Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Rajiv Sinha: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, রাজ্যের নয়া নির্বাচন কমিশনার হচ্ছেন রাজীব সিনহা

    Rajiv Sinha: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, রাজ্যের নয়া নির্বাচন কমিশনার হচ্ছেন রাজীব সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ নয়া কমিশনার পাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (state election commissioner)। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাই (Rajiv Sinha) হচ্ছেন নয়া নির্বাচন কমিশনার। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজীবকে ওই পদে নিয়োগের ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছেন রাজ্যপাল। মাস কয়েকের মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে এই নির্বাচন হবে রাজীবের নেতৃত্বেই। রাজীবের আগে এই পদে ছিলেন সৌরভ দাস। ২৮ মে মেয়াদ শেষ হয় তাঁর। তার পর থেকে শূন্যই ছিল নির্বাচন কমিশনারের পদ। সেই পদেই বসতে চলেছেন রাজীব। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা মাত্র বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    রাজীবের (Rajiv Sinha) নাম প্রস্তাব

    সৌরভের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীবের (Rajiv Sinha) নাম প্রস্তাব করে রাজভবনে পাঠিয়েছিল নবান্ন। কিন্তু একটি মাত্র নামেই ছাড়পত্র দিতে রাজি ছিলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের তরফে আরও কয়েকটি নাম পাঠাতে বলা হয় নবান্নকে। এবার প্রস্তাব করা হয় রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব পদ মর্যাদার আধিকারিক অজিতরঞ্জন বর্ধনের নাম। এর পরেই নয়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীবের নামে শিলমোহর দেন রাজ্যপাল।

    রাজীব ছিলেন মুখ্যসচিব

    এর আগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন রাজীব। কোভিড-পর্বে ওই পদে ছিলেন তিনি। ওই সময় রাজীবের ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর রাজীবকে দেওয়া হয় শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যানের পদ। আর মুখ্যসচিব পদে বসানো হয় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যানের পদ থেকে এবার রাজীবকে নিয়ে যওয়া হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান সিবিআইয়ের

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে সচরাচর রাজ্যের প্রস্তাবিত নামেই শিলমোহর দেন রাজ্যপাল। কেবল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে তিন নাম পাঠানোই দস্তুর। রাজ্যের ক্ষেত্রে যা খাটে না। তাই প্রথম নাম পাঠানোর পর রাজ্যপাল যখন দ্বিতীয় নাম চেয়ে পাঠান, তখনও তাতে আপত্তি করেনি নবান্ন। বিবাদ বাঁধে তার পরেই। রাজভবন তৃতীয় নাম চেয়ে পাঠানোর পর। নবান্ন সাফ জানিয়ে দেয়, তৃতীয় নাম চেয়ে পাঠানোর প্রস্তাব কোনওভাবেই মানবে না রাজ্য। এর পরেই শিলমোহর পড়ে রাজীবের নামে (Rajiv Sinha)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Train Accident: কাজ নেই বলেই বাইরে যাচ্ছে ছেলেরা, মায়ের আর্তি প্রকাশ্যে আনল করুণ ছবি

    Train Accident: কাজ নেই বলেই বাইরে যাচ্ছে ছেলেরা, মায়ের আর্তি প্রকাশ্যে আনল করুণ ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একটা কাজের বন্দোবস্ত করে দিন! যাতে বাড়ির ছেলেদের আর বাইরে যেতে না হয়”। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ঠিক এমনই দাবি জানাতে চেয়েছিলেন জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার চন্দ্রবতী সিং। তবে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলা তো দূর অস্ত, ফিরেও তাকাননি। আর এই নিয়েই একরাশ ক্ষোভ বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) গুরুতর জখম ধরমনাথ সিং-এর মায়ের।

    কীভাবে পড়লেন দুর্ঘটনায় (Train Accident)?

    দীর্ঘ চার মাস পর ছুটি পেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়ায় ফিরছিলেন পেশায় ডেকরেটর কর্মী ধরমনাথ সিং। বালেশ্বরের বাহানাগায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) গুরুতর জখম হন তিনি। প্রথমে বালেশ্বরের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরে অবস্থার অবনতি হলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জিক্যাল অবজারভেশন ওয়ার্ডে চিকিসাধীন ধরমনাথ। মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে। তবে তিনি ফিরেও তাকাননি সার্জিক্যাল অবজারভেশন ওয়ার্ডের ৯ নম্বর বেডের দিকে। ভিন রাজ্যে যাতে কাজ করতে যেতে না হয়, তার আবেদন জানাতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী ফিরে না তাকানোয় সেকথা আর বলা হয়ে ওঠেনি চন্দ্রবতী সিংয়ের। আর তা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ সিং পরিবারের দুই সদস্যের।

    কী বললেন ধরমনাথ সিংয়ের মা (Train Accident)?

    ধরমনাথ সিং-এর মা চন্দ্রবতী সিং বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আসবেন শুনে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সিস্টাররা আমাকে কথা বলতে দেয়নি। আমি শুধু এটুকুই বলতে চেয়েছিলাম, আমরা গরিব মানুষ। বাগানে কাজ করি। কিন্তু তা দিয়ে তো আর সংসার চলবে না। তাই ছেলেদের বাইরে পাঠাতে বাধ্য হয়েছি। সেই কাজ করে বাড়ি ফেরার সময়ই ওই দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটেছে। এখানে কাজ নেই। কীভাবে বাঁচব আমরা? এই কথাগুলোই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সুযোগটুকুই পেলাম না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘যেখানে ভূতের ভয়’! রুজিরা-ইস্যুতে মমতা-অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘যেখানে ভূতের ভয়’! রুজিরা-ইস্যুতে মমতা-অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। 

    সোমবার সকালে প্রথমে অভিষেক-পত্নীকে বিদেশে যেতে বাধা দেয় কলকাতা বিমানবন্দরে থাকা অভিবাসন দফতর। তাঁর বিরুদ্ধে ইডির একটি লুক আউট সার্কুলার নোটিস জারি থাকার কথা জানিয়ে অভিষেক-পত্নীকে বিদেশে যেতে বাধা দেয় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রুজিরাকে তলব করে ইডি। আগামী ৮ জুন তাঁকে হাজিরা নির্দেশ দেওয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন অভিষেক। অভিষেক বলেন, ‘‘পারলে জনতার দরবারে এসে আমার সঙ্গে লড়াই করুন।’’ 

    অভিষেককে তুলোধনা দিলীপের

    অভিষেকের করা এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকে তুলোধনা করেন বিজেপি সাংসদ। বলেন, ‘‘যখন ভয় পায় তখন লোকে চিৎকার করে। ভূতের ভয় পেলে বেশি চিৎকার করে গান গায়। তাই যত ভয় বাড়ে তত চিৎকার বাড়ে।’’ দিলীপের দাবি, অভিষেকের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘যত সময় এগোচ্ছে তত ভয় বাড়ছে, আর তাই আওয়াজ তত জোরে হচ্ছে। চিৎকার হচ্ছে। বড় বড় কথা বলছে। অপেক্ষা করুন, কে কাকে গ্রেফতার করে। সময় চলে আসছে।’’ 

    আরও পড়ুন: “অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    মমতাকে নিশানা দিলীপের

    শুধু অভিষেকই নন, এদিন তৃণমূলনেত্রীকেও নিশানা করেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। গতকাল, উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে কটক যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়টিকেও কটাক্ষ করেন দিলীপ। বিজেপি সাংসদের মতে, ‘‘সময় ঘনিয়ে এসেছে, তাই পিসিমনি প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করতে শুরু করেছেন।’’ দিলীপ বলেন, ‘‘এ সবই ড্রামা। কটক কেন? কেন দার্জিলিং গেলেন না! যানা থা জাপান পৌঁছ গয়ে চিন! ক্যায়া মতলাব হোতা হ্যায়। বউমার ডাক পড়েছে। এখন ঘর সংসার সব জেলে হবে। সেই ভয়ে সব ঘেঁটে গেছে। কি বলছেন ঠিক নেই, কোথায় যাচ্ছেন ঠিক নেই। কটক কেন যাচ্ছেন? উঠল বাই কটক যাই!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Rujira Banerjee: কয়লা পাচার মামলায় ৮ জুন রুজিরাকে সিজিও-তে তলব ইডি-র

    Rujira Banerjee: কয়লা পাচার মামলায় ৮ জুন রুজিরাকে সিজিও-তে তলব ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে তলব করল ইডি। জানা গেছে, ৮ জুন রুজিরাকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে। এর আগেও রুজিরাকে দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সে সময় উপস্থিত হননি। পরবর্তীকালে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক পত্নী। প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই কলকাতা বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতর রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rujira Banerjee) দুবাই সফর আটকে দেয়। অন্যদিকে কয়লা মামলায় তলব করা হয়েছে মন্ত্রী মলয় ঘটককেও। তাঁকে ১৯ জুন দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    সার্কুলার পেয়েই বিমানবন্দরে আটকায় অভিবাসন দফতর

    এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে নোটিশ ফর অ্যাপিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। যার অর্থ হল সশরীরে হাজিরা। সূত্র মারফর জানা যাচ্ছে, একটি সার্কুলারের ভিত্তিতেই এদিন দমদম বিমানবন্দরে তাঁকে আটকানো হয়। সূত্রের খবর, ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট-এর কাছে যখন ইমিগ্রেশন ক্লিয়ার করতে যান রুজিরা, তখনই তাঁর পাসপোর্ট ডিটেইলস মিলিয়ে দেখা হয়। সার্কুলারের সঙ্গে এই ডিটেইলস মেলানোর পরই সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকরা যোগাযোগ করেন ইডির সঙ্গে। তখনই তাঁকে আটকানো হয়। এরপর তৃণমূল দাবি করে, গত সেপ্টেম্বর মাসে কয়লা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক-রুজিরাকে (Rujira Banerjee) জানিয়েছিল, বিদেশ যাত্রায় তাঁদের কোনও বাধা নেই। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অভিবাসন দফতরের জানার কথা। তাই সুপ্রিম নির্দেশকে অমান্য করে নয়, বরং সার্কুলার থাকার কারণেই রুজিরাকে আটকানো হয়।

    আরও পড়ুন: দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    সোমবার সকালের ঘটনাক্রম

    সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ বিমানবন্দরে হাজির হন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা (Rujira Banerjee)। জানা গেছে, তিনি দুবাই-এর বিমান ধরার জন্য আসেন। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই সন্তান। বিমানে ওঠার আগে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার পর তাঁকে বলা হয়, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ রয়েছে। এরপরে দীর্ঘক্ষণ অভিবাসন দফতরের ওয়েটিং রুমে বসে থাকতে দেখা যায় রুজিরাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malay Ghatak: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    Malay Ghatak: কয়লা পাচার মামলায় মলয় ঘটককে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মলয় ঘটক (Malay Ghatak)। কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই মর্মে তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, চিঠি পাঠিয়ে আগামী ১৯ জুন দিল্লির সদর দফতরে মলয় ঘটককে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। এই একই মামলায় বৃহস্পতিবারই ডেকে পাঠানো হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

    এই নিয়ে তৃতীয়বার তলব

    এর আগে, কয়লা পাচার মামলায় দু-বার মলয় ঘটককে (Malay Ghatak) তলব করেছিল ইডি। গত ২৯ মার্চ মলয়কে দিল্লির প্রত্যাবর্তন ভবনে ডাকা হয়। এর পর এপ্রিল মাসে কয়লা পাচার কাণ্ডে মলয় ঘটককে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু কোনওবারই হাজিরা দেননি রাজ্যের আইনমন্ত্রী। উল্টে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। প্রথম দফায় ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মলয়কে মৌখিক রক্ষাকবচ দেয় আদালত। দ্বিতীয় দফায় সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। তারপর আরও ১৪ দিনের জন্য স্বস্তি পান তিনি। আগামী ১০ মে পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, এমনটাই জানিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ ছিল, মলয়কে ১৫ দিনের সময় দেওয়ার কথা জানায় দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সময় শেষ হওয়ার পরই এবার ১৫ দিনের সময় দিয়ে আগামী ১৯ জুন মলয়কে ডেকে পাঠাল ইডি। এবার মন্ত্রীমশাই হাজিরা দেবেন, না ফের তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন, সেটাই দেখার। 

    আরও পড়ুন: ‘দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    মন্ত্রীর বাড়ি-দফতরে হয়েছিল তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর মলয়ের (Malay Ghatak) বাড়ি সহ তাঁর অফিসে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। আসানসোলে মলয়ের দু’টি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। একটি বাড়িতে তালাবন্ধ দেখে অন্য আর একটি বাড়িতে যান তারা। মন্ত্রীর কলকাতার সরকারি আবাসনেও টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: মামার দেহ সৎকার করে কেরল যাওয়ার পথেই মৃত্যু ভাগ্নার

    Odisha Train Accident: মামার দেহ সৎকার করে কেরল যাওয়ার পথেই মৃত্যু ভাগ্নার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে ওঠার সময় স্টেশনেই বোনের সাথে শেষ কথা হয়। এরপর ট্রেন দুর্ঘটনার খবর জানা জানি হতেই যুবককে বাড়ি থেকে ফোন করা হলে যুবককে ফোনে পাননি। এরপর বালেশ্বর (Odisha Train Accident) থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে মহিষাদলের এক বাসিন্দা বাড়িতে ফিরে এমন টাই বললে, বৌ সন্তানকে নিয়ে অল্পের জন্য মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছি! এই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি ভোলার নয়।

    দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃত্যু ৩০ বছরের যুবকের

    তমলুক থানার শ্রীরামপুর এলাকার শেখ আজিমুদ্দিনের মামার বাড়ি হল ওড়িশার বালেশ্বরে। মামার মৃত্যুর পর দেহ সৎকারের পর, মামা বাড়ি থেকে কেরালায় কাজ করতে যাওয়ার জন্য বালেশ্বর স্টেশন (Odisha Train Accident) থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ট্রেনে ওঠার কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে করমন্ডল এক্সপ্রেসের। 

    পরিবারের বক্তব্য

    দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আত্মীয় পরিজন রওনা দেয় দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) স্থলে। সেখানেই দেখেন যে আজিমুদ্দিনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এরপর এই খবর জানা জানি হতেই সকাল থেকেই মৃতের বাড়িতে লোকজন এসে জড়ো হয়। মৃতের পরিবারের আবেদন যে রোজগেরে ছেলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর পুরো পরিবারটাই অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়বে। দুই ছেলে ও বাবা মাকে নিয়ে সংসার ছিল আজিমুদ্দিনের। দুই ছেলেকে নিয়ে এইমুহুর্তে কীভাবে চলবে সংসার! কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না মৃতের বোন। বোনের বক্তব্য, সরকার তাঁদের আর্থিক সাহায্য করুক। এই মুহূর্তে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

    অল্পের জন্য রক্ষা পেলে  আরও এক পরিবার

    অন্যদিকে এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা জানা ছিল না, নতুন জীবন পেয়ে বাড়ি ফিরলেন পাল পরিবারের ৩ সদস্য। শুক্রবার সন্ধ্যে ৭.১৫ নাগাদ বালেশ্বরে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কবলে পড়েছিলেন তাঁরা। ওই ট্রেনেই সফর করছিলেন মহিষাদল থানার মলুবসান গ্রামের সুব্রত পাল, তাঁর স্ত্রী দেবশ্রী পাল ও ছেলে। এই ট্রেনে করে চেন্নাই যাচ্ছিলেন ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য। বালেশ্বরের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, তাঁদের কাছে আতঙ্কের। সুব্রত বাবুর স্ত্রী জানান, নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি! যতদিন বাঁচবো এই স্মৃতি মনের মধ্যে থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Accident: চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু, ফোন করে জানালেন ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম বাবা

    Coromandel Accident: চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু, ফোন করে জানালেন ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবার হাত ধরেই কেরালায় কাজে যাচ্ছিলেন কাটোয়ার করুই গ্রামের উনিশ বছরের ছটু সর্দার। তাঁদের সঙ্গে আরও সাতজন ছিলেন। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Accident) একই কামরায় সকলেই ছিলেন। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় সব কিছু তছনছ করে দেয়। চোখের সামনে ছটুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন দুর্ঘটনায় জখম হওয়া বাবা সুখলাল সর্দার। দুর্ঘটনার পর পরিবারের লোকজন তাঁদের সঙ্গে যোগযোগ করেন। সুখলাল সর্দার ফোন করে ছেলের মৃত্যুর খবর দেন। এছাড়া কড়ুই গ্রামের আরও সাতজন দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে দল বেঁধে তাঁরা কেরালায় কাজে যাচ্ছিলেন। মৃত ছটু সর্দারের কাকা দিলু সর্দার বলেন, “এভাবে সব শেষ হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। বাবার সঙ্গে কত খোশমেজাজে গল্প করতে করতে গেল ভাইপো। এবার তার নিথর দেহ বাড়ি ফিরবে। ভাবতেই পারছি না।” পাশের কৈথন গ্রামের সাদ্দাম সেখ নামে এক যুবকও দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ। চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

    স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিওকলে শেষ কথা হয় সফিকের

    ট্রেন ছাড়়ার পর শুক্রবার বিকেলের দিকে স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কল করে কথা বলেছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান-২ ব্লকের বড়শুল কুমিরখোলার সফিক কাজি। সেটাই ছিল শেষ কথা। সন্ধ্যা নামতেই খবর দেখে জানতে পারেন করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা (Coromandel Accident) ঘটেছে। পাগলের মতো পরিবারের লোকজন সফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু, কোনওভাবেই তাঁর আর হদিশ মেলেনি। শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে।

    কী বললেন সফিকের বাবা?

    ওড়িশার বালেশ্বরে গিয়ে সফিকের মৃতদেহ সনাক্ত করেন তাঁর আত্মীয়-স্বজনেরা। শনিবার তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামে।  পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথায় আঘাত লেগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী সহ পাঁচ বছরের সন্তান রয়েছে। সফিকের বাবা উজির কাজি বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Accident) পর থেকে ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। এদিন ছেলের মৃত্যুর খবর এল বাড়িতে। ওর রোজগারে সংসার চলত। এখন কী করে সংসার চলবে বুঝতে পারছি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: উত্তর দিনাজপুরের আহত ৪ এবং বীরভূমের নিখোঁজ ২ পরিযায়ী শ্রমিক, পরিবারের পাশে বিজেপি

    Train Accident: উত্তর দিনাজপুরের আহত ৪ এবং বীরভূমের নিখোঁজ ২ পরিযায়ী শ্রমিক, পরিবারের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দারা অনেকেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Train Accident) ছিলেন আর তাই ট্রেনের দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন জেলার ৪ জন এবং অপর দিকে একই দুর্ঘটনায় বীরভূমের দুই পরিযায়ী শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পরিবারের মানুষ দুশ্চিন্তায় নাওয়া খওয়া ছেড়ে দেওয়ার উপ্রক্রম হয়েছে।

    উত্তর দিনাজপুর থেকে (Train Accident) নিখোঁজ

    বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) জখম হল উত্তর দিনাজপুরের ৪ জন৷ আহতদের সকলকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার মর্মান্তিক দু:সংবাদ, বাড়িতে এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। আহতদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের লক্ষীপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গিয়েছে আহতরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। আহতদের নাম হুদা আলম, মহম্মদ রাজ্জাক, মহম্মদ শাহাদাত, মিরাজুল ইসলাম। জানা গিয়েছে আহতদের মধ্যে হুদা আলমের অবস্থা গুরুতর। শুক্রবার ট্রেন দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের মধ্যে একজন বাড়িতে ফোন করে এই দুর্ঘটনার কথা জানান। তারপরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আহতদের পরিবারের সদস্যরা। আহতরা কে কোথায়, কীভাবে আছেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিজনরা। ঘটনার জেরে কার্যত দুশ্চিন্তায় পরিবার।

    বীরভূম থেকে নিখোঁজ এবং পরিবারের পাশে বিজেপি

    সিউড়ির নগরী পঞ্চায়েতে ঝোড়গ্রামের দুই পরিযায়ী শ্রমিক গতকাল করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে পড়েন। তাঁদের মধ্যে একজন নিখোঁজ, অপরজন কটক হসপিটালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিখোঁজ ব্যাক্তির নাম লাভলু মাল আর আহত ব্যক্তির নাম মহিম ডোম। এই পরিবারের বাড়িতে বিজেপির প্রতিনিধি দল পৌঁছান। ইউপির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা মহাশয় সহ বিজেপির একাধিক জেলার কার্যকর্তারা নিখোঁজ পরিবারের পাশে থেকে আশ্বাস দেন। দীনেশ শর্মা বলেন, ভারত সরকার এই নির্মম বেদনাদায়ক ঘটনার প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। আমরাও আজ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ব্যাক্তির পরিবারে পাশে থেকে আশ্বাসের বার্তা দিয়েছি। সরকার ক্ষতি পূরণের কথা ঘোষণা করেছেন। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে আমাদের ভারত সরকার একসঙ্গে মিলে উদ্ধার কাজ করছে। এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের পাশে থাকাটাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য বলে মন্তব্য করেন বিজেপির এই নেতা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: হুগলিতে অন্য কেরালা স্টোরি, দুর্ঘটনায় জখম ৪, নিখোঁজ ১

    Coromandel Express Accident: হুগলিতে অন্য কেরালা স্টোরি, দুর্ঘটনায় জখম ৪, নিখোঁজ ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই রাজ্যে কাজ নেই, তাই ভিন রাজ্যই ভরসা। কাঠের কাজের ভালো কদর কেরালাতে। আর তাই হুগলির হরিপাল থেকে বেশ কিছু আদিবাসী যুবক এই রাজ্যে কাজ না পেয়ে কাঠের কাজ করতে যেত কেরালাতে। গতকাল এমনই ৪ জন যুবক ট্রেন দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) গুরুতর জখম হয়ে বালেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর একজন নিখোঁজ বলে জানা যাচ্ছে। কেরালায় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় নিখোঁজ যুবক ছাড়াও হুগলির পোলবা থেকে চন্দনা ঘোষ নামে আরও এক মহিলা নিখোঁজ বলে জানা গেছে।  

    দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) হুগলীতে নিখোঁজ

    রাজ্যে যেমন কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে, ঠিক তেমনই বাইরের রাজ্যে গিয়ে কাজ করে টাকা উপার্জন করার পথ খুঁজে নিচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। শ্রমিকের দৈনিক পারিশ্রমিকও ভালো পান শ্রমিকেরা। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে কাজ করে ভালোই উপার্জন করেন শ্রমিকেরা। শুক্রবার দুপুরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Coromandel Express Accident) চেপে কেরালার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন হরিপাল থানার পানিশেওলা জোতমাধব গ্রামের রোহিত হেমব্রম, অতনু কিস্কু, গোপাল হেমব্রম, তাপস কিস্কুরা। কিন্তু গতকাল রাতেই খবর আসে যে দেশের অন্যতম বৃহৎ রেল দুর্ঘটনার কবলে তাঁরাও পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত গোপালের কোন খোঁজ মিলছে না বলে জানা গেছে। বালেশ্বর হাসপাতাল থেকে গোপালের আত্মীয়দের বলা হয়, সকাল অবধি হাসপাতালেই ছিলেন তিনি কিন্তু তারপরই ছুটি করে বেরিয়ে যান। আর এরপর থেকেই গোপালের কোন খবর মেলেনি। 

    পরিবাদের উদ্বেগ

    গতকাল ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) খবরে ওই হতদরিদ্র পরিবার গুলির কাছে আসতেই, মাথায় বাজ পড়ার অবস্থা হয় পরিবারের সদস্যদের। গভীর রাতেই টাটা সুমো ভাড়া করে দুর্ঘটনা স্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন আহত পরিবারের সদস্যরা। 

    জেলা শাসকের ভূমিকা

    হুগলির জেলাশাসক পি. দীপাপ প্রিয়া জানান, জেলাতে ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম (Coromandel Express Accident)  খোলা হয়েছে। আপাতত ১২ জনের লিস্ট পাওয়া গেছে যারা অল্পবিস্তর জখম। আরও বলেন জেলা শাসক, এখনো অবধি জেলার কারোর মৃত্যুর খবর নেই। ১২ জনের মধ্যে ২ জনের অফিসিয়ালি কোন খোঁজ মেলেনি। যারা আহত হয়েছেন তাদের জেলায় ফেরানোর চেষ্টা চলছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: “চোখের সামনে কামরাটি উল্টে গেল, ১২ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে,” বললেন শ্যামনগরের সঞ্জয়

    Train Accident: “চোখের সামনে কামরাটি উল্টে গেল, ১২ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে,” বললেন শ্যামনগরের সঞ্জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বালেশ্বর স্টেশনে ট্রেন ছাড়ার পর আমি আর আমার বন্ধু রবি খাওয়া-দাওয়া শুরু করি। পরে, বাথরুমের পাশে বেসিনে থালা পরিষ্কার করছিলাম। আচমকা ট্রেনটি নড়ে ওঠে। বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। আমাদের কামরাটি কয়েকটি পাল্টি খেয়ে ছিটকে পড়ল। তারপর আমার আর কিছু মনে নেই। প্রায় ১২ ঘণ্টার পর আমার জ্ঞান ফেরে। তখন দেখি আমি বালেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।” ফোনে এক নিমেষে কথাগুলি বলছিলেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Train Accident) গুরুতর জখম হওয়া যাত্রী সঞ্জয় দত্ত।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে কেরালায় যাচ্ছিলেন শ্যামনগর রাহুতার বিআরএস নবপল্লির বাসিন্দা রবি বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন তাঁরই এক বন্ধু সঞ্জয় দত্ত। দুজনেই কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident)  গুরুতর জখম হন তাঁরা। ট্রেন দুর্ঘটনায় ছেলে আহতের খবরে ভেঙে পড়েছেন বিশ্বাস দম্পতি। জখম রবির দিদি মলি নন্দী বিশ্বাস বলেন, ভাইয়ের ট্রেন দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসি। ভাই প্ৰথমে বলেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখান থেকে মেদিনীপুরে একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ভাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক এটাই ঠাকুরের কাছে আমাদের প্রার্থনা।

    ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident)  জখম যাত্রী কী বললেন?

    দুর্ঘটনায় জখম হওয়া যাত্রী সঞ্জয়বাবু আরও বলেন, “ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে এসেছি। কিন্তু, শ্রমিকের কার্ড, জব কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড হারিয়ে গেল। আমি কাজ করবো কী করে, খাব কী? ডান হাত আমার গুঁড়িয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ছটার পর থেকে অজ্ঞান হয়ে যাই। এদিন সকালে জ্ঞান ফিরে দেখি, বালেশ্বর হাসপাতালে। সেখান থেকে মেদিনীপুর।” একই রকম উৎকন্ঠ নিয়ে রয়েছে তার বন্ধু রবি। তারও পা ভেঙে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share