Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Rashid Khan: অত্যন্ত সঙ্কটজনক শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান, রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে

    Rashid Khan: অত্যন্ত সঙ্কটজনক শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান, রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রশিদ খানের খুবই আশঙ্কাজনক। স্বাস্থ্যের গুরুতর অবনতি হওয়ায় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)-এর ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে গায়ককে। রাখা হয়েছে অক্সিজেনের সাহায্যে। বছরের শেষে কিছুটা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন শিল্পী (Rashid Khan)। কিন্তু নতুন বছর শুরু হতেই আচমকা মঙ্গলবার সকালে তাঁর অবস্থার অনেকটা অবনতি হয়। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শিল্পী। বছরের শেষে যদিও তাঁর স্বাস্থ্যের অনেকটাই উন্নতি হয়েছিল। এই খবর শুনে চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল তাঁর ভক্ত মহলও। সেসময় হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় ভালোই সাড়া দিচ্ছেন গায়ক। এর মধ্যে তাঁকে রাইলস টিউব দিয়ে তাঁকে খাওয়ানোও শুরু হয়। তবে তখনই হাসপাতালের তরফে  শোনা গিয়েছিল, স্ট্রোকের ফলে তাঁর বাঁ দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও ছিল।

    মাসখানেকের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে ভর্তি রশিদ খান

    মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের নামকরা শিল্পী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রয়েছেন। পরিবার সূত্রে খবর, অতীতে তাঁর প্রস্টেটে ক্যানসারও হয়েছিল। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তিনি বেশ সুস্থও হয়ে উঠছিলেন। তার মধ্যেই তাঁর মস্তিষ্কে একাধিক বার রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হয় তাঁর।  এর পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় পরিবারের তরফে। সেই থেকে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালে। তাঁর (Rashid Khan) ভক্তরাও এখন উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। তার মধ্যেই ফের স্বাস্থ্যের অবনতির খবর মিলল। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছিল, ‘‘শিল্পীর (Rashid Khan) অবস্থা অতি সঙ্কটজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।’’ হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে স্নায়ুচিকিৎসকেরা দেখছেন। মেডিসিন এবং ক্যানসারের চিকিৎসকদের একটি দলও তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে সর্বক্ষণ।

    সংক্ষিপ্ত পরিচয়

    উস্তাদ রশিদ খানের জন্ম আদতে উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। অল্পবয়স থেকেই তিনি সঙ্গীত পরিবারে বেড়ে উঠেছেন। উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাইপো তিনি। তাঁর কাকাই প্রথম শিল্পীকে (রশিদ খান) মুম্বই নিয়ে যান। সেখানে গানের তালিম নেন রশিদ খান। জানা যায় পরবর্তীকালে উস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছে বাড়িতেই গানের তালিম নিতে থাকেন তিনি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সপ্তাহান্তে নামবে তাপমাত্রার পারদ! কী বলছে আলিপুর হাওয়া অফিস?

    Weather Update: সপ্তাহান্তে নামবে তাপমাত্রার পারদ! কী বলছে আলিপুর হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার শীতের ঝোড়ো ইনিংস শহরে। পৌষ সংক্রান্তিতে জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সপ্তাহান্তে কলকাতার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে। আগামী দুই থেকে তিন দিন একই রকম থাকবে তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে।

    সপ্তাহের শেষে শীত

    চলতি বছর সেভাবে শীতের দাপট অনুভূত হয়নি। বারবার বাধা প্রাপ্ত হয়েছে শীত। তবে পৌষের শেষে ফের একবার ঝোড়ো ব্যাটিং করতে পারে হিমেল হাওয়া। সপ্তাহের শেষে শহরে পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই থেকে তিন ডিগ্রি নামতে পারে তাপমাত্রার পারদ। বাড়তে পারে উত্তুরে হাওয়ার দাপট। কলকাতায় আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। নতুন করে একটি শীতের স্পেল আসতে পারে। চার থেকে পাঁচ দিনের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলতে পারে আবহাওয়া। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জাঁকিয়ে পড়তে পারে ঠান্ডা। 

    আরও পড়ুন: ‘‘সম্পত্তির হিসেব কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন অভিষেক?’’ প্রশ্ন বিচারপতির

    শহরে হিমেল হাওয়া

    আজকে তিলোত্তমায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি, যা কি না স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি ওপরে। এদিকে সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা গড়াতেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ থাকতে পারে ৯০ শতাংশের আশেপাশেই। আলিপুর হাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, ১০ এবং ১১ জানুয়ারি কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে। এরপর ১২ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কিছুটা নেমে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই ক’দিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে বলে দাবি করা হয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিসের বুলেটিনে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Abhijit Ganguly: ‘‘সম্পত্তির হিসেব কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন অভিষেক?’’ প্রশ্ন বিচারপতির

    Abhijit Ganguly: ‘‘সম্পত্তির হিসেব কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন অভিষেক?’’ প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) এত সম্পত্তির উৎস কী? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Justice Abhijit Ganguly)। অভিষেক তাঁর সম্পত্তির শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক বলেও দাবি করেছেন তিনি। সোমবার সন্ধেয় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তিনি জানান, শুধু অভিষেক নন, নেতাদের কার কত সম্পত্তি রয়েছে? কোন নেতার সম্পত্তির উৎস কী? তা জানতে চান সাধারণ মানুষ।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “একজন নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এত সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? তাঁর সম্পত্তি কত, সেটা কি একটি হলফনামা তৈরি করে কি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন অভিষেক?” অভিষেককে (Abhishek Banerjee) সম্পত্তির খতিয়ান সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে অনুরোধ করার সময় বিচারপতি বলেন, “আমরা দেখতে চাই। সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা দেখতে চাই, যে কার কত সম্পত্তি আছে। কে কত সম্পত্তি করেছেন। কার সম্পত্তি করার কতটা উৎস ছিল।” এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “এটা কি করতে পারবেন? পারবেন বলে মনে হয় না।”

    সুপ্রিম দুয়ারে আবেদন

    এর আগেও দুর্নীতির তদন্ত আটকানোর জন্য রাজ্য সরকার কতো টাকা খরচা করছেন সুপ্রিম কোর্ট গিয়ে তার হিসাব চেয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এদিন সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন তিনি। রাজ্য সরকার একাধিক মামলায় অর্থ খরচ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মামলার তদন্ত আটকাতে চাইছেন বলে দাবি করেন বিচারপতি। আগামী দিনে তিনি বিষয়টি অফিসিয়ালি জানতে চাইবেন বলেও জানান। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার এখন মাঝে মাঝে মনে হয়, একদল চোর বিরাট বিরাট উকিলদের দাঁড় করিয়ে আবেদন করছেন, আমরা চৌর্যবৃত্তি করে বাঁচি। আমাদের সম্পত্তি সব চৌর্য বৃত্তি করে করা। যদি এটা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের জীবন এবং জীবিকার অসুবিধা হবে। সেটা ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘন করবে। সুতরাং আমাদের অবাধে চুরি করতে অধিকার দেওয়া হোক।” 

    আরও পড়ুন: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় আগেও প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অমৃতা সিনহা মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘তিনি একজন সাংসদ, অথচ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। এটা দেখে আশ্চর্য হলাম।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: কলকাতায় এলেন ইডি ডিরেক্টর, মঙ্গলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত?

    Sandeshkhali Incident: কলকাতায় এলেন ইডি ডিরেক্টর, মঙ্গলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক, বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেওয়া হবে, তা স্থির করতে রাজ্যে এলেন সংস্থার ডিরেক্টর রাহুল নবীন। সোমবার রাতে কলকাতায় পা রাখেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এসেছেন আরও কয়েকজন উচ্চ পদস্থ অফিসার। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের ইডি দফতরে শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করবেন।

    সন্দেশখালি ও বনগাঁয় ইডি-র ওপর হামলা

    রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনায় হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। প্রথমে সকালে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) এবং বিকেলে ওই জেলারই বনগাঁয় একইদিনে দু’বার আক্রান্ত হতে হয় ইডিকে। ওইদিন ভোরে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল ইডি (Enforcement Directorate)। সেইসময় তাঁদের ঘিরে ধরে প্রায় হাজার খানেক মানুষ। ইডি ও বাহিনীর ওপর চলে হামলা। গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। হামলার ঘটনায় মাথা ফাটে তিনজন ইডি অফিসারের। অন্যদিকে, রাতে বনগাঁয় তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করার পর ইডির গাড়িতে হামলা চালানো হয়।

    এখনও বেপাত্তা শেখ শাহজাহান… 

    এদিকে, ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা জেলবন্দি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। কখনও জানা যাচ্ছে, তিনি বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন। আবার কখনও শোনা যাচ্ছে, তিনি সুন্দরবন অঞ্চলে কোথাও একটা ঘাপ্টি মেরে বসে রয়েছেন। তাঁর খোঁজে আইবি এবং বিএসএফের সাহায্য নিচ্ছে ইডি (Enforcement Directorate), এমনটাই খবর সূত্রের। সন্দেশখালির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘটনার পর চারদিন কেটে গেলেও, এখনও কেন শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হল না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

    কোনও বড় অভিযানের অপেক্ষায় ইডি?

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) ও বনগাঁ— এই জোড়া হামলার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে তো বটেই, আলোড়ন ফেলে দেয় কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও। হামলার পর, ইডি বিষয়টা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, সংস্থাক শীর্ষ কর্তার রাজ্যে আগমন ইঙ্গিতবাহী। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে শাহজাহানকে পাকড়াও করার পাশাপাশি, এই দুর্নীতিকাণ্ডে শিকড়ে পৌঁছতে যা যা করণীয় এবং তার জন্য তদন্তকারী সংস্থার যা যা প্রয়োজন— সব কিছুই দেওয়ার আশ্বাস নিয়ে হাজির হয়েছেন রাহুল নবীন। ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকদের কার্যত ‘ফ্রি-হ্যান্ড’ দিতে পারেন, যাতে তাদের মনোবল চাঙ্গা হতে পারে। সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে জোর জল্পনা— শীঘ্রই কোনও বড় পদক্ষেপ করতে পার ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’ কর্মসূচিতে খরচ কোটি-কোটি, উৎস কী? আয়করকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি প্রকল্প হিসেবে বার্ধক্য ভাতা চালু রয়েছে। তবে তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য চলতি জানুয়ারি মাস থেকে আলাদাভাবে আলাদা বার্ধক্য ভাতা চালুর কথা বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছিল ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’। যে সমস্ত প্রবীণ ব্যক্তি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন না, তাঁদের প্রতি মাসে হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তিনি যে বিপুল সংখ্যক মানুষকে বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন, তাতে দেখা যাচ্ছে প্রতি মাসে খরচ হবে সাড়ে ৭ কোটিরও বেশি। এ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, এই কর্মসূচির নাম করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের চুরির টাকা বিলি করছেন। তিনি এ নিয়ে ইতিমধ্যে আয়কর দফতরের গোয়েন্দা এবং ফৌজদারি বিভাগে চিঠিও পাঠিয়েছেন।

    চিঠিতে কী লিখলেন শুভেন্দু?

    আয়কর দফতরে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ হাজার ৩৮০ জন বড় হৃদয়ের স্বেচ্ছাসেবককে পেয়েছেন, যাঁরা প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ডোনেশন দিতে সম্মত হয়েছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য। প্রসঙ্গত, ১৬ হাজার ৩৮০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ভার ছিল প্রবীণদের খুঁজে বের করার। ওই চিঠিতে শুভেন্দু আরও জানিয়েছেন, কয়লা পাচার এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি এবং সিবিআইয়ের তদন্তের আওতায় রয়েছেন ওই সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো হওয়ার সুবাদে তিনি রাজ্য প্রশাসনের উপর প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রাখেন।

    উঠছে প্রশ্ন

    বিভিন্ন মহলের মতে, বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার মতো প্রকল্পগুলি সরকারি প্রকল্প, এসব বাদ দিয়ে কোনও জনপ্রতিনিধি কীভাবে মানুষকে টাকা বিলি করতে পারেন। এভাবে টাকা বিল করা যায় না। নির্বাচনের সময়ে টাকা বিলি করাকে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের তালিকায় ফেলা হয়। অথচ অভিষেকে বলছেন তাঁর কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি মাসেই মিলবে টাকা। এই টাকার উৎস নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী নেতৃত্বরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    ED: সন্দেশখালিকাণ্ডে বিবৃতি জারি ইডির, কী বলল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জখম হয়েছিলেন ইডির (ED) দুই কর্তা। জখম হয়েছিলেন সিআরপিএফের দুই জওয়ানও। শুক্রবার সকালের ওই ঘটনার পরে ওই দিনই সন্ধেয় বনগাঁয় গিয়েও প্রায় একইরকম পরিস্থিতির মুখে পড়েন ইডির আধিকারিকরা।

    ইডির বিবৃতি

    ঘটনায় মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। তা সত্ত্বেও রাজ্যের শাসক দলের সাফাই ছিল, পুলিশকে না জানিয়ে যাওয়ায়ই ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার ওই ঘটনায় বিবৃতি জারি করেছে ইডি। সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। ইডির প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টি ৪৬ মিনিটে ই-মেইল মারফত অভিযানের বিষয়টি জানানো হয় বনগাঁর পুলিশকে। বিকেল ৪টে নাগাদ পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা হয়।

    এফআইআরের প্রতিলিপি মেলেনি

    তাঁদের কাছে ইডি আধিকারিকদের নিরাপত্তা চাওয়া হয়। তার পরেও যে জায়গায় তল্লাশি চলছিল, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সেখানে বড় জমায়েত হয়। পরে ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ইডি জানিয়েছে, ওই ঘটনায় কোনও ইডি আধিকারিক আক্রান্ত হননি। কেন্দ্রীয় সংস্থার গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে বনগাঁ থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল। এফআইআরের প্রতিলিপি তারা এখনও হাতে পায়নি। সন্দেশখালিকাণ্ডে ন্যাজাট থানায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তার প্রতিলিপিও হাতে আসেনি।

    আরও পড়ুুন: মোদির প্রতি বিরূপ মন্তব্য, মলদ্বীপ ভ্রমণ বাতিল করছেন ভারতীয়রা

    এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রককে রিপোর্ট দিয়েছে ইডি (ED)। আবার সিআরপিএফের মাধ্যমেও ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পৌঁছছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। ইডি এবং সিবিআই যৌথভাবে রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তিনি রিপোর্ট পাঠাবেন রাষ্ট্রপতিকে। এদিকে, শাহজাহানকে ধরতে নবান্নের ওপর তৈরি হচ্ছে চাপ। শাহজাহানের গতিবিধি জানতে ও তাকে ধরতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে শাহজাহনের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই কর্তা। তাঁদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটের টুকরো। এর (ED) পরেই লাঠিচার্জ করেন নিরাপত্তা রক্ষীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

      

     

  • Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির আধিকারিকরা। ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দেন তৃণমূল নেতা।

    আদালতে শুভেন্দু 

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও রয়েছে। এই ঘটনায় এবার সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, “ওরা চাপে আছে। ওরা আদালতে শাহজাহানকে আত্মসমর্পণ করাতে চায়। বরিশালের সঙ্গে যোগ আছে। বাংলাদেশে পাচারে যুক্ত শাহজাহান।” বাংলাদেশের বন্ধু সরকার শাহজাহানকে ধরতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    এনআইএ দাবি

    তিন বিজেপি কর্মী খুনে শাহজাহান যে জড়িত, তা আগেই জানিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সোমবার শুভেন্দুও বলেন, “কেবল রেশন কেলেঙ্কারি নয়, তিনজনের দেহ লোপাটেও অভিযুক্ত শাহজাহান। তিনটি পরিবার বিচার পায়নি, পুলিশ মামলা থেকে শাহজাহানকে নিষ্কৃতি দিয়েছে। সন্দেশখালির দুই মহিলা আমার কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই দুই পরিবারের ন’জনকে আমি নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছি।” বিজেপি কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত শাহজাহান। তার পরেও পুলিশ তাঁর টিকি না ছোঁওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের চার্জশিট চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই বা এনআইএ তদন্ত দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থের! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালিতেই খুন হন বিজেপির তিন কর্মী। তাঁদের প্রত্যেকের দেহ লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “নিরাপত্তা নেই। তাই বাংলায় নির্বাচনকে ঘিরে এত হিংসা।” তিনি বলেন, “সিপিএম শুরু করেছিল। বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছে তৃণমূল। গতকাল (রবিবার) ব্রিগেডে শাহজাহান শেখকে নিয়ে একটাও কথা নেই কেন?” জায়ান্ট কিলার (গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারানোর পর রাজনৈতিক মহলে এই নামেই পরিচিত শুভেন্দু) (Suvendu Adhikari) বলেন, “তিনজনের দেহ লোপাট করেও স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় রেহাই পেয়ে গিয়েছিলেন শাহজাহান। ওই মামলা রি-ওপেন করে সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্ট আর্জি জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সরকারি কেন্দ্রে ধান কেনার নামে চলছে কারচুপি, প্রতিবাদে অবরোধ

    Malda: সরকারি কেন্দ্রে ধান কেনার নামে চলছে কারচুপি, প্রতিবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যায্য মূল্যে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধলতা নেওয়ার অভিযোগে কৃষকেরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মালদা (Malda) নালাগোলা রাজ্য সড়কের মোটর কালী মোড়ে। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে ধান কেনার নামে চলছে কারচুপি। এই ধরনের দুর্নীতির বিষয়ে সরব হয়েছেন এলাকার চাষিরা। দিন কতক আগে এই একই অভিযোগে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে জলপাইগুড়ি এবং বর্ধমানের চাষিদের। ধানের ওজনে কারচুপি করে, দামে কম দিয়ে কৃষকদের প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ট্রাক্টর রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ (Malda)

    এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, ন্যায্য মূল্য ধান ক্রয় কেন্দ্রে প্রত্যেক কৃষকের কাছ থেকে ধলতা নেওয়া হচ্ছে। আর এই অভিযোগের কথা তুলে পথ অবরোধ করলেন করলেন কৃষকেরা। এদিন কৃষকেরা বেলা ২টোর সময় ধান বোঝায় ট্রাক্টর রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি ১৫% ভেজা থাকার ফলে তাঁদের কাছ থেকে কেন ধলতা চাওয়া হচ্ছে? কিছুতেই ধলতা দেবেন না বলে দাবি করেন তাঁরা। ধলতা দেওয়া মানেই হল, ধানের মূল ওজন থেকে অনেকটা পরিমাণ ধানের ওজন বাদ দেওয়া এবং মূল্যও কম দেওয়া। এরপর প্রতিবাদে প্রায় একঘণ্টা অবরোধ চলে সড়কে। খবর পেয়ে লালগোলা (Malda) আউট পোস্টের ওসি সিদ্ধার্থ রায়ের হস্তক্ষেপে অবরোধ উঠে যায়।

    কৃষকদের বক্তব্য

    ধলতার প্রতিবাদে চাষি প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, “সকাল ১০ থেকে আমরা ধান নিয়ে আমরা ক্রয় কেন্দ্রে বসে রয়েছি। কিন্তু সরকারি অফিসারার এসেছেন বেলা ২ টোর সময়। অথচ তাঁদের আসার সময় সকাল ১১ টায়। এরপর ধান মাপা হলে মসচার এসেছে ১৫.২  শতাংশ, তাই ধানের ওজন থেকে ৪ কেজি ধালতা হিসাবে বাদ দিয়ে দাম ধরা হচ্ছে। এখন সমস্যা হল যদি এভাবে চলে তাহলে কুইন্টাল প্রতি ওজন ৫ থেকে ৬ কেজি বাদ দেওয়া হবে। তাই এই ভাবে আমাদের ধানের দাম কম দিলে আমরা মানব না। তাই প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় ট্রাক্টর দিয়ে মোটরকালী মোড়ে (Malda) সড়ক অবরোধ করলাম। সরকারি কোনও আধিকারিক আমাদের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত দেখা করেননি। আমরা স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছি ধানে কোনও চুরি মানবো না।” এছাড়াও ফজিরুল ইসলাম নামে আরেক চাষি বলেন, “আগেও তো ধান বিক্রি করেছি, কিন্তু তখন ধলতা দিতে হয় নি। এবার আমরা ধলতা দেবো না।”

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment scam: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থর! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    Recruitment scam: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থর! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সএসসির চারটি মামলায় একসঙ্গে চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment scam) চারটি মামলার তদন্ত শেষ করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি’র মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করা হয়েছে আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে। নিয়োগ সংক্রান্ত ওই চারটি মামলাতেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে।

    চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ

    সিবিআই সূত্রের খবর, চূড়ান্ত চার্জশিটে একাধিক এজেন্টদের নাম থাকছে। নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ ৭ জনের নাম রয়েছে। সূত্রের খবর, নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও আরও যে ৬ জনের নাম রয়েছে, সেগুলি নতুন নাম। এক এজেন্টেরও নাম রয়েছে এই মামলায়। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগে সাক্ষী ছিলেন, এমন তিন জনকেও নতুন চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এই মামলাতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। গ্রুপ সি মামলার চার্জশিটে রয়েছে শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নাম। 

    চার্জশিটে কী কী

    আগামী সপ্তাহে প্রাথমিকের মামলায়ও চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, আরও একটি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা উঠে এসেছে। চার্জশিটে তার উল্লেখ থাকতে চলেছে। আদালতের নির্দেশ মেনেই সোমবার চার্জশিট জমা করছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিতে একসঙ্গে চারটি মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট দিচ্ছে তারা। তবে প্রাথমিকের মামলায় এখনই চার্জশিট দিচ্ছে না। আগামী সপ্তাহে প্রাথমিকের চার্জশিট পেশ করা হতে পারে।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয়র চিঠিতে আরও ২ নামের খোঁজ! ফের ইডির জেরার মুখে মেয়ে প্রিয়দর্শিনী?

    গত নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে যে তদন্ত করছে সিবিআই, সেই সমস্ত তদন্ত পরের দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এই মামলাগুলির শুনানিতে ক্রমাগত দেরি হচ্ছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মামলাকারীরা। তার পরেই সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো জানুয়ারির ৮ তারিখ চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment scam) তদন্তে ইতিমধ্যেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।  দুর্নীতি প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের চূড়ান্ত চার্জশিটে আরও নতুন কী কী তথ্য রয়েছে তা জানার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননা, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজীব সিনহা

    Panchayat Vote: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননা, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজীব সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) আদালত অবমাননার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এদিনই আদালত অবমাননার মামলাটির শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। হলফনামা দিয়ে এই মামলায় নিজের বক্তব্য আদালতকে জানিয়েছেন রাজীব সিনহা, সেই সঙ্গে নিঃশর্ত ক্ষমাও চেয়েছেন। প্রসঙ্গত গত বছরের জুন মাসের ৮ তারিখে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করার অভিযোগ ওঠে রাজীবের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি মনোনয়ন পর্বকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক অফিস (Panchayat Vote)। এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা বলে, কিন্তু হাইকোর্টের সেই নির্দেশও যথাযথ পালন না করায় ফের অভিযোগ ওঠে রাজীবের বিরুদ্ধে। তখনই আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই এদিন ক্ষমা চাইলেন রাজীব।

    হলফনামায় কী বললেন রাজীব? 

    হলফনামায় রাজীবের বক্তব্য, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনও ভুল হয়ে থাকতে পারে। তার জন্য আদালতের কাছে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। হাইকোর্টে এদিন রাজীবের হলফনামা গ্রহণের আগে প্রধান বিচারপতি মস্করা করেই বলেন, ‘‘হলফনামায় কী দিয়েছেন? কোনও ভাবে আদালত অবমাননা হয়নি? সব কিছু ঠিকঠাক করা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন— হলফনামায় এ সবই লিখেছেন তো? দেখি কী রয়েছে?’’ আইনজীবী উত্তরে জানিয়েছেন, কোনও ভুল হয়ে থাকলে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় (Panchayat Vote) অন্য পক্ষ রাজীবের হলফনামার প্রেক্ষিতে পাল্টা হলফনামা দিতে চায়। তার জন্য তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি।

    গত ১৩ অক্টোবর আদালত অবমাননার রুল জারি করে আদালত

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ অক্টোবর রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে হাইকোর্ট। রাজীব ক্ষমা চাওয়াতে কার্যত তা বিরোধীদের কাছে নৈতিক জয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) সরাসরি তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি রাজীব। রাজ্যে পঞ্চাশেরও বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে পঞ্চায়েত ভোটকে ঘিরে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তখনও নির্বিকার ছিলেন বলে দাবি বিরোধী দলগুলির। অবশেষে আজকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share