Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Junior Doctor: ধর্মতলায় অনশনে যোগ দিলেন আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার, আরও জোরদার আন্দোলন

    Junior Doctor: ধর্মতলায় অনশনে যোগ দিলেন আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার, আরও জোরদার আন্দোলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor)। পুজোর মধ্যেও তাঁরা জোরদার আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন। এবার পুজো মিটতেই ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ঝাঁজ ক্রমশ বাড়ছে। মঙ্গলবার তাঁদের অনশনমঞ্চে যোগ দিলেন আরও দুই জন।

    আন্দোলন আরও তীব্র হবে (Junior Doctor)

    জানা গিয়েছে, ৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টা থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন (Hunger Strike) শুরু করেন কলকাতার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের ছ’জন জুনিয়র ডাক্তার। স্নিগ্ধা ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছেন তনয়া পাঁজা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্য। রবিবার অনশনে যোগ দিয়েছিলেন আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক (Junior Doctor) অনিকেত মাহাতও। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অনিকেত, অনুষ্টুপ, পুলস্ত্য এবং তনয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আরজি কর, নীলরতন সরকার এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। ঘটনাচক্রে, অনশনকারীদের মধ্যে আরজি করের কেউ রইলেন না। গত ১১ অক্টোবর রাতে ধর্মতলার অনশনমঞ্চে আরও দুই জন যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা হলেন পরিচয় পণ্ডা এবং আলোলিকা ঘোড়ুই। আর মঙ্গলবার সেই তালিকা আরও বাড়ল। যে নতুন দু’জন অনশনে যোগ দিলেন তাঁরা হলেন স্পন্দন চৌধুরী এবং রুমেলিকা কুমার। রুমেলিকা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিনের জুনিয়র ডাক্তার। স্পন্দন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার। অনশনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “আজ আমাদের আন্দোলনের ৬৫-৬৬ দিন হয়েছে। দাদা-দিদিরা অনশন করছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পুলিশমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী-সহ সবাইকে বলছি আমাদের আন্দোলন চলবে।” রুমেলিকা বলেন, “আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা’’, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হামলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদের

    ২২২ ঘণ্টা অনশনের পর অসুস্থ উত্তরবঙ্গের সৌভিক

    অনশনরত উত্তরবঙ্গ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctor) সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে ভর্তি করানো হল আইসিসিইউতে। প্রায় ২২২ ঘণ্টা অনশনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। অনশনমঞ্চেই পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা শুরু হয় সৌভিকের। তার পরই তাকে আইসিইউয়ে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের সূত্রে খবর, সৌভিকের রক্তচাপ এবং হৃৎস্পন্দন অনিয়ন্ত্রিত। জানা গিয়েছে, সৌভিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় গত ৬ অক্টোবর থেকে। সোমবার মেডিক্যাল টিম তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছিল। তাতে জানা যায়, রক্তচাপ নামছে সৌভিকের। তার পরেও অনশন চালিয়ে যান তিনি। এর আগে অনশনরত অলোক বর্মাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। অন্য দিকে, সোমবারই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেন আরও এক জুনিয়র চিকিৎসক, ইএনটি বিভাগের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি) সন্দীপ মণ্ডল।….

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধৃত সিভিক ছাড়া আর কে কে জড়িত? তদন্ত চলছে, শীর্ষ আদালতে জানালো সিবিআই

    RG Kar Case: ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধৃত সিভিক ছাড়া আর কে কে জড়িত? তদন্ত চলছে, শীর্ষ আদালতে জানালো সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতলে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ছাড়া আর কেউ জড়িত কিনা, এই বিষয়ে জানতে তদন্ত চলছে। কার্যত সুপ্রিমকোর্টে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। উল্লেখ্য, আগেই সিবিআই (CBI), ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নামই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। কিন্তু গত ৯ অগাস্টের পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে এই খুনের মামলায় একাধিক ব্যক্তির ষড়যন্ত্র ছিল বলে বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা মতামত দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।

    তদন্তের গতিপ্রকৃতির রিপোর্ট পড়েন প্রধান বিচারপতি (RG Kar Case)

    মঙ্গলবার ফের একবার চিকিৎসক তরুণীর হত্যা মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এই শুনানি। আবার আরজি কর মামলায়, গত ৭ অক্টোবর সিবিআই প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল শিয়ালদা আদালতে। এই চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম দেওয়া হয় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। সেইসঙ্গে শিটে নাম দেওয়া প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও। এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই চার্জশিটের কথার ফের উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে চার্জশিটের কপিও জমা করা হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। খুনের পিছনে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট দেন সলিসেটার জেনারেল তুষার মেহতা। সেই রিপোর্ট প্রধান বিচারপতি এদিন পড়েন।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যের আপত্তি খারিজ, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে সিবিআই

    এদিন শুনানি চলার সময়, প্রধান বিচারপতি সিভিক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যকে কড়া প্রশ্ন করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিভিক ভলান্টিয়ারদের কে নিয়োগ করে? কী ভাবে নিয়োগ হয় তাঁদের? এখন রাজ্যে কত জন সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন?’’ উত্তরে রাজ্য জানায় সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ করে থাকে। হাসপাতালের সুরক্ষার প্রসঙ্গে বলেন, “ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ১ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। সব হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।” অপর দিকে নির্যাতিতার (RG Kar Case) পরিবারের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসাররা (CBI) নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে একজন নোডাল অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে।….

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Droho Carnival: রাজ্যের আপত্তি খারিজ, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    Droho Carnival: রাজ্যের আপত্তি খারিজ, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের আগেই শুরু হয়ে গেল ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ (Droho Carnival)। ব্যারিকেড সরতেই উচ্ছ্বাস শুরু রানি রাসমণি রোডে। হুরমুড়িয়ে ঢুকল জনস্রোত। পুলিশের ধারা ১৬৩ খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত (Calcutta High Court)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবিকিষাণ কাপুর রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা কোনও শর্তেই কর্মসূচি করতে দেবেন না?” রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “যদি অন্যদিন এই কর্মসূচি করা হয় অথবা রামলীলা ময়দানে স্থানান্তরিত করা হয়।” এরপর রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দ্রোহের কার্নিভালকে অনুমতি দিলেন বিচারপতি। ফলে আরও একবার মুখ পুড়ল মমতা সরকারের।

    ব্যারিকেডগুলি খুলে দেওয়া হচ্ছে (Droho Carnival)

    দ্রোহকে (Droho Carnival) আটকাতে ব্যারিকেড বাঁধতে আনা হয়েছিল লোহার ভারী শিকল। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ব্যারিকেডগুলি খুলে দেওয়া হয়। সেই শিকলের স্থান হয় ফুটপাতে। তবে পুজোর কার্নিভাল এবং দ্রোহের কার্নিভালের রুটের মাঝের রাস্তায় ব্যারিকেড থাকতে পারে। অভয়ার ন্যায় বিচারের দাবিতে কলকাতার রাজপথে দ্রোহের কার্নিভালকে রুখতে পুলিশ জারি করেছিল বিশেষ নিষেধাজ্ঞা। হাইকোর্টের নির্দেশকে পুলিশ অপব্যাখ্যা করেছে বলে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ তুলেছেন। বিষয় তুলে ধরে সিপি মনোজ ভর্মাকে ইমেলের মাধ্যমে চিঠিও করেছিলেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে ইমেল করেন প্রধান বিচারপতিকে (Calcutta High Court)। অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “রাজ্য কার্নিভাল ম্যানেজ করতে পারছে না?” একই ভাবে রাজ্যকে বিচারপতি বলেন, “বার বার আদালত আপনাদের নির্দেশ দিয়েছে র‍্যালির অনুমতি দিন। তারপরেও একই আচরণ।”

    আরও পড়ুনঃ পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    পুলিশের আদেশ বাতিল

    জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষের আইনজীবী বলেন, “পুলিশ যে আদেশ দিয়েছিল তা বাতিল। শান্তিপূর্ণ ভাবে যাতে দ্রোহের কার্নিভাল (Droho Carnival), পুজো কার্নিভাল হয় এবং সেখানে যাতে কোনও বিরোধ না হয়, সেই জন্য আদালতের কাছে প্রস্তাব ছিল রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে রেড রোড পর্যন্ত পুলিশ ব্যারিকেড করুক। আমাদের কোনও তাতে আপত্তি নেই। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করেছে।” তবে রাজ্য সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল এই আদেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে ছিলেন কিন্তু কলকাতা উচ্চ আদালত (Calcutta High Court) তা খারিজ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, দ্রোহের কার্নিভাল যেহেতু অভয়ার হত্যার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি, তাই তাকে আটকাতে রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন ৯ জায়গায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অবশেষে দ্রোহের কার্নিভালে আর বাধা রইল না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা’’, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হামলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদের

    BJP: ‘‘এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা’’, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে হামলাকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আউটডোরে ডাক্তার না থাকায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজ হাসপাতালে তান্ডব চালালেন রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা। হামলা চালানো হল হাসপাতালের সুপারের অফিসেও। মঙ্গলবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এই ঘটনার পুরো দায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে জানালেন বিজেপির (BJP) জলপাইগুড়ি সাংসদ জয়ন্ত রায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (BJP)

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজ হাসপাতালেও জুনিয়র ডাক্তারদের দীর্ঘ আন্দোলন এবং অনশন চলছে। গত সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে সিনিয়র ডাক্তাররা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবায় কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তবুও, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার এবং মঙ্গলবার আউটডোরে রোগী দেখেন পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু, এদিন সাইক্রিয়াটিক আউটডোরে কোনও ডাক্তার ছিলেন না। সকাল থেকে রোগীদের লাইন ক্রমশ লম্বা হতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ডাক্তারের দেখা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রোগীরা। অভিযোগ, সেসময় সাইক্রিয়াটিক বিভাগের কর্মীদের তরফে রোগীদের সুপারের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তারপরই একদল রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন সুপারের অফিসে গিয়ে  তাণ্ডব চালান। ওয়েটিং রুমের সেন্টার টেবিল উল্টে দেয়। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে। বাঁধা দিতে গিয়ে উত্তেজিত রোগীদের হাতে নিগৃহীত হন এক বেসরকারি সিকিউরিটি কর্মী। ঘটনার খবর পেয়ে মেডিক্যাল কলেজ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনকে আটক করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মমতা!

    এদিন ঘটনার পরপরই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন জলপাইগুড়ি বিজেপি (BJP) সাংসদ জয়ন্ত রায়। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে ঘুরে সব খোঁজখবর নেন। এদিন সুপার অফিসে  হামলার ঘটনার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেন। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে অনমনীয় মনোভাব দেখাচ্ছেন তার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি যদি ডাক্তারদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতেন তাহলে এই আন্দোলন চলত না। মানুষও পরিষেবা নিয়ে এধরনের বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটাতো না। এখনও যে হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে পারেনি তা এদিনের এই ঘটনায় প্রমাণ হল। আসলে মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে লড়াই করছেন না। তাঁর লড়াই অন্যায়কে আড়াল করার। আরজি করকাণ্ডের অভিযুক্ত তাঁর কাছের লোকদের বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। সেজন্যই মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি অনমনীয় মনোভাব নিয়ে চলেছেন। এর পরিণতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। এর দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। আগামীতে রাজ্য সরকারের নেতা মন্ত্রীদের এনিয়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে।’’

     কী বললেন হাসপাতালের সুপার?

    সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ‘‘আমি অফিসে ছিলাম না। শুনেছি সাইক্রিয়াটিক আউটডোরে রোগীরা সকাল থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কোনও ডাক্তার ছিলেন না। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা এসে ডাক্তার দেখাতে পারছেন না। সে কারণেই এদিন তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার অফিসে হামলা চালান। তবে, কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    CBI: পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chaterjee) জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেল সিবিআই। পুজোর আগে সিবিআই (CBI) আদালতের থেকে এ ব্যাপারে অনুমতি পেয়েছিল। পুজো মিটতেই তৎপরতা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মঙ্গলবারই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে যায় সিবিআই।

    আদালতে মিলল অনুমতি (CBI)

    বর্তমানে এসএসসি মামলাতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই অন্য মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করলেও পার্থকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি। বরং জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে চেয়েছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পরই সিবিআই (CBI) তৎপর হয়। পার্থের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অয়নক শীলকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁকেও অবশ্য নিজেদের হেফাজতে চায়নি কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর বিশেষ সিবিআই আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে হাজির করানো হয়। তার পর তাঁকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের আবেদন জানায় সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার পরেই পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জেলে গিয়ে পার্থকে জেরার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর

    প্রসঙ্গত, প্রায় আড়াই বছর আগে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশিতে দু’জায়গা থেকে প্রচুর নগদ, সোনা, বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছিল তারা।সোনাদানা, ফ্ল্যাট-বাড়ি মিলিয়ে কম করে ৬০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ও পরবর্তী সময়ে পার্থ-অর্পিতাকে গ্রেফতার করে। অন্য দিকে, কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর জামিনের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ইডির মামলায় জামিনের যে আর্জি করা হয়েছিল পার্থর তরফে তা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৭ অক্টোবর। তার আগে সিবিআই কার্যত চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আইএমএ-র ডাকে দেশজুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজে প্রতীকী অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা

    RG Kar Incident: আইএমএ-র ডাকে দেশজুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজে প্রতীকী অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার দেশজুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজে চলছে প্রতীকী অনশন (RG Kar Incident)। এই অনশনের (Symbolic Hunger Strike) ডাক দিয়েছিল আইএমএ হেডকোয়ার্টার জুনিয়র ডক্টর্স নেটওয়ার্ক। প্রতীকী এই অনশন হবে ১২ ঘণ্টার। সকাল ৬টায় শুরু হওয়া প্রতীকী অনশন চলবে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। আরজি করকাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতেই এই কর্মসূচি।

    উত্তরপ্রদেশ থেকে কেরল চলছে অনশন

    আইএমএ দেশের অন্যতম বড় চিকিৎসক সংগঠন। তাদেরই জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের ডাকে চলছে এই অনশন। উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে কেরল, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জুনিয়র ডাক্তারেরা তাতে শামিল হয়েছেন। লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কেরলের ভেঞ্জরামোদুতে শ্রী গোকুলম মেডিক্যাল কলেজ-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে চলছে ১২ ঘণ্টার অনশন (Symbolic Hunger Strike)। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ১২ ঘণ্টার অনশন চলছে দেশ জুড়ে। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে— ‘শোনো বাংলা, শোনো ভারত’। কয়েকদিন আগেই, ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনমঞ্চে এসেছিলেন আইএমএ-র সর্বভারতীয় সভাপতি আরভি অশোকন (RG Kar Incident)। ‘আমরণ অনশনে’ বসে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের পরিস্থিতি নিয়ে নিজে দেখে গিয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

    প্রতীকী কর্মবিরতি 

    এদিকে, বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। কেবলমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, অ্যাপোলো, মণিপাল, মেডিকা, আরএন টেগোর, ফর্টিস এবং পিয়ারলেসের পর এবার আংশিক কর্মবিরতি (RG Kar Incident) পালন করছেন উডল্যান্ডসের চিকিৎসকরা। আংশিক কর্মবিরতি পালন করছেন সিএমআরআই, বিএম বিড়লা, কোঠারি এবং বেহালার নারায়ণ মেমরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। সল্টলেকের মণিপাল এবং পিয়ারলেস হাসপাতালেও চলছে আংশিক কর্মবিরতি। সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন চিকিৎসকরা (RG Kar Incidents)। বৈঠক চলে ঘণ্টা আড়াই।

    পেনডাউন পিয়ারলেসে

    তার পরেও মেলেনি সমাধান সূত্র। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে ১০ দফা দাবি না মেটা পর্যন্ত অচলাবস্থা চলবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-সহ চিকিৎসক সংগঠনগুলো। সোম ও মঙ্গলবার পেনডাউন করছেন পিয়ারলেস হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বুধবার পর্যন্ত নন-ইমারজেন্সি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। এই মর্মে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ১১২ জন চিকিৎসক।

    আরও পড়ুন: কানাডার কূটনীতিককে তলব ভারতের, কেন জানেন?

    এদিকে, সময় যত গড়াচ্ছে, ততই ধর্মতলার মঞ্চে এক এক করে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনশনরত চিকিৎসকরা। তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা চিকিৎসক সমাজ। তারা চায়, এই পরিস্থিতিতে দ্রুত চিকিৎসকদের সমস্যা সমাধানে নামুক প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসনকে বারবার সেকথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হলেও, সদর্থক কোনও ভূমিকা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

    অনশনরত চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছে ফেডারেশন অফ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি লিখেছে তারা। তাতে বলা হয়েছে, ‘ব্রিটিশ শাসনের পর বাংলায় অন্ধকারতম সময়। সমাধান না মিললে অনশনকারীরা (Symbolic Hunger Strike) মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবেন (RG Kar Incidents)।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

      

  • Kalyani Medical: গণ ইস্তফা ৭৭ ডাক্তারের, মঙ্গলবার থেকে কল্যাণী মেডিক্যালে থমকে কাজ

    Kalyani Medical: গণ ইস্তফা ৭৭ ডাক্তারের, মঙ্গলবার থেকে কল্যাণী মেডিক্যালে থমকে কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের (RG Kar) প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক সরকারি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা গণ ইস্তফা দিয়েছেন। সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল। এবার কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল (Kalyani Medical) কলেজ হাসপাতালে ৭৭ জন ডাক্তার গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইমেল করে সিদ্ধান্তের কথা জানালেন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার থেকেই কাজ বন্ধ করেছেন তাঁরা। আরজি করকাণ্ডে বিচারের দাবিতেই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।

    চিঠিতে কী জানিয়েছেন ডাক্তাররা?(Kalyani Medical)  

    ইস্তফাপত্রে (Kalyani Medical) ডাক্তাররা লিখেছেন, “গত ৯ অগাস্ট আরজি করে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদে বিচার চেয়ে এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ১০ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা আমরণ অনশনে বসেছেন। তাঁদের দাবিগুলি সাধারণ মানুষের উপকারের জন্যই। অনশনরত জুনিয়রদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে ক্রমশ। ওঁদের এই ভোগান্তি, এই যন্ত্রণা আমরা আর সহ্য করতে পারছি না। এই পরিস্থিতিতে কাজ করার মতো মানসিক অবস্থাই নেই আমাদের কারও। জোর করে কাজ করলে আমাদের কাজে ভুল হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীদের জীবনসঙ্কট তৈরি হতে পারে। তাই আমরা গণইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” যদিও চিকিৎসকদের গণ ইস্তফা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল জানিয়ে দেন, গণ ইস্তফা কোনও গ্রাহ্য পদত্যাগ নয়। সার্ভিস রুল অনুসারে, ইস্তফাপত্র অবশ্যই ব্যক্তিগত ভাবে দিতে হয়। ইস্তফা ব্যক্তিগত বিষয়। নিয়োগকর্তার কাছে নিযুক্তির ব্যক্তিগত পদত্যাগপত্র না জমা দিে সেটা পদত্যাগপত্র নয়। একটা যৌথ চিঠি, অনেকের সংগ্রহ সম্বলিত, যাতে বিষয়ের উল্লেখ নেই। বিভ্রান্তি দূর করতেই সরকার এই অবস্থা জানায়।

    মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টাকে পালটা আইএমএ-র

    আইএমএ পশ্চিমবঙ্গ শাখার যুগ্ম সম্পাদক রঞ্জন ভট্টাচার্যর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় শব্দচয়নে যে কদর্যতার পরিচয় দিয়েছেন, তা নিন্দনীয়। ওনার কাছে থেকে এই ধরনের ভাষা আমরা আশা করি না। উনি যে পদ্ধতিগত ইস্তফার কথা বলেছেন, সেই বিষয়ে উনি যদি আমাদের একটি নির্দিষ্ট প্রোফর্মা তৈরি করে দেন, তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী একে একে সই করে ইস্তফা দেব।” তিনি আরও বলেন, “সরকারি ক্ষেত্রে ৩৫০ জন এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে আরও ৪০০ জন ডাক্তার ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ অগ্নুৎপাতের মতো বিস্ফারিত হচ্ছে। রাজ্য সরকার চিকিৎসকদের প্রতি যে অসংবেদনশীল আচরণ করছে, তার পরিবর্তন না হলে পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য সরকার তৈরি থাকুক।”

    আন্দোলনকারী ডাক্তাররা কী বললেন?

    কল্যাণী জেএনএম (Kalyani Medical) হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তার কৌস্তভ চক্রবর্তী বলেন, “গোটা রাজ্যজুড়ে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যে থ্রেট কালচার চলছে, তার অন্যতম ভয়ঙ্কর রূপ হল কল্যাণী জেএনএম। বেশ কয়েকজনকে অপসারণ করার পরেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। এই থ্রেট কালচারের সিন্ডিকেটের যারা মূল মাথা, রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। আমরা রাজ্য সরকারকে গণইস্তফার মধ্যে দিয়ে একটি বার্তা দিতে চাইছি। আর আলাপনবাবু যেভাবে চ্যালেঞ্জ করেছেন, সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আমরা এই ইস্তফা দিয়েছি। আমরা ওদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকারি হাসপাতালে চাকরি না করলেও ডাক্তাররা না খেয়ে মরবেন না।”

    আরও পড়ুন: পুলিশের ‘না’, তবে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ হচ্ছেই, আজ মানব-বন্ধন কর্মসূচি জুনিয়র ডাক্তারদের

    জেলায় জেলায় আন্দোলন

    আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসে অনিকেত মাহাতো, আলোক বর্মার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা। আপাতত স্থিতিশীল অনুষ্টুপ। রক্তক্ষরণের কারণ সন্ধানে এন্ডোস্কপি হবে তাঁর। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন বহরমপুরের নাগরিকরা। সকাল ৭টা থেকে বহরমপুর রবীন্দ্র ভবনের সামনে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছেন শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীরা। আরজি কর-কাণ্ডের বিচার এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতেই এই প্রতীকী অনশন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে নিউ গড়িয়া সমবায় আবাসনের আবাসিকরাও। আবাসনের মূল গেটের সামনে প্রতীকী অনশনে। তাঁরা নিজেদের আবাসনের মূল গেটের সামনে বসে প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন। নাচ-গান, আবৃত্তির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে সকাল ৮টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত চলবে। এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। আবাসনের বাসিন্দা অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রও প্রতীকী অনশনে শামিল হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: বাথরুমে যাওয়ার সময় হারান জ্ঞান, আরও এক অনশনরত চিকিৎসক ভর্তি হাসপাতলে

    RG Kar Case: বাথরুমে যাওয়ার সময় হারান জ্ঞান, আরও এক অনশনরত চিকিৎসক ভর্তি হাসপাতলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাথরুমে যাওয়ার সময় পথেই জ্ঞান হারালেন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তার তনয়া পাঁজা। অবস্থা সঙ্কটজনক বুঝে আরও এক আন্দোলনকারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। টানা নয়দিনের অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। সোমবার সকাল থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তনয়া কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Hospital) ইএনটি (নাক, কান, গলা সংক্রান্ত) বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক। তবে আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Case) ন্যায় বিচারের দবিতে এখনও অনড় অনশনকারী ডাক্তাররা।

    শরীরের কিটোন বডির মাত্রা বেড়ে গিয়েছে (RG Kar Case)

    জানা গিয়েছে, তনয়াকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত সিসিইউতে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। তাঁর ব্লাড প্রেসার অনেক কমে গিয়েছে। শরীরের কিটোন বডির মাত্রা বেড়ে গিয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ঘন ঘন তাঁর মাথা ঘুরছিল। উঠতে বসতে কষ্ট হচ্ছিল, মাথা ঘুরিয়ে উঠছিল। এমনকি, শুয়ে থাকলেও মাথা ঘুরছিল তাঁর। সম্প্রতি তাঁর যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে তনয়ার রক্তচাপ কমে হয়েছে ৯৮/৭০। নাড়ির গতি ৭৮ এবং ক্যাপিলারি ব্লাড গ্লুকোজ় (সিবিজি) বা রক্তে শর্করার মাত্রা ৬৩। মূত্রে কিটোন বডি বেড়েছে, পরিমাণ ৩+। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিবিজি ৬০-এর নীচে নেমে গেলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। ফলে তাঁর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ডাক্তাররা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অভয়ার সুবিচারের দাবিতে এখনও এই অনশন মঞ্চে সাধারণ জনতার ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল।

    আরও পড়ুনঃ এবার অনশন-কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসকদেরও

    একাধিক আরও ডাক্তার অসুস্থ!

    গত পাঁচ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন (RG Kar Case) শুরু করেছিলেন তনয়া। পরবর্তীতে যোগদান করেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। এরপর গত বৃহস্পতিবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অনশনের সময় যত বাড়তে বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে একে একে ডাক্তার অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্যরাও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি হন। তাঁদেরও অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। আবার গত শনিবার উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজে অনশনে বসেছিলেন আলোক বর্মা। তাঁর সঙ্গে আরও এক জুনিয়র ডাক্তার অনশনে ছিলেন, তাঁর নাম শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incidents: এবার অনশন-কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসকদেরও

    RG Kar Incidents: এবার অনশন-কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসকদেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ন্যায্য। সেই দাবি পূরণ না হলে, সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতার পথে হাঁটতে পারেন মেডিক্যাল কলেজগুলির অধ্যাপক-চিকিৎসকরাও (Doctors Protest)। প্রয়োজনে তাঁরাও করতে পারেন অনশন, অবস্থান, কর্মবিরতি। সোমবার (RG Kar Incidents) এসএসকেএম-এ বৈঠকের পর এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন সরকারি হাসপাতালের প্রফেসর চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ ও জুনিয়র ডাক্তারদের মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তাঁরা।

    দ্রোহের কার্নিভালে আমন্ত্রণ মুখ্যসচিবকেই (RG Kar Incidents)

    স্বাস্থ্যভবনে গতকাল মুখ্যসচিবের ডাকা বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র। মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকেই ‘দ্রোহের কার্নিভালে’ আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের প্রতিনিধিরা। তার ওপর সরকারি অধ্যাপক-চিকিৎসকদের এহেন হুঁশিয়ারিতে মঙ্গলবারের জোড়া কার্নিভাল নিয়ে আরও জোরালো হল রাজ্য সরকার ও চিকিৎসকদের সংগঠনের সংঘাত। মঙ্গলবারই রেড রোডে হবে পুজো কার্নিভাল। এই উৎসব বয়কট করে এদিন দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দিয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। যদিও প্রথম থেকেই ডাক্তারদের কার্নিভালের অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি দেয়নি পুলিশও। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এদিন কোনও মিছিল করা যাবে না (RG Kar Incidents)।

    কী বলছেন অধ্যাপক-চিকিৎসকরা

    এহেন আবহে সোমবার এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজে বৈঠকে বসেন রাজ্যের প্রায় সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসকরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মঙ্গলবার দ্রোহের কার্নিভাল ও জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন অধ্যাপক চিকিৎসকরা। এসএসকেএমের অধ্যাপক চিকিৎসক গৌতম দাস বলেন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছি। দাবি পূরণ না হলে… অসহযোগিতা।” অধ্যাপক চিকিৎসক অর্ণব সেনগুপ্ত বলেন, “টিচারদের ইলেকটেড বডি চাই, তাহলে অনাচার আটকানো যাবে।”

    আরও পড়ুন: হরিয়ানায় ১৭ অক্টোবর শপথ নেবে বিজেপি সরকার, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    দ্রোহের কার্নিভালের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমাদের আটকানো যাবে না। আগেই আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। মঙ্গলবার আমাদের কর্মসূচি হচ্ছেই। প্রসঙ্গত, এদিন বিকেলে সাড়ে ৪টেয় যখন রেড রোডে পুজো কার্নিভালের প্রস্তুতি চলবে, তখন বিকেল ৪টেয় ধর্মতলায় জমায়েতের ডাক দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। রাণি রাসমণি রোডে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা (Doctors Protest)। সূত্রের খবর, ধর্মতলা সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে (RG Kar Incidents)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: বেনজির সংঘবদ্ধতা! মঙ্গলেও প্রতীকী কর্মবিরতি চলছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে

    RG Kar Case: বেনজির সংঘবদ্ধতা! মঙ্গলেও প্রতীকী কর্মবিরতি চলছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে বেনজির দৃশ্য দেখা গেল কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশন কর্মসূচি এখনও ন্যায় বিচারের দাবি সহ মোট ১০ দফা দাবিতে অনড়। মঙ্গলবার জুড়ে চলবে প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে আগেই টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। সোমবার প্রথম দিনেই একগুচ্ছ হাসপাতলে প্রতীকী কর্মবিরতির শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারেও সেই কর্মসূচি চলছে।

    প্রতিবাদের চিত্র অত্যন্ত বিরল (RG Kar Case)

    চিকিৎসক মহলের মতে এই সংঘবদ্ধ প্রতিবাদ কার্যত বেনজির। আগেও বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। সবটাই স্বতন্ত্রভাবে হয়েছে। একজন চিকিৎসক তরুণীকে (RG Kar Case) ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায়, এই প্রথম গোটা চিকিৎসক মহল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। তবে ন্যায় বিচারের ঘটনায় একত্রিত হয়ে এই ভাবে প্রতিবাদের চিত্র অত্যন্ত বিরল। একজোট হয়ে কর্মবিরতির ঘটনা শুধু কলকাতায় পালিত হচ্ছে না, একই ভাবে হাওড়া, কোচবিহার সহ একাধিক জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    কোন কোন বেসরকারি হাসপাতালে বন্ধ পরিষেবা

    সোমবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আটচল্লিশ ঘণ্টা প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে বলা হয়, জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ রাখা হবে। অ্যাপোলো, মণিপাল, মেডিকা, আর এন টেগোর, ফর্টিস, চার্নক, পিয়ারলেস, উডল্যান্ডস মাল্টি স্পেশালিটি, সিএমআরআই, বিএম বিড়লা, কোঠারি এবং বেহালার নারায়াণা স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। বুধবার তাঁরা সকাল ৬টা পর্যন্ত আংশিক কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন। ইতিমধ্যে পিয়ারলেস হাসপাতালে ১২ ঘণ্টার অনশন করেন চিকিৎসকরা। একই ভাবে হাওড়ার নারায়াণা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে প্রতীকী অনশন এবং কর্মবিরতি পালন করা হয়েছিল। তবে জরুরি পরিষেবা মিলেছে সেখানে। বন্ধ ছিল ওপিডি। মানস খাঁ নামক এক চিকিৎসক বলেন, “জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানাতে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছি। অনশনের জেরে একে একে ডাক্তাররা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চাই সরকারি হস্তক্ষেপে দ্রুত এই অচলাবস্থা মিটে যাক। আরজি করের ঘটনার দ্রুত বিচার (RG Kar Case) হোক।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    বৈঠক ফলপ্রসূ নয়

    অপর দিকে, ১০ দফা দাবি নিয়ে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার (RG Kar Case)। সোমবার ছিল অনশনের নবম দিন। কলকাতার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দুজন জুনিয়ার ডাক্তার অনশন কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন। সকল অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থা ইতিমধ্যে সঙ্কটজনক। নানা রকম জটিলতা দেখা দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে বিষয় নিয়ে সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনার কথা বলেছেন সিনিয়র ডাক্তারদের এক অংশ। আর যদি সময় মতো কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে বড়সড় আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। আইএমএ ডাক্তার সংগঠনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার দেশ জুড়ে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক হলেও জুনিয়র ডাক্তার এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে জটিলতা কাটেনি। আইএমএ-সহ ১২টি চিকিৎসক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। সিনিয়র ডাক্তাররা হতাশা প্রকাশ করেছেন। অপর দিকে মুখ্যসচিব নেতিবাচক মানতে নারাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share