Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • School Education: রাজ্যে তালা পড়তে চলেছে ৮ হাজারেরও বেশি স্কুলে, কারণ জানলে চমকে যাবেন

    School Education: রাজ্যে তালা পড়তে চলেছে ৮ হাজারেরও বেশি স্কুলে, কারণ জানলে চমকে যাবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে হা-শিল্প দশা। চাকরির জন্য হাপিত্যেশ করছেন হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার। সামান্য মাইনেতে কোনও বেসরকারি সংস্থায় হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন এঁদের অনেকেই। অথচ ডিগ্রি বন্দি হয়ে রয়েছে ফাইলে। তৃণমূল জমানায় এই যখন রাজ্যের হাল, তখন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য মিলল আরও একটি দুঃসংবাদ! সরকারি এক রিপোর্টেই জানা গেল, স্রেফ পড়ুয়ার অভাবে বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের প্রায় ৮ হাজার সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত ও স্পন্সরড স্কুল। কলকাতার পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে রাজ্যের প্রায় সব জেলার বেশ কিছু স্কুলের নাম। বন্ধ হওয়ার মুখে যেসব স্কুল, তার মধ্যে যেমন প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্কুল রয়েছে, তেমনি রয়েছে মাধ্যমিক স্কুলও (School Education)।

    কী বলছে সরকারি রিপোর্ট?

    সরকারি ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৮ হাজার ২০৭টি স্কুলে পড়ুয়া নেই বললেই চলে। অথচ আয়োজনের খামতি নেই। ক্লাসরুম আছে। পড়ানোর জন্য রয়েছেন শিক্ষকও। নিয়ম করে তাঁরা স্কুলে আসেন। খাতায় সই করে বসে বসে বাড়ি চলে যান। কারণ তাঁরা যাদের পড়াবেন, তারাই নেই। রাজ্যের কয়েক হাজার স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা পঞ্চাশেরও নীচে। ২২৬টি স্কুলে তো পড়ুয়াই নেই। অবশ্য যেসব স্কুল (School Education) বন্ধ হতে চলেছে, সেই স্কুলবাড়িগুলিকে কাজে লাগাতে অন্যান্য দফতরকে অনুরোধ করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। ওই স্কুলবাড়িগুলিতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে কিছু করা যায় কিনা, সে ব্যাপারেও ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

    ছাত্রাভাবের কারণ 

    কী কারণে ওই স্কুলগুলির হা-পড়ুয়া দশা? শিক্ষকদের একাংশের মতে, সরকারি নীতির কারণেই সরকারি স্কুলে কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা। অথচ পড়ুয়া টানতে কীই না করা হয়েছে? মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা হয়েছে, মুফতে মেলে জামা-জুতো-সেলফোন-সাইকেল। তার পরেও পড়ুয়া নেই স্রেফ সরকারি নীতির কারণে। শিক্ষকদেরই অন্য একটি অংশের দাবি, জন্মহার কমে যাওয়া এবং বেসরকারি স্কুলের রমরমার কারণে তালা পড়তে চলেছে রাজ্যের ওই ৮ হাজার ২০৭টি স্কুলে (School Education)।

     

  • Duttapukur Blast: “রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?” প্রশ্ন শুভেন্দুর   

    Duttapukur Blast: “রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?” প্রশ্ন শুভেন্দুর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উত্তরবঙ্গ থেকে এসে রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?”  সোমবার এ প্রশ্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পরেই এ বিষয়ে (Duttapukur Blast) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব চেয়ে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধানসভা ত্যাগ করেন বিজেপি বিধায়করা। দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ হয় রবিবার সকালে। সোমবার বসে বিধানসভার অধিবেশন। এই অধিবেশনেই বিজেপি প্রশ্ন তোলে, “কলকাতা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। অথচ এখনও অকুস্থল পরিদর্শনে যাননি মুখ্যমন্ত্রী?” এর পরেই রাজ্যপালের প্রসঙ্গ টানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব

    শুভেন্দু বলেন, “মানুষের জীবন রক্ষা করার যে প্রতিশ্রুতি, সে বিষয়ে আমরা সরকারের কাছ থেকে অবিলম্বে বিবৃতি দাবি করি। সেই কারণে আমরা বিধানসভার (Duttapukur Blast) ভেতরে মুলতুবি প্রস্তাব রেখে বাইরে শাউটিং স্লোগান করেছি। পশ্চিমবাংলার জনগণের নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারতীয় জনতা পার্টি অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই লড়াইটা আমরা হাউসের ভেতরে দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি এনআইএ দিতে পারে না। এফআইআরে সেই ধারা থাকলে তবে তারা তদন্ত করতে পারে। এরা সেটা করবে না। তাই আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছি। আশা রাখি, হাইকোর্ট ব্যবস্থা নেবে এবং এই মামলার তদন্ত এনআইএর হাতে যাবে।” তিনি বলেন, “এই সরকার স্বচ্ছতা নিয়ে চলে না। মুখ্যমন্ত্রী অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট ১০ মিনিটে বিধানসভায় জানিয়ে তারপর বক্তৃতা করতে পারতেন না? তাঁর কাছে বক্তৃতা করাটা, কখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেটা তাঁর কাছে প্রথম প্রায়োরিটি।” 

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “গত কয়েক মাসে রাজ্যে (Duttapukur Blast) একশোরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করা হবে। তারপরেও একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। ওখানে আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।” দত্তপুকুরকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগও দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু। এদিনও তিনি ফের দাবি করেন, প্রমাণ লোপাটের আগেই দত্তপুকুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুুন: সিবিআই, এনআইএ দাবিতে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের বিজেপির

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Murshidabad: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ৪, নিখোঁজ আরও কতজন?

    Murshidabad: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ৪, নিখোঁজ আরও কতজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের মোচপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে সোমবার দুপুর পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানার নতুন চাঁদরা এলাকার চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলেই খবর। নিখোঁজ আরও বেশ কয়েকজন শ্রমিক। মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সোমবার সকাল থেকে নতুন চাঁদরা গ্রাম কার্যত থমথমে পরিস্থিতি রয়েছে।

    কী বললেন বিস্ফোরণে মৃতের পরিবারের লোকজন? (Murshidabad)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি থানার নতুন চাঁদরা গ্রাম থেকে প্রায় দশজন শ্রমিক দত্তপুকুরে যান। মোটা টাকার বিনিময়ে সকলকেই বাজি কারখানায় কাজ করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে খবর। তাদের কাজে নিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের উপর বোমা হামলা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ঈশা শেখের দাদা জেরাত আলি। রবিবার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় নতুন চাঁদরা গ্রামেরই চারজন বাসিন্দার। তাঁদের নাম কলেজ শেখ, রণি শেখ, আন্দাজ শেখ এবং ছোটন শেখ। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন জেরাত আলি সহ ৬ জন। উল্লেখ করা যেতে পারে, তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের উপর বোমা হামলাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া ঈশা শেখের বড় দাদা জেরাত আলি। সম্প্রতি মাস কয়েক আগে একই মামলায় জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে জেরাত আলিও। মুক্তি পাওয়ার পরেই গ্রামের শ্রমিকদের নিয়ে মোটা টাকার অফার দিয়ে বাজি কারখানায় নিয়ে যায় সে। তারপরেই সেখানেই কার্যত বিস্ফোরণে মৃত্যু হল চার শ্রমিকের। এর আগেও পিংলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল নতুন চাঁদরা গ্রামের ১১ জন শ্রমিকের। ফের একবার একই গ্রাম থেকে আরও চার শ্রমিকের মৃত্যু এবং কয়েকজন শ্রমিকের নিখোঁজের ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, রাজমিস্ত্রির কাজ করানোর নাম করেই নিয়ে যাওয়া হয়ছিল। পরে, তাঁদের দিয়ে বাজি তৈরি করানো হত। এভাবে অকালে চলে যাবে তা আমরা ভাবতে পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur Blast: সিবিআই, এনআইএ দাবিতে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের বিজেপির

    Duttapukur Blast: সিবিআই, এনআইএ দাবিতে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Duttapukur Blast) এবার জোড়া মামলা দায়ের করল বিজেপি (BJP)। সিবিআই এবং এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও রাজর্ষি লাহিড়ি। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

    বিজেপির দাবি

    রবিবার বিস্ফোরণের পরে পরেই এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছিল বিজেপি। পদ্ম শিবিরের নেতা শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্ন ছিল, “কোন শব্দ তৈরি করতে গেলে স্টোনচিপস লাগে?” তিনি দাবি করেছিলেন, ওই এলাকায় স্টোন চিপস সহ একাধিক রাসায়নিকের সন্ধান মিলেছে। ওই এলাকায় লুকিয়ে বোমা তৈরি হত, মারণাস্ত্র তৈরি হত। আর জেলায় জেলায় এই বোমা তৈরি হচ্ছে। তার পরেই এনআইএ তদন্তের দাবি জানান শমীক। 

    সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, এর আগে বহু ক্ষেত্রে এনআইএর হাতে তদন্তভার গেলেও, রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ সামনে এসেছে। তাই এবার আদালতের নজরদারিতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর পোস্ট

    বিস্ফোরণকাণ্ডের (Duttapukur Blast) পর একটি পোস্টে শুভেন্দু লেখেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের দত্তপুকুরে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ। ৮ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংখ্যাটা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি লেখেন, “এটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। কারণ এটি পশ্চিমবঙ্গে সিরিয়াল বিস্ফোরণের সিরিজে নতুন সংযোজন। মে মাসে তালিকায় ছিল এগরা, বজবজ ও দুবরাজপুর। এরপর গত ১ জুন নদিয়ার জেলার মহেশনগর এমনই বিস্ফোরণের সাক্ষী হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি রাজ্যের পরিস্থিতি ও বিস্ফোরণের পুনরাবৃত্তির ঘটনা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তাই আমি কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    আরও পড়ুুন: বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ফের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, “আমি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে এই বিষয়ে এনআইএ তদন্তের (Duttapukur Blast) জন্য কলকাতা হাইকোর্টে যাব। আমি বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব উত্থাপন করব, যাতে কেন সরকার এই ধরনের অবৈধ বাজি ইউনিট নিয়ন্ত্রণে এতটা নিষ্ক্রিয় সেই বিষয়ে উত্তর চাইতে পারি। এর পরে বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল বিধানসভা থেকে দত্তপুকুরের বিস্ফোরণস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: এবার নার্কোটিক্স ডিটেকশনে প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা যাদবপুরে!

    Jadavpur University: এবার নার্কোটিক্স ডিটেকশনে প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা যাদবপুরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারকোটিক্স ডিটেকশনের সাহায্যে হস্টেল ও বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মাদক রোখার ভাবনাচিন্তা চলছে। সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে নজরদারিও, জানালেন যাদবপুরের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। অ্যান্টি র‌্যাগিং যে স্কোয়াড আছে, তাতে কম করে ৪০ থেকে ৫০ জনকে রাখা হবে বলেও জানান উপাচার্য। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালেয়র ক্যাম্পাসের ভিতরে ওপেন এয়ার থিয়েটার পরিষ্কার করতে গিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বস্তা বস্তা মদের বোতল উদ্ধার করেন। এই খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে কী হয়েছে বলতে পারব না। তবে এবার থেকে পরিস্থিতি বদলাবে।’

    নিরাপত্তার স্বার্থে পদক্ষেপ

    বিবার উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “নিরাপত্তার জন্য এক্স সার্ভিসম্যানদের কথা যেমন ভাবা হয়েছে। সিসিটিভিও বসানো হচ্ছে। পরে আরও দু’টো প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছি। অ্যালকোহল ডিটেক্ট করবে বা নার্কোটিক্স ডিটেক্ট করার জন্য যদি কিছু ব্যবস্থা থেকে থাকে। তবে সেটাও আমাদের দেশের আইনের মধ্যে থেকেই করতে হবে। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল করেন যারা তাদের থেকে সাজেশন নিতে হবে। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কী কী নির্ণয় করা যায় সেটাও দেখার বিষয়। সবই ভাবনাচিন্তার পর্যায়ে এখন।” সিসিটিভি বসানো প্রসঙ্গেও এদিন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “আমরা ওয়েবেলকে অর্ডার পাঠিয়ে দিয়েছি। আমি দু’দিনের মধ্যে কাজ শুরু করতে বলেছি। ওয়েবলের লজিস্টিক এবং পরিকাঠামো কী আছে আমি জানি না। কী নিয়ম তাও জানি না। তবে যে কোনও পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। নিরাপত্তায় একটা গাফিলতি তো ছিল। না হলে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে না। সরকারও নিশ্চয়ই চাইছে ইউজিসির সমস্ত নিয়ম যেন মেনে চলা হয়। আমাদের আচার্যও বলেছেন, নিরাপত্তা ও অ্যান্টি র‌্যাগিং যে নিয়ম তা মেনে এগোতে হবে। এখন ওয়েবল বরাত দেওয়ার পরও যদি দেরি করে, এটা তো কোনও সাধারণ সংস্থা নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    দিলীপের অভিযোগ

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে সেখানে (Jadavpur University) ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বাম সমর্থকদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন ডিন এবং অধ্যাপকদেরও। তাঁর কথায়, “যাদবপুরে কিছু বাম এবং অতি বাম সমর্থক পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করছে। এদের মদত দিচ্ছেন ডিন এবং কিছু অধ্যাপক।” রবিবার বিকালে মহেশতলার মোল্লার গেটের দলীয় জনসভায় যান বিজেপি সাংসদ। সেখানেই নিজের বক্তব্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চন্দ্রযানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মান তুলে ধরে দিলীপ ঘোষ একদিকে যেমন বাম ও অতি বাম সমর্থকদের কটাক্ষ করেন, তেমনই শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, “ঐতিহ্যশালী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কত প্রতিভাবান ছেলে-মেয়ে পড়েন। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা পড়েন। সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে নষ্ট করতে সাহায্য করছে তৃণমূলও।” দিলীপের প্রশ্ন, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর পর প্রশাসনের সক্রিয়তা বেড়েছে এতদিন সরকার কোথায় ছিল?

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জবাবে সন্তুষ্ট নয় শিশু সুরক্ষা কমিশন, পাঠানো হল তৃতীয় চিঠি

    JU Student Death: বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জবাবে সন্তুষ্ট নয় শিশু সুরক্ষা কমিশন, পাঠানো হল তৃতীয় চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যু (JU Student Death) নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এর আগে দুটি চিঠি পাঠিয়েছিল শিশু সুরক্ষা কমিশন। কোনও সন্তোষজনক উত্তর কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি, এই যুক্তিতে তাই ফের তৃতীয় চিঠি পাঠাল শিশু সুরক্ষা কমিশন। প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র শিশু সুরক্ষা কমিশনই নয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনও দুটি চিঠি পাঠিয়েছিল এবং কর্তৃপক্ষের জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় তৃতীয় চিঠি পাঠানোর  ব্যাপারে প্রস্তুতি শুরু করে।

    কর্তৃপক্ষের জবাবে সন্তুষ্ট নয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (Ju Student Death)

    গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তৃতীয় তল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর (Ju Student Death)। সদ্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা স্বপ্নদীপ এখনও ১৮ পেরোয়নি। সেই অর্থে সে নাবালক। তাই সক্রিয় হয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন (JU Student Death)। জানা গিয়েছে, হস্টেলে আবাসিকদের প্রকৃত সংখ্যা অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটির ভূমিকা, এ সমস্ত নানা বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর চেয়ে পাঠিয়েছিল কমিশন। কিন্তু তার কোনও সন্তোষজনক উত্তর কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি। আবার শিশু সুরক্ষা কমিশন এ নিয়ে চিঠি করতে পারে নাকি, সেই এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে।

    কী বলছেন শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান?

    কমিশনের চেয়ারপার্সেন সুদেষ্ণা রায়ের কথায়, ‘‘আমরা দ্বিতীয় যে চিঠি পাঠিয়েছিলাম তার জবাব সন্তোষজনক নয় (Ju Student Death)। তাই আমরা আবার চিঠি পাঠিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে তাদের কাছে রেকর্ড বজায় আছে। কিন্তু তারা হস্টেলে আবাসিকদের সংখ্যা, র‍্যাগিং বিরোধী কমিটি সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি (Ju Student Death)। ওদের অবগতির জন্য জানাই যে মৃত পড়ুয়া এখনও আঠারো বছরের হয়নি। তাই ওই পড়ুয়া (JU Student Death) শিশু সুরক্ষা কমিশনের এক্তিয়ারর মধ্যে পড়ে।

    শনিবারই যাদবপুরের ওপেন থিয়েটারে উদ্ধার অসংখ্য মদের বোতল

    অন্যদিকে ১০ অগাস্ট যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর (JU Student Death) পর ক্যাম্পাসে মেলে প্রচুর মদের বোতল। পাশাপাশি পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে হস্টেলের টবে চলতো গাঁজা চাষ। শনিবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস পরিষ্কার করতে আসেন সাফাই কর্মীরা। এবং সেখানকার ওপেন থিয়েটার থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর খালি মোদের বোতল এবং নেশা সামগ্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023 : উৎসবের অধিকার সবার! নিউটাউনে বিজেপির দুর্গাপুজোয় অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    Durga Puja 2023 : উৎসবের অধিকার সবার! নিউটাউনে বিজেপির দুর্গাপুজোয় অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দুর্গাপুজো পুজো হলেও শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, আসলে এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব।’ দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। একটি মেলার মাঠে কলকাতার এক পুজো সংগঠন দুর্গাপুজো করার অনুমতি পাবে কিনা সেই মামলায় শুনানি চলাকালীন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টচার্য এই মত দেন।

    পুজোর অনুমতি

    জনসাধারণের জন্য নির্দিষ্ট মেলার মাঠ, পার্কে পুজো (Durga Puja 2023) করা যাবে কিনা এবং পুজোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল এক পুজো কমিটি। ওই কমিটির লোকেরা বিজেপি কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মেলার জন্য নির্দিষ্ট অনুমতি না পেয়ে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেন ‘মানবজাতি কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ নামে সংগঠন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে। বিচারপতি জানান, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৯ মোতাবেক সকল নাগরিকের স্বাধীন ভাবে চিন্তাভাবনা প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকারের মধ্যে দুর্গাপুজোর মতো উৎসবও রয়েছে। ফলে এই অধিকার খর্ব করা যায় না। হাই কোর্টের নির্দেশ, নিউটাউন মেলা গ্রাউন্ডে পুজো করতে পারবে ‘মানবজাতি কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ নামে মামলকারী সংগঠনটি। এলাকায় এই সংগঠনের সদস্যেরা বিজেপিকর্মী হিসাবেই পরিচিত।

    আরও পড়ুুন: গ্রিসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    কর্তৃপক্ষের তরফে আদালতে (Calcutta High Court) দাবি করা হয়, সংবিধানে ২৫ ধারা অনুযায়ী জনসাধারণের জন্য তৈরি পার্ক, রাস্তা এবং ফুটপাতে কোনও ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না। এই দাবি সম্পূর্ণ খারিজ করে বিচারপতি ভট্টাচার্য পর্যবেক্ষণে জানান, ‘একথা সর্বজনবিদিত, যে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) শুধু ধর্মীয় পুজোর্চনা নয়, এটি আসলে নারী শক্তির উদযাপন। দুর্গাপুজো শুধু পুজো নয়, বিভিন্ন সংস্কৃতির মেলবন্ধন। পুজোর্চনার থেকেও সেখানে উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আনন্দের ভাগটা অনেকটা বেশি। পুজোর থেকেও উদযাপনটাই প্রত্যক্ষ। এই সমস্ত কিছুর কারণেই দুর্গাপুজোকে শুধুই একটা সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচরণ বা রীতিনীতি পালন হিসেবে দেখা ঠিক হবে না, এর প্রকৃতি আদতে ধর্মনিরপেক্ষ। অতএব একে শুধু এক সম্প্রদায়ের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন বলে দাগিয়ে দেওয়া আসলে দুর্গাপুজোর মান হ্রাস করবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি কার নামে? জানতে চাইছে ইডি

    ED: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি কার নামে? জানতে চাইছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর নামে রয়েছে পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলি কার নামে নথিপত্র জমা দিয়ে খোলা হয়েছিল, তা জানতে চাইছে ইডি (ED)। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কী ধরণের কাজ করত, তাও জানার চেষ্টা করছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’ হানা 

    সোমবার সকালে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর নিউ আলিপুরের অফিসে যান ইডির তদন্তকারীরা। তল্লাশি চলে ১৮ ঘণ্টা ধরে। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি ও কয়েকটি হার্ড ডিস্ক। সেগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে মনে করছে ইডি। তদন্তকারীরা জেনেছেন, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর নামে যে পাঁচটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেগুলিতে লেনদেন হচ্ছে ২০১২ সাল থেকে। এই অ্যাকাউন্টগুলি কার নামে খোলা হয়েছিল, তা জানতে ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে যাবতীয় নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই অ্যাকাউন্টগুলির কেওয়াইসি কার নামে রয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কাছে (ED)।

    সিইও পদে কারা

    শুধু তাই নয়, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সিইও পদে কারা, কোন সময় ছিলেন, তাও খতিয়ে দেখছেন ইডির তদন্তকারীরা। সংস্থার কাজকর্মে তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, বুধবার এক প্রেস বিবৃতিতে ইডি জানিয়েছে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডির দাবি, ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র ডিরেক্টর ছিলেন অভিষেক।

    ইডির (ED) দাবি, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর মাধ্যমে নিয়োগ কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। নির্মাণ সংস্থা মার্লিন গ্রুপকে অ্যালুমিনিয়ামের জানালা বিক্রি করে পাওয়া কাটমানিও জমা পড়েছে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র অ্যাকাউন্টে। ইডি সূত্রে খবর, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ড ডিস্ক ফরেনসিক তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে সিএফএসএলে। সেগুলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ বহু তথ্য মিলতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারী আধিকারিকদের।

    আরও পড়ুুন: গ্রিসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী, কেন জানেন?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। বর্তমানে জেলে রয়েছেন তিনি। এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনিও। ‘কাকু’র সঙ্গে আর কোন কোন রাঘব-বোয়াল ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন, তা-ই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: ‘পিক অ্যান্ড চুজ করে মারা হয়েছে’! যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের জেল হেফাজত

    JU Student Death: ‘পিক অ্যান্ড চুজ করে মারা হয়েছে’! যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভের জেল হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের (JU Student Death) রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে পুলিশ। শুক্রবার সৌরভকে আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদার বলেন, ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করে প্রথম বর্ষের সেই ছাত্রকে মারা হয়েছে।

    প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা

    সরকারি আইনজীবী জানান, একটি গামছা উদ্ধার হয়েছে। যেটা দিয়েই মৃত ছাত্রের মুখ চাপা দেওয়া হয়েছিল। সেই রক্ত মাখা গামছা ও ২ টো ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফোনে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে মেসেজ চালাচালি হত। আইনজীবীর দাবি, সেখানে তদন্ত প্রভাবিত করার প্রমাণ হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফোনে ‘জেইউএমএইচ’ নামে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সৌরভের সেই গ্রুপে ‘ইনস্ট্রাকশন’ দিতেন। মাঝেমধ্যে সেই গ্রুপে অ্যাক্টিভ হতেন নির্দেশ দেওয়ার জন্য।

    র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ

    আদালতে সৌরভের আইনজীবীর সঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল পাল্টা সওয়াল চলে। সৌরভের আইনজীবী জানান, তদন্তে সৌরভ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে অগ্রগতি হয়নি। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, এই মামলায় অনেক অগ্রগতি হচ্ছে। দাগী বন্দিদের সঙ্গে যাতে জেলে সৌরভকে না রাখা হয়, সেই আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। এই প্রসঙ্গে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, এই নিয়ে যা নিয়ম রয়েছে, তা মেনে চলা উচিত। গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে এক ছাত্র নীচে পড়ে যান বলে অভিযোগ। পরের দিন ভোরে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যু (JU Student Death) হয়। র‌্যাগিংয়ের জেরে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রাক্তনী এবং পড়ুয়া মিলিয়ে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: মালদায় রাজ্যপাল, দেখা করলেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে

    সৌরভই ‘কিংপিন’

    ছাত্রমৃত্যুর (JU Student Death) ঘটনায় প্রথম সৌরভকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সৌরভকেই ‘কিংপিন’ বলে দাবি করেছে পুলিশ। যদিও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন সৌরভ।  লালবাজার সূত্রে খবর, হস্টেলের ৭০ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র করানো হয়েছিল। তার পর তাঁকে বারান্দায় বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়। কী ভাবে র‌্যাগিং হয়েছে, তার নথি মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে জমা করেছে পুলিশ। গত ৯ অগস্ট রাতে ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি। এই ঘটনায় শুক্রবার যাদবপুরকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের আরও চার আবাসিক ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কলকাতা পুলিশের অপরাধ দমন শাখার যুগ্ম কমিশনার শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী। যাদবপুর থানায় বৃহস্পতিবারও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করেন কলকাতা পুলিশের ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতাও। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে যুগ্ম কমিশনার জানান, চার পড়ুয়াকে আটক করা হয়নি। তবে তাঁরা ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে জোড়া মিছিল, পথে শুভেন্দু সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতা

    Jadavpur University: যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে জোড়া মিছিল, পথে শুভেন্দু সহ এক ঝাঁক বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) প্রতিবাদের সুর চড়াল বিজেপি (BJP)। ঘটনার পরে পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপির যুব মোর্চা। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার জোড়া প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে পদ্ম শিবির। এদিন প্রথমে হয় এবিভিপির মিছিল। পরে মিছিল হয় বিজেপির যুব মোর্চার ব্যানারে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে গিং মুক্ত ও মাদক মুক্ত করার দাবিতে গোলপার্ক থেকে এইট বি পর্যন্ত মিছিল করে যুব মোর্চা। মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, ইন্দ্রনীল খাঁ, অগ্নিমিত্রা পাল, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি সহ বিজেপির (Jadavpur University) প্রথম সারির প্রায় সব নেতা। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে বৈঠক থাকায় প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিতে পারেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    প্রতিবাদ মিছিলে ব্যাপক ভিড়

    যুব মোর্চা আয়োজিত এই প্রতিবাদ মিছিলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। ঢাকুরিয়া থেকে যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) চার নম্বর গেট। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “যাদবপুরের ক্যাম্পাস দখলের কোনও অভিপ্রায় বিজেপির নেই। আমরা রাস্তা দিয়ে মিছিল নিয়ে যাচ্ছি। ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢোকার কোনও ইচ্ছে নেই। আমরা রাষ্ট্রবাদের পক্ষে। মাওবাদ, নকশালবাদ ও দেশবিরোধী শক্তিকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। আমরা কোর্টের অনুমতি নিয়েই মিছিল করছি। দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের।”

    মিছিলে বাধা পুলিশের

    এদিন প্রথমে মিছিল শুরু করার তোড়জোড় করে এবিভিপি। মিছিল শুরু হতেই তা আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশ এবং এবিভিপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। পরে মিছিলে অংশগ্রহণকারী এবিভিপি কর্মী-সমর্থকদের আটক করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ভয়ে এসব করছে। কারণ ওরা বুঝতে পারছে এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যর্থ। পুলিশমন্ত্রীর ব্যর্থতা সামনে এসে যাবে, তাই গণতান্ত্রিক শক্তি ও বাকস্বাধীনতা হরণ করার জন্য এটা করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘নাম মমতা, কিন্তু অন্তরে এত পাপ?’’, তীব্র কটাক্ষ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share