Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) ঘর থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকবে সিআরপিএফ। মন্ত্রীর ঘরে কারা ঢুকছেন, বেরচ্ছেনই বা কারা, এবার থেকে তা নজরদারি করবে সিআরপিএফ। ব্যবহার করতে হবে রেজিস্টার খাতা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘরে যে ক্যামেরা লাগানো রয়েছে, তা খুলে ফেলার নির্দেশও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে আদালত।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে!

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ভর্তি রয়েছেন রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে। মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে ইডি। এর পরেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে বলে আদালতে মামলা করেন মন্ত্রী। তার জেরেই এদিন মন্ত্রীর কেবিন থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ

    বিচারপতি ঘোষের নির্দেশ, মন্ত্রীর ঘরে কোনও সিসি ক্যামেরা রাখা যাবে না। তবে রুমের বাইরে সিসি ক্যামেরা আগে থেকে লাগানো থাকলে, তদন্তের স্বার্থে তার ফুটেজ দেখতে পারবেন ইডির তদন্তকারী অফিসার। সিসি ক্যামেরার পরিবর্তে মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। মন্ত্রীর ঘরে যাঁরা যাতায়াত করবেন, তাঁদের প্রত্যেকের গতিবিধি নথিভুক্ত করতে হবে রেজিস্টার খাতায়। 

    রাজ্য পুলিশকে চিঠি ইডির

    এদিকে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Jyotipriya Mallick) মামলায় তদন্তে নেমে ইডি জেনেছে, রেশন ব্যবস্থায় অনিয়ম সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও, সেভাবে তদন্ত হয়নি। তদন্তকারীদের বিশ্বাস, এই অভিযোগগুলির তদন্ত হলে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির হদিশ মিলবে। তাই রাজ্য পুলিশকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে ইডি জানিয়েছে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে কলকাতা পুলিশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিশের কাছে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তার বিস্তারিত তদন্ত হয়নি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত করা প্রয়োজন। চিঠিতে এও বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রেশন কেলেঙ্কারির জাল। এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ কিংবা সাহায্যের প্রয়োজন হলে ইডি তা (Jyotipriya Mallick) করতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • CV Anand Bose: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল

    CV Anand Bose: বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা, সাফ জানালেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবসান রাজভবন-নবান্ন বিতর্কের! উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবন যে আর নতুন করে কোনও বিতর্ক চায় না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) সম্প্রতি সল্টলেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পরে তিনি বলেন, “উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নতুন করে আর কোনও বিতর্ক চায় না রাজভবন। এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মতি জানাবে রাজভবন।”

    চিঠিতে কী বলেছেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই রাজভবনের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আচার্য তথা রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান হিসেবে কোর্ট অথবা সেনেট বৈঠকে পৌরহিত্য করতে পারেন। অথবা উপাচার্যকে ওই বৈঠক ডাকার সম্মতি দিতে পারেন। ওই নির্দেশে এও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিধি ১৯৭৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিরোধী বলেই মনে করা হচ্ছে।

    ১৯৭৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইন

    এদিকে, জট কাটিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়, তা নিয়েও আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে খোলা চিঠি দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটা। শিক্ষা মহলের মতে, ১৯৭৯ সালে আইন প্রসঙ্গে রাজভবন থেকে যা বলা হচ্ছে, তা স্থায়ী উপাচার্যদের ক্ষেত্রে (CV Anand Bose) প্রযোজ্য হলেও, অন্তবর্তী উপাচার্যদের ক্ষেত্রে নয়। তাই উচ্চ শিক্ষা দফতরের নিষেধ অগ্রাহ্য করে বৈঠক ডাকা হলে, বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা।

    আরও পড়ুুন: ললিতের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সেলফি, লোকসভাকাণ্ডে ‘প্রমাণ’ দিলেন সুকান্ত!

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালের অন্তর্বর্তী উপাচার্য কর্মসমতির বৈঠক ডেকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত পাশ করিয়ে নেয়। ছাত্র স্বার্থ রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এর পরেই রাজ্যপালের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, বৈঠক ডাকতে পারেন অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা।

    উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে সম্প্রতি নবান্ন-রাজভবন বিবাদ চরমে পৌঁছেছিল। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। রাজ্যের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা কর্মসমিতির বৈঠক পারবেন না। রাজ্যের (CV Anand Bose) তরফে এই নির্দেশ পেয়ে কলকাতা সহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা একাধিকবার বৈঠক ডেকেও পরে তা বাতিল করে দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: ললিতের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সেলফি, লোকসভাকাণ্ডে ‘প্রমাণ’ দিলেন সুকান্ত!

    Parliament Security Breach: ললিতের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সেলফি, লোকসভাকাণ্ডে ‘প্রমাণ’ দিলেন সুকান্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) সঙ্গে উঠল তৃণমূল যোগের অভিযোগ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, সংসদে তাণ্ডবের মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা দীর্ঘদিন ধরে বিধায়ক তৃণমূলের তাপস রায়ের ঘনিষ্ঠ।

    কী বললেন সুকান্ত?

    বক্তব্যের স্বপক্ষে তাপসের সঙ্গে ললিতের ছবিও শেয়ার করেছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। একই অভিযোগ করেছেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে এক ফ্রেমে বন্দি ললিতের ছবিও দেখিয়েছেন লকেট। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। বিজেপির জোড়া সাংসদের এই একই দাবিকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। লকেট যেখানে সাংবাদিক বৈঠক করে তাপসের সঙ্গে ললিত যোগের ‘প্রমাণ’ দিচ্ছেন (Parliament Security Breach), তখন এক্স হ্যান্ডেলে বিধায়কের সঙ্গে ললিতের ছবি শেয়ার করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    ‘সেদিনের রাজনীতিক’ আখ্যা

    ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “ললিত ঝা, আমাদের গণতন্ত্রের মন্দিরে আঘাত হানার মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তাপস রায়ের দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।…এটা কী তদন্তের জন্য প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ঠ নয়?” বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাপস। তাঁর দাবি, ললিত ঝা-কে তিনি চেনেনই না। সুকান্তকে ‘সেদিনের রাজনীতিক’ আখ্যা দিয়ে তাপস বলেন, “এটা ওঁকে প্রমাণ করতে হবে, নাহলে ওঁর সঙ্গে আমার দেখা হবে আদালতে।”

    এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লিখেছেন, “এ পর্যন্ত এই পুরো এপিসোডে যারা যুক্ত, তাদের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই (মাওবাদী) এবং এখন তৃণমূলের লিঙ্ক রয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, বুধবার অধিবেশন চলাকালীন লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই হানাদার। ‘স্মোক গ্রেনেড’ ছড়িয়েও দেয় তারা। শেষমেশ তাদের পাকড়াও করে লোকসভারই দুই সাংসদ। তুলে দেওয়া হয় মার্শালদের (Parliament Security Breach) হাতে।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর নিরাপত্তায় বিস্তর ত্রুটি! রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রেলের

    Indian Railways: বর্ধমান স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান স্টেশনে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল ভারতীয় রেল (Indian RailWay)। মৃতদের পরিবার পাবে পাঁচ লাখ টাকা, গুরুতর আহতরা পাবেন পঞ্চাশ হাজার টাকা। একথা সংবাদমাধ্য়মকে জানিয়েছেন মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। গত বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ বর্ধমান স্টেশনে দুই এবং তিন নম্বর প্লাটফর্মের উপরে থাকা জলের ট্যাঙ্ক ফেটে যায়। উপরের জলের স্রোত এবং ট্যাঙ্কের একাংশ ভেঙে পড়ে প্লাটফর্মের (Indian RailWay) সেটের ওপর। সেই সেটের নিচে অসংখ্য যাত্রীর দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের মাথার ওপরেই ভেঙে পড়ে সেই শেড। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে তিনজন মৃত ব্যক্তি হলেন সোনারাম টুডু, কান্তি বাহাদুর এবং মফিজা খাতুন। সোনারাম টুডুর বাড়ি ঝাড়খণ্ডে, বাকি দুজনে পূর্ব বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। মোট আহতের সংখ্যা ২৭ জন।

    ১৮৯০ সালে তৈরি ট্যাঙ্ক পরিষ্কার হতো নিয়মিত

    এই ঘটনা নিয়ে পূর্ব রেল আরও জানিয়েছে যে, ১৮৯০ সাল নাগাদ দুই এবং তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের (Indian RailWay) উপরে এই জলের ট্যাঙ্ক নির্মাণ করা হয়েছিল। রেলওয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেও এই ট্যাঙ্কটিকে পরিষ্কার করা হয়েছে। রেলের জনসংযোগ আধিকারিক এও জানিয়েছেন যে নিয়মিত জলাধারকে রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো। কিন্তু তারপরও কেন এই ঘটনা ঘটলো তা বোঝা যাচ্ছে না। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রেলের তরফে একটি তদন্ত কমিটিও গড়া হয়েছে।

    ২ লাখ লিটার জল ধরতো ট্যাঙ্কটিতে

    রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জলের ট্যাঙ্কটিতে ৫৩ হাজার ৮০০ গ্যালন পরিমাণ জল ধরতো। অর্থাৎ ২ লাখ লিটারেরও বেশি জল থাকতো ওই ট্যাঙ্কে। রেল (Indian RailWay) সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ২ তারিখেও ওই ট্য়াঙ্ক পরিষ্কার করা হয়েছে। অর্থাৎ দুঃখজনক এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল যেভাবে রাজনীতি করছে, এটা যে সঠিক নয়, তার প্রমাণ মিলল রেলের দেওয়া তথ্যে। নিয়মিতভাবেই রক্ষণাবেক্ষণ করা হতো ট্যাঙ্ক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর নিরাপত্তায় বিস্তর ত্রুটি! রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর নিরাপত্তায় বিস্তর ত্রুটি! রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তায় ফাঁক রাখছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রিপোর্ট জমা দেওয়ার ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    তাঁর নিজের নিরাপত্তায় ফাঁক থাকার অভিযোগে রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে সেই মামলা ওঠে। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা দিয়ে থাকে। শুভেন্দু অধিকারীরর আইনজীবীরা অভিযোগ জানিয়েছেন, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতার পদ ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল্য। সেক্ষেত্রে শুভেন্দুর আইনজীবীদের বক্তব্য, বিরোধী দলনেতার পাইলট কার পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে নানাভাবে পুলিশি হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকী বিরোধী দলনেতার কনভয়ে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানদের সঙ্গেও কোনওরকম সহযোগিতা করা হয় না বলেও অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: ৩০ হাজারের বিনিময়ে সদ্যোজাতকে হস্তান্তর! কলকাতায় শিশুপাচার চক্রের হদিশ

    কী বলল আদালত

    আদালত (Calcutta High Court) বিষয়টি শুনে রাজ্য সরকারের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন, আাগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এব্যাপারে রাজ্য সরকারকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কী কী নিরাপত্তা পাওয়ার কথা এবং বর্তমানে তাঁকে কী কী নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে? সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আদালতে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৮ নভেম্বর রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Child Trafficking Case: ৩০ হাজারের বিনিময়ে সদ্যোজাতকে হস্তান্তর! কলকাতায় শিশুপাচার চক্রের হদিশ

    Child Trafficking Case: ৩০ হাজারের বিনিময়ে সদ্যোজাতকে হস্তান্তর! কলকাতায় শিশুপাচার চক্রের হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ের কোল থেকে চুরি করে মাত্র ২৮ দিনের কন্যা সন্তানকে বিক্রি (Child Trafficking Case) করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার দাদু-দিদার বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর থানা (Anandapur Child Traffing) এলাকায়। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় পুলিশ সদ্যজাতের দাদু চুন্নু ও দিদা অলোকা ছাড়াও শিখা মুখোপাধ্যায়, পূর্ণিমা মণ্ডল, চৈতালি চক্রবর্তী-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা তিনজনই মিডলম্যান বা দালাল। এদিনই ধৃতদের আলিপুর কোর্টে তোলা হয়। ধৃতদের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    তদন্তে পুলিশ

    বুধবার রাতেই শিশুসন্তান নিখোঁজ বলে আনন্দপুর থানায় (Anandapur Police Station) অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিশু কন্যার মা ১৯ বছরের নীলম কুমারী। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামেন আনন্দপুর (Anandapur) থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে জেরার সময় ওই শিশু-কন্যার দাদুর কথায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করে পুলিশ। তারা বুঝতে পারে, শিশুটিকে কোথাও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আর এই ব্যাপারে জড়িত অভিযোগকারিণীর বাবা ও সৎ মা। শেষ পর্যন্ত পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে তারা। পুলিশ জানতে পারে, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযুক্ত চুন্নু দাস এবং তাঁর স্ত্রী অলকা সরদার ২৩ দিনের সদ্যজাত শিশুকন্যাকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।

    আরও পড়ুন: গীতা পাঠে আসছেন মোদি, শনিবার শুরু মঞ্চ বাঁধার কাজ, নজরুলগীতি দিয়ে সূচনা অনুষ্ঠানের

    উদ্ধার সদ্যজাত

    নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার পাঁচপোতার বিশ্বাসপাড়া থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। বছর ৪০-এর চৈতালি চক্রবর্তীর কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে তাকে হোমে পাঠানো হয়। এরপর যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় সদ্যজাতকে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জন মিডলম্যানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনজনই মহিলা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে যে আরও বড় চক্রের যোগ আছে, তা পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। আনন্দপুরে এই শিশু বিক্রির (Child Trafficking Case) ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও আনন্দপুর থানা এলাকায় শিশু পাচারের অভিযোগ ওঠে। গত ১ অগাস্ট ২২ দিনের শিশুকন্যার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় মা-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করা হয়নি! বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালালেন তৃণমূল নেতার ছেলে

    Malda: জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করা হয়নি! বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালালেন তৃণমূল নেতার ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলের দাদাগিরি। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হতেই শোরগোল মালদা (Malda) জেলা জুড়ে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। প্রতিবেশী আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে সদ্য প্রসূতিকে মারধর ও ভাঙচুর করার অভিযোগ। বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় দলবল নিয়ে হামলা করার অভিযোগে নাম জড়াল মালদার পুরাতন মালদা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদীর ছেলে সুতিম ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে।

    কেন হামলা? (Malda)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদা (Malda) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী অমরেশ দত্তের ছোট ছেলে অভিষেক দত্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলেকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। এটাই অপরাধ।  সেই জন্মদিনে অনুষ্ঠানে আইনজীবীর বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত ও তার স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়রা আসেন। হঠাৎ অতর্কিতভাবে তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলে সুতিম ত্রিবেদী দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। অভিষেক দত্ত নামে আক্রান্ত যুবক বলেন, আমার জন্মদিনে কেন নিমন্ত্রণ করা হয়নি তা জানতে চান। আমি নিমন্ত্রণ করিনি বলে ঝামেলা করা শুরু করে। বাড়িতে থাকা সমস্ত খাবার ফেলে দেয়। আমাদের উপর চড়াও হয়। তৃণমূল নেতার ছেলে বলে যা খুশি করবে। জানা গিয়েছে, আইনজীবীর বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী মন্ডলকে বাবার বাড়িতে রেখে আসলে, সেখানে গিয়ে রাত্রি ১ টা নাগাদ প্রথমে পেটে লাথি ও চুলের মুঠি ধরে তাঁর স্ত্রী কে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আরে এই গোটা ঘটনা নিয়ে মালদা থানায় দারস্থ হয়েছেন আইনজীবীর পরিবার।  অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদা থানার পুলিশ।

    তৃণমূল কাউন্সিলার কী সাফাই দিলেন?

     এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদী বলেন, মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে আমার ছেলের বিরুদ্ধে। এরকম কোনও ঘটনায় ঘটেনি। ওইদিন রাতে সেখানে একজন পুরসভার অস্থায়ী কর্মী মারা গিয়েছিল, সে কারণে গোটা এলাকা শোকোস্তব্ধ ছিল। যারা অভিযোগ করছে তারাই মাইক বাজিয়ে সেখানে পার্টি করছিল। আর তাতেই স্থানীয়রা বাধা দিতে যায় এবং গন্ডগোল হয়। এখন আমার ছেলের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছে, অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে আইন আইনের পথে চলবে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

     যদিও পাল্টা সাফাই জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসুর, ঘটনাটি শুনেছি। প্রশাসনিক যদি কোনও অভিযোগ হয়ে থাকে, তাহলে দলের যে কোনও স্তরের নেতা কর্মী যাই হোক না কেন প্রশাসন সঠিক ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই ঘটনাকে নিয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে মালদা (Malda)  বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অনুষ্ঠানে কে কাকে ডাকবে সে তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, সেখানে গিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলার এর ছেলের এই সমস্ত করাটা ঠিক হয়নি। আসলে তৃণমূলের এটাই কালচার। সারা রাজ্য জুড়ে চলছে। অভিযোগ হয়েছে পুলিশ তদন্ত করবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: সংসদ হানার মাথা ললিত ভিডিও পাঠায় হালিশহরের নীলাক্ষকে! কে এই যুবক?

    Parliament Security Breach: সংসদ হানার মাথা ললিত ভিডিও পাঠায় হালিশহরের নীলাক্ষকে! কে এই যুবক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে (Parliament Security Breach) স্মোক গ্রেনেড হামলার ঘটনায় যোগ মিলল বাংলার। এই হামলার ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন ললিত ঝা নামে এক যুবকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সে কলকাতার বড়বাজারে থাকত। তার সঙ্গে নীলাক্ষ আইচ নামে এক কলেজ পড়ুয়ার  আলাপ ছিল। ঘটনার পর পরই ললিত তার মোবাইলে স্মোক গ্রেনেড হামলার ছবি পাঠিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার পুলিশ হালিশহরে নীলাক্ষর বাড়িতে পৌঁছে যায়। দিনভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রশ্ন উঠছে. ললিতের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে তো অনেকেরই যোগাযোগ। তাহলে হঠাৎ তাকেই কেন ভিডিও পাঠানো হল? তবে কি লোলিতের হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট হিস্ট্রিতে প্রথমেই নাম ছিল নীলাক্ষর? সবই বিচারাধীন বিষয়।

    কে এই নীলাক্ষ? ললিতের সঙ্গে তাঁর আলাপ কী করে? (Parliament Security Breach) 

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নীলাক্ষ আইচের বাড়ি হালিশহরের জেটিয়া এলাকায়। বিধাননগর কলেজের ইংরাজি বিভাগে স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ‘সাম্যবাদী সুভাষ সভা’ নামে একটি এনজিও করেন নীলাক্ষ। তিনি আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করাতেন বলে জানা গিয়েছে। এনজিও-র সূত্রেই ললিত ঝা’র সঙ্গে আলাপ। চলতি বছরে এপ্রিল মাসে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে একটি অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন নীলাক্ষ। সেখানেই ললিতের সঙ্গে নীলাক্ষর আলাপ হয়েছিল। নীলাক্ষ তাঁদের এনজিওতে যোগ দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। ললিত তাতে যোগ দিয়েছিল। সেই সূত্রে দুজনের মধ্যে মোবাইল আদানপ্রদান হয়েছিল। সংসদের (Parliament Security Breach) হামলার ভিডিও নীলাক্ষর মোবাইলে পাঠিয়েছিল ললিত। সেই সূত্র ধরে দিল্লি পুলিশ যোগাযোগ করে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক নীলাক্ষর বাড়়িতে যান। তাঁর সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক বলেন, দিল্লি পুলিশ এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে নীলাক্ষকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। দিল্লি পুলিশও আসবে।

    কী বললেন নীলাক্ষ?

    নীলাক্ষ বলেছেন, ‘আমি তখন কলেজে ছিলাম। কলেজ থেকে বেরনোর পরে হোয়াটসঅ্যাপে দেখি একটি ভিডিও এসেছে। ললিত ঝা পাঠিয়েছিলেন। সংসদের (Parliament Security Breach) বাইরে রাস্তায় যেটা হয়েছিল, স্মোক টর্চ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দুই জন। ওই ভিডিও পাঠিয়েছিলেন। আমি তখন পুরোটা দেখিনি। তখন জানতামও না সংসদে এমন ঘটে গিয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা কোথায় হয়েছে? তারপর থেকে কোনও উত্তর পাইনি। শুধু আমাকে মিডিয়া কভারেজ দেওয়ার জন্য বলেছিল। আমি আর ভিডিও দেখিনি।’

    নীলাক্ষর বাবার কী বক্তব্য?

    নীলাক্ষর বাবা নীলয় আইচ বলেন, ছোট থেকেই ছেলের নেতাজির প্রতি ভালোবাসা ছিল। ও কোনও রাজনীতি করে না। ছেলের সঙ্গে দিল্লি পুলিশ কথা বলেছে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছেলে একটি এনজিও করত। পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের পড়াত। ললিত ঝাকে চিনি না। সংসদ হামলার অন্যতম চক্রী ললিতের সঙ্গে পাড়ার ছেলে নীলাক্ষর নাম জড়িয়ে যাওয়ার কারণে এলাকার লোকজন হতবাক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: বালুর স্ত্রী-কন্যার নামে ৫৮টি ফিক্সড ডিপোজিট রেশন ‘দুর্নীতি’র টাকায়? অনুমান ইডির

    Ration Scam: বালুর স্ত্রী-কন্যার নামে ৫৮টি ফিক্সড ডিপোজিট রেশন ‘দুর্নীতি’র টাকায়? অনুমান ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির টাকায়  ৫৮টি ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ বা স্থায়ী আমানত করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী মণিদীপা মল্লিক এবং কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। ইডির চার্জশিটে উঠে এসেছে এই তথ্য। ৫৮টি স্থায়ী আমানতের প্রতিটিতে গড়ে লাখ পাঁচেক টাকা রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

    কত টাকার স্থায়ী আমানত

    ইডি সূত্রে খবর, ফিক্সড ডিপোজিট বাবদ মোট জমানো অর্থের পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। ভবিষ্যতে আর্থিক ভাবে সুরক্ষিত থাকতেই দুর্নীতির টাকা দীর্ঘমেয়াদের জন্য জমা রাখা হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, এই বিপুল অঙ্কের টাকা বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। এর আগে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, তিনটি ভুয়ো সংস্থার নামে দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করে সেগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই সংস্থাগুলিতে বিভিন্ন সময়ে ডিরেক্টর পদে ছিলেন মন্ত্রীর স্ত্রী এবং কন্যা। 

    আরও পড়ুন: তুষারপাতে অবরুদ্ধ সিকিম! বরফ কেটে হাজারের বেশি পর্যটককে উদ্ধার ভারতীয় সেনার

    পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে আসে রেশন দুর্নীতির কথা। তদন্ত চলাকালীন ধরা পড়েন বাকিবুর রহমান। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম সামনে আসে। গ্রেফতার হন বালু। বর্তমানে জেলে রয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা জেনেছেন বাকিবুর রহমানের কাছ থেকে প্রায় ৯ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। জেরায় সেকথা স্বীকারও করেছেন তিনি। দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই জ্যোতিপ্রিয়ের স্ত্রী এবং কন্যার বয়ান নথিবদ্ধ করেছে ইডি। চার্জশিটেও তাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ১৬২ পাতার চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসাবে তাঁদের নাম নেই। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ১০টি সংস্থার নাম। এর মধ্যে রয়েছে বাকিবুরের সংস্থা। পাঁচটি সংস্থার নাম আছে, যা বালুর নিয়ন্ত্রণে রয়েছ। চার্জশিটে এও বলা রয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রমরমিয়ে চলছিল এই দুর্নীতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “মমতার বকেয়া দাবির খতিয়ানের ফাইল ভুয়ো”, বোমা ফাটালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “মমতার বকেয়া দাবির খতিয়ানের ফাইল ভুয়ো”, বোমা ফাটালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকেয়া দাবির খতিয়ানের ফাইল ভুয়ো।” বুধবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে ধর্নায় বসেছিল তৃণমূল। তার পর এবার দাবি আদায়ে পথে নামছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    মোদি-মমতা বৈঠক

    ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা। সেখানে একশো দিনের কাজের টাকা, বাংলার বাড়ি, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বকেয়া-সহ বিভিন্ন বিষয়ে খতিয়ান তুলে ধরতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, তৃণমূলের বঞ্চনার অভিযোগ খারিজ করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, আগের বরাদ্দের হিসেব জমা দিলেই ফের বরাদ্দ মিলবে। সেই কারণেই রীতিমতো খতিয়ান তৈরি করে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    সুকান্তর কটাক্ষ-বাণ

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন উদ্যোগকেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর মতে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করাই সার হবে। আদতে কোনও লাভ হবে না। যে ইস্যুতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন, তা আদৌ সফল হবে না। এজন্য রাজ্য সরকারকে আগের দেওয়া টাকার হিসেব দিতে হবে কেন্দ্রকে। সুকান্ত জানান, ওই হিসেব মিললেই পরের কিস্তির টাকা হাতে পাবে রাজ্য। বালুরঘাটের সাংসদের কটাক্ষ, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ভাল খাওয়ানো হয়, ভাল চা দেওয়া হয়। সেগুলি খেয়েই চলে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুুন: মোদির পরেই রাজ্যে আসছেন শাহ-নাড্ডা, কেন জানেন?

    এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা খতিয়ানকে ভুয়ো বলে দাগিয়ে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “সিপিআইএমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনেক কথা বলতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাতে মোটা ফাইল নিয়ে দেখাতেন সিপিআইএম নেতাদের দুর্নীতির প্রমাণ এতে রয়েছে বলে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর কতজন সিপিআইএম নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে? কতজন গ্রেফতার হয়েছেন? এর পরেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “সিপিআইএমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যেমন ভুয়ো ছিল, তেমনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকেয়া দাবির খতিয়ানের ফাইলও ভুয়ো।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share