Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচি চললে নব মহাকরণের সামনে ধর্নায় আপত্তি কেন? প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নব মহাকরণের সামনে রাজ্যের আপত্তি কেন, তা নিয়েও রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে আদালতে।

    হাইকোর্টের প্রশ্ন

    বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে নব মহাকরণের সামনে ধর্নায় বসতে চান শ্রম দফতরের অস্থায়ী কর্মীরা। পুলিশের অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই মামলায় সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, “রাজভবনের সামনে জমায়েত হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?” ১৬ অক্টোবরের মধ্যে এ ব্যাপারে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    শুনানিতে রাজভবনের প্রসঙ্গ

    প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থানে বসতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল শ্রম দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন। সেই আবেদন সাড়া দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পরে আর আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। ফের অবস্থানে বসতে গেলে নতুন করে মামলা করতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো নতুন করে মামলা করা হয় সংগঠনের তরফে। সেই মামলার শুনানিতেই রাজভবনের প্রসঙ্গ তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত (Calcutta High Court)।

    ৫ অক্টোবর থেকে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজভবন চত্বর রাজ্যের অন্যতম হাই সিকিউরিটি জোন। এখানে সব সময়ই জারি থাকে ১৪৪ ধারা। তা সত্ত্বেও কীভাবে রাজভবনের সামনে তৃণমূল ধর্নায় বসেছে, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মঞ্চ বেঁধে ধর্না চলছে, সে প্রশ্নের উত্তর চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে। 

    আরও পড়ুুন: চলছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ, উড়ে আসছে রকেট, আতঙ্কে ভারতীয় পড়ুয়ারা

    তার পরেও চলছে তৃণমূলের ধর্না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনা ও একশো দিনের প্রকল্পের টাকা দিল্লি থেকে আদায় করতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই কারণেই চলছে ধর্না। তৃণমূল যেদিন রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিল, সেদিন রাজভবনে ছিলেন না তিনি। রাজ্যপাল গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে। পরে কলকাতায় ফিরে আজ, সোমবার অভিষেকের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি (Calcutta High Court) দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ladies Special Trains: এবার মাতৃভূমি লোকালে থাকবে প্রথম শ্রেণি কামরা, আর কী কী সুবিধা রয়েছে?

    Ladies Special Trains: এবার মাতৃভূমি লোকালে থাকবে প্রথম শ্রেণি কামরা, আর কী কী সুবিধা রয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই মাতৃভূমি স্পেশাল ট্রেনে মহিলাদের (Ladies Special Trains) জন্য বিশেষ উপহার দিতে চলেছে পূর্ব রেল। শিয়ালদা-রানাঘাট মাতৃভূমি লোকালগুলোতে এবার ফাস্ট ক্লাস বা প্রথম শ্রেণির কামরা যুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। কামরার প্রতিটি বসার আসনে থাকছে নরম গদি, ট্রেনের নিচের মেঝে হচ্ছে লাল ম্যাট কভারে মোড়ানো। কামরার দেওয়ালগুলি নানা রঙের তুলির টানে অভিনব সাজে সজ্জিত হয়েছে। দেবীপক্ষের সূচনাতেই এই বিশেষ ট্রেনের শুভারম্ভ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। মূলত যাত্রীদের যাত্রাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্য এবং আরামদায়ক করতে রেলের এই অভিনব ভাবনা যাত্রীদের আকর্ষিত করবে বলে জানা গিয়েছে।

    কোন রুটে মিলবে সুবিধা (Ladies Special Trains)?

    জানা গিয়েছে, রানাঘাট-শিয়ালদা-রানাঘাট রুটে মাতৃভূমি লোকাল (Ladies Special Trains) ট্রেনে মিলেবে এই পরিষেবা। লেডিস স্পেশাল ট্রেনে মহিলা যাত্রীদের চাপের কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক যাত্রার কথা পরিকল্পনা করেছে রেল। মহিলাদের অফিস বা কর্মসূত্রে যাতায়াতের  যাত্রাপথকে সুগম এবং যাত্রার মানকে উন্নত করেতে এই ব্যবস্থা। সফরে মহিলা যাত্রীদের ক্লান্তি কম করতে এবং কর্মস্থলে যোগদানে উজ্জীবিত করতে এই ভাবনা রেলের। জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে আপাতত একটি ট্রেন চালানো হবে। একটি ট্রেনকে ইতিমধ্যেই সাজিয়ে ফেলা হয়েছে। এই কামরার সাফল্যের উপর নির্ভার করে পরবর্তীতে আরও ট্রেন চালানো হবে।

    পূর্ব রেলের বক্তব্য

    মাতৃ শক্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে রেল, মাতৃভূমি স্পেশাল ট্রেনগুলোতে (Ladies Special Trains) প্রথম শ্রেণির বগি সংযুক্ত করা হবে। যাত্রীর বসার সিটে থাকবে কুশনযুক্ত গদি। পূর্ব রেলের জন সংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “এখন রানাঘাট-শিয়ালদা মেইন লাইনে মাতৃভূমি ট্রেনে লোকাল পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে চালু করা হবে। ট্রেনে থাকা পূর্বের কামরাগুলির সঙ্গে একটি ফাস্ট ক্লাস কামরা যুক্ত করা হবে। এই বিশেষ প্রয়োগে যাত্রীদের মধ্যে কতটা প্রভাব পড়ছে, তা বুঝেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আকাল প্লেটলেটের, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    Dengue: হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি! জেলাজুড়ে আকাল প্লেটলেটের, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে রাজ্যজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। কলকাতা লাগোয়া হাওড়ায় বাড়ছে ডেঙ্গি। আক্রান্ত হয়ে বহু রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এরইমধ্যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্লেটলেটের অভাব দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে পরিস্থিতি সামাল দিতে কলকাতার সরকারি হাসপাতাল থেকে প্লেটলেট আনতে হচ্ছে।

    কী বললেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক? (Dengue)

    হাওড়া জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, দৈনিক ২৫-২৭ জন ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় শয্যার পাশাপাশি প্লেটলেটেরও অভাব দেখা দিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বুধবার মাত্র এক দিনে আট জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গি রোগীর পাশাপাশি অন্য রোগীদের পরিষেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ক্লাব বা সংগঠনগুলি রক্তদান শিবিরের আয়োজন না করায় হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে প্লেটলেট নেই বললেই চলে। এসএসকেএম থেকে ২০ ব্যাগ প্লেটলেট আনিয়ে পরিস্থিতি সামলানো হয়েছে। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্লেটলেট সাধারণত চার দিনের বেশি রাখা যায় না। নষ্ট হয়ে যায়। রবিবার যে রক্তদান শিবির হয়, সেখান থেকে প্লেটলেট নিয়ে টেনেটুনে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চালানো যায়। পরের তিন দিন চরম সঙ্কট হয়।

    হাওড়া পুরসভার কর্তা কী বললেন?

    পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৯তম সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৮৭। ৪০ তম সপ্তাহে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩০০। এই পুর এলাকায় যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তা মানছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও। নতুন করে যে ওয়ার্ডগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়ছে, সেগুলি হল ২৫, ৪২, ৪৯ এবং ৫০ নম্বর। শনিবারই ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাওড়ার শরৎ সদনে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরী। হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে। সরকারি আবাসনের চত্বর পরিষ্কার রাখার জন্য চিঠি দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আবর্জনা পরিষ্কারে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে তৃণমূলের ধর্না কীভাবে? নবান্নে চিঠি রাজভবনের  

    Abhishek Banerjee: ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে তৃণমূলের ধর্না কীভাবে? নবান্নে চিঠি রাজভবনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের গেটের বাইরে রয়েছে ১৪৪ ধারা। তার পরেও কীভাবে তৃণমূল মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে? তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) রাজভবনের গেটের সামনে ধর্নায় বসার পর এমনই প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতিও ১৪৪ ধারা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এবার একই প্রশ্ন তুলে নবান্নকে চিঠি পাঠাল রাজভবন।

    নবান্নকে চিঠি রাজভবনের

    চিঠি লেখা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় ফিরছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার আগেই রাজভবনের তরফে চিঠি গেল নবান্নে। চিঠিতে মূলত তিনটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এক, ১৪৪ ধারা কার্যকর রয়েছে এমন এলাকায় মঞ্চ বেঁধে ধর্নার অনুমতি কি কলকাতা পুলিশ দিয়েছিল? দুই, যদি দেওয়া হয়, তবে কে দিলেন এবং কোন আইন বলে? তিন, যদি অনুমতি ছাড়াই ধর্নামঞ্চ বাঁধা হয়ে থাকে এবং তিনদিন ধরে বিক্ষোভ জমায়েত চলতে থাকে তাহলে পুলিশ এর বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে? প্রশ্নগুলি পাঠিয়ে দ্রুত জবাব চেয়েছে রাজভবন।

    কী বললেন সুকান্ত? 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এ রাজ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য যে সব বেআইনি কাজই আইন, তা বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশের ভূমিকা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ভারতীয় সংবিধানের কাছে তিনি নেংটি ইঁদুর ছাড়া আর কিছুই নন।” প্রসঙ্গত, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে বঞ্চনা ও আবাস যোজনা ইস্যুতে রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চাশ থেকে একশো মিটারের মধ্যেই চলছে সেই অবস্থান বিক্ষোভ। উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতানেত্রীরা।

    আরও পড়ুুন: প্রশাসনিক প্রধান রূপে ২২ বছর পূর্ণ, প্রধানমন্ত্রী পদে রেকর্ড তৈরির পথে নরেন্দ্র মোদি

    কয়েকদিন ধরে চলা এই বিক্ষোভ নিয়েই এবার কড়া মনোভাব পোষণ করল রাজভবন। শনিবার সন্ধ্যায় দার্জিলিংয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন রাজ্যাপালের সঙ্গে। রবিবার তিনি কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সন্ধ্যার বিমানে বাগডোগরা থেকে কলকাতা আসার কথা। তার ঠিক আগেই রাজভবনের তরফে চিঠি গেল নবান্নে। প্রসঙ্গত, পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় রবিবার সিবিআই হানা দেয় কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে। এদিনই সিবিআই হানা দিয়েছে মদন মিত্রের বাড়িতেও। এহেন আবহে রাজভবনে ফিরছেন (Abhishek Banerjee) রাজ্যপাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Flash Flood: ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা থেকে উদ্ধার আরও ১১টি দেহ, সিকিমের হড়পা বান যেন দুঃস্বপ্ন!

    Sikkim Flash Flood: ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা থেকে উদ্ধার আরও ১১টি দেহ, সিকিমের হড়পা বান যেন দুঃস্বপ্ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার হড়পা বানে সিকিমে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় (Sikkim Flash Flood) নেমে আসে। সেই সঙ্গে উত্তর সিকিমে হ্রদ ভেঙে পড়ে। জলপাইগুড়ির তিস্তায় নেমে আসে মেঘভাঙা বৃষ্টির জলের তোড়। পাহাড়ের প্রভাব সমতলেও ভয়ঙ্করভাবে পড়ে। আগ্রাসী তিস্তা পাহাড় থেকে সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে আসে নিচে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উদ্ধার হচ্ছে দেহ। গত ২৪ ঘণ্টায় উদ্ধার হয়েছে আরও ১১ টি দেহ। এইসব মিলিয়ে মোট মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়াল ৪১। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, ১১ টি দেহের মধ্যে ১০ টি শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয়েছে। এদিকে বন্যার জলে রোজই ভেসে আসছে দেহ। এলাকার মানুষ এখনও আতঙ্কে রয়েছেন।

    জলপাইগুড়ি প্রশাসনের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ি প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৮ অক্টোবর দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শেষ পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তিস্তা থেকে বানের জল থেকে মোট ৪১ টি মৃতদেহ (Sikkim Flash Flood) পাওয়া গেছে। গত কয়েকদিন যেন তিস্তা একটি লাশের নগরীতে পরিণত হয়েছে। যেদিকে নজর যায়, সেই দিকেই কেবল ধ্বংস এবং বিপর্যয়ের চিত্র চোখে পড়েছে। গতকাল শনিবারেও ৩ টি দেহ উদ্ধার করা হয়। শবদেহগুলি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। যারা যারা নিখোঁজ হয়েছেন, তাদের খোঁজ চলছে। সেনাকর্মী, প্রতিরক্ষা বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একযোগে উদ্ধারকাজ করছে বলে জানা গেছে।

    ভয়ঙ্করী তিস্তা (Sikkim Flash Flood)

    গত মঙ্গলবার মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গেছে সুন্দর সাজানো সিকিম (Sikkim Flash Flood)। তার প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গ জুড়ে। জলের আঘাতে ভেঙে গেছে জাতীয় সড়ক। পাহাড়ের জল তিস্তায় পড়ে জলের উচ্চতা বৃদ্ধি হয়ে ভেসে গেছে বাড়িঘর, গাছপালা সবকিছু। ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে প্রকৃতি। আটকে পড়েছেন প্রচুর পর্যটক। কার্যত হোটেলে বসেই প্রহর গুনতে হচ্ছিল কলকাতা- হাওড়ার পর্যটকদের। প্রকৃতিক বিপর্যয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সিকিম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিদারদের পার্টি নয়, বিজেপি প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার দল। ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে তৃণমূলের কটাক্ষকে এই ভাষাতেই জাবাব দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। শনিবার সকালে ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসেন তিনি। এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা বিজেপি কার্যালয়ে চলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে। তারপরই সুকান্ত-শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে কড়া আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। 

    ওদের সঙ্গে দেখা করতেই দিল্লি আসি

    এদিন তিনি বলেন, ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ, এটা কোনও স্বৈরতন্ত্র নয়। এখানে যা ইচ্ছে তাই করা বা যা ইচ্ছে তাই বলা যায় না, বলে দাবি করেন সাধ্বী নিরঞ্জন (Sadhvi Niranjan Jyoti)। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের সামনে বাধ্য হয়ে আসতে হল আমাকে। দুদিন আগে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। কেন্দ্রীয় সরকার বৈমাত্রেয় সূলভ আচরণ করছে জানিয়ে দেখা করতে চান। শুধু ওদের সঙ্গে দেখা করতেই আমি দিল্লি এসেছিলাম। প্রথমে ওরা বলেছিলেন ৫ জন প্রতিনিধি দেখা করবেন। তারপর আমার পিএসের কাছে বলেন ১০ জন দেখা করবেন। আমি বললাম আপত্তি নেই। তারপর বলেন, সমস্ত জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমি বলি, সচিব সহ অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনার জন্য। তারপর সাড়ে ৭টায় বলেন সব সাংসদ দেখা করবেন। আমি সেটারও ব্যবস্থা করি। তারপর মহুয়া মৈত্র বলেন, একা দেখা করবেন। আমি তারপর বলি কারও সঙ্গে একা দেখা করব না। ডেলিগেট টিমের সঙ্গে দেখা করব। তারপর ৮টায় বলা হয় সব সাংসদরা আসবেন। আমি বলি সেটাই করুন। কিন্তু ৮টা ২০তে আবার বলেন জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে আগে। আমি বলি, আগে আপনাদের ডেলিগেটের সঙ্গে দেখা করব। তারপর জনতার সঙ্গে দেখা করব। যেভাবে আমার নামে মিথ্যা বলেছেন, আমাকে ভিডিয়ো করতে হয়েছে। বলা হয়েছে, আমি নাকি পিছনের গেট দিয়ে চলে গিয়েছি। আমি ৪ নম্বর গেট দিয়েই বরাবর যাতায়াত করি। আমার মনে হচ্ছে মিথ্যাটাই এই সরকারের বুনিয়াদ।” 

    ইউপিএ জমানার তুলনায় বেশি বরাদ্দ

    তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলকে জমিদারদের পার্টি বলা হচ্ছে। আমাদের দল জমিদারদের দল নয়, প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার পার্টি হল বিজেপি। আমাদের সরকার গরিব মানুষকে সব দিয়েছে। আর আমাকে বলছে, আমি মিথ্যেবাদী? মহুয়া মৈত্র, যে দলে তুমি আছো মিথ্যার ভিত্তিভূমি থেকে তার উৎপত্তি’। শনিবার কলকাতায় এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেন নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। দাবি করেন, ইউপিএ জমানার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গকে কয়েক গুণ বেশি বরাদ্দ দিয়েছে মোদি সরকার। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাধ্বী জানান, “২০১৪-র পর ৪৫ লক্ষ বাড়ি আমরা দিয়েছি আবাস যোজনায়। ইন্দিরা আবাস যোজনায় অ্যাপ্রুভ হওয়া ১০ লক্ষের বেশি ঘর আমরা তৈরি করেছি। কোভিডের পর থেকে এই রাজ্যের ৬ কোটি ২ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে চাল দিয়ে আসা হচ্ছে। ৩৯,৭১০০টন চাল দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী (Sadhvi Niranjan Jyoti)  জানান, “আমি আজ কলকাতায় এসেছি। ওরা যেখানে বলবে সেখানে কথা বলতে আমি প্রস্তুত। কিন্তু ওদের কথা বলার কেউ নেই। আসলে মুখুমুখি বসলে চুরি ধরা পড়ে যাবে।” তাঁর কথায়, “মনরেগায় ঘোটালা হয়েছে। মনরেগার টাকা আটকালে তো প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকাও আটকানো হত। ৫৪০০ কোটি দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর সময়। আর মোদী সরকার ১১০০০ কোটি দিয়েছে গত ৯ বছরে। মহিলাদের মাত্র ৬০০ কোটি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর আমলে। আর মোদী সরকারের সময়, ৭৪০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ১১ লক্ষ  বাংলার মহিলা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কাজ করছেন মোদী সরকারের সময়। এই সব কারণেই ওরা আলোচনা করার বদলে পালিয়ে যান। কারণ দুর্নীতি ছাড়া কথা বলার আর কোনও বিষয় ছিল না। আমি আড়াই ঘণ্টা বসেছিলাম। আজও এসেছি। আমি ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম? তথ্যপ্রমাণ নিয়ে সচিবকে নিয়ে আসুন। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত হতে দেব না। কথা দিচ্ছি। কিন্তু ভুয়ো জব কার্ড যাদের দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তো বের করতেই হবে।” 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও দিল্লি গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ, আবার কখনও রাজভবনের সামনে ধর্না প্রদর্শন। কার্যত নিজেকে ইডির জেরার মুখ থেকে বাঁচতেই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছেন, নন্দীগ্রামে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘পুলিশি মদতে মঞ্চস্থ ধর্না জনস্বার্থে না পরিবারের স্বার্থে? এই প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় অক্টোবর মাসের ক্যালেন্ডার তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে কার্যত খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তাঁর স্ত্রী এবং বাবা-মাকেও তলব করার প্রেক্ষিতে অক্টোবর মাসের ক্যালেন্ডারের চারটি তারিখ ৬ অক্টোবর, ৭ অক্টোবর, ৯ অক্টোবর এবং ১১ অক্টোবর এই চারদিন ‘মা’ ‘বাবা’ ‘কয়লা’ ও ‘নারোলা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি চলো কর্মসূচি কিম্বা রাজভবনের সামনে অভিষেকের নেতৃত্বে ধর্না— এসবই শাসক দলের অবস্থানকে দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই বলেও আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।

    রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেছে তৃণমূল। অভিষেকের নাম না করে তাঁকে ‘জমিদার’ বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। শাসক দল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও উপেক্ষা করছে মত শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, একের পর এক ইডির জেরার মুখে অভিষেক ও তার পরিবার। শুভেন্দুর বক্তব্য অভিষেক নিজেকে বাঁচাতে বাবা মা-সহ পরিবারকে চোর সাজাচ্ছে। কার্যত দিল্লি থেকে রাজভবন, বিগত কয়েকদিনে যে যে কর্মসূচি গুলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন শুভেন্দুর চোখে অভিষেকের নেওয়া সেই সমস্ত পদক্ষেপগুলো কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। তিনি নিজেকে ইডির জেরার মুখ থেকে বাঁচাতেই এই ধরনের একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন। এগুলোর সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কামদুনির রায় ‘অপ্রত্যাশিত’, বললেন শুভেন্দু! ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ’, মত সুকান্তর

    Suvendu Adhikari: কামদুনির রায় ‘অপ্রত্যাশিত’, বললেন শুভেন্দু! ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রমাণ’, মত সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের (Kamduni Gang Rape) মামলায় নির্যাতিতার পরিবারকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ক্ষেত্রে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কামদুনিকাণ্ডে হাইকোর্টের রায় ‘সামগ্রিকভাবে প্রত্যাশিত নয়’, বলে জানালেন শুভেন্দু। নির্যাতিতার পরিবারের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা দাবি করলেন তিনি।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের একজন নাগরিক হিসাবে এই রায়কে স্বাগত জানানোর কোনও প্রশ্ন নেই। এই রায় অপ্রত্যাশিত। আমি কামদুনির (Kamduni Gang Rape) বোনেদের বলব, রায়ের কপি তুলে তাদের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে তাঁরা যদি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আইনি বা আর্থিক সাহায্য যদি চান, আমি সম্পূর্ণ তৈরি। অনেক প্রবীণ আইনজীবীর সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে, অনুরোধ করলে তাঁরাও বিনা পারিশ্রমিকে এই মামলা লড়তে পারেন।’’ রাজ্য সরকারের কাছে বিরোধী দলনেতার অনুরোধ,  ‘‘অবিলম্বে নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হোক। কারণ খালাস পেয়ে যাওয়ার পরে এই অপরাধীরা, বোনদের পরিবারের সার্বিক ক্ষতি করবে না, এই গ্য়ারান্টি কেউ দিতে পারে না। তাদের আচরণ কোনও সভ্য, সুস্থ মানুষের মতো নয়।’’

    আরও পড়ুন: সিকিম বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সহ তিন বন্ধুর, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    সুকান্তর দাবি

    প্রসঙ্গত, কামদুনিকাণ্ডে (Kamduni Gang Rape) ‘লঘু দণ্ড’ দিয়েছে আদালত, বলে দাবি অভিজ্ঞ মহলের। নিম্ন আদালতে দোষীর ফাঁসির সাজা হয়েছিল, তাকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ফাঁসির বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাকি দু’জনকে। এই রায় প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া অপরাধীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ আদালতে পেশ করা পুলিশের কাজ। তা ঠিকমতো হয়নি। মহিলা মোর্চার তরফে আন্দোলনে নামার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনার কথাও শোনান সুকান্ত।

    রায় নিয়ে বিরোধীদের মত 

    বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিই অনেকে চেয়েছিলেন। ফলে এই রায়ে সকলে খুশি হবেন না। শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আদালতের রায় যেহেতু, এ নিয়ে কিছু না বলে শুধু বলতে চাই বিচার প্রক্রিয়া বিশেষ করে পুলিশি তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও সক্রিয়তার অভাব রয়ে গিয়েছিল কি? যার কারণে আজকে এই ধরনের নৃশংস অপরাধ সংগঠিত করার পরও কেউ কেউ খালাস হচ্ছে? এটা মানুষের মনে নিশ্চিতভাবে প্রশ্ন তুলবে।”

    আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির কথায়, “পুলিশের এক প্রকার নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এই রায়টা হল। তৃণমূল যে অভিযুক্তদের পক্ষে মিছিল করেছে, পুলিশের কি আর সাহস হবে তাদের বিরুদ্ধেই ঠিকমতো চার্জশিট গঠন করার, প্রমাণ ঠিকমতো দাখিল করার। পুলিশের ভিতরে ঢুকলে অনেক কিছুই বোঝা যায়। আমি তো ৪২ দিন জেলে ছিলাম। লকআপে থেকে অনেক জ্ঞানই অর্জন করেছি। পুলিশ চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে।”

    বিস্ফোরক মৌসুমি-টুম্পা

    টুম্পা কয়াল বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১৪ জন আইনজীবী আমাদের মামলা থেকে সরে গিয়েছেন। তখনই আমরা আন্দাজ করেছিলাম এমন কিছু হবে। সরকার আমাদের কথা দিয়েছিল যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। একদিকে সরকার আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অন্যদিকে দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। কারণ সরকারি আইনজীবী একের পর এক টাকা নিয়ে তাঁরা বিক্রি হয়ে গিয়েছেন।’

    চিৎকার করে মৌসুমী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি শুনতে পাচ্ছেন, আপনিই কামদুনি গিয়ে বলেছিলেন, ১৫ দিনে চার্জশিট আর ৩০ দিনে সাজা ঘোষণা, সরকারি উকিল এই মামলা লড়বে! রেপ কেসকে আপনি দরদাম করেছিলেন! কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে আপনার সেই রেটের দামের মূল্য আজকে দিতে হল! সরকারি উকিল, পুলিশ প্রশাসন সব টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেছে। বিচার দিতে পারলেন না আপনি!”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি।” যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকের বেআইনি নিয়োগ মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। বৃহস্পতির পর ফের শুনানি হয় শুক্রবারে। তখনই সিবিআই তদন্তের ইঙ্গিত দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    অপসারণের নির্দেশ বিচারপতির

    ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকায় বৃহস্পতিবার ওই ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা এবং অধ্যাপক অচিনা কুন্ডুকে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁদের নেই। তিনি বলেন, ওই দুই ব্যক্তি যদি তাঁদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে পুনর্বহাল করা হবে।

    গুরুতর অভিযোগ শিক্ষা দফতরেরও

    সুনন্দা ও অচিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতরও। একুশ, বাইশ এবং তেইশ সালে তাঁদের বেতন বন্ধ ও বিভাগীয় তদন্তের জন্য কলেজের গভর্নিং বডিকে সুপারিশ করেছিল শিক্ষা দফতর। গভর্নিং বডি সেই সুপারিশ কার্যকর করেনি। আদালত (Justice Abhijit Gangopadhyay) নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের দাবি, গভর্নিং বডির সভাপতির উদ্দেশে সুপারিশপত্র পাঠানো হলেও, তা পৌঁছত সচিবের হাতে। সুনন্দা ছিলেন গভর্নিং বডির বর্তমান সচিব।

    আরও পড়ুুন: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    এদিনের শুনানিতে অচিনার অপসারণের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কলেজে শিক্ষকতার জন্য ইউজিসির নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁর নেই। তাই তাঁর অপসারণের নির্দেশ বহাল থাকবে। রাজ্যের ও পুলিশের রিপোর্ট দেখার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এ তো তিনজনে (মানিক ভট্টাচার্য, সুনন্দা এবং অচিনা) মিলে যা খুশি করেছেন। অন্দরমহলে রাজা ধন ছড়াচ্ছেন আর কুড়োচ্ছে কে? রানি। তিনজন কলেজ চালাতেন। তিনজন মিলেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

    ওই অধ্যক্ষ কীভাবে বেতন পেতেন, তা জানতে কলেজ সার্ভিস কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।  এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে স্পেশাল অফিসার অর্ক কুমার নাগ বৃহস্পতিবার রাতে এসে পুলিশ নিয়ে কোর্ট অর্ডারে অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে সিল করে দিয়ে চলে যান। তাঁর রুমের দরজায় সাঁটিয়ে দেওয়া হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) অর্ডারের কপি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ল কলেজের সদ্য অপসারিত অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। যান শাসনের কাজে লাগানো হয় এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের। ইদানিং লাগানো হচ্ছে হাসপাতালের প্রহরায়ও। এহেন এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে দেখা গেল রোগীর রক্তচাপ মাপতে! এ ছবি কোনও বেসরকারি হাসপাতালের নয়, সরকারি এক হাসপাতালের।

    ‘এগিয়ে বাংলার নিদর্শন’!

    এক্স হ্যান্ডেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী পরিষেবার এই ভিডিও পোস্ট করে এমনই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, “তৃণমূলের এগিয়ে বাংলার বিস্ময়কর নিদর্শন। এই ছবিই বলে দিচ্ছে কেমন বিশ্বমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয় তৃণমূল সরকার।” ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। 

    ‘রাজ্যবাসীর জীবন নিয়ে খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী’

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। সেই কারণে সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে রক্তচাপ মাপানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষদের জীবন নিয়ে খেলছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেও গরিব মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না। বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হতে পারছেন না। এভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে (Sukanta Majumdar)।

    হাসপাতালের সিএমওএইচ বলেন, “হাসপাতালে রোগীর চাপ সামলাতে অনেক ক্ষেত্রেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডাক্তারদের সাহায্য করতে প্রেসার মাপার যন্ত্র এগিয়ে দিয়েছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা।”

    আরও পড়ুুন: কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় ফাঁসির সাজা রদ হাইকোর্টে, ‘‘রাজ্যের গাফিলতি’’, দাবি পরিবারের

    কুশমণ্ডি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত দাস বলেন, “অতি উৎসাহবশত ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার এ কাজ করেছে। কাজটি মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। এটা তাদের কাজও নয়।” দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, “আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি ওই সিভিক ভলান্টিয়াররা সাহায্য করেছেন। তাঁরা চিকিৎসা করেননি। চিকিৎসকের কাজে শুধু সাহায্য করেছেন। এই ঘটনা (Sukanta Majumdar) মানবিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share