Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Howrah: দামোদরের চর বিক্রি করে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা! উঠছে পাঁচিল, প্রশাসন কী করছে?

    Howrah: দামোদরের চর বিক্রি করে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা! উঠছে পাঁচিল, প্রশাসন কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়়ে নিয়োগ দুর্নীতি, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। এবার দামোদরের চর বিক্রিতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) শ্যামপুর-২ ব্লকের বাড়গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনা জানাজানি হতে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Howrah) 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া (Howrah) শ্যামপুরে দামোদরের ওই চরটি দীর্ঘদিন স্থানীয় মণ্ডল পরিবারের দখলে ছিল। ওই পরিবারের সদস্য, পেশায় শিক্ষক পরিমল মণ্ডলের বক্তব্য, পূর্বপুরুষেরা চর দখল করেছিলেন। বর্তমানে বেদখল হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপক দাসকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। দীপক কী করেছেন, তা আমাদের জানা নেই। ওই জমিতেই পাঁচিল গাঁথা হচ্ছে। সেই ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যিনি পাঁচিল দিচ্ছেন, সেই মুসিয়ার রহমান মোল্লা ওরফে সাহেব বলেন, তৃণমূল নেতা দীপক দাসের থেকে ওই জায়গা আমি কিনেছি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, যে ভাবে দামোদরের চর দখল হয়ে যাচ্ছে, যেখান সেখান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, বালি তোলা হচ্ছে – আগামী দিনে পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। এই সব অনিয়ম-বেনিয়মে শাসকদলের নেতারা জড়িত। তারা চর বিক্রি করে দিচ্ছে। তাই, ভয়ে কেউ কোনও কথা বলতে পারছে না।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেতা দীপক দাস বলেন, ‘দামোদরের চর কেনাবেচার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। পরিমল মণ্ডল ও তাঁর ভাইয়েরা চর দীর্ঘ দিন দখল করেছিলেন। পরে তাঁরা চরটি মুসিয়ারকে বিক্রি করেন। চরে অসামাজিক কাজ চলছিল। গাঁজার ঠেক বসত। পরিমলদের থেকে চর কিনেও মুসিয়ার দখল নিতে পারছিলেন না। তখন এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসাবে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়। আমি পুলিশকে বলে গাঁজার ঠেক তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। চর কেনাবেচা নিয়ে যা করেছেন, পরিমল ও মুসিয়ার রহমান মোল্লা। আমি কোনওভাবে জড়িত নয়।’

    প্রশাসন কী করছে?

    হাওড়া (Howrah) জেলা সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি নজরে আসতেই পুলিশে এফআইআর করা হয়েছে। পাঁচিল ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bengal Weather: ঘূর্ণিঝড়ের কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়? জেলার আবহাওয়া কেমন থাকবে?

    Bengal Weather: ঘূর্ণিঝড়ের কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়? জেলার আবহাওয়া কেমন থাকবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সপ্তাহে রাজ্যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সোমবার থেকে আবহাওয়ার (Bengal Weather) পরিবর্তন হবে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু উপকূলবর্তী জেলা এবং ওড়িশা সংলগ্ন এলাকায় মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে শীত পড়ার ক্ষেত্রে বাধা হবে ঘূর্ণিঝড়।

    ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের পরোক্ষ প্রভাব বাংলায় (Bengal Weather)

    ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বাংলার বেশ কিছু জেলায়। দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, এবং কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই আগামী সপ্তাহ থেকে আবহাওয়ার (Bengal Weather) পরিবর্তন হবে। আবহাওয়া দফতর থেকে জানা গিয়েছে যে রাজ্যে শীতের পথে বাধা হবে এই ঘূর্ণিঝড়। কেবল মাত্র সকাল এবং সন্ধ্যায় শীতের আমেজ বজায় থাকবে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি থাকবে। কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি হয়ে ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। তবে কলকাতার তুলনায় দক্ষিণবঙ্গের জেলায় শীতের আমেজ বেশি থাকবে। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হবে গভীর নিম্নচাপ। রবিবার এই ঝড়ের নামকরণ করা হয়েছে মিগজাউম।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহ?

    উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। ডিসেম্বরের শুরুতে পাহাড়ে কিছু বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাতে আবহাওয়া (Bengal Weather) শুষ্ক থাকবে। পার্বত্য এলাকায় কুয়াশা একই রকম থাকবে। আকাশ আপাতত মেঘমুক্ত পরিষ্কার থাকেব। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে দার্জিলিং, কালিম্পং এলাকায় বৃষ্টিপাত হবে।

    কোথায় ফুঁসছে মিগজাউম?

    দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ফুঁসছে মিগজাউম (Bengal Weather)। গত ৬ ঘণ্টায় পশ্চিম এবং উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। শেষ খবর অনুসারে পন্ডিচেরী থেকে পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্বে ৬৩০ কিমি দূরে রয়েছে এই ঝড়। নেল্লোর থেকে দক্ষিণ পূর্বে ৭৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘুর্ণীঝড়। এটি ধীরে ধীরে নিম্নচাপের সৃষ্টি করেছে। ৩ ডিসেম্বরের মধ্যেও একটি ঝড়ের রূপ নেবে মিগজাউম। ৪ ডিসেম্বর থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ তামিলনাড়ুর উপকূলে প্রভাব পড়বে বলে জানা গিয়েছে। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিমি এবং সর্বোচ্চ ১০০ কিমি হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও নিয়োগ দুর্নীতি! রাজ্য হেলথ্ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও নিয়োগ দুর্নীতি! রাজ্য হেলথ্ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিক্ষাক্ষেত্রে, পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। এরই মধ্যে, হেলথ্ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে ২০১১ সাল থেকে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন শুভেন্দু। সোশ্যাল সাইটে এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    বিরোধী দলনেতার দাবি, বিশ্বস্ত সূত্র মারফত তিনি জানতে পেরেছেন, ২০১১ সাল থেকে রাজ্যের হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড মারফত নিয়োগে বিস্তর বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, বদলির ক্ষেত্রেও প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির হাত জড়িয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে শুভেন্দুর কাছে। এই নিয়ে আরও বিশদ তথ্য জোগাড় করতে আরটিআই আইনের আওতায় আবেদনও করেছেন বিরোধী দলনেতা। আরটিআই আবেদনের ছবি-সহ শুক্রবার এক্স হ্য়ান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘রাজ্যের হেলথ্ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের নিয়োগ পদ্ধতিতে গুরুতর অনিয়ম হয়েছে। ২০১১ সাল থেকেই নিয়মিত অনিয়ম হয়েছে নিয়োগের পদ্ধতিতে। বদলিও করা হয়েছে কিছু প্রভাবশালী লোকের ইচ্ছে মতো।’

    করোনার সময় স্বাস্থ্য দফতরে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও স্বাস্থ্য দফতরে নিয়োগে ব্য়াপক দুর্নীতির অভিযোগে কিছুদিন আগেই সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার রাজ্য়ের হেলথ্ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন তিনি। ২০১১ সাল থেকে হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড মারফত কতজন নিয়োগ পেয়েছেন, সেই তথ্য জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কোন সালে, কতজন, কোন পদে চাকরি পেয়েছেন (ডাক্তার, নার্স, ক্লার্ক, সাফাইকর্মী ইত্যাদি) সেটাও জানতে চান শুভেন্দু। তাঁরা প্রথমে কোথায় নিয়োগ পেয়েছিলেন, বর্তমানে কোন হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত, সেটিও জানতে চান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Case: ‘‘সবার সামনেই এই দুর্নীতি হয়েছে’’, প্রাথমিক মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতির

    Primary Recruitment Case: ‘‘সবার সামনেই এই দুর্নীতি হয়েছে’’, প্রাথমিক মামলায় পর্যবেক্ষণ বিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Case) সিবিআই রিপোর্ট দেখে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতির দাবি, এই দুর্নীতি প্রসঙ্গে পূর্ণ রাজনীতিক, আধা রাজনীতিক, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সবাই সব জানতেন। পরিকল্পনা করে ধীরে ধীরে এই দুর্নীতির জাল বোনা হয়েছে।

    কী বললেন বিচারপতি

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, “সিবিআই রিপোর্টে এমন কিছু আছে যা এই মুহূর্তে সবার সামনে আনা সম্ভব নয়! সবটাই নাকের নীচে হয়েছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই রাজ্যে কোনও ‘ ফুল বা বোকা ‘ আছে! রাজ্যের গোয়েন্দারা জানতেন না, এমনটা হতে পারে না! এটা যেন আরেকটা সারদা মামলা না হয়।” এই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভিকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এদিন নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। এও বলেন যে, ইডির সঙ্গে সমন্বয় রেখে পদক্ষেপ নেবে সিবিআই।

    আরও পড়ুন: বালুর পর এবার মলয়, সিবিআই রেডারে আইনমন্ত্রীই! পাঁচ অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব

    দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ

    বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভি জানান, দ্বিতীয় চার্জশিট তৈরি করা হবে শীঘ্রই। তখনই বিচারপতি ইডির প্রসঙ্গ টেনে আনেন। জানান, ইডির সঙ্গে খুব বেশি যোগাযোগ রাখেনি সিবিআই। তাই চার্জশিটে প্রাথমিক মামলার (Primary Recruitment Case) সব অভিযুক্তের নাম নেই। অবিলম্বে ইডির সঙ্গে সিবিআইকে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সিবিআই-এর উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, “অনেক অভিযুক্তর নাম চার্জশিটে নেই, ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। আরো অনেক তথ্য পাবেন। বিশাল অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে। দ্রুত চার্জ গঠন করে নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করুন।” আগামী ২১ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রসঙ্গত, এদিনই অন্য একটি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moloy Ghatak : বালুর পর এবার মলয়, সিবিআই রেডারে আইনমন্ত্রীই! পাঁচ অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব

    Moloy Ghatak : বালুর পর এবার মলয়, সিবিআই রেডারে আইনমন্ত্রীই! পাঁচ অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) আগেই নাম জড়িয়েছিল আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak)। এবার তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট চাইল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই। কলকাতায় বেসরকারি ব্যাঙ্কের কাছ থেকে সেই নথি তলব করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় কেওয়াইসি হিসাবে যে সমস্ত নথি ব্যবহার করা হয়েছে, সেই নথিও চেয়েছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    ১৩ ডিসেম্বর মধ্যে তথ্য জমা

    কয়লা পাচার কাণ্ডে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) ১২ বার তলব করা হলেও এখনও অবধি ইডির সামনে তিনি একবার হাজিরা দিয়েছেন। এবার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে মলয় ঘটক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সিবিআই সূত্রে খবর, আইনমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মিলিয়ে মোট পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কলকাতার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখা থেকে মলয় ও তাঁর পরিবারের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য তলব করা হয়েছে। অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে যাবতীয় লেনদেনের তথ্য ১৩ ডিসেম্বর মধ্যে নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরের জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পরই অদিতি মুন্সীর ছুটির আর্জি মঞ্জুর স্পিকারের

    কী দেখতে চাইছে সিবিআই

    উল্লেখ্য, কয়লা পাচার কাণ্ডে বহুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতস কাঁচের তলায় রয়েছেন মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। এবার মলয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তাঁদের নজরে। অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে লেনদেনে কোনও অনিময় হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলয়া পাচারকাণ্ডে মলয়ের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এই তৎপরতা আইনমন্ত্রীর উপর আরও চাপ বাড়াল বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক থেকে ওই পাঁচটি অ্যাকাউন্টের নথি খতিয়ে দেখে মলয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। দায়ের হওয়া অভিযোগ বা ইসিআইআর খারিজ করার আবেদনের পাশাপাশি দিল্লিতে তলব না করে কলকাতায় তলবের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন মলয়। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অম্বেডকর মূর্তির তলায় মমতার বিক্ষোভ, গঙ্গাজল দিয়ে সেই স্থান ধুলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অম্বেডকর মূর্তির তলায় মমতার বিক্ষোভ, গঙ্গাজল দিয়ে সেই স্থান ধুলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় শাহি সমাবেশ ছিল ২৯ নভেম্বর। সেদিনই বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল বিধায়করা। কালো পোশাক পরে তৃণমূলের এই বিক্ষোভে সমাবেশে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ হলেও ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকেই রীতিমত পরিসংখ্যান পেশ করে তৃণমূলের এই মিথ্যা দাবিকে নস্যাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার শুক্রবার অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশ গঙ্গা জল দিয়ে ধুতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, ‘‘চোরেরা বসে ওই স্থান অপবিত্র করেছে। তাই গঙ্গাজল দিয়ে তা ধুতে হবে।’’ এদিন মাথায় কলসি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) গঙ্গা জল আনতেও দেখা যায়। তারপরে তিনি সেই জল ঢালেন এবং পরে নিজে গামছা দিয়ে মোছেন।

    ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের পাল্টা ধরনা বিজেপির 

    প্রসঙ্গত, ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের এই ধর্না কর্মসূচির মধ্যেই বিধানসভায় পাল্টা অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে স্লোগান উঠতে থাকে ‘পিসি চোর ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর’। বিরোধী বিধায়কদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও করে শাসক দল। শুক্রবার পলিথিনের জারে করে প্রথমে গঙ্গা জল নিয়ে আসা হয়, তারপর তা পিতলের কলসিতে ভরা হয়। সেই জল দিয়েই অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশ পরিষ্কার করা হয়।

    রাস্তা থেকে বিধানসভা প্রতিবাদে সামিল বিজেপি বিধায়করা

    শুভেন্দুর এই অম্বেডকর-এর মূর্তি শুদ্ধিকরণ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিধানসভার অন্দরে। বিধানসভায় এদিন স্পিকার আবার ডেকে পাঠান মার্শালকে। কিভাবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই কর্মসূচি পালন করলেন, তা জানতে চান তিনি। বিধানসভা চত্বরে যাবতীয় ধর্না বিক্ষোভ তথা প্রতিবাদ কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার জানিয়ে দেন, এ বার থেকে বিধানসভা চত্বরে কোনও রকম প্রতিবাদ কর্মসূচি, বিক্ষোভ বা মিটিং, মিছিল করা যাবে না। যদিও, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ থামাতেই স্পিকার এমন ঘোষণা করেছেন। নির্দেশের কপি হাতে পেলে তিনি এ বিষয়ে যা করণীয়, তাই করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel: তিনিই ক্যামেরা পৌঁছে দিয়েছিলেন সুড়ঙ্গে! সেই দৌদীপের মায়ের চোখে জল

    Uttarkashi Tunnel: তিনিই ক্যামেরা পৌঁছে দিয়েছিলেন সুড়ঙ্গে! সেই দৌদীপের মায়ের চোখে জল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel) আটকে থাকা শ্রমিক উদ্ধার কাজের দ্বায়িত্ব ছিলেন সিঙ্গুরের বঙ্গ সন্তান। ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে ছিলেন ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধার কাজে বিদেশী মেশিনের সাফল্য তেমন ভাবে কাজে লাগেনি। ভারতীয় পদ্ধিতিতেই উদ্ধারের সাফল্য এসেছে। ওই সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছিলেন বাংলার তিন শ্রমিক। সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকরা কীভাবে রয়েছেন? খাবার পৌঁছেছে কি না? ইত্যাদি বিষয়ে ক্যামেরা পৌঁছে দিয়ে খবর আদান প্রদান কাজ করেছেন বঙ্গের এক সন্তান। আটকে থাকা শ্রমিকের পরিবারের কাছে তাঁর ক্যামেরাই সেই সময় আশার আলো দেখিয়েছিল।

    বঙ্গ সন্তানের পরিচয় (Uttarkashi Tunnel)

    ৪১ জন শ্রমিককে সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel) থেকে উদ্ধার করতে সিঙ্গুরের এই যুবকের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি মূলত ক্যামেরা দিয়ে সুড়ঙ্গের ভিতরের দৃশ্যকে সকালের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের কাছে খুশির খবর পৌঁছে দিয়েছিলেন। যুবকের নাম দৌদীপ খাঁড়া। তাঁর বাড়ি হুগলির সিঙ্গুরে। বাবা দীনেশ চন্দ্র খাঁড়া এবং মা সবিতা দেবী। ছেলের কাজের জন্য মায়ের চোখে জল দেখা গিয়েছে এদিন। সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতেন। এরপর নালিকুল বাণী মন্দির থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন। ঠিক তারপরেই ধুলাগড়ের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনারিং কলেজ থেকে বিটেক পাশ করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি সংস্থায় কনস্ট্রাকশনের পাইপলাইনে কাজ করেন।

    সুড়ঙ্গের মধ্যে ক্যামেরা পাঠানোর কাজ

    সুড়ঙ্গের (Uttarkashi Tunnel) মধ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে ‘ফ্লেক্সি প্রো ক্যামেরা’ পাঠানোর কাজ করছেন দৌদীপ। তাঁর কাজ খুব একটা সহজ ছিলনা। মাঝে মাঝে সুড়ঙ্গের অংশ বিশেষ ভেঙে পড়ছিল। প্রবেশের গতিপথে ছিল প্রচুর চাঙড় এবং লোহার রড। খনন করার যন্ত্রে চলছিল ব্যাপক কম্পন। তবে তাঁর ভূমিকা যে গোটা উদ্ধার কাজে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই বিষয়ে নিজেও বুঝতে পেরেছিলেন।

    কী বললেন দৌদীপ

    সুড়ঙ্গে (Uttarkashi Tunnel) উদ্ধার কাজে যুক্ত থাকায় দৌদীপ বলেন, “প্রথম যখন ক্যামেরাতে আটকে থাকা শ্রমিকদের দৃশ্য দেখতে পাই সেই সময় অবাক হয়ে গিয়েছিলেম। শব্দ দিয়ে সেই অভিজ্ঞতার কথা বোঝানো কঠিন। উদ্ধারের পর শ্রমিকার আমাদের টিমের সঙ্গে সকলকে বুকে জড়িয়ে নেন। এর থেকে আর কি বড় পাওনা হতে পারে।” দৌদীপের মা বলেন, “ছোট বেলা থেকে ও খুব ভীতু ছিল কিন্তু এই সুড়ঙ্গের উদ্ধারকাজে যা করল তাতে আমরা ভীষণ ভাবে গর্বিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aditi Munshi: বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পরই অদিতি মুন্সীর ছুটির আর্জি মঞ্জুর স্পিকারের

    Aditi Munshi: বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির পরই অদিতি মুন্সীর ছুটির আর্জি মঞ্জুর স্পিকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়ে ছুটির আর্জি জানিয়েছিলেন রাজারহাট গোপালপুরের বিধায়ক তথা সঙ্গীত শিল্পী অদিতি মুন্সী (Aditi Munshi)। শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ছুটি মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু কেন ছুটি চাইলেন অদিতি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে অদিতির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার হানা দেয় সিবিআই। সেখানেই থাকেন অদিতিও। বাড়িতে তল্লাশির একদিন আগেই ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। আর তা মঞ্জুর হল তল্লাশির পরের দিন। 

    অসুস্থ অদিতি

    অদিতি (Aditi Munshi) চিঠিতে জানান, তাঁকে যেন শীতকালীন অধিবেশনে যোগদান করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কারণ, তিনি অসুস্থ। আর এই অবস্থায় বিধানসভায় গিয়ে অধিবেশনে যোগদান করা সম্ভব নয়। চিকিৎসকরা বিশ্রাম নিতে বলেছেন। যদিও কতদিনের জন্য এই বিশ্রাম নিতে হবে, বিধায়ক তাঁর চিঠিতে তা কিছু জানাননি। তাঁর  এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই গলার সমস্যায় ভুগছিলেন অদিতি। বেশ কিছুদিন অনুষ্ঠানও বন্ধ রেখেছিলেন। তবে সম্প্রতি জানা যায়, এখন তিনি সুস্থ। আজ, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর থেকে টানা অনুষ্ঠান করবেন তিনি। অসুস্থতার জন্য যেসব শো বাতিল করেছিলেন, সেখানেও যাবেন। এসবের মধ্যেই হঠাত চিঠি গেল বিধানসভায়, কিছুদিন বিশ্রাম চাইলেন অদিতি।

    আরও পড়ুন: বালুর কেবিনে সিসি ক্যামেরা! পিজির ফুটেজ দেখবে ইডিও, নির্দেশ আদালতের

    কত দিনের ছুটি

    ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার সকালে অদিতির (Aditi Munshi) স্বামী বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর রাজারহাটের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। দেবরাজকে নিয়ে যায় তাঁদের দমদমপার্কের অন্য একটি বাড়িতেও। যেখানে সম্ভবত বিধায়ক তথা শিল্পী অদিতির গানের স্টুডিও রয়েছে। তার পরে শেষ বিকেলে দেবরাজের দু’টি বাড়ি থেকেই বেরিয়ে যায় সিবিআই। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। সাধারণত অধিবেশন চলাকালীন বেশি দিন কোনও কারণে কোনও বিধায়ক উপস্থিত না থাকলে ছুটির জন্য আবেদন করেন বিধায়করা। সেখানে তারিখের উল্লেখ থাকে। অর্থাৎ কত তারিখ থেকে কত তারিখ অবধি ছুটি তা লিখে দিতে হয়। তবে অদিতির এদিনের আবেদনে সেই তারিখের কোনও উল্লেখ ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। তাই জল্পনা আরও বেড়েছ। হঠাতই কেন ছুটি নিলেন অদিত আর কতদিন তিনি আড়ালে থাকবেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বালুর কেবিনে সিসি ক্যামেরা! পিজির ফুটেজ দেখবে ইডিও, নির্দেশ আদালতের

    Jyotipriya Mallick: বালুর কেবিনে সিসি ক্যামেরা! পিজির ফুটেজ দেখবে ইডিও, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু) এখন ভর্তি রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র কেবিনে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সেই সিসিটিভি ফুটেজের লিঙ্কও দিতে হবে ইডি-র তদন্তকারী অফিসারকে। শুক্রবার সকালেই এসএসকেএমে (SSKM) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা যেখানে চলছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রেসিডেন্সি জেলের তরফে এসএসকেএমে ক্যামেরা লাগাতে আসে কলকাতা পুলিশের টিম।

    বসল ক্যামেরা

    প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন বালু। অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার রাতেই তাঁকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মন্ত্রীকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে মেডিক্যাল বোর্ড। তিনি হাসপাতালে থাকায়, তাঁকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো যায়নি। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশে হাসপাতালের কার্ডিয়োলজি কেবিনে ইতিমধ্যে ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

    ইডির দাবি

    দিন ইডি-র আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা ওঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে চাইছি। অভিযুক্ত রাজ্যের একজন মন্ত্রী। তাঁকে জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে উদ্বেগের। তাই হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি মনিটরিংয়ের বন্দোবস্ত করা হোক। ওই সিসিটিভি-র লিঙ্ক যেন তদন্তকারী অফিসারকেও দেওয়া হয়।’ জ্যোতিপ্রিয়কেও ‘প্রভাবশালী’ বলেই দাবি করেছে ইডি। সেই কারণে তাঁকে নজরদারিতে রাখার আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেও ঘামছে কলকাতা! নিম্নচাপের প্রভাবে থমকে শীত, কবে হাওয়া বদল?

    আদালতের নির্দেশ

    ইডির দাবি,’প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হোক, যাতে জ্যোতিপ্রিয় যেখানে রয়েছেন, সেখানে কেউ ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে ঢুকতে না পারেন। অভিযুক্ত একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। জেলে ও হাসপাতালে থাকাকালীন প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হতে পারে।’ জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী শ্যামল ঘোষের পাল্টা সওয়াল, ‘আমার মক্কেল জেলে থাকার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখন কেমন রয়েছেন, তা জানতে চাইছি। শারীরিক দিক থেকে ফিট নন তিনি। কিডনিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জামিন চাইছি না। সঠিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হোক।’ এরপরই আদালত হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়র কেবিনে সিসিটিভি মনিটারিং-এর নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, জ্যোতিপ্রিয়ের স্বাস্থ্য-রিপোর্টও আদালতকে জানানোর কথা বলা হয়। আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ডিসেম্বরেও ঘামছে কলকাতা! নিম্নচাপের প্রভাবে থমকে শীত, কবে হাওয়া বদল?

    Weather Update: ডিসেম্বরেও ঘামছে কলকাতা! নিম্নচাপের প্রভাবে থমকে শীত, কবে হাওয়া বদল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে শীতের (Weather Update) দেখা নেই। ডিসেম্বরেও ঘামছে কলকাতা। শুক্রবার হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, এখনই শীত পড়ছে না শহরে। ৪ তারিখ অবধি তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না। আবহবিদরা বলছেন, সাধারণ এই সময়টা শুকনো বাতাসের প্রভাব থাকে। অথচ এখন বাতাসে জলীয় বাষ্প বর্তমান। যা ঠান্ডার পথে কাঁটা হয়ে থাকছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ২২ বছরে এই নভেম্বর ‘উষ্ণতম’।

    পারদ ঊর্ধ্বমুখী

    শুক্রবার সকালে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ। তবে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমের জেলাগুলিতেও তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। উত্তরবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। পাশাপাশি হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে আপাতত রাতের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও পূর্বাভাস নেই। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াল, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৮ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: আজ দুবাইতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

    নিম্নচাপের অবস্থান

    আবহাওয়া অফিস বলছে, এই মুহূর্তে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রয়েছে। সেটি অবস্থান করছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর এবং আন্দামান সাগর এর উপর। আন্দামান সাগরের নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে আজই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। রবিবার বঙ্গোপসাগরে তা ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Michaung) রূপ নেবে। তার ফলে দেখা দিতে পারে দুর্যোগ। তামিলনাডু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    এই মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় যেহেতু তৈরিই হয়নি, তাই কোন পথে বা কোথায় ল্যান্ডফল করবে সে বিষয়ে এখনও সুনিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি আবহাওয়া দফতর। অন্ধ্রপ্রদেশের তামিলনাড়ু উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় পৌঁছবে সোমবার। আবহাওয়ার বিভিন্ন মডেল অনুযায়ী অনুমান, এই ঘূর্ণিঝড় তামিলনাডু উপকূল থেকে ওড়িশা উপকূলের যে কোনও জায়গাতেই আঘাত আনতে পারে। বাংলায় এর প্রভাবে থমকে রয়েছে শীতল হাওয়া। আগামী সপ্তাহে, সোমবার থেকে এই নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share