Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Amit Shah: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

    Amit Shah: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলার জন্য কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছেন মোদিজি। কিন্তু তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজের জন্য সেই টাকা পৌঁছচ্ছে না বাংলার গরিব মানুষের ঘরে।” বুধ-দুপুরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির সভায় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মোদি সরকার দেশকে কী কী দিয়েছে, এদিন তারও ফিরিস্তি দেন শাহ। বলেন, “গোটা দেশে মোদিজি কীভাবে বিকাশ করছেন! গরিবদের জীবনে কত পরিবর্তন এসেছে। ওঁদের ঘর দিয়েছেন, শৌচালয় দিয়েছেন, জল দিয়েছেন। শৌচালয়ের সঙ্গে ৫ লক্ষের স্বাস্থ্যবীমাও দিয়েছেন। করোনা অতিমারি রুখতে গোটা দেশে টিকাকরণও করেছেন মোদিজি। গোটা দেশে সন্ত্রাসবাদও দমন করেছেন তিনি।”

    তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজ!

    বাংলার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও, তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজের জন্য তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ শাহের। বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায গরু চুরি হোক বা কয়লা চুরি কিংবা নিয়োগ দুর্নীতি, বাংলার মানুষের টাকা এঁরা খেয়েছেন। মমতাজিকে বলছি, হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করে দেখান।”

    ‘শাহি’ পরিসংখ্যান 

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছ তৃণমূল। এদিন ওয়াই চ্যানেলের সভায় তারই জবাব দেন শাহ (Amit Shah)। রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি দেখিয়ে দেন, ১০ বছরের ইউপিএ জমানার চেয়ে ৯ বছরের বিজেপি আমলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ঢের বেশি টাকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস জমানার সরকার দিয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। আর ন’ বছরে মোদি সরকার পাঠিয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।” তিনি বলেন, “আমরা মমতাদির কাছে অনেকবার হিসেব চেয়েছি। উনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, মোদিজি বাংলার জন্য কী করেছেন? আমি হিসেব নিয়ে এসেছি। কান খুলে শুনন। যে ইউপিএ সরকারে আপনি মন্ত্রী ছিলেন, সমর্থন করেছেন, তারা বাংলাকে মাত্র ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছিল। আর মোদিজি দিয়েছেন ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।”

    আরও পড়ুুন: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    শাহ বলেন, “এছাড়াও আমরা এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। ইউপিএ সরকার ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল। মোদিজি দিয়েছেন ৫৪ হাজার কোটি টাকা। একশো দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় সড়কের জন্য দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা। রেলে এবং বন্দরে দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ১৬ হাজার ও এক হাজার কোটি টাকা। সেচ খাতে দেওয়া হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আপনার ২ লক্ষ কোটি টাকার জায়গায় ভারতীয় জনতা পার্টি (Amit Shah) দিয়েছে ৮ লক্ষ কোটি টাকা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

     

  • Jadvapur University: ফের যাদবপুরে উঠল র‌্যাগিং-এর অভিযোগ, তদন্তের আশ্বাস উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের

    Jadvapur University: ফের যাদবপুরে উঠল র‌্যাগিং-এর অভিযোগ, তদন্তের আশ্বাস উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ে তিন মাসের মাথায় ফের র‌্যাগিং-এর অভিযোগ উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadvapur University) মেন হস্টেলে। নাম গোপন রেখেই লিখিত নালিশ করলেন দর্শন বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের এক পড়ুয়া। এই ঘটনা ঘিরে ফের একবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের সিডি ব্লকে থাকতেন প্রথম বর্ষের স্নাতকোত্তরের ওই পড়ুয়া। ওই পড়ুয়ার তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেওয়া একটি চিঠি এদিন প্রকাশ্যে আসে। তাতে ওই ছাত্র অভিযোগ করেন যে তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে। হস্টেলে যথেষ্ট নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তিনি। এমনটাও জানিয়েছেন ওই ছাত্র। গোটা ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। ইমেলের মাধ্যমে তিনি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    অভিযোগ পত্রে কী লিখলেন ওই পড়ুয়া?

    অভিযোগ পত্রে ওই পড়ুয়া লেখেন, ‘‘হস্টেলে (Jadvapur University) যাওয়ার পর থেকে আমার উপর নানা ভাবে র‌্যাগিংয়ের চেষ্টা করা হয়। প্রথমে যখন হস্টেলে মেস চালু হয়, তখন আমায় মেস কনভেনর করা হয়। কিন্তু, আমি নতুন (আবাসিক)। আমার সঙ্গে আরও এক জন মেস কনভেনরও নতুন। তাই মেস কমিটি যে ভাবে বাজার করতে বলে, সেই ভাবে বাজার করি। তা সত্ত্বেও গত ২৫ নভেম্বর সকালে বাজারের পর মাছের টুকরো কেন ছোট এবং ডাল কেন পাতলা হয়েছে, এই বলে আমাকে অকথ্য গালাগালি করা হয়।’’ এর পাশাপাশি ওই পড়ুয়া আরও অভিযোগ এনেছেন যে তাঁকে বাদ দিয়েই গভর্নিং বডির মিটিং ডাকা হয়। সেখানে বলা হয়, ওকে (অভিযোগকারী ছাত্র) একটু টাইট দিতে হবে। মেস কনভেনরের পদ থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। এবং তার পর তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পড়ুয়ার আরও অভিযোগ যে, তাঁকে দেখে নানা কটুক্তি এবং অঙ্গভঙ্গি করেন কয়েকজন আবাসিক। এতে তিনি নিরাপত্তার অভাবে (Jadvapur University) ভুগছেন। তাই হস্টেল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

    অগাস্ট র‌্যাগিং -এর ফলে মৃত্যু হয় পড়ুয়ার

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসের ৯ তারিখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। সে সময়ে ওঠে র‌্যাগিং-এর অভিযোগ। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজনকে। যাদের মধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadvapur University) প্রাক্তনীও ছিলেন। মেন হোস্টেলে নিয়মিত যাতায়াতও ছিল ওই প্রাক্তনীর। র‌্যাগিং-এর পরেই নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: চব্বিশের লোকসভা ভোটে মমতাকে ‘সাসপেন্ড’ করতে জনগণকে আহ্বান শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চব্বিশের লোকসভা ভোটে মমতাকে ‘সাসপেন্ড’ করতে জনগণকে আহ্বান শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলার হাইভোল্টের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভা ভোটে সাসপেন্ড করার ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, বিধানসভা থেকে শাসক দল চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ড করেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শাসকদলের দুর্নীতি এবং লাগামছাড়া সন্ত্রাসের ইস্যু নিয়ে বিধানসভা থেকে আরম্ভ করে রাজ্যের বিভিন্ন জনসভাতে সরব হতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। সেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবার অমিত শাহের জনসভায়, আগামী লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করার ডাক দিলেন।

    বিধানসভায় সাসপেন্ড শুভেন্দু, বিরোধী দলনেতার পাশে অমিত শাহ

    নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিধানসভা থেকে সাসপেন্ডের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘দিদি আপনি শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করেছেন কিন্তু বাংলার জনগণের আওয়াজকে আটকাতে পারবেন না।’’ শুভেন্দু অধিকারী এও দাবি করেছেন  যে তৃণমূলের লোকজনেরাই তাঁকে জানিয়েছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে এই সাসপেন্ড।

    ভাঙা গলাতেই তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর

    বিজেপির এই হাইভোল্টেজ জনসভাকে সফল করতে গত কয়েক দিনে রাজ্য চষে বেরিয়েছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। বিভিন্ন জনসভায় ভাষণ ও স্লোগান দিতে দিতে তাঁর গলাও ভেঙে গিয়েছে। এদিন সেই ভাঙা গলাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপস্থিত কর্মীদের স্লোগানও দিতে বলেন শুভেন্দু। সভার অনুমতি প্রথমে দেয়নি পুলিশ। এরপর গেরুয়া শিবিরকে যেতে হয় উচ্চ আদালতে। এদিন সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে শুভেন্দুর ভাষণে। তিনি বলেন, ‘‘২ বার হাইকোর্টে যেতে হয়েছে। তারপর এখানে সভা হয়েছে। বিজেপ পরিবর্তন আনবে বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেতে হবে যেতে হবে যেতে হবে।’’ শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, ‘‘বাংলা থেকে চোরের রানিকে উৎখাত করবেন অমিত শাহ। পুলিশ বাধা দিয়েছে, তারপরও লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    Amit Shah: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ (CAA) আইন হয়ে গিয়েছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে।” বুধবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির ভরা সভায় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, “এত অনুপ্রবেশ কোনও রাজ্যে হলে সেখানে উন্নয়ন হতে পারে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছেন।” এর পরেই শাহ বলেন, “আমি বলছি, সিএএ আইন হয়ে গিয়েছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে। সিএএ লাগু হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না।”  

    সিএএ-র পথে অন্তরায় তৃণমূল!

    রাজ্যে সিএএ চালুর পথে যে তৃণমূল সরকারই অন্তরায়, এদিন তাও জানিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি জানান, ২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে চাইলেও, তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এদিন তিল ধারণের জায়গা ছিল না। প্রত্যাশিতভাবেই সেই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আগাগোড়া নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড দিচ্ছেন মমতা!

    তিনি বলেন, “দেশে সব চেয়ে বেশি রাজনৈতিক হিংসা হয় বাংলায়। বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অনুপ্রবেশ রুখতে পারেনি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে পার্লামেন্ট চলতে দেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে (Amit Shah)।”

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয় সিএএ। সিএএ-তে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের জেরে ভারতে চলে আসা সেইসব দেশের ছ’টি ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এতে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।

    এদিনের সভায় শাহ বলেন, “অসমে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সেখানে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যেও বিজেপি এলে অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। বিজেপি সিএএ লাগু করবেই।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী রাজ্য (বাংলাদেশ) থেকে যে হিন্দু ভাইয়েরা এসেছেন, এদেশের ওপর আমাদের যতটা অধিকার রয়েছে, তাঁদেরও ততটাই অধিকার রয়েছে।” প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, “সিএএ একটি জটিল অবস্থায় রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আটকে রয়েছে। আদালত রায় না দিলে সরকার এটা কার্যকর করতে পারে (Amit Shah) না।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘ছাব্বিশে দিদিকে উৎখাত করতে হলে চব্বিশে মোদিকে ফের আনতে হবে’’, ধর্মতলায় অমিত শাহ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Amit Shah: ‘‘ছাব্বিশে দিদিকে উৎখাত করতে হলে চব্বিশে মোদিকে ফের আনতে হবে’’, ধর্মতলায় অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘ছাব্বিশে দিদিকে উৎখাত করতে হলে চব্বিশে মোদিকে ফের আনতে হবে’’, ধর্মতলায় অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলার মঞ্চ (BJP Dharmatala Rally) থেকেই একই সুরে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন ও ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার বক্তব্যের শুরুতেই উপস্থিত জনস্রোতের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘‘ছাব্বিশে দিদিকে উৎখাত করতে হলে চব্বিশে মোদিকে ফের আনতে হবে।’’

    দুর্নীতি ইস্যুতে মমতাকে খোলা চ্যালেঞ্জ

    এদিন মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে অমিত শাহ বলেন, “২ কোটি ৩০ লাখ ভোট বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টি পেয়েছে। আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দিদি দ্বিতীয়বার বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করে দিয়েছেন। আমি বলছি, দিদি কান খুলে শুনে নিন শুভেন্দুকে আপনি বিধানসভার বাইরে বের করতে পারেন। কিন্তু, বাংলার জনতাকে চুপ করাতে পারবেন না। বাংলার মানুষ বলছে, দিদি আপনার সময় এবার শেষ হয়ে গিয়েছে। (BJP Dharmatala Rally)”  দুর্নীতি ইস্যুতে এদিন মমতা প্রশাসনকে খোলা চ্যালেঞ্জ করেন শাহ (Amit Shah)। বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করছি। সাহস থাকে তো জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলকে পার্টি থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। যাতে ভাইপোর নাম না আসে সেইজন্য রোজ দুর্গা নাম জপছেন দিদি। যে বাংলা সাহিত্য-বিজ্ঞান-কলা-স্বাধীনতা আন্দোলনে গোটা দেশকে নেতৃত্ব দিত সেই বাংলাকে আজ সবথেকে পিছনে আনার কাজ দিদি করেছেন। দিদিকে বাংলাকে বরবাদ করে দিয়েছেন।’’

    ভোট-হিংসা নিয়ে হুঁশিয়ারি

    ভোট-হিংসায় (BJP Dharmatala Rally) রাজ্যে বিজেপি কর্মীরা যেভাবে আক্রান্ত হয়ে চলেছেন, সেই বিষয়টিও উঠে আসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনী হিংসা গোটা দেশের মধ্যে সবথেকে বাংলায় সবথেকে বেশি হয়। অনুপ্রবেশকারীদের মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার আটকাতে পারে না। এখন ওদের প্রকাশেই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড দেওয়া হচ্ছে। ২১২ জন বিজেপির কর্মীকে খুন করা হয়েছে। দিদিকে বলে যাচ্ছি, আমরা বিজেপি। আমাদের কাছে কর্মীরা ভাইয়ের মতো। গোটা বিজেপির প্রতিটি কর্মী এর বদলা নিতে প্রস্তুত রয়েছেন। ’’

    ২৪-এ প্রত্যাবর্তন ও ২৬-এ পালাবদল

    রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল এবং একইসঙ্গে কেন্দ্রে মোদি সরকারের প্রত্যাবর্তনের ডাক দিয়ে গেলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বলেছেন, “২৬ সালে যদি বাংলায় পালাবদল ঘটাতে হয়, তাহলে চব্বিশ সালে এই রাজ্যে নরেন্দ্র মোদীকে জেতাতে হবে। দেখুন গোটা দেশে মোদিজি কীভাবে বিকাশ করছেন। গরিবদের জীবনে কত পরিবর্তন এসেছে। ওনাদের ঘর দিয়েছেন, শৌচালয় দিয়েছেন, জল দিয়েছেন। শৌচালয়ের সঙ্গে ৫ লক্ষের স্বাস্থ্যবীমাও দিয়েছেন। করোনাকে গোটা দেশে টিকা লাগানোর কাজও মোদিজি করেছেন। গোটা দেশে সন্ত্রাসবাদকে দমন করেছেন মোদিজি।” তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলার উন্নয়ন করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন। তাই বলছি, বাংলায় বিজেপির সরকার তৈরির সুযোগ করে দিন। গত লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদিকে বাংলায় এমন ভাবে জেতান যাতে শপথ নেওয়ার সময়ে মোদিজি বলেন, আমি তো শুধু বাংলার জন্যই জিতেছি।’’ 

    অনুপ্রবেশ নিয়ে এদিন সরব হন শাহ। বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশকারীদের বাংলায় ভোটার কার্ড দেওয়া হচ্ছে, সেই কারণে মমতা দিদি নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন। কিন্তু নাগরিকত্ব আইন হল দেশের আইন। তা বাস্তবায়িত হবেই। ছাব্বিশে যদি বাংলায় পালাবদল ঘটাতে হয়, তাহলে চব্বিশ সালে এই রাজ্যে নরেন্দ্র মোদিকে জেতাতে হবে।’’ একইসঙ্গে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘‘গত ভোটে রিগিং করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি। তার পরেও ৭৭টি আসনে জিতেছে বিজেপি। আমি দেখতে পাচ্ছি, ২০২৬ সালে দুই তৃতীয়াংশ আসনে জিতে সরকার গড়বে (BJP Dharmatala Rally)।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Amit Shah: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’ বছর পর কলকাতার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির সভায় যোগ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এর আগে শাহ যখন এখানে সভা করেছিলেন, তখন তিনি ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। আর আজ, বুধবার যখন সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন, তখন তাঁর পরিচয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দীর্ঘ এই ন’ বছরের ব্যবধানে গঙ্গা দিয়েছে গড়িয়েছে কিউসেক কিউসেক জল।

    শাহি-বার্তা

    তবে ন’ বছর আগের মতোই এবারও শাহের অস্ত্র হতে চলেছে তৃণমূলের দুর্নীতি। কলকাতার এই সভায় যোগ দিতে তিনি যে মুখিয়ে রয়েছেন, এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তা জানিয়েছেন শাহ স্বয়ং। তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি এখন বাংলার মানুষের প্রথম পছন্দের রাজনৈতিক দল। আগামী নির্বাচনে বিজেপির জয় এবং মমতা দিদির তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত। আজ কলকাতায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখার দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছি।”

    শাহের তুণীরে কোন শর? 

    জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ২টো নাগাদ ভাষণ দেবেন অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর এই সফর নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে রাজ্য বিজেপিকে। ন’ বছর আগে যখন এই ধর্মতলায় শাহি সমাবেশ হয়েছিল, তখন এ রাজ্যে বিজেপির পায়ের নীচের মাটি তেমন শক্ত ছিল না। আর আজ, ন’ বছর পরে এ রাজ্যে বিজেপির বুনিয়াদ যথেষ্ট মজবুত। কেলেঙ্কারির পঙ্কিল আবর্তে ঘুরছেন তৃণমূলের অনেক নেতাই। এহেন আবহে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তাই তাঁর তুণীরে কোন শর রাখা আছে, তা জানতে মুখিয়ে বঙ্গ বিজেপিও।

    এদিকে, বেলা ১২টা বাজতেই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা শুরু হয়েছে বিজেপির। ইতিমধ্যেই সভায় হাজির হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকেও সভাস্থলের দিকে আসছে ‘বঞ্চিত’ জনতার মিছিল। অন্যান্যবার বিজেপির সমাবেশে আসার পথে কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার এখনও তেমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “জেলা থেকে ট্রেনে-বাসে করে কলকাতায় আসছেন আমাদের কর্মী-সমর্থকরা। বাধা দিলে পরিণাম ভাল হবে না। আজ তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিলে আমাদের কর্মীরাও উচিত শিক্ষা দেবে। আজ এই কলকাতা থেকে ট্রেলার শুরু। তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দেবেন অমিত শাহ (Amit Shah)।”

    সবে ট্রেলর! পিকচার আভি ভি বাকি হ্যায়?

    আরও পড়ুুন: হাওড়া-শিয়ালদায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ‘শাহি’ সমাবেশের পথে জনতা, রাজপথে ‘গৈরিক সুনামি’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • BJP Rally: হাওড়া-শিয়ালদায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ‘শাহি’ সমাবেশের পথে জনতা, রাজপথে ‘গৈরিক সুনামি’

    BJP Rally: হাওড়া-শিয়ালদায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ‘শাহি’ সমাবেশের পথে জনতা, রাজপথে ‘গৈরিক সুনামি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার গেরুয়া সুনামি দেখবে কলকাতা। মঙ্গলবার কথাগুলি বলেছিলেন বিজেপি নেতারা। বুধবার আক্ষরিক অর্থেই গেরুয়া সুনামি (BJP Rally) দেখতে চলেছেন রাজ্যবাসী। বিস্তর কাঠখড় পোড়ানোর পরে আদালতের নির্দেশে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে হচ্ছে বিজেপির সভা। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ‘ওয়ার্মআপ’ জনসভায় উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    ‘কলকাতা চলো’

    ইতিমধ্যেই সভাস্থলের দিকে আসতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। এদিন সকাল থেকেই শিয়ালদা স্টেশনে ঠায় বসে রয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ। হাওড়া ও শিয়ালদা দুই এলাকাতেই সভায় আগত লোকজনের জন্য ব্যবস্থা হয়েছে খাওয়া-দাওয়ার। বিজেপি কর্মীদের দুপুরের মেনুতে থাকছে, ভাত , সবজি দিয়ে ডাল এবং চাটনি। খাওয়া-দাওয়া সেরেই কর্মী-সমর্থকরা রওনা দেবেন ধর্মতলার দিকে। যাঁরা ভায়া হাওড়া স্টেশন হয়ে সভাস্থলের দিকে আসবেন, তাঁরা খাওয়া-দাওয়া করবেন হাওড়া স্টেশন লাগোয়া রেল মিউজিয়াম সংলগ্ন মাঠে। সেখানেই পাতা হয়েছে চেয়ার-টেবিল। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে শিয়ালদা স্টেশনেও। অন্যদিকে, হাইকোর্ট থেকে সভাস্থলের দিকে রওনা দেবেন বিজেপি লিগ্যাল সেলের সদস্যরা।

    ধর্মতলামুখী ‘বঞ্চিত’ জনতা

    বিজেপি (BJP Rally) নেতাদের দাবি, যেহেতু কলকাতা হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে শাসক দলের, তাই সভাস্থলের দিকে আসা লোকজনকে বাধা দেবে না তৃণমূল। দলের বিধায়ক শঙ্কর বলেন, “আদালতে থাপ্পড় খেয়েছে সরকার। তাই বিজেপি কর্মীদের সভায় আসতে বাধা দিতে গেলে অন্তত দু’বার ভাববে তৃণমূল কংগ্রেস।” ধর্মতলার এই ‘শাহি’ সমাবেশে বঞ্চিতদের হাজির করতে চেষ্টার কসুর করেননি বিজেপি নেতারা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেমন সভা করেছেন দক্ষিণবঙ্গে, তেমনি কলকাতায় কর্মসূচি পালন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার ফলও মিলতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুুন: আজ বিজেপির সভায় প্রথম বক্তা তফশিলি মুখ চন্দনা বাউড়ি, শেষে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ

    কোন পথে আসছে মিছিল?

    ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মঙ্গলবার রাতেই অনেকে চলে এসেছেন সভাস্থলে। বিজেপি সূত্রে খবর, যাঁরা ভায়া হাওড়া স্টেশন হয়ে যাবেন, তাঁরা হাওড়া ব্রিজ ধরে পোদ্দার কোর্টের পাশ দিয়ে টি বোর্ড, বেঙ্কিক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ দিয়ে পৌঁছবেন সভাস্থলে। আর যাঁরা শিয়ালদহ স্টেশনে নামবেন, তাঁরা মৌলালি, হিন্দ সিনেমার সামনে দিয়ে ধরবেন এসএন ব্যানার্জি রোড। সেখান থেকে পৌঁছবেন সভাস্থলে।

    শাহি-মঞ্চের পাশে রাখা ‘ড্রপবক্স’

    এদিকে, শাহি সমাবেশে অমিত শাহের মঞ্চের পাশে রাখা হয়েছে ‘ড্রপবক্স’। কেন্দ্রীয় নানা প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিতরা তাঁদের অভিযোগপত্র জমা দেবেন এই অভিযোগ বাক্সে। প্রসঙ্গত, সমাজের প্রায় সর্বস্তরের মানুষের জন্য নানাবিধ প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। অভিযোগ, সেই সব প্রকল্পের কণামাত্র সুবিধাও পাননি পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরাও যাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পান, তাই বঞ্চিতদের নিয়ে সভার আয়োজন করেছে বিজেপি। যে সভার মধ্যমণি খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (BJP Rally)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Suvendu Adhikari: শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড শুভেন্দু, স্পিকারের বিরুদ্ধে পাল্টা ডেপুটেশন

    Suvendu Adhikari: শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড শুভেন্দু, স্পিকারের বিরুদ্ধে পাল্টা ডেপুটেশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা বিজেপির। পদ্ম শিবির আয়োজিত সেই সভায় যোগ দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তার চব্বিশ ঘণ্টা আগে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)।

    কেন সাসপেন্ড শুভেন্দু?

    স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। এদিকে, স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। শুভেন্দু বলেন, “আজই (মঙ্গলবার) সচিবের কাছে প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে।” এরই পরে পরে বিধানসভার সচিব সুকুমার রায়কে গিয়ে স্পিকারের বিরুদ্ধে ডেপুটেশন দেয় বিজেপির পরিষদীয় দল। স্পিকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ আনা হয়েছে তাতে। গত বছরও একবার সাসপেন্ড করা হয়েছিল শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)। দিনটি ছিল ২০২২ সালের ২৮ মার্চ। অবশ্য শুভেন্দু একা নন, সেবার সব মিলিয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছিল বিজেপির সাতজন বিধায়ককে। পরে অবশ্য আদালতের হস্তক্ষেপে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় তাঁদের সাসপেনশন।

    সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনা 

    এদিন অধিবেশনের প্রথমার্ধে স্পিকার বিজেপির আনা মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ায় বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়কররা। অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে ছিল সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনা। রবিবারই দেশে পালিত হয়েছে সংবিধান দিবস। এদিন তা নিয়েই আলোচনা শুরু হলে শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-সিবিআই অনেককে গ্রেফতার করেছে। তৃণমূল বলছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।” এনিয়ে ফের হইচই হয় সভায়। পরে দলবদলু বিধায়কদের নিয়েও সরব হন শঙ্কর। বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে এই অংশটি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। এবার সরব হন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুুন: মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ, বিধানসভায় হট্টগোল, ওয়াকআউট বিজেপির

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমরা বিজেপির সদস্যরা যেখানে স্পিকারের কাছ থেকে সংবিধানের প্রোটেকশন পাচ্ছি না, সেখানে সংবিধান দিবসে মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনে লাভ নেই। আমরা ভিতরেও বলেছি, এই হাউস সংবিধানের পরিপন্থী হয়ে কাজ করছে।” এর পর স্পিকার বলেন, “শুভেন্দুবাবু আপনি ঠিক আচরণ করছেন না। আপনাকে সতর্ক করছি। নিয়ম অনুযায়ী, আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই সময় বিধানসভায় শাসক দলের উপমুখ্য সচেতক তাপস রায় মোশন এনে বলেন, “যাঁরা কোনওদিন সংবিধান হাতেই ধরেননি, তাঁরা সংবিধান বুঝবেন কীভাবে?” শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ, বিধানসভায় হট্টগোল, ওয়াকআউট বিজেপির

    Suvendu Adhikari: মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ, বিধানসভায় হট্টগোল, ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিবেশন চলছে। কেন অনুপস্থিত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্ন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বর্তমানে রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। আচমকা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে এসএসকেএমের আইসিইউতে। সোমবারই শুরু হয়েছে বিধানসভার অধিবেশন। এদিন মন্ত্রী কেন গরহাজির, প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কেন জেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভায় তার জবাব দিতে হবে।”

    বিজেপির ওয়াকআউট

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। এদিন তাঁদের ছবি ও কাটআউট নিয়ে বিধানসভায় স্লোগান দিতে (Suvendu Adhikari) থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই সময়ই তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “কেন্দ্র টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। টাকা দিচ্ছে না।” এনিয়ে দুপক্ষে হট্টগোল বেঁধে যায়। হট্টগোল চলাকালীনই শুভেন্দুর নেতৃত্বে ওয়াকআউট করে বিজেপি।

    সাবিত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য

    ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য তার আগেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে এ নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপির পরিষদীয় দল। সেটি খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, এই প্রস্তাব রাজ্যের বিষয় নয়। তাই এটি খারিজ করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপমান কীভাবে রাজ্যের বিষয় নয়? এসব নিয়েই প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয় তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে। পরে শুরু হয় হট্টগোল। শেষমেশ ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।

    মালদার বিধায়ক সাবিত্রী অবশ্য বলেন, “ভারতের সংস্কৃতিকে মাথায় রেখেই যা বলার বলেছি। বিরোধী দলনেতা আমাকে ভুল উদ্ধৃত করে ট্যুইট করেছেন। আমি বলিনি, স্বাধীনতা আন্দোলনে গুজরাটিদের ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ (Suvendu Adhikari) সম্পর্কে জানেন না।”

    আরও পড়ুুন: ‘কোড’ নামের আড়ালেই চলত পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নজরে ফের কোন মন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Kuntal Ghosh: ‘‘কালীঘাটের কাকুর নামে কুন্তল আমার কাছ থেকে টাকা তুলত’’, ফের মুখ খুললেন তাপস

    Kuntal Ghosh: ‘‘কালীঘাটের কাকুর নামে কুন্তল আমার কাছ থেকে টাকা তুলত’’, ফের মুখ খুললেন তাপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এদিনই আদালতে তোলা হয় ধৃত তাপস মণ্ডলকে। জেল থেকে কোর্টে যাওয়ার পথেই গাড়ি থেকে মুখ বাড়িয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন তাপস। নিশানা করেন কালীঘাটের কাকু ও কুন্তল ঘোষকে। এদিন তাপস মণ্ডলকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কুন্তল (Kuntal Ghosh) তো ‘কালীঘাটের কাকু’র নামেই টাকা তুলত আমার কাছ থেকে। এখন অন্য কথা বলছে কেন বুঝতে পারছি না।’’ প্রসঙ্গত চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তাপস মণ্ডলকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন তাপস। একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজও চালাতেন তিনি।

    তাপসের গলায় আফসোসের সুর 

    এদিন কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাপস মণ্ডল অভিযোগ করেন যে তদন্তকে বিপথে চালিত করছে কুন্তল (Kuntal Ghosh)। তাপস মন্ডল বলেন, ‘‘কুন্তলের জন্যই ফেঁসে গেলাম।’’ ঠিক এই কারণে তাপসের গলায় এদিন ছিল আফসোসের সুরও। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত গোপাল দলপতির বিষয়ে তাপস মণ্ডল বলেন,  ‘‘কুন্তল কেন গোপাল দলপতির নাম বলছে জানি না। ও তো আমার থেকে টাকা নিয়ে কুন্তলকে (Kuntal Ghosh) দিয়েছে।’’ এদিন তবে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি তাপস মণ্ডল।

    চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয় কুন্তল ঘোষকে

    চাকরি দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে কুন্তল কোটি কোটি টাকা তুলেছে, এই অভিযোগে জানুয়ারি মাসে গ্রেফতার করা হয় কুন্তলকে। কীভাবে টাকা তোলা হয়েছে? ইডি আদালতে দাবি করেছে, ১৩০ জনের থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। শুধু তাই নয়, ১২০০ জনের থেকে ২০ হাজার করে নেওয়া হয়েছে। এর আগে আদালতে ইডি জানিয়েছিল, কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বাড়ি থেকে ২৫০টি ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয, সেই ওএমআর শিটগুলি ছিল গত ১১ ডিসেম্বর নেওয়া টেট পরীক্ষার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share