Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “আর দু’ দিন সময় দিন…” , হাইকোর্টে আর্জি মলয়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “আর দু’ দিন সময় দিন…” , হাইকোর্টে আর্জি মলয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আর দু দিন সময় দিন..।” বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Gangopadhyay) এমনই আবেদন জানালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি? বদলির ফাইল রাজ্যের আইনমন্ত্রীর কাছে আটকে রয়েছে বলে দাবি। এর পরেই আধ ঘণ্টার মধ্যে আইনমন্ত্রীকে আদালতে তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির তলব পেয়ে পঁচিশ মিনিটের মধ্যেই আদালতে হাজির হয়ে যান মলয়।

    আদালতে মলয়ের বক্তব্য

    আদালতে (Justice Abhijit Gangopadhyay) রাজ্যের আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি ২৫ অগাস্ট থেকে চারদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তারপরে কাজে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত আমাকে সময় দেওয়া হোক। ফাইলে সই হয়ে যাবে।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ব্যাপারটা অন্যভাবে নেবেন না। আপনি আপনার হাইকোর্টে এলেন। আপনার হাসি মুখ দেখলাম। আগে অলিন্দে দেখা হত। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ওই পদে নিয়োগের সময় বাড়ানো হল।”

    রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কী নির্দেশ দিল আদালত?

    এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে আদালতের নির্দেশ, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন কোনও ব্যক্তি এই নিয়োগ তদন্তে যুক্ত সিবিআই এবং ইডির সিটে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ ছাড়া অভিযোগ জানাতে পারবেন না। বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২০১৪ সালের নিয়োগ পরীক্ষার এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছিল কিনা যেখানে মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেটা যাচাই করতে।

    প্রসঙ্গত, কাগজপত্র আইনমন্ত্রীর (Justice Abhijit Gangopadhyay) কাছে থাকায় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি – বিচারবিভাগের সচিবের কাছে এ কথা শোনার পরেই মলয়কে তলব করেছিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: ছিলেন নাইটক্লাবের বাউন্সার! ট্রুডোর বর্ণিল জীবন হার মানায় রুপোলি পর্দার জগতকেও

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সিট গঠন করায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ৪ অক্টোবরের মধ্যে তাঁর পরিবর্তে অন্য বিচারপতি নিয়োগ করার নির্দেশ দেন তিনি। এও জানান, নতুন বিচারক না আসা পর্যন্ত ওই আদালতে স্থগিত থাকবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। তাঁর বদলির নির্দেশ কেন কার্যকর হয়নি, তা জানতে আদালতে জুডিশিয়াল সেক্রেটারিকে তলব করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন! কেন জরিমানা করল সিবিআই আদালত?

    Partha Chatterjee: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন! কেন জরিমানা করল সিবিআই আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত। বুধবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    কেন জামিন খারিজ

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর শুধু জামিনের আর্জি খারিজই নয় তাঁকে এদিন আর্থিক জরিমানাও করা হয়। বার বার একই আবেদন করায় প্রাক্তন মন্ত্রীর উপর এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে এদিন পার্থসহ ১০ জনকে ফের আদালতে পেশ করা হয়। তখন আদালতে পার্থর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী। সওয়ালে তাঁরা বলেন, পার্থবাবুর গ্রেফতারির পর দেড় বছর কাটতে চলেছে। তাঁর কাছ থেকে নতুন করে আর কিছু জানার নেই তদন্তকারীদের। ছ মাস আগে পার্থর বিরুদ্ধে শেষ নথি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তার পর থেকে কার্যত বিনা বিচারে জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছে। একাধিক উপসর্গ রয়েছে তাঁর। যদিও সিবিআই-এর তরফে এদিন ফের জানানো হয়, পার্থর বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তিনি প্রভাবশালীও বটে। জামিন পেয়ে বাইরে এলে তদন্তে প্রভাবিত করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    আর্থিক জরিমানা

    দুপক্ষের সওয়াল শুনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থ ছাড়াও কল্যাণময়, সুবীরেশসহ ১০ জনকে আদালতে পেশ করা হয়। প্রত্যেককে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার করে ইডি। ২৩ জুলাই রাতে গ্রেফতার হওয়ার ১৩ মাস পর জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পার্থ। কিন্তু ইডি সেই জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করে হাই কোর্টে। সম্প্রতি নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা চার্জশিটে অনুমোদন পেয়েছে সিবিআই। এদিন আদালতে সেই চার্জশিটও দেখতে চান পার্থ। কিন্তু তা গ্রাহ্য হয়নি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে ১,০০০ টাকা জরিমান করে আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বদলির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, ইডি এবং সিবিআইয়ের সিটের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ পুলিশ যেন না করে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভির কথা শোনার পরই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। 

    সিবিআই-এর দাবি

    বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভি। তাঁকে তদন্তে দেরি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তখনই শেণভি জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আধিকারিকদের ‘পুলিশি হেনস্থা’র মুখে পড়তে হচ্ছে।  নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তলের করা অভিযোগের ভিত্তিতে যে মামলা হয়, তাতে পুলিশকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই বিশেষ আদালত। আর সেই মামলায় সিবিআই অফিসারদের বারবার নোটিস দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জোড়া নির্দেশ দেন।

    বিচারককে বদলি করতে হবে

    এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমি জানতে পেরেছি, সিবিআই স্পেশাল কোর্টের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় জেলে থাকা এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সিবিআই বিচারকের কোনও ভাবেই হাইকোর্টের অর্ডারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এটি তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ। শুনেছি, বিচারক অপর্ণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তাঁর মাথায় কারও হাত রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।”  তাঁর নির্দেশ, আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বিচারককে বদলি করাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তাঁর এই নির্দেশ পালন হল কি না, তা জানিয়ে রিপোর্টও দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘ওই পদটি এখন ফাঁকা রয়েছে। ওই বিচারক অন্তর্বর্তী দায়িত্বে রয়েছেন। তাই ওই পদটিতে ৪ অক্টোবরের মধ্যে নতুন বিচারককে বসাতে হবে। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, বিচারক চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতির আর কোনও মামলা শুনতে পারবে না।’’

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    পুলিশকে কড়া নির্দেশ

    সিটের আধিকারিকদের ‘পুলিশি হেনস্থা’ মুখে পড়ার অভিযোগ শুনে বিচারপতির (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ, সিটের কোনও আধিকারিককে আর হয়রানি করতে পারবে না কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের মুখ্যসচিবের মাধ্যমে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরেও আনতে চান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওঁদের (সিবিআই সিটের আধিকারিকদের) যেন টাচ (ছোঁয়া) না করা হয়। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপোস নয়।’’ কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, তারা সিটের কোনও আধিকারিককে আর হয়রানি করতে পারবে না। আদালতের এই নির্দেশ না মানলে পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Group D Agitation: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই গেল চাকরি প্রার্থীদের মিছিল, একসঙ্গে হাঁটলেন শুভেন্দু, কৌস্তুভ

    Group D Agitation: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই গেল চাকরি প্রার্থীদের মিছিল, একসঙ্গে হাঁটলেন শুভেন্দু, কৌস্তুভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছিল রাজ্য সরকারের আবেদন। তাই পূর্ব নির্ধারিত রাস্তায় মিছিল করতে বাধা ছিল না গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের (Group D Agitation)। বুধবার ক্যামাক স্ট্রিট দিয়েই গেল তাঁদের মিছিল। এই রাস্তায়ই রয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। তার সামনে দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে যায় মিছিল।

    শুভেন্দু-কৌস্তুভে জল্পনা

    মিছিলের সামনে সারিতে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন কংগ্রেস নেতা পেশায় আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচিও। বিজেপির শুভেন্দুর সঙ্গে কংগ্রেসের কৌস্তুভের পা মেলানোর কারণ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে এদিন দিনভর মজে রইল রাজ্যরাজনীতি। এদিন মিছিলে পা মিলিয়েই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন (Group D Agitation) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “এঁরা পরীক্ষায় পাশ করার পরেও এঁদের চাকরি না দিয়ে সেই চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে লড়ে এঁদের মিছিল করতে হয়েছে। আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সরকার ও সরকারি দলের দ্বারা যাঁরাই অত্যাচারিত, তাঁদের সঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির মনোনীত বিরোধী দলনেতা থাকবে। ক্যামাক স্ট্রিট থেকে নিজাম প্যালেস পর্যন্ত হেঁটে এঁদের দাবিকে সমর্থন করলাম। আগামী তিন তারিখে এঁদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমার সভা হবে কলকাতায়। আইনি লড়াই করে এঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে রাজ্যের (Group D Agitation) বিরোধী দলনেতা অঙ্গীকারবদ্ধ।”

    মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে ছুটি কাটাতে যান আর রাজ্যের ১০টি সংগঠনের ব্যানারে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বছরের পর বছর চাকরির দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন করেন। তাই নৈতিক সমর্থন জানাতেই এই মিছিলে অংশ নিয়েছি।” বিজেপি নেতা শুভেন্দুর সঙ্গে মিছিলে শামিল হওয়া প্রসঙ্গে কৌস্তুভ বলেন, “এখানে কংগ্রেসের পতাকা নেই, বিজেপিরও কোনও পতাকা নেই। তাই এখানে না হাঁটার কোনও কারণ নেই। আমি ব্যক্তি কৌস্তুভ বাগচি হিসেবে, আইনজীবী হিসেবে এখানে এসেছি। তাই এটা নিয়ে আলাদা করে জল্পনা করার কিছু নেই।” এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “এটা অরাজনৈতিক আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা (Group D Agitation) কাকে মিছিলে ডাকবেন, সেটা ওঁদের ব্যাপার। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাঁদের মধ্যে কৌস্তুভ বাগচি একজন। আজ মিছিলের জন্য আদালত থেকে যে অনুমতি মিলেছে, তার নেপথ্যেও কৌস্তুভের অবদান রয়েছে। তাই এক সঙ্গে হাঁটতে আপত্তি নেই।”

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কনস্টেবল নিয়োগে অনিয়ম! বাতিল নতুন প্যানেল, পুরনো তালিকাকে মান্যতা হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: কনস্টেবল নিয়োগে অনিয়ম! বাতিল নতুন প্যানেল, পুরনো তালিকাকে মান্যতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই এবার কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার (Recruitment Scam) অস্বচ্ছতা সামনে এল রাজ্যে। এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বুধবার এবং সেই মামলায় প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের রাজ্যজুড়ে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হয়েছিল লিখিত পরীক্ষা। এরপর পরীক্ষার পরে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ৪০২ জনের একটি প্যানেল প্রকাশিত হয় এবং এটি প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড।

    মামলাকারীদের দাবি

    মামলাকারীদের দাবি এক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে। যেমন কিছু পরীক্ষার্থীর হোয়াটসঅ্যাপেই ইন্টারভিউ এর আগে পৌঁছে যায় গোপন খবর। এখানে বলা হতে থাকে ইন্টারভিউ বোর্ডে কারা থাকবেন, কারা প্রশ্ন করবেন সেই তথ্য নাকি জানতে পেরেছিলেন কিছু পরীক্ষার্থী। আবার মেধা তালিকা প্রকাশের পরেও অনেক অনিয়ম সামনে আসে। সেই অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই পদের কিছু চাকরি প্রার্থী। এ ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় যাঁরা সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থী নয় তাঁদের জন্য আলাদা তালিকা বানাতে হবে। সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল যে লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেলেও ইন্টারভিউ তে আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে যায় কিছু প্রার্থীর নম্বর।

    প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ

    এরপরে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার (Recruitment Scam) পুরো প্যানেল খারিজ করার নির্দেশ দেয় স্টেট ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীকালে তাদের নির্দেশেই পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড নতুন তালিকা প্রকাশ করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেখানে পুরনো তালিকা থেকে ১৩৭ জনকে বাদ দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ২১৭ জন চাকরিতে যোগ দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলেও জানান অ্যাডভোকেট জেনারেল। প্রধান বিচারপতি টিসএস শিবজ্ঞানম এদিন নির্দেশ দিয়েছেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড যে প্যানেল প্রকাশ করেছিল, সেটাই অপরিবর্তিত থাকবে। এর পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালে নির্দেশে প্রকাশ করা প্যানেল খারিজ করার (Recruitment Scam) নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Dengue Situation: রাজ্যে কি অতিমারির রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গি? অনলাইন ক্লাসের ভাবনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    Dengue Situation: রাজ্যে কি অতিমারির রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গি? অনলাইন ক্লাসের ভাবনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অনলাইন ক্লাসের তোড়জোড় শুরু রাজ্যে। তবে এবার কারণ করোনা নয় বরং ডেঙ্গি (Dengue Situation)। রাজ্য প্রশাসন যতই ডেঙ্গি নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটুক এবং পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক দেখানোর চেষ্টা করুক, আদতে যে বাস্তব পরিস্থিতি অন্যকিছু তা বোঝা গেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যের বক্তব্যে। বুদ্ধদেব সাউয়ের বক্তব্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ৯ জন পড়ুয়ার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাঁদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে অনলাইনে ক্লাস করানোর চিন্তাভাবনা চলছে। লকডাউন পরবর্তীকালে এই প্রথম এমন চিত্র দেখা গেল রাজ্যে। প্রতিনিয়ত কলকাতা সমেত রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ব্যাপক ভাবে বাড়ছে ডেঙ্গি। অজানা জ্বর নিয়ে (Dengue Situation) বহু মানুষকে ভর্তি হতে দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে।

    যাদবপুরের এক পড়ুয়ার মৃত্যু, অতিমারির রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গি? 

    জানা যাচ্ছে, গত এক সপ্তাহে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ৩০ জন আবাসিক ডেঙ্গিতে (Dengue Situation) আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে দেখাও করেছেন শতাধিক পড়ুয়া। পরিসংখ্যান বলছে একজন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। অর্থাৎ যতই কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে হালকা করার চেষ্টা করুন, কিন্তু যেভাবে ডেঙ্গি বাড়ছে তাতে খুব অচিরেই কি তা অতিমারির রূপ নিতে চলেছে এমনই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

    ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গি (Dengue Situation) 

    পরিসংখ্যান বলছে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুধুমাত্র কলকাতাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আছে ৪,৪২৭ জন। ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। গত ১১ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এর এক পড়ুয়ারও মৃত্যু হয়েছে। এরপরেও ডেঙ্গি (Dengue Situation) পরিস্থিতিকে হালকা ভাবে কেন দেখাতে চাইছে রাজ্য সরকার? সেই প্রশ্নই বারংবার উঠছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ দিচ্ছেন জ্বর এলে অতিসত্ত্বর নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার। বাড়ির আশে পাশে জমা জল আবর্জনা যথা সম্ভব পরিষ্কার রাখতে বলছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম! কলেজ সার্ভিস কমিশনের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম! কলেজ সার্ভিস কমিশনের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের পর এবার কলেজ। ২০২০ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার হলফনামা তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩ অক্টোবরের মধ্যে ওই হলফনামা জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ আদালতের।

    ‘মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত’

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, “স্বচ্ছতার প্রশ্নে প্রবেশনারি মেরিট প্যানেল নম্বর বিভাজন সহ প্রকাশ করা উচিত। কলেজ সার্ভিসের মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত।” কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “একজন চেয়ারম্যান সুবীরেশ এখন জেলে, পারলে একটু মনে করিয়ে দেবেন, দুর্নীতিতে নিমজ্জিতরা আপনাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কাজ সারে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও দুর্নীতির কারণে জেলে রয়েছেন।”

     কী অভিযোগ করেছেন মামলাকারী? 

    মোনালিসা ঘোষ নামে এক মামলাকারীর অভিযোগ, ২০২৩ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে যে প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে শুধু প্রার্থীদের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ করা হলেও, নম্বর প্রকাশ করা হয়নি। তালিকায় কোনও নম্বর বিভাজনও ছিল না। তাই ঠিক কীসের ভিত্তিতে তিনি বাদ পড়লেন, সেটা জানতে পারেননি বলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মোনালিসা। তাঁর দাবি, স্বচ্ছতা আনতে প্যানেলে নম্বর প্রকাশ করতে হবে।

    কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবী জানান, মেধা তালিকা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম নেই। তাই সেরকম কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এর পরেই বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “স্বচ্ছতার প্রশ্নে প্রবেশনারি মেরিট প্যানেল নম্বর বিভাজন সহ প্রকাশ করা উচিত। কলেজ সার্ভিসের মূল্যায়ন স্বচ্ছ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল কলেজ সার্ভিস কমিশনের। প্যানেল প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালে। মঙ্গলবার শুনানি ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। কমিশনের আইনজীবীর কাছে তিনি জানতে চান, কীসের ভিত্তিতে প্যানেল প্রকাশ করা হয়। কমিশনের আইনজীবী জানান, প্রাপ্ত নম্বর, গবেষণাপত্র সহ বেশ কিছু নথি দেখেই প্যানেলে নাম ওঠে। এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “চেয়ারম্যান নিজে কটি পেপার জমা দিয়েছেন, ওঁকে জিজ্ঞেস করতে চাই। নম্বর প্রকাশ করলে সমস্যা কোথায়?” কলেজ সার্ভিস কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান দীপক কর। আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, অবাক হয়েছি কলেজ সার্ভিস আইনে প্যানেলের কোনও সংজ্ঞা বলা নেই বলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
     
  • CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা ফাটাল সিবিআই! নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ৩৫টি ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, প্রতিটি ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লিতে সিবিআইয়ের ফরেন্সিক বিভাগের সহযোগিতায় অ্যাকাউন্টগুলির অডিট চলছে। অডিট শেষ হলে আসল সুবিধাভোগীদের নাম সামনে আসবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।

    সিবিআইয়ের স্ক্যানারে কারা?

    জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে ‘অনন্ত টেক্স ফ্যাব’ থেকে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সহ একাধিক সংস্থা। পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে ছিল এই কোম্পানি। ওই সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্যও চলে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে (CBI)। নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা সেখানেও খেটেছে বলে অনুমান সিবিআইয়ের।

    কালো টাকা সাদা করতে ভুয়ো সংস্থা!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ভুয়ো সংস্থাগুলি তৈরি করা হয় বিভিন্ন সময়। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লেনদেন হয় কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করতে এই অ্যাকাউন্টগুলিই ব্যবহার করা হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। ফরেন্সিক অডিটের রিপোর্ট হাতে পেলেই মাথারা সামনে চলে আসবে বলে অনুমান সিবিআইয়ের। এই ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমে কোথায়, কীভাবে এবং কাদের কাছে টাকা গিয়েছে, সেই মানি ট্রেল রাখা এবং পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্যই ফরেন্সিক অডিট করানোর সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। এর পাশাপাশি ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছেও সাহায্য চেয়েছে সিবিআই (CBI)। যেসব সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেসবই চলে আসবে এই অডিটের আওতায়।

    আরও পড়ুুন: চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যাবে অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    এদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়ও তৎপর হয়েছে সিবিআই। এই নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট পরীক্ষা করেছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এই কোম্পানিরই বিভিন্ন ঠিকানায় চলছে তল্লাশি। হাওড়ার দাশনগর ও জগাছায় এদিন তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সংস্থার দুই অংশীদার পার্থ সেন ও কৌশিক মাজির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ভর্ৎসিত হন ইডি-সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহাও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই রাতারাতি তৎপর হয়ে উঠেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক দিনেই দুই জেলার স্কুল পরিদর্শককে অপসারণের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। মুর্শিদাবাদের স্কুল শিক্ষিকা নিজের সন্তানের অসুস্থের কথা বার বার জানালেও, স্কুল পরিদর্শক বদলির অনুমতি দেননি। এই অমানবিক আচরণের অভিযোগে বিচারপতি দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিলেন। সেই সঙ্গে শিক্ষিকাকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিজের বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। অপর দিকে হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে অপসারণের নির্দেশ পেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিআই।

    মূল অভিযোগ কী (Justice Abhijit Gangopadhyay)?

    মুর্শিদাবাদের বালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বানানী ঘোষের সন্তান এক বিরল রোগে আক্রান্ত। তাঁর বাড়ি হল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। তাঁকে রোজ বাড়ি থেকে ১২৪ কিলোমিটার যাতায়েত করতে হতো। তাঁর সন্তান সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ডও ক্ষতিগ্রস্ত। ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। সমস্যার কথা জানিয়ে, স্কুল পরিদর্শকের কাছে স্কুল বদলির জন্য বারবার আবেদন করেন শিক্ষিকা। কিন্তু স্কুল পরিদর্শ, শিক্ষিকার আবেদন এবং সমস্যার কথায় কর্ণপাত করছিলেন না। অবশেষে নিরুপায় হয়ে হাইকোর্টে মামলা (Justice Abhijit Gangopadhyay) করেন শিক্ষিকা। 

    অপরে দক্ষিণ ২৪ পরগণার রবীন্দ্র হালদার নামক এক শিক্ষকের মৃত্যু হয় ২০১৯ সালে। তাঁর প্রথম স্ত্রী কুসুম হালদার এবং দ্বিতীয় স্ত্রী সুজাতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় স্ত্রীর বিবাহকে নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। মামালা গড়ায় কোর্ট পর্যন্ত। অবশেষে দ্বিতীয় বিবাহ অবৈধ বলে কোর্ট রায় দেন। এইদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীকে পেনশেনের টাকা পাওয়ার অনুমোদন দেন ডিআই সুজিত হাইত। এরপর মামলা কোর্টে গেলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ডিআই কীভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীকে পেনশেনের টাকা নেওয়ার অনুমতি দিলেন! তিনি কি জমিদার! আজ থেকে আর পদে থাকার দরকার নেই।”

    বিচারপতির নির্দেশ

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) মুর্শিদাবাদের এই স্কুল পরিদর্শককে অত্যন্ত অমানবিক বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে পরিদর্শক হাইকোর্টে ভুল তথ্য পরিবেশন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। বিচারপতি স্কুল সংক্রান্ত বিষয়ে হলফনামা দিতে বললেন। কিন্তু সেখানেও পরিদর্শক তথ্যের ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দিয়েছেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণে জানান যে শিক্ষিকার বদলি আটকানোর পিছনে সঠিক কারণ দিতে পারেননি পরিদর্শক। বিচারপতি খুব স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “সত্যই এটি বিরল রোগ। এই রোগের কথা আমি জানি। সব থেকে অবাক করার কথা হলে সব জেনেও পরিদর্শক কেন বদলির বিরোধিতা করলেন।” এরপর অভিযুক্ত পরিদর্শককে দুই সপ্তাহের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মামালাকারী শিক্ষিকাকে নিজের বাড়ির কাছে কোনও স্কুলে বদলি করার নির্দেশ দেন।

    মামালাকারী শিক্ষিকার বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদের স্কুল মামালারীর শিক্ষিকা বলেন, “আমার বার বার আবেদন করেও সমস্যার সমাধান হয়নি। আদালতের নির্দেশকে (Justice Abhijit Gangopadhyay) নিয়েও গড়মসি হতে পারে। শিক্ষা দফতরের কাছে আমার আবেদন দ্রুত আদালতের নির্দেশকে কার্যকর করা হোক”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যেতে নেই বাধা, রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যেতে নেই বাধা, রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মুখ পুড়ল রাজ্যের। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত খারিজ করে দিলেন রাজ্যের আর্জি। আদালত জানিয়ে দিল, ক্যামাক স্ট্রিট দিয়েই যাবে গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীদের মিছিল।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ 

    বিচারপতি সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, “ক্যামাক স্ট্রিটে কোনও স্কুল নেই। এটা কোনও ধর্না কর্মসূচিও নয়। একটা মিছিল রাস্তা দিয়ে চলে যাবে।” তিনি বলেন, “ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিল হলে অসুবিধা কোথায়? আপনাদের আবেদন মতো কালীঘাট এলাকায় অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার পরে নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না আদালত।” তিনি বলেন, “ওই এলাকায় চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল থামবে না এটা বলতে পারি। কিন্তু মিছিল হবেই।” আদালতের নির্দেশ, চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলের জন্য স্পেশাল চ্যানেল করতে হবে। স্কুল পড়ুয়ারা যাতে আটকে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

    ক্যামাক স্ট্রিটেই অভিষেকের অফিস 

    এই ক্যামাক স্ট্রিটে রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সেই কারণেই ওই এলাকায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল খারিজের আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি বলেন, “পুলিশের আবেদন মেনেই আমরা কালীঘাট এলাকায় মিছিল করিনি। পরে রুট বদল করা হয়। আদালতের অনুমতি নিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটে মিছিলের প্রস্তুতি করেছিলাম। শেষ মুহূর্তে স্কুল পড়ুয়াদের কথা বলে অজুহাত দেখাচ্ছে রাজ্য। কোনও একজনের (অভিষেকের) অফিস রয়েছে ওই এলাকায়। তাঁর অসুবিধার কারণেই কী আদালতে আপত্তি জানায় রাজ্য? আদালত (Calcutta High Court) রাজ্যের আবেদনে আমল দেয়নি। শান্তুপূর্ণভাবেই আমরা মিছিল করব।”

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের চাকরি বিলি, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়োগপত্র নিলেন ৫১ হাজার জন

    মিছিল নিয়ে পুলিশের আপত্তি প্রসঙ্গে আদালত জানায়, এ নিয়ে বেশি বিতর্ক করলে এরপর মামলাকারীরা একুশে জুলাইয়ের কথা বলবে। এর থেকে অনেক বেশি মানুষের হেনস্থার অভিযোগ তুলবে। এখানে তো মাত্র কয়েকশো লোক মিছিল করবে। বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “মিছিল যাতে ওই জায়গা দিয়ে দ্রুত যেতে পারে আপনারা সেই ব্যবস্থা করুন।” প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ৫ হাজার ৪২২ জন গ্রুপ ডি নিয়োগের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। নিয়োগ না হওয়ায় প্রতিবাদ মিছিলের সিদ্ধান্ত (Calcutta High Court) নিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share