Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: ৫৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল কোথায়? পর্ষদকে প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: ৫৮ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল কোথায়? পর্ষদকে প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ এবং ২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকা কোথায়? পর্ষদের কাছে তা জানতে চাইল আদালত (Calcutta High Court)। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল যে, ২০১৬ সালে ৪২,০০০ এবং ২০২০ সালে ১৬,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। অর্থাৎ ৪ বছরের মাথায় ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের দাবি করেছিল পর্ষদ। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানতে চান, রুল অনুযায়ী সঠিক প্যানেল কোথায়? এর পাশাপাশি প্রাথমিক বোর্ড এর আগে যে ৯৪ জনের নিয়োগ বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল তাদেরকে কী আসনের চেয়ে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল? সেই প্রশ্নও এদিন তুলেছে আদালত। এ সংক্রান্ত হলফনামা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে জমা দিতে বলা হয়েছে আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে।

    কী বললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা?

    এদিন চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষের আইনজীবী আদালতে (Calcutta High Court) দাবি করেন, পর্ষদ কোনও প্যানেলই প্রকাশ করেনি, কিন্তু পর্ষদ দাবি করেছে যে তারা নাকি প্যানেল প্রকাশ করেছে। বেআইনি নিয়োগ নিয়ে পর্ষদ কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাও রাজ্য প্রাথমিক পর্ষদের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ‘‘অনেক বঞ্চিত বেকার যুবক অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। একটা দিন যাওয়া মানে তাদের সম্ভাব্য সার্ভিস জীবনের ১ দিন নষ্ট হওয়া। এছাড়া একাধিক মামলায় বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।’’

    নিয়োগ বাতিল হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ

    প্রসঙ্গত চাকরি থেকে যাদের বরখাস্ত করা হয়, তাঁরা এদিন ফের একক বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের আইনজীবী আদালতে জানান, মক্কেলরা কোনও মিথ্যা তথ্য দেননি। আইনজীবীর বক্তব্য, ভুল প্রশ্ন মামলায় শীর্ষ আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ ছিল প্রত্যেককে ১ নম্বর দিতে হবে। সেই নম্বর যুক্ত হলে এরা যোগ্য। এমনটাই দাবি করেন আইনজীবী। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Ahijit Ganguly: শিক্ষা দফতরের গালে ফের থাপ্পড়! এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Justice Ahijit Ganguly: শিক্ষা দফতরের গালে ফের থাপ্পড়! এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা দফতরের গালে ফের থাপ্পড়! এবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগেও স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কাউন্সেলিং ছাড়াই প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি স্কুলে। চলতি বছরই বেশ কয়েকজনকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছে কাউন্সেলিং ছাড়াই। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই হয়েছিল মামলা। এই মামলার শুনানিতে রায় দিতে গিয়ে স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Ahijit Ganguly)। আদালতের নির্দেশ ছাড়া আপাতত এই জেলায় কোনও নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নয় বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে আদালত। আগামী ২০ ডিসেম্বর ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    লেজেগোবরে দশা শিক্ষা দফতরের

    নিয়োগ সংক্রান্ত নানা মামলায় কার্যত লেজেগোবরে দশা শিক্ষা দফতরের। এমতাবস্থায় আদালতের এই স্থগিতাদেশে আরও একবার বেআব্রু হয়ে গেল দফতরের কেলেঙ্কারি। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অনিয়মের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের একাধিক নেতা। প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক দুর্নীতি। কাউন্সেলিং কিংবা ইন্টারভিউয়ের তোয়াক্কা না করেই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে অনেককেই। যেসব ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে, সেসব ক্ষেত্রেই তদন্ত করছে সিবিআই এবং ইডি। যা নিয়ে (Justice Ahijit Ganguly) নিরন্তর চলছে শাসক-বিরোধী তরজা। এহেন আবহে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল আদালত।

    রাজ্যের বক্তব্য

    এদিন আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কেবল বয়স ও অভিজ্ঞতার নিরিখেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। জেলা স্কুল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়ম মেনেই এই নিয়োগ হয়। রাজ্যের বক্তব্য যে আদতে ধোপে টেকেনি, আদালতের নির্দেশই তার প্রমাণ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারির জাল যে কতদূর বিস্তৃত, তার প্রমাণ মিলেছিল মাস দেড়েক আগেই। কৌশিক মাজি নামে বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্বে ছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি সংস্থা। এই সংস্থার আর এক কর্তা পার্থ সেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। ধৃতকে জেরা করে কৌশিকের নাগাল পান সিবিআই আধিকারিকরা (Justice Ahijit Ganguly)।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET: ১৮ মাসের প্রশিক্ষিতরা বসতে পারবেন না প্রাথমিক টেটে, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET: ১৮ মাসের প্রশিক্ষিতরা বসতে পারবেন না প্রাথমিক টেটে, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণভাবে ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ হয় দু’বছরের। তবে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’ থেকে ‘ওপেন এন্ড ডিসট্যান্স লার্নিং মোড’-এ এই কোর্স ১৮ মাসের হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে, ১৮ মাসের ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ যারা নিয়েছেন তাঁরা নতুনভাবে কোনও রকমের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (TET) অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র যাঁরা পূর্ণসময়ের এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরাই যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এবার সিদ্ধান্ত নিতে বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, ১৮ মাসের ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিয়ে পরীক্ষায় বসতে চান এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার।

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিলেন এদিন?

    বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এদিন নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কোর্টে জানাতে হবে। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। সেটাই ছিল শেষ টেট পরীক্ষা যেখানে অপ্রশিক্ষিতরাও বসার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ ছাড়া নিয়োগ প্রসঙ্গে তখন রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল যে নিয়োগ হওয়ার পরে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ করিয়ে দেওয়া হবে। সেইমতো ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’ থেকে প্রচুর চাকরিরত শিক্ষক ডিএলএড-এর  ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ নেন। সমস্যা দেখা দেয় যখন তাঁরাই আবার প্রাথমিক টেটে ১৮ মাসের ডিএলএড-কে যোগ্যতা দেখিয়ে আবেদন করতে থাকেন।

    মামলার জল গড়ায় কোর্টে

    এরপরেই ২ বছরের পূর্ণ সময়ের ডিএলএড প্রার্থীদের একাংশ দ্বারস্থ হয় আদালতে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম নির্দেশকে পালন করার কথা এদিন বলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে শিক্ষক (TET) নিয়োগ নিয়ে ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েই চলেছে কোর্টে, কখনও প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ, কখনও বা আবার অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ। এসবের মাঝে নতুন করে এবার প্রশিক্ষণ (TET) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিল কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Winter Session: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির  

    Assembly Winter Session: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের বারবেলায়ও উত্তপ্ত হল বিধানসভা। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ায় জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মাসখানেক ধরে তিনি জেলে রইলেও, মন্ত্রিত্ব খোয়া যায়নি তাঁর। বৃহস্পতিবার এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক বিজেপির (Assembly Winter Session) শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, “জেলে থাকা অবস্থায় কীভাবে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক?” এনিয়ে শাসক-বিরোধী ব্যাপক হট্টগোল হয় সভায়। জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার দাবি জানাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই দাবিতেই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা।

    ‘সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত’

    শঙ্কর বলেন, “একজন অভিযুক্ত মন্ত্রী কতখানি প্রভাবশালী যে জেলের ভেতরে থেকেও মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। এ নিয়ে বিধানসভার অন্দরে প্রশ্ন করতে গেলে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এ থেকেই তো স্পষ্ট, এই সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত।” বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, জ্যোতিপ্রিয় জেলবন্দি। এর পরেও তাঁকে মন্ত্রী বলা হবে? তিনি কীভাবে বিধানসভায় উপস্থিত থাকবেন? এসব প্রশ্ন তুলে এদিন পয়েন্ট অফ অর্ডার দাখিল করতে চান বিরোধীরা। এনিয়ে সভায় (Assembly Winter Session) শুরু হয় হট্টগোল। সেই সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পয়েন্ট অফ অর্ডার আনতে হলে, তা আনতে হবে নির্দিষ্ট বিধি মেনে। এর পরেই স্লোগান দিতে দিতে ওয়াক আউট করেন পদ্ম-বিধায়করা।

    জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

    বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য, জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার অন্দরে আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। শঙ্কর বলেন, “যদি এমনটাই ধরে নেওয়া যায় যে তিনি এখনও পর্যন্ত আদালতে দোষী সাব্যস্ত হননি, কেবল অভিযুক্ত রয়েছেন, তাহলেও স্পিকার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধাচরণ না করে বলতেই পারতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। তাই তাঁকে এখনই রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে না। তা না করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য বন্ধ করে দেন।” প্রসঙ্গত, এদিন পয়েন্ট অফ অর্ডারে জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন শঙ্করই।

    আরও পড়ুুন: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    প্রসঙ্গত, বুধবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির জনসভায় খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন তুলেছিলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস যদি দুর্নীতিমুক্ত হয়, তাহলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের সাসপেন্ড করে দেখাক।” তার ঠিক চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার দাবিতে ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা (Assembly Winter Session)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই অমিত শাহের হাইভোল্টেজ জনসভার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। সভায় উপচে পড়া ভিড় ভেঙে দিয়েছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। অমিত শাহের কলকাতা আসার দিনেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। সেই মতো বিধানসভাতে গতকাল কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের বিধায়করা। তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে চলতে থাকে বিক্ষোভ। যানিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবারই সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল তো বিধানসভার বাইরে বের হতেই পারছে না। বিজেপি এবং মানুষের ভয়ে তাদেরকে বিধানসভায় ঢুকে যেতে হয়েছে। দিদিমণি এখন ওখান থেকেই ভাষণ দিচ্ছেন। বাইরে বেরিয়ে সভা করুক না একটা। তৃণমূল সারা বছর ধরে অর্থ এবং প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে একটা সভা করে (২১ জুলাই)। দুমাস আগে থেকে জেলায় জেলায় গেট করে, ফ্রি বাস, ট্রেনে করে লোক আনে। তারা ব্রিগেডে কেন করে না সভা? কত বছর আগে শেষবারের মতো ব্রিগেডে সভা করেছে! একটা করে দেখাক। আমরা তো বাৎসরিক ব্রিগেড করি।’’

    ওয়ার্ম আপ ম্যাচ

    অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গতকালের বিজেপির সমাবেশকে কটাক্ষ করেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ধর্মতলার এদিনের সভা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছিল।’’ তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে চলে আসছে। এ নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় মেদিনীপুরের সাংসদকে। তাঁর (Dilip Ghosh) কথায়, ‘‘আমি জানি না কে কি করেছে? কে চোর? সেটা পাবলিক ঠিক করবে। চোরের মায়ের বড় গলা! নেতাদের মধ্যে হিম্মত নেই জনসভা করার। মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার হিম্মত নেই। খোকাবাবু তো হারিয়ে গিয়েছেন। ছন্নছাড়া অবস্থা আজকে। তারাই আবার পার্টির মধ্যে আওয়াজ তুলছে বুড়োদের সরিয়ে যুবকদের আনো। আগে নিজেদের পার্টির ভিতরের ব্যাপারটা তারা ঠিক করে নিক। পার্টি থাকবে কিনা সেটাও আগামী দিনে বোঝা যাবে।’’

    প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব আইন

    গতকালই অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের (যিনি গোপাল পাঁঠা নামেই প্রসিদ্ধ) কথা। প্রসঙ্গত, জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫১ সালে দেশের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা আসনটি থেকে জয়লাভও করেন তিনি। অন্যদিকে, ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময় কলকাতার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। এই দুজনকে সম্মান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বাঙালি জাত্যাভিমান কি তুলে ধরবেন! শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন? বাঙালি ছিলেন। বাঙালির হাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, জনসঙ্ঘের। এটা ঠিক যে মানুষকে মনে করাতে হয়। বাঙালি খুব ভুলে যায়। দেশ ভাগ হয়েছে, বাঙালি নির্যাতিত হয়েছে। মা বোনেদের সম্মান গেছে। কোটি কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। আজকের যুব সমাজ যদি এগুলো ভুলে যায় তাহলে আবার উদ্বাস্তু হতে হবে। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। সেটাই উনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরাই সিএএ ইম্প্লিমেন্ট করব। সবই সময়ে হয়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Debraj Chakraborty: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    Debraj Chakraborty: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (recruitment scam) তদন্তে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সেই তালিকাতেই রয়েছেন বিধাননগর পুরসভার তৃণমূলের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীও (Debraj Chakraborty)। এদিন সকালেই দেবরাজের তেঘরিয়ার বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। ঘটনাচক্রে দেবরাজ চক্রবর্তী তৃণমূলের শিল্পী-বিধায়ক অদিতি মুন্সীর (Aditi Munshi) স্বামী। তল্লাশির মাঝেই বেলা ১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায় দেবরাজকে। সঙ্গেই ছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, দেবরাজের আর একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দিয়েছে সিবিআই।

    দেবরাজের উত্থান

    এক সময় কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর আপ্তসহায়ক ছিলেন দেবরাজ চক্রবর্তী (Debraj Chakraborty)। ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও। ২০১৩ সালে বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় একটি উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়ে পূর্ণেন্দুর কাছে দরবার করেছিলেন দেবরাজ। তৃণমূল তাঁকে তখন টিকিট দেয়নি। টিকিট না পেয়ে দল ছেড়ে দেন দেবরাজ। ২০১৫ সালে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরেন তিনি। বিধাননগর পুরনিগম এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এই যুবনেতা। ভোটের দিনই দেবরাজকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। বন্দি অবস্থায় তাঁকে ভোটে লড়তে হয়েছিল। ভোটে জিতে বিধাননগরের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এই যুব নেতা। জামিনে মুক্ত হয়ে কাউন্সিলর হিসাবে শপথ নেন তিনি। 

    তৃণমূলে দ্বিতীয় ইনিংস

    ২০১৫ সালে ভোটে জেতার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের তৃণমূলে যোগ দেন দেবরাজ। তৃণমূলে ভবনে এসে তৃণমূলের তৎকালীন যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন। তখন থেকেই অভিষেকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত দেবরাজ, ধীরে ধীরে রাজনীতির ময়দানে নিজের জায়গা পাকা করেন।

    অদিতিকে বিয়ে

    কীর্তনশিল্পী অদিতি মুন্সীর সঙ্গে দেবরাজের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। ততদিনে সঙ্গীতের জগতে অদিতি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। তাঁর গলায় কীর্তন শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে বার বার। স্বামী দেবরাজের হাত ধরেই ধীরে ধীরে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন অদিতিও। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। ভোটে জিতেও আসেন অদিতি। জল্পনা ছড়িয়েছিল, অদিতিকে টিকিট দেওয়ার জন্য দেবরাজই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করেছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিধাননগর পুরনিগমের ভোটে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হয়ে মেয়র পারিষদ হন অদিতির স্বামী দেবরাজ। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    কেন তল্লাশি

    সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ‘চেইন’ ধরেই দেবরাজের (Debraj Chakraborty) বাড়িতে তল্লাশি করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাঁরা আসলে জানতে চাইছেন, ‘ফাইনাল বেনিফিশিয়ারি’র নামটা। অর্থাৎ কার কাছে শেষ দুর্নীতির টাকাটা পৌঁছেছিল। সেই সূত্রেই চলছে তল্লাশি। গত বছর ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায়ও দেবরাজকে তলব করেছিল সিবিআই। বাগুইআটি থানা এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Tunnel Rescue: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    Uttarakhand Tunnel Rescue: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য শেষ হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ফি বার ঘটা করে জনগণের টাকায় হচ্ছে মোচ্ছব। রাজ্যবাসীর আইওয়াশ করতে সই হয় মউ-ও। সেসবই যে আসলে ধোঁকা, তা বেআব্রু করে দিলেন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarakhand Tunnel Rescue) আটকে পড়া বাংলার এক শ্রমিকের পরিবার। বিষয়টি তাহলে খোলসা করেই বলা যাক।

    ‘বাংলায়ই কাজ করুক ছেলে’

    স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ইলেকট্রিকেলে ডিপ্লোমা করেছিলেন সৌভিক পাখিরা। হুগলির পুরশুড়ার এই তরুণ তার পরেও চাকরি পাননি। চাষবাস করতেন। শেষমেশ কাজ পান উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে, সুড়ঙ্গ শ্রমিক হিসেবে। সেখানেই আরও ৪০ জন শ্রমিকের সঙ্গে টানা সতের দিন সুড়ঙ্গ-বাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়েছেন সৌভিক। তবে বাড়িতে ফেরেননি। সৌভিকের মায়ের অভিযোগ, বাংলায় কাজ নেই বলেই বাধ্য হয়ে বাইরে যেতে হয়েছে তাঁর ছেলেকে। তবে আর পাঁচজন বাঙালি মায়ের মতোই তিনিও চান, বাংলায়ই কাজ করুক লেখাপড়া জানা ছেলে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদারও টানা সতের দিন আঁধার-বাস (Uttarakhand Tunnel Rescue) করেছেন সুড়ঙ্গে। তাঁর পরিবারেরও আক্ষেপ, রাজ্যে কাজ থাকলে বাইরে যেতে হত না মানিককে।

    রাজ্যের শিল্প-চিত্রকে আক্রমণ তথাগতর

    রাজ্যের দু’ প্রান্তের এই দুই তরুণের করুণ কাহিনিটাই বস্তুত এ রাজ্যের শিল্প-চিত্র। ২০১১ সালে বাম-শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের কুর্সি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর থেকে শিল্প-শিল্প করে ধুয়ো তোলা হয়েছে বারংবার। তার পরেও শিল্প হয়নি বলে অভিযোগ। শিল্প হবে বলে জনগণের করের টাকায় ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। লক্ষ্মী ধরতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্ষদদের (বিরোধীদের ভাষায় স্তাবক) নিয়ে ১২ দিন কাটিয়ে এসেছেন বিদেশে। তার পরেও লক্ষ্মীলাভ হয়নি রাজ্যের। অগত্যা রাজ্যের হা-শিল্প দশা ঘোঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী চপকেও (নিন্দুকরা বলছেন ঢপের চপ) শিল্পের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি একবারও ভেবে দেখলেন না, প্রতি ঘরেই যদি তরুণরা তেলেভাজার দোকান দেন, তাহলে কিনবে কে?

    নিতান্তই নিরুপায় হয়ে তাই বাংলার তরুণদের খাটতে যেতে হচ্ছে তামাম ভারতে। পেটভর্তি বিদ্যে নিয়ে কেউ খাটছেন জন, কেউ বা সুড়ঙ্গ শ্রমিক। বিপদে পড়ে সেখান থেকে যাঁরা রাজ্যে ফিরছেন, তাঁরা কী করবেন? অতি কঠোর বাস্তব এই প্রশ্নটাই তুলে দিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “সুড়ঙ্গ শ্রমিকরা তো অক্লান্ত চেষ্টার ফলে মুক্তি পেলেন। প্রশ্ন, এখন তাঁরা কী করবেন? তাঁদের পরিবারবর্গ বলছেন, তাঁদের আর রাজ্যের বাইরে যেতে দেবেন না। তাহলে কি তাঁরা মাননীয়ার ‘ডবল ডবল চাকরি’র ভরসায় বসে থাকবেন? নিউটাউনে বিনিয়োগ টেনে আনার যে কু-নাট্য অভিনীত হল, তার ওপর (Uttarakhand Tunnel Rescue) ভরসা করবেন?

    প্রাক্তন রাজ্যপালের এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?

    আরও পড়ুুন: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় দুর্নীতির শিকড়ে (Recruitment Scam) পৌঁছতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযান। তৃণমূলের বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছছে সিবিআই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতেও অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসাবেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে ওই দুই কাউন্সিলরের বাড়িতে।  

    পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য

    পাটুলিতে কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে এদিন হানা দিয়েছে সিবিআই। পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর হিসাবেই পরিচিত তিনি। এর পাশাপাশি তিনি পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকও বটে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ বাপ্পাদিত্যের বাড়ির সামনে পৌঁছন বেশ কয়েক জন সিবিআই আধিকারিক। তাঁরা বাড়ির সদর দরজার সামনে কড়া নাড়েন। বেশ কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর নিজেই দরজা খুলে দেন বাপ্পাদিত্য। সিবিআই আধিকারিকেরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

    অভিষেক ঘনিষ্ঠ দেবরাজ

    এদিন সকাল ৯টা ১০ নাগাদ বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর রাজারহাটের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। তখন দেবরাজ বাড়িতে ছিলেন না। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বাড়ি পৌঁছে যান। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ভিতরে ঢুকে যান। দেবরাজ তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী। এর আগেও তাঁকে একটি মামলায় তলব করেছিল সিবিআই। রাজনৈতিক মহলে তাঁকে অনেকেই চেনেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে।

    আরও পড়ুন: শক্তিশালী সাইক্লোনের রূপ নেবে ‘মিগজাউম’! শনি-রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা

    সিবিআই তল্লাশি মুর্শিদাবাদ, কোচবিহারেও

    সকাল থেকেই নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারেও চলছে সিবিআই তল্লাশি। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। বিধায়কের বাড়িতে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় আগে জাফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। ডোমকলের পাশাপাশি বড়ঞাতেও চলছে তল্লাশি। সেখানে ঝণ্টু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। আবার বড়ঞাতে বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝণ্টু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি।” বুধ-দুপুরে ‘শাহি’ মঞ্চে কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এদিন সভা ছিল বিজেপির। সভার প্রধান আকর্ষণ ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত?

    শাহি-ভাষণের আগে বক্তব্য রাখতে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “অমিত শাহের ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো। ভয় পাচ্ছেন। ভাবছেন, ধরে নিয়ে যাবে। পুলিশ-প্রশাসন বাধা দিয়েছে। এদের চিনে রাখুন। ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহের ৩৫ লক্ষ্যমাত্রা পার করব। এই বার, ৩৫ পার।” সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি জিতবে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের কেন্দ্রে সরকার গড়বে বিজেপি। ২০২৬ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনেও এ রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

    শাহি-বচন 

    বাংলায় বিজেপি সরকার গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে চাইলেও, তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভোট-হিংসা সব চেয়ে বেশি হয় বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারেননি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে পার্লামেন্ট চলতে দেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, “এক সময় যে বাংলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যেত, এখন সেখানে কেবলই শোনা যায় বোমার শব্দ। আমি গুজরাটে কোনও নেতার বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হতে দেখিনি। যে বাংলা এক সময় গোটা দেশকে নেতৃত্ব দিত, সেই বাংলাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন দিদি।” তিনি বলেন, “মোদিজির পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট। বিজেপি কর্মীদের খুন করেছেন। ভোট দিয়ে বিজেপি কর্মীরা বদলা নেবেন এই প্রতিটি রাজনৈতিক হত্যার।” শাহ বলেন, “মোদিজিকে উন্নয়ন করতে (Sukanta Majumder) দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে যখন সরগরম বিজেপির ধর্মতলার সভামঞ্চ, ঠিক তখনই রাজ্যবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিধানসভা চত্বরে ধরনায় বসল তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ আবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এই ‘নিস্তরঙ্গ’আন্দোলনে ‘সুনামি’আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ধর্মতলার সভা শেষ করে তিনি সটান চলে যান বিধানসভা চত্বরে। সেখানে ঢুকেই ‘মমতা চোর’স্লোগান দিতে থাকেন।

    বিজেপির সভা

    বিস্তর কাঠখড় পোড়ানোর পরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করে বিজেপি। সভামঞ্চ আলোকিত করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপির একঝাঁক নেতার উপস্থিতিও জৌলুস বাড়িয়েছিল পদ্ম-সভার। বিজেপির এই সভার উদ্দেশ্য ছিল, কীভাবে তৃণমূল বিরোধী মানুষদের বঞ্চিত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে। কীভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুটেপুটে খেয়েছেন তৃণমূলের এক শ্রেণির নেতা-কর্মী। সভা উপলক্ষে এদিন আক্ষরিক অর্থেই যখন অল রোডস লিড টু ধর্মতলা, ঠিক তখনই কালো পোশাক পরে শাসক দলের বিধায়করা বসেছিলেন বিধানসভা চত্বরের ধর্নায়। ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তাতে যে আদতে বিশেষ লাভ হয়েছে, তা মনে করছেন না রাজনীতির কারবারিরাও। তাঁদের মতে, এদিন তামাম রাজ্যের ফোকাসে ছিলেন অমিত শাহ। তিনিই কেড়ে নিয়েছিলেন প্রচারের (Suvendu Adhikari) সবটুকু আলো। তাই হালে পানি পাননি মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা।

    শুভেন্দুর আগমনে উঠল ঢেউ 

    এই ধর্নায়ই অবশ্য হাজার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ বাল্ব ঝলসে উঠল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আগমনের পর। সভা শেষের পর দলীয় বিধায়কদের নিয়ে ‘জায়ান্ট কিলার’ (নন্দীগ্রামে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পর রাজ্যবাসী তাঁকে চেনেন এই নামেই) চলে আসেন বিধানসভা চত্বরে। ‘চোর’, ‘চোর’স্লোগান দিতে দিতে তিনি চলে আসেন নাট্য-রঙ্গের মূল দৃশ্যে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘চোর’, ‘চোর’, ‘মমতা চোর’। ‘চাকরি চোর মমতা’, ‘ডিএ চোর মমতা’। তাঁর সতীর্থরা ধ্বনি দিতে থাকেন, ‘চোর ধরো, জেল ভরো’। পরে বিধানসভার প্রধান প্রবেশদ্বারের মুখে বসে পড়েন গেরুয়া বিধায়করা। পদ্ম ও ঘাসফুল শিবিরের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে সরগরম বিধানসভা চত্বর। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই সরকার চোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর। তিনিই সব দুর্নীতির মাথা। আমরা তাঁর শাস্তি চাই।”

    আরও পড়ুুন: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     
LinkedIn
Share