Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয়র দফতরে কারা আসতেন, করতেনই বা কী? মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অমিতের কাছে প্রশ্ন ইডির

    Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয়র দফতরে কারা আসতেন, করতেনই বা কী? মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অমিতের কাছে প্রশ্ন ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির দফতরে ফের এলেন জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) ঘনিষ্ঠ অমিত দে। এই নিয়ে চতুর্থবার। প্রথমে তিনি ছিলেন নিতান্তই এক তৃণমূল কর্মী। ২০১১ সালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই রকেটের গতিতে উত্থান হতে থাকে অমিতের। মঙ্গলবার সকালে জেরা করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। পরে ফের তলব করা হয় অমিতকে।

    অমিতের সম্পত্তি

    ২০১১ সালে খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে জ্যোতিপ্রিয়র আপ্ত সহায়ক হন অমিত। ইডির দাবি, নামে-বেনামে তাঁর প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। রয়েছে রিসর্টও। রেশন দুর্নীতির টাকা ঢুকেছে তাঁর অ্যাকাউন্টেও। ইডির দাবি, অমিত জ্যোতিপ্রিয়র আপ্ত সহায়ক। যদিও অমিতের দাবি, তিনি আদৌ মন্ত্রীর আপ্তসহায়ক নন। তিনি মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। তাঁর অফিসে কাজ করতেন। ছোট থেকে একই সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) পাড়ায় বড় হয়েছেন। সেই সূত্রেই মন্ত্রীর কোটায় খাদ্য দফতরে চাকরি পেয়েছেন।

    অমিতকে প্রশ্নবাণ ইডির

    জ্যোতিপ্রিয়কে যেদিন গ্রেফতার করা হয়, সেদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে একপ্রস্ত তলব করা হয়েছিল অমিতকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান ছাড়া আর কারা আসতেন জ্যোতিপ্রিয়র দফতরে, তাঁরা কে কী করতেন, এসব জানতে চাইবেন ইডির আধিকারিকরা। জ্যোতিপ্রিয়র মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁকে। এদিনই তলব করা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসকেও। ইডি সূত্রে খবর, এই অভিজিতের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে একটি মেরুন রংয়ের ডায়েরি হাতে পান তদন্তকারীরা। ওই ডায়েরিতে ‘বালু দা’ (জ্যোতিপ্রিয়র ডাক নাম বালু) নামের উল্লেখ রয়েছে। সেই কারণেই তদন্তকারীদের স্ক্যানারে রয়েছেন অভিজিৎও।

    আরও পড়ুুন: বাকিবুরের আরও ৫৬০ কাঠা জমির হদিশ আমডাঙায়! সবই কি বেনামে জ্যোতিপ্রিয়র?

    অমিত এবং অভিজিৎকে মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, বাকিবুর সহ এতদিন ধরে যাঁদের জেরা করা হয়েছে, তাতে যেসব তথ্য উঠে এসেছে, তার ভিত্তিতেই করা হবে জেরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) দফতরে কী ধরনের কাজ হত, বাকিবুরের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় কী ধরনের কাজ করতেন, এসবও জিজ্ঞাসা করা হতে পারে অমিতকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘এত বড় শিল্পপতিকে ওখান থেকে সরানো ঠিক হয়নি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘এত বড় শিল্পপতিকে ওখান থেকে সরানো ঠিক হয়নি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘এত বড় শিল্পপতিকে ওখান থেকে সরানো ঠিক হয়নি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে ঠিক এই প্রতিক্রিয়াই শোনা গেল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মুখে। প্রসঙ্গত, গতকালই সিঙ্গুর থেকে টাটাকে উচ্ছেদ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ১,৩০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ, ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাটাকে এই টাকা দেবে ‘পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম’। উল্লেখ্য, রাজ্য থেকে ন্যানো বিদায়ের ১৫ বছর পরে সিঙ্গুর মামলায় ধাক্কা খেল মমতা সরকার। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত টাটা মোটরসকে সুদ দিতে হবে। ৭ বছরে ১১ শতাংশ সুদ ধরলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক দাঁড়ায় ১,৩০০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, মামলার খরচ চালানোর জন্য টাটাকে বাড়তি ১ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে সিঙ্গুরের। গতকাল ট্রাইব্যুনালের এই নির্দেশের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে পূর্বতন সিপিএম সরকার এবং বর্তমানে তৃণমূল সরকারকে একযোগে এদিন নিশানা করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    সিপিএম-তৃণমূলকে একযোগে নিশানা দিলীপের

    দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মতে, ‘‘এরা (সিপিএম-তৃণমূল) রাজনৈতিক স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে সমাজ বা দেশের কোনও লাভ হয়নি। এত বড় শিল্পপতিকে ওখান থেকে সরানো ঠিক হয়নি। তিন ফসলি জমি দেওয়াটাও ঠিক হয়নি আবার সেই জমিকে বন্ধ করে দিয়ে বেকার করে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। সিপিএমও করেছে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে, টিএমসিও করেছে তাই। তার ফল ভুগতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। চাকরিও গেল, ব্যবসা গেল, জমিও গেল। এখন টাকাও যাবে! এর দায়টা কে নেবে? এর জন্য মানুষের কাছে  ক্ষমা চাইতে হবে এদের।’’

    সিঙ্গুর মামলার বর্তমান স্থিতি

    অন্যদিকে, সিঙ্গুর মামলার বর্তমান স্থিতি সম্পর্কে আইনজ্ঞদের বক্তব্য হল যে ট্রাইব্যুনালের এই রায়ের পর উচ্চতর আদালতে আবেদন করার রাস্তা বজায় থাকছে রাজ্যের। তবে আবেদন করতে গেলে রাজ্য সরকারকে মোট ক্ষতিপূরণের ৫০ শতাংশ অর্থ আগে জমা দিতে হবে। আবার তারপরেও ট্রাইব্যুনালের এই নির্দেশ যে উচ্চতর আদালত খারিজ করে দেবে, এমন সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে! কারণ অতীতের রায়গুলিতে এমনটা দেখা যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: বিরাম নেই হেমন্তেও, পুজোর মরশুমেও কলকাতায় রমরমা ডেঙ্গির

    Dengue: বিরাম নেই হেমন্তেও, পুজোর মরশুমেও কলকাতায় রমরমা ডেঙ্গির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হেমন্তেও বিরাম নেই ডেঙ্গির (Dengue)। সকাল-বিকেলে হালকা শীতের আমেজ। দুপুরে সহনশীল তাপমাত্রা। এহেন আবহেও কলকাতায় বাড়বাড়ন্ত ডেঙ্গির। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, অক্টোবরের প্রথম তিন সপ্তাহের প্রতি সপ্তাহে শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল হাজারের বেশি।

    ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা

    পুরসভা সূত্রে খবর, উত্তরের তুলনায় দক্ষিণ কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ঢের বেশি। পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার। এঁদের ৮০ শতাংশই দক্ষিণের বাসিন্দা। দক্ষিণ কলকাতার ৯ থেকে ১৩ নম্বর বরো এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের হার সব চেয়ে বেশি। দিন দুয়েক আগে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের এক চিকিৎসকের। এই হাসপাতালটি ৯ নম্বর বরোর অন্তর্গত। এই হাসপাতালের হস্টেলের ২০ জন আবাসিকও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। পুরসভার চিকিৎসকদের মতে, নভেম্বরের পরে ঠান্ডা আরও পড়লে কমবে ডেঙ্গি আক্রান্তের হার। 

    সরকারি পরিসংখ্যান

    ডেঙ্গি (Dengue) নিয়ন্ত্রণে যে রাশ টানা যায়নি, তার প্রমাণ মিলেছে সরকারি পরিসংখ্যানেই। ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭৬ হাজার ৪৭৫। গত বছর আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজার ২৭১ জন। আর তার আগের বছর ডেঙ্গি হয়েছিল ৮ হাজার ২৬৪ জনের। ২০২০ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৫ হাজার ১৬৬ জন।

    আর চলতি বছর সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি ধরা পড়েছে ৪৮ হাজার ৩১১ জনের। বেসরকারি হাসপাতাল এবং ল্যাবে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে ২৮ হাজার ১৬৪ জনের রক্ত পরীক্ষায়। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তাই পুরসভাগুলিকে আরও একবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। জমা জলে জন্মায় মশার লার্ভা। তাই কোথাও যেন জল জমে না থাকে, সে ব্যাপারে নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে পুরসভাগুলিকে।

    আরও পড়ুুন: বাকিবুরের আরও ৫৬০ কাঠা জমির হদিশ আমডাঙায়! সবই কি বেনামে জ্যোতিপ্রিয়র?

    ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃতের সংখ্যাও। এ মাসেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে পার্ক সার্কাসের তিলজলার মাস দুয়েকের এক শিশুর। তার ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সিভিয়ার ডেঙ্গির। তার আগে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল দমদম পুরসভা এলাকার এক যুবকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রাত প্রায় জেগেই কাটালেন জ্যোতিপ্রিয়, সকাল থেকে সামলাচ্ছেন ইডির প্রশ্নবাণ

    Ration Scam: রাত প্রায় জেগেই কাটালেন জ্যোতিপ্রিয়, সকাল থেকে সামলাচ্ছেন ইডির প্রশ্নবাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Ration Scam) সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। আর মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইডির তদন্তকারীদের প্রশ্নবাণ সামলাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা।

    ১০ দিনের ইডি হেফাজত

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে তোলা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয়কে। সেখানে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের রায় শুনেই জ্ঞান হারান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার রাতে ছাড়া পান তিনি। তার পর তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির (Ration Scam) মূলে পৌঁছতে জ্যোতিপ্রিয় ও ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভেবেছিলেন ইডির তদন্তকারীরা।

    ভেস্তে গেল ইডির পরিকল্পনা

    মন্ত্রিমশাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় ইডির সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কারণ ইডি হেফাজত শেষ হয়ে গিয়েছে বাকিবুরের। তদন্তকারীদের ধারণা ছিল, জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসবে বিড়াল। তবে আপাতত তা না হওয়ায়, কীভাবে সত্যের গভীরে পৌঁছানো যায়, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, ইডি হেফাজতে মন্ত্রীকে প্রথম রাত কাটাতে হয়েছে মেঝেতে শুয়েই। মেঝেতেই তাঁকে গদি পেতে দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই রাত কাটান উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা।

    আরও পড়ুুন: জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পরেই মমতার বাড়িতে গোপন বৈঠক! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    তবে মেঝেতে গদি পেতে দেওয়া হলেও, ঠিকঠাক ঘুম হয়নি জ্যোতিপ্রিয়র। সূত্রের খবর, রাতের বেশিরভাগ সময়টাই ঘরের মধ্যে পায়চারি করেছেন তিনি। ভোরের দিকে ক্লান্তি এলে খানিক ঘুমোন। মঙ্গলবার সাত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়। সকাল ৮টা নাগাদ খালি পেটে তিন ধরনের ওষুধ খান। কিছুক্ষণ পরে খান চিনি ছাড়া লিকার চা, সঙ্গে সুগার ফ্রি বিস্কুট এবং পাউরুটি। বেলা ১০টা নাগাদ শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব।

    জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করার আগে ইডি গ্রেফতার করেছিল বাকিবুরকে। বাকিবুরকে জেরা করতেই উঠে আসে মন্ত্রিমশাইয়ের নাম। তার আগে তল্লাশি (Ration Scam) চালানো হয় ১১টি চালকলে। তখনই জানা গিয়েছে, একাধিক শেল কোম্পানির মাধ্যমে রেশনের টাকা নয়-ছয় করা হয়েছে। ইডির দাবি, এই সব ভুয়ো কোম্পানি জ্যোতিপ্রিয় চালাতেন স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং বাকিবুরের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পরেই মমতার বাড়িতে গোপন বৈঠক! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পরেই মমতার বাড়িতে গোপন বৈঠক! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গোপন বৈঠক হয়েছিল। এমনই বিস্ফোরক দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবি

    তাঁর অভিযোগ, ইডির তলব পাওয়া ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র দুই অধিকর্তাকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডি সমন পাঠিয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা ও বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শুভেন্দুর অভিযোগের আঙুল এঁদের দিকেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর রবিবার সন্ধ্যায় মমতার বাসভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা থাকলেও, আমি প্রকাশ্যে বলব না।” 

    কারা ছিলেন বৈঠকে?

    তাঁর দাবি, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা, অভিষেক, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। শুভেন্দু বলেন, “বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার একটি ল্যাপটপ নিয়ে ঢুকেছিলেন। অনেক রাত পর্যন্ত সেই বৈঠক চলেছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইডির সমন পাওয়া লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির দুই অধিকর্তা এখন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে থাকবেন। তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির বাইরে বসেছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি সিসিটিভি। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি প্রহরা। অভিষেক এখন থেকে মমতার সমান নিরাপত্তা পাবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বৈঠকে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন উনি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি যে মিথ্যে নয়, তা স্বীকার করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো আগে থেকেই তদন্তের গতিবিধি সম্পর্কে আঁচ করতে পারেন। উনি আগের দিনই বলেছেন, অভিষেকের শরীর খারাপ। উনি আঁচ করতে পারছেন, তদন্তের অভিমুখ কোন দিকে। তাই রাজ্য পুলিশের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে ভাইপোকে আগলাতে চাইছেন।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠক কোথায় হবে, তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছি। শুনেছি, আরও কিছু মন্ত্রী জেলে যেতে পারেন। কলকাতায় বড় পুজো করেন, এমন মন্ত্রীরও জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয় সুস্থই, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন কবে? ইডি হেফাজতই বা কবে থেকে?

    Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয় সুস্থই, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন কবে? ইডি হেফাজতই বা কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের রায় শুনে জ্ঞান হারিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Ration Scam)। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বাইপাসের ধারের ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালে ভালই আছেন মন্ত্রীমশাই। হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতাকে আর হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন নেই। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, বেসরকারি ওই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই শুরু হবে মন্ত্রীর ইডি হেফাজত।

    মন্ত্রীর স্বাস্থ্য

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে মন্ত্রীর (Ration Scam) শরীরে ইউরিয়া ক্রিয়েটিনিনের মাত্র সাধারণ মানুষের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে চিকিৎসকদের মতে, যেহেতু আগে থেকেই তাঁর কিডনির সমস্যা ছিল, তাই মন্ত্রীর ক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক। তাই এ ব্যাপারে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। যেহেতু আগেই সব পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়ে গিয়েছে, তাই নতুন করে আর মন্ত্রীর কোনও পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। সেই কারণে রবিবার রাতেই জ্যোতিপ্রিয়কে সিসিইউ থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৩৭৪ নম্বর কেবিনে। ওই রাতেই রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ধৃত মন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে ইডির হাতে।

    স্পিকটি নট সতীর্থরা

    এদিকে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে দলীয় মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন জ্যোতিপ্রিয়র সতীর্থরা। শুক্রবার কাকভোরে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সোমবার বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করতে বিধানসভায় এসেছিলেন তৃণমূলের অনেক বিধায়ক, মন্ত্রী। তবে জ্যোতিপ্রিয় সম্পর্কে সবাই স্পিকটি নট।

    আরও পড়ুুন: সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা না হওয়ায় টাটাকে দিতে হবে গুণাগার, টাকার পরিমাণ জানেন?

    তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গায়ে গ্রেফতারির কলঙ্ক লেগেছে অনেক আগেই। জ্যোতিপ্রিয়র আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তাঁর মন্ত্রিত্ব খোয়া গিয়েছে। ঘরে পড়েছে তালা। জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হয়েছেন শুক্রবার। তাঁর ঘরেও পড়েছে তালা। তবে তাঁর অবশ্য চেয়ার যায়নি। মন্ত্রিত্ব খোয়া যাওয়ার পর খুলে নেওয়া হয়েছে পার্থর ঘরের সামনে থেকে নামফলক। জ্যোতিপ্রিয়র নাম ফলক অবশ্য জ্বলজ্বল করছে। কতদিন (Ration Scam) করবে, কে জানে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur Verdict: সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা না হওয়ায় টাটাকে দিতে হবে গুণাগার, টাকার পরিমাণ জানেন?

    Singur Verdict: সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা না হওয়ায় টাটাকে দিতে হবে গুণাগার, টাকার পরিমাণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুর (Singur Verdict) মামলায় মুখ পুড়ল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের। ওই মামলায় জয়ী হল টাটা মোটরর্স। সংস্থার দাবি, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে সুদ সহ ক্ষতিপূরণ বাবদ টাটাকে দিতে হবে ৭৬৬ কোটি টাকা।

    কত টাকা দিতে হবে টাটাকে?

    সোমবার স্টক এক্সচেঞ্জে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ও টাটা মোটরর্সের মধ্যে আরবিট্রেশন চলছিল। অরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের কাছে আরবিট্রেশন চলছিল। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিল টাটা। সংস্থার দাবি, সিঙ্গুরে ন্যানো গাড়ি কারখানা গড়তে না পারায় মূলধন বিনিয়োগে ক্ষতি হয়েছে। এদিন ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা জানিয়ে দেন, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যকে। টাটাকে সরকারকে দিতে হবে ৭৬০ কোটি টাকা। সুদ বাবদ দিতে হবে আরও ৬ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে টাটাকে দিতে হবে ৭৬৬ কোটি টাকা।

    টাটার নোট

    ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে একটি নোট দিয়ে টাটার (Singur Verdict) তরফে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালে সিঙ্গুরে অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। সর্বসম্মতভাবে ট্রাইব্যুনাল, টাটা মোটরর্সকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে। সেই সঙ্গে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ সুদ দিতে বলা হয়েছে। মামলার খরচ বাবদ আরও এক কোটি টাকা দিতে হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনকে। এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই নির্দেশ দিয়েছে। সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা করতে না পারায় টাটা মোটরর্স যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণের জন্যই টাটা মোটরর্সকে ওই অর্থ দিতে বাধ্য থাকবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন।

    আরও পড়ুুন: “বালুর হস্ত করে সমস্ত…” রেশন দুর্নীতিতে রাজ্যের মন্ত্রীর যোগ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    হুগলির সিঙ্গুরে এক (Singur Verdict) লাখি গাড়ি কারখানা গড়তে বাম আমলে জমি অধিগ্রহণ করেছিল টাটা। তখন রাজ্যের বিরোধী নেত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে তৃণমূল। যার জেরে রাজ্য ছেড়ে গুজরাটের সানন্দে চলে যায় টাটা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Primary Recruitment Scam: গৌতম পালের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, জেরা করতে পারবে সিবিআই?

    Primary Recruitment Scam: গৌতম পালের রক্ষাকবচের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, জেরা করতে পারবে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি সুপ্রিম কোর্টে পেলেন না রক্ষাকবচ। এবার শিক্ষক দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) নিয়োগের তদন্তে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হবে সভাপতিকে। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এবং উপ সচিব পার্থ কর্মকার। সোমবার তাঁদের আবেদন খারিজ হয়। এবার কি হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা?

    খারিজ হল পর্ষদ সভাপতির রক্ষাকবচ

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Scam) গত ১৮ অক্টোবর পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে (Gautam Pal) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাবাদ করার কথাও বলেছিলেন বিচারপতি। আর হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিশেষ রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছিলেন গৌতম পাল। কিন্তু আজ এই আবেদনকে খারিজ করে দেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী শুক্রবার।

    পর্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী

    সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার উত্তরপত্র স্বরূপ ওএমআরশিট দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে’। ইতিমধ্যে সংস্থার কর্ণধার কৌশিক মাজিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) তদন্তের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এরপর মামলাকারীর আইনজীবী জানান, উত্তরপত্র শিটের ডিজিটাল ফরম্যাটের তথ্যে অনেক ভুল রয়েছে। আদালতে যে নথি উত্তরপত্রের শিট বলে জমা করেছে পর্ষদ, তা আদতে ত্রুটিপূর্ণ। ওএমআর শিট রূপে যা দেখানো হয়েছে, তা কার্যত ডিজিটাল ফরম্যাট নয়, হাতে টাইপ করা শিট। আর এতেই দুর্নীতির বিষয়কে অনুমান করা হচ্ছে। এরপরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে টেটে পরীক্ষার উত্তরপত্রের রিপোর্ট জমা করে পর্ষদ।

    পর্ষদ আইনজীবীর বক্তব্য

    পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের (Gautam Pal) আইনজীবীর বক্তব্য, “২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল সময় পর্বের নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদন্ত চলছে। কিন্তু বর্তমান পর্ষদ সভাপতির কাজ কী?”  এই প্রেক্ষিতে, সিবিআইয়ের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে, গৌতম পালের রক্ষাকবচের আবেদন গ্রাহ্য করেনি বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করা হয় তাহলে গ্রেফতারের আশঙ্কা কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বালুর হস্ত করে সমস্ত…” রেশন দুর্নীতিতে রাজ্যের মন্ত্রীর যোগ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: “বালুর হস্ত করে সমস্ত…” রেশন দুর্নীতিতে রাজ্যের মন্ত্রীর যোগ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতার আঙ্গিকে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের একবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) নিয়ে সরব হলেন তিনি। এদিন এক কল্পিত ভাব সম্প্রসারণের কথা উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে পরীক্ষার খাতায় ভাব সম্প্রসারণ আসতে পারে, “এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায়, আছে যার ভুরি ভুরি; বালুর হস্ত করে সমস্ত রাজ্যবাসীর রেশন চুরি।’

    কী লিখলেন শুভেন্দু

    এই ভাব সম্প্রসারণের সারমর্মও তুলে ধরেন শুভেন্দু। রাজ্যোর বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘বালুর সম্পদের প্রাচুর্য আছে, তাই সে চায় তার সম্পদের পরিমাণ আরও বাড়াতে। এতে সে নীতি নৈতিকতা বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। পশ্চিমবঙ্গে তোলামূল নেতাদের বে-আইনি অর্থের তৃষ্ণা কখনও মেটে না। চুরি করে বিপুল অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েও তাদের বে-আইনী অর্থ স্পৃহার অবসান হয় না। তাদের ‘যত পাই, তত চাই’ অবস্থা। তারা সম্পদ বাড়ানোর নেশায় দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে। ভাল-মন্দ, হিত-অহিত, সত্য-মিথ্যা, নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নিজেদের নামে, আত্মীয় স্বজনদের নামে, “বান্ধবীদের” নামে কেবলই ধন-সম্পদ, সোনা হীরা, ফ্ল্যাট, খামার বাড়ি ইত্যাদি আহরণ করতে থাকে। 

    এদিন বিধাননগরে ইডি দফতরে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick)  দাদা দেবপ্রিয়কে। তাঁকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘পাবলিক সার্ভিস কমিশনটা লুট করেছে তো। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দীর্ঘদিনের সদস্য দেবপ্রিয় মল্লিক। উনি দু’নম্বরির মাস্টার।’ শুভেন্দু জানান ইডির তদন্তে উঠে এসেছে দিঘায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বেনামে বিলাসবহুল ৪টি হোটেল রয়েছে। হোটেলের নাম, ছবি এবং লিজ হোল্ডারদের নাম প্রকাশ করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সম্পত্তির খতিয়ানও তুলে ধরেন শুভেন্দু।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: নথি হাতে সিজিও কমপ্লেক্সে জ্যোতিপ্রিয়ের দাদা দেবপ্রিয়! কী নিয়ে গেলেন তিনি?

    Jyotipriya Mallick: নথি হাতে সিজিও কমপ্লেক্সে জ্যোতিপ্রিয়ের দাদা দেবপ্রিয়! কী নিয়ে গেলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী-কন্যা প্রিয়দর্শিনীর পর সিজিও কমপ্লেক্সে নথি নিয়ে হাজির হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক। সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন তিনি। দেবপ্রিয় পেশায় চিকিৎসক। ইডির তরফে তাঁর কাছে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়। সেই সব বিভিন্ন নথি নিয়েই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন মন্ত্রীর দাদা। 

    এক ঘণ্টা ইডির দফতরে 

    ইডি সূত্রে খবর, সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডিকে একটি এক পাতার চিঠি জমা দিয়ে এসেছেন দেবপ্রিয়। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ তিনি ইডি দফতরে যান। ১১টার পর বেরিয়ে আসেন। সিজিও থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দেবপ্রিয়। তিনি জানান, একটি চিঠি ইডি দফতরে তিনি জমা দিয়েছেন। আগেও এই চিঠি জমা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। রবিবার তা নিয়ে সিজিওতে এসেছিলেন মন্ত্রী-কন্যা (Jyotipriya Mallick) প্রিয়দর্শিনী। তদন্তকারী অফিসার না থাকায় রবিবার ইডিকে চিঠি দেওয়া যায়নি। তাই সোমবার দেওয়া হয়।

    কী আছে চিঠিতে

    কী আছে সেই চিঠিতে? এ প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, ‘‘সেটা বলতে পারবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আর ইডি। ইডিকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন।’’জ্যোতিপ্রিয়ের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও বিষয়েও মুখ খুলতে রাজি হননি দেবপ্রিয়। তাঁর ভাই কেমন আছেন, তাঁকে সোমবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে কি না, সে সব প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর দাদা বলেন, ‘‘সেটা হাসপাতালকে জিজ্ঞাসা করলে ভাল হয়।’’ আর কোনও কথা না বলে গাড়িতে উঠে পড়েন তিনি। সোমবার ইডি দফতরে গিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়ের (Jyotipriya Mallick) আপ্তসহায়ক অমিত দে-ও। নথি নিয়ে সিজিওতে ঢোকেন তিনি। ঢোকার আগে বলেন, ‘‘আমার কাছ থেকে একটা নথি চেয়েছিল। আমার বাড়ির দলিলের একটা কাগজ দিতে এসেছি।’’ 

    আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক! আজই কি ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়?

    রেশন ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mallick)। তার আগে বৃহস্পতিবার তাঁর সল্টলেকের দু’টি ফ্ল্যাটে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। ইতিমধ্যেই ইডি দাবি করেছে, শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড, গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড এবং গ্রেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড, এই ৩টি কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করতেন স্বয়ং জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর স্ত্রী মণিদীপা, মেয়ে প্রিয়দর্শিনী, প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস ও তাঁর পরিবার, মন্ত্রীর শ্যালক অশোক সেন, বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাস-সহ অন্তত ১০ জন এই ৩টি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share