নিতেন মন্ত্রী। বন দফতরে বসে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার চুক্তি করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এমনকী চালকল মালিকদের থেকে নিয়মিত ‘কাটমানি’ নিতেন তিনি। প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা করে ‘কাটমানি নেওয়া হত’ বলে ইডির দাবি। 

    ধান কেনার চুক্তিপত্র

    ইডি সূত্রে খবর, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনমন্ত্রীর পদে আসার পরও সমানভাবেই দুর্নীতি (Ration Scam) চালিয়ে যেতেন। বন দফতরে বসে কৃষকদের সঙ্গে ধান কেনার চুক্তি করেছিলেন তিনি। বন দফতরের তল্লাশি চালিয়ে কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কেনার প্রায় ১০০টি চুক্তিপত্র মিলেছে, বলে দাবি ইডির। ধান কেনাবেচায় মন্ত্রী নিজেই কমিশন নিতেন। সমস্ত রাইস মিল মালিকদের এই কমিশন দিতে হত। প্রতি কুইন্টালে ২০ টাকা কমিশন নিতেন জ্যোতিপ্রিয়। কৃষি সমবায় সমিতির মাধ্যমে মন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যেত কমিশন। আদালতের রিপোর্টে বিস্ফোরক দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    নিয়মিত ‘কাটমানি’ সংগ্রহ

    খাদ্যমন্ত্রীর পদে বসে থেকে চালকল মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত ‘কাটমানি’ নিতেন জ্যোতিপ্রিয়। রেশন বণ্টন (Ration Scam) মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেই জানা গিয়েছিল এই খবর। আদালতের শুনানিতেও এই দাবিই বহাল রাখল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। খাদ্যমন্ত্রী হিসাবে পদাধিকার বলে ওই দফতরেরই অধীনস্থ ‘পশ্চিমবঙ্গ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ সংস্থা’র চেয়ারম্যান ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। ওই সংস্থার মাধ্যমেই চলত কাটমানি দেওয়া-নেওয়া। কুইন্টাল পিছু খাদ্যশস্যে এই ‘কাটমানি’ জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর সঙ্গীরা নিয়মিত নগদে নিয়ে থাকতেন বলেও আদালতে দাবি করেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: সহায়ক মূল্যে চাষিদের পরিবর্তে ব্যবসায়ীদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে! চাঞ্চল্য

    মূল চাঁই বাকিবুর

    এক দশকেরও বেশি সময় ধরে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার বহু চাল এবং আটাকলে রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) সিন্ডিকেট চলেছে বলে প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল ইডির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির তদন্তকারীরা তখনই দাবি করেছিলেন, এই সিন্ডিকেটের অন্যতম চাঁই ছিলেন ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। এ বার সেই সম্পর্কিত একাধিক তথ্য জমা করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০২১ সালের পয়লা ডিসেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর— এই ২২ মাসের সময়কালে বাকিবুরের ‘মেসার্স এনপিজি রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেড’ একাই তার ডিস্ট্রিবিউটর বা সরবরাহকারীদের কাছে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৫০০ কুইন্টালেরও বেশি আটা (১,৪২,৫০০.৯৯৯৫ কুইন্টাল) কম সরবরাহ করেছে। যা মোট নির্ধারিত পরিমাণের ২৫.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ, যত আটা সরবরাহ করার কথা, তার চার ভাগের এক ভাগ আটা সরবরাহই করা হয়নি। অথচ, সেই বাবদ টাকা কিন্তু সরকার দিয়েছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে যে, বাকিবুর চাল এবং আটার দুর্নীতির মাধ্যমে নগদে ৯০০ কোটিরও বেশি অর্থ কামিয়েছেন। যে দুর্নীতিলব্ধ অর্থের একটি অংশ তিনি পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন খাদ্য এবং সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share