Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Birbhum: বীরভূমে ফের উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক! এর পিছনেও কি তৃণমূল নেতার হাত?

    Birbhum: বীরভূমে ফের উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক! এর পিছনেও কি তৃণমূল নেতার হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক মজুত থাকার হদিশ পেল পুলিশ। মজুত করা বিষ্ফোরকগুলির মধ্যে রয়েছে জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি থানার বাহাদুরপুর পাথর শিল্পাঞ্চলের চন্দননগর গ্রামে। উল্লেখ্য আগেও এক তৃণমূল নেতাকে বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করে ছিল। এবারও কী তৃণমূল নেতার হাত রয়েছে? বিজেপির অবশ্য দাবি, বিস্ফোরক সামগ্রীর আসল মালিক তৃণমূলের নেতারাই। তাই রাজ্যের নয় কেন্দ্রিয় তদন্তকারি সংস্থার দ্বারা তদন্তের দাবিতে তুলেছে বিজেপি।

    উল্লেখ্য গত একবছরের বেশি আগে রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন অবৈধ বোমা, অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য। কিন্তু লাভ হয়নি। আবার এগরায় বাজি বিস্ফোরণের পরেও একই নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উপরন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক পরিমাণে বিস্ফোরকের ব্যবহারে ভাঙর থেকে সালার সর্বত্র উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এবারও ফের একবার বীরভূমে বিস্ফোরক উদ্ধারে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আঙুল উঠছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।

    পুলিশ নিশ্চিত করেছে বিস্ফোরক (Birbhum)

    গতকাল শুক্রবার রাতে সূত্র মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নলহাটি (Birbhum) থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে চন্দননগর গ্রামের একটি বাড়িতে বিপুল পরিমানে বিষ্ফোরক মজুত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে। বাড়িটির চারিদিকে পুলিশ মোতায়েন করে ঘিরে রাখা হয়েছে। আজ শনিবার পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বম্বস্কোয়ার্ডের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মজুত থাকা বিষ্ফোরকগুলি উদ্ধার করে।

    আগেও গ্রেফতার হয়েছনে তৃণমূল নেতা

    উল্লেখ্য রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন চালার সময় গত ১০ জুন এই বীরভূমের (Birbhum) এলাকা থেকে বিষ্ফোরক মজুত রাখার অভিযোগে মনোজ ঘোষ নামে এক তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তার পরেও ওই এলাকায় বিপুল পরিমানে বিষ্ফোরক মজুত থাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এরপর তাঁর সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় ইসলাম চৌধুরী নামক এক ব্যক্তিকে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় বীরভূমের (Birbhum) জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই বিস্ফোরক ব্যবহার করে মানুষের ভোট লুট করেছে তৃণমূল। পুলিশ সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিয়েছিল। আজকে উদ্ধার হওয়া এই বিস্ফোরকের পিছনে তৃণমূলের বিকি শেখ হল প্রধান অভিযুক্ত। এলাকার তৃণমূল নেতা আসাদ উদ্দিন, বিধায়ক এই বিস্ফোরকের পিছনে জড়িত। রাজ্য প্রশাসনের উপর আমাদের কোনও বিশ্বাস নেই। কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: ডিসেম্বরের শীতেও ডেঙ্গির থাবা! বারাসতে মৃত এক ডাক্তারি পড়ুয়া

    North 24 Parganas: ডিসেম্বরের শীতেও ডেঙ্গির থাবা! বারাসতে মৃত এক ডাক্তারি পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শীতের ডিসেম্বরেও ডেঙ্গির থাবা! মশা বাহিত রোগে প্রাণ গেল এক ডাক্তারি পড়ুয়ার। ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতে। এই ঘটনায় এলাকায় ফের একবার ডেঙ্গির প্রকোপে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে পুরসভার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, বর্ষার পর হেমন্ত হয়ে শীত এসে গেলেও রাজ্যে থামছে না ডেঙ্গির আতঙ্ক। পুজোর পরেও নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দমদম, দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গির প্রভাব ছিল ব্যাপক। এপর্যন্ত মৃত্যু হিয়েছে অনেকের। রাজ্যের শাসক বনাম বিরোধীদের এই ডেঙ্গির সংক্রমণ নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তবুও ভাঙছে না প্রশাসনের ঘুম।

    মৃতের পরিচয় (North 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গির সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বারসতের (North 24 Parganas) রথতালার বাসিন্দা পৃথ্বীরাজ দাসের। তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। জানা গিয়েছে এই পড়ুয়া কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় ছাত্রের। ওই ছাত্রের মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গির শক সিনড্রোমের কথা বলে জানানো হয়েছে। এলাকার প্রতিবেশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, “এলাকায় প্রচুর মশার উৎপাত। পুরসভা থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।”

    স্বাস্থ্য ভবনের বক্তব্য

    স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে কোনও রোগীদের অকারণে অপ্রয়োজনে প্লেটলেট দেওয়ার কারণে অসংখ্য রোগীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। আর এর ফলে রোগীদের প্রাণ সঙ্কটাপন্ন হচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে, এর প্রভাবে রোগীদের মধ্যে অনেকের হার্টে অ্যাটাক হচ্ছে। সেই সঙ্গে ফুসফুসে জল জমে মারাও যাচ্ছে অনেক মানুষ। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ভবন আরও জানিয়েছে ঘটনাগুলির বেশির ভাগটাই বেসরকারি হাসপাতালেই ঘটছে।

    বিশেজ্ঞদের বক্তব্য

    চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গি রোগীদের ক্ষেত্রে শরীরে জল শূন্যতা একটি প্রধান সমস্যা। ডেঙ্গিতে রক্তের মধ্যে অণুচক্রিকা প্রবল হারে কমে যায়। রক্ত বাহিকা থেকে রক্তরস বা প্লাজমা লিক করে বের হলে রক্ত আরও ঘন হয়ে যায়। আর ফলে রোগীকে স্যালাইন দিতে হয়। তবে রোগীকে কখন প্লেটলেট দিতে হবে এই বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে সরকারি নির্দেশিকাকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন জেলার জনস্বাস্থ্য আধিকারিক। বারসতের (North 24 Parganas) রোগীর ক্ষেত্রে তাই ঘটতে পারে বলে জানান তিনি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vijay Diwas 2023: ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয়দের অবদান অনস্বীকার্য, বললেন বাংলাদেশি সেনা-কর্তা

    Vijay Diwas 2023: ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয়দের অবদান অনস্বীকার্য, বললেন বাংলাদেশি সেনা-কর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামরিক ব্যান্ডের সুরের মুর্চ্ছনায় ও আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টির মধ্য দিয়ে শহিদ স্মরণ করল ভারতীয় সেনা। 

    ১৯৭১ সালে পাকিস্কানের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধ জয় (1971 Indo Pak War) এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের বর্ষপূর্তি প্রতি বছর এই সময় পালিত হয়ে থাকে (Vijay Diwas 2023) । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয়েছিল ভারতও। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ রেখে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল ভারতীয় ফৌজ। সেই লড়াইয়ে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, প্রতি বছর এই দিনটিতে তাঁদের স্মরণ করা হয় ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দফতরে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। 

    শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন

    শুক্রবার সকালে, কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে এক ছিমছাম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হল ৫২ তম বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2023)। এদিন শহিদ জওয়ানদের স্মৃতিসৌধ বিজয় স্মারকে পুষ্পস্তবক রেখে বীরদের স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা। উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর তিন বাহুর বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্তারা। এদিন বিজয় স্মারকে পুষ্পস্তবক প্রদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকারীদের মধ্যে ছিলেন কলকাতার নগরপাল কমিশনার বিনীত গোয়েল, জিওসি বেঙ্গল সাব-এরিয়া মেজর জেনারেল এইচ ধর্মরাজন, চিফ-অফ-স্টাফ হেডকোয়ার্টার ইস্টার্ন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি শ্রীকান্ত, প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল (অবসরপ্রাপ্ত) অরূপ রাহা, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শঙ্কর রায়চৌধুরী প্রমুখ। 

    ৭১ জনের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল ভারতে

    প্রতি বছরের মতো এবছরও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিদল এসেছে ভারতে (Vijay Diwas 2023) । এবছর ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ৬ জন কর্মরত অফিসার সমেত মোট ৭১ জন প্রতিনিধি বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। এদিন বিজয় স্মারকে (1971 Indo Pak War) পুষ্পস্তবক প্রদান করেন মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশি সেনাও। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন মহম্মদ মোমিনউল্লাহ পাটওয়ারি। বাংলাদেশি সেনা থেকে আসা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল মহম্মদ হোসিন আল মোরশেদ। এদিনের অনুষ্ঠানের শেষে সেনা এভিয়েশন কোরের হেলিকপ্টার থেকে বিজয় স্মারক স্থলে আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়। 

    ভারতের অবদানকে স্বীকৃতি বাংলাদেশ সেনার

    বিজয় দিবস নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে (1971 Indo Pak War) ভারতের বিরাট অবদানের কথা স্মরণ করেন সেনা কমান্ডার আরপি কলিতা। তিনি বলেন, ভারতই ছিল প্রথম দেশ যে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিল (Vijay Diwas 2023)। তিনি মনে করেন, ভারতের ওই পদক্ষেপের ফলে পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভীষণ মজবুত হয়েছে। বাংলাদেশি সামরিক কর্তা মেজর জেনারেল মহম্মদ হোসিন মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও ভারতীয়দের অবদানের কথা স্বীকার করেন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: গাজোল-হিলি রাস্তা সম্প্রসারণ নিয়ে সংসদে পরিবহণ মন্ত্রীর দ্বারস্থ সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: গাজোল-হিলি রাস্তা সম্প্রসারণ নিয়ে সংসদে পরিবহণ মন্ত্রীর দ্বারস্থ সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এবার প্রত্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে ফের একবার সংসদে সরব হলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শুক্রবার লোকসভায় গাজোল-হিলি ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ফোর বা সিক্স লেনে সম্প্রসারণ বিষয় নিয়ে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন সুকান্ত। গাজোল-হিলি ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের বিষয়টি কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, সড়ক সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না সেই সব জানতে চান তিনি। দ্রুত এই রাস্তা সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন সুকান্ত।

    রাস্তা সম্প্রসারণ না হওয়া নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    গাজোল-হিলি ৫১২ জাতীয় সড়ক ফোর লেন করার ঘোষণা অনেক আগেই কেন্দ্রের তরফে করা হয়েছিল। এর জন্য প্রায় ২১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ঘোষণার পর এখনও কাজ শুরু হয়নি রাস্তা সম্প্রসারণের। এমতাবস্থায় পার্লামেন্ট এই রাস্তা সম্প্রসারণ নিয়ে প্রশ্ন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু করার আবেদন তিনি জানিয়েছেন। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ নীতিন জয়রাম গডকড়ি বলেন, গাজোল-হিলি ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। যার কারণে কাজ এখনও শুরু হয়নি বা কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে।

    রাস্তা সম্প্রসারণ না হওয়ার জন্য রাজ্যকে দায়ী করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, গাজোল-হিলি ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ৪ অথবা ৬ লেন করার যে ঘোষণা করা হয়েছিল, সেটা কী পর্যায়ে রয়েছে, তা জানতে পার্লামেন্টে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী কাছে প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার জন্য এখনও জমি অধিগ্রহণ হয়নি। যার ফলে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ দেরি হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mumbai Mail: কাপলিং খুলে বিপত্তি মুম্বই মেলে, দুটি কামরা নিয়ে ছুটল ইঞ্জিন

    Mumbai Mail: কাপলিং খুলে বিপত্তি মুম্বই মেলে, দুটি কামরা নিয়ে ছুটল ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে ফরাক্কা স্টেশনের কাছে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস চালকের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। রেল লাইনের ওপরে উঠে যায় ট্রাক। চালক জুরুরি ব্রেক কষায় চাকায় আগুল লেগে যায়। তবে, এই ঘটনার জের মিটতে মিটতেই অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল মুম্বই মেল (Mumbai Mail)। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার বীরশিবপুর স্টেশনে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mumbai Mail)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত প্রায় সাড়ে ন’টা নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব রেলে উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে আপ মুম্বই মেল (Mumbai Mail) ছাড়ে। ছাড়ার ঠিক পরেই ট্রেনের কাপলিং খুলে যায় বীরশিবপুর স্টেশনের কাছে। ট্রেনের কাপলিং খুলে দু’টি কামরা নিয়েই গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় মুম্বই মেল। বাকি কামরা পড়ে থাকে বীরশিবপুর স্টেশনেই। এই দুর্ঘটনার ফলে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার আপ লাইনে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। যাত্রী দুর্ভোগ চূড়ান্ত। অবশেষে চার ঘণ্টারও বেশি সময়ের প্রচেষ্টার পর রাত দেড়টা নাগাদ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় মুম্বই মেলটি। যাত্রীরা বলেন, জোরে শব্দ করে ট্রেনটি কিছু দূর গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। আচমকা ট্রেন কেন দাঁড়িয়ে গেল দেখতে দেখি, ট্রেনের দুটি কামরা সহ ইঞ্জিন নেই। যদিও  দু’টি কোচ নিয়ে ইঞ্জিন এগিয়ে গিয়ে থেমে গিয়েছে। বাকি কামরাগুলো পিছনেই রয়ে গিয়েছে। ফলে, চরম আতঙ্কিয় হয়ে পড়েছিলাম। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে খবর পেয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে এসে কাপলিং মেরামতের কাজ শুরু করেন।

    রেল আধিকারিক কী বললেন?

    দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারি আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন,  এই দুর্ঘটনার ফলে ট্রেন চলাচলে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। আর কাপলিং খুলে গেলেও বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ অটোমেটিক ব্রেক লক হয়ে যায়। রেল কর্মীরা গিয়ে দ্রুত মেরামতির কাজ করেছেন। তবে কী ভাবে এবং কেন এই ঘটনা ঘটল তা জানতে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: কলকাতার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি! কনকনে ঠান্ডা পশ্চিমে, কতদিন থাকবে শীতের দাপট?

    Weather Update: কলকাতার তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি! কনকনে ঠান্ডা পশ্চিমে, কতদিন থাকবে শীতের দাপট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত পড়েছে শহরে। হাসি ফুটেছে শীতবিলাসীদের মুখে। শনিবার ফের ১৪ ডিগ্রির ঘরে নামল কলকাতার তাপমাত্রা। ভোর থেকেই ঠান্ডা হাওয়ার দাপট আর পরিষ্কার আকাশের কারণে শীতের আমেজ ভরপুর শহরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার এখনও পর্যন্ত মরশুমের শীতলতম দিন। আরও বেশ কিছুদিন শীত চলবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Update)।

    এখনও পর্যন্ত শীতলতম

    আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Update) বলছে আগামী সপ্তাহে আরও নামবে পারদ। মঙ্গল ও বুধবার তাপমাত্রা আরও দু ডিগ্রি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার লম্বা শীতের স্পেল জারি থাকবে বাংলায়। কলকাতায় আজ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে নিচে। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখনও পর্যন্ত মরশুমের শীতলতম। দিনের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কমে ২৪.৬ ডিগ্রি। আজ, সারাদিন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৩ থেকে ৯৪ শতাংশ। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা নামল ১০ বা ৯ এর ঘরে।

    ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা

    তবে, মৌসম ভবন জানাচ্ছে, আরব সাগরে ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালনের জেরে ১৬ ডিসেম্বর, শনিবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রভাব ফেলবে দেশের আবহাওয়ায়। তবে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পেরিয়ে গেলেই আগামী ২০ ডিসেম্বর বুধবার থেকে রাজ্যে রাজ্যে আরও বেশি পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। মোটের উপর শীতের অনুকূল পরিস্থিতি সারা দেশেই। আগামী কয়েকদিনে উত্তর ভারত, মধ্য ভারত ও পূর্ব ও পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা কমবে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের সমতলের রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে।

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    দার্জিলিং ও কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকা ছাড়া আর কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। ফের তুষারপাতের সম্ভাবনা সিকিমে এবং তার প্রভাব পড়তে পারে দার্জিলিংয়ের উঁচু এলাকায়। সোম মঙ্গলবার তুষারপাতের সম্ভাবনা বেশি। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। সিকিমেও কুয়াশার প্রভাব বজায় থাকবে। কুয়াশার সম্ভাবনা প্রবল পার্বত্য জেলা ও কোচবিহারে। তুষারপাত ও হালকা বৃষ্টির পর উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা এবার ক্রমশ  নিম্নমুখী। সমতলের জেলাগুলিতে মঙ্গল, বুধবার পর্যন্ত তাপমাত্রা একই রকম থাকবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Haldia: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Haldia: “মোদিজির পা ধরে লাভ নেই, কিছুই পাবেন না”, দিল্লিতে বৈঠকের আগে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২০ ডিসেম্বর, সকাল ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সময় দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রের কাছে বড় অঙ্কের বকেয়া দাবি করে বঞ্চনার রজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন বার বার। সেই প্রেক্ষাপটে ওই বৈঠকে বকেয়া নিয়েই আলোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। তার আগে এই বৈঠক নিয়ে মমতাকে কটাক্ষবাণে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার হলদিয়ার (Haldia) এক সভা থেকে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, মমতার আশা আদৌ পূরণ হবে না। তিনি সরাসরি আক্রমণ হেনে বলেন, “মোদিজির পায়ে ধরে লাভ নেই। কিছুই পাবেন না।” শুভেন্দুর সংযোজন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনও মুখ্যমন্ত্রী সময় চাইলে উনি দেবেন, এটাই সৌজন্য। কিন্তু এভাবে দরবার করে কোনও আর্থিক সাহায্য মিলবে না।

    টাকা ফেরত পাবেন, আশ্বাস শুভেন্দুর (Haldia)

    শুভেন্দু এদিনের সভা থেকে আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করেন। তৃণমূলের ক্যাডাররা যেভাবে বিভিন্ন প্রকল্পে মানুষকে বঞ্চিত করে নিজেদের আখের গুছিয়েছে, তা নিয়ে সরব হন তিনি। বলেন, “সব চোর জেলে যাবে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল, জনগণের টাকা যারা মেরেছে, তাদের জেলে পোরা।” বঞ্চিত এবং হতাশ মানুষকে আশার কথাও শুনিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, “আপনারা সব কাগজ গুছিয়ে রাখবেন। সব টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আবাস যোজনায় চোরেদের নাম কেটে প্রকৃত উপভোক্তার নাম ঢোকাতে হবে।” এদিন তিনি ঘোষণা করেন, আগামী ২০ ডিসেম্বরও শাসক দলের অন্যায় এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। উল্লেখ্য, সতীশ সামন্তর জন্ম বার্ষিকীতে এদিন দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল হলদিয়ায় (Haldia)।

    তৃণমূলকে সরিয়ে দিল পুলিশ (Haldia)

    এদিনই আর একটি উলট পুরাণের সাক্ষী থাকল হলদিয়া (Haldia)। বিজেপির সভামঞ্চের কাছেই দু’দিন ধরে ধর্না কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিল তৃণমূল। শুক্রবার আচমকাই তাদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এই ধর্নার জন্য পুলিশের কোনও অনুমতি ছিল না বলে প্রশাসনের বক্তব্য। যদিও এই বিষয় নিয়ে এদিন শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোটে। তাই কি আদালতের তিরস্কার আটকাতেই আগেভাগে অতি সক্রিয়তা দেখালো পুলিশ? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের এই নজিরবিহীন পদক্ষেপে আদালত অবশ্য সন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছেন, এই ধরনের সমস্যায় পুলিশকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বহু বছর পর তিনি দেখলেন, তারা এই ধরনের ব্যাবস্থা নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anup Ghoshal: কণ্ঠহারা গুপী! প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল

    Anup Ghoshal: কণ্ঠহারা গুপী! প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী অনুপ ঘোষাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার অনুপ ঘোষাল। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮। শুক্রবার কলকাতায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নজরুলগীতির জন্যই সঙ্গীত জগতে সুনাম কুড়িয়েছিলেন অনুপ ঘোষাল। নজরুলগীতি ছাড়াও ঠুমরি, খেয়াল, ভজন, রাগপ্রধান, রবীন্দ্র সঙ্গীত, দ্বিজেন্দ্রগীতি, রজনীকান্তের গান, আধুনিক বাংলা গান এবং লোকগীতিতে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। তবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘হীরক রাজার দেশে’র মতো ছবিতে গান গেয়ে পেয়েছিলেন বিশ্বজোড়া খ্যাতি।

    গুপীর গানের নেপথ্যে

    মায়ের উৎসাহেই মাত্র চার বছর বয়সে অনুপ ঘোষালের সঙ্গীতের তালিম শুরু হয়। শিল্পীর যখন ১৯ বছর বয়স তখন সত্যজিৎ রায়ের নজরে পড়েন। এর ফলে সৃষ্টি হয় “ভূতের রাজা দিল বর”-এর মতো কালজয়ী গান। ১৯৮০ সালে মুক্তি পায় ‘হীরক রাজার দেশে’। ১৯৮১ সালে ‘হীরক রাজার দেশে’র জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান তিনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে তাঁকে ‘নজরুল স্মৃতি পুরস্কার’ ও ২০১৩ সালে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ প্রদান করে। তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, “অনুপ ঘোষালের প্রয়াণে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি অনুপ ঘোষালের আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল

    অন্য ভাষায় গান

    শুধু বাংলাতেই নয়, হিন্দি, ভোজপুরি ও অসমিয়া ভাষাতেও গান গেয়েছেন তিনি।  ‘মাসুম’ ছবির ‘তুঝসে নারাজ নহি জিন্দেগি’ আজও কেউ ভুলতে পারেননি। তপন সিনহা পরিচালিত ‘সাগিনা মাহাতো’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথমবার সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে কাজ করেন। দেবব্রত বিশ্বাসের কাছ থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতের শিক্ষা নিয়েছিলেন তিনি। হিউম্যানিটিজ নিয়ে আশুতোষ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন শিল্পী। পরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকত্তর ও পিএইচডি করেন। সঙ্গীতজগতের পাশাপাশি অনুপবাবু পা রেখেছিলেন রাজনীতিতেও। ২০১১ সালে তৃণমূলের হয়ে উত্তরপাড়া বিধানসভায় বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে ওই একবারই ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)! দেশের শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে গেল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আবেদন। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর আর্জি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের শুনানি পর্বের রিপোর্ট প্রকাশের ওপর জারি করা হোক নিষেধাজ্ঞা। অভিষেকের এই আবেদনই শুক্রবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

    কী বলেছিলেন বিচারপতি সিনহা?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার? তদন্তে নাম জড়ায় অভিষেকের সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র। এই সংস্থার সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সম্প্রতি একটি মুখবন্ধ খামে পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় ইডি। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “সম্পত্তির পরিমাণ কম হলে কি এত নথি জমা পড়ত? এসব সম্পত্তির জন্য আয়ের উৎস কী তা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে?” বিচারপতি সিনহা এও বলেছিলেন, “দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ সম্পত্তিই হয়েছে ২০১৪ সালের পর। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারি। এই ব্যপারটা কি তদন্ত করে দেখা হয়েছে?”

    অভিষেকের আবেদন

    বিচারপতি সিনহার সেই পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। তৃণমূল নেতার আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, “এই ধরনের পর্যবেক্ষণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় সম্মানহানি হচ্ছে তাঁর মক্কেলের (Abhishek Banerjee)।” কলকাতা হাইকোর্টের যে বেঞ্চে বর্তমানে মামলাটি রয়েছে, সেখানে থেকে মামলাটি সরানোর আর্জিও জানানো হয়। অভিষেকের সেই আর্জিও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার মন্তব্য, “যদি প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের আপত্তি জানাতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’কে নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার রিপোর্টটি জমা দেওয়া হয় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র বিস্তারিত নথি আদালতে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এই সংস্থার ডিরেক্টরদের নাম, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ এবং সংস্থার লেনদেন, গ্রাহক কারা, সিইওর সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য, সংস্থার কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়ার (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Parliament Security Breach: বাগুইআটিতে ললিতের দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ, থাকত পরিবারও, কী বলছে ভাই?

    Parliament Security Breach: বাগুইআটিতে ললিতের দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ, থাকত পরিবারও, কী বলছে ভাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই সংসদ হামলার (Parliament Security Breach) অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা-র বাংলা যোগের প্রমাণ মিলেছিল। এবার বাগুইআটিতে মিলল দ্বিতীয় বাড়ির হদিশ। জানা গিয়েছে, বাগুইআটির হেলা বটতলার পালপাড়াতে তিন বছর ধরে পরিবারের সঙ্গেই ভাড়া থাকত ললিত। তবে ললিত যে এমন কাজ করতে পারে তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি প্রতিবেশীরা। ভালো ছেলে বলেই পরিচিত ছিল ললিত। জানা যায়, সংসদ ভবনে হানার দিন বাইরে নীলম এবং আনমোল যখন স্লোগান দিচ্ছিল, তখন তা ভিডিও করে ললিত। এরপরে রাজস্থানের উদ্দেশে রওনা দেয় সে। সেখানে ললিতকে (Parliament Security Breach) সাহায্য করে মহেশ ও কৈলাস নামে দুই ব্যক্তি। তাদেরকেও আটক করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। মূলত তাদের সহায়তেই রাজস্থানের হোটেলে থাকে ললিত। শুক্রবার ললিতকে পাতিয়ালা কোর্টে তোলা হলে, বিচারক তাকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    ১০ ডিসেম্বর পরিবার যায় বিহারে, থেকে যায় ললিত

    প্রতিবেশীদের দাবি, গত ১০ ডিসেম্বর ললিতের বাবা-মা এবং ভাই বিহারে চলে যায়। ললিত কিন্তু পালপাড়াতে থেকে গিয়েছিল। যাওয়ার আগে সে প্রতিবেশীদের জানায় কয়েক দিনের মধ্যে সে ফিরে আসবে। এক প্রতিবেশীর মতে, সেখানে তারা (ললিতের পরিবার) অনেকদিন ধরেই ভাড়া থাকত এবং স্থানীয় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াত ললিত। এর পাশাপাশি বাচ্চাদের টিউশনিও দিত সে। বাড়িতে সন্দেহভাজন সেরকম কেউ আসত না বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সংসদ ভবনে হামলার অভিযোগে এখনো পর্যন্ত সকল অভিযুক্তকে (Parliament Security Breach) গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই সেদিন চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয় বিশাল শর্মাকে। বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ললিত।

    কী বলছে ললিতের ভাই?

    ললিতের ভাই সোনু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, দশ ডিসেম্বর শিয়ালদা স্টেশনে তাদেরকে রওনা করতে এসেছিল ললিত। সেদিনই তারা (ললিতের পরিবার) বিহারে পৈতৃক বাড়িতে ফিরে যায়। তখনই তাদের সঙ্গে শেষ দেখা হয় ললিতের। তারপর ১১ ডিসেম্বর ফোনে কথা হয়। তখন ললিত (Parliament Security Breach) বলে যে সে দিল্লিতে যাবে। জানা গিয়েছে, ললিতের বাবা পেশাতে পুরোহিত এবং পূজা-অর্চনা করেন। ললিতের বাকি দুই ভাই দোকানে কাজ করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share