Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda News: মালদায় রাজ্যপাল, দেখা করলেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে

    Malda News: মালদায় রাজ্যপাল, দেখা করলেন নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে নির্মীয়মান সেতু দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Malda News)। মৃতদের পরিবার পিছু রেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লাখ টাকা এবং কম আহতদের ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন তিনি। এদিন মালদার (Malda News) পুকুরিয়া থানার চৌদুয়ার গ্রামের মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

    মালদায় (Malda News) কী বললেন রাজ্যপাল? 

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানান, মৃত ও আহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে সরকার। মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। যদিও রাজ্যে কর্মসংস্থানের অভাবের ফলেই শ্রমিকেরা ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে পাড়ি দিচ্ছেন কি না- সেই প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান ।  শুক্রবার সকালে রেলপথে মালদা (Malda News) এসে পৌঁছান রাজ্যপাল। এদিন রাজ্যপালের সামনেই কথা বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়েছেন নিহত কারও স্ত্রী, কারও মা। ১৩ বছরের এক মেয়ের দাদা দুর্ঘটনায় মারা যান। সে বলে, “এখানে কোনও কাজ পায়নি দাদা। তার জন্যই বাইরে গিয়েছিল। পরিবারের কষ্ট আর সহ্য করতে পারেনি। আমি কি আর পড়াশোনা করতে পারব না? আমার দাদার স্বপ্ন ছিল (Malda News) যাতে আমি ভালভাবে পড়াশোনাটা করি। তার জন্য বাড়তি দুটো পয়সার জন্য বাইরে গিয়েছিল। এখানে কিচ্ছু নাই, তার জন্যই তো বাইরে গিয়েছিল।”

    মিজোরামে নির্মীয়মান রেল সেতু ভেঙে মৃত্যু হয় বহু শ্রমিকের  

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে মিজোরামের সাইরান এলাকায় একটি নির্মীয়মান রেল সেতু ভেঙে মৃত্যু হয় বহু শ্রমিকের। এদের মধ্যে ২৩ জন মালদার বাসিন্দা (Malda News) বলে জানা যায়। ঘটনার পরপরই শোকের ছায়া নেমে আসে মৃত ও আহতদের পরিবারে। শাসক ও বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে এলেও খোদ রাজ্যপালের এহেন কর্মসূচি রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃত শ্রমিকদের দেহ মালদায় ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতেই বেশ কয়েকটি দেহ মালদায় (Malda News) ফিরে আসতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19 Guidelines: রাজ্যে কোভিড বিধি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হলো! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    Covid 19 Guidelines: রাজ্যে কোভিড বিধি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হলো! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আর কোভিড বিধি (Covid 19 Guidelines) রইল না। বৃহস্পতিবার টেলি সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো শুক্রবার আর খাতায় কলমে কোনও কোভিড বিধি নেই রাজ্যে। যদিও, অনেক আগে থেকেই মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়গুলি বাসে, ট্রেনে দেখা যাচ্ছিল না। তবুও সরকারি বিধিনিষেধ ছিল। এদিন সেই বিধি নিষেধ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    সরকারি ভাবে উঠল কোভিড-বিধি

    টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়েই কোভিড বিধি (Covid 19 Guidelines) প্রসঙ্গে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই তিনি বলেন, ‘আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গে কোভিডবিধি প্রত্যাহার করা হল। আজ থেকে সমস্ত কোভিড গাইডলাইন তুলে দেওয়া হল।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডের সময় থেকে মানুষ অনেক কষ্ট পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছিল তাঁদের। সেই সময় তাঁদের সামনে কোনও অনুপ্রেরণা ছিল না। তখন এই টিভি এই সিরিয়ালই দেখত মানুষ। এবার কোভিডবিধি তুলে নেওয়া হল।’  করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের সঙ্গেই ২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকেই লাগু হয় কোভিডবিধি। মাঝে কোভিড বিধি শিথিল করা হলেও করোনা বাড়তেই ফের কড়া হয় গাইডলাইন। করোনার ডবল ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজের পর প্রকোপ কমতেই মাস্ক ভুলেছে মানুষ। কমেছে স্যানিটাইজারের ব্যবহারও। প্রতিদিনের জীবনে বাস-ট্রেনে দূরত্ববিধি অতীত। অবশেষে সরকারিভাবে এদিন কোভিডবিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।

    আরও পড়ুন: ৫০ কোটির ‘তছরুপ’! সমবায় সমিতির দুর্নীতির তদন্তেও ইডি-সিবিআই

    প্রসঙ্গত , চলতি মাসেই রাজ্যে একাধিকজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট সামনে এসেছে। এমনকী কলকাতাতেই কোমর্বিডিতে এক মহিলার মৃত্যুর খবর সামনে আসে। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের মধ্যে অগাস্টের শুরুতেই ২ জন ষাটোর্ধ্ব করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর মেলে। এদিনে দিন দুয়েক আগেই কেন্দ্র কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট EG.5 এবং BA.2.86 নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। আগাম সতর্কতা হিসেবে কোভিডের নয়া প্রজাতিকে রুখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকে কেন্দ্র। আপাতত রাজ্যগুলিকে জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্ট বাড়ানোর উপর জোর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এরই মাঝে বাংলা থেকে কোভিড বিধি প্রত্যাহারের সরকারি ঘোষণা হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ভোর থেকেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টিপাত, চলবে কতদিন?

    Weather Update: ভোর থেকেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টিপাত, চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই সূর্য লুকিয়েছে মেঘের আড়ালে। ভোর থেকেই শুরু হয়েছে বঙ্গের জেলায় জেলায় বৃষ্টি (Weather Update)। শহর কলকাতাতেও একই পরিস্থিতি রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে এবং এর প্রভাবেই চলছে বৃষ্টি (Weather Update)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেই এই চিত্র দেখা যায় রাজ্য জুড়ে। দক্ষিণবঙ্গে অবশ্য বুধবার থেকেই চলছে বৃষ্টি (Weather Update)। হাওয়া অফিস বলছে যে শনিবার পর্যন্ত এই বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে উত্তরবঙ্গে নদীগুলিতে বাড়ছে জলস্তর। 

    উত্তরবঙ্গে কমলা সতর্কতা

    ভারী বৃষ্টির (Weather Update) কারণে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। শুক্রবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ইত্যাদি জেলায় বৃষ্টির (Weather Update) পরিমাণ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি কোচবিহার এবং দার্জিলিং-এর মতো জেলাতে বৃষ্টির পরিমাণ হতে পারে ১০০ মিলি লিটার। অন্যদিকে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে হাওয়া অফিস এবং রবিবার থেকে বৃষ্টির (Weather Update) পরিমাণ কমবে বলেও জানা গিয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গে চলবে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত (Weather Update)

    অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্র-বিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত (Weather Update) হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কম কমবে, দক্ষিণবঙ্গের চার জেলাতে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির (Weather Update) সতর্কতা জারি করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান। অন্যদিকে কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া ও হুগলিতেও চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।

    কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া

    কলকাতার ক্ষেত্রেও শুক্রবার মাঝারি বৃষ্টির (Weather Update) সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্র থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “এক সময় এগরোল বিক্রি করতেন, তারপরে এই উত্থান”, সুজিতকে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “এক সময় এগরোল বিক্রি করতেন, তারপরে এই উত্থান”, সুজিতকে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নিউটাউন, বাগুইআটি এই সমস্ত এলাকায় ঘুরে জানতে পেরেছি ভদ্রলোক এক সময় স্টেশনের পাশে এগরোল বিক্রি করতেন। সেই থেকেই এই উত্থান।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই কটাক্ষের অভিমুখ যিনি, তিনি তৃণমূল নেতা সুজিত বসু, রাজ্যের মন্ত্রীও বটে। পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নিজাম প্যালেসে তাঁকে তলব করেছে সিবিআই।

    সুকান্তর নিশানায় সুজিত

    ‘গৃহ সম্পর্ক অভিযান’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিজেপি। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েই বাগুইআটির জ্যাংড়া এলাকায় গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আক্রমণ শানান তৃণমূলকে। সুজিতকে সিবিআইয়ের তলব প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “এরা হাজিরা দেওয়ার পক্ষপাতি নয়। শুধু সিবিআই কেন, ইডিরও তদন্ত হওয়া উচিত। যে ব্যক্তির কথা বলছেন, আমি কলকাতায় আসার পর নিউটাউন, বাগুইআটি এই সমস্ত অঞ্চল ঘুরে জানতে পেরেছি, ভদ্রলোক এক সময় স্টেশনের পাশে এগরোল বিক্রি করতেন। সেই থেকেই উত্থান। ওঁর এই মডেল স্টাডি করা যেতে পারে। ইডিরও স্টাডি করা উচিত এত টাকার সম্পত্তির মালিক হলেন কী করে। এক সময় সুভাষ চক্রবর্তীকে ধরেছিলেন। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এখন বলছেন, ‘দুষ্টু ছেলে’।”

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’

    তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, সিবিআই এবং ইডি দুই সংস্থারই তদন্ত করা উচিত এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন এবং ভাগ অন্য কেউ পেয়েছে কিনা, সেগুলোও দেখা উচিত।” ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “এটায় তো লুকোনোর কোনও বিষয় নেই, বাচ্চারাও জানে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কার কোম্পানি। লোকসভায় বিষয়টি তুলেছিলাম। তৃণমূলের ওদিকে সবাই বসেছিলেন, একটা শব্দ পর্যন্ত কেউ করতে পারেননি। একটা কোম্পানির কয়েক বছরের মধ্যে টার্নওভার জাম্প। কতগুণ লাফ, আর কোম্পানিটা কার সবই প্রকাশ্যে। আমার কাছে ওয়েবসাইটের কাগজ রয়েছে, দিয়ে দেব। ক্লাস নাইনে পড়ার সময়ই নাকি উনি সংস্থার মালিক, যেখানে পরিষ্কার লেখা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি। লুকোনোর কী আছে? ঘোমটার নীচে খেমটা নাচন দিয়ে কোনও লাভ আছে? ঘোমটা খুলে নাচুন।”

    আরও পড়ুুন: ৫০ কোটির ‘তছরুপ’! সমবায় সমিতির দুর্নীতির তদন্তেও ইডি-সিবিআই

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • C V Ananda Bose: র‍্যাগিং-মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে ইসরোর সাহায্য চাইলেন রাজ্যপাল 

    C V Ananda Bose: র‍্যাগিং-মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে ইসরোর সাহায্য চাইলেন রাজ্যপাল 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং রুখতে  প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করার কথা ভাবছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। র‌্যাগিং মোকাবিলায় এ বার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।

    রাজ্যপালের আর্জি

    রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে র‌্যাগিং থেকে মুক্ত করতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে ইসরো। রাজভবনের ওই সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, এদিন ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে অনেকটা সময় ধরে আলোচনা করেছেন বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। কীভাবে প্রযুক্তিগত সুবিধা ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলিকে র‌্যাগিং থেকে মুক্ত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয়ের মধ্যে। শুধু ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গেই নয়, এর পাশাপাশি হায়দরাবাদের একটি সংস্থার সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল বোস।

    প্রযুক্তিগত সাহায্য

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ভিডিও বিশ্লেষণ, ইমেজ ম্যাচিং স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য শনাক্তকরণ এবং রিমোট সেন্সিংয়ের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সমাধান তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি র‌্যাগিং-এর অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

    আরও পড়ুন: পূর্বসূরির চোখে উত্তরসূরি! চাঁদের বুকে ‘বিক্রম’-এর ছবি তুলে পাঠালো ‘চন্দ্রযান ২’ অরবিটার

    ইসরো যাদবপুর সম্পর্ক

    বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে ইসরোর চন্দ্রযান ৩। প্রথম দেশ হিসাবে ভারত এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সেই সাফল্যকে সামনে রেখেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে র‌্যাগিং নির্মূল করতে ইসরোর প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের ‘পাখির পালকের মতো অবতরণ’ (বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় যার নাম ‘সফ্‌ট ল্যান্ডিং’) কর্মসূচিতে ইসরোর সহযোগীর ভূমিকায় ছিল দেশের কয়েকটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই তালিকার অন্যতম নাম যাদবপুর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Money Siphoning Case: ৫০ কোটির ‘তছরুপ’! সমবায় সমিতির দুর্নীতির তদন্তেও ইডি-সিবিআই

    Money Siphoning Case: ৫০ কোটির ‘তছরুপ’! সমবায় সমিতির দুর্নীতির তদন্তেও ইডি-সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের (Money Siphoning Case) অভিযোগ উঠেছিল উত্তরবঙ্গের ‘আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি’র বিরুদ্ধে। বছর তিনেক ধরে আর্থিক তছরুপের তদন্ত করছিল সিআইডি। সিআইডির তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আর্থিক তছরুপের তদন্তভার ইডি এবং সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১২ অক্টোবর ওই দুই সংস্থাকে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।

    টাকা তছরুপের অভিযোগ

    আলিপুরদুয়ার শহরের নিউটাউন এলাকায় রয়েছে ‘আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি’। এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাজার থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা তুলেছিলেন (Money Siphoning Case) সমিতির সঙ্গে জড়িত লোকজন। পরে আর তা ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও, আমানতকারীদের টাকা কারা কারা ধার নিয়েছে, কত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তার কোনও তালিকাই প্রস্তুত করতে পারেনি সিআইডি। প্রয়োজনীয় কোনও তথ্যও জোগাড় করতে পারেনি সিআইডি। প্রত্যাশিতভাবেই কিনারা হয়নি তদন্তের। টাকাও ফেরত পাননি আমানতকারীরা। বছর তিনেক ধরে তদন্ত করে মাত্র ৬ জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।

    তছরুপ হয়েছে ৫০ কোটি টাকা

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। কল্পনা দাস সরকার নামে এক মামলাকারীর অভিযোগ, ‘আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি’তে ২১ হাজার ১৬৩ জন টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তাঁর দাবি, সব আমানতকারীর আমানতের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা। টাকা জমা দেওয়ার সময় সমিতি জানিয়েছিল, ওই টাকা বাজারে ঋণ হিসেবে খাটানো হবে। টাকা ফেরত পাওয়ার সময় হলে বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন, সমিতিই ‘বিলুপ্ত’ হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুুন: “ধর্ষকদের এনকাউন্টার করা হোক”! শিলিগুড়ির ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    এদিন সিআইডিকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই আর্থিক তছরুপের (Money Siphoning Case) ঘটনায় বিরাট প্রতারণা চক্র কাজ করেছে। প্রায় তিন বছর ধরে তদন্ত করার পরেও সিআইডি এই তদন্তের কিনারা করতে ব্যর্থ হয়েছে।” তিনি বলেন, “সিআইডির হাত থেকে তদন্তের ভার সিবিআই ও ইডিকে দেওয়া হচ্ছে। ২৫ অগাস্ট থেকেই এই দুই সংস্থা তদন্ত শুরু করে দেবে। তদন্তের স্বার্থে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং প্রয়োজনে হেফাজতে নেওয়ার ব্যাপারেও তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে। সিআইডির আর তদন্ত করার কোনও প্রয়োজন নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ধর্ষকদের এনকাউন্টার করা হোক”! শিলিগুড়ির ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “ধর্ষকদের এনকাউন্টার করা হোক”! শিলিগুড়ির ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিজেপি। রাজ্যে ধর্ষকদের এনকাউন্টার করার পক্ষে সওয়াল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে অনুসরণ করা উচিত বলেও দাবি করেন। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মাত্র দু’দিনের মধ্যেই তিনটি নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এখানে আইনের শাসন নেই। তাই অপরাধীদের মন থেকে ভয় চলে গিয়েছে। যেখানে অল্প সময়ে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার কথা, সেখানে অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এ রাজ্যে যোগী আদিত্যনাথের মতো এক জন কড়া প্রশাসক দরকার। এই ধরনের অপরাধ যারা করছে, তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। প্রয়োজনে এদের এনকাউন্টার করে দেওয়া উচিত।’’

    শুভেন্দুর অভিমত

    বিরোধী দলনেতা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে নাবালিকারাও সুরক্ষিত নয়। তিনি তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে একের পর এক নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আর মানুষের চোখে ধুলো দিতে পুলিশ অভিযুক্তদের শুধু গ্রেফতার করে। তার পর তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দেয় না আর শাস্তির ব্যবস্থাও করে না।” মাটিগাড়ায় নাবালিকাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত আব্বাসের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তোলেন বিজেপি বিধায়করা। বিক্ষোভ দেখিয়ে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন তাঁরা। উল্লেখ্য, সোমবার শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়ায় পরিত্যক্ত ঘর থেকে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর স্কুলের পোশাক পরা দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সোমবার রাতেই মাটিগাড়ার লেনিন পল্লি থেকে আব্বাস নামে ২২ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘এনআইএ তদন্ত হলে যাদবপুর থেকে গাঁজার চাষ উপড়ে ফেলবো’’, বললেন শুভেন্দু

    হাঁসখালি, কালিয়াগঞ্জ ও মাটিগাড়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হাঁসখালি থেকে শুরু করে রাজ্যে কোথাও নাবালিকা নির্যাতনে অভিযুক্তদের শাস্তি হয়নি। আমরা ফাঁসি চাই। এই ধরণের নরকের কীটদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। কালিয়াগঞ্জে অভিযুক্ত জাভেদের শাস্তির ব্যবস্থা করলে মাটিগাড়ার ঘটনা ঘটত না। উলটে আপনার পুলিশ অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেনকে দিয়ে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বুকে গুলি করালেন।” মহিলাদের সুরক্ষার প্রশ্নে মমতা প্রশাসনের নিন্দা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ খুনিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজন হলে এনকাউন্টার করা উচিত। এদের থাকা উচিত না সমাজে। এই সব ঘৃণিত জীব, পাষণ্ড। এদের কোনও হুঁশ নেই।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে ফাঁসির নির্দেশ দিলেন বিচারক, কী ঘটেছিল জানেন?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জকাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে ফাঁসির নির্দেশ দিলেন বিচারক, কী ঘটেছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক স্কুল শিক্ষক ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সাত বছরের সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করার অপরাধে ফাঁসির আদেশ দিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা জর্জ কোর্ট। বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক মামলার সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেখে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনার জন্য ধৃত যুবক উৎপল বেহরাকে ফাঁসির নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজা প্রাপকের নাম উৎপল বেহরা। মৃতদের নাম বন্ধুপ্রকাশ পাল (৪০) এবং তাঁর সাতমাসের গর্ভবতী স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল (৩০) এবং সাত বছরের ছেলে অঙ্গন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Murshidabad)

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎপলের বেহরার বাড়ি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘির সাহাপুর গ্রামে। তিনি পেশায় দিনমজুর। তাঁর বাড়ির কাছে বাড়ি ছিল বন্ধুপ্রকাশের। তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক। জিয়াগঞ্জের লেবুবাগান এলাকায় তিনি বাড়ি করে সপরিবার থাকতেন। তাঁর স্ত্রী বিউটি জীবন বীমার এজেন্ট ছিলেন। জীবন বিমার ব্যবসা বন্ধুপ্রকাশই চালাতেন। বন্ধুপ্রকাশের কাছে জীবন বীমা করেছিলেন উৎপল। প্রতিবছর ২৪ হাজার টাকা করে প্রিমিয়াম দিতে হত উৎপলকে। নিয়ম করে উৎপল পর পর তিন বছর ২৪ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন। পরে, উৎপল জানতে পারেন তাঁর নামে কোনও টাকা জীবন বীমা অফিসে জমা পড়়েনি। এরপরই ফোনে বন্ধুপ্রকাশের সঙ্গে উৎপল ফোনে কথা বলে। তারসঙ্গে বচসা হয়। জাত তুলে কথা বলতেই উৎপল দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপরই ২০১৯ সালের ৮ ই অক্টোবর  দূর্গা পুজোর দশমীর দিন স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ,তাঁর  অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও সাত বছরের সন্তানকে ধারালো অস্ত্র  দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে। উৎপল বেরাকে অপরাধী সন্দেহ করে গ্রেফতার করা হয়।

    কী বললেন সরকারি আইনজীবী?

    সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঘরের মধ্যে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা বধূ, তাঁর স্বামী এবং সাত বছরের সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করে। এই ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা। বিচারক সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শুনে এদিন সাজা ঘোষণা করেন।

    কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?

    এদিন বন্ধুপ্রকাশের মা সহ পরিবারের লোকজন আদালতে হাজির ছিলেন। বিচারক রায় শোনার পরই বন্ধুপ্রকাশের মা মায়া পাল বলেন, সত্যের জয় হল। ছেলে, বউমা, নাতিকে তো আর ফিরে পাব না। তবে, আমরা যা চেয়েছিলাম বিচারক সেই ফাঁসির রায় দিয়েছে। আমরা খুশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Fund: দু’ দিনের মধ্যে রাজ্যকে ১,৬৪৭ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র, খরচ করলেই মিলবে আরও

    Central Fund: দু’ দিনের মধ্যে রাজ্যকে ১,৬৪৭ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র, খরচ করলেই মিলবে আরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময় মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা। এই সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা (Central Fund) পেল নবান্ন। দু’ দিন আগেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৬৫১ কোটি টাকা পেয়েছিল রাজ্য সরকার। আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের তহবিলে চলে এল আরও ৯৯৬ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, অবিলম্বে এই অর্থ পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলিতে না পাঠালে বাড়তি সুদ গুণতে হবে রাজ্য সরকারকে। এক বছরের মধ্যে এই বরাদ্দের ৬০ শতাংশ খরচ করতে পারলেই ফের মিলবে টাকা।

    খরচ হয়নি আগের বরাদ্দই 

    প্রসঙ্গত, এর আগে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের যে বরাদ্দ এসেছিল, রাজ্যের অনেক জেলাই সেই অর্থ খরচ করতে পারেনি। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ওই টাকা দ্রুত খরচ করতে জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।

    বঞ্চনার অভিযোগ

    কেন্দ্রের (Central Fund) বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানা সময় সুর চড়িয়েছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। একশো দিনের কাজ সহ নানা প্রকল্পে কেন্দ্র বাংলার পাওনা আটকে রেখেছে বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অভিযোগেই ২ অক্টোবর দিল্লিতে ধরনা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার জন্য রাজ্যকে অনেক কাজ নিজেদের টাকায় করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় একলপ্তে রাজ্যের তহবিলে চলে এল ১ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। মূলত গ্রামীণ উন্নয়নের জন্যই এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: শাসকের কৌশল ব্যর্থ! ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের (Central Fund) বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার জন্য বঙ্গ বিজেপির নেতাদের দুষছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপিও সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্য ঠিকঠাক হিসেব দিলেই টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। এবার টাকা পাঠিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দিয়েছে, বরাদ্দ টাকার ৬০ শতাংশ খরচ করলেই মিলবে ফের টাকা।

    কেন্দ্রের দেওয়া টাকা রাজ্য খরচ করতে পারে কিনা, এখন সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শাসকের কৌশল ব্যর্থ! ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শাসকের কৌশল ব্যর্থ! ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা হবে, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মাঠে মারা গেল শুভেন্দুর সভায় বাধা দেওয়ার শাসকের কৌশল! ১৯ অগাস্ট পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে সভা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। ১৪ অগাস্ট এ ব্যাপারে অনুমতি চেয়েছিল পদ্মশিবির।

    সভায় বাধা পুলিশেরও

    বিজেপির আইনজীবীর (Calcutta High Court) দাবি, সভার ঠিক আগের দিন ওই এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এরপর সভার দিন বদল করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ঠিক হয়, সভা হবে ২৬ অগাস্ট। এবার বাধ সাধে পুলিশ। বিজেপিকে সভার অনুমতি দেয়নি তালপাতি ঘাট উপকূল থানা। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিজেপির আইনজীবীর অভিযোগ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে প্রতি পদে বাধা দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন।

    শুভেন্দুর সভা ২৬ অগাস্ট 

    বৃহস্পতিবার আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ, ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে সভা করতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই দিন দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে পারবে বিজেপি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে। আদালত জানিয়ে দেয়, সামান্য অশান্তি হলেই ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। এ রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি হয়নি। রাজ্যের যুক্তি মেনে অশান্তির কারণে যদি খেজুরিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, তবে যাদবপুরে নয় কেন? কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “এটা পুলিশ শাসিত রাজ্য নয় বা জরুরি অবস্থাও জারি হয়নি। এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। বিরোধীদের আটকাতে বাচ্চাদের মতো লড়াই করছেন কেন? আর অশান্তির কথা যদি বলেন, যাদবপুরে কি ১৪৪ ধারা জারি করেছেন?”

    আরও পড়ুুন: “আমরা তো চাঁদেই বাস করছি”! ভারতের ‘চাঁদমারি’তে শ্লেষ পাক নাগরিকের

    তাঁর মন্তব্য, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। কিন্তু কেবল বিরোধীদের আটকাতে এমন বাচ্চাদের মতো যুক্তি খাড়া করা যায় না।” বিচারপতি (Calcutta High Court) সেনগুপ্ত বলেন, “যে যে ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করা যায়, তার কোনওটাই খেজুরির ক্ষেত্রে ঘটেনি। ভাঙড়েও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। খেজুরি তো ভাঙড় নয়!” বিচারপতির নির্দেশ, ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ খারিজ করা হল। আগামী ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে সভা করতে পারবে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share