Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Chandrayaan 3: বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহ দান! ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ ঘোষণা রাজ্যপালের

    Chandrayaan 3: বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহ দান! ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ ঘোষণা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রাভিযানে ভারতের সাফল্যের পর গোটা চন্দ্রযান (Chandrayaan 3) টিম ও ইসরোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor C V Anand Bose)। একইসঙ্গে বিজ্ঞান-চর্চায় পড়ুয়াদের উৎসাহিত করতে নয়া উদ্যোগ নিচ্ছেন বাংলা সাংবিধানিক প্রধান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সেরা পড়ুয়াকে ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সেরা পড়ুয়াদের ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ বাবদ ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। 

    কী বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল বোস বাংলার সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার প্রসারে নজর দিয়েছেন। এবার ভারতের চন্দ্রাভিযানে (Chandrayaan 3) ইতিহাস গড়ার দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ‘চন্দ্রযান পুরস্কার’ এবং ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেল’ চালুর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। ভারতই একমাত্র দেশ, যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সফল অভিযান চালাল। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরে চতুর্থ দেশ হিসাবে মহাকাশযান সফল ভাবে চাঁদে অবতরণ করানোর তালিকায় উঠে এল ভারত। ভারতের জয়তে গর্বিত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    রাজ্যপাল এদিন বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোটা বিশ্বকে বুঝিয়েছেন কীভাবে যোগচর্চার মাধ্যমে ‘ইনার স্পেস’-কে জয় করা যায়। আর এবার চন্দ্রযান দেখিয়ে দিল আমরা ‘আউটার স্পেস’-কেও জিততে পারি। আমাদের বিজ্ঞানীরা আজ গোটা দেশকে গৌরবান্বিত করেছেন। বিজ্ঞানের জয়জয়াকার হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “ইতিহাস গড়ে, ইসরো ভূগোলের আইডিয়া তৈরি করল”! চন্দ্রযানের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রাষ্ট্রপতি

    রাজভবনে বিজ্ঞান সেল

    কলকাতায় রাজভবনে এদিন একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সেল চালু করার কথাও ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। এর মূল কাজ হবে রাজ্যবাসীকে বিজ্ঞানচর্চায় আরও বেশি উৎসাহিত করে তোলা। চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় চন্দ্রযান ৩-এরসা সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সমস্ত বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “ভারত এবার মহাকাশের সুপার লিগে।”

    চন্দ্রযানের সাফল্যের জন্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের তলব তৃণমূল নেতা সুজিত বসুকে, ফাঁসতে পারেন মন্ত্রী?

    TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের তলব তৃণমূল নেতা সুজিত বসুকে, ফাঁসতে পারেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম বাংলা ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায় রয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের (TMC) অনেকেই। সেই সূত্রেই এবার সিবিআই তলব করল তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে। ৩১ অগাস্ট বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের তরফে ইতিমধ্যেই সুজিতকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    সিবিআইয়ের তল্লাশি

    পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাতে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই সূত্রেই ডেকে পাঠানো হয়েছে সুজিতকে। কারণ মন্ত্রী হওয়ার আগে সুজিত (TMC) ছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান। ২০১৬ সালে ওই পদে ছিলেন তিনি। সেই সময় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অনুমান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের।

    সিবিআইকে কী জানালেন অয়ন?

    ১৯ মার্চ গ্রেফতার হন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট উদ্ধার হয়। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অয়ন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি মোট ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেখানেও খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি। বহাল থাকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমরা পৃথিবীতে সংকল্প নিয়েছি, আর চাঁদে তা সফল করেছি’’, বললেন মোদি

    এদিকে, সম্প্রতি ফের (TMC) নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। সোম ও মঙ্গলবার তারা হানা দিয়েছিল নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে। ইডির দাবি, এই সংস্থার সিইও ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিরেক্টর ছিলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সুজয়ের মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটেও চালানো হয়েছে তল্লাশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিবিরহাটের সাজুয়া এলাকায় প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি তৃণমূলের শামিমা শেখের স্বামী ও তৃণমূল নেতা রমজান শেখের আবাসন প্রকল্পেও হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Panel: উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ স্কুল সার্ভিস কমিশনের, বিশেষ কী রয়েছে জানেন?

    SSC Panel: উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ স্কুল সার্ভিস কমিশনের, বিশেষ কী রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান। শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মেধাতালিকা (SSC Panel) প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বুধবার যাঁদের রেজাল্ট বের হল, তাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে, উচ্চ প্রাথমিক অ্যসিস্ট্যান্ট শিক্ষক পদে। হাতের কাজ ও শারীর শিক্ষা বাদে বাকি পদের জন্য আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করল কমিশন।

    ফল জানা যাবে এই ওয়েবসাইটে

    জানা গিয়েছে, ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদ থাকলেও মেধা তালিকায় নাম রয়েছে ১৩ হাজার ৩৩৪ জনের। একাধিক বিষয়ে যোগ্য প্রার্থী না মেলায় ফাঁকা রয়েছে বেশ কিছু পদ। প্রকাশিত মেধা তালিকা দেখা যাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে। ফল জানতে লগইন করতে হবে www.westbengalssc.com  এবং www.wbsschelpdesk.com সাইটে। এই তালিকায় যাঁদের ঠাঁই হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের নাম ও রোল নম্বরের উল্লেখ থাকবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই আবেদনকারী (SSC Panel) চাকরিপ্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর, অ্যাকাডেমিক কোয়ালিফিকেশনের নম্বর সহ যাবতীয় তথ্যের উল্লেখ থাকবে। অস্বচ্ছতা এড়াতেই এই ব্যবস্থা বলে বিকাশ ভবন সূত্রে খবর।

    কমিশনের বক্তব্য

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, সব কিছু মাথায় রেখেই আমরা প্যানেল প্রকাশ করেছি। ৩০ তারিখের পর থেকে হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে। আমরা প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দেব কি দেব না, পুরোটাই নির্ভর করছে হাইকোর্টের ওপর। ৩০ অগাস্ট হাইকোর্টের কাছে নিয়োগের জন্য অনুমতি চাওয়া হবে। এরপর আদালতের নির্দেশ মতোই চলবে প্রক্রিয়া (SSC Panel)। হাইকোর্ট যা বলবে, আমরা তা-ই করব।

    আরও পড়ুুন: ব্রিকসের মঞ্চেও ঘুঁচল না দূরত্ব, মোদি জিনপিং রইলেন দূরে দূরেই

    প্রসঙ্গত, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলির পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য নিয়োগ করা হবে এই শিক্ষকদের। ২০১৪ সালে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় নানা জটিলতা। আন্দোলন, দাবি-প্রতিবাদ, আইনি গেরো কাটিয়ে শেষমেশ বুধ-সন্ধ্যায় দিনের আলো দেখল ওই মেধা তালিকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং হয়েছিল’! ‘প্রমাণ’ পেল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন

    Jadavpur University: ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং হয়েছিল’! ‘প্রমাণ’ পেল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ব়্যাগিং হয়েছিল বলে ‘প্রমাণ’ পেলেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের তদন্তকারীরা। কমিশন সূত্রে খবর, তদন্তকারী দল সে দিনের রিপোর্ট ও সাক্ষীদের বয়ান খতিয়ে দেখে এই প্রমাণ পেয়েছে। মঙ্গলবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল কমিশনকে। পাঠানো হয়েছিল ৩০টিরও বেশি ফাইল। সেই রিপোর্ট ও সাক্ষীদের বয়ান খতিয়ে দেখতে শুরু করেন কমিশনের তদন্তকারী দলের সদস্যরা। সেই রিপোর্টেই মিলেছে ব়্যাগিংয়ের প্রমাণ।

    রেজিস্ট্রারের বক্তব্য

    কমিশনের প্রমাণ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, “যে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল, তার পুরোটাই আমরা জমা দিয়েছি। কমিশন আমাদের ব়্যাগিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে কিছু জানায়নি। বুধবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকেও ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এদিনই সেই রিপোর্ট পাঠানো হবে।” প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় তার পরিবার ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয় ১৩ জন পড়ুয়াকে।

    ক্যান্টিনের রাঁধুনিকে তলব

    এদিকে, ছাত্রমৃত্যুর জট খুলতে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) মেইন হস্টেলের ক্যান্টিনের রাঁধুনিকে। ৯ অগাস্ট রাতে কিংবা তার আগে মেইন হস্টেলে কী হয়েছিল বা হত, তা নিয়ে পুলিশি জেরায় মুখ খুলেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, হস্টেলে প্রথমবর্ষের ছাত্রদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা। মঙ্গলবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ৯ অগাস্ট রাতের ঘটনা সম্পর্কেও বয়ান রেকর্ড করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, রাঁধুনির ওই বয়ানেও ব়্যাগিংয়ের প্রমাণ মিলেছে।

    আরও পড়ুুন: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সিইও ছিলেন অভিষেক! বিবৃতি জারি করে জানাল ইডি

    মঙ্গলবার রাঁধুনিকে জেরার পর বুধবার ক্যান্টিনেরই পাঁচ কর্মচারীকে তলব করা হয় যাদবপুর থানায়। এদিন দুপুর পর্যন্ত তাঁদের কয়েকজন থানায় এসেও পৌঁছেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্যান্টিনে যেহেতু সব ক্লাসের পড়ুয়ারই যাওয়া-আসা থাকে, তাই তাঁদের আলোচনা কিংবা আচরণ চোখ এড়ানোর কথা নয় ক্যান্টিন কর্মীদের। ক্যান্টিনটি হস্টেল লাগোয়া হওয়ায়, হস্টেলের নানা ঘটনা সম্পর্কেও অল্পবিস্তর অবগত ক্যান্টিন কর্মীরা। সেই কারণেই ডাকা হয়ে থাকতে পারে তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সিইও ছিলেন অভিষেক! বিবৃতি জারি করে জানাল ইডি

    ED: ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর সিইও ছিলেন অভিষেক! বিবৃতি জারি করে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই ইডির (ED) ফাঁসে জড়িয়ে পড়ছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! বুধবার এক প্রেস বিবৃতিতে ইডি জানিয়ে দেয়, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার বা সিইও। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’ তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, সোমবার ভোর থেকে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থার অফিসে তল্লাশি শুরু করেন ইডির গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার এ নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে অবশ্য আখেরে লাভ হয়নি তৃণমূলের। বরং এদিন বিবৃতি জারি করে ইডি (ED)। তাতে বলা হয়েছে, বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে গত ২১ ও ২২ অগাস্ট কলকাতায় তারা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সূত্রেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

    প্রচুর নথি উদ্ধার

    তাতে বেশ কিছু নথি ও ডিজিট্যাল সাক্ষ্য প্রমাণ উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন ‘মেসার্স লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর চিফ অপারেটিং অফিসার তথা সিওও। মূলত কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হত এই কোম্পানিকে। অভিষেকের পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রও এই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন। ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ওই কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

    এদিকে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এ ইডির (ED) তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন করায় মেজাজ হারান সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। তল্লাশিতে ইডির হাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এসেছে জানতে পেরেই বুকের ব্যথা বেড়েছে সুজয়ের। মঙ্গলবার শারীরিক পরীক্ষা করাতে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। তখনই সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারান কালীঘাটের কাকু। তিনি বলেন, “সরুন এখান থেকে, অসভ্য সব…।” পরে বলেন, “দু কোটি বার তল্লাশি করবে, তোর বাপের কী? গালাগালি দিয়ে ফের বলেন, “তোর বাপের কী?”

    আরও পড়ুুন: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত”, ব্রিকসে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর বিষ্ণুপুর জল কারখানা থেকে দু’ ব্যাগ নথি ও ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডির আধিকারিকরা। নিউ আলিপুরের অফিস থেকেও উদ্ধার হয়েছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রচুর নথি। 

    ফান্দে পড়িয়াই কি গালাগালি করছেন ‘কাকু’!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম রাজ্যের ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকে তলব সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম রাজ্যের ‘হেভিওয়েট’ মন্ত্রীকে তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (municipality recruitment scam) এবার রাজ্যের এক মন্ত্রীকে তলব করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই তাঁর কাছে তলবের চিঠি স্পিড পোস্ট করে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর,আগামী ৩১ অগাস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। 

    কেন মন্ত্রীকে তলব

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আস্তে আস্তে জাল গোটাচ্ছেন তদন্তকারীরা। হাইকোর্টের আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ার পরই আরও তৎপর সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস থেকে বুধবারই স্পিড পোস্টে নোটিস পাঠানো হল রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে। যাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তিনি একজন হেভিওয়েট মন্ত্রী। তিনি দুর্নীতির সময় পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের কীভাবে পরিচয়, দুর্নীতি কাণ্ডে তাঁর ভূমিকাই বা কী ছিল, কীভাবে এবং কবে এই দুর্নীতির শুরু, তা জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। 

    আরও পড়ুন: ল্যান্ডারের ‘সফট ল্যান্ডিং’ নয়, বিজ্ঞানীদের চিন্তায় রেখেছে চাঁদের ধুলো! কেন?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। এই মামলায় সিবিআই-কে তদন্ত করার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে হাইকোর্টে এই মামলার বেঞ্চ বদল হয়। ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। এরপর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু সেখানেও কার্যত ধাক্কা খায় রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই-এর পক্ষে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এ এস ভি রাজু সওয়াল করেছিলেন, দুটি মামলা অর্থাৎ স্কুল ও পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতির ক্ষেত্রে এক সাধারণ অভিযুক্ত রয়েছেন। এই সওয়ালকে মান্যতা দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ পরই প্রথম রাজ্যের কোনও মন্ত্রীকে তলব করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের বাড়তি ৬ নম্বর, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    Calcutta High Court: ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের বাড়তি ৬ নম্বর, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুল প্রশ্ন মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৪ সালের সব টেট প্রার্থীকেই ৬ নম্বর করে দেওয়া হবে। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চ ২০১৪ সালের সব টেট প্রার্থীকে ৬ নম্বর দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে কোনও ভুল নেই। একই সঙ্গে এই মামলা ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠাল ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানে বোর্ড তার হলফনামা জমা দিতে পারবে বলে নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের।

    টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল

    ২০১৪ সালের টেটের প্রশ্নপত্রে ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে এই অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রশ্ন যাচাই করতে তৎকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটিও জানায়, ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এর পরেই বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় যাঁরা কেবল ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নেগেটিভ মার্কিংয়ের শিকার হয়েছেন, তাঁদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন।

    মামলা ডিভিশন বেঞ্চে

    সিঙ্গল (Calcutta High Court) বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, কেবল মামলাকারীরা নন, ২০১৪ সালে যাঁরা টেট দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকেই ৬ নম্বর দিতে হবে। এই ধরনের অন্য একাধিক মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৪ সালে যাঁরা টেট দিয়েছিলেন, তাঁদের সকলকে ৬ নম্বর দিতে হবে। তিনি এই নির্দেশও দেন, এই ৬ নম্বর পাওয়ায় যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এবার অংশ নিতে পারবেন তাঁরাও। তিন মাসের মধ্যে ৬ নম্বর দিয়ে চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ দিতে হবে তাঁদের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার প্রেক্ষিতেই এদিন রায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভই কিংপিন”, আদালতে দাবি পুলিশের

    এবার নতুন করে মেধাতালিকা, প্যানেল ও নিয়োগ কোনপথে হবে, তা নিয়েই সিঙ্গল বেঞ্চে হলফনামা জমা দেবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে, ইতিমধ্যেই ভুল প্রশ্নে নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়েছেন ২৬৯ জন। এর বিরুদ্ধে ফের মামলা করেন চাকরিপ্রার্থী মৌমি চক্রবর্তী সহ ১৬৮ জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভই কিংপিন”, আদালতে দাবি পুলিশের

    Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভই কিংপিন”, আদালতে দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে কিংপিন সৌরভ চৌধুরীই। আজ, মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে এমনই দাবি করলেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। প্রামাণ হিসেবে অন্য এক পড়ুয়াকে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রাক্তনী সৌরভের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উল্লেখ করেন তিনি। সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের ওই ছাত্রকে আসলে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটিকে তিনি বিরলের মধ্যে বিরলতম বলেও উল্লেখ করেন। এদিন সৌরভকে ২৫ অগাস্ট এবং মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

    সৌরভের ওপরই সন্দেহ ছিল

    ঘটনার পরে পরেই সৌরভের ওপরই সন্দেহ বাড়তে থাকে তদন্তকারী আধিকারিকদের। সৌরভকে জেরা করে প্রয়োজনীয় তথ্য মিলতে পারে বলেও মনে করেছিলেন তদন্তকারীদের একাংশ। তাই গ্রেফতারের আগে একবার এবং পরেও একবার তাঁকে জেরা করেছিলেন খোদ কলকাতার (Jadavpur University) পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এদিন আদালতে পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়, সৌরভই মাথা। সৌরভকে বাঁচাতে রাতারাতি কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ক্রিয়েট করা হয়েছিল, আদালতে এদিন তাও জানিয়েছে পুলিশ।

    সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি

    সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেন, এঁদের চ্যাট থেকেই স্পষ্ট, নিজেদের মধ্যে ষড়যন্ত্র কোন পর্যায়ে পৌঁছেছিল। এটা খুন। ছাত্রের বাবাও অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ছেলেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে ব়্যাগিং হয়েছে, তার বিস্তারিত আদালতে জমা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কী হয়েছিল, কারা ছিল, সব জানতে হবে। আরও কতজনকে এভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, তার বয়ান নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষায় দারুণ ফল করলেই খুন করার অধিকার আইন দেয়নি। তিনি বলেন, মনোতোষের ডায়েরি থেকে অত্যাচারের তথ্য উঠে এসেছে। এঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা দরকার।

    আরও পড়ুুন: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর

    ২৪ ঘণ্টার নয়া হেল্পলাইন নম্বর চালু রাজ্যের

    এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) পর সম্বিত ফিরল মুখ্যমন্ত্রীর। ব়্যাগিং রুখতে ২৪ ঘণ্টার নয়া হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানেই ওই ফোন নম্বরের উল্লেখ করেন তিনি। নম্বরটি হল, ১৮০০৩৪৫৫৬৭৮। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও পড়ুয়া ব়্যাগিংয়ের শিকার হলে ওই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। তাঁর নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: টাকি পুরসভার পাঁচজন কাউন্সিলার একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন, কেন জানেন?

    Basirhat: টাকি পুরসভার পাঁচজন কাউন্সিলার একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) টাকি পুরসভায় পাঁচজন কাউন্সিলার পদত্যাগ করলেন। মূলত, পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন তৃণমূলের ওই কাউন্সিলররা। বিধানসভায় গিয়ে তাঁরা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে এসেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (Basirhat)  

    বসিরহাটের টাকি পুরসভায় মোট ১৬ টি আসন রয়েছে। যাঁর মধ্যে ১৪ টি আসন তৃণমূলের দখলে ছিল। ২টি আসন পেয়ে বিরোধী আসনে রয়েছে বিজেপি। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের নাম ফারুক গাজি। তাঁর বিরুদ্ধে কাউন্সিলারদের মারধর করা এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, টাকি পুরসভা এলাকায় ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজি কাজ করতে বাধা সৃষ্টি করেন। এর প্রতিবাদ করলে ভয় দেখানো, এমনকী আমাদের মারধর করা হয়েছে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজির বিরুদ্ধে সরব হয়েই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান তাঁরা। জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্য বিধানসভায় গিয়ে জেলার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে পদত্যাগ পত্র পেশ করেন পাঁচজন কাউন্সিলর। পাশাপাশি, বসিরহাটের (Basirhat) মহকুমা শাসকের কাছেও তাঁরা পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এমত অবস্থায় টাকি পুরসভায় অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। কাউন্সিলররা সেচমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার ভারপ্রাপ্ত নেতা পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে দেখা করেন। এসব অভিযোগ নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    কী বললেন পদত্যাগী কাউন্সিলার?

    এদিন পাঁচ কাউন্সিলারের তরফে প্রদ্যুৎ দাস বলেন, ওই ভাইস চেয়ারম্যানের জন্য আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছি না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা  নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারছি না। ফারুক গাজি আপাদমস্তক দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এর আগে আমরা জেলা নেতৃত্বের কাজে বারবার অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু, কারও কাছ থেকে সুরাহা পাইনি। এমনকী ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা কাউন্সিলারদের গায়েও হাত তোলেন। সে ব্যাপারেও জেলার নেতাদের জানানো হয়েছে। দেওয়ালে পিঠ থেকে গিয়েছে বলে আমরা এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। এদিন পাঁচজন একসঙ্গে পদত্যাগ করায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা বর্তমানে ৯ জন হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির অজস্র প্রমাণ! হাইকোর্টে খারিজ জীবনকৃষ্ণের জামিনের আবেদন

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির অজস্র প্রমাণ! হাইকোর্টে খারিজ জীবনকৃষ্ণের জামিনের আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha)  জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট  (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। রায়দানের সময় বিচারপতি বলেন, “জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে যে যে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে এই মুহূর্তে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়।” যার ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হবে জীবনকে।

    প্রমাণ পেশ করল সিবিআই

    নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) গত ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। নিয়োগ দুনীর্তির তদন্ত করতে গিয়ে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবন প্রচুর তথ্য আসে সিবিআই-এর হাতে। তাঁর মুর্শিদাবাদাদের বাড়িতে প্রায় ৬৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রচুর নথিও উদ্ধার হয় তাঁর বাড়ি থেকে। সিবিআই-এর দাবি টাকার বিনিময়ে বহু অযোগ্য ব্যক্তিকে শিক্ষকের চাকরি করে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। গত ১৫ জুলাই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধেসাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ নেওয়ার মতো অভিযোগের পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহার এজেন্ট সুব্রত সামন্ত রায়েরও।

    আরও পড়ুন: “শীঘ্রই আপনার পরিবারের কোনও সদস্য যদি ভিতরে ঢুকে যায়?” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর

    জেলেই জীবন

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ব্যাংকের লেনদেন নজর রাখলেই বোঝা যায় যে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জীবনকৃষ্ণ সাহার প্রত্যক্ষ ভূমিকা আছে। তিনি একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। সিবিআইয়ের তরফে জীবনকৃষ্ণের বিরুদ্ধে মেলা সমস্ত প্রমাণ কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। আর সেই প্রামাণ্য নথি খতিয়ে দেখে জীবনকৃষ্ণের জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি। তিনি জানিয়ে দেন, ওঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির এত প্রমাণ মেলার পর জামিন কোনওভাবেই সম্ভব নয়। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী, নাইসার আধিকারিক নিলাদ্রি দাস। তবু শিঁকে ছিঁড়ল না তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ভাগ্যে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share