Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Darjeeling: ক্রিকেটে ভারতের হারে নিম্নরুচির উল্লাস! দার্জিলিংয়ে বন্ধ বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং

    Darjeeling: ক্রিকেটে ভারতের হারে নিম্নরুচির উল্লাস! দার্জিলিংয়ে বন্ধ বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে ভারত হেরে গেলে বাংলাদেশের একাংশ মানুষকে ব্যাপক নিম্নরুচির উল্লাস বিনিময় করে সামাজিক মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল। এবার এই ঘটনার প্রতিবাদে দার্জিলিং (Darjeeling) এবং সিকিমের একাধিক হোটেলে বাংলাদেশিদের বুকিং নেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। বাংলাদেশের পর্যটকদের জন্য পাহাড়ের একাধিক হোটেলে প্রবেশাধিকার বন্ধ করার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। যদিও হোটেল মালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তেমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে। একই রকম ভাবে রায়গঞ্জের হোটেলেও প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কেন বন্ধ হোটেল (Darjeeling)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৯ নভেম্বর। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ফাইনাল ম্যাচ ছিল। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। টসে অস্ট্রেলিয়া জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ভারতকে ব্যাট করতে হয়। পরে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ভারতকে হারিয়ে দেয়। আর এরপর থেকেই ভারতের পরাজয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক উল্লাসের চিত্র সামজিক মাধ্যমে দেখা যায়। ভারতের ক্রিকেটকে অপমানের পাশাপাশি ভারতের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে নিয়ে নিম্নরুচির মিম বানানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতেও ক্ষোভের চিত্র দেখা যায়। প্রতিবাদে দার্জিলিং (Darjeeling), সিকিমের বেশ কিছু হোটেলে বাংলাদেশের পর্যটকদের বুকিং বন্ধ করে হোটেল মালিকেরা।

    হোটলে মালিকদের বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং (Darjeeling) এবং সিকিমে সব মিলিয়ে প্রায় ১১ টি হোটেলে বাংলাদেশি পর্যটকদের বুকিং বাতিল করা হয়েছে। হোটেল চেনের মালিক বর্ধমানের এক বাসিন্দা রাম সরকার বলেন, “এটা কোনও সংগঠিত সিদ্ধান্ত নয়, ব্যক্তিগত ভাবে আমার সিদ্ধান্ত। আমরা ৪ টি হোটেল বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য বুকিং বাতিল ঘোষণা করেছি। যে ভাবে ভারতকে বাংলাদেশিরা অপমান করছেন, তাতে আমরা খুব তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি। তাছাড়া বাংলাদেশিরা ভিসার ছবি পাঠিয়ে বুকিং করলেও অনেক সময় আসেন না। তাই প্রবেশ নিষিদ্ধ করছি।”

    উল্লেখ্য হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজয় খান্না বলেন, “সংগঠনের পক্ষ থেকে এখনও কোনও তেমন নিষিদ্ধের কথা ঘোষণা করা হয়নি। ব্যক্তিগত হোটেল মালিকের সিদ্ধান্ত।”

    রায়গঞ্জে বন্ধ হল হোটেল

    দার্জিলিং-এর পর এবারে রায়গঞ্জ। রায়গঞ্জ শহরের বিশিষ্ট হোটেল ব্যবসায়ী অরিন্দম সিংহ রায় বলেন, “সবার আগে দেশ। তাই বাংলাদেশি সমর্থকদের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমার দুটো হোটেলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কোনও বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘর ভাড়া দেবো না। তাতে ব্যবসায় ক্ষতি হয় হোক।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Joynagar Murder: গুলি করেছিল শাহরুল! পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    Joynagar Murder: গুলি করেছিল শাহরুল! পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরে তৃণমূল নেতার হত্যাকাণ্ডে (Joynagar Murder) গ্রেফতার হওয়া শাহরুল জানিয়েছিল সে গুলি করেনি। কিন্তু তদন্ত যত এগিয়ে যাচ্ছে নতুন মোড় নিচ্ছে হত্যাকাণ্ডে। পুলিশের দাবি, গুলি শাহরুল করেছে। গত ১৩ নভেম্বর সকালে তৃণমূল নেতা সুইফুদ্দিনের হত্যার পর একবারও খুনে মূল অভিযুক্ত আনিসুর লস্করকে ফোন করেনি শাহারুল। পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    গুলি করেছিল শাহরুল (Joynagar Murder)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর তৃণমূল নেতা খুনের (Joynagar Murder) ঘটনায় বাইকে করে মোট ৫ জন দুষ্কৃতী এসেছিল। এদের মধ্যে শাহরুল গুলি করেছিল। খুনের পরে শাহরুল ধরা পড়ে যায়।। ঘটনায় অভিযুক্তের মধ্যে আরও তিনজন এখনও পালাতক। অপর দিকে আনিসুরকে হরিণঘাটা থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা সুইফুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে (Joynagar Murder) গ্রেফতার শাহরুলকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের পর, পুলিশ শুক্রবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের বক্তব্য, “শাহরুলের কাছ থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে খুনের ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটা মানিব্যাগ এবং আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে বন্দুকে ব্যবহার করা কার্তুজ এবং মৃত তৃণমূল নেতার ছবি। সঙ্গে ছিল আধার এবং প্যান কার্ড।” পুলিশের আরও অনুমান, “টার্গেট যাতে মিস না হয় তাই তাঁকে ছবি দেওয়া হয়েছিল। গুলি শাহরুল করেছে।”

    পরিকল্পনা করে খুন করা হয়

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনায় কেউ কেউ আর্থিক মদত করেছে। সইফুদ্দিনকে হত্যা (Joynagar Murder) করার জন্য শাহরুল রীতিমতো নজরদারি করেছিল। শাহরুলকে খুনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিল আনিসুর এবং কামরুল। এই ঘটনায় আরও দুই থেকে তিনজন আর্থিক সহায়তা করেছিল বলে পুলিশের অনুমান। বারুইপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। এই দলে আরও ১১ জন পুলিশ রয়েছেন। খুনের জন্য মোট ৫ লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর ‘বেফাঁস’ মন্তব্য, গ্রেফতারির দাবিতে থানায় অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর ‘বেফাঁস’ মন্তব্য, গ্রেফতারির দাবিতে থানায় অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের চারজনকে জেলে ঢোকালে, বিজেপির আটজনকে জেলে ঢোকানার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন হুঁশিয়ারির জেরে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি যে আদালতের দ্বারস্থ হবেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তার আগে তিনি ই-মেইল করলেন হেয়ার স্ট্রিট থানায়।

    কী লিখেছেন শুভেন্দু? 

    এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে ইমেলে অভিযোগ জানিয়েছি। বিজেপির আটজনকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। দলের হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার মধ্যে পড়ে, সেখানেই ই-মেইলে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও হুমকি নিয়ে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করব। পুলিশ যদি এফআইআর না করে, এসিজেএমের দ্বারস্থ হব।”

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, “আমাদের চারজনকে জেলে ঢুকিয়েছে, আমি আটজনকে ঢোকাব। যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের প্রত্যেককে জেলে ঢোকাব।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে এফআইআর করব। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম যে থানার আওতায়, সেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করব। উনি রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন, এর বিরুদ্ধে ইউএপিএ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “দম থাকলে সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে শুরু করুন। সুকান্ত মজুমদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, আমার বাবা-মা, স্ত্রীর সম্পত্তির হিসেব নিন। আপনার পরিবারের সম্পত্তির হিসেবও বের করুন।” বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে হুমকি দেন, কার বিরুদ্ধে, আদালত-আইনের বিরুদ্ধে…কে গ্রেফতার হয়েছে, কেন গ্রেফতার হয়েছে, তাতে বিজেপির কী হাত রয়েছে প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রী দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। বাড়িতে হানা দিলেই সম্পত্তি, টাকা-পয়সা পাওয়া যাচ্ছে। তার পরেও উনি প্রতিহিংসার কথা বলছেন! আর কত নীচে নামবেন উনি। একজন শাসকের এমন (Suvendu Adhikari) আচরণ শোভা পায় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: মিড ডে মিল দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্ত! কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মিড ডে মিল দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্ত! কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে মিড ডে মিল দুর্নীতির (Mid Day Meal Scam) তদন্তে সিবিআইয়ের সুপারিশ করেছে কেন্দ্র। এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সিবিআই তদন্তের কথা জানান বলে সোশ্যাল সাইটে লিখেছেন শুভেন্দু। ইতিমধ্যেই  রাজ্যে মিড ডে মিলে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি দেন শুভেন্দু।

    কী বলেছেন শুভেন্দু

    ২০০৮ সালে চালু হয়েছিল ‘পিএম পোষণ’ বা ‘পিএম পোষণ শক্তি নির্মাণ’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় সরকারি এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চলা স্কুলগুলির প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একবেলা করে রান্না করা খাবার (Mid Day Meal Scam) দেওয়া হয়। শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সিবিআই হেড কোয়ার্টারে অনুরোধ করেছেন পিএম পোষণ ফান্ডের অপব্যবহার হয়েছে।’ গত ৫ জানুয়ারি শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধানকে।  সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতেই রাজ্যে আসে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল। মোট ২৬টি বিষয়ের ওপর মিড ডে মিলের মান যাচাই করেন তাঁরা। এর পর দিল্লি ফিরে রিপোর্ট দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, সেই রিপোর্টে রাজ্যে মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। তার পরই পশ্চিমবঙ্গে মিড ডে মিল দুর্নীতিতে (Mid Day Meal Scam) সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তারা। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূলের শুধু গরিব মানুষের মুখের গ্রাস চুরি করেনি। তারা শিশুদের খাবারও চুরি করেছে। কেন্দ্রের এই নির্দেশে আমাদের একটা সাফল্য। স্বচ্ছভাবে তদন্ত করে দ্রুত সত্য প্রকাশ্যে আনা হবে বলে আশা করছি। অপরাধীদের শাস্তি চাই।’ এ প্রসঙ্গে সিবিআই তদন্ত হলে গ্রেফতার হতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুক্রবার কৃষ্ণনগরের জনসভায় এই দাবি করেন শুভেন্দু।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: দুয়ারে শীত! কলকাতায় ১৮-র ঘরে পারদ, ডিসেম্বরের শুরুতে ফের ঘূর্ণিঝড়

    Weather Update: দুয়ারে শীত! কলকাতায় ১৮-র ঘরে পারদ, ডিসেম্বরের শুরুতে ফের ঘূর্ণিঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহর থেকে জেলা সর্বত্র ঠান্ডার মেজাজ। সপ্তাহান্তে আরও নামবে পারদ। বিশেষ করে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ঠান্ডার দাপট থাকবে। এরই মধ্য়ে ডিসেম্বরের শুরুতে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করছেন আবহবিদরা। আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। 

    ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    আলিপুর হাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ২৬-২৭ নভেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্ত অচিরেই পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। এর পর যদি সেই নিম্নচাপ আরও শক্তি বৃদ্ধি করে, তা হলে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে অচিরেই পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়েও। ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে তা বঙ্গোপসাগর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে মিগজাউম( ‘Michaung’ pronunciation – Migjaum)। মায়ানমারের দেওয়া এই নাম। ঘূর্ণিঝড় হলে চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে এটি চতুর্থ ঘূর্ণিঝড় হবে।

    দক্ষিণবঙ্গের জেলায় ঠান্ডার আমেজ

    উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই শীতের আমেজ বহাল রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঠান্ডার আমেজ আরও বেড়েছে। আগামী কয়েকদিনে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঠান্ডার আমেজ আরও তীব্র হতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করতে পারে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিন পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূমে শীতের দাপট থাকবে বেশি। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও আপাতত তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না।

    আরও পড়ুন: আদালত অবমাননা! হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা

    কলকাতায় ঠান্ডার ব্যাটিং 

    এক ধাক্কায় কলকাতায় ১৮-র ঘরে নেমেছে পারদ। ধীরে ধীরে কমছে রাতের তাপমাত্রা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতার বেশ কিছু এলাকার তাপমাত্রা ছিল এই মরশুমে সবচেয়ে কম। বৃহস্পতিবার প্রথম কলকাতার তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। শুক্রবারও তা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচেই রয়েছে। শুক্রবার দমদম এবং আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৯ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে কম। এ ছাড়া বর্ধমান এবং বাঁকুড়াতে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রির নীচে। নদিয়া-মুর্শিদাবাদেও ২০ ডিগ্রির নীচে ছিল তাপমাত্রা।

    উত্তরে ঠান্ডার দাপট

    দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে থাকা শীত শীত ভাব নভেম্বরের বাকি দিনগুলিতেও থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে হাওয়া অফিস।  আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আর দু’তিন দিনের মধ্যেই উত্তুরে হিমেল হাওয়া দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতে শুরু করবে। ফলে আরও কমবে তাপমাত্রা। উত্তরবঙ্গে আপাতত মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে। আগামী তিন চার দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকলেও শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে হালকা বৃষ্টি হতে পারে পার্বত্য এলাকায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Dharmatala Rally: ‘‘২১ জুলাইও বাতিল করে দিই তাহলে’’! রাজ্যের যুক্তি উড়িয়ে বিজেপির সভাকে অনুমতি হাইকোর্টের

    BJP Dharmatala Rally: ‘‘২১ জুলাইও বাতিল করে দিই তাহলে’’! রাজ্যের যুক্তি উড়িয়ে বিজেপির সভাকে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধোপে টিকলো না রাজ্যের আপত্তি। ধর্মতলায় বিজেপির সভাকে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন নির্দেশ দেওয়ার সময় যুগান্তকারী মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।  এই রায়ের ফলে, ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে একুশে জুলাইয়ের সভার জায়গাতেই গেরুয়া শিবিরের সমাবেশে কোনও বাধা রইল না। 

    আগামী ২৯ নভেম্বর কলকাতায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। সেই সভায় অনুমতি দিয়েছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। আজ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের আগের নির্দেশই বহাল রাখল। একক বেঞ্চের নির্দেশ মতো বিধিনিষেধ মেনে হবে বিজেপির সভা (BJP Dharmatala Rally)। নির্দেশে জানাল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।

    ২৯ নভেম্বরের সভা পাখির চোখ বিজেপির

    এই সমাবেশ (BJP Dharmatala Rally) নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতিও শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। জানা যাচ্ছে, সেই সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহকেও আনার পরিকল্পনা আছে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। এধরনের বড় সভা বা সমাবেশের ক্ষেত্রে অন্তত ২ সপ্তাহ আগে পুলিশের কাছে আবেদন করতে হয়। নিয়ম মেনে, তা করেওছিল গেরুয়া শিবির। বিজেপি ২ বার সভার জন্য লালবাজারের অনুতি চেয়েছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু গেরুয়া দলের আবেদনকে গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ।  এদিন শুনানিতে (Calcutta High Court) সভার অনুমতি বাতিল চেয়ে একাধিক যুক্তি দেখিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। তাঁর যুক্তি ছিল, ওই জায়গা শহরের প্রাণকেন্দ্র। সেখানে সভা হলে শহর স্তব্ধ হবে। বিজেপির তরফে পাল্টা তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভার কথা তোলা হয়। যার উত্তরে, রাজ্যের আইনজীবীর দাবি, ওখানে ২১ জুলাই ছাড়া অন্য কোনও সভার অনুমতি দেওয়া হয় না। 

    ২১ জুলাইয়ের সভা বন্ধের হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর, রাজ্যের আপত্তি খারিজ করে সভার (BJP Dharmatala Rally) অনুমতি দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ (Calcutta High Court)। ২১ জুলাইয়ের সভা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “২১ জুলাই বাতিল করে দিচ্ছি। আমরা সব বন্ধ করে দিচ্ছি। কোনও মিটিং, মিছিল, সভা নয়। একটাই সমাধান, সবার জন্য সব কর্মসূচি বন্ধ করেছি। সেটা করলে কী ভাল হবে?” পুলিশের কাছে যথাযথভাবে আবেদন করা সত্ত্বেও তা খারিজ করা হয় বলে অভিযোগ করে বিজেপি। এপ্রসঙ্গে বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক ভাবে অযথা সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। ২ সপ্তাহ আগে আবেদন করা যথেষ্ট। প্রধান বিচারপতির সংযোজন, “এত আগেও আবেদন করার পরেও আপনারা এটাকে যদি অনুমতি না দেন তা হলে তো রাজ্যে কোনও কর্মসূচি করা যাবে না। আমরা বলে দিচ্ছি, রাজ্যের কোথাও কোনও কর্মসূচি হবে না।”

    এদিন বেঞ্চ জানায়, সকলের সমান অধিকার রয়েছে। ২৭ জুলাই পর্যন্ত সমস্ত সভা শহরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে রাজ্যের আপিল মামলার আবেদন বিবেচনা করবে আদালত। বেঞ্চের নির্দেশ, বিধিনিষেধ মেনে হবে সভা। তবে অতিরিক্ত কোনও শর্ত যে সভার আয়োজকদের উপর চাপানো যাবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে হাই কোর্ট।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আদালত অবমাননা! হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা

    Calcutta High Court: আদালত অবমাননা! হাইকোর্টে হাজিরা দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে আদালত অবমাননার মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উপস্থিত হলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আদালত অবমাননার রুলের উত্তর দিতে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে রাজীবকে। তবে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এ-ও জানান যে, আদালত প্রয়োজন মনে করলে আবার ডেকে পাঠাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে। ৮ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    কী বলল আদালত

    পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করেননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলায় গত শুনানিতে হাইকোর্ট রাজীবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে। শুক্রবার ওই মামলার শুনানিতে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন রাজীব। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ আদালতে পৌঁছে যান তিনি। এদিন, তাঁকে রুলের উত্তর দিতে সময় দিয়েছে আদালত। 

    কেন রুল জারি করে আদালত

    কোনওপ্রকার অসাংবিধানিক বা বেআইনি ঘটনা ঘটলে হাইকোর্ট নিজে অথবা কারও দায়ের করা মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা চাইতে পারে। একেই রুল জারি বলা হয়। রাজীবা সিনহার ক্ষেত্রে আজ শুক্রবার সেই রুলের শুনানি ছিল। রুল অনুযায়ী, জবাব দেওয়ার জন্য ১৫-২০ দিন সময় দেওয়া হোক, শুক্রবার সেই আর্জি জানান কমিশনার। এরপর প্রধান বিচারপতি রুলের শুনানির দিন স্থির করেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছ রাজীবা সিনহাকে। তার মধ্যে উত্তর দিতে হবে তাঁকে। ৮ জানুয়ারির মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: ‘সংসদীয় পোর্টাল গোপনীয়’, মহুয়া-বিতর্কের মধ্যেই নয়া নির্দেশ লোকসভার

    পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে গত ডিসেম্বরে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। শুধু তা-ই নয়, অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর আর্জি জানান তিনি। বিভিন্ন প্রচারসভা থেকেই শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রমেই অশান্তি ছড়াচ্ছে। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দেয়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: বালুর জন্য রাতারাতি মেডিক্যাল বোর্ড অথচ বেড অমিল সাধারণ মানুষের, বাড়ছে ক্ষোভ

    Ration Scam: বালুর জন্য রাতারাতি মেডিক্যাল বোর্ড অথচ বেড অমিল সাধারণ মানুষের, বাড়ছে ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার্টের সমস্যা না থাকার পরেও এসএসকেএম-এর কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Ration Scam)। এনিয়ে প্রশ্ন উঠতেই চাপে পড়ে রাতারাতি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে রাখা হয় কার্ডিওলজিস্টকে। অসুস্থতার কথা বলতেই এসএসকেএম-এ বেড পেয়ে যান বালু এবং কালীঘাটের কাকু। অথচ সাধারণ মানুষের জন্যই এই এসএসকেএম-এর চত্বরে অন্য চিত্র দেখা যাচ্ছে। জরুরি বিভাগের সামনে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন রোগী কিন্তু বেড নেই। এতেই ক্ষোভে ফুঁসছে জনগণ। সরকারি হাসপাতাল তো অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্যই। কিন্তু সেখানে এমন দ্বিচারিতা কেন? বালুর চিকিৎসার (Ration Scam) জন্য ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করতে পারে এসএসকেএম। প্রায় সমস্ত বিভাগের ডাক্তাররাই রয়েছেন বোর্ডে। বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশনের পরে তিন মাস বেডে শুয়ে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অথচ সাধারণ মানুষের জন্যই বারবার অবহেলার অভিযোগ উঠছে এসএসকেএম-এর বিরুদ্ধে। আর এতেই ক্ষোভ দানা বাঁধছে রোগী এবং রোগীর পরিবারের মধ্যে।

    এসএসকেএম-এর খণ্ড চিত্র

    একটি চিত্র দেখলেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। বৃহস্পতিবার সকাল ছটা। এসএসকেএম-এর জরুরি বিভাগের সামনে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় এক রোগীকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ডায়ালাইসিস হয় এই রোগীর। এরপর বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই পেটে এবং বুকে প্রবল যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা শুধুমাত্র যন্ত্রণা কমানোর ইনজেকশন দিয়েই দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছেন, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। সুমিতা দেবীকে শুয়ে থাকতে দেখা যায় স্ট্রেচারের উপরেই। জরুরি বিভাগের ভিতরেও জায়গা মেলেনি। অসুস্থ এই রোগী তাই বলেই ফেলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে, ‘‘আমরা তো গরু-ছাগল।’’ এরপরে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পরে কোনও রকমে বেড পান তিনি। সেটি এসএসকেএম-এর সহযোগী শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে, নেফ্রোলজি ওয়ার্ডে। এমন আরও অসংখ্য চিত্র দেখা যায় এসএসকেএম হাসপাতালে।

    ‘‘বালু কেমন আছেন?’’ প্রশ্ন শুনে হাসছেন ডাক্তাররা

    এদিকে, মন্ত্রীমশাই কেমন আছেন? বা কোন কোন রোগের উপসর্গ রয়েছে তাঁর? এসব প্রশ্ন শুনে হেসে ফেলছেন চিকিৎসকরা। হাসি যেন তাঁদের থামছেই না। প্রশ্ন হল, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তো ভাবছে গুরুতর অসুস্থ বালু। তাইতো তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হল কার্ডিওলজি বিভাগের পাঁচ নম্বর কেবিনে (Ration Scam)। সংবাদমাধ্যমের সামনে এক চিকিৎসক বলেই ফেলেন, ‘‘আমরা কিছু বলবো না।’’ এরপরে এক সংবাদমাধ্যম চিকিৎসকদের প্রশ্ন করেন, ‘‘আর কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে?’’,  তখন এক চিকিৎসক তাঁর সহকর্মীকে আঙুল দিয়ে ইঙ্গিত করলেন। আর সেই চিকিৎসক বললেন, ‘‘আমাদের কিছু বলার নেই’’,  অর্থাৎ বালু কেমন রয়েছেন তা জানা গেল না যেটা পাওয়া গেল সেটা চিকিৎসকদের হাসি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন মমতা, ইউএপিএ হওয়া উচিত”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন মমতা, ইউএপিএ হওয়া উচিত”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে এফআইআর করব। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম যে থানার আওতায়, সেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করব। উনি রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন, এর বিরুদ্ধে ইউএপিএ হওয়া উচিত।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর ইউএপিএ- হুঁশিয়ারি 

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেন, “আমাদের চারজনকে জেলে ঢুকিয়েছে, আমি আটজনকে ঢোকাব। যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের প্রত্যেককে জেলে ঢোকাব।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই ইউএপিএ- হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়ে গারদে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    ‘পার্থ-মানিক-বালু জেলে’

    গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় দিল্লির জেলে বন্দি রয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এদিনের বৈঠকে তাঁদের পাশেও দাঁড়ান তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, “আমি শুনেছি যারা সব চেয়ে বেশি গরু আর কয়লার টাকা খায়, বিএসএফ যারা সীমান্ত পাহারা দেয়, তারা। কয়লা কাদের নিয়ন্ত্রণে? সিআইএসএফ থাকে ওখানে। গরু আসে ইউপি, এমপি, রাজস্থান থেকে। তখন টাকা খায় না। তখন কি লজেন্স খাও? যা বলছি শুনে রাখুন, এলাকায় গিয়ে প্রচার করবেন। আজ আমাদের অনেকে জেলে। তাই নিয়ে খুব হাসছেন? পার্থ-মানিক-বালু জেলে। যখন আপনারা থাকবেন না, তখন কোথায় থাকবেন? সেলে না কোলে?  

    আরও পড়ুুন: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর 

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে ছিল একশো দিনের কাজের বকেয়া আদায়ে ফের আন্দোলনের কর্মসূচিও। এজন্য আবারও ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, “দিল্লি যান না। রাজঘাটে আবার যান। দৌড় করাব।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার তোপ, “যারা বিরোধী, তাঁদের বাড়ি পোড়ানো হয়েছে। বেছে বেছে তৃণমূলকে যারা ভোট দেয় না, তাদের বাড়ি-ই পোড়ানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা। যন্ত্রণার নাম শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।” বিরোধী দলনেতা জানান, ওঁর বক্তব্যের কপি নেব। দু’ এক দিনের মধ্যেই এফআইআর করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলকে হাইজ্যাক করেছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।” বৃহস্পতিবার এই ভাষায়ই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে মমতা ও তাঁর ভাইপো অভিষেকের দড়ি টানাটানি চলছে বলেও দাবি করেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    ‘ভাইপো হাফপোস্ট’

    বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। এই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো উপস্থিত থাকলেও, ছিলেন না দলের সাধারণ সম্পাদক। যদিও ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “এখন দুজনের মধ্যে একটু টানাটানি চলছে। নতুনরা সামলাবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো সৈনিকরা সামলাবেন, তা নিয়ে দল ও পরিবারের মধ্যে টানাটানি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন দলটাকে ফিরে পাওয়ার, কিন্তু ভাইপো তো দলটাকে হাইজ্যাক করে নিয়েছেন! এখন দল দুই ভাগে আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে। আগামিদিনে কে প্রার্থী হবেন, সেটা আইপ্যাক ঠিক করে দেবে।” তিনি বলেন, “এখানে আবার বৈঠক কীসের! ওই দলে তো একটাই পোস্ট, আর ভাইপো হাফপোস্ট। বাকি সব তো ল্যাম্প পোস্ট।”

    ‘পুলিশের বর্বরোচিত আচরণ’

    এদিকে, ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর বিজেপির যুব মোর্চা আয়োজিত নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে যাঁরা জখম হয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সুকান্ত জানান, কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্তের পর জানানো হয়েছে, ওই দিন একাধিক কর্মীর ওপর পুলিশ বর্বরোচিত আচরণ করেছিল।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীকে করা ‘পনৌতি’ মন্তব্যে পদক্ষেপ, রাহুলকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “শিল্পপতিদের গলা টিপে ধরা হচ্ছে।” এদিন তারও জবাব দিয়েছেন সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “তিনি যদি তাঁর ভাইপোকে শিল্পপতি বলে মনে করেন, তাহলে তো চোর শিল্পপতির গলা টিপে ধরবেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজ তারা করছে। ভারতের অন্য কোনও অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো এ রকম কোনও কথা বলছেন না। কোথাও তো বিনিয়োগের অভাব নেই। কিন্তু এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমনটা মনে হচ্ছে, কারণ তাঁর পরিবারের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। তাঁর পরিবার যদি চুরি না করে, তাহলে তো তাঁর কোনও ভয় নেই (Sukanta Majumdar)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share