Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda: গঙ্গায় উঠল প্রায় ৫০ কেজি ওজনের কাতলা! কত দামে বিক্রি হল জানেন?

    Malda: গঙ্গায় উঠল প্রায় ৫০ কেজি ওজনের কাতলা! কত দামে বিক্রি হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক-দু’ কেজি নয়, প্রায় ৫০ কেজি। গঙ্গার এই কাতলা মাছ কেনার জন্য সাত সকালে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গেল মালদার (Malda) নেতাজি পৌর বাজারের মাছ বাজারে। ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দাম! কিন্তু তাতে কী! ওই দামেই দেদার বিক্রি হচ্ছে গঙ্গার ওই বিশালাকার কাতলা মাছ। জানা গিয়েছে, মানিকচকের গঙ্গায় ধরা পড়ে মাছটি। আর মাছ বাজারে আসতেই সবার চোখ ছানাবড়া। মাছ তো নয়, যেন গিলে খেতে আসছে। এমন অভিজ্ঞতাই বা কজনের হয়। তাই মাছ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার লোভ সামলাতে পারেননি অনেকেই। কেনার হিড়িক পড়ে যায় ক্রেতাদের মধ্যে। মাছ ব্যবসায়ীদের দাবি, এই প্রথম বাজারে প্রায় ৫০ কেজি ওজনের মাছ এসেছে। বিশালাকৃতির ওই কাতলা মাছ দেখতে এবং ছবি তুলতেও ভিড় জমান বহু মানুষ।

    কী বলছেন মাছ বাজারের (Malda) ব্যবসায়ীরা?

    এক ব্যবসায়ী কায়ূম মোল্লা জানালেন, রাজমহল গঙ্গায় এই মাছ ধরা পড়েছে। এই মাছের দাম গোটা ধরলে মোটামুটি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। কেটে ৮০০, ৯০০ এমনকি হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। বিরাট চাহিদা আছে দেখেই কাটা হল। খরিদ্দাররা এ বলে আমি নেব, ও বলে আমি নেব। হুড়োহুড়ি লেগে গেছে। তিনি আরও জানান, এই নেতাজি মার্কেটে (Malda) সব ধরনের মাছ পাওয়া যায়। ইলিশের আমদানি কম আছে বলে দামটা একটু বেশি চলছে। তবে কাতলা মাছ এত বড় সাইজের তাঁরা আগে কখনও দেখেননি। আরেক বিক্রেতা ইমরান বললেন, মাছের ওজন দাঁড়াল ৪৮ কেজি। তিনি জানান, এর আগে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি ওজনের মাছ এসেছিল। এত বড় মাছ এই প্রথম। তাছাড়া গঙ্গার মাছের বরাবরই বিশাল চাহিদা থাকে। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। তার ওপর এতো বড় মাছ।

    কী বললেন ক্রেতারা (Malda)?

    এমন বিরাট মাছ দেখে ক্রেতারা (Malda) যে কতখানি উল্লসিত, তা তাঁদের চোখমুখই বলে দিচ্ছিল। এক ক্রেতা জানান, এমনিতেই গঙ্গার মাছের প্রতি তাঁদের বরাবর আলাদা একটা টান আছে। তার ওপর এতো বড় মাছ দেখে তাঁদের চোখ জুড়িয়ে গেছে। এমন বিরল অভিজ্ঞতা যাতে চিরস্থায়ী হয়, তার জন্য তাঁরা এই ঘটনা মোবাইলে ক্যামেরাবন্দিও করছেন। এই মাছের স্বাদ কেমন হবে, তা ভেবেও অনেকে রোমাঞ্চিত। সব মিলিয়ে গোটা বাজার জুড়ে যেন উৎসবের আমেজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Recruitment Scam: চার্জশিটে অভিষেকের নাম! দুর্নীতির টাকায় বিপুল সম্পত্তি কালীঘাটের কাকুর, দাবি ইডির

    Recruitment Scam: চার্জশিটে অভিষেকের নাম! দুর্নীতির টাকায় বিপুল সম্পত্তি কালীঘাটের কাকুর, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর (Kalighater Kaku) বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে ইডি। সুজয়ের বিরুদ্ধে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ১২৬ পাতার মূল চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে ইডি-র (ED) দাবি, এ পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর ১১ টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এই সব সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জায়গায় জমি। এই সমস্ত সম্পত্তিই কেনা হয়েছে কালীঘাটের কাকু, তাঁর স্ত্রী বাণী ভদ্র ও কাকুর নিয়ন্ত্রিত দুটি কোম্পানির নামে। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মামলায় ইডি-র চার্জশিটে, প্রথমবার উল্লেখ করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। 

    অভিষেক ঘনিষ্ঠ কালীঘাটের কাকু

    চার্জশিটের ২২ নম্বর পাতায় ইডি দাবি করেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই কালীঘাটের কাকু। যুব তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক বিষয়গুলি দেখাশোনা করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ২৬ নম্বর পাতায়, কালীঘাটের কাকুর বয়ানের একাংশ তুলে ধরেছে ইডি। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র জানিয়েছেন, তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একজন কর্মী ছিলেন। ইডির চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানি এস ডি কনসালটেন্সির যোগ, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকেই এস ডি কনসালটেন্সির কাজকর্ম পরিচালনা এবং পরিবর্তে মোটা টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্য়াকাউন্টে ঢোকার মতো একাধিক চাঞ্চল্য়কর দাবি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-তে জোর! কম্পিউটার-ল্যাপটপের আমদানিতে ‘নিষেধাজ্ঞা’ কেন্দ্রের

    চার্জশিটে ইডি-র দাবি

    ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগকাণ্ডে চাকরিপ্রার্থীদের (Recruitment Scam) কাছ থেকে তোলা অবৈধ টাকা সাদা করতে নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তি কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ১২৬ পাতার চার্জশিটের ৮৩ নম্বর পাতায় বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের নির্দেশে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কলকাতার ভবানীপুরে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন দেবরূপ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এই দেবরূপ হলেন সুজয়কৃষ্ণের মেয়ে পারমিতা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাটটি কিনতে জামাইকে দিবাকর খেমকা নামের এক ব্যক্তি এবং তাঁর অধীনস্থ সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডির দাবি, ‘ওয়েলথ উইজার্ড’ নামের একটি সংস্থার কাছ থেকে আরও ৪৫ লক্ষ টাকা ঋণের বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: ‘‘নন্দীগ্রামে শীঘ্রই শুরু হবে রেল প্রকল্পের কাজ’’, বললেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম

    Nandigram: ‘‘নন্দীগ্রামে শীঘ্রই শুরু হবে রেল প্রকল্পের কাজ’’, বললেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জিএম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রেলের কু ঝিকঝিক আওয়াজ শুনতে পাবেন হয়তো নন্দীগ্রামের (Nandigram) বাসিন্দারা। রেল সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম রেল প্রকল্পের কাজ পুনরায় চালু করার সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করেছিল রেলওয়ে বোর্ড। তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এই প্রকল্প শুরু করার আবেদন জানিয়ে যে চিঠি দিয়েছিলেন রেল মন্ত্রককে, তাতে সাড়া মিলেছে। শীঘ্রই কাজ শুরু করার জন্য বুধবার এলাকা পরিদর্শনে আসেন রেলের আধিকারিকরা।  নন্দীগ্রাম-দেশপ্রাণ রেল প্রকল্পের দৈর্ঘ ২২ কিমি লম্বা। এর মধ্যে ১৮.৫ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ হবে নন্দীগ্রাম থেকে। দেশপ্রাণ স্টেশনের আগে দিঘা-তমলুক রেললাইনের সঙ্গে তা সংযুক্ত হবে।

    রেল প্রকল্প নিয়ে কী বললেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে শাখার জেনারেল ম্যানেজার?

    দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে শাখার জেনারেল ম্যানেজার অনিলকুমার মিশ্র বলেন, ‘ কিছু সময়ের জন্য প্রকল্পটি ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন নতুন করে এই প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি এজেন্সি কাজ শুরু করেছে। অধিগৃহীত জমিগুলিকে নতুন করে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর নন্দীগ্রামের (Nandigram) দিক থেকে দেশপ্রাণ অভিমুখে কাজ শুরু হয়ে যাবে।’ কত দিনে শেষ হবে প্রকল্পের কাজ? এই প্রশ্নের জবাবে অনিলবাবু বলেন,‘১৮.৫কিলোমিটারের অনুমোদন মিলেছে। সময় তো লাগবেই। তবে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করছি। যত শীঘ্র সম্ভব এই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করার বিষয়ে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছি।’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতার উদ্যোগে দেশপ্রাণ নন্দীগ্রাম (Nandigram) রেল প্রকল্পটির সূচনা হয়। এই লাইনটি যুক্ত হচ্ছে দিঘা তমলুক রেল লাইনের দেশপ্রাণ স্টেশনের কাছে। পরে সম্পূর্ণ স্থগিত করে দেওয়া হয় এই প্রকল্পের কাজ। স্থানীয়েরাও আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। সেই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার ঘোষণার পর এবার নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন এলাকাবাসী। রেলের আধিকারিকরা পরিদর্শনের সময় বিজেপি নেতা কর্মীরাও হাজির হয়েছিলেন। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অভিজিৎ মাইতি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল প্রকল্পের জন্য এই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। নতুন করে প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে জেনে ভাল লাগছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Balurghat: রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, ভেলোরের জন্য ট্রেনের দাবি জানালেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার

    Balurghat: রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক, ভেলোরের জন্য ট্রেনের দাবি জানালেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে দক্ষিণ দিনাজপুর (Balurghat) জেলার জন্য একগুচ্ছ রেল প্রকল্প ও নতুন রেল পরিষেবা চালুর দাবিপত্র তুলে দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ২০২৪ লোকসভা ভোটে জেলার রেল পরিষেবার উন্নয়ন সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নকেই পাখির চোখ করতে চলেছে বিজেপি। বিভিন্ন সময় সুকান্ত মজুমদার জেলা সফরে এসে রেল প্রকল্পের হাল হাকিকত খতিয়ে দেখতে মাঠে নামেন। পার্লামেন্টের অধিবেশন চলছে। এই সময় সুকান্ত মজুমদার দিল্লিতে রয়েছেন। তাই বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে সেগুলির বাস্তবায়নের দাবি জানালেন তিনি।

    কোন কোন প্রকল্প (Balurghat) নিয়ে কথা হল?

    জেলার জনগণের চিকিৎসার সুবিধার জন্য বালুরঘাট (Balurghat) থেকে কাটপাটি (ভেলোর) পর্যন্ত একটি নতুন ট্রেন চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও প্রচুর বাংলাদেশি নাগরিক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বালুরঘাট হয়ে কলকাতা বা শিলিগুড়ি গিয়ে সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য ভেলোরে যান। বালুরঘাট থেকে সরাসরি ভেলোর ট্রেন চালু হলে এই সুবিধা শুধু জেলার মানুষ নয়, বাংলাদেশিরাও পাবেন। বালুরঘাট, বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুর রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পে এনে স্টেশনের আধুনিকীকরণের প্রস্তাব রেখেছেন সুকান্ত মজুমদার। গাজোল-গুঞ্জরিয়া ভায়া ইটাহার বুনিয়াদপুর রেল প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল ২০১০ সালে। জমি চিহ্নিতকরণের কাজ হয়েছে। কিন্তু পরের কাজ হয়নি। সেই প্রকল্পেরও দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করেছেন তিনি।

    এছাড়া, প্রস্তাবিত বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ রেলপথ সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণ করে রেলপথ নির্মাণ যাতে দ্রুত শুরু হয়, সেই বিষয়েও কথা বলেছেন রেলমন্ত্রীর সঙ্গে। বালুরঘাট থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত একটি নতুন ট্রেন চলাচলের প্রস্তাব আগেই রেখেছিলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু অন্য ট্রেনের সঙ্গে টাইম ম্যাচ না করায় এই ট্রেন দেওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেছিলেন সুকান্ত। এবার হাটে বাজারে এক্সপ্রেসের নতুন টাইম সিডিউল করার মাধ্যমে নতুন ট্রেনের টাইম টেবিল পাওয়া যাবে বলে দাবি তাঁর। এছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর বুনিয়াদপুরে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। কোচবিহার থেকে দেওঘর পর্যন্ত ভায়া মালদা একটি নতুন ট্রেন চালুর কথাও বলেছেন তিনি।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার এবং জেলার বিশিষ্টরা (Balurghat)?

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরে (Balurghat) রেলের উন্নতিকল্পে যা যা করা দরকার, সে বিষয়ে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের এহেন ভূমিকায় খুশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দারা। হিলি এসআইবি কলেজের অধ্যাপক তথা গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার বলেন, সাংসদের এহেন পদক্ষেপ খুবই ইতিবাচক এবং বাস্তবিক। এর দ্বারা আমরা প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হব। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে ধন্যবাদ। কবি ও সাহিত্যিক তথা বালুরঘাটের বাসিন্দা বঙ্গরত্ন বিশ্বনাথ লাহা বলেন, খুবই ভাল উদ্যোগ। আমরা আশা করি সাংসদের দেওয়া প্রস্তাবগুলি ফলপ্রসূ হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Protest: করুণাময়ীর পর কালীঘাট! নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    SSC Protest: করুণাময়ীর পর কালীঘাট! নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে সল্টলেক। দুপুরে হাজরা মোড়। ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিকে (আপার প্রাইমারি) চাকরিপ্রার্থীদের জোড়া অভিযানে ধুন্ধুমার কাণ্ড শহরের দুই প্রান্তে। 

    বৃহস্পতিবার সকাল সকাল চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায় সল্টলেকে। এদিন সল্টলেকে এসএসসির দফতর আচার্য সদনের সামনে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে তুমুল গণ্ডগোল বাধে। বিনা অনুমতিতে কলকাতার করুণাময়ী এলাকায় আচার্য সদনের গেটের সামনে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা।  চাকরিপ্রার্থীদের দাবি একটাই, প্রকাশ করতে হবে আপার প্রাইমারির প্যানেল৷ 

    সকাল সকাল বিক্ষোভ 

    বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের এসএসসির দফতর আচার্য সদনের সামনে পৌঁছন ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক এবং এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা৷ তারপরে সামনে থালা রেখে, কালো ব্যাজ পরে, প্ল্যাকার্ড হাতে চলে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ৷ বিক্ষোভের খবর পেয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পূর্ব বিধাননগর থানার পুলিশ৷ আসে র‌্যাফের একটি বাহিনীও। পুলিশের দাবি, কোনও বৈধ অনুমতি না থাকলেও আচার্য সদনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা৷ সেই সময়েই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে খানিক ধাক্কাধাক্কি হয় পুলিশের৷ পরে বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷

    আরও পড়ুুন: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    চাকরিপ্রার্থীদের দাবি

    চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ১৪ হাজার ৩৩৯ শূ্ন্যপদ থাকলেও দীর্ঘ সাড়ে নয় বছর যাবৎ তাঁরা চাকরি পাননি। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কোনও প্যানেল গঠন করা হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে প্যানেল প্রকাশ করে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে ২৪৪ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ না হলে চাকরিপ্রার্থীরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও দাবি করেছেন।  ২০১৪ সালে টেটের বিজ্ঞপ্তির পর ২০১৫ সালে পরীক্ষায় বসেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৬ সালে ইন্টারভিউয়ের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও পান তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত বুধবার এমএলএ হস্টেলের বাইরে রাস্তায় বসে পড়ে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা৷ 

    দুপুরে হাজরা মোড়ে তুলকালাম

    করুণাময়ী থেকে সরে আন্দোলনকারীরা হাজরা মোড়ে এসে জড়ো হন। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, মেট্রো করে এসে হাজরায় জমায়েত করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়া। সেই মতো, হাজরায় জড়ো হন তাঁরা। চাকরি প্রার্থীদের একাংশ যতীন দাস পার্ক মেট্রো স্টেশনে নামার পরেই তাঁদের অনেককে পুলিশ আটক করে বলে অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে পুলিশ সরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। মেট্রোর ভিতরে ঢুকেও বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের একাংশকে। বেআইনি ভাবে জমায়েত এবং বিক্ষোভ প্রদর্শনের অভিযোগ হাজরা মোড় এবং সংলগ্ন অঞ্চল থেকে ৪০ জন বিক্ষোভকারীকে আটক করে কালীঘাট এবং ভবানীপুর থানার পুলিশ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • C V Ananda Bose: ২৪ ঘণ্টাতেই ১০টা ফোন! রাজভবনে খোলা হল অ্যান্টি কোরাপশন সেল

    C V Ananda Bose: ২৪ ঘণ্টাতেই ১০টা ফোন! রাজভবনে খোলা হল অ্যান্টি কোরাপশন সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কোনভাবেই বরদাস্ত নয় দুর্নীতি, এই বার্তা দিতেই এবার রাজভবনে খোলা হল ‘অ্যান্টি কোরাপশন সেল’। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি সবটা নিয়েই বারবার মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। তিনি যে কোনওভাবেই রাজ্যে দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না, সেই বার্তা দিতেই রাজভবনের পিস রুমে চালু করলেন হেল্প লাইন নম্বর। ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই অ্যান্টি কোরাপশন সেল’। 

    রাজ্যপালের অভিমত

    ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১০ টি ফোন এসেছে বলে রাজভবন সুত্রে জানা গেছে। এই অ্যান্টি কোরাপশন সেল নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) বলেন, ”দুর্নীতি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, আমরা তাই করছি। কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কাউকে টাকা দেবেন না, আমরা চুরি বরদাস্ত করব না। আমরাও সেটাই করছি, কেউ দুর্নীতি করলে, অ্যান্টি কোরাপশন সেলে রিপোর্ট করুন। আমরা যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেব। ” বেশ কয়েকজন আধিকারিক ওই সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। রাজ্যের যে কোনও মানুষ, যে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারেন ওই সেলে। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। পুরো সমাজ, বিশেষত শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এই পদক্ষেপ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, ‘কোনও প্রকারের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।’ তিনি জানিয়েছেন, কেউ টাকা নিচ্ছে দেখা গেলেই, তা ছবি তুলে জানানো যেতে পারে রাজভবনের ওই সেলে।

    আরও পড়ুন: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ

    পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজভবনে ‘পিস রুম’ খুলে চমকে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। এবার রাজভবনে রাজ্যপালের নেতৃত্বে খোলা হল ‘‌অ্যান্টি কোরাপশন সেল’‌। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ জমা পড়বে। রাজ্যপাল সমান্তরাল প্রশান চালাতে চাইছেন বলে ইতিমধ্যেই সরব শাসক দল তৃণমূল। বুধবার বিকেলে নবান্নে এই ‘‌অ্যান্টি কোরাপশন সেল’‌ নিয়ে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জগদীপ ধনখড়ের আমলের সঙ্গে বর্তমান অবস্থার তুলনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপাল নাকি স্পেশাল সেল করেছেন! এটা রাজ্যপালের কাজ নয়। ধনখড় যখন ছিলেন তখন‌ও অনেক বিষয়ে আমরা একমত হতাম না, কিন্তু তিনি এটা করেননি। ইনি তো দেখছি বিজেপি যা বলে দিচ্ছে তাই করছেন।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Child Selling in Kolkata: শহরে শিশু বিক্রির ঘটনায় ধৃত ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্মী ও এক ‘মিডলম্যান’

    Child Selling in Kolkata: শহরে শিশু বিক্রির ঘটনায় ধৃত ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্মী ও এক ‘মিডলম্যান’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে শিশু বিক্রির (Child Selling in Kolkata) ঘটনা সামনে আসতেই তৎপর কলকাতা পুলিশ। খাস কলকাতার বুকে চার লক্ষ টাকায় নিজের কন্যাসন্তান বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হল কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকার এক ডায়গনস্টিক সেন্টারের এক কর্মীকে। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদে। এ ছাড়াও নোনাডাঙা এলাকা থেকে মমতা পাত্র নামে এক ‘মিডলম্যান’-কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মহিলাকে এই শিশু কেনাবেচায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্রি হওয়া কন্যাসন্তানটির মা রূপালী মণ্ডল এবং পাটুলি থেকে গ্রেফতার হওয়া রূপা দাসের মধ্যে যোগসূত্র ছিলেন এই মমতা।

    নজরে বেহালার আইভিএফ সেন্টার

    শহরের বুকে জাঁকিয়ে শিশু কেনাবেচার (Child Selling in Kolkata) ব্যবসা চালাচ্ছে একটি চক্র। শিশুপাচার কাণ্ডে পুলিশের নজরে বেহালার বকুলতলার এক আইভিএফ সেন্টারও। পাচার চক্রের ধৃত দুই মহিলাকে নিয়ে সেই আইভিএফ সেন্টারে হানা দেয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। সেখানকার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। ২১ দিনের কন্যাসন্তানকে কেনার অভিযোগে ধৃত গৃহবধূ কল্যাণী গুহকে বুধবার বেহালার ওই আইভিএফ সেন্টারে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কল্যাণীর সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় লালতি দে নামে আরও এক অভিযুক্তকে। বেহালার আইভিএফ সেন্টারে তল্লাশি চালানোর সময় বেনিয়াপুকুরের ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের খোঁজ পান তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর পর বেনিয়াপুকুর গিয়ে ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে তল্লাশি চালিয়ে এক কর্মীকে আটক করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, ডায়গনস্টিক সেন্টারের আড়ালে শিশু কেনাবেচায় ‘মিডলম্যানের’ ভূমিকা পালন করতেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদের পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম গোলাম অম্বিয়া।

    আরও পড়ুন: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    আইভিএফ সেন্টারগুলির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন

    পুলিশের অনুমান, শহরের (Child Selling in Kolkata) বুকে গডিয়ে ওঠা আইভিএফ সেন্টারগুলি শিশু কেনাবেচার বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। এই আইভিএস সেন্টার গুলির বৈধ কাজ পত্র রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীরা আরও জানতে পারে, জানা গিয়েছে, জেলা থেকে শিশুদের পাচার করে এনে রাখা হত কলকাতার একটি জায়গায়। সেখানে ভাড়া বাড়িতে চলত শিশু বিক্রির চক্র। নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান পাইয়ে দেওয়ার জন্য টোপ দেওয়া হত। মোটা টাকার বিনিময় সন্তান পাইয়ে দেওয়া হত। পুলিশ সূত্রে খবর, কল্যাণী গুহ নামে ওই মহিলা দীর্ঘদিন নিঃসন্তান থাকার কারণে একটি শিশুর খোঁজ করছিলেন। কলকাতায় পণ্যশ্রী থানার সাতগ্রাম এলাকায় ওই মহিলার একটি বাসস্থান আছে। দালাল মারফত তিনি রুপোলি মণ্ডলের খোঁজ পান। এরপরেই হয় টাকার রফা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

    BJP: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-১ নম্বর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী চার অপহরণ হওয়া প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়িতে ফেরানো হয়। এরপরই তাদের সঙ্গে বুধবার দেখা করতে যান বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। এদিন তিনি  বিজেপির জয়ী ৬ প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদেরকে তিনি সবরকমভাবে আশ্বস্ত করেন।

    কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কে এগিয়ে রয়েছে?

    কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সমীকরণ,মোট আসন সংখ্যা ১৫টি। তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করেছে ৪টি আসনে। বিজেপি (BJP) জয়লাভ করেছে ৬টি আসনে। সিপিআইএম জয়লাভ করেছে ৩টি আসনে। আর নির্দল দুটি আসনে জয়লাভ করেছে। বোর্ড গঠন করতে হলে মোট আটজন সদস্যের প্রয়োজন, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রয়েছে মাত্র চারজন সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার লক্ষ্যে বিরোধীদের চারজন সদস্যকে অপহরণ করে এমনটাই অভিযোগ বিজেপি সহ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গত ২৭ জুলাই কলকাতা থেকে রাতের অন্ধকারে চারজন জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে, জোরপূর্বক তাঁদের থেকে লিখিত ও ভিডিও বার্তা করে নেওয়া হয়। এরপর একাধিক গেস্টহাউসে স্থানান্তরিত করে রাখা হয়েছিল তাঁদের। পরে সাদা কাগজে তাঁদের স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে তাঁদেরকে বাড়িয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন অপহৃত বিজেপির তিন প্রার্থী ও সিপিআইএমের এক প্রার্থী।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল?

    এদিন জয়ী দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করে বিজেপি নেত্রী (BJP) অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, তৃণমূল সরকার ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে বিজেপি প্রার্থীদের কিনতে চাইছে। তাতে কাজ না হওয়ায় তাদের অপহরণ করা হয়েছিল। এসব করে তৃণমূল বোর্ড গঠন করতে পারবে না। সামনের ১০ তারিখে কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে। বিজেপির নেতৃত্বে বিরোধীরা বোর্ড গঠন করবে। আমি নিজে উপস্থিত থাকব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, বিজেপির (BJP) আনা অভিযোগ ঠিক নয়। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ খারিজ করতে আজ, বুধবার ডেকেছিলেন সাংবাদিক বৈঠক। সাংবাদিকরা আগেভাগে হাজির হলেও, তৃণমূলের (TMC) নায়িকা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এলেন নির্ধারিত সময়ের প্রায় পঁচিশ মিনিট পরে। নুসরতের উদ্দেশে প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসতেই খানিক পরে মেজাজ হারান বসিরহাটের সাংসদ। সাংবাদিক বৈঠক মাঝপথে ফেলেই বেরিয়ে গেলেন। তার আগে অবশ্য তৃণমূল নেত্রী বললেন, “ঋণ নিয়েছিলাম, সুদ সহ ফেরত দিয়েছি।”

    নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দিয়ে, ওই টাকায় নিজের নামে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে। তার জেরে অভিযোগকারীদের নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এরই জবাব দিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক নুসরতের। তৃণমূল নেত্রী (Nusrat Jahan) অভিযোগ অস্বীকার করলে কী হবে, চেক নম্বর দিয়ে শঙ্কুদেবের দাবি, “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে, দফায় দফায়। সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত। ফ্ল্যাটের দলিলে কবে, কত টাকা নিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন নুসরত।” নুসরতের গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছে পদ্ম শিবির।

    প্রতারণার নয়া ছক

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, “এটাই প্রতারণার নয়া ছক। টাকা তুলব, সংস্থা থেকে ইস্তফা দেব, এভাবেই প্রতারণা।” বিজেপির প্রশ্ন, “অভিযোগ মিথ্যে হলে কেন আদালতে যাচ্ছেন না বসিরহাটের সাংসদ?” বিজেপির অভিযোগ, “ নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অথচ তাঁকে আড়াল করছে পুলিশ। এখন বলছেন ঋণ নিয়েছেন! নিজের সংস্থা থেকে নিজেই ঋণ নিয়েছেন! মামলা না করার জন্য অভিযোগকারীদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে কেন? কেন নথি দেখাতে পারলেন না?  কে ঋণ মঞ্জুর করল?  কোথায় সিদ্ধান্ত হয়েছে?”  

    আরও পড়ুুন: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    নুসরত (Nusrat Jahan) প্রভাবশালী বলেই অভিযোগকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না  বলে অভিযোগ। শঙ্কুদেবের অভিযোগ, “দফায় দফায় ৫ লক্ষ, ১১ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২০ লক্ষ, ৩৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন নুসরত। ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকার ট্রানজাকশন হয়েছে। অথচ বলছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন! কীভাবে?” বিজেপির দাবি, বকলমে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: বুথের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হল কীভাবে? বিডিওকে প্রশ্ন হাইকোর্টের 

    Panchayat Election 2023: বুথের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হল কীভাবে? বিডিওকে প্রশ্ন হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের বেলডাঙা-২ ব্লকের কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) একটি বুথে পুনর্নির্বাচন না হওয়ার মামলায় হাইকোর্টে ধমক খেলেন সংশ্লিষ্ট বিডিও। অন্যদিকে সিঙ্গল বেঞ্চের পর কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা উলুবেড়িয়ার বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে-র। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। আপনি কি অন্যদের সঙ্গে সুবিচার করেছেন ? বিডিওকে প্রশ্ন করে আদালত। 

    বহরমপুরের বিডিও-কে  ধমক

    মঙ্গলবার বহরমপুরের বেলডাঙা-২ ব্লকের একটি বুথে পরাজিত (Panchayat Election 2023) সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীর অভিযোগ, তাঁর এজেন্টদের ভোটের দিন ও গণনার দিন মারধর করে বের কর দেওয়া হয়েছিল। তারপরও বুথে পুনর্নির্বাচন হয়নি। মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চে। এদিন শুনানির সময়, বেলডাঙা-২ ব্লকের বিডিও জানান, তাঁর দায়িত্বে যে বুথগুলি ছিল, তার মধ্যে দু’টি বুথে পুনর্নির্বাচন করানো হয়েছিল। কিন্তু নাসিমা বেগমের ওই বুথটি সেই তালিকায় ছিল না। কারণ হিসেবে বিডিও জানান, ওই বুথের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিডিও-র। এখানেই বিচারপতির প্রশ্ন, কীভাবে ভিডিও ফুটেজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে! তাহলে সিসিটিভি রাখার উদ্দেশ্য কী? মামলায় সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিওকে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একইসঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারকে মামলায় যুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বিডিও! খতিয়ে দেখার নির্দেশ হাইকোর্টের

    উলুবেড়িয়ার বিডিও-কে ভর্ৎসনা 

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মাঝে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল উলুবেড়িয়ার বিডিও-র বিরুদ্ধে। প্রাক্তন বিচারপতির (Calcutta High Court) এক সদস্যের কমিশন সব তথ্য খতিয়ে দেখে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছিল। তাঁর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে নজিরবিহীনভাবে বিডিও, এসডিওকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছিলেন কমিশন। যার পরই নির্বাসনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি অমৃতা সিনহার যে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন উলুবেড়িয়ার বিডিও। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু এদিন নীলাদ্রিশেখরের আইনজীবীর জবাবে সন্তুষ্ট ছিলেন না বিচারপতি। মামলা ফেরত যায় বিচারপতি সিন্হার কাছেই। ৩ অগাস্ট বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share