Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Justice Abhijit Ganguly: হাসপাতালে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    Justice Abhijit Ganguly: হাসপাতালে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বজ্রকঠিন মানুষটির ভেতরেই লুকিয়েছিল নরম মনের একটি মানুষ। এতদিন সেই মানুষটির হদিশ পাননি রাজ্যবাসী।  দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly) হিসেবে যাঁকে চেনেন পশ্চিমবঙ্গবাসী, সেই তিনিই ধরে রাখতে পারলেন না আবেগের রাশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক ছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললেন শিশুর মতো। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার দৌলতে রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশ যাঁকে চিনে গিয়েছে।

    দুর্ঘটনার কবলে মেধাবী ছাত্রী

    হুগলির চাঁপদানির বিএম রোডে বাড়ি সুনীতা বর্মার। মহাদেবানন্দ কলেজের প্রথম সেমেস্টারের ছাত্রী তিনি। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা দিতে কলেজে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। পলতা স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন ওই ছাত্রী। ট্রেন চলে এলে ভিড়ের ধাক্কায় স্টেশন আর ট্রেনের মাঝে পা আটকে যায় তাঁর। তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয় ওই কলেজ ছাত্রীকে। তবে ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। প্রাণে বাঁচলেও, তাঁর দুটি পা-ই কেটে বাদ দিয়ে দেন আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

    হাসপাতালে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় 

    সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে খবরটি জানতে পারেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। সোমবার মেধাবী ওই ছাত্রীকে দেখতে হাইকোর্ট থেকে সোজা হাসপাতালে চলে যান তিনি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলেন ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গেও। সুনীতার বাবা নেই। মা ও ভাইকে নিয়েই সংসার তাঁর। সেই সুনীতারই দুটি পা খোয়া যাওয়ায় অথৈ জলে বর্মা পরিবার। এদিন হাসপাতালের সুপারের সঙ্গেও কথা বলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের।

    আরও পড়ুুন: ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিবাদই কাল হল বাবুলের, ডানা ছাঁটা হল ‘বহিরাগত’ গায়কের

    তখনই ছাত্রীটির বিষয়ে বলতে গিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠেন আপাত লৌহকঠিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ধরা গলায় বলেন, “ছাত্রীটি ভাল আছেন। ওই ছাত্রীর পাশে আমরা সবাই রয়েছি। সব রকম সাহায্য করব। কৃত্রিমভাবে পা লাগানো যায় কিনা চিকিৎসকদের কাছে আবেদন করেছি।” তিনি (Justice Abhijit Ganguly) বলেন, “এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানবিক। তিনিও নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Babul Supriya: ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিবাদই কাল হল বাবুলের, ডানা ছাঁটা হল ‘বহিরাগত’ গায়কের 

    Babul Supriya: ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বিবাদই কাল হল বাবুলের, ডানা ছাঁটা হল ‘বহিরাগত’ গায়কের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ১০ মাস পরে। এর ঠিক এক বছর এক মাস পরে বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriya) ডানা ছেঁটে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! গত বছর অগাস্টে মমতার মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়ে বাবুল বলেছিলেন, “দিশা খুঁজে পেলাম।” সপ্তাহের প্রথম দিনই মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব কমে যাওয়ার পর এদিন সন্ধে পর্যন্ত অবশ্য তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    খর্ব করা হল বাবুলের ক্ষমতা

    গায়ক ইন্দ্রনীল সেনকে গুরুত্ব দিয়ে দেওয়া হল পর্যটন দফতরের দায়িত্ব। বেশ কয়েক মাস ধরে এই দফতরের দায়িত্বে ছিলেন বিজেপি ফেরতা বাবুল। দিন কয়েক আগে বাবুল-ইন্দ্রনীলের কথা কাটাকাটির জেরে বাবুলের ক্ষমতা খর্বের এই সিদ্ধান্ত বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। ইন্দ্রনীলকে গুরুত্ব দিলেও বাবুলকে দেওয়া হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি ও অচিরাচরিত শক্তি দফতরের দায়িত্ব।

    “দিদিকে বল…”

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের সামনে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন গায়ক-রাজনীতিক তৃণমূলের দুই মন্ত্রী। বাবুল চড়া সুরে বলেছিলেন, “তুমি কেন কাজ আটকে রেখেছ?” মমতা ঘনিষ্ঠ ইন্দ্রনীলের সপাট জবাব ছিল, “যা বলার দিদিকে গিয়ে বল…।” বাবুল দিদিকে বলেছিলেন কিনা জানা না গেলেও, এটা বোঝা গিয়েছিল দুই গায়ক-মন্ত্রীর বিবাদের জল গড়াবে অনেক দূর। শেষমেশ হলও তাই। ‘বহিরাগত’ বাবুলের (Babul Supriya) ডানা ছেঁটে ‘ঘরের ছেলে’ ইন্দ্রনীলের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগে পার্থর সরাসরি ভূমিকা ছিল! হাইকোর্টে দাবি সিবিআইয়ের

    ইন্দ্রনীলের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব বাড়িয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং প্রদীপ মজুমদারেরও। বন দফতরের পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়কে দেওয়া হয়েছে শিল্প পুনর্গঠন দফতরের দায়িত্বও। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সমবায় দফতর সামলাতে বলা হয়েছে। সমবায় দফতর থেকে অরুপ রায়কে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের। এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মন্ত্রিসভার রদবদলের সিদ্ধান্তে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অনুমোদন দিয়েছেন।”

    বিজেপি ফেরতা বাবুলকে নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ ধুমায়িত হচ্ছিল প্রথম থেকেই। বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে বাবুলকে (Babul Supriya) প্রার্থী করা হলে তৃণমূলের তারকা-রাজনীতিক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “উড়ে এসে জুড়ে বসা নেতাদের পদ না ধরিয়ে আগে দলের হয়ে খাটানো উচিত।”

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বাবুলের ডানা ছেঁটে কি সেই ইঙ্গিতই দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমোও?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগে পার্থর সরাসরি ভূমিকা ছিল! হাইকোর্টে দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগে পার্থর সরাসরি ভূমিকা ছিল! হাইকোর্টে দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগে (Recruitment Scam) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সরাসরি ভূমিকা ছিল। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এমনই দাবি সিবিআইয়ের। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) মানিক ভট্টাচার্যেরও সরাসরি যোগ ছিল বলে জানালেন নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নিযুক্ত আধিকারিকরা। নানা সময়ে মানিক যে পার্থর চেম্বারে যেতেন সেই তথ্যও হাতে রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতার নাম কেলেঙ্কারিতে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাওয়ায় বিপাকে রাজ্যের শাসক দল।

    দুর্নীতির পর্দা ফাঁসের দাবি সিবিআইয়ের 

    প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার সমান দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হবে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। ২২ বছর আগে এই দিনেই আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আত্মঘাতী বিমান হানা চালিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন আলকায়দা। সোমবার সেই ধরনের দুর্নীতির পর্দা ফাঁসের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সিবিআই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ এবং মানিকের সরাসরি যুক্ত থাকার কথা জানায়।

    ফের শুনানি মঙ্গলবার 

    এদিন শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য এ কথা জানান। সিবিআইয়ের আরও দাবি, নিয়োগ মামলার (Recruitment Scam) অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিজের সেক্রেটারিকে দিয়ে ডিলিট করতে বাধ্য করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এই তথ্য ডিলিট করার জন্য ভয় দেখানো হয়েছিল তাঁকে। এই মামলার শুনানি হবে মঙ্গলবার। এক আইনজীবীর মৃত্যুতে এদিন কর্মবিরতি ঘোষণা করেন আইনজীবীরা। তাই শুনানি আর এগোয়নি। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “আজকের দিনটা কেবল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ধ্বংসের দিন নয়, স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগোয় বক্তৃতা দিয়েছিলেন এই দিনেই। আদালতের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বৃহত্তর মানুষ। তাই সিবিআই চাইছে দ্রুত দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জনমানবের সামনে নিয়ে আসতে। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আমরা মঙ্গলবার আদালতে পেশ করব।” 

    আরও পড়ুুন: “অভিষেক আলালের ঘরের দুলাল নন যে ইডি তাঁর মতামত নিয়ে ডাকবে”, তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনে গ্রুপ সি নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতেও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এসপি সিনহা, অশোক সরকার, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দিয়ে যাবতীয় অনিয়ম করিয়েছিলেন তিনিই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ৪ চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করতে চায় সিবিআই

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ৪ চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় চারজন চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করানোর অনুমতি চাইল সিবিআই। আলিপুর আদালতে এই মর্মে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে আদালতে আগেই সিবিআই-এর সামনে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এই ৪ জন। এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতিতে কোনও চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চাইছে সিবিআই (CBI)। 

    কেন চাকরিপ্রার্থীদের গোপন জবানবন্দি

    সিবিআই সূত্রের খবর, টাকা দিয়ে সরকারি চাকরি পেতে চেয়েছিলেন যাঁরা, এ বার তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করাতে চায় সিবিআই। যে চার চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা আদালতকে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি, তাদের সঙ্গে অবশ্য আগেও কথা বলেছে সিবিআই আধিকারিকরা। এঁদেরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ঘুর পথে চাকরি পেতে কী পদ্ধতিতে টাকা দিতে হয়েছিল তাঁদের? কোথা থেকে কী ভাবেই বা জেনেছিলেন এ ব্যাপারে? কারা এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখতেন তাঁদের সঙ্গে? সূত্রের খবর, আদালত যদি সিবিআইয়ের গোপন জবানবন্দির আবেদন মঞ্জুর করে, তবে ওই চাকরিপ্রার্থীদের এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আবার জানাতে হতে পারে ম্যাজিস্ট্রের সামনে। তবে এর পাশাপাশি অন্য প্রশ্নেরও উত্তর দিতে হতে পারে। তবে যেহেতু এই প্রথম নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআই এই চাকরিপ্রার্থীদের গোপন জবানবন্দির আবেদন করেছে, তাই তাঁদের বক্তব্য এবং তা থেকে কী তথ্য উঠে আসতে পারে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

    দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে চায় সিবিআই

    প্রথম দিকে তা কেবল শাসকদলের হেভিওয়েটের দিকে ফোকাসড থাকলেও, এখন সেই পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরাও। কে বা কারা এই দুর্নীতির (Recruitment Scam) শিকার হয়েছেন, বা কারা এই দুর্নীতিতে সামিল হয়েছেন, সবেতেই কড়া নজর দিয়েছে সিবিআই। এর আগে গত ৭ অগস্ট টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া চার অযোগ্য শিক্ষককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে তলব করেছিল সিবিআই। এবার চার চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার পথে সিবিআই।

  • BJP: পুজো উদ্বোধনে তৃণমূলকে টক্কর দিতে প্রস্তুত বিজেপি, আসতে পারেন অমিত শাহ

    BJP: পুজো উদ্বোধনে তৃণমূলকে টক্কর দিতে প্রস্তুত বিজেপি, আসতে পারেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর উদ্বোধনেও শাসকদলকে এক ইঞ্চি মাটি ছাড়তে প্রস্তুত নয় বিজেপি (BJP)। ২০১৯ সালের পর ফের পুজো উদ্বোধনে রাজ্যে পা রাখতে চলেছেন অমিত শাহ। প্রসঙ্গত কলকাতার বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো বলে পরিচিত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এবছরের থিম হল রাম মন্দির। জানা গিয়েছে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধন করতে আসতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অন্যদিকে বালুরঘাটের একটি পুজো মণ্ডপেও রাম মন্দির থিম করা হয়েছে। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের লোকসভা কেন্দ্রের এই পুজোর উদ্বোধনও করতে পারেন অমিত শাহ।

    তৃণমূলকে পুজো উদ্বোধনে টক্কর দিতে প্রস্তুত বিজেপি (BJP)

    পুজোর ময়দানে তৃণমূল নেতাদের টক্কর দিতেই এ বছরে কোমর বেঁধে নেমেছে গেরুয়া শিবির (BJP)। তৃণমূলের নেতামন্ত্রীদের জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুর্গাপুজো করতে দেখা যায়। এবার সেখানে ভাগ বসাতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিজেপি। জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরের থিম শুধু কলকাতা বা বালুরঘাটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। সারা রাজ্যেই বিজেপি (BJP) প্রভাবিত পুজোগুলোতেও এবার দেখা যাবে অযোধ্যার রাম মন্দির। ব্লকে ব্লকে এমন পুজো করতে উদ্যোগী হয়েছে গেরুয়া শিবির (BJP)। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে অযোধ্যার মন্দির কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। তার আগে রাম মন্দিরের আদলে বাংলাতে পুজোর পরিকল্পনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    উত্তর কলকাতার ১৪টি পুজো কমিটির সঙ্গে কথা গেরুয়া শিবিরের (BJP)

    সাধারণভাবে সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে বিগত বছরগুলিতে দুর্গাপুজো করতে দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। কিন্তু ব্লকে ব্লকে দলীয় উদ্যোগে দুর্গাপুজো এই প্রথমবার হয়তো দেখা যাবে। কলকাতায় পুজো দেখার আনন্দে সারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সমাগম হয়। তিলোত্তমায় রাজপথে পুজোর রাতগুলিতে ভিড় সরিয়ে হাঁটা কঠিন হয়ে পড়ে। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতার ১৪টি পুজো কমিটির সঙ্গে ইতিমধ্যে কথা হয়েছে। সম্প্রতি নিউ মার্কেট থানা এলাকায় খুঁটিপুজো করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। জানা গিয়েছে শুধু দুর্গাপুজো নয় ১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থীতেও বিভিন্ন বিজেপি নেতাদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘সংবিধানকে অসম্মান করা হচ্ছে’’! রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তোপ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ‘‘সংবিধানকে অসম্মান করা হচ্ছে’’! রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তোপ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মন্ত্রীদের বোঝা উচিত কোন ভাষার প্রয়োগ করলে দেশের সংবিধানকে অশ্রদ্ধা করা হয়।  পত্র–রহস্য নিয়ে জল্পনার মধ্যেই এই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত এখন চরমে। রাজ্যপালকে আক্রমণ করতে গিয়ে শব্দবন্ধের শালীনতা অতিক্রম করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর আক্রমণে উঠে এসেছে ‘রক্তচোষা রাক্ষসের’ মতো শব্দবন্ধও। রাজ্যের মন্ত্রীদের এহেন আক্রমণকে ভালো চোখে দেখছেন না রাজ্যপাল। শালীনতা বজায় রেখে সংবিধানকে সম্মান জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

    কী বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “মন্ত্রীদের বোঝা উচিত যে এরকম আক্রমণে ভারতের সংবিধানের অসম্মান হচ্ছে। তাঁরা তাঁদের মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের এসবের জন্য দায়ী করছেন। তাঁরা যখন সাংবিধানিক প্রধান সম্পর্কে অসংসদীয় মন্তব্য করেন, তখন তাঁরা মন্ত্রী পরিষদে তাঁদের দলের নেতাকেও অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।” রাজ্যপালের ‘গোপন চিঠি’ নিয়ে গুঞ্জন সর্বত্র।  গুঞ্জন শুরু হয়েছে, রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের কাছে কড়া নালিশ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের কাছে নালিশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ থেকে একাধিক বিলে স্বাক্ষর না করার জেরে দূরত্ব বেড়েছে। 

    আরও পড়ুুন: মোদির সঙ্গে সেলফি তুললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ‘জি২০ সম্মেলন সফল’, জানালেন আলবানিজ

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রীর বাদানুবাদ অন্যমাত্রা নিয়েছে গত কয়েকদিনে। রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে উপাচার্য নিয়োগ। মর্জি মতো রাজ্যপাল তথা আচার্য একের পর এক অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করে যাচ্ছেন বলে আক্রমণ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। রাজ্যপালের উত্তর, একাধিক মামলায় সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের ধারণা বলবৎ করা প্রয়োজনীয়। কিছু রাষ্ট্রীয় আইন থাকতে পারে যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসনে হস্তক্ষেপ বা হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা বা কর্তৃত্ব রাজ্য সরকারকে দেয়। তবে হস্তক্ষেপের নামে কোনও রাজ্য সরকার আর্থিক ফান্ডিং বন্ধ করলে সেটা অসাংবিধানিক। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে অনুমোদন এসেছে, সেটা বিচার করেই অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    Krishna Nagar: কৃষ্ণনগরের সাজ শিল্পীদের অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দিচ্ছে আসাম, ত্রিপুরা, উত্তর প্রদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। আগমনী দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় খুঁটিপুজো থেকে শুরু করে, শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর প্রস্তুতি পর্ব। উৎসবের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্গা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সাজ শিল্পীদের কারখানায়। এই বছরের কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) সাজ শিল্পীদের তৈরি করা প্রতিমার অঙ্গসজ্জার সরঞ্জাম পাড়ি দেবে আসাম, ত্রিপুরা এবং উত্তর প্রদেশে। করোনার মন্দা থেকে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে সাজ শিল্পীদের ব্যবসা। আশায় বুক বেঁধেছেন শিল্পীরা।

    করোনার আবহ কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে প্রতিমার সাজ শিল্প (Krishna Nagar)

    প্রতিমা প্রস্তুতকারক বিভিন্ন কুমোর পাড়ায় (Nadia) চলছে মূর্তি নির্মাণের চরম ব্যস্ততা। দেবী মূর্তির মৃৎপ্রতিমা প্রস্তুত হওয়ার পর, তা সর্বসাধারণের মাঝে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে বিভিন্ন ধরনের অলংকার ব্যবহারে অঙ্গের সাজ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যার ফলে, দুর্গাপূজার সূচনা কালে দেবী মূর্তির সাজ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে নিরলস কর্মব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চকের পাড়ায়। এলাকার বাসিন্দা পেশায় ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদকের কারখানায় এখন তীব্র ব্যস্ততা। শিল্পী তন্ময় মোদকের তৈরি প্রতিমার ডাকের সাজ এবার পাড়ি দেবে ভিন রাজ্যে। দীর্ঘ দু-তিন বছর করোনা আবহ কাটিয়ে, এই বছর ফেলে আসা পুরনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ডাক শিল্পীরা। যার কারণে করোনা কালে ব্যবসার অভূতপূর্ব ক্ষতি সামাল দিয়ে, এই বছর কিছুটা হলেও বাড়তি রোজগারের আশার আলো দেখছেন এই সাজ শিল্পীরা।

    সাজ শিল্পীদের বক্তব্য

    চলতি বছরে ডাকের সাজের বাড়তি চাহিদা রয়েছে বলে জানান কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) শিল্পী তন্ময় মোদক। তিনি বলেন, দুর্গোৎসব উপলক্ষে এই বছর তাঁর কারখানায় তৈরি ডাকের সাজ কলকাতার কুমারটুলিতে যাবে। সেই সঙ্গে সাজ সরঞ্জাম পাড়ি দেবে ত্রিপুরা, আসাম ও উত্তরপ্রদেশে। দেবী প্রতিমার এই সাজ তৈরি হয় মূলত তার দিয়ে। চলতি বছরে ভিন রাজ্য থেকে অধিক সংখ্যক বায়নানামা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে তার কারখানায় দিনরাত পরিশ্রম করে দেবীর সাজ তৈরি করে চলেছেন ৬ জন কারিগর। তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ব্যবসায়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠে অভিশপ্ত করোনা কাল যেন আর ফিরে না আসে, এই কথাই জানান কৃষ্ণনগরের এই ডাকের সাজ শিল্পী তন্ময় মোদক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kanchrapara: কাঁচরাপাড়ায় মাকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মেয়ের, চাঞ্চল্য

    Kanchrapara: কাঁচরাপাড়ায় মাকে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা মেয়ের, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাকে খুন করে নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক মহিলা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে কাঁচরাপাড়ার (Kanchrapara) ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙাপাড়া এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাধারানি প্রসাদ (৭০)। অভিযুক্ত অসুস্থ মেয়ের নাম ববিতা প্রসাদ। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kancharapara)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ববিতা প্রসাদ কাঁচরাপাড়ায় (Kanchrapara) মায়ের কাছেই থাকতেন। পাশে থাকতেন তার ভাইরা। ভাইদের সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর ঝামেলা ছিল। তাঁর মা মেয়ের সঙ্গে এক ঘরেই থাকতেন। এদিন সকাল দশটা নাগাদ ঘরের ভেতর থেকে বৃদ্ধার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তার ঠিক পাশেই ববিতা দেবীও গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিলেন। বাড়ির লোকজনের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশীদের বিষয়টি নজর আসার পর ববিতা দেবীকে উদ্ধার করে কল্যাণী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর বৃদ্ধা রাধারানিদেবীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    এই ঘটনা নিয়ে পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    পরিবারের এক সদস্য বলেন, কয়েকদিন মায়ের সঙ্গে মেয়ের গন্ডগোল হলেও শুক্রবার কোনও ঝামেলা হয়নি। অন্যদিনের মতোই খাওয়া দাওয়া করে তারা শুয়েছেন। এদিন বেলা হয়ে গেলেও ঘর থেকে না ওঠায় আমরা ডাকাডাকি করি। এরপরে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই, দেখি দুজনে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কাঁচরাপাড়ায় (Kanchrapara) স্থানীয়  হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যজনের, অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে কল্যাণীতে নিয়ে যাওয়া হয়।

    প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    প্রতিবেশী নিলাম সিং  বলেন, ববিতা মাসি তাঁর মায়ের সঙ্গেই থাকবেন। আমরা নিয়মিতই তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত করতাম। গত দু-তিনদিন ধরে কোনও একটা বিষয় নিয়ে মায়ের সঙ্গে তুমুল ঝামেলা চলছিল ববিতা মাসির। ফলে মাকে মারধরও করে বলে অভিযোগ। তিনি কাউকে ঘরে ঢুকতে দিতেন না। এদিন সকালে খবরটা পেয়ে আমরা ছুটে আসি। ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখি, ববিতা মাসি নিচে পড়ে রয়েছে। আর তাঁর মা বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সম্ভবত বিষ জাতীয় কোনও কিছু দিয়ে বা কোনও ওষুধ খাইয়ে মাকে মারার পর নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। কিন্তু, তার আগে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, নির্দিষ্ট কি কারণে তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটালেন তা আমাদের কাছে অজানা। জানা গিয়েছে, ঘটনা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tea Shop: মেদিনীপুরে ‘পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা’-তে বুঁদ তরুণ প্রজন্ম, কেন জানেন?

    Tea Shop: মেদিনীপুরে ‘পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা’-তে বুঁদ তরুণ প্রজন্ম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মশালা চা, লেমন চা, জিনজার চা সহ রকমারি চা রয়েছে দোকানে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাশ করে চাকরি ছেড়়ে চায়ের দোকান করেছে মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর এলাকায়। চায়ের দোকানের (Tea Shop) নামের জাদুতেই রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই চায়ের দোকান। দোকানের নাম রাখা হয়েছে, “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”।

    কেন দোকানের (Tea Shop) নাম “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”?

    দোকান (Tea Shop) দিয়ে চায়ের আসর বসিয়ে রাজনীতি সচেতনতা বাড়াতে বার্তা দিচ্ছে মেদিনীপুরের বছর ২৬ এর ছেলে অঞ্জন দাস অধিকারী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ডিপ্লোমা করেছেন তিনি। এরপর কর্ণাটকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করতেন। রাজনীতি নিয়ে দীর্ঘ আকর্ষণ তাঁর। ছাত্র জীবনে রাজনীতিও করেছেন। কিন্তু, বাবা অসুস্থতার কারণে চাকরি ছেড়ে ফের মেদিনীপুরে ফিরে আসা। বাবার অসুস্থতায় প্রয়োজন টাকার, অন্যদিকে তাঁর প্রবল আগ্রহ রাজনীতি নিয়ে। নেতাদের বক্তব্য,ষ নেতাদের সভা আলাপ-আলোচনা কলাকৌশল নিয়েও আগ্রহের সীমা নেই এই অঞ্জনের। কিন্তু বাবার অসুস্থতা এবং পরিস্থিতির চাপে শেষ পর্যন্ত এই দোকান খুলতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু, সাধ আর সাধ্যের মধ্যে দোকান খুলে নিজের পেশা ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়ে নাম দিয়েছেন “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা”। মূলত নামেতেই প্রকাশ পাচ্ছে আর রাজনীতির গন্ধ। অনেকটাই দুধের স্বাধ ঘোলে মেটানোর মতো।

    “পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা” নিয়ে কী বললেন তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা?

     তরুণ প্রজন্ম পড়ুয়াদের নিয়েই এই চায়েওয়ালার আসর চলে মেদিনীপুর শহরের অশোকনগর এলাকায়। চায়ের দোকানে (Tea Shop) আড্ডা জমান তরুণ তরুণী সহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। চা খেতে খেতে আলোচনা করেন বাম ডান সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের রাজনীতির কলা কৌশল আলাপ-আলোচনা। আর তাতেই কিছুটা হলেও নিজের ইচ্ছে পূরণ হয় এই অঞ্জনের। তার এই চায়ের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভ্যারাইটি চা, যার দামও ৭ টাকা থেকে শুরু হয়ে চল্লিশ টাকায় ঠেকেছে। চা খেতে আসা সৌরভ,হিমাদ্রি,বিক্রমরা বলেন, অঞ্জনদার চায়ের দোকানের নাম এবং চা এই এলাকায় অন্যতম জনপ্রিয়। শুধু চা খেতে আসা নয়,এর সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনার সঙ্গে চুটিয়ে রাজনীতির আলোচনা চলে। তবে, তরুণ সমাজকে রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন বলেও আমরা মনে করি। কারণ, সমস্ত রাজনীতি দুর্নীতিতে যুক্ত বা অসচ্ছ নয়। আর সেই জ্ঞান নিতেই এই পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা এর কাছে আসা আমাদের।

    কী বললেন পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা?

    পলিটিকাল চায়েওয়ালা অঞ্জনবাবু বলেন, ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল রাজনীতিতে নেতা হওয়া। একসময় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম।  সামনে থেকে দেখেছে রাজনীতির কর্মকাণ্ড। কিন্তু, তারপরেই ছন্নছাড়া এবং ফিরে আসতে হয়েছে বাড়িতে,খুলতে হয়েছে আর্থিক প্রয়োজনে দোকান (Tea Shop)। তবে, ইচ্ছেকে মান্যতা দিয়েই এই দোকানের নাম রেখেছি পলিটিক্যাল চায়েওয়ালা। যেখানে সমস্ত ইয়ুথকে জানানো হচ্ছে রাজনীতি মানে অসৎ নয়,দুর্নীতি নয়। অনেক ভালো মানুষ আছে এবং সৎ রাজনীতিও করা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Death: ‘মৃত’ শ্রমিকের গরম দুধ পান! দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ফের মৃত্যু!

    Death: ‘মৃত’ শ্রমিকের গরম দুধ পান! দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যেতেই ফের মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ‘মৃত’ ব্যক্তির দুধ পান! পরে, হাসপাতালে নিয়ে গেল মৃত ঘোষণা! এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল মুর্শিদাবাদে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের সুতি ব্লকের জগদা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেনাউড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা যাচ্ছে, বৃষ্টির জমা জলে নেমে নিকাশি নালা নির্মাণের কাজ করছিলেন অর্জুন সিং নামক এক ব্যক্তি। সেই সময় খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে, উপস্থিত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তখন ওই শ্রমিককে বাড়িতে নিয়ে চলে আসেন পরিবারের লোকজন। 

    এখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। দাবি, দেহ বাড়িতে নিয়ে এলে পরিবারের লোকজন ‘মৃত’ শ্রমিকের দেহে আচমকা নড়া-চড়া লক্ষ্য করেন। শুধু তাই নয়। পরিবারের দাবি, এর পর বাড়িতে গরম দুধও খান ওই ‘মৃত’ ব্যক্তি। পরিবারের আরও দাবি, এর পর ফের একবার ওই শ্রমিককে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শ্রমিককে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা এবারও মৃত ঘোষণা করেন।

    পরিবার কী বলছে?

    মৃত শ্রমিকের পরিবারে অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতির জন্যই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের দাবি, ভালো করে পরীক্ষা না করেই প্রথমে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন চিকিৎসক। তাঁদের অভিযোগ, প্রথমবার ঠিক মতো চিকিৎসা হলে হয়তো অর্জুন সিং বেঁচে যেতেন। মৃতের স্ত্রীর বক্তব্য, ভালো করে পরীক্ষা না করেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়। মৃত শ্রমিকের মেয়ে নিসা সিং জানান, প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কোনও চিকিৎসা করেননি। পরে বাড়িতে নিয়ে আসার পর বাবা গরম দুধ খান। কিন্তু দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবার মৃত্যু হয়।

    এই ঘটনায় অভিযুক্ত বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, মৃত্যুর সঠিক কারণ এবং সময়কে স্পষ্ট করার জন্য পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়েছিল কিনা এই নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share