Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক এখন দিল্লিতে, আজ ইডি-র দিল্লি দফতরেই ডাকা হবে তৃণমূল সাংসদকে?

    Abhishek Banerjee: অভিষেক এখন দিল্লিতে, আজ ইডি-র দিল্লি দফতরেই ডাকা হবে তৃণমূল সাংসদকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। কলকাতার দফতরে তাঁকে সশরীরে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু, এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। সেখানে দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন তিনি। এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ৩ অক্টোবর (আজ) তদন্তের কাজ যেন কোনও অবস্থাতেই ব্যাহত না হয়। ফলে, আজ অভিষেক হাজিরা না দিলে কী কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    তলব কলকাতায়, অভিষেক রয়েছেন দিল্লিতে 

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) শিবিরের দাবি, আজ যে তিনি ইডি দফতরে অভিষেক হাজিরা দিচ্ছেন না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। তাদের যুক্তি, অভিষেক যে আজ সমনে হাজিরা দেবেন না, তা তিনি সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করে দিয়েছেন। এদিকে ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে অভিষেক যে হাজিরা দিচ্ছেন না, সোমবার রাত অবধি সেরকম কোনও তথ্য তাদের কাছে লিখিত আকারে জানানো হয়নি। ফলে ইডি তদন্তকারীরা অভিষেকের হাজিরার সম্ভাবনা ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাঁদের পাল্টা বক্তব্য, সমাজমাধ্যমে কে কী লিখল, তা ইডি-র (Enforcement Directorate) কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। 

    ‘তদন্তের কাজ যেন ব্যাহত না হয়’

    আবার, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) ওই দাবি কলকাতা হাইকোর্টের নজরে আনলে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে বলতে শোনা গিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই ৩ অক্টোবর তদন্তের কাজ যেন ব্যাহত না হয়। এর আগের শুনানিতে, ভরা আদালতে ইডি-র প্রতিনিধিকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি সিনহা। এমনও প্রশ্ন ওঠে, যে ইডি কি ইচ্ছাকৃতভাবে মামলাকে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে? ফলে, সব মিলিয়ে প্রবল চাপে থাকা ইডি আজ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেই দিকে নজর রয়েছে সকলের, বিশেষ করে রাজনৈতিক মহলের। 

    কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর সিইও হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে অভিষেককে। সেই সিইও-র তরফে গরহাজিরার চিঠি এলে, তার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে বলে দাবি ইডির (Enforcement Directorate)। মূল প্রশ্ন হচ্ছে, আদালতের সামনে ইডি-কে প্রমাণ করতে হবে যে, তদন্তে ব্যাঘাত ঘটেনি। গত শুনানিতে ইডি-র তদন্তকারী অফিসারকে সরিয়ে দেওয়ার পরে আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, ১০ অক্টোবরের মধ্যে তারা বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেবে। ফলে, সেই দিক দিয়ে তদন্তকারী সংস্থার কাছে আরও কয়েকদিন রয়েছে। অভিষেককে এর মধ্যে নতুন করে তলব করা হতে পারে। 

    অভিষেককে দিল্লি অফিসেই ডাকা হবে?

    আবার, অভিষেক (Abhishek Banerjee) যদি দিল্লিতে থাকার কথা জানিয়ে হাজিরা এড়ানোর চিঠি দেন, সেক্ষেত্রে অভিষেককে দিল্লিতেই ইডির সদর দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তাব দিতে পারে তারা। এটা করলে হাইকোর্টের নির্দেশকে কার্যকর করতে ইডি যে কতটা সচেষ্ট, সেই বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারবে। পাশাপাশি, এই সময়ের মধ্যে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর অপর দুই ডিরেক্টর তথা অভিষেকের বাবা-মা অমিত ও লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। ১০ অক্টোবর আদালতে ইডি (Enforcement Directorate) কী রিপোর্ট জমা দেয়, সেই দিকে নজর থাকবে আদালতের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রের টাকা ঝেড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার”, রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কেন্দ্রের টাকা ঝেড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার”, রাজ্যকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মোদিজি আবাস যোজনার টাকা দিলেও, বাড়ি পায়নি গরিব মানুষরা। সেই টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ঝেড়ে দিয়েছে। তাই কেউ বাড়ি পায়নি।” সোমবার মেয়ো রোডে কথাগুলি বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একশো দিনের কাজ প্রকল্প সহ নানা ক্ষেত্রে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তার জেরে সোম ও মঙ্গলবার দু’ দিন ধরে দিল্লিতে ধর্নায় বসছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    এই কর্মসূচির পুরোভাগে রয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ও মেয়ো রোডে তারই পাল্টা জমায়েত করে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “এক দিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি, ১০০ দিনের প্রকল্পে এক কোটিরও বেশি ভুয়ো জব কার্ড তৈরি করে বাংলার মানুষের টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছে তৃণমূল।” তিনি বলেন, “এই বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা নয়াদিল্লিতে গিয়েছেন। কিন্তু ওঁদের মুখে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা মানায় না। কারণ তৃণমূলের সরকার উন্নয়নের নামে অর্থ লুট করেছে।”

    বিজেপির বিক্ষোভ

    শুভেন্দুর দাবি, ইউপিএ জমানার তুলনায় মোদির আমলে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ কয়েকগুণ বেড়েছে। তৃণমূলের নীতির জেরেই টাকা আটকে রয়েছে। এদিন প্রথমে বিধানসভার বাইরে ধর্নায় বসেন বিজেপি বিধায়করা (Suvendu Adhikari)। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য সহ ধৃতদের জেলবন্দি কাটআউট পাশে রেখে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।

    রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে সেখানে গান গাইতে দেখা যায় হরিণঘাটার বিধায়ক বিজেপির অসীম সরকারকে। মেয়ো রোডে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। পরে বিধানসভা থেকে মেয়ো রোড পর্যন্ত গান করতে করতে আসেন বিজেপি বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাংলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মোদি ও গিরিরাজকে ধন্যবাদ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বাংলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মোদি ও গিরিরাজকে ধন্যবাদ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য নরেন্দ্র মোদি ও গিরিরাজ সিংহকে ধন্যবাদ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তুলে সোমবারই দিল্লিতে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল। এহেন আবহে শুভেন্দুর এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    শুভেন্দু উবাচ

    এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু লিখেছেন, “বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য নরেন্দ্র মোদি ও গিরিরাজ সিংহকে ধন্যবাদ। ১০০ দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ইউপিএ-এনডিএ আমলের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তাহলে মোদি সরকারের আমলে বাংলার জন্য বরাদ্দ অনেক বেশি। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদি ও মাননীয় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিংহকে।

    এমজিএনআরইজিএ, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মতো রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের স্কিমগুলি বাস্তবায়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে কেন্দ্রীয় তহবিলের বরাদ্দ যথেষ্ট পরিমাণে বাড়ানোর জন্য। যদি ইউপিএ এবং এনডিএ শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া তহবিলের তুলনা করা হয়, তাহলে এটা স্পষ্ট হবে যে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বহুগুণ বাড়িয়েছে। শুধু যদি এই টাকা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার ও প্রশাসন বাংলার গ্রামের মানুষের কাজে ঠিক মতো ব্যবহার করত…।”

    বঞ্চনা করেছেন মমতা 

    বিজেপির (Suvendu Adhikari) দাবি, বাংলার মানুষের সঙ্গে যদি কেউ বঞ্চনা করে থাকে তাহলে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই করেছে। শুভেন্দু এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “ইউপিএ জমানায় এমজিএনআরইজিএতে বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। সেখানে এনডিএ সরকার এই প্রকল্পে বরাদ্দ করেছে ৫৪ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। পিএমএওয়াইতে ইউপিএ সরকার বরাদ্দ করেছিল ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সেখানে মোদি সরকার বরাদ্দ করেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা।” এদিকে, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সুকান্ত দেখান খরচ করতে না পারায় কীভাবে দিল্লিতে ফেরত গিয়েছে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ (Suvendu Adhikari)। মোদি জমানায় যে আগের চেয়ে বাংলার জন্য বরাদ্দ বেড়েছে, তাও দেখিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “মন্ত্রী-মেয়র জোড়া পদে থেকে কি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ?” চিঠি রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “মন্ত্রী-মেয়র জোড়া পদে থেকে কি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ?” চিঠি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার খোদ মৌচাকেই ঢিল মারলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)! ‘মন্ত্রী এবং মেয়র দুই পদে থেকেই কি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম?’ প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যপাল। কলকাতা পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। এমতাবস্থায় রাজ্যপালের এহেন প্রশ্ন-বাণে বিব্রত রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের অভিযোগ, ডেঙ্গিতে মৃত অনেকের পরিবার পুরসভায় ফোন করেও মেয়রের খোঁজ পাচ্ছেন না।

    কী বলছেন রাজ্যপাল?

    রাজ্য সরকারকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “পুরসভায় ফোন করলে তাঁদের বলা হচ্ছে মেয়র নবান্নে আছেন। আবার নবান্নে খোঁজ নিলে বলা হচ্ছে, পুরমন্ত্রী কলকাতা পুরসভায় রয়েছেন। …রাজভবনের পিস রুমে এনিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। কলকাতায় মেয়র নিখোঁজ বলে বিজ্ঞাপনও দিতে চাইছেন অনেকে।”

    কোন অঙ্কে মন্ত্রী-মেয়র পদে ফিরহাদ?

    তৃণমূলের সংখ্যালঘু মুখ ফিরহাদ। তৃণমূল নেত্রীর খুব কাছের (CV Ananda Bose) মানুষ হিসেবে পরিচিত। মুসলমান ভোট যাতে ঘাসফুলের ঝুলিতেই পড়ে, তা নিশ্চিত করতে ফিরহাদকে করা হয় মন্ত্রী। আবার কলকাতা পুরসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, রাজাবাজারের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। অতএব, ভোট কুড়োতে প্রয়োজন সংখ্যালঘু মুখের। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, সেই কারণেই ফিরহাদকে একই সঙ্গে বসানো হয়েছে মন্ত্রী এবং মেয়র পদে।

    রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন একজন ব্যক্তি কীভাবে এরকম গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ সামলাচ্ছেন? রাজ্যপালের প্রশ্ন, “এখানে কি অফিস অফ প্রফিটের কোনও বিষয় আছে?”  রাজ্য সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনও উত্তর এখনও মেলেনি। যদিও ফিরহাদ জানান, তিনি এখন দিল্লিতে রয়েছেন। কলকাতায় ফিরে সাংবাদিক বৈঠক করে সবটা জানাবেন। তিনি বলেন, “আমি কীভাবে মেয়র এবং মন্ত্রী তা আমার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানলেই হবে।”

    আরও পড়ুুন: মাথার দাম ৩ লক্ষ! দিল্লিতে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আইএস জঙ্গি

    শেষ বর্ষায় রাজ্যে (CV Ananda Bose) ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। গত এক সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের ১৭টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬১৩ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ১৪০ জন। আক্রান্তের পাশাপাশি দীর্ঘায়িত হচ্ছে মৃতের তালিকাও। কলকাতায়ও বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। সূত্রের খবর, এমতাবস্থায় মেয়র-মন্ত্রী গিয়েছেন তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে।

    জনসেবার চেয়ে পার্টিসেবাই অগ্রাধিকারের তালিকায় ঠাঁই পেল ফিরহাদের!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • AIIMS Kalyani: কল্যাণী এইমসে চলছে ১৩৭ পদে চিকিৎসক নিয়োগ, কবে আবেদনের শেষ তারিখ জেনে নিন

    AIIMS Kalyani: কল্যাণী এইমসে চলছে ১৩৭ পদে চিকিৎসক নিয়োগ, কবে আবেদনের শেষ তারিখ জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাক্তারদের জন্য সুখবর। যেসমস্ত চিকিৎসকরা কল্যাণী এইমসে সরকারি চাকরি করতে চান, তাঁরা খুব দ্রুত নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কল্যাণী এইমসে (AIIMS Kalyani) চিকিৎসক শূন্যপদ পূরণে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। মোট শূন্যপদ হল ১৩৭টি। বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

    নিয়োগে যোগ্যতা

    এই শূন্য পদে যোগ্যতা (AIIMS Kalyani) হিসাবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পোস্ট গ্রেজুয়েশন মেডিক্যাল ডিগ্রি হিসাবে এমডি, এমএস, ডিএনবি যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। এছাড়াও অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসাবে হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে এমডি, এমবিবিবিএস, ডিএনবি যোগ্যতা সম্পন্নরাও আবেদন করতে পারবেন।

    কোন কোন বিভাগে শূন্যপদ রয়েছে

    কল্যাণী এইমস (AIIMS Kalyani) বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গিয়েছে, এইমসের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক পদে বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগ করা হবে। তবে এই পদগুলি সব নন-অ্যাকাডেমিক পদ। যেসব বিভাগগুলোতে নিয়োগ করা হবে সেগুলো হল— রেডিওলজি, পালমোনারি মেডিসিন, ফিজিওলজি, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন, বায়োকেমিস্ট্রি, কমিউনিটি অ্যান্ড ফ্যামিলি মেডিসিন, ডার্মাটোলজি, ইএনটি, ফরেন্সিক মেডিসিন অ্যান্ড টক্সিকোলজি, জেনারেল মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, মাইক্রোবায়োলজি, নিউক্লিয়ার মেডিসিন, অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গায়নোকোলজি, অপথ্যালমোলজি, অর্থোপেডিক্স, পেডিয়াট্রিক্স, প্যাথোলজি, ফার্মাকোলজি, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন অ্যান্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক, ট্রমা অ্যান্ড এমারজেন্সি মেডিসিন, অ্যানাস্থেসিয়া এবং অ্যানাটমি। মোট শূন্যপদ হল ১৩৭টি হলেও যোগ্যতা অনুসারে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।

    বয়সসীমা এবং বেতন

    এই বিজ্ঞপ্তিতে (AIIMS Kalyani) বলা হয়েছে, আবেদনকারীদের বয়স ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে। পদপ্রার্থীদের বেতনের ক্রম হবে ১৫৬০০ থেকে ৩৯১০০ প্রতি মাসে। সেই সঙ্গে গ্রেস পে হিসাবে অতিরিক্ত মিলবে আরও ৬৬০০ টাকা। একই ভাবে থাকবে অতিরিক্ত সুবিধা।

    আবেদন ফি এবং নিয়োগ পদ্ধিত

    এইমস কল্যাণীতে (AIIMS Kalyani) এনইএফটি-র মাধ্যমে ফি জমা করতে হবে। আবেদনের মূল্য ১০০০ টাকা। আবেদন করার পর প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে বাছাই করা হবে। আরও বলা হয়েছে বিজ্ঞাপনে যে প্রার্থীদের আবেদন পত্রে উল্লিখিত বয়স, শিক্ষা এবং প্রয়োজনীয় তথ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শংসাপত্র, ডকুমেন্ট সেলফ-অ্যাটেস্টেড কপি আনতে হবে সাক্ষাৎকারের দিন।

    কিভাবে আবেদন করবেন

    প্রার্থীরা ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় টাকা জমা দেওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন নম্বর সহ একটি সিস্টেম জেনারেটেড হবে। এই রেজিস্ট্রেশনকে ডাউনলোড করে রাখতে হবে। নিয়োগ সাক্ষাৎকারের দিন ১৩ অক্টোবর এবং ১৪ অক্টোবর ২০২৩। অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে  এবং আবেদনের শেষ তারিখ ৬ অক্টোবর ২০২৩।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান চলছে দিল্লিতে। ধরনা নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের দাবি, ব্লক স্তরের নেতাদেরও প্লেনে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে দিল্লিতে। এছাড়া ১০০টি ভল্ভো বাসে করে কর্মীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর উদ্দেশে। রাজ্যের শাসক দলের এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস ঠিক কী! তা নিয়েও চলছে জোর চর্চা। অন্যদিকে দিল্লিতে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ধনী দল বলেও মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর মতে ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে তৃণমূলের।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী 

    রবিবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, “যন্তর মন্তরে যা খুশি করুন এপাং ওপাং ঝপাং! আমরা সবাই কোলা ব্যাঙ! যন্তর মন্তরের বাইরে কিছু করতে যাবেন না। ওখানে কিন্তু বিনীত গোয়েল নেই! অমিত শাহের পুলিশ, লাঠির সাইজ ৬ ফুট।” শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন “তৃণমূল কংগ্রেস তো ভারতের তৃতীয় ধনীতম দল। বর্তমানে তাদের তহবিলের পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়ে ২০-২৫টা চার্টার্ড ফ্লাইট বুক করে তো ওরা কর্মীদের সরাসরি দিল্লি নিয়ে যেতে পারত। একেকটা বড় বিমানে ২৫০-৩০০ লোক যেতে পারতেন।”

    ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    সোমবারই তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে দিল্লি এবং কলকাতায় দু’ জায়গাতেই কর্মসূচি রয়েছে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে সাংসদদের দল যাবেন পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়-এর প্রতিবাদে কলকাতার সড়কে ধরনা অবস্থান করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজে বারংবারই দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বেশ কয়েক মাস আগে উত্তর দিনাজপুরের একটি মামলাতে দেখা যায় তৃণমূলের নেতারা যেখানে পুকুর খননের কাজ দেখিয়েছেন, সেখানে রয়েছে আস্ত একটি ভুট্টার খেত। এই ঘটনায় রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। অভিযোগ, কাজ না করেও মেলে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ভুয়ো প্রকল্পের মাধ্যমেও চলে একশ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • New Local Trains: রবিবার শিয়ালদা থেকে বজবজ, বারুইপুর লাইনে চালু হচ্ছে ৪টি নতুন লোকাল

    New Local Trains: রবিবার শিয়ালদা থেকে বজবজ, বারুইপুর লাইনে চালু হচ্ছে ৪টি নতুন লোকাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা থেকে পার্শ্ববর্তী জেলার শহর-শহরতলীতে খুব কম সময়ে, কম খরচে যাতায়াতের মাধ্যম হল লোকাল ট্রেন (New Local Trains )। দৈনন্দিন জীবনে লাখ লাখ মানুষ যাতায়েত করেন এই লোকাল ট্রেনের মাধ্যমেই। খুব কম সময়ে নিজের গন্তব্যে পৌঁছাতে লোকাল ট্রেনকেই আগে পছন্দ করেন সাধারণ মানুষ।

    এক কথায়, শহর কলকাতার লাইফলাইন যেমন হল মেট্রো বা পাতালরেল, ঠিক তেমনই, শহরতলি ও মফস্বলে যাতায়াতের লাইফলাইন হল লোকাল। আর এই লোকালের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল শিলালদা। উত্তর হোক বা দক্ষিণ— প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ শিয়ালদা দিয়ে বিভিন্ন দিকে যাতায়াত করে থাকেন। এবার শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় নিত্য যাত্রীদের জন্য সুখবর প্রকাশ করল পূর্ব রেল। শিয়ালদা থেকে চালু হচ্ছে চারটি নতুন লোকাল ট্রেন। দুটি বজবজ লাইনে এবং দুটি বারুইপুর লাইনে এই নতুন ট্রেনগুলি চলবে বলে জানা গেছে।

    বজবজ লাইনে ট্রেনের সময়

    পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে নতুন টাইম টেবিল প্রকাশিত হয়েছে। এই টাইম টেবিল থেকে জানা গিয়েছে, শিয়ালদা থেকে দক্ষিণ শাখায় মোট চারটি নতুন ট্রেন (New Local Trains) চালানো হবে। আগামিকাল, অর্থাৎ রবিবার ১ অক্টোবর থেকেই এই নতুন ট্রেন চলবে। শিয়ালদা থেকে ৩৪১৬৮ শিয়ালদা-বজবজ লোকাল দুপুর ২টো ৩০ মিনিট ছাড়বে। অপর ট্রেনটি ৩৪১৬৭ বজবজ-শিয়ালদা লোকাল ৩টে ৩৩ মিনিটে বজবজ থেকে ছাড়বে। একটা সময়ে এই ট্রেনটি আগে চললেও পরবর্তীকালে তা তুলে নেওয়া হয়। এর ফলে বর্তমানে দুপুরের এই সময়ে নিত্যযাত্রীদের অনেক সময় ধরে স্টেশনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ভীষণ সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। তবে, সেই সমস্যা আর রইল না। ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে যাত্রীদের ভিড়ের পরিমাণ কম হবে বলে নিত্য যাত্রীদের একাংশের মানুষ জানিয়েছেন। 

    বারুইপুর লাইনে ট্রেনের সময়

    একইভাবে বারুইপুর-শিয়ালদা লাইনে (New Local Trains) বাবদ আরও দুটি লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল। ৩৪৬৫১ বারুইপুর-শিয়াদা লোকাল ট্রেনটি ২টো ৪৪ মিনিট বারুইপুর থেকে ছাড়বে। অন্যদিকে, ৩৪৬৫২ শিয়ালদা-বারুইপুর লোকালটি শিয়ালদা থেকে ১টা ৪৭ মিনিটে ছাড়বে বলে জানা গিয়েছে। বজবজ লাইনের মতে, এই ট্রেনও আগে ছিল। কিন্তু পরে তুলে নেওয়ায় যাত্রীরা যারপরনাই সমস্যায় পড়ছিলেন। এই দুই জোড়া ট্রেন চালানোর কারণে দক্ষিণ শাখায় নিত্য যাত্রীরা অনেকটাই সুস্থির পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন নিত্য যাত্রীদের অধিকাংশ মানুষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: নিম্নচাপের প্রভাব! কলকাতা সহ ১০ জেলায় দিনভর বৃষ্টি, পুজোর আগে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    Weather Update: নিম্নচাপের প্রভাব! কলকাতা সহ ১০ জেলায় দিনভর বৃষ্টি, পুজোর আগে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশ্বিনের মাঝামাঝিও চলছে বৃষ্টি। ফের নিম্নচাপের প্রভাবে শনি ও রবিবার বৃষ্টির আশঙ্কা। শনিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। নিম্নচাপের দরুন এদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই। সারাদিন একই আবহাওয়া থাকার পূর্বাভাস। ১০ টি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। স্বাভাবিকভাবেই পুজোর মুখে উইকেন্ডে কেনাকাটা করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে বহু মানুষ। কিন্তু, বৃষ্টির জন্য বিপাকে পড়তে হয়েছে তাঁদেরও।

    পুজোর বাজারে ক্ষতি

    স্বাভাবিকভাবেই পুজোর মুখে উইকেন্ডে কেনাকাটা করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে বহু মানুষ। কিন্তু, বৃষ্টির জন্য বিপাকে পড়তে হয়েছে তাঁদেরও। সপ্তাহান্তেই মূলত বিকিকিনি হয়। সেক্ষেত্রে প্রায় প্রতি শনি ও রবিবারই বৃষ্টি হচ্ছে। হাতিবাগান-গড়িয়াহাট চত্বরে হকাররা মার খাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুজোর প্যান্ডেল তৈরির কাজও। 

    কেন বৃষ্টিপাত

    মায়ানমার উপকূলে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত বর্তমানে নিম্নচাপের রূপ নিয়েছে। এর অভিমুখ উত্তর ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূল। ফলে শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।এছাড়াও পূর্ব মধ্য আরব সাগরে আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা গোয়া এবং কঙ্কন উপকূলে অবস্থান করছে। তা শক্তি বাড়িয়ে আরও স্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।

    কবে আবহাওয়ার উন্নতি

    শনি ও রবিবার আবহাওয়া একইরকম থাকবে। সোমবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। মঙ্গলবারের পর থেকে বৃষ্টি কমবে। আকাশ পরিষ্কার হবে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৯ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম এবং শনিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৮০ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘মানুষের চাকরি নেই, পুজো কমিটিকে ৭০ হাজার টাকা’’! কড়া মন্তব্য বিচারপতি সিনহার

    কোন কোন জেলায় বৃষ্টি

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির চলতে পারে । উপকূল ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে  উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। রবিবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকবে বীরভূম মুর্শিদাবাদ এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সোম ও মঙ্গলবারেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের এ জেলাগুলিতে।

    উত্তরের পূর্বাভাস

    শনিবার সকালে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার (West Bengal Weather) পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন ওপরের পাঁচ জেলা, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। নিচের তিন জেলা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Amrita Sinha: ‘‘মানুষের চাকরি নেই, পুজো কমিটিকে ৭০ হাজার টাকা’’! কড়া মন্তব্য বিচারপতি সিনহার

    Justice Amrita Sinha: ‘‘মানুষের চাকরি নেই, পুজো কমিটিকে ৭০ হাজার টাকা’’! কড়া মন্তব্য বিচারপতি সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের চাকরি নেই। মানুষ বেতন পাচ্ছেন না। পেনশন পাচ্ছেন না। আর পুজো (Durga Puja 2023) কমিটিগুলিকে বড় টাকা অনুদান দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এটা অবাক করার বিষয়। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চে দুর্গাপুজো সংক্রান্ত একটি মামলা চলাকালীন এই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তাঁর এই মন্তব্যকে স্বাগত জানাল বিরোধীরা।

    কী বলল আদালত

    দুর্গাপুজো করতে চেয়ে তমলুক পুরসভার কাছে অনুমতি চেয়েছিল একটি ক্লাব। অনুমতি দেয়নি পুরসভা। সেই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করে ওই ক্লাব। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, তমলুক পুরসভার অধীনে ক’টা পুজো হয়? রাজ্যের আইনজীবী জানান, ৫০টার মতো পুজো হয়। এর পরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘সব পুজো কমিটি কি ৭০ হাজার টাকা পাবে?’’ রাজ্যের আইনজীবী জানান, সকলে পায় না। যে সব ক্লাব রাজ্যে নথিভুক্ত রয়েছে, শুধু তারা পায়। এরপরই বিচারপতি সিনহা বললেন, “আমি অনেক মামলা শুনেছি, যেখানে মানুষ বেতন, পেনশন, চাকরি পাচ্ছেন না। আর পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে!” এর পরেই বিচারপতি পুজো কমিটির উদ্দেশে বলেন, ‘‘জেলাশাসকের দফতরে পুজো নিয়ে বৈঠকে হবে। সেখানে যান। কী বলেন, দেখুন।’’ তিনি এই প্রশ্নও তোলেন যে, গত বছর ওই পুজোর অনুমিত ছিল। তা হলে এ বছর কেন আটকানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    কী বলছে বিরোধীরা

    বিচারপতির এই মন্তব্যে তাঁর পক্ষ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধীরা। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানাচ্ছি। ঠিক কথাই বলছে আদালত। মূলধনী খাতে ব্যয় অর্ধেক, জেলা হাসপাতালে জীবনদায়ী ওষুধ নেই। কলকাতা হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ওষুধ নেই। রাস্তাঘাট ভাঙা, নতুন শিল্প নেই, সরকারি চাকরি নেই, স্কুলের চাকরি সব বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে শুধু হচ্ছে খেলা। দুর্গাপুজোকে অনুদান দেওয়া। এর কী মানে? ৭০ হাজার টাকা করে যদি ক্লাবগুলোকে দেওয়া না হত, তাহলে কি মা দুর্গা এখানে পৌঁছতেন না হিমালয় থেকে? আসলে এটা মানুষেরও দেখা দরকার, দলমত নির্বিশেষে এই সরকারে টাকা দিয়ে ভোট কেনার প্রচেষ্টা সেটা বন্ধ হওয়া উচিত।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ইডির সহকারী ডিরেক্টরকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: ইডির সহকারী ডিরেক্টরকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির তদন্তে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তদন্তে যুক্ত রয়েছেন ইডির সহকারী ডিরেক্টর মিথিলেশকুমার মিশ্র। শুক্রবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।

    ইডিকে নির্দেশ আদালতের

    আদালত জানিয়েছে, ইডির তদন্তকারী অফিসার মিথিলেশকুমার মিশ্র শুনানিতে হাজির হয়ে যে জবাব দিয়েছেন, তাতে সন্তুষ্ট নয় আদালত। ইডিকে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, অবিলম্বে সব রকম তদন্ত থেকে অব্যাহতি দিতে হবে মিথিলেশকে। তাঁর জায়গায় যোগ্য অফিসারকে বহাল করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে তিনি কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। তিনি ইডিকে জানান, আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকায় মিথিলেশকুমারকে সরিয়ে ৩ অক্টোবর তদন্তে উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করতে হবে।

    ‘তদন্ত করার যোগ্যতাই নেই’

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার। এই সংস্থার সিইও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করেছে ইডি। এই মামলার তদন্তে ছিলেন মিথিলেশ (Calcutta High Court)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। সেই রিপোর্ট দেখে সোমবার বিচারপতি সিনহা বলেছিলেন, “মনে হচ্ছে, ইডির এই ধরনের তদন্ত করার যোগ্যতাই নেই। এই গতিতে তদন্ত করে কি আপনারা আসলে তথ্য লোপাটের সুযোগ করে দিতে চাইছেন? আদালত কিন্তু অন্য কিছুর গন্ধ পাচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    এই মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন মিথিলেশ। এদিন এজলাসে ইডির জমা দেওয়া রিপোর্টের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য জানতে চান বিচারপতি সিনহা। তাঁর প্রশ্ন, “এই ধরনের তদন্ত করার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কি ইডি অফিসারদের আদৌ রয়েছে? আদালতের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। মনে হচ্ছে, আপনারা কিছু গোপন করতে চাইছেন।”

    অভিষেকের সম্পত্তির খতিয়ান দেখে বিচারপতি সিনহা মিথিলেশকে প্রশ্ন করেন, “সম্পত্তির খতিয়ানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাত্র তিনটি বিমা রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। বিমাগুলি কত টাকার, তাও উল্লেখ নেই। উনি একজন সাংসদ। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কোনও উল্লেখ নেই। এসব আপনাদের চোখে পড়েনি?” ইডির আধিকারিক (Calcutta High Court) বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী যে তথ্য দিয়েছেন, সেটাই আদালতে পেশ করা হয়েছে।” এর পরেই ক্ষুব্ধ বিচারপতির প্রশ্ন, “আপনারা কি পোস্ট অফিস? যা দেওয়া হল, সেটাই পাঠিয়ে দিলেন? কীভাবে তদন্ত করতে হয়, আদালতকেই কি সেটা বলে দিতে হবে?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share