Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কার্শিয়ংয়ের কন্যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিবাহের আসরে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ের পর কলকাতায় নিউটাউনের একটি হোটেলে ভোজের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়ের এলাহি আয়োজন নিয়ে এবার সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর কথায়, ‘আগামী পরশু পিসির ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রীমানের বিবাহবাসর বসতে চলেছে শৈলশহরে। প্রীতিভোজ দিন কয়েক পরে, নিউটাউনের বিলাসবহুল ব্যাঙ্কুয়েট হলে, যেখানে বিশিষ্ট শিল্পপতিদের সন্তানদের বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।’ শুভেন্দু দাবি করছেন, আগামী রবিবার পর্যন্ত অনুষ্ঠানের এই কয়টা দিন কার্শিয়াং হাসপাতালের আঠাশজন চিকিৎসককে, সঙ্গে প্রায় সমসংখ্যক নার্স, ফার্মাসিস্ট ও অ্যাটেন্ড্যান্টদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে দুই শিফটে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশক কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘রাজবৈদ্যদের নিশিযাপনের জন্য যে শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে তা নাকি নিম্নমানের লজের বিছানারও অধম, এবং মধ্যাহ্নভোজনে যে ‘মিড-ডে মিল’ পরিবেশন করা হয়েছে, তা দেখে লজ্জা হয়।’ 

    এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকেও শুভেন্দু বলেন, ‘উনি নাকি গরীবের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আত্মীয়ের বিয়েবাড়িতে এই রকমের আয়োজন। মানুষ তো সব দেখছে।’ তাঁর কথায়, ‘পিসির পরিবার, জ্ঞাতি, আত্মীয় ও কুটুম্বদের বেশ কয়েকদিনের অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে চা-বাগিচা এলাকার পাঁচতারা হোটেল’ তবে অন্যদিকে, চিকিৎসকদের মোতায়েন করার বিষয়টি নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘এলাহি আয়োজনের ছিটেফোঁটা ভাগ কি এই ব্যাক্তিদের দেওয়া যেত না, যাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাধ্য করা হয়েছে ওখানে যেতে।’ এরই সাথে খাবারের একটি ছবিও দিয়েছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! তাণ্ডব অন্ধ্রপ্রদেশে, বাংলায় বুধবার থেকে বৃষ্টি

    উল্লেখ্য, বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক্তার পুত্র আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় (Abesh Banerjee)। পারিবারিক সূত্রে খবর, নিজের সহপাঠী প্রেমিকার সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তিনি। বরকর্তা হচ্ছেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের এই রাজ-বিয়ে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা চলছে। এর মধ্যেই বিয়েতে সাহায্য করা সাধারণ কর্মীদের হাল নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    Calcutta High Court: “হাইকোর্টে এক কথা, সুপ্রিম কোর্টে অন্যথা কেন?”, পর্ষদকে তোপ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?” মঙ্গলবার নিয়োগ কেলেঙ্কারির শুনানির প্রথম দিনই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চের তোপের মুখে পড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আদালত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পর্ষদ কেন হাইকোর্টে ও সুপ্রিম কোর্টে দুরকম কথা বলছে, তা পরিষ্কার করে জানাতে হবে। এ ব্যাপারে এক সপ্তাহের মধ্যে পর্ষদকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নির্দেশ, বোর্ড মিটিং করে সাত দিনের মধ্যে গোটা বিষয়টি জানাতে হবে কমিশনকে।

    কমিশনের দ্বিচারিতা 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ সংক্রান্ত সব মামলাও ফেরত পাঠিয়েছে হাইকোর্টে। মামলার নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ বেঞ্চও গঠন করেছে হাইকোর্ট। এই বেঞ্চের তরফেই এদিন প্রশ্ন তোলা হয়েছে পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে। নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (Calcutta High Court) মামলাটির মূল মামলাকারী লক্ষ্মী তুঙ্গা, সাবিনা ইয়াসমিন ও সন্দীপ প্রসাদ। ওই মামলায় হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানিয়েছিল, তারা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি চাকরিপ্রাপকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছে। একই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে তারা জানিয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্টের চাপে একাজ করতে বাধ্য হয়েছে তারা। এই মামলায়ই এদিন কমিশনের কাছে হাইকোর্ট জানতে চায়, নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টে এক কথা, আর সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা কেন?

    কমিশনের দাবি

    কমিশনের দাবি, মামলাকারীরা প্রথমে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। চাকরি না পেয়ে মামলা করেছেন তাঁরা। তাই তাঁদের পরীক্ষায়ও বেনিয়ম হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, “একজন দুর্নীতির চেষ্টা করেছে বলে কি আপনারাও দুর্নীতির ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন?” এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি ছিল, এই সব মামলায় রাজ্যকে পার্টি না করেই এক তরফাভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। এরই প্রেক্ষিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “যদি সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়, তাহলে অনেক যোগ্য প্রার্থীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাঁদেরও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জনগণের টাকা (Calcutta High Court) কেন এভাবে নষ্ট হবে?”

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমি মাস্টারমাইন্ড নই’’, দাবি কেষ্টর, ‘‘পুলিশ ওনার পকেটে’’, পাল্টা সিবিআই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

  • Calcutta High Court: “তৈলমর্দন করলেই মিলবে পছন্দের পোস্টিং?” শিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রশ্ন বিচারপতির

    Calcutta High Court: “তৈলমর্দন করলেই মিলবে পছন্দের পোস্টিং?” শিক্ষক নিয়োগ মামলায় প্রশ্ন বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা আপনাদের হাতে তৈলমর্দন করবেন, তাঁদের পছন্দমতো স্কুলে পোস্টিং দেবেন?” মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে এই প্রশ্নই করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি মান্থা।

    বান্ধবীর বাড়ির কাছে পোস্টিং

    তাঁর মন্তব্য, “যাঁরা তৈলমর্দন করেন তাঁদেরই কি পছন্দমতো স্কুলে পোস্টিং দেন? মামলাকারী অনেক কিছুই চাইতে পারেন। মামলাকারী বলতে পারেন যে তাঁকে তাঁর বান্ধবীর বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়া হোক। কিন্তু পোস্টিংয়ের নির্দিষ্ট বিধি কোথায়?” বিচারপতির আরও প্রশ্ন, “হাওড়া, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় কাউন্সেলিং হলে, পূর্ব মেদিনীপুরে কেন নয়?” বিচারপতি মান্থা বলেন, “বারবার জিজ্ঞাসা করা হলেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ বা রাজ্য সরকার কেউই নির্দিষ্ট কোনও বিধি দেখাতে পারেনি।” আদালতের নির্দেশ, “যদি এখনও কোনও শূন্যপদ থাকে, তাহলে সেখানে নিয়োগ করা যাবে না।” রাজ্য ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের হলফনামাও তলব করেছে আদালত (Calcutta High Court)।

    প্যানেল তৈরি হওয়ার পর কাউন্সেলিংই হয়নি

    মামলাকারীর দাবি, প্রধান শিক্ষকের প্যানেল তৈরি হওয়ার পর কাউন্সেলিংই হয়নি। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের বাড়ির কাছে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ করেছেন মামলাকারী। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আদালতের দ্বারস্থ হন পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি সার্কেলের সাতজন শিক্ষক। তাঁদের মতে, পোস্টিং দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব। বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, “২০১৬ সালের বিধির মধ্যে কোথাও কাউন্সেলিং বা পোস্টিংয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। তাই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলি পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা পেয়ে যাচ্ছে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ ডিসেম্বর।

    আরও পড়ুুন: মমতা-নীতীশদের অনুপস্থিতির জের! শরিক-ঘোঁটে ভেস্তে গেল ইন্ডি-জোটের বৈঠক?

    প্রসঙ্গত, তৃণমূল জমানায় শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কখনও নিয়োগের ক্ষেত্রে, কখনও আবার পোস্টিং দেওয়ার ক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠছে। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে অনেকে চাকরি ‘কিনেছেন’ বলেও অভিযোগ। আবার বেছে বেছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়েও দায়ের হয়েছে মামলা। এবার সেই তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পোস্টিং দেওয়ার (Calcutta High Court)।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

       

  • PM Narendra Modi: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র দিনেই প্রাইমারি টেট! ক্ষোভ জমছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও

    PM Narendra Modi: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র দিনেই প্রাইমারি টেট! ক্ষোভ জমছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক ছিল প্রাইমারি টেট পরীক্ষা হবে ১০ ডিসেম্বর। পরীক্ষা যখন দোরগোড়ায়, তখনই কোনও কারণ ছাড়াই বদলে দেওয়া হল টেট পরীক্ষার দিন! পরীক্ষা হবে ২৪ ডিসেম্বর। ঘটনাচক্রে এদিনই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে’র আসরে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বিজেপির অভিযোগ, রাজনীতি করতেই পর্ষদ বেছে বেছে পরীক্ষার দিন ফেলেছে ২৪ ডিসেম্বর। গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটাতেই এটা করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদেরও একাংশের বক্তব্য, বেছে বেছে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের দিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার দিন ফেলে আদতে তাঁদেরই হেনস্থা করতে চাইছে রাজ্য সরকার।

    ২৪ ডিসেম্বর গীতাজয়ন্তী

    ২৪ ডিসেম্বর, রবিবার গীতাজয়ন্তী। দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে এ রাজ্যে এতদিন দিনটির বিশেষত্বের কথা জানতেন হাতে গোণা কয়েকজন। এবার অবশ্য হইচই পড়ে গিয়েছে এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে। এর প্রথম কারণ, এক লক্ষ মানুষ গীতা পাঠ করবেন সমবেত কণ্ঠে। আর দ্বিতীয়ত, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং। তাই গীতা পাঠকদের পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠান চাক্ষুষ করতেও ভিড় করবেন প্রচুর মানুষ (PM Narendra Modi)। এঁদের মধ্যে ধর্মপ্রাণ মানুষ যেমন থাকবেন, তেমনি থাকবেন অনুসন্ধিৎসুরাও।

    সমস্যায় পড়তে পারেন পরীক্ষার্থীরা

    প্রধানমন্ত্রী শহরে আসবেন। তাই এদিন যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তার ওপর ব্রিগেডে এদিন ভিড় হবে লক্ষাধিক মানুষের। যেহেতু দিনটি রবিবার, তাই যানবাহন চলে কম। এই জোড়া ফলায় সমস্যায় পড়তে পারেন টেট পরীক্ষার্থীরা। বিশেষত, এদিন যাঁরা পরীক্ষা দিতে আসবেন কলকাতায়। তাছাড়া যাঁরা পরীক্ষা দেবেন, তাঁদের অনেকেই বঞ্চিত হবেন এই মহতী অনুষ্ঠানের সাক্ষী হওয়া থেকে। তাই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে পরীক্ষার্থীদেরও একাংশের মধ্যে। যেহেতু অনেক আগে থেকেই লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা, প্রস্তুতিও শেষের পথে, তাই অনুষ্ঠানের দিন বদল করতে রাজি নন তাঁরা। এদিকে, রাজ্য সরকারও ওই দিনেই পরীক্ষা নিতে বদ্ধপরিকর। স্বাভাবিকভাবেই যার খেসারত দিতে হতে পারে পরীক্ষার্থীদের।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেস হারতেই বেসুরো মমতা, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন

    সংগঠনের সহ-সভাপতি রিষড়া প্রেম মন্দিরের সন্ন্যাসী নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারি বলেন, “অনেক আগে থেকে আমাদের কর্মসূচি ঠিক করা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) যে আসবেন, সেটাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের পক্ষে দিন বদল করা সম্ভব নয়।” বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এ রাজ্যের শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রী যে সনাতন ধর্ম বিরোধী, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়ে সনাতন ধর্মের একটি কর্মসূচির দিনের করাটা, তাঁর সেই মনোভাবেরই পরিচায়ক।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Assembly Elections 2023: কংগ্রেস হারতেই বেসুরো মমতা, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন

    Assembly Elections 2023: কংগ্রেস হারতেই বেসুরো মমতা, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2023) ফল ঘোষণা হতেই ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’ জোট! হারের কারণ অনুসন্ধান করতে ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে বসছেন ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা। সেই জোটের বৈঠক সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলেই জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজস্থান সহ চার রাজ্যে বিজেপির কাছে কংগ্রেস পরাস্ত হতেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    কী বললেন মমতা?

    নভেম্বর মাসেই নির্বাচন হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার। এর মধ্যে রবিবার ঘোষণা হয়েছে চার রাজ্যের ফল। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে জয় পেয়েছে বিজেপি। গোহারা হেরেছে কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধীর দল পেয়েছে তেলঙ্গানার রাশ। এর পরেই কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা কংগ্রেসের (Assembly Elections 2023) হার, মানুষের পরাজয় নয়।” বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। দেশের সেই সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে কুর্সি-ছাড়া করতে জোট বেঁধেছে ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডি’।

    ইন্ডির ভবিষ্য

    কংগ্রেসের পাশাপাশি সেই ‘ইন্ডি’তে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলও। তিন রাজ্যে কংগ্রেস ধরাশায়ী হতেই মমতা দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কংগ্রেসের ডাকা ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠকে যে তৃণমূল সুপ্রিমো যাচ্ছেন না, তা জানিয়েছেন নিজেই। বলেন, “৬ তারিখের বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। আমি কিছুই জানি না। অভিষেকও উত্তরবঙ্গে চলে গিয়েছে। আমিও যাব। আমার সঙ্গে কারও কোনও কথা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: মিছিলে মেজাজ হারালেন শোভনদেব! ধাক্কা দিলেন দলীয় নেতাকে, কেন জানেন?

    ইন্ডি জোট প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা কেউ না কেউ ভোট কেটেছে। তাই বলছি, আসন সমঝোতা করতে। আসন সমঝোতা করলে এটা হত না।” এদিন বিধানসভায়ও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এখনও মনে করি আসন সমঝোতা করলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি আসবে না। ইন্ডি জোট এক সঙ্গে কাজ করবে। কিছু ভুল থাকলে শুধরে নেবে।” তৃণমূল নেত্রী বলেন, “বাবুরা একটা বেশি পেয়েছে। আর কংগ্রেস একটায় হেরেছে, একটা পেয়েছে। কংগ্রেসের থেকে ছত্তিসগড় আর রাজস্থান নিয়ে নিয়েছে। আবার কংগ্রেস তেলঙ্গানায় জিতেছে (Assembly Elections 2023)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary TET 2023: বদলে গেল সূচি! ১০ ডিসেম্বরের পরিবর্তে কবে হবে প্রাইমারি টেট?

    Primary TET 2023: বদলে গেল সূচি! ১০ ডিসেম্বরের পরিবর্তে কবে হবে প্রাইমারি টেট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বদলে গেল ২০২৩ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার (Primary TET 2023) দিন। আগে ১০ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেটের দিন ঘোষণা করেছিল পর্ষদ। সোমবার পর্ষদ জানাল, ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে না। পরিবর্তে পরীক্ষা হবে আগামী ২৪ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। যদিও কী কারণে আচমকা টেট পরীক্ষার দিনক্ষণ বদল করা হল, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, পলিসিগত কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    কারা পরীক্ষা দিতে পারবেন

    এদিন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, ‘‘আমরা এ বার বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপ করছি যাতে পরীক্ষা একেবারে নির্বিঘ্নে হয়। তার জন্য বোর্ডের বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন। তাই পরীক্ষার (Primary TET 2023) দিন পিছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।’’ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বিএড যাঁরা করেছেন, তাঁরা এ বছর টেটে বসতে পারবেন না। তবে ডিএলএড-সহ প্রাথমিক শিক্ষকের অন্য প্রশিক্ষণ যাঁরা নিয়েছেন, তাঁরা টেট দিতে পারবেন। তা ছাড়া, গত বছরের টেটে যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছিলেন, তাঁরাও নতুন করে এ বছর ফর্ম পূরণ করতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: দুই প্রধানে খেলা দেশের প্রাক্তন ফুটবলার জেজে লালপেখলুয়া এখন বিধায়ক

    পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবারে কম

    উল্লেখ্য, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই প্রচুর বেনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। ২০২২ সালের টেট (Primary TET 2023) পরীক্ষার নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। ২০১৭ সালের টেটের নিয়োগও এখনও আটকে। এরই মধ্যে আবার ২০২৩ সালে নতুন করে আরও একটি টেট পরীক্ষার আয়োজন করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে খবর, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে পর্ষদের তরফ থেকে ব্যাখ্যা, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে যে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছিল সেখানে ডিএলএড ও বিএড-এর সকল যোগ্য প্রার্থী আবেদন করতে পেরেছিলেন। তবে এ বছর শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ডিএলএড উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাই শুধু আবেদন করতে পারবেন। তাই আবেদনের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। পর্ষদ জানিয়েছে, এ বছর ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষা দেবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “এবার বুস্টার ডোজ নিয়ে আমরা নেমে পড়ব”, ‘অক্সিজেন’ পেয়ে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “এবার বুস্টার ডোজ নিয়ে আমরা নেমে পড়ব”, ‘অক্সিজেন’ পেয়ে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এবার বুস্টার ডোজ নিয়ে আমরা নেমে পড়ব। ২৪-এর নির্বাচনে দারুণ ফল হবে।” সোমবার কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রবিবার ফল ঘোষণা হয়েছে চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের। এর মধ্যে কেবল তেলঙ্গানা ছাড়া বাকি তিন রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তাতেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে বঙ্গ বিজেপি। সোমবার বিধানসভায় গেরুয়া টুপি ও পাগড়ি পরে এসেছিলেন পদ্ম বিধায়করা। বিলি করা হয়েছে গেরুয়া লাড্ডুও।

    কী বললেন সুকান্ত? 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “তিন রাজ্যের ফল আমাদের বিপুল পরিমাণ অক্সিজেন দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৯ তারিখ অমিত শাহজি প্রথম ডোজ দিয়ে গিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেলাম কালকে। কোভিডের ডোজ কমপ্লিট। এবার বুস্টার ডোজ নিয়ে আমরা নেমে পড়ব। ২৪-এর নির্বাচনে দারুণ ফল হবে।” সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “যদি আমরা সিটের পার্সেন্টেজ দেখি যে ক’টা সিট কংগ্রেস জিতেছে লোকসভায়, বিধানসভার নিরিখে তার চেয়ে বেশি সিট আমরা জিতব।”

    তৃণমূলকে জবাব সুকান্তর 

    তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যের জনহিতকর প্রকল্পগুলি নকল করে ভিন রাজ্যে জয়ের ভিত গড়েছে বিজেপি। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ খণ্ডন করে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম দিয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তার ঢের আগে থেকেই মধ্যপ্রদেশে চলছে লাডলি বেহেনা। তার টাকার পরিমাণও বেশি। ১২০০-র ওপরে দেওয়া হয়।” তিনি বলেন, “এরকম জনহিতকর প্রকল্পে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে অন্য রাজ্যগুলো। ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গে এলে আমরাও এই প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিয়ে যাব। জনদরদি প্রকল্প করবেন বলে শিল্পায়ন করবেন না, তা তো নয়।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভোটে হেরে সংসদে রাগ দেখাবেন না’’! বিরোধীদের হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    বিজেপিকে হারাতে জোট বেঁধেছে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। রাজস্থান সহ তিন রাজ্যে ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। ভোটের ফল বিশ্লেষণ করতে ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে বসছেন ওই জোটের (‘ইন্ডি’ জোট) নেতারা। সে প্রসঙ্গে সুকান্তর (Sukanta Majumdar) কটাক্ষ, “যাবে, খাবে-দাবে, একটু আনন্দ করবে। সব পার্টিগুলো তো পারিবারিক পার্টি। নিজের পরিবারের মুখ দেখতে দেখতে বোর হয়ে যায়। তখন একটু পার্টি ডাকে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: ‘গেরুয়াময়’ বিধানসভায় লাড্ডু বিলি, মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ‘চোর’ স্লোগান, ওয়াকআউট বিজেপির

    BJP: ‘গেরুয়াময়’ বিধানসভায় লাড্ডু বিলি, মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ‘চোর’ স্লোগান, ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য রাজ্যের বিধানসভা হয়ে গেল গেরুয়াময় (BJP)। কারও মাথায় গেরুয়া টুপি, তো কারও মাথায় একই রংয়ের পাগড়ি। এক মহিলার হাতে আবার গেরুয়া লাড্ডুও। সোমবার দেশের তিন রাজ্যের জয় এভাবেই বিধানসভায় পালন করলেন বিজেপি বিধায়করা।

    পুলিশকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর 

    স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করায় এক পুলিশ কর্মীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা পদ্ম-বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় পুলিশ কর্মীকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “ডিএ পান না। তিরিশ হাজার টাকা করে মাসে কম পান। লজ্জা করে না আপনাদের!” বিধানসভায় জয়োৎসব পালন করার সময় পদ্ম বিধায়কদের বাধা দেন বিধানসভার এক কর্মী। তাঁকে লক্ষ্য করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “আপনি কার দয়ায় এক্সটেনশনে কাজ করছেন, সব জানি।”

    বিজেপির জয়ে লাড্ডু বিলি

    নভেম্বর মাসে নির্বাচন হয় পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের বিধানসভার। তার মধ্যে রবিবার গণনা হয়েছে চারটি রাজ্যের বিধানসভার ভোট। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে জয়ী হয়েছে বিজেপি (BJP)। এদিন বিধানসভায় সেই জয়ই উদযাপন করেন বিজেপির বিধায়করা। বিতরণ করা হয় লাড্ডুও। এদিকে, এদিন অধিবেশনের শুরুতেই তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তার জেরে যে মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করা হবে, সেই ইঙ্গিত বিজেপির তরফে মিলেছিল আগেই। সেই মতো সোমবার প্রশ্নোত্তর-পর্বে মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পরে ওয়াকআউট করেন বিধানসভা থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সনাতন ধর্মকে সম্মান না জানানোর পরিণতি’’! কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ভেঙ্কটেশ প্রসাদের

    এর আগে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে পদ্ম-বিধায়করা গিয়ে বসতেন বিধানসভার সিঁড়িতে। এদিন তা না করে তাঁরা চলে যান বিজেপি বিধায়কদের নিজেদের পরিষদীয় দলের ঘরে। সেখানেই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে যে কোনও ধরনের বিক্ষোভ ও কর্মসূচির ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে বিধানসভা। তাই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হলে তাতে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বিধায়করা। সেই কারণেই এদিন পরিষদীয় দলের ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান পদ্ম বিধায়করা। তাঁরা জানিয়ে দেন, তাঁরা আর বিধানসভায় ঢুকবেন না। কারণ আজ মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করেছেন তাঁরা (BJP)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের

    Calcutta High Court: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় বিজেপি বিধায়কদের স্বস্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপি বিধায়কদের ‘গ্রেফতার নয়’। এমনই মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফলে, আরও একটি মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য। এদিন উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না।

    তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, গত ২৯ তারিখ বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে তাঁরা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, তখন নাকি বিজেপি বিধায়করা না দাঁড়িয়ে ঘাসফুল শিবিরকে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকে! যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যেখানে সেখানে, যে কোনও জায়গায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যায় না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যের শাসক দল এফআইআর-ও দায়ের করে পুলিশের কাছে। সেইমতো বেশ কয়েকজন বিধায়ককে তলব করে লালবাজার। পুলিশি তলবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে দায়ের হয় মামলা। সেখানেই আদালত এই মামলায় বিজেপিকে স্বস্তি দিয়েছে ৷ বিধায়কদের গ্রেফতার না করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷

    ঠিক কী অভিযোগ বিজেপির

    গত ২৯ তারিখ ধর্মতলার সভায় বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই দিনই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কালো পোশাক পরে বিধানসভা চত্বরে অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসে তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন সময় পাল্টা প্রতিবাদ জানাতে সেখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় হঠাৎ তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত শুরু করে।

    নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা?

    বিজেপির অভিযোগ, জাতীয় সঙ্গীত কোথায় বাজছিল বা ওই বিধায়করা তখন কোথায় ছিলেন— এ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হয়নি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে চরিতার্থ করতে (Calcutta High Court) এবং বিজেপি বিধায়কদের হেনস্থা করতেই এই জাতীয় এফআইআর দায়ের করেছে শাসক। বিজেপির দাবি, সেদিনই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ তুলে বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দেয় তৃণমূলের পরিষদীয় দল। এর পর বিধানসভায় এসে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন ডিসি সেন্ট্রাল দীনেশ কুমার। তার পর ১১ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই ইস্যুতেই এ বার আদালতের দ্বারস্থ হয় পদ্মশিবির।

    কী জানাল আদালত?

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা বিষয়ক এই মামলাটি ওঠে। সেখানে বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, ‘‘হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না। এখানে যদি এখন কেউ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন, তা হলে তো সব কাজ বন্ধ করে সবাইকে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে। এমনটা করা যায় নাকি! অবশ্যই জাতীয় সঙ্গীতের জন্য একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত।’’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এমন নয় যে, যখন তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রীরা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু করেন, তখন থেকে বিজেপি বিধায়কেরাও স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা বিধানসভায় আগে থেকেই স্লোগান দিচ্ছিলেন। ফলে জাতীয় সঙ্গীতের জন্য নিয়ম মানা দরকার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vijay Diwas 2023: ’৭১-এর যুদ্ধজয়ের ৫২ বছর, বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলাদেশের ৩০ মুক্তিযোদ্ধা

    Vijay Diwas 2023: ’৭১-এর যুদ্ধজয়ের ৫২ বছর, বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলাদেশের ৩০ মুক্তিযোদ্ধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর। ভারতের সামরিক ইতিহাসের পাতায় এক সোনালি অধ্যায়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় করে নিজের নাম সামরিক ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করেছিল ভারত। ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা এদিন আত্মসমর্পণ করেছিল ভারতের সামনে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাদ দিলে এটাই বিশ্বে এখনও পর্যন্ত যে কোনও যুদ্ধে সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণের ঘটনা। এদিন জন্ম নিয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ (Bangladesh Liberation War)। তাই প্রতি-বছর ঘটা করে এই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করা হয় দুই বাংলায়। ১৬ ডিসেম্বর একদিকে যেমন স্বাধীনতা দিবস হিসেবে উদযাপন করে পদ্মা-পারের দেশ। তেমনই, এপারে তা পালিত হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ের দিবস (Vijay Diwas 2023) হিসেবে। 

    শহিদ স্মরণ ও যুদ্ধজয় উদযাপন

    ১৯৭১ সালের যুদ্ধ জয়কে প্রতি বছর উদযাপন করে আসছে ভারতীয় সেনা। এবছর বিজয় দিবস ৫২ বছরে পদার্পণ করল। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল ভারতীয় সেনা। মুক্তিযোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাক-বাহিনীকে পরাস্ত করছিল। সেই যুদ্ধে ভারতীয় সেনার কৌশল ও রণনীতি তৈরি ও পরিচালিত হয়েছিল সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম থেকে (Bangladesh Liberation War) তৎকালীন পূর্বাঞ্চলীয় সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার নেতৃত্বে। ’৭১-এর যুদ্ধে যে সকল ভারতীয় জওয়ান শহিদ হয়েছেন, তাঁদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাতে এবং যুদ্ধে প্রাণের বলিদান দেওয়া বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করতে ফি-বছর ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে শ্রদ্ধার্ঘ দেওয়া হয় (Vijay Diwas 2023)। একইসঙ্গে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ও ঘটা করে পালনও করা হয় এই দিনে। 

    আসছেন ৩০ মুক্তিযোদ্ধার প্রতিনিধিদল

    এবছরও তার অন্যথা হচ্ছে না। সেনার পূর্বাঞ্চলীয় দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এবছরও বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহিদ-স্মরণ ও যুদ্ধজয় উদযাপন করা হবে। প্রতি বছরের মতো, এবারও বিজয় দিবসের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির বর্ষপূর্তি (Bangladesh Liberation War) পালিত হবে এখানে। এর জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা কলকাতায় আসছেন ভারতীয় সেনার এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে (Vijay Diwas 2023)। এছাড়া আসছেন বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর ৬ জন কর্মরত আধিকারিক। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের ওই প্রতিনিধি দল ১৪ তারিখ কলকাতায় পৌঁছবেন। পরের দু’দিন তাঁরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

    একগুচ্ছ অনুষ্ঠান আয়োজনে সেনা

    সেনা জানিয়েছে, বিজয় দিবস (Vijay Diwas 2023) উপলক্ষে বাহিনীর তরফে একগুচ্ছ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ১৫ তারিখ আরসিটিসি মাঠে মিলিটারি ট্যাটু প্রদর্শিত হবে। এখানে বিভিন্ন সামরিক কসরত ও ক্রীড়া আয়োজিত হবে। আকাশে কেরামতি দেখাবে সামরিক কপ্টার। পরের দিন, অর্থাৎ, ১৬ তারিখ সকালে ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় স্মারকে শহিদ বীরদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানানো হবে (Bangladesh Liberation War)। অনুষ্ঠানের পৌরহিত্য করবেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর পি কলিতা। অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ভারতীয় সামরিক বাহিনীর বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্তারা। এছাড়া, উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা। বিকেলে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজিত হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share