Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sandeshkhali: খুনের উদ্দেশ্যে সন্দেশখালিতে জড়ো হয়েছিল সশস্ত্র দল, বিবৃতিতে জানাল ইডি

    Sandeshkhali: খুনের উদ্দেশ্যে সন্দেশখালিতে জড়ো হয়েছিল সশস্ত্র দল, বিবৃতিতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শুক্রবারই মারধর করা হয় ইডি অফিসারদের। এ নিয়ে গতকাল রাতেই আসে ইডির বিবৃতি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৮০০ থেকে ১০০০ জনের দল ইডির তদন্তকারী অফিসারদের ঘিরে ধরে। ইডির আরও দাবি, অফিসারদের খুনের (Sandeshkhali) উদ্দেশেই সেখানে উপস্থিত হয় এই বিরাট সংখ্যার দল। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটে। 

    মাথা ফাটে ইডি আধিকারিকদের

    ইডির বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘সশস্ত্র দলটি, লাঠি, ইট, পাথর নিয়ে হাজির হয়। সেখানে তারা ইডি অফিসারদের তাড়া করে পরে ইডি তাঁদের মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তিনজন ইডি অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ এর পাশাপাশি ইডির আরও অভিযোগ, অফিসারদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ, মোবাইল। এমনকি ওয়েলেট টাকাকড়িও ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। এখানেই শেষ নয়। ইডি অফিসারদের (Sandeshkhali) গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে শুক্রবার।

    আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার দাবি সুকান্তর

    অন্যদিকে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনার পর সেখানে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সন্দেশখালিতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার আবেদন জানিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও লেখেন। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের নাম উল্লেখ করে তাঁর চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তদন্ত চালাতে যাতে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের কোনও রকম অসুবিধা বা বাধার মুখে পড়তে না হয়, তাই এমন আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি প্রধান।

    কে শাহজাহান?

    তৃণমূলের প্রধান দুষ্কৃতী হল শাহজাহান। সন্দেশখালির শাহজাহানকে নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবারই বলেন, “২০১৯ সালে বিজেপির কর্মী তপন মণ্ডল সহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। খুন করে সেই সময় বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জমিকে জোর করে দখল করে নিয়েছেন। তাঁর দখল করা জমির পরিমাণ ১৩৯.১৭ বিঘা। এছাড়া তিনটে ট্রাস্টে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ডক্টর স্বপ্নকুমার রায়চৌধুরির জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। আগে সিপিএম করতেন, তাঁর গুরু ছিলেন হার্মাদদের নেতা মুসলেম। এরপর তৃণমূলে যোগদান করে মাফিয়া হয়েছেন। এলাকার আম্ফানের ত্রাণ, আবাস যোজনার ঘর, শৌচালয়, একশো দিনের টাকা, মাছের চাষের ভেড়ি সব কিছু খেয়ছেন তিনি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও আক্রান্ত ইডি, ভাঙল গাড়ির কাচ

    Ration Scam: বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও আক্রান্ত ইডি, ভাঙল গাড়ির কাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও আক্রান্ত হল ইডি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ওই নেতাকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের লক্ষ্য করে উড়ে আসে ইট, ভাঙে গাড়ির কাচ। 

    আক্রান্ত ইডি

    প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। সন্দেহজনক লেনদেন এবং বক্তব্যে অসঙ্গতির কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাতেই বনগাঁ থেকে শঙ্করকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন ইডির আধিকারিকেরা। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শনিবার শঙ্করকে আদালতে হাজির করিয়ে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমনটাই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    গ্রেফতার শঙ্কর

    শঙ্করকে গ্রেফতার করে তাঁর বনগাঁর বাড়ি থেকে তাঁকে নিয়ে বেরনোর সময় বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয় ইডিকে। শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানরা। রাতে ফের আক্রান্ত হন তাঁরা। শঙ্করকে গাড়িতে তোলার সময় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বনগাঁ। মহিলাদের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়ে ইডির গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করায় পিছু হঠে বিক্ষোভকারীরা।  পিছনে ইডির একটি গাড়ির কাচ ইট মেরে ভেঙে দেন ধৃত তৃণমূল নেতার অনুগামীরা।

    আরও পড়ুন: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    ইডির অনুমান

    ইডি সূত্রে খবর, শঙ্করের শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ইডির দাবি, নথিপত্র ঘেঁটে লেনদেন সংক্রান্ত যে সকল তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা সন্দেহজনক। ইডি জানতে পেরেছেন,  শঙ্কর ওরফে ডাকুর একাধিক সংস্থা রয়েছে। ইডি-র অভিযোগ, শঙ্কর এবং তাঁর পরিবার একাধিক বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। রয়েছে অর্থলগ্নি সংস্থাও। ইডি নজরে সেই সংস্থা গুলির আর্থিক লেনদেন। শনিবার সকাল হতেই সিজিও কমপ্লেক্সে এসে হাজির হন শঙ্কর আঢ্যের স্ত্রী ও মেয়ে। তখনও আধিকারিকরা অফিসে এসে পৌঁছননি। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়। কিছু নথি দিয়ে তাঁরা চলে যান বলে ইডি সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: সুজয়কৃষ্ণ স্থিতিশীল! ‘কাকু’র শরীরে বড় জটিলতা নেই, ইডিকে জানাল এসএসকেএম

    Sujay Krishna Bhadra: সুজয়কৃষ্ণ স্থিতিশীল! ‘কাকু’র শরীরে বড় জটিলতা নেই, ইডিকে জানাল এসএসকেএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মাঝেমধ্যে হৃদ্‌স্পন্দনে ছন্দপতন ঘটলেও ওষুধের মাধ্যমে তা এখন অনেকটাই সুস্থ, ‘কালীঘাটের কাকু’। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Krishna Bhadra) ‘মেডিক্যাল রিপোর্ট’-এ এরকমই জানিয়েছে এসএসকেএম। কলকাতা হাইকোর্টে তা পেশও করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর শরীরে বড় কোনও সমস্যা নেই বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকেও জানিয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল। 

    কী বলছে এসএসকেএম-এর রিপোর্ট

    আদালত সূত্রে খবর, হাইকোর্টে এসএসকেএম হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগের তরফে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে, ৬২ বছরের সুজয়কৃষ্ণ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। তবে তাঁর রক্তচাপ (১০৬/৭০) এবং নাড়ির স্পন্দনে (৮৮/মিনিট) তেমন কোনও অস্বাভিকতা নেই। বুধবারের (৩ জানুয়ারি) ওই রিপোর্টে ইডি হেফাজতে থাকা সুজয়ের অন্য কোনও গুরুতর শারীরিক সমস্যার কথাও উল্লিখিত হয়নি। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে প্রায় পাঁচ মাস পরে ‘কাকু’কে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বার করে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁকে আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে একই বাক্য বার বার করে বলানো হয়। ওই সূত্রের খবর, কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও।

    ইডির রিপোর্ট

    ইডি সূত্রের খবর, সুজয়কৃষ্ণের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসক দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়। ইডি হাইকোর্টে যে রিপোর্ট পেশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, এসএসকেএমের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান তাঁদের জানিয়েছেন যে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর শরীরে বড় কোনও সমস্যা (Major Complications) নেই। ডাক্তাররা তাঁর হৃদপিণ্ডে কোনও সিরিয়াস রিদম ডিসঅর্ডার (Ryth Disorder) পাননি। অর্থাৎ হৃদপিণ্ডের ছন্দ ঠিকই রয়েছে। চিকিৎসকদের মতামত নিয়ে ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা বুধবার রাতেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেন। 

    আরও পড়ুন: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    কেন শয্যা দখল

    শরীরে বড় কোনও সমস্যা না থাকলেও কেন এখনও এসএসকেএম হাসপাতালের বেড দখল করে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকী আদালতও এ নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে। পিজি হাসপাতাল হল উৎকর্ষতার দিক থেকে রাজ্যের অন্যতম নামী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষ সহজে পিজিতে চিকিৎসার জন্য বেড পান না। এই অবস্থায় শরীরে গুরুতর সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও সুজয়কৃষ্ণকে পিজিতে রেখে দেওয়া হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালে সাধারণ মানুষ জায়গা পাচ্ছেন না। অথচ  কালীঘাটের কাকু সেখানে বেড দখল করে  রয়েছেন প্রায় ৪ মাস ধরে। কোন যুক্তিতে তিনি হাসপাতালে তা জানতে চাইছে আদালতও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা গেল দিল্লি, কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    Kalighater Kaku: কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা গেল দিল্লি, কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার মধ্যরাতে ১৫ থেকে ২০ রকম ভঙ্গিতে কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। ইডি সূত্রে  জানা গিয়েছে, ওই ১৫-২০ রকম স্বরক্ষেপণের ভঙ্গি সংগ্রহ করতে দিল্লি থেকে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির এক বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন কলকাতায়। নমুনা সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবারই দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। ইডির অনুমান, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে। তার পরে তা পেশ করা হবে আদালতে।

    কী বলছেন ইডি আধিকারিক?

    ইডি সূত্রের খবর, ‘কাকু’র একাধিক ভয়েস কল রেকর্ডিং মোবাইল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল আগেই। ওই কথোপকথন একাধিক ভাগে ভাগ করা হয়, তার সঙ্গে মিলিয়েই গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘‘সুজয় (Kalighater Kaku) ঠিক যেমন ভাবে ফোনে কখনও উচ্চস্বরে, কখনও নিম্নস্বরে কথা বলেছিলেন, ঠিক তেমন ভাবেই বুধবার রাতে তাঁকে কথা বলতে বলে, তাঁর গলার স্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে একই কথা একাধিক বার বলানো হয়েছে।’’

    কীভাবে হয় এই ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট?

    অপরাধীদের ধরতে ফরেন্সিক সায়েন্সে একাধিক পদ্ধতি রয়েছে, যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ম্যাচ, ডিএনএ অ্যানালিসিস ইত্যাদি। তার মধ্যেই একটি হল এই কণ্ঠস্বর পরীক্ষা বা ফরেন্সিক ভয়েস অ্যানালিসিস। একে অনেক সময় ফরেন্সিক ভয়েস কম্প্যারিসনও বলা হয়। মোবাইল ফোনের অডিও রেকর্ড, ভয়েস রেকর্ডিং-এর গলার স্বরের সঙ্গে অভিযুক্তের গলার স্বরের মিল আছে কিনা বা দুটি মানুষই একই কিনা তা বোঝা যায় এই পদ্ধতিতে। ভয়েস স্যাম্পেল বা কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। এর জন্য যাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হবে তাঁকে একটি লেখা পড়তে দেওয়া হয়। কীভাবে তিনি পড়ছেন, গলার পিচ বা তীব্রতা, স্বরের ফ্রিকুয়েন্সি বা কম্পাঙ্ক, উচ্চারণ পদ্ধতি, স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে দেখা হয়। কোনও প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিচ্ছেন, কোন ক্ষেত্রে গলার স্বরের তীব্রতা বাড়ছে, উত্তেজিত হলে গলার স্বরে কতটা বদল আসছে, ভয় বা টেনশন হলে স্বরে কী কী বদল হচ্ছে এসব কিছুও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    Sandeshkhali Incident: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপর ‘হামলা’র ঘটনায় তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করেছেন বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুক্রবার সকালে দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ইডির অফিসাররাই। একটি ন্যক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলা।  এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ আটক হননি। 

    শুভেন্দুর দাবি

    শুক্রবারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনের ছবি ও নাম নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর চিহ্নিত করা তিন জনের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর এবং শেখ সিরাজুদ্দিন। বাকি এক জনের পরিচয় জানিয়েছেন শুভেন্দুই। তাঁর নাম জিয়াউদ্দিন। নামের সঙ্গে শুভেন্দু তাঁর পরিচয় দিয়ে লেখেন, “ইনি নাম করা অস্ত্র পাচারকারী, খুনি এবং বর্তমানে সরবেড়িয়া-অগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।” তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাস এবং উৎসাহে ভর করে শেখ শাহজাহানের মতো দুষ্কৃতীরা রোহিঙ্গাদের একজোট করে সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করতে চাইছে।”

    আরও পড়ুন: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    এনআইএ তদন্তের আর্জি

    উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। এদিন ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সংবাদমাধ্যমের উপর হামলার ঘটনায় কারা কারা জড়িত ছিল, নাম উল্লেখ করে এনআইএ-র দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘দেশবিরোধী শক্তি’র বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র কাছে আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিজের এক্স হ্যান্ডলের একটি পোস্টে ট্যাগ করেন শুভেন্দু। সেই এক্স বার্তায় কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের আর্জি জানানোর পাশাপাশি তিনি জুড়ে দেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল, ইডির অধিকর্তা এবং সিআরপিএফকেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডি আধিকারিকের মাথায় পাঁচ-ছ’টি সেলাই, ৩ আক্রান্তই হাসপাতালে

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডি আধিকারিকের মাথায় পাঁচ-ছ’টি সেলাই, ৩ আক্রান্তই হাসপাতালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা তথা ডন শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে শুক্রবার সকালেই আক্রান্ত হন তিন ইডি আধিকারিক। ঘটনার পরপরেই সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁদের। শুক্রবার রাতেও সেখানেই থাকবেন তাঁরা। তিন জনেরই জ্ঞান রয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁদের।

    মাথায় আঘাত পাওয়া অফিসারের নাম কী

    তল্লাশি অভিযানের সময় তৃণমূলের হামলায় জখম হন তিন আধিকারিক। সংবাদমাধ্যমেরও বেশ কিছু প্রতিনিধি জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ইডি আধিকারিক (Sandeshkhali) রাজকুমার রামের মাথায় ভালোই চোট লেগেছে। তিনি গুয়াহাটির অফিসার। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথায় পাঁচ-ছ’টি সেলাই পড়েছে তাঁর। স্ক্যানও করানো হয়েছে বলে খবর। তিনি এখন বেসরকারি হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে ভর্তি। বাকি দুই ইডি আধিকারিকেরও সেলাই পড়েছে বলে খবর মিলেছে। তিন আধিকারিকের শরীরের ভিতরে কোথাও আঘাত লেগেছে কি না, তা দেখতে চাইছেন চিকিৎসকেরা। তাই শুক্রবার রাতেও (Sandeshkhali) তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হবে।

    হাসপাতালে ইডির শীর্ষ আধিকারিকরা

    ইডির শীর্ষ আধিকারিকেরা হাসপাতালে গিয়ে ইতিমধ্যে সহকর্মীদের খবর নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দিল্লির সদর দফতর থেকেও খবর নেওয়া হয়েছে আক্রান্ত আধিকারিকদের। রাজকুমার রাম সহকারী ডিরেক্টর। বাকি দু’জন আধিকারিকের নাম অঙ্কুর এবং সোমনাথ দত্ত। তাঁরাও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহান শেখের বাড়িতে আচমকাই হানা দেয় পাঁচ ইডি আধিকারিকের একটি দল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হানা রেশন দুর্নীতি সম্পর্কিত বিষয়ে ছিল। স্থানীয় সরবেড়িয়া গ্রামে ঢুকতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।  অভিযোগ, সেই সময়েই ইডি আধিকারিক, কেন্দ্রীয় জওয়ানদের ঘিরে ফেলে মারধর করা হয়। ভাঙচুর (Sandeshkhali) করা হয় তাঁদের গাড়িতে। সেই সময়েই তিন আধিকারিক জখম হয়েছেন বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে চিঠি সুকান্তর, তুললেন এনআইএ তদন্তের দাবি

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে চিঠি সুকান্তর, তুললেন এনআইএ তদন্তের দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের পরে পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে টেলিফোন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Sukanta Majumdar)। এই একই ইস্যুতে তাঁকে চিঠি লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। শুভেন্দুর মতো তিনিও এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন।

    আক্রান্ত ইডি

    রেশন কেলেঙ্কারি কাণ্ডের মূলে কুঠারাঘাত করতে শুক্রবার সাত সকালে সন্দেশখালিতে পৌঁছে যান ইডির তদন্তকারীরা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই তাঁরা গিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে। সেখানে ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা ইডির আধিকারিকদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। জখম হয়েছেন তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বেনজির মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও।

    শাহকে চিঠি সুকান্তর

    এই ঘটনায়ই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন সুকান্ত। চিঠির এক জায়গায় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি লিখেছেন, “আমি আপনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি সন্দেশখালিকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিন। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিকঠাক রয়েছে কিনা, তা জানতে এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন।” তিনি (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, “কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে বলেছেন, এটি একটি সাংবিধানিক সমস্যা। রাজ্যপালের অবশ্যই হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। প্রয়োজন রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা। সন্দেশখালির অকুস্থলে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করতেও অনুরোধ করি আপনাকে। যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।”

    আরও পড়ুুন: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    এদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডে রোহিঙ্গা যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের এনে ক্যাম্প করে রাখেন। তারপর তাদের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেন।” তিনি বলেন, “বিজেপির তিন কর্মীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। এঁদের মধ্যে দু’জনের দেহ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।”

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বিজেপি (Sukanta Majumdar) সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “বাংলায় বারংবার গণতন্ত্র ব্যর্থ হচ্ছে। তাই ইডি কর্তারা আক্রান্ত হয়েছেন। যেসব সংগঠন দেশ বিরোধী কাজ করছে, তারা ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে বম্ব-পিস্তল ইত্যাদি। যদিও যথাযথ পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। তাই এই সরকারকে সরিয়ে দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যে জারি করা হোক জরুরি অবস্থা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “জঙ্গলরাজ-গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বর্বোচিত আক্রমণ এবং তাণ্ডব রুখতে ব্যবস্থা নিতে হবে সভ্য সমাজের গণতান্ত্রিক সরকারকে।” শুক্রবার সন্দেশখালিকাণ্ডে এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V ananda Bose)। তিনি বলেন, “সরকার তার ন্যূনতম কর্তব্যপালনে ব্যর্থ হয়েছে। জঙ্গলরাজ ও গুন্ডাগিরি মুর্খের স্বর্গেই চলতে পারে। বাংলায় নয়।”

    ‘মগের মুলুক নয়’

    তিনি বলেন, “বাংলা কোনও মগের মুলুক নয়। সরকারের উচিত তার কর্তব্য করা। যাঁরা ভাবছেন, আমি ডনের মাধ্যমে শাসন করছি, আর তাঁরা শীঘ্রই নিজেদের ‘ডন কুইকজোট’ (স্প্যানিশ মহাকাব্য) হিসেবে দেখতে পাবেন। এটা প্রাক নির্বাচনী পর্বের হিংসা। অবিলম্বে এই হিংসায় লাগাম টানা প্রয়োজন। সমাজের এই হিংসা নিহিত সরকারের সঙ্গেই। চারদিকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে।” রাজ্যপাল বলেন, “হিংসা ও গুন্ডাগিরিতে রাশ টানার সময় এসে গিয়েছে। বাংলায় হিংসার অবসান ঘটবে। অপশাসন চলবে না। সরকারের দায়িত্ব গণতান্ত্রিক কাঠামোয় বর্বরতা ও নৈরাজ্যকে কঠোর হাতে দমন করা। সরকার তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সংবিধান চলবে নিজের পথে।”

    রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    সন্দেশখালির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, অবিলম্বে ঘটনাটি খতিয়ে দেখে রাজভবনে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে নবান্নকে। ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকেও। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যখন এই বিবৃতি দিচ্ছেন, তার কিছুক্ষণ আগেই কলকাতা হাইকোর্টে সন্দেশখালির মামলার শুনানি (C V ananda Bose) পর্বে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?”

    আরও পড়ুুন: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির গভীরে পৌঁছতে শুক্রবার সাত সকালে ইডির আধিকারিকরা যান সন্দেহখালিতে। এখানে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ঘণ্টাখানেক ধরে ডাকাডাকি করা সত্ত্বেও দোরে খিল এঁটে বসেছিলেন ওই তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। এর পরেই দরজা ভেঙে শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন ইডির আধিকারিকরা। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা তাঁদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের কয়েকজন জওয়ানও জখম হন। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ডামাডোলের (C V ananda Bose) বাজারে গা-ঢাকা দিতে পারেন শাহজাহান। সরিয়ে ফেলা হতে পারে তাঁর বাড়িতে থাকা (যদি থাকে) কাগজপত্রও।  

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Howrah: রাস্তা সংস্কারের কাজে তৃণমূলের মন্ত্রী ও পুরপ্রশাসকের দ্বৈরথ, তীব্র উত্তেজনা

    Howrah: রাস্তা সংস্কারের কাজে তৃণমূলের মন্ত্রী ও পুরপ্রশাসকের দ্বৈরথ, তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক দিন আগে হাওড়ায় (Howrah) শিবপুরের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কার্নিভাল নিয়ে রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি এবং হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। সেই সময়ে দ্বন্দ্ব সামলাতে পৌঁছেছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এবার ফের একবার রাস্তা সংস্কারের কাজ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে ফের শোরগোল পড়েছে। উল্লেখ্য রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের মধ্যে মমতা-অভিষেককে ঘিরে পুরাতন-নতুন দ্বন্দ্ব নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। শাসক দলের নবীন-প্রবীণ নেতার একে অপরের পক্ষাবলম্বন করে বক্তব্য রাখছেন তথা অবস্থান স্পষ্ট করছেন। ফলে এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি বেশ সরগরম। 

    কোন রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্ব (Howrah)?

    শিবপুর (Howrah) বিধানসভার অন্তর্গত সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে শিবপুরে যেতে এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতু আসার এটি ঘোষ রাস্তায় দীর্ঘদিন বেশ অকেজো হয়ে পড়েছিল। গত একমাস আগে এই রাস্তার কাজ শুরু করে পুরসভা। এই রাস্তা সংস্কারের সাফল্য কার, এই নিয়ে একে অপরের মধ্যে প্রতিযোগিতার লড়াই শুরু হয়েছে। 

    রাস্তায় ফ্লেক্স ঘিরে দ্বন্দ্ব

    রাস্তার কাজ চলায় পাশের দেওয়ালে দুই নেতার ফ্লেক্সকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতার ছবির পাশে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির ছবি দিয়ে লেখা রয়েছে, “বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির ঐকান্তিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায়, হাওড়া (Howrah) মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের সহযোগিতায় এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হচ্ছে।” পালটা পুরপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তীর একটি ছবির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগিয়ে অপর আরেকটি ফ্লেক্সে লেখা হয়, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এবং হাওড়া পুরনিগমের মাননীয় প্রশাসক ডা. সুজয় চক্রবর্তী মহাশয়ের আন্তরিক উদ্যোগে নিগমের আর্থিক সহায়তায় ৪৭ নম্বরের রাস্তা মহিয়ারী রোড থেকে এটি ঘোষ ব্রিজের তলা পর্যন্ত নতুন করে সিমেন্ট-কংক্রিট রাস্তা তৈরির কাজ শেষ হল।” মন্ত্রীর বিপরীতে পালটা এই পুরপ্রশাসকের ফ্লেক্সে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় শাসক দল অত্যন্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়ে গিয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    মনোজ ঘনিষ্ঠ হাওড়ার (Howrah) স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলেন, “এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে ছিল। এলাকার বিধায়ক হিসাবে মনোজ তিওয়ারির কাছে রাস্তা সারানোর কথা জানানো হয়েছিল। অভিযোগ পেয়ে মন্ত্রী রাস্তা পরিদর্শন করেন। এরপর হাওড়া পুরসভার কাছে রাস্তা সংস্কারের জন্য দাবি জানানো হয়। এই দাবি নিয়েই হাওড়া পুরসভা কাজ শুরু করেছে।”

    পুরসভার বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বেহাল রাস্তার কথা জেনেই প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী নিজের উদ্যোগে এই রাস্তার সংস্করণ করিয়েছেন। আর এই কারণেই ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে।” এই রাস্তাকে ঘিরে দ্বন্দ্বের কথা না মানতে চাইলেও এলাকার মানুষের দাবি দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর কোন্দল আরও একবার স্পষ্ট হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “তদন্তকারীরা মার খেলে তদন্ত কীভাবে?” সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যদি তদন্তকারীরা মার খান, তাহলে তদন্ত কীভাবে হবে?” শুক্রবার ভরা এজলাসে এই প্রশ্নই ছুড়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    সন্দেশখালির মামলার শুনানি পর্বে তাঁর প্রশ্ন, “রাজ্যপাল কেন ঘোষণা করছেন না যে এ রাজ্যে সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে?” সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “তোমরা কী করছ? তোমাদের সঙ্গে গুলি-বন্দুক থাকে না? চালাতে পার না? দু’জন অফিসারকে মেরেছে, ২০০ জনকে পাঠাও।” রাজ্যে একাধিক কেলেঙ্কারির জট খুলতে তদন্ত করছে ইডি-সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে তারা হানা দিয়েছে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বাড়িতে। এই তালিকায় রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরাও। এহেন হেভিওয়েটদের বাড়ি কিংবা অফিসে নির্বিঘ্নে তদন্ত চালালেও, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের ওপর হামলা চালালেন তৃণমূলের এক ‘পেটি’ নেতার অনুগামীরা!

    শাহজাহানের দাপট!

    রাজনৈতিক মহলের মতে, শাহজাহান মোটেই ছোটখাট দরের কোনও নেতা নন। বাম আমলেই মাথা তুলেছিলেন তিনি। তৃণমূল জমানায় ঘাসফুল শিবিরে ঢুকে পড়ায় প্রত্যাশিতভাবেই বাড়তে (Justice Abhijit Gangopadhyay) থাকে শাহজাহানের দাপট। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকে পড়ায় কার্যত সাপের পাঁচ পা দেখেন শাহজাহান। তাঁর নামে একাধিক অভিযোগ থাকলেও, গায়ে আঁচড়টি পর্যন্ত লাগেনি। স্বাভাবিকভাবেই আড়ে-বহরে বেড়েছে শাহজাহানের প্রতিপত্তি। এহেন শাহজাহানের অনুগামীরাই এদিন হামলা চালিয়েছে ইডির আধিকারিকদের ওপর। যার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।

    আরও পড়ুুন: “বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর”, সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহকে ফোন শুভেন্দুর

    গত এপ্রিলেই যাঁকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজনীতিতে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “রাজনৈতিক নায়ক হওয়ার জন্য এক্তিয়ার-বহির্ভুত কাজ করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।” বলেছিলেন, “বিরোধী দল কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপির মদতে ঠান্ডা মাথায় অভিষেকের চরিত্রহনন করছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।” তার পরেই তৃণমূলের মুখপাত্র বলেছিলেন, “চেয়ার ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন।” ট্যুইট-বার্তায় তৃণমূলের এই নেতা লিখেছিলেন, “যেভাবে কোনও ক্ষেত্রে বিচারপতির আসনের অপব্যবহার করে রাজনীতি করা হচ্ছে, বিরোধীদের অক্সিজেন দিতে নিজের উইশ লিস্ট বলা হচ্ছে, নিজেকে ব্যক্তি প্রচারে হিরো সাজানোর চেষ্টা চলছে, তাতে বিচারব্যবস্থার সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ওই চেয়ারটা ছেড়ে সরাসরি রাজনীতিতে আসুন।”

    এহেন কুণালের দলের এক নেতার অনুগামীদের হামলায় জখম হয়েছেন ইডি কর্তারা। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই তদন্ত কীভাবে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। এহেন আবহে ফের তৃণমূল কী প্রতিক্রিয়া দেয়, তা-ই দেখার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share