Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: “রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গবাসী”! হাইকোর্টের দুয়ারে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গবাসী”! হাইকোর্টের দুয়ারে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা। আজ, মঙ্গলবার এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ফি বার নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল হাওয়া গরম করে বলে অভিযোগ। রাজ্যের অভিযোগ, কেন্দ্রের জন্যই বন্ধ হয়ে গিয়েছে একশো দিনের প্রকল্পের টাকা। এবার পাল্টা চাল দিল বঙ্গ বিজেপি। দায়ের করল জনস্বার্থ মামলা। আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে মামলাটির।

    সুকান্তর অভিযোগ

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রকল্পের কথা যাতে বাংলার মানুষ জানতে পারেন, সেজন্য পঞ্চায়েত স্তরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কমন সার্ভিস সেন্টার (সিএসসি) চালু করা হয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্যের প্রায় ৪০ হাজার সিএসসি বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলার মানুষ যাতে কেন্দ্রীয় পরিষেবার কথা জানতে না পারেন, তাই ওই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য।”

    সিএসসির সুবিধা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “সিএসসির মাধ্যমে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ই-সার্ভিস মারফৎ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা জানতে পারতেন গ্রামের বাসিন্দারা। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ওই পরিষেবা তুলে দেয়। পরিবর্তে ‘বাংলা সেবা কেন্দ্র’ নামে একটি সেন্টার খোলা হয়েছে।” “কেন ওই পরিষেবা বন্ধ করা হল?”, প্রশ্ন সুকান্তর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েত অফিসে কমপক্ষে দেড় লক্ষ ছেলেমেয়েকে কর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য। তাই পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে কেন্দ্রের ওই পরিষেবা আবার চালু হোক।” তিনি জানান (Sukanta Majumdar), প্রায় ২০০ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা নানাভাবে পান রাজ্যের মানুষ।

    আরও পড়ুুন: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষ যাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জানতে পারেন, তাই কমন সার্ভিস সেন্টার খুলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। পঞ্চায়েত স্তরে এই কমন সার্ভিস সেন্টারগুলি খোলা হয়েছিল। আয়ুষ্মান ভারত, কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা সহ নানা প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কোথায় যেতে হয়, কী করতে হয়, অনায়াসেই মিলত এসব তথ্য। এই সব কেন্দ্রের সুবিধা পেতেন মূলত প্রান্তিক অঞ্চলের বাসিন্দারাই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “শীঘ্রই আপনার পরিবারের কোনও সদস্য যদি ভিতরে ঢুকে যায়?” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “শীঘ্রই আপনার পরিবারের কোনও সদস্য যদি ভিতরে ঢুকে যায়?” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে আর মাত্র ৬ মাস সময় আছে বলে মন্তব্য করেছিলেন মমতা। তারই পাল্টা হিসেবে সুকান্ত বলেন,  “মুখ্যমন্ত্রীর হাতে কি ৬ সপ্তাহ সময় আছে? তার মধ্যেই যদি আপনার পরিবারের কোনও সদস্য ভিতরে ঢুকে যায়?” 

    সুকান্তর অভিমত

    ইন্ডিয়া জোট নিয়েও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইএনডিআইএ-র একজন সদস্য। কিন্তু ইন্ডিয়া আপনার সঙ্গে নেই। ভারতবাসী প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গেই রয়েছে আর থাকবেও।” লুঠপাট সত্বেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে যে ১১ হাজার আসন পেয়েছে সেটা বড় ব্যাপার, বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    রাজ্যে সিএএ লাগু করার ব্যাপারেও সরব হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালুর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ। সুকান্ত মজুমদার জানান, জনসাধারণকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। মূলত, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ করতে পারে বলে জানান তিনি।তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা প্রসঙ্গে সুকান্ত জানান, তৃণমূলের কাজই হচ্ছে বিজেপি যা পদক্ষেপ নেবে তার বিরোধিতা করা। তবে এই আইন চালু হলে জন সাধারনের কতোটা উপকার হবে সেটা সকলে বুঝতে পারবে, তখনই সবাই এই আইনকে স্বাগত জানাবে বলে মত বিজেপি রাজ্য সভাপতির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় স্বপ্নদীপকে! মিলেছে র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ, দাবি পুলিশের

    JU Student Death: বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় স্বপ্নদীপকে! মিলেছে র‌্যাগিংয়ের প্রমাণ, দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের তদন্তে। দুর্ঘটনার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দায় বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়েছিল স্বপ্নদীপকে (JU Student Death)। মঙ্গলবার লালবাজার সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের আরও দাবি, র‌্যাগিংয়ের (JU Student Death) সমস্ত প্রমাণ মিলেছে। জানা গিয়েছে, যে ১২ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই সেদিনের র‌্যাগিং-এ জড়িত। ইতিমধ্যে র‌্যাগিং বিরোধী আইনের ৪ নম্বর ধারায় মামলা (JU Student Death) রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তের জাল ক্রমশই গোটাচ্ছে পুলিশ।

    হস্টেলের ৭০ নম্বর ঘরে বিবস্ত্র করা হয় স্বপ্নদীপকে (JU Student Death)

    মঙ্গলবার হস্টেলের রাঁধুনিকে লালবাজারে তলব করা হয়। ঘটনার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল সে কথাই জানা হয় তাঁর কাছ থেকে, এমনটাই সূত্রের খবর। লালবাজার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বপ্নদীপের (JU Student Death) রুম নম্বর ৬৮ হলেও তাঁকে ৭০ নম্বর ঘরে বিবস্ত্র করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে হস্টেলের বারান্দা থেকে নীল রঙের হাফপ্যান্ট এবং গেঞ্জিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছে যে সেটি স্বপ্নদীপের (JU Student Death) পোশাক। অভিযোগ উঠেছে, স্বপ্নদীপকে সমপ্রেমী বলে খেপানো হতো। সে যে সমপ্রেমী নয়, তা প্রমাণ করতে বলে সিনিয়রা। বারবার বাড়ি ফেরার কথা নিজের মাকে বলতে থাকে স্বপ্নদীপ।

    যাদবপুরকাণ্ডে বিধানসভায় বিক্ষোভ বিজেপির

    প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যান স্বপ্নদীপ কুণ্ডু (JU Student Death)। তিনি ছিলেন বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। পরের দিন ভোর বেলায় তাঁর মৃত্যু (JU Student Death) হয়। সামনে আসে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ। এই ঘটনায় একে একে ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে, সোমবারই যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টসকে তলব করে মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু রজত রায়কে জিজ্ঞাসাবাদে করে সন্তুষ্ট নয় মানবাধিকার কমিশন (JU Student Death), এমনটাই জানা গিয়েছে। পূর্ব ঘোষণা মতো এদিনই যাদবপুরকাণ্ডে বিধানসভায় কালো উত্তরীয় পরে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর  

    Jadavpur University: “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে মাদক পাচার হতো”, বিধানসভায় তোপ শুভেন্দুর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার যাদবপুর ইস্যুকে বিধানসভায় টেনে এনেছেন শুভেন্দু। এনেছেন মুলতুবি প্রস্তাবও। নিজে পাঠ করেছেন সেই প্রস্তাব। তাঁর এই প্রস্তাব গ্রহণও করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই সভায়ই সরকারকে চাঁদমারি করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে রাতের অন্ধকারে মাদক পাচার চক্রের রমরমা ছিল। এ ব্যাপারে স্থানীয় থানা কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    শুভেন্দু (Jadavpur University) বলেন, “ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য স্তম্ভিত। মাদক পাচার চক্রের অবাধ বিচরণ ছিল বলে অভিযোগ। ঢিল ছোড়া দূরত্বে থাকা থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। সিনিয়ররা হস্টেল দখল করে রাখতো।  ব়্যাগিং করেছে। সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হৃদয়বিদারক। এটা নতুন নয়। ওখানে এক ধরনের উগ্র বাম মানসিকতার সংগঠনের ছাত্র আছে, যারা মাঝে মাঝে দেশবিরোধী কথা বলে।”

    বিলম্বিত বোধোদয়

    ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের। ওই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। অভিযোগ, ক্যাম্পাসে নিত্য আনাগোনা বহিরাগতদের। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই মদের বোতল পড়ে থাকার দৃশ্য দেখা গিয়েছে সংবাদ মাধ্যমে। এহেন আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ঘোষণা করেছেন, মাদক ও সুরা নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবই জানেন। কারণ সিপিএম এবং আল্ট্রা-সিপিএম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চান বলেও অভিযোগ অগ্নিমিত্রার।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এ পর্যন্ত প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ১৩ জন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃত পড়ুয়ার সমান ওজনের খড়ের পুতুল বানিয়ে তদন্ত করছেন আধিকারিকরা। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তির বরাবর রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার দিকে। যে অভিযোগের অভিমুখ এদিনও ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের দিকেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Jadavpur University: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    Jadavpur University: যাদবপুরের আঁচ বিধানসভায়ও, ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির, ওয়াকআউট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) আঁচ পৌঁছল বিধানসভায়ও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্য। মঙ্গলবার এ নিয়ে সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ছাত্রমৃত্যুর প্রতিবাদে এদিন গলায় কালো উত্তরীয় জড়িয়ে বিধানসভায় আসেন বিজেপি বিধায়করা। আনেন মুলতুবি প্রস্তাব। প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন স্পিকার। অধিবেশন শুরু হলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শ্রেণির উগ্র বাম মানসিকতার লোক রয়েছে, তারা মাঝে মধ্যে দেশবিরোধী কথাবার্তাও বলে। এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশবিরোধী কথা বলার একটা ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। তাদের জন্য যাদবপুরে রুলস-রেগুলেশন কিছুই মানা হয় না। মানা হলে গ্রামের মেধাবী ছাত্রটির জীবন এভাবে চলে যেত না।”

    শুভেন্দুর প্রশ্ন

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) সিসি ক্যামেরা বসানো সহ যেসব নির্দেশিকা দিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, সেসব মানা হয়নি কেন, এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসুর কাছে তা জানতে চান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তীকে পদ্যত্যাগে বাধ্য করেছিলেন বলেও শিক্ষামন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। বিজেপির তরফে এদিন ফের এনআইএ তদন্তের দাবিও জানানো হয়। অধিবেশন কক্ষেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পরে ওয়াক-আউট করেন বিধানসভা কক্ষ থেকে। 

    শুভেন্দুকে নোটিশ 

    এদিকে, এবার শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠাল যাদবপুর থানা। তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, যেদিন শুভেন্দুর ওপর হামলা হয়েছিল, সেদিনের ঘটনা বিশদে জানতেই ডেকে পাঠানো হয়েছে শুভেন্দুকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আইনি সন্ত্রাস’’! ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের (Jadavpur University) প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কর্মসূচি সেরে ফেরার সময় শুভেন্দুকে কালো পতাকা দেখানো হয়। তাঁর গাড়িতে হামলা হয় বলেও অভিযোগ। এর পরেই যাদবপুর জিআরপিতে আরএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পরে শুভেন্দুর অভিযোগ জিআরপির তরফে হস্তান্তরিত করা হয় কলকাতা পুলিশে। তার প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুকে নোটিশ পাঠিয়েছে যাদবপুর থানা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: জাতীয় পতাকার অবমাননা! শুভেন্দুর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: জাতীয় পতাকার অবমাননা! শুভেন্দুর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের দিন বাঁশবেড়িয়ার জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় রাজ্যকে তিরস্কার করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘জাতীয় পতাকার অবমাননা করে কেউ নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারে না’।

    কী ঘটেছিল

    জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে একটি জনস্বার্থ মামলা হয় হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৷ সেই মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৫ অগাস্ট পতাকা উত্তোলনের সময় বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলে কিছু দুষ্কৃতী পতাকার অবমাননা করে৷ পাথর ছোড়ে। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাটি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। সওয়াল জবাবের সময়ে রাজ্যের তরফে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, আদৌ সেদিন ওই স্কুলে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছিল কিনা, সেই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। রাজ্যের আইনজীবী অনির্বাণ রায় আদালতে জানান, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখনই মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরাই আদতে ‘ভিক্টিম’। তখন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “যদি বলছেন, কিছু হয়নি, তাহলে তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হয়েছে?” রাজ্যের আইনজীবী উত্তর দেন, “স্কুলের বাইরে জমায়েত করেছিলেন। গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা চলছিল।” রাজ্যের এহেন উত্তরে অসন্তুষ্ট হন প্রধান বিচারপতি। এরপরই রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য,” আপনার কী মনে হয় না, এটা সিরিয়াস।” বিচারপতির মন্তব্য, “রাজ্যের এ বিষয়ে আরও সজাগ হওয়া উচিৎ ছিল।”  শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “মামলাকারী ইনি বলেই কি এত অনীহা?” 

    আরও পড়ুন: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    আদালতের অভিমত

    রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, “আপনি ভুলে যান কে আদালতে এসেছে। জাতীয় পতাকার অবমাননা আমাদের সবার অবমাননা। রাজ্যের আরও প্রোঅ্যাক্টিভ হওয়া উচিত। পুলিশ-থানার উচিৎ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত পদক্ষেপ নেওয়া।” এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, “সরকারি স্কুলের ভিতরে জাতীয় পতাকা (National Flag) অবমাননার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। রাজ্য অভিযোগ খতিয়ে না দেখে কে মামলা করেছে সেইদিকে তাকিয়ে রয়েছে, এটা ঠিক নয়।” প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “সব কিছুকে রাজনৈতিক রঙ দেবেন না। মিথ্যে বলবেন না। আপনি চোখ বন্ধ রাখলেই পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যায় না। যবে থেকে এসছি দেখছি মামলাকারী কে সেটা এখানে খুব গুরুত্ব পায়।” এবিষয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।  স্কুলকে এই মামলায় যুক্ত করার কথাও বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘আইনি সন্ত্রাস’’! ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: ‘‘আইনি সন্ত্রাস’’! ৪৯৮-এ ধারার অপব্যবহারে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারা যত্রতত্র ব্যবহার করে ‘আইনি সন্ত্রাস’ করছেন মহিলারা। সোমবার এক মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮-এ ধারা অনুযায়ী, বিবাহিত কোনও মহিলা শ্বশুরবাড়িতে নিষ্ঠুরতার শিকার হলে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের শাস্তি হবে। আদালতের মতে, এই ধারারই অপব্যবহার করছেন মহিলারা।

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    ২০১৭ সালের একটি মামালার শুনানি হচ্ছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের সিঙ্গল বেঞ্চে। এক মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের সদস্যরা তাঁর ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করেন। তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে স্ত্রীর করা সব অভিযোগ সরিয়ে নেওয়ার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলার স্বামীও। এই মামলার শুনানিতেই এদিন বিচারপতি সামন্ত বলেন, “সমাজ থেকে পণের ভয় দূর করতে আইনসভা ৪৯৮-এ বিধান প্রণয়ন করেছে। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, উক্ত বিধানের অপব্যবহার করে নতুন আইনি সন্ত্রাসের রাস্তা উন্মোচিত হচ্ছে।” আদালত জানিয়েছে, যদি ফৌজদারি আইন একজন অভিযোগকারীকে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দেয়, তাহলে এটিকে যৌক্তিক প্রমাণ প্রতিপন্ন করে তাকে ন্যায়সঙ্গত করতে হবে।

    মহিলার অভিযোগ

    বিচারপতি (Calcutta High Court) সামন্ত বলেন, “আমি মনে করি যে, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে (এই মামলায়) অভিযোগ দায়ের করা তাৎক্ষণিক ফৌজদারি মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে কোনও অভিযোগ দাঁড়াচ্ছে না।” আদালত বলেছে, “এই উদ্যোগ কেবলমাত্র ব্যক্তিগত রাগ নিয়ে দায়ের করা হয়েছে।” আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পরেই খারিজ হয়ে যায় মামলা। 

    আরও পড়ুুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা মোদির, কী বললেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রথম স্বামীর বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা। অভিযোগ (Calcutta High Court) পেয়ে পুলিশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশীর বয়ান রেকর্ড করে। পুলিশ লক্ষ্য করে, স্বামীর বিরুদ্ধে সাধারণ কয়েকটি অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে ফের একটি মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা। এবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করা হয় স্বামীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: ব়্যাগিং রুখতে যাদবপুরে কুইক রেসপন্স টিম, আর কী সিদ্ধান্ত হল বৈঠকে?  

    Jadavpur University: ব়্যাগিং রুখতে যাদবপুরে কুইক রেসপন্স টিম, আর কী সিদ্ধান্ত হল বৈঠকে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুর জেরে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। তার জেরে এবার সম্বিত ফিরল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। ব়্যাগিং রুখতে নেওয়া হল কুইক রেসপন্স টিম তৈরির সিদ্ধান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’কিমি এলাকার মধ্যে থাকবে এই টিম। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হস্টেলে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত পদক্ষেপ করবে এই টিম। আজ, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধানরা। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুও।  

    অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির বৈঠক 

    ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথমবর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনায় উঠেছে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। তারপরেই এদিন পদক্ষেপ করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিনের বৈঠকে সিসি ক্যামেরা বসানো নিয়েও আলোচনা (Jadavpur University) হয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির তরফে কথা বলা হবে স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের সঙ্গে। তাঁদের ভয় কাটাতেই অবলম্বন করা হবে এই পন্থা। যেসব অধ্যাপক মেন্টর হিসেবে কাজ করেন, তাঁদের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করা হবে। পড়ুয়াদের কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি কথা বলা হবে তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গেও।

    ব়্যাগিং ও বুলিং বন্ধে ব্যবস্থা

    ব়্যাগিং ও বুলিং বন্ধে অ্যান্টি-ব়্যাগিং কমিটির সদস্যদের আরও বেশি করে তৎপর হতে বলা হয়েছে। চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচন যাতে দ্রুত সেরে ফেলা যায়, সে বিষয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে বলেও জানান উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তিনি বলেন, “আজকের বৈঠকে নির্বাচনের ব্যাপারে রেজোলিউশন নেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক আমরা রাজ্যকে জানাব, যাতে তাড়াতাড়ি নির্বাচন করানো যায়।”

    আরও পড়ুুন: “২০১৪ সালের পর দেশে দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে”, মধ্যপ্রদেশে বললেন মোদি

    উপাচার্য (Jadavpur University) জানান, ব়্যাগিং রুখতে ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রাম চালু করার কথা ভাবা হয়েছে। হস্টেলের প্রতিটি বিল্ডিংয়ের এন্ট্রিতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হস্টেলের আবাসিকদের জন্য ব্যবস্থা করা হবে আইডি কার্ডের। বহিরাগত কাদের ঢুকতে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁদের জন্য লগবুক রাখা হবে। লগবুকে নাম লিখে তবেই ঢোকা যাবে হস্টেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Case: রাজ্যের আর্জি খারিজ, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে সায় সুপ্রিম কোর্টেরও

    Recruitment Case: রাজ্যের আর্জি খারিজ, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে সায় সুপ্রিম কোর্টেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের! পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) রাজ্যের আর্জি খারিজ দেশের শীর্ষ আদালতে। যার অর্থ, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, তা বহাল থাকছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দেয়। প্রসঙ্গত, পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার।

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, পুরসভার নিয়োগ কেলেঙ্কারির সূত্র খুঁজে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। ঘুষের টাকা কার কার মধ্যে হাতবদল হয়ে কোথায় পৌঁছেছে, সেই সন্ধানও পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুরসভার নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Case) সংক্রান্ত যে অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছিল, তদন্ত করে হাইকোর্টে তার রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা করেছেন তদন্তকারীরা। পুরো বিষয়টিতে শীর্ষ আদালত সন্তুষ্ট। এর পরেই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় আদলত।

    ইডি-সিবিআইয়ের আইনজীবীর দাবি

    সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি চলাকালীন ইডি-সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ঘুষের টাকা হাতবদল হয়ে কার কার কাছে পৌঁছেছে, তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে তদন্তকারীদের কাছে। তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন এ সংক্রান্ত প্রমাণও। যদিও তদন্তের স্বার্থে সেই নথি এখনই আদালতে পেশ করা সম্ভব নয়। তদন্ত শেষে দায়ের করা হবে চার্জশিট।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) ১৯ মার্চ ইডি গ্রেফতার করে অয়ন শীলকে। ইডির দাবি, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অয়ন জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি তুলেছিলেন ২০০ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    প্রসঙ্গত, পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের একশোজনেরও বেশি আধিকারিক, ১৪টি টিম একই সঙ্গে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল। নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম, পানিহাটি, কামারহাটি, চুঁচুড়া ও দমদম সহ বিভিন্ন পুরসভায় (Recruitment Case) হামলা চালায় তারা। সেই সময়ই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে আসে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি, দাবি এনআইএ তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ  হল বিজেপি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মাওবাদী কার্যকলাপের পাশাপাশি আজাদি স্লোগানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপির মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ি। ঘটনার তদন্তে এনআইএ দাবি করেছে পদ্ম শিবির।

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    ৯ অগাস্ট রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিজেপির যুব মোর্চা। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফেরার সময় তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। দেওয়া হয় মাওবাদী স্লোগানও। হামলা চালানো হয় তাঁর গাড়িতেও। এর পরেই আরএসএফের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন শুভেন্দু। তাঁর (Jadavpur University) দাবি, আরএসএফ মাওবাদীদের সেই সংগঠন, যা ভারতে নিষিদ্ধ। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগ করার জন্যও যাদবপুর থানার ওসিকে লিখিত অভিযোগ জানান শুভেন্দু।

    আদালতে মামলা

    সোমবার রাজর্ষি মামলা দায়ের করার পাশাপাশি পৃথক একটি মামলার অনুমতি চেয়েছিলেন শুভেন্দু। পুরো বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁরা। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেন প্রধান বিচারপতি। আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, “ইউএপিএ আইন অনুযায়ী, মাওবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠানে (Jadavpur University) এই অতিবাম সংগঠনগুলো কীভাবে সক্রিয় থাকতে পারে? তাই ছাত্র খুনের ঘটনায় ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে এনআইএ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “২০২২ সালে নদিয়া জেলা থেকে কিছু মাওবাদী গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাঁরা যাদবপুরের ছাত্র ছিলেন। যে ছাত্রটির মৃত্যু হয়েছে, তারও বাড়ি নদিয়ায়। ছেলেটি কিছু জানতে পেরেছিল বলেই তাকে হত্যা করা হল কিনা, সেটা জানা জরুরি। যেহেতু যাদবপুরে মাওবাদীদের মতো নিষিদ্ধ সংগঠন সক্রিয় তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এনআইএ তদন্ত চাইছি।”

    আরও পড়ুুন: লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ইডি! ‘কালীঘাটের কাকু’র মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডে (Jadavpur University) আগেই এনআইএ তদন্ত চেয়েছিলেন শুভেন্দু। গ্রেফতার হওয়া ১৩ জন পড়ুয়ার মধ্যে একজন জম্মু-কাশ্মীরের। তাঁকে ওবিসি এ সার্টিফিকেট দিয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। শুভেন্দু বলেছিলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের ছেলে যাদবপুরে ভর্তি হতে পারে না। তাঁকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিয়েছে শাসক দলের নেতা। এর সঙ্গে কাদের লিঙ্ক রয়েছে, মধ্যযুগীয় বর্বরতা কারা করতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। একে একেবারে শেকড় থেকে তুলে ফেলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share