Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jyotipriya Mallick: পক্ষাঘাতের ‘বুলি’ আওড়াচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়, কপালের লিখন পড়তে পেরেছেন মন্ত্রীমশাই?

    Jyotipriya Mallick: পক্ষাঘাতের ‘বুলি’ আওড়াচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়, কপালের লিখন পড়তে পেরেছেন মন্ত্রীমশাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়সা দিয়ে যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবা কিনতে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick), সেই বেসরকারি হাসপাতাল বলছে মন্ত্রী সুস্থই। যদিও মন্ত্রীর দাবি, অবনতি হয়েছে তাঁর স্বাস্থ্যের। বাঁ হাত এবং বাঁ পায়ে ব্যথা বেড়েছে। পক্ষাঘাতের মতো হয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার ইডি হেফাজত থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তৃণমূলের এই নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কমান্ড হাসপাতালে। যাওয়ার পথে তাঁর এহেন মন্তব্যে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা!

    মমতার হুমকি!

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে পক্ষকালের কিছু বেশি আগে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়। সতীর্থ গ্রেফতার হতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনি বলেছিলেন, “বালুর (জ্যোতিপ্রিয়কে এই নামেই ডাকেন মমতা) মৃত্যু হলে দায়ী থাকবে ইডি।” এর পর কেটে গিয়েছে এতগুলো দিন। মন্ত্রিমশাইকে যখন আদালতে পেশ করা হয়, তখন ১০ দিনের ইডি হেফাজতের রায় শুনে এজলাসেই জ্ঞান হারান জ্যোতিপ্রিয়। বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, মন্ত্রী সুস্থই রয়েছেন।

    পরীক্ষায় ধরা পড়েনি রোগ

    হাসপাতালের কথা যে নিছক হেলাফেলার নয়, তার প্রমাণ মন্ত্রী (Jyotipriya Mallick) নিজেই। গ্রেফতার হওয়ার পর ১৫ দিনেরও বেশি কেটে গেলেও, তাঁর শরীরে কোনও রোগের উপসর্গ দেখা দেয়নি। শারীরিক পরীক্ষায়ও ধরা পড়েনি বড় ধরনের কোনও ত্রুটি। প্রশ্ন হল, তাহলে মন্ত্রিমশাই কেন পক্ষাঘাতের বুলি আওড়ালেন? সেটা কি তাহলে তাঁর আইনজীবীর শেখানো বুলি? রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, কেলেঙ্কারির যে ফাঁদে পড়েছেন মন্ত্রী, সেখান থেকে সহজে নিষ্কৃতি মিলবে না। তাঁকে দীর্ঘদিন থাকতে হবে কারান্তরালে। এটা ভালই বুঝেছেন মন্ত্রী। সেই কারণেই শারীরিক সমস্যার বুলি আওড়াচ্ছেন মন্ত্রী। গ্রেফতার হওয়ার পর যে বুলি আওড়েছিলেন তাঁরই দলীয় সহকর্মী অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেই স্বরই শোনা গেল জ্যোতিপ্রিয়র গলায়ও। গ্রেফতার হওয়ার পরে পরে উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা বলতেন, “শীঘ্রই ফিরে আসব, আমি মুক্ত।” সেই জ্যোতিপ্রিয়ই এবার খাড়া করতে চাইলেন পক্ষাঘাতের তত্ত্ব।

    তবে কি কপালের লিখন পড়তে পেরেছেন মন্ত্রীমশাই (Jyotipriya Mallick)!

    আরও পড়ুুন: “রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না কেন?”, সিবিআইকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Supreme Court: “রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না কেন?”, সিবিআইকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের  

    Supreme Court: “রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না কেন?”, সিবিআইকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কেন এখনও রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না? যাঁদের জন্য টাকা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হল না কেন?” শুক্রবার সিবিআইকে এই প্রশ্নই করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এদিন জামিন পেয়েছেন চাকরি বিক্রির অন্যতম দালাল প্রসন্ন রায়। সেই প্রসঙ্গেই সিবিআইকে প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত।

    তদন্তের অনুমতি দেয়নি রাজ্য!

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য, নাইসারের ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাস। এবার ছাড়া পেলেন প্রসন্ন। আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই জানিয়েছে, কয়েকজন রাজ্য সরকারি কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি এখনও মেলেনি রাজ্য সরকারের তরফে। ২০২২ সালের অগাস্টে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।

    রং মিস্ত্রি কয়েক কোটি টাকার মালিক!

    এক সময় রংয়ের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন প্রসন্ন। অথচ সিবিআই যখন তাঁকে গ্রেফতার করে, তখন তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক। পরে জানা যায়, প্রসন্ন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়। এদিন প্রসন্নর হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। এই সওয়াল চলাকালীনই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই। অবশ্য এই প্রথম (Supreme Court) নয়, কলকাতা হাইকোর্টেও একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিয়োগ কেলেঙ্কারির চাঁইদের এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি। এদিন সুপ্রিম কোর্টেও সেই একই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল সিবিআইকে।

    আরও পড়ুুন: রাচিনের মুখে জয় শ্রী রাম! নাতির জন্য প্রার্থনা ঠাকুমার

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা ও লাগোয়া এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে পার্থর কাছে পাঠাতেন প্রসন্ন। এই কারণে বিধাননগরে একটি পরিবহণ সংস্থার দফতর খুলেছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই দফতর থেকেই চলত জালিয়াতির কারবার। যাঁদের চাকরি বিক্রি করা হত, প্রসন্নর পাঠানো তালিকা দেখে সেই অযোগ্যদেরই চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন পার্থ। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল প্রসন্ন রায়ের। প্রসন্নর সল্টলেকের অফিসে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি হত। ওই অফিসেই অযোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকও হত (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলেনি ‘কালীঘাটের কাকু’র, আদালতে যাচ্ছে ইডি!

    Sujay Krishna Bhadra: কণ্ঠস্বরের নমুনা মেলেনি ‘কালীঘাটের কাকু’র, আদালতে যাচ্ছে ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পেলে জাল গুটিয়ে আনা যেত তদন্তের। যদিও একাধিকবার চেয়েও মেলেনি তাঁর (Sujay Krishna Bhadra) কণ্ঠস্বরের নমুনা। এসএসকেএমে চিকিৎসা চলছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে পারবেন কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল বোর্ড। তাই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে ইডি।

    নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত

    সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা কবে নাগাদ মিলবে, তাও জানতে চেয়েছিলেন ইডির কর্তারা। তবে এখনও তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে কেন এত দেরি হচ্ছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়। একটি অডিওর কণ্ঠস্বর তাঁর গলার স্বরের মতো লাগছে ইডির তদন্তকারীদের। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন তিনি। ইডি আদালতে এ কথা জানানোর পর সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি দিয়েছিল আদালত। বিচারক জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকেই নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। তবে তা করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই।

    কী দাবি করল ইডি?

    এর পর থেকেই (Sujay Krishna Bhadra) ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, তারা যখন হাসপাতালে গিয়েছিল, তখন হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছিল, তিনি (সুজয়) মানসিকভাবে সুস্থ নন। জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে ফের একবার ইডির আধিকারিকরা এসএসকেএম হাসপাতালকে সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনার জন্য চিঠি লেখেন। চিঠিতে দ্রুত একটা তারিখও দিতে বলা হয়। সূত্রের খবর, ইডির সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই মেডিকেল বোর্ড পরীক্ষা করে ঠিক করবে, কোন দিন সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা নেওয়া সম্ভব হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর শারীরিক অবস্থাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে ইডিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা। সূত্রের খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা না (Sujay Krishna Bhadra) করলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”, নাম না করে মহুয়াকে নিশানা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”, নাম না করে মহুয়াকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”, নাম না করে মহুয়াকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই ধরনের জালিয়াত সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ হওয়া সময়ের অপেক্ষা ছিল। বাংলার মানুষ চান, তাঁকে জেলে ঢোকানো হোক। আমরাও চাই এই জালিয়াত সাংসদ জেলে যান।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিষ্ণুপুরে নাম না করে মহুয়াকে জেলে ঢোকানোর দাবি তোলেন তিনি।

    কাঠগড়ায় কৃষ্ণনগরের সাংসদ

    ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে কাঠগড়ায় কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিলেন সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এর পরেই সংসদের এথিক্স কমিটি তলব করে তৃণমূলের এই নেত্রীকে। সেখানে প্রশ্ন-বাণের মুখে পড়ে মাঝ পথে কমিটির সামনে থেকে বেরিয়ে চলে যান তৃণমূল নেত্রী। নিশিকান্তর ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। আর এথিক্স কমিটি জানিয়েছে, মহুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ও দামি উপহার নেওয়ার যে অভিযোগ রয়েছে, তার প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করুক সরকার। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশও করেছে এথিক্স কমিটি। ৪ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেই পেশ হতে পারে এথিক্স কমিটির সুপারিশপত্রটি।

    “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”

    এহেন আবহে এদিন বিষ্ণুপুরে শুভেন্দু বলেন, “এই ধরনের জালিয়াত সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ হওয়া সময়ের অপেক্ষা ছিল। বাংলার মানুষ চান, তাঁকে জেলে ঢোকানো হোক। আমরাও চাই এই জালিয়াত সাংসদ জেলে যান (Suvendu Adhikari)।” গত মাসে মহুয়াকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেছিলেন, “লোকসভার এথিক্স কমিটির যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ পদক্ষেপ করা উচিত। মা কালীর অভিশাপ পড়েছে। এই লোভী সাংসদ মা কালী মদ খায় আর সিগারেট খায় বলেছিল। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে মা কালী আর সনাতনের দেবদেবীদের কুরচিকর ভাষায় খারাপ কথা বললে তার পরের জন্মে নয়, এজন্মেই ধ্বংস হবে।“ প্রসঙ্গত, দিন দুই আগে মহুয়ার বিরুদ্ধে বাড়িতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে থানায় গিয়েছিলেন তাঁরই প্রাক্তন ‘প্রেমিক’ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। দায়ের করা অভিযোগে দেহাদ্রাই জানিয়েছিলেন, ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই তাঁর বাড়িতে ‘অনুপ্রবেশ’ করেছিলেন মহুয়া। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর অভিযোগ, ৫ ও ৬ নভেম্বর না জানিয়েই তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে দিল্লি থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে দেহাদ্রাই লিখেছেন, গত ৫ নভেম্বর সকাল ১১টা নাগাদ ও ৬ নভেম্বর সকাল ৯টা নাগাদ সাংসদ মহুয়া মৈত্র কাউকে কিছু না জানিয়েই আমার বাড়িতে আসেন। এভাবে (মহুয়া) মৈত্রর আমার বাড়িতে আসার কারণ হিসেবে মনে হচ্ছে, তিনি আমার বিরুদ্ধে আবার কোনও ভুয়ো প্রতারণামূলক অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ভয় দেখানোর অভিপ্রায় নিয়েই তাঁর বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন মহুয়া (Mahua Moitra)। তাঁর সংযোজন, “মহুয়া মৈত্রর প্রতারণামূলক ও মিথ্যে অভিযোগ সম্পর্কে আমি আগেই দিল্লির পুলিশ (Suvendu Adhikari) কমিশনারকে জানিয়েছি। তবে তাঁর এই অনুপ্রবেশে ভয় পেয়েছেন আমার বাড়ির কর্মীরা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: কোনও বিল আটকে নেই, স্পিকারের অভিযোগ খারিজ করে জানাল রাজভবন

    CV Ananda Bose: কোনও বিল আটকে নেই, স্পিকারের অভিযোগ খারিজ করে জানাল রাজভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনে কোনও বিল আটকে নেই। বুধবারই বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়ে দিল রাজভবন (CV Ananda Bose)। মঙ্গলবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, সাড়ে ১২ বছরে ২২টি বিল আটকে রয়েছে রাজভবনে। তার প্রেক্ষিতেই বিবৃতি জারি করে রাজভবন।

    রাজভবনের বিবৃতি

    তাতে বলা হয়েছে, কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল যে, ১২ বছরে ২২টি বিল আটকে রয়েছে রাজভবনে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে বুধবারই রাজভবনে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, যে বিলগুলি রাজ্যের ব্যাখ্যা না পাওয়ার জন্য আটকে রয়েছে, সেই বিলগুলি দ্রুত অনুমোদনের জন্য ‘স্পিড’ নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে রাজভবন। এই স্পিড প্রোগ্রামের অধীনে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী বা সচিবদের সঙ্গে আলোচনা করেই যে বিলগুলি রাজভবনে আটকে রয়েছে, সেগুলির ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজভবনের (CV Ananda Bose) তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে এও বলা হয়েছে, রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার যে বিল, সেটি বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন।

    কোন পর্যায়ে রয়েছে বিলগুলি 

    যে বিলগুলি আটকে রয়েছে বলে স্পিকার জানিয়েছিলেন, সেগুলি কোন পর্যায়ে রয়েছে, বিবৃতিতে তাও জানানো হয়েছে। হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশন সংক্রান্ত বিল ২০২২ সালের ১৪ মার্চ থেকে রাজ্য সরকারের ব্যাখ্যার উত্তর পাওয়া যায়নি। দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোটেকশন অফ ইন্টারেস্ট অফ ডিপোজিটার্স ইন ফিনান্সিয়াল এস্টাবলিশমেন্টস বিল ২০১৩ শর্ত সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়ার পর তা ২২ এপ্রিল ২০১৫ সালে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। জেসপ ও ডানলপ অধিগ্রহণ নিয়ে বিধানসভায় পাশ হওয়া দুটি বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে ২০১৬ সাল থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করলেন সুকান্ত

    প্রিভেনশন অফ লিঞ্চিং বিল ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও, তার উত্তর মেলেনি (CV Ananda Bose)। দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস আমেন্ডমেন্ট বিল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে, তারও উত্তর আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর জন্য বেশ কয়েকটি বিল পাশ করা হয়েছিল ২০২২ সালে। সেগুলিকে বিচারাধীন বিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Visva-Bharati: বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে তৃণমূলের অকাল হোলিতে বিতর্ক, শিক্ষাঙ্গনে এ কেমন রাজনীতি?

    Visva-Bharati: বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে তৃণমূলের অকাল হোলিতে বিতর্ক, শিক্ষাঙ্গনে এ কেমন রাজনীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতী (Visva-Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই স্থানেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ওড়ালো সবুজ আবির এবং শুদ্ধিকরণ করতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেওয়া হল উপাচার্যের দফতর ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। এই ঘটনায় কি শিক্ষাঙ্গনে শাসক দলের রাজনীতির প্রবেশ ঘটল? শিক্ষার আঙ্গিনায় কার্যত রাজনীতি চলছে বলে বিশিষ্টজনেরা অভিযোগ করে সরব হলেন।

    কিভাবে ঘটল ঘটনা (Visva-Bharati)?

    বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন উপাচার্যকে নিজেদের বানানো ফলক দিয়ে ১৪ দিন পর ধরনা তুলে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি, মেয়াদ শেষ হতেই উপাচার্যের দফতর ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে সবুজ আবির খেলল তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। গেট খুলে ভেতরে ঢুকে অকাল হোলি খেলায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিন্তু শিক্ষাবিদরা প্রশ্ন তুলছেন এখানেই যে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থাকতেই পারে, আন্দোলন, দাবিদাওয়া থাকতেই পারে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে শাসক দলের নেতারা এই আচরণ করে রাজনীতিকে ক্যাম্পাসের সঙ্গে যুক্ত করলেন না কি?

    ক্যাম্পাসে রাজনীতির অভিযোগ

    বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তাল হতে দেখা গিয়েছিল শান্তিনিকেতনকে। ৮ নভেম্বর তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন কলাভবনের অধ্যক্ষ সঞ্জয় কুমার মল্লিক।

    বিশ্ব ঐতিহ্যের ফলকে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৪ দিন ধরে তৃণমূলের ধরনা বিক্ষোভ চলছিল৷ এদিন সেই বিক্ষোভ শেষ হল বলে জানা গিয়েছে।

    বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিদায় নেওয়ার জন্য তৃণমূলের নেতারা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে গঙ্গাজল ছেটায়। কেন্দ্রীয় কার্যালয় সহ উপাচার্যের দপ্তরের সামনেও গঙ্গাজল ছেটানো হয়৷ পরে সেখানেই সবুজ আবির খেলায় মাতেন সকলে ৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরকারি দফতরে ঢুকে অকাল আবির খেলা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা কার্যত রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    SSC Scam: নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টেই! দু’মাসেই শেষ করতে হবে তদন্ত, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত রাজ্যের সমস্ত মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত সমস্ত তদন্ত সিবিআই এবং ইডিকে দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দেয়। 

    কী বলল শীর্ষ আদালত

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর আগামী ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিভিন্ন মামলায় চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত যে সব মামলা এতদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন ছিল, সেগুলিকেও কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মামলার শুনানিও আগামী ছ’মাসে শেষ করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারে সায় এথিক্স কমিটির! পক্ষে থাকলেন মাত্র ৪ জন

    প্রসঙ্গত, এসএসসি সংক্রান্ত অনেকগুলি মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। এই নিয়ে এর আগে একবার বিরক্তিও প্রকাশ করেছিল বিচারপতি বোস এবং বিচারপতি ত্রিবেদীর বেঞ্চ। বিচারপতিদ্বয় বলেছিলেন, ‘‘২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ সাল-সহ বিভিন্ন বছরের আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এতগুলি মামলার মধ্যে কোনটা আগে শুনব?’’ আদালত সূত্রের খবর, নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত কী কী পাওয়া গিয়েছে, তা এদিন আদালতকে জানায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এ বিষয়ে এদিন আদালতে চারটি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়। এরপরই এসএসসি মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইকে বিশেষ নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলে, তাদেরও এসএসসি সংক্রান্ত বাকি থাকা সমস্ত তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal BJP: রাজ্যের ‘বঞ্চিত’দের নিয়ে ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপির মহাসমাবেশ

    West Bengal BJP: রাজ্যের ‘বঞ্চিত’দের নিয়ে ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় বিজেপির মহাসমাবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে গত অগাস্টেই দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক দেখিয়েছিলেন অভিষেক ও তাঁর দলবল। এরপরেই বিজেপি ঘোষণা করে, কেন্দ্রের প্রকল্পে রাজ্যের যাঁরা বঞ্চিত তাঁদের নিয়েই বড়সড় সমাবেশ করা হবে। সেইমতো আগামী ২৯ নভেম্বর শহরে বড়সড় সমাবেশের পরিকল্পনা নিল রাজ্য বিজেপি (West Bengal BJP)। অভিযোগ,কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে নানাভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে বিরোধীদের। শুধু তাই নয়, শাসকদলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকলেই মেলে আবাস যোজনার ঘর এবং অন্যান্য সুবিধা। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে তৃণমূল নেতারা কাটমানি নেন, এই অভিযোগও দীর্ঘদিনের। এবার এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে রাজ্য বিজেপি।

    ২৯ অক্টোবর বসেছিল বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক

    গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, এ নিয়ে গত ২৯ অক্টোবরের বৈঠকে বসে বিজেপির কোর কমিটি। সেই বৈঠকেই স্থির করা হয় ২৯ নভেম্বর হবে বড়সড় সমাবেশ। জানা গিয়েছে, ২১ জুলাই প্রতিবছর যে জায়গায় তৃণমূল শহিদ দিবস পালন করে সেখানেই বাঁধা হবে মঞ্চ। তার জন্য আগাম কলকাতা পুলিশের কাছে অনুমতিও চেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এখনও কোন রকমেরই সংকেত দেওয়া হয়নি। অতীতে দেখা গিয়েছে বারংবার রাজ্য বিজেপির ছোটবড় সমাবেশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। এক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশে সম্পন্ন করতে হয়েছে সমাবেশ। ২৯ নভেম্বরের সমাবেশে পুলিশ যদি অনুমতি না দেয় সেক্ষেত্রে হাইকোর্টে যাওয়ার রাস্তাও খোলা রাখছে বিজেপি (West Bengal BJP)। এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মত, ‘‘কলকাতায় তৃণমূল নেতারা অনেক সম্পত্তি বৃদ্ধি করলেও ওই জায়গার দলিল বানিয়ে ফেলেছেন বলে তো শুনিনি। তবু দলদাস পুলিশ নানা অজুহাত দেখিয়ে অনুমতি না-দিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সে ক্ষেত্রে আদালতের দরজা তো খোলাই রয়েছে।’’

    বিজেপির সমাবেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে

    গেরুয়া শিবিরের (West Bengal BJP) অন্দরের খবর, যদি কোনওভাবেই ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়ার সামনে সমাবেশ করা না যায়, সেক্ষেত্রে তা হবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত হল, ‘‘বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট রয়েছে, অন্যদিকে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কোনঠাসা। তাদের একের পর এক নেতা-মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন। এই আবহে বিজেপির এই সমাবেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।’’ ২৯ অক্টোবর কোর কমিটির বৈঠকের পর বুধবার বিজেপির সল্টলেকে সেক্টর ফাইভের অফিসে বসে রাজ্য নেতৃত্ব। সমাবেশের পরিকল্পনা ছাড়াও জেলায় জেলায় চলছে প্রস্তুতি বৈঠক। রাজ্য বিজেপির পরিকল্পনা বৈঠকগুলিতে দলের যুব শাখা, মহিলা শাখা থেকে সমস্ত মোর্চা যোগ দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ৬ হাজার পাতার নথি দিয়ে এক-ঘণ্টা পর ইডি দফতর ছাড়লেন অভিষেক

    Abhishek Banerjee: ৬ হাজার পাতার নথি দিয়ে এক-ঘণ্টা পর ইডি দফতর ছাড়লেন অভিষেক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৬ হাজার পাতার নথিপত্র জমা দিয়ে এদিনের মতো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতর ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন ১১ টা নাগাদ তৃণমূল সাংসদকে সল্ট লেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সংস্থার দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছিল। তদন্তকারী আধিকারিকের সামনে বেশ কিছু নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। সেই মতো, এদিন অভিষেক সকাল ১১টা ৫ মিনিটে হাজির হন ইডি দফতরে। ১২টার কয়েক মিনিট অতিক্রান্ত হওয়ার তিনি ইডি দফতর ছেড়ে বেরিয়ে যান। জানা গিয়েছে, আজ শুধু নথি জমা করেছেন অভিষেক। তাঁকে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।

    পোশাকে বদল অভিষেকের

    বৃহস্পতিবার অভিষেকের (Abhishek Banerjee) পোশাকে খানিক বদল লক্ষ্য করা গিয়েছে। এতদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় অভিষেককে কালো শার্ট বা টিশার্টে দেখা যেত। কিন্তু খানিক ছক ভেঙে এদিন সাদা শার্টেই সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। নিছকই কি রঙ বদল না তিনি অন্য কিছু বোঝাতে চাইছেন? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। এদিন সকাল থেকেই বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ও ভিতরে দুটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছিলেন। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকা ও বেরনোও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বাইরের সমস্ত গাড়ি কমপ্লেক্সের ভিতর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

    কবে কবে তলব কেন্দ্রীয় সংস্থার

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ৬ বার অভিষেককে (Abhishek Banerjee) তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০ মে, নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে ডেকে পাঠায় সিবিআই। তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন। এর পর, ১৩ জুন নবজোয়ার যাত্রার মধ্যেই অভিষেককে তলব করেছিল ইডি। সেবার তিনি যাননি। পরে, ১৩ সেপ্টেম্বর ইন্ডি জোটের সমন্বয় বৈঠকের সময় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এর পর, ৩ অক্টোবর, দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্নার দিন ফের তলব করা হয় অভিষেককে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনি হাজিরা দেননি। তার পর, ৯ অক্টোবর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের তলব করে ইডি। সেবারও তিনি হাজিরা দেননি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ইডির দফতরে অভিষেক, তাঁর জমা দেওয়া নথি থেকেই প্রশ্ন তৈরি তদন্তকারীদের

    Abhishek Banerjee: ইডির দফতরে অভিষেক, তাঁর জমা দেওয়া নথি থেকেই প্রশ্ন তৈরি তদন্তকারীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির দফতরে পৌঁছলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সকাল ১১টা ৫ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকে তৃণমূল সাংসদের কনভয়। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর জমা দেওয়া নথি সংক্রান্ত প্রশ্নের বেশ কিছু না-পাওয়া উত্তর পেতেই অভিষেককে জেরা করা হবে বৃহস্পতিবার।

    কী কী প্রশ্ন করা হতে পারে

    উল্লেখ্য, গত কয়েকমাসে কেন্দ্রীয় সংস্থা একাধিক বার তলব করে অভিষেককে। এর আগে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাকে নিয়োগ দুর্নীতিতে গত ৬ মাসে ৬ বার তলব করা হয়। যার মধ্যে একাধিকবার তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেছেন তিনি। গত ১০ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে নিজের সম্পত্তির খতিয়ান ইডিকে দেন অভিষেক। তাঁর সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউনডসের আয়-ব্যায়ের হিসেবও জমা দেন। তিনি যে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন ইডির দফতরে তা নিয়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: দীপাবলির আগে ভর্তুকিযুক্ত আটা, ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করছে মোদি সরকার, কোথায় কিনবেন?

    বৃহস্পতিবার অভিষেকের পোশাকে খানিক বদল লক্ষ্য করা গিয়েছে। এতদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় অভিষেককে কালো শার্ট বা টিশার্টে দেখা যেত। কিন্তু খানিক ছক ভেঙে এদিন সাদা শার্টেই সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। নিছকই কি রঙ বদল না তিনি অন্য কিছু বোঝাতে চাইছেন? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। এদিন সকাল থেকেই বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ও ভিতরে দুটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছে। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকা ও বেরনোও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বাইরের সমস্ত গাড়ি কমপ্লেক্সের ভিতর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

    রেকর্ড করা হবে জেরা পর্ব 

    অভিষেকের জেরা পর্বে ‘ইন্টারোগেশন রুম’ বা জেরা-কক্ষে থাকার কথা তদন্তকারী অফিসারদের। এঁদের মধ্যে থাকতে পারেন ইডি অফিসার মিথিলেশকুমার মিশ্রও। তদন্তকারী অফিসারদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক যা যা বলবেন, জেরা-কক্ষে থাকা ক্যামেরায় তার সবটাই রেকর্ড হবে। প্রসঙ্গত, ঠিক দু’মাস আগেই ইডির তলব পেয়ে সিজিও দফতরে এসেছিলেন অভিষেক। গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তলব করা হয়েছিল তাঁকে। সে দিন টানা ৯ ঘণ্টা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share