Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Teacher Recruitment Case: নিয়োগ প্যানেল নিয়ে বিচারপতি সিনহার নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক পর্ষদ!

    Teacher Recruitment Case: নিয়োগ প্যানেল নিয়ে বিচারপতি সিনহার নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক পর্ষদ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে (Teacher Recruitment Case) চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১২ ডিসেম্বর জেলা ভিত্তিক নিয়োগের প্যানেল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চে আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    সিঙ্গল বেঞ্চের রায়

    ২০১৪ সালের পর রাজ্যে টেট পরীক্ষা হয় দু বার। একবার ২০১৬ সালে। আর দ্বিতীয়বার ২০২০ সালে। নিয়োগ হওয়ার কথা ছিল ৪২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। এই দুই নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিল বিচারপতি সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই সময় পর্ষদ আদালতে জানিয়েছিল, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে নিয়োগের রীতি মেনে ২০১৬ সালের প্যানেল প্রকাশের নিয়ম নেই।

    বিচারপতি সিনহার মন্তব্য

    যদিও আদলত চেয়েছিল দুটি নিয়োগ প্রক্রিয়ারই সম্পূর্ণ প্যানেল দেখাতে। বিচারপতি সিনহার মন্তব্য ছিল, “আমি প্রাথমিকের প্যানেল (Teacher Recruitment Case) দেখতে চাই। মেয়াদ শেষের আগে একটা প্যানেল প্রস্তুত হয়। সেটি দেখতে চাই। নিয়োগের প্যানেল খতিয়ে দেখার অধিকার রয়েছে আদালতের।” তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, “নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ না করে কি পর্ষদ কাউকে আড়াল করতে চাইছে? এই প্যানেল বাড়িতে গচ্ছিত রাখার সম্পত্তি নয়। প্যানেল প্রকাশ হলে অসুবিধা কোথায়?” বিচারপতি সিনহার সেই প্যানেল প্রকাশের নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    আরও পড়ুুন: “ভিখারি হয়ে গিয়েছে রাজ্য, মোদির পা ধরতেই মমতা দিল্লিতে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    এই মামলায়ই বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন এমন ৯৪জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। পর্ষদের তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, যে দুটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে, তা ঠিক নয়। প্যানেলের জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তখনই বিচারপতি সিনহার মন্তব্য ছিল, “আর কতদিন অপেক্ষায় থাকবেন বঞ্চিতেরা? তাঁদের (Teacher Recruitment Case) কাছে প্রতিটি দিনের মূল্য রয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সেট পরীক্ষায় কলেজের ক্যান্টিনে বসে দেদার টুকলি! ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও

    Murshidabad: সেট পরীক্ষায় কলেজের ক্যান্টিনে বসে দেদার টুকলি! ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধ্যাপক নিয়োগের সেট পরীক্ষায় কলেজের ক্যান্টিনে বসে দেদার টুকলি চলছিল। এই ঘটনায় অভিযোগ জানিয়ে ফেসবুকে লাইভ করলেন কেলেজেরই এক প্রতিবাদী অধ্যাপক। ঘটনায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নরুল হাসান কলেজের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অপর দিকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার আশ্বাস কলেজ কর্তৃপক্ষের।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Murshidabad)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সেট পরীক্ষা অর্থাৎ স্টেট এলিজিবিলিটি পরীক্ষার মাধ্যম কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ করা হয়। গতকাল রবিবার ছিল এই সেট পরীক্ষার দিন। এই পরীক্ষা নিয়ে থাকেন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন। কলেজের মধ্যেও একটি ঘরে চারজন পরীক্ষার্থী টুকলি করছিল। খবর পেয়ে কলেজের (Murshidabad) এক বাংলার অধ্যাপক সঞ্জয় মণ্ডল সেই ঘরে ঢুকে টুকলি করার ভিডিও করেন। সেই সঙ্গে তিনি চুরি করে পাশ করানোর কথা বলে অভিযোগ করে ফেসবুকে লাইভ করেন। এরপর মুহূর্তেই সেই লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।

    সঞ্জয় বাবুর অভিযোগ কী?

    কলেজের (Murshidabad) অধ্যাপক সঞ্জয় মণ্ডল বলেন, “সাধারণ ভাবে সেট পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কলেজের এক ক্যান্টিনে বসে চারজন পরীক্ষা দিচ্ছিল। খবর জানতেই আমরা অনেকে ঘরে ঢুকে দেখি টুকলি চলছে। সঙ্গে সঙ্গে চোরেরা পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। সম্পূর্ণ চুরির কাজ কলেজের অধ্যক্ষের সামনেই ঘটছিল। তিনি মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে এই অনৈতিক কাজ করেছেন। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। বছর বছর সেট পরীক্ষায় এই ভাবেই টাকার বিনিময়ে পাশ করানো হয়। চোখের সামনে এতও বড় দুর্নীতি দেখে আমি আর চুপ থাকতে পারলাম না। ফেসবুক লাইভ করে সকলের কাছে দুর্নীতি কথা রাখলাম।”

    কলজের অধ্যক্ষের বক্তব্য

    সেট পরীক্ষায় টুকলি নিয়ে কলজের (Murshidabad) অধ্যক্ষ শিবাশিস বলেন, “বাংলার ওই অধ্যাপক নিজে পরীক্ষার নিয়ম ভেঙেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আইন আনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

    কলেজ পরিচালন সমিতির বক্তব্য

    টুকলির বিষয়ে কলজের (Murshidabad) পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে বক্তব্য দিয়ে জানানো হয় পরীক্ষায় এই রকম দুর্নীতি কাম্য নয়। পরিচালন সমিতির সভাপতি সৌমেন পাণ্ডে বলেন, “ফেসবুকে লাইভ দেখেছি। অধ্যাপকের কাছ থেকেও অভিযোগ পেয়েছি। গোটা ঘটনাকে খতিয়ে দেখা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টের নির্দেশ মানবেন মুখ্যসচিব? এক দিনের মধ্যে হলফনামা দিতে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Calcutta High Court: হাইকোর্টের নির্দেশ মানবেন মুখ্যসচিব? এক দিনের মধ্যে হলফনামা দিতে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারের মহিলা ঋণদানকারী সমিতির দুর্নীতি মামলায় আদালতের নির্দেশ মানার ইচ্ছা আদৌ রাজ্য সরকারের রয়েছে কি না, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা জানাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, মঙ্গলবার বিকেল ৩টের মধ্যে বিষয়টি হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যের মুথ্যসচিবকে।

    আদালতের নির্দেশ

    উত্তরবঙ্গ মহিলা ঋণদান সমিতি দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিব কি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মানবেন? সরাসরি সোমবার এই প্রশ্ন করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ মহিলা ঋণদান সমিতির দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সিবিআইয়ের উপর মামলার চাপ তৈরি হওয়ায় রাজ্যের ১০ জন পুলিশ অফিসারকে ডেপুটেশনে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। একই সঙ্গে আদালত জানায়, ওই মামলার তদন্তকারীদের উত্তরবঙ্গে থাকা এবং যাতায়াতের বন্দোবস্ত করতে হবে রাজ্যকে।তদন্তের স্বার্থে ওই মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

    কেন এই নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ মহিলা ঋণদান সমিতির দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সিবিআইয়ের উপর মামলার চাপ তৈরি হওয়ায় রাজ্যের ১০ জন পুলিশ অফিসারকে ডেপুটেশনে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। একই সঙ্গে আদালত জানায়, ওই মামলার তদন্তকারীদের উত্তরবঙ্গে থাকা এবং যাতায়াতের বন্দোবস্ত করতে হবে রাজ্যকে। তদন্তের স্বার্থে ওই মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে ৩ নভেম্বর এবং পরে ৭ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশ জানানো হয় রাজ্যকে। কিন্তু সোমবারের শুনানিতে সিবিআই ফের জানায় এখনও রাজ্যের তরফে কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। এর পরই মুখ্যসচিবকে কড়া বার্তা দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: বাংলার মৃৎশিল্পী জামালউদ্দিনের তৈরি শ্রীরামের মূর্তি বসবে অযোধ্যার রামমন্দিরে

    প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন মোট ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বলে আবেদনকারী পক্ষের অভিযোগ ছিল হাইকোর্টে। টাকা জমা দেওয়ার সময় সমিতি জানিয়েছিল, ওই টাকা বাজারে ঋণ হিসাবে খাটানো হবে। কিন্তু পরে টাকা ফেরত পাওয়ার সময় হলে বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন, সমিতিই ‘বিলুপ্ত’ হয়ে গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suicide at Eden Gardens: ইডেনের গ্যালারিতে যুবকের ঝুলন্ত দেহ! সিএবি কর্মীর পুত্রের মৃত্যু

    Suicide at Eden Gardens: ইডেনের গ্যালারিতে যুবকের ঝুলন্ত দেহ! সিএবি কর্মীর পুত্রের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেটের নন্দন কাননে কালো ছায়া। সোমবার সকালে ইডেন গার্ডেন্স (Suicide at Eden Gardens) থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। মৃত যুবকের নাম ধনঞ্জয় বারিক। ইডেন্স গার্ডন্সের গ্যালারিতে ওই যুবকের দেহ ঝুলতে দেখা যায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

    কী ঘটেছিল

    এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ওই ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে ইডেনের এক কর্মী খবর দেয় পুলিশকে। ইডেনে আসে ময়দান থানার পুলিশ। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করেছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ধনঞ্জয় বারিক। ২১ বছরের ওই যুবক আদতে ওড়িশার ভদ্রক জেলার বাসিন্দা। তাঁর বাবা গণেশ চন্দ্র বারিক ইডেনের গ্রাউন্ড স্টাফের কাজ করেন। ইডেনের স্টাফ কোয়ার্টারে সম্প্রতি থাকছিলেন ধনঞ্জয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    তদন্তে পুলিশ

    সিএবি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের বাবা ইডেনে মালির কাজ করতেন। বেশ কয়েক মাস আগেই তাঁর ছেলে কলকাতায় আসে। বাবার সঙ্গেই থাকতে শুরু করে। ইডেনে তাঁর ছেলের কাজের ব্যাপারে বাবা চেষ্টা করছিলেন। তবে কী কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হল তা নিয়ে বাড়ছে রহস্য। ওই যুবককে কেউ মেরে ফেলে দিয়েছে নাকি যুবক নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি পুলিশ। কী কারণে ওই যুবক কে ব্লকের গ্যালারিতে গিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে অন্য কেউ ছিলেন কি না, সে কী ভাবে মারা গেল, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: চিঠি এল নবান্নে! আইপিএস অফিসারদের সম্পত্তির হিসাব জানতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

    প্রসঙ্গত, গতকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। তাঁর খোঁজ না মেলায় ময়দান থানায় নিখোঁজের ডায়েরিও করা হয়েছিল। এর পরদিনই উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ। ঐতিহ্যবাহী এই মাঠে এরকম ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে নজিরবিহীন বলেই জানাচ্ছেন অনেকে। গ্যালারি থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মাঠের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BSF Plans For Sundarbans: সুন্দরবন বাঁচাতে জলে নামছে সেনা! বিএসএফের তরফে নজরদারি অন্তরীক্ষেও?

    BSF Plans For Sundarbans: সুন্দরবন বাঁচাতে জলে নামছে সেনা! বিএসএফের তরফে নজরদারি অন্তরীক্ষেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবন বাঁচাতে গুচ্ছ পদক্ষেপ করতে চলেছে বিএসএফ (BSF Plans For Sundarbans)। জঙ্গলের নিরাপত্তায় এবার জলে নামানো হচ্ছে নৌবাহিনীর ১ হাজার ১০০ জনের একটি দলকে। জল এবং স্থলের পর অন্তরীক্ষ-পথেও চালানো হবে নজরদারি। সেজন্য নামানো হচ্ছে ৪০টি ড্রোনও। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যাতে কাজ করতে পারে সেজন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে বেশ কিছু গাড়িও। সম্প্রতি কলকাতায় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দফতরে চূড়ান্ত হয় পরিকল্পনাটি। তবে বিএসএফের এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হবে কিনা, তা নির্ভর করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ছাড়পত্রের ওপর।

    সুন্দরবনে চোরাচালান

    বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন। ছোটবড় মিলিয়ে ১০০টি দ্বীপের সমষ্টি। এর একটা বড় অংশ রয়েছে ভারতে। বাকিটা বাংলাদেশের। ভারত-বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সীমান্তের একটা অংশও সুন্দরবনের মধ্যে পড়ে। এই সুন্দরবনেই রয়েছে সুন্দরী, গরান সহ বহু নামী-দামি গাছ। বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারেরও আবাসস্থল এই সুন্দরবন। এই গহীন জঙ্গলে ঢুকে চোরাচালানকারীরা কেটে নিয়ে যায় দামী গাছ। বাঘ সহ বিভিন্ন বিপন্ন প্রাণীও পড়ে হাপিশ হয়ে যায় রাতের অন্ধকারে। এসব রুখতেই এবার কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করতে চাইছে বিএসএফ (BSF Plans For Sundarbans)। বিএসএফের এক কর্তা জানান, সুন্দরবনের নদীপথ ও ঘন জঙ্গলকে হাতিয়ার করে রমরমিয়ে চোরাচালান করে যাচ্ছে পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারীরা। এসব রুখতেই ব্যবস্থা হচ্ছে কড়া নজরদারির।

    গুচ্ছ পরিকল্পনা

    বর্তনামে ৫০টি স্পিড বোট দিয়ে সুন্দরবনে নজরদারি চালায় বিএসএফ। যা সুন্দরবনের আয়তনের তুলনায় সামান্যই। সেই কারণেই নামানো হচ্ছে নৌবাহিনীর ১১০০ জনের দলকে। আকাশপথে নজরদারি চালাতে নামানো হচ্ছে ৪০টি ড্রোন। এহ বাহ্য। তিনটির বেশি ভাসমান আউটপোস্টও তৈরি করা হয়েছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে তৈরি করা হয়েছে ১৪টি জেটিও।

    আরও পড়ুুন: নাবালিকার মুখে হিন্দুস্তান-প্রশস্তি, ‘কবি-বন্ধু’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী

    গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সুন্দরবনের কোস্টাল এরিয়ায় সুরক্ষা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বিএসএফের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পর থেকেই সুন্দরবনের সুরক্ষায় আঁটসাঁট পদক্ষেপ করতে শুরু করে বিএসএফ। এবার আরও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করতে চলেছেন সীমান্ত প্রহরীরা (BSF Plans For Sundarbans)। তবে পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ছাড়পত্রের ওপর। কারণ অর্থমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে এই মন্ত্রকই ঠিক করবে, এই খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা যাবে কিনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: প্রাথমিকে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য, রায় কলকাতা হাইকোর্টের   

    Calcutta High Court: প্রাথমিকে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য, রায় কলকাতা হাইকোর্টের   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের আগেই বড় খবর! তবে এই খবর সুপবন বয়ে আনবে কেবল রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের জীবনে। রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য। এমনই রায় দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। আদালতের এই রায়ের সঙ্গে সঙ্গেই আইনি জট কাটল প্রায় সাত বছর পরে।

    আদালতের রায়

    আদালতের এই রায়ে আদতে মান্যতা পেল রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তিই। বিচারপতি ভট্টাচার্য তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষণ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না। আদালত জানিয়েছে, প্যারাটিচার নিয়োগ, তাঁদের কাজের ধরন, গুরুত্ব সবই অন্যদের থেকে আলাদা। তাই ২০১৭ সাল থেকে স্পেশাল এডুকেটর, সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকা, মুখ্য সহায়ক এবং সহায়িকাদের দায়ের করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আগের স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যে পার্শ্বশিক্ষকের সংখ্যা 

    প্রসঙ্গত, বাম আমলে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে পার্শ্বশিক্ষক ছিলেন ৫০ হাজারেরও বেশি। সেই সংখ্যা কমতে কমতে বর্তমানে ঠেকেছে ৪২ হাজারে। রাজ্যে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদের মধ্যে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত ১ হাজার ৪৩৩টি পদ। প্রসঙ্গত, এতদিন এই ১ হাজার ৪৩৩টি পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালতের এই রায়ের জেরে এবার উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিতে ১৪ হাজার ৩৩৯ শূন্যপদেই শুরু হবে কাউন্সেলিং।

    আরও পড়ুুন: ফের অ্যাম্বুলেন্সকে পথ ছেড়ে দিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়, ভাইরাল মোদির ‘কীর্তি’

    পার্শ্বশিক্ষকদের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সৌমিক প্রামাণিক। তিনি বলেন, “পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়োগ হয় জেলা প্রজেক্ট অফিসারের মাধ্যমে। তাই তাঁদের নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ কম। তাঁদের নিয়মিত ক্লাস করতে হয়। পরীক্ষা নেওয়া ও খাতা দেখার কাজও করতে হয় তাঁদের।” এ সংক্রান্ত নথি আদালতে জমা দেন সৌমিক। আদালত সাফ জানিয়েছে, সর্বশিক্ষা মিশনের অন্তর্গত স্পেশাল এডুকেটর, সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকা সহ সমগোত্রীয়রা যেহেতু এমন কোনও নথি দিতে পারেননি, তাই তাঁদের দায়ের করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Jalpaiguri: বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, ভাঙল বুকের পাঁজর!

    Jalpaiguri: বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, ভাঙল বুকের পাঁজর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) বিজেপি কর্মীকে মারধর করে বুকের পাঁজর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এই বছরেই গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের দৌরাত্ম্য, হামলা, মারধর, অত্যাচার এমনকি খুনের অভিযোগের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়ে উঠেছিল। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তৃণমূলের আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সামনেই আবার লোকসভার ভোট ফলে রাজনৈতিক উত্তাপের আবহ যে শুরু হয়ে গিয়েছে একথা রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Jalpaiguri)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপি কর্মী এফাজুদ্দিন। তাঁর বাড়ি হল ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি ১ নং গ্রাম পাঞ্চায়েতের ঝাড় মাগুরমাড়ির পাইক পাড়া এলাকায়। আজ তিনি বাড়িতেই ছিলেন। বাড়িতে কাজ চলছিল। পাশেই শ্রমিক ডাকতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে তাঁর উপর। আক্রমণকারীদের মধ্যে ছিল এলাকার তৃণমূল নেতা মহম্মদ আজাদ ও মহম্মদ রাজু নামক দুই দুষ্কৃতী। রীতিমতো দুইজন মিলে তাঁকে মাটিতে ফেলে লাথি, চড়, ঘুষির আঘাতে ব্যাপক ভাবে আহত করে। এরপর তাঁকে প্রথমে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা দেখে প্রাথমিক অনুমান করেন, তাঁর বুকের পাঁজর ভেঙে গিয়ে থাকতে পারে।

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপি কর্মী এফাজুদ্দিন বলেন, “আমি বাড়িতে কাজের জন্য শ্রমিকে আনতে গেলে আমাকে আজাদরা আচমকা হামলা করে। এলাকায় কেবল মাত্র বিজেপি করার জন্য আমাকে ব্যাপক মারধর করে। আমি থানায় অভিযোগ জানাবো।” পালটা তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা রাজেশ লাকরা বলেন, “আক্রান্তের পাশে আছি, অভিযুক্তদের শাস্তি চাই। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সেবাই বিজেপির মূলমন্ত্র’ রক্তদান শিবিরে কর্মীদের বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘সেবাই বিজেপির মূলমন্ত্র’ রক্তদান শিবিরে কর্মীদের বার্তা দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কলকাতা উত্তর শহরতলী সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানে আগরপাড়ায় যোগদান করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রক্তদান শিবিরে স্বেচ্ছায় আসা রক্তদাতাদের উৎসাহিত করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “করোনার সময় ভারত সরকার যা পরিষেবা দিয়েছে সমান্তরাল ভাবে জেপি নাড্ডা সাংগঠনিক ভাবে একই সেবার কাজ করে গিয়েছেন। দলের কর্মীরা সেই কাজে হাতে হাত মিলিয়েছেন। আমাদের কাছে সেবাই হল সংগঠন, তাই বিজেপির মূলমন্ত্র হল মানবসেবা। দলের কাছে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর সময় পর্বের একটা নির্দিষ্ট সেবার অভিমুখ রয়েছে।” সেই সঙ্গে রক্তদান শিবিরে বিজেপি কর্মীদের সেবামূলক কাজে উৎসাহ দিলেন তিনি।

    সেবা মূলক কাজে উৎসাহ দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রক্তদান শিবিরে যোগদান করে সেবা কাজে উৎসাহ দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিজেপি শুধু ভোট চায় না, কেবল আন্দোলন করে না। মানুষের জন্য রাস্তায় কাজ করে। গাছ লাগায়, ময়লা পরিষ্কার করে, জঙ্গল কাটে আবার দিব্যাঙ্গদের সহায়ক যন্ত্রও বিতরণ করে। এছাড়াও সাফাই স্বচ্ছতার কাজ করে, ড্রেনে ব্লিচিং-ফিনাইল দেয়, এক কথায় মানুষের যথার্থ সেবা কাজ করে বিজেপি। বিজেপি সংগঠনের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে বলা হয়েছিল, যুব মোর্চাকে ৫ হাজার বোতল রক্ত দিয়ে সেবা কাজ করতে হবে রাজ্যে। ঠিক যে সময় সারা দেশে রক্ত সরবরাহ কম থাকে, তাই সেই সময় রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে মানুষের পাশে থাকার কথা বলা হয়েছে।”

    আর কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঢাক খুব পেটান। কেন্দ্রের রেশনের চাল, আটা, গমের বস্তায় খাদ্য সাথীর ছাপ ব্যবহার করে মানুষের চোখে ধুলো দিচ্ছেন। বিজেপি কখনই ঢাক পেটায় না। আমাদের যুব মোর্চার কর্মীরা রাজ্যের ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে ৮ থেকে ১০ হাজার বোতল রক্ত দিয়েছে। ২০২১ সালের নির্বাচনে আমাদের আরও ভাল ফল হতো। কিন্তু কোভিডের কারণে আমাদের প্রচার কম হয়েছে। মোদি জী আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মানুষের জীবন আগে তাই আমরা সীমিত পরিসরে প্রচার প্রসার করেছিলাম। ক্ষমতা আমাদের কাছে বড় বিষয় নয় আগে মানুষের জীবন।

    ডায়মন্ড হারবার নিয়ে অভিষেককে তোপ দেগে শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, “২০১৮ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি গণতন্ত্র লুট হয়েছে ডায়মন্ড হারবারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের একজন বিরোধীরাও মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। ২০১৯ সালের লোকসভার ভোটে ১৩০০ বুথ দখল করে ৩ লক্ষ ভোটে জয়ী হয়েছেন কয়লা ভাইপো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পে।।

  • Suvendu Adhikari: ‘চা বাগানগুলিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিতে চায়’ চালসাতে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘চা বাগানগুলিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিতে চায়’ চালসাতে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উত্তরবঙ্গের বন্ধ চা বাগানে কখনোই অধিগ্রহণ করতে পারবে না তৃণমূল সরকার। চা বাগানগুলিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিতে চায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল টি কর্পোরেশন ২০১৮ সালেই উঠে গেছে। রাজ্য সরকার লাটাগুড়ির চা বাগান হর্ষ নিয়োগীকে দিয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের চা বাগান নিয়ে কোনও সদর্থক ভাবনাই নেই। সিপিএম যেমন চাঁদবণিক নামক চা বাগান করেছিল ঠিক তৃণমূল এই চালসায় চা বাগান  করেছে। সব বাগানগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। মমতাও চা বাগানকে পুরোপুরি তুলে দিতে চাইছেন।” চালসা  (Jalpaiguri) সভায় করতে এসে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঠিক এই ভাবেই তোপ দাগলেন মমতাকে।

    চা বাগানের জমি পাট্টা হয় না(Suvendu Adhikari)

    চালসায় সভায় করতে এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “কোনও জায়গা যদি খাস ঘোষণা না হয় তাহলে পাট্টা হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা বাগানের জমিকে অনৈতিক ভাবে পাট্টা দিয়েছেন। চা সুন্দরীর বাড়িগুলি হয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকারের টাকায়। সেখানে কেউ যাচ্ছে না। সব বাড়ি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। আগে মালিকরা এখানে চা শ্রমিকদের বাড়ি সারিয়ে দিত কিন্তু এখন দিচ্ছে না। কারণ তাঁদের কাছ থেকে তৃণমূল নেতারা কোটি কোটি টাকা লুট করেছে। চা বাগানের শ্রমিকদের ভাওতা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। চা বাগানের জমিকে কখনোই অধিগ্রহণ করতে পারে না রাজ্য সরকার। চা বাগানের জমি কেন্দ্রের বিষয়। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তি। চা বাগানের জন্য বিজেপি লাগাতার মিটিং-আন্দলন করবে।”

    আর কী বলেন শুভেন্দু?

    জলপাইগুড়ির চালসাতে এই দিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র নিজে সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন যারা চাকরি পায়নি তারাই সংসদে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু এটা প্রতিবাদ নয় রীতিমতো আক্রমণ! বিকশিত ভারত যাত্রা হোক বা ফসল বীমা যোজনা, তৃণমূল সরকার এই রাজ্যে ঢুকতে দিচ্ছে না। কারণ ঢুকতে দিলেই কেন্দ্রিয় প্রকল্পের সুবিধার কথা সকলে জেনে যাবেন। আর এটাই মমতার ভয়। এসএসকেএম হল সারকারি খোঁয়াড়। তৃণমূলের চোরদের সেখানে লালন-পালন করা হয়। চালসা-নাগরাকাটা থেকে কোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে ভর্তি হতে চাইলে বেড পাবেন না। চোর ডাকাতদের বিরিয়ানি খাইয়ে রাখা হয় সেখানে। হাসপাতাল হল ইডি-সিবিআইয়ের তদন্ত থেকে বাঁচার নিরাপদ আশ্রয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: সংসদে আক্রমণকারী ললিতের সঙ্গে যোগ মিলেছে বাংলার ছাত্রের

    Parliament Security Breach: সংসদে আক্রমণকারী ললিতের সঙ্গে যোগ মিলেছে বাংলার ছাত্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে আক্রমণের (Parliament Security Breach) মূলচক্রী ললিতের ঝায়ের সঙ্গে যুক্ত বাংলার এক ছাত্রের যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ললিত ইতিমধ্যে কলকাতায় একটি বেসরকারি স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতার কাজ করেছে। পরিবারের সঙ্গে বাগুইআটির একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত লতিত। বড় বাজারে ছিল নিত্য যাতায়েত তার। সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার বালির বাসিন্দা সায়ন পাল নামক এক ছাত্রও ললিতদের সাম্যবাদী সুভাষ সভা নামে সংগঠনের সদস্য ছিল। তবে সায়নের দাবি লিলতকে সে চেনে না ।

    সায়নের বক্তব্য

    ঘটনায় সায়ন পাল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, “আমি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হলেও ললিতের সঙ্গে আমার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নেই। আমি তাকে চিনি না। ৫০০ জনের গ্রুপের মধ্যে আমিও একজন সদস্য। গ্রুপের সম্পূর্ণ কাজ কেবল আমার উপর বর্তায় না। সংসদের (Parliament Security Breach) হামলার ঘটনাকে সমর্থন করি না। এটা সম্পূর্ণ অপরাধ জনিত কাজ। আমরাও ভয়ে রয়েছি। গ্রুপের আরও অনেকেই ভয়ে রয়েছে।”

    কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর(Parliament Security Breach)

    কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “গত জুন মাসে কলকাতায় এক মিছিল করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছিল সাম্যবাদী সুভাষ সভা নামক এক সংগঠন। আবেদন করেছিল ললিত ঝা (Parliament Security Breach) নিজেই। সেই চিঠির মধ্যে স্বাক্ষর ছিল নীলাক্ষ আইচ এবং সায়ন পাল নামক আরও দুই ছাত্রের। এরপর সূত্র ধরে যোগাযোগ করে পুলিশ।” এই বিষয়ে পুলিশ বিস্তৃত ভাবে আরও তদন্ত শুরু করেছে। সায়নকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে বলে জানা গিয়েছে। নিলাক্ষী আইচের সঙ্গে ললিতের সম্পর্কের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সঙ্গে সায়ন, নীলাক্ষ প্রত্যেকেই যুক্ত ছিল। তবে ললিত গ্রুপের বাইরে সংগঠনের কাজ করত। গ্রুপে খুব একটা সক্রিয় ছিলনা সে। এখন গ্রুপ ধরে তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share