Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bhangar Blast: দুবরাজপুরের পর ভাঙড়! তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ, জখম ১

    Bhangar Blast: দুবরাজপুরের পর ভাঙড়! তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ, জখম ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ বাংলাজুড়ে। এগরা, বজবজ, দুবরাজপুর, মালদার পর এবার ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণ (Bhangar Blast)। তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বোমা বিস্ফোরণে ভেঙে পরল তৃণমূল কর্মীর বাড়ির ছাদের একাংশ। তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী গুরুতর জখম হন। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড় বিধানসভার কাশিপুর থানার গানের আইট এলাকায়।  দুদিন আগেই বীরভূমের দুবরাজপুরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের (Bhangar Blast)  ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে তৃণমূল কর্মী শরিফুল মোল্লার বাড়ি বিকট শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। পরবর্তী সময় স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে দেখেন ছাদের একাংশ ভেঙে পড়েছে। বোমা বিস্ফোরণের (Bhangar Blast) ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম হন তৃণমূল কর্মী শরিফুল মোল্লার স্ত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এদিকে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে আইএসএফের কর্মীরা। এলাকায় উত্তেজনায় ছড়াতে পরিকল্পিতভাবেই পরপর তিনটি বোমা চার্জ করেছে আইএসএফ। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, তৃণমূল কর্মী স্ত্রীর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তার সঠিক চিকিৎসা যাতে হয় তারজন্য ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি আমি ভাঙড়ের অবজার্ভার শওকত মোল্লাকে জানিয়েছি। এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফের  প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদত রয়েছে। তারা বোমাবাজি করেছে। তবে, গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে কাশিপুর থানার পুলিশ।

    কী বললেন আইএসএফ নেতৃত্ব?

    আইএসএফ নেতৃত্বের বক্তব্য, ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতেই মজুত ছিল বোমা। আর সেই বোমা বিস্ফোরণে (Bhangar Blast) গুরুতরভাবে জখম হয়েছে তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী। এই ঘটনায় আইএসএফ কোনওভাবেই যুক্ত নয়। নিজেদের দোষ ঢাকতেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা এমন অভিযোগ তুলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চান’’, বিস্ফোরণকাণ্ডে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চান’’, বিস্ফোরণকাণ্ডে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা, বজবজ, মালদায় মৃত্যুর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে এগরা শহরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল হয়। মিছিলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এগরা, বজবজ, মালদায় একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যুর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চাওয়া  তিনি আরও  বলেন, “এগরার খাদিকুল গ্রামে তৈরি বোমা পটাশপুর, খেজুরি, ময়নার বাকচা থেকে শুরু করে সারা রাজ্যে সরবরাহ করা হতো। বোমার পরীক্ষা করতে গিয়েই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগের”।

    তৃণমূল পারিবারিক দলে পরিণত হবে, কেন বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

     এগরায় বিস্ফোরণের পরে কেটে গেছে বেশ কয়েকটা দিন। কিন্তু এখনও এগরায় আসেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়েও রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন,  বীরভূমের বগটুইতে বিস্ফোরণের পরে প্রথম আমরাই পৌঁছেছিলাম। এগরায় বিস্ফোরণের পরে এতগুলো দিন কেটে গেলেও তিনি আসেননি। হেলিকপ্টারে কলকাতা থেকে এগরা আসতে ৩০ মিনিট সময় লাগতো, তাও তিনি আসেনি। শ্রাদ্ধ, শান্তিতে আর এসে লাভ নেই, একেবারে বাত্সরিকে আসবেন”। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোট গড়ে তোলার পরিকল্পনা বহুদিনের। এসব করেই তো সর্বভারতীয় তৃণমূল এখন আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আগামীদিনে তৃণমূল পারিবারিক দলে পরিণত হবে”।

    অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মিটিং নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দুজনেই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা। দুজনেরই মন্ত্রীসভার মন্ত্রীরা দুর্নীতির দায়ে জেলে রয়েছেন। নবান্নে সরকারী কার্যালয়কে দলীয় কার্যালয় বানানোর অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন,  “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষামন্ত্রীসহ একাধিক বিধায়ক জেলে রয়েছেন। দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেলে রয়েছেন। সবাই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। এই দুর্নীতিগ্রস্তদের একটা জোট হয়েছে। ইডি ও সি বি আই এর বিরুদ্ধে যে নয়টি দল সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল এবং সুপ্রিম কোর্ট যাদের রিজেক্ট করে দিয়েছিল এরাই তারা”।  এরপর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘এক দেশ,এক পুলিশ’ বিল আনতে চলেছেন। এই আইন হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যা মামলা দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে না।  তাই আতঙ্কিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দ্বিধাগ্রস্থ দিশেহারা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল মিলিত হয়েছেন”।

    এগরায় থানায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    সভা শেষে তিনি এগরায় থানায় যান বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) । ডিউটি অফিসারের সঙ্গে দেখা করে পুলিশি নির্যাতিন বন্ধ করার তিনি নির্দেশ দেন। মূলত তদন্তের নামে এগরার খাদিকুল গ্রামে মানুষজনর ওপর পুলিশ নির্যাতন চালাচ্ছে। গোটা এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে রয়েছে। এলাকাবাসীর মুখে এসব কথা শুনে পুলিশকে সতর্ক করলেন বিরোধী দলনেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: ৭ দফা দাবি নিয়ে বিজেপির শিক্ষক সেলের বিকাশ ভবন অভিযান

    DA Protest: ৭ দফা দাবি নিয়ে বিজেপির শিক্ষক সেলের বিকাশ ভবন অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে ৭ দফা দাবি নিয়ে রাস্তায় নামল বিজেপির শিক্ষক সেল (BJP Teachers Cell)। মঙ্গলবার দুপুরে বিকাশ ভবন অভিযান করেন তাঁরা। মিছিলের শুরুতেই করুণাময়ী মোড়ে আন্দোলনকারীদের আটকে দেয় পুলিশ। গার্ড রেল ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা (DA Protest)। পুলিশ প্রাণপণে বাধা দেয় তাদের। তাতেই পুলিশের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায় আন্দোলনকারীদের।

    বিজেপির অভিযান

    নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ-সহ ৭ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির শিক্ষক সেলের বিকাশ ভবন অভিযান শুরু করে দুপুরে। করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে বিকাশ ভবনের দিকে মিছিল এগোতে শুরু করে। নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদ ছাড়াও, স্বচ্ছ নিয়োগ ও বকেয়া ডিএ-র দাবি জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, অন্যায্য ভাবে যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছে। দুর্নীতির পথ ধরে যাদের নিয়োগ হয়েছে, সেইরকম ৩২ হাজার জনের চাকরি অবৈধ হয়ে গিয়েছে। তার বদলে যোগ্যদের নিয়োগ করতে হবে। আর এই ৩২ হাজারের মধ্যে যদি কেউ কেউ যোগ্য থাকে, তাদের নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের হেলথ স্কিম চালু করতে হবে, শিক্ষকদের বকেয়া ডিএ দিতে হবে, ইত্যাদি দাবি নিয়ে পথে নামে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: “অপদার্থ সরকারের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আন্দোলন

    আগামী কাল, ২৪ মে-ও সল্টলেক করুণাময়ীতে এক কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা (DA Protest)। সেদিন বেলা ১টায় সংগ্রামী যৌথমঞ্চের এক সমাবেশ হওয়ার কথা। সংগঠনের তরফে জানানো হয়,  বিকাশ ভবনে ২৪ মে ডেপুটেশন দেবেন তাঁরা। প্রয়োজনে আইনের পথে হাঁটবেন বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার নবান্নের তরফে সরকারি কর্মচারিদের অফিসে হাজিরা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, অফিসে কর্মসংস্কৃতি ঠিক রাখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে আগেভাগে না জানিয়ে কেউ ছুটি নিতে পারবে না। সরকারি হুঁশিয়ারি থাকলেও তাতে দমতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। সরকারি নির্দেশিকা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। প্রয়োজনে টিফিন পিরিয়ডে তাঁরা আন্দোলনে বসবেন, বলে জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Couple: ফেসবুকে ছবি দেওয়া নিয়ে অশান্তি, আত্মঘাতী ব্যবসায়ী দম্পতি

    Couple: ফেসবুকে ছবি দেওয়া নিয়ে অশান্তি, আত্মঘাতী ব্যবসায়ী দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মধ্যে থেকে এক ব্যবসায়ী দম্পতির (Couple) মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়া এলাকায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে স্বামী আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আঁখি বিশ্বাস (২৮) এবং সমীর বিশ্বাস (৩৫)। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

    ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে গৃহবধূ আঁখি বিশ্বাস বিছানার উপরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল। আর ঠিক তাঁর পাশেই ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির লোকজনই দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডেকে পাঠান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দম্পতির (Couple) দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সমীরবাবু পরিবহণ ব্যবসায়ী ছিলেন। সঙ্গে তাঁর পোল্ট্রির ফার্ম ছিল। আমবাগানের মালিকও ছিলেন তিনি। কয়েক মাস ধরে এক গাড়ির চালককে কেন্দ্র করে মাঝে মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলতো। ঘনিষ্ঠরা সেই বিষয়টি জানত। অনেকে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, যত দিন গিয়েছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এরমধ্যেই দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারে এলাকাবাসী হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

    কী বললেন সমীরবাবুর বন্ধু?

    সমীরবাবুর এক বন্ধু বলেন, “সমীর খুব ভাল ছেলে। ১০ বছর আগে ওদের বিয়ে হয়। সাত বছরের সন্তান রয়েছে। এমনিতেই ওদের পরিবারে কোনও সমস্যা ছিল না। সাত মাস আগে সমীরের এক বন্ধুকে নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। সে পেশায় গাড়ির চালক। তাকে নিয়ে ওদের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত। দুদিন আগে ওই গাড়ির চালক নিজের ফেসবুকে, হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাসে সমীরের স্ত্রীর ছবি দিয়েছিল। সেটা নিয়ে এলাকায় চর্চা হয়। মান সম্মানের কারণে ওরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই পরিষ্কার নয়। তবুও, এটা বলতে পারি এই দম্পতির (Couple) মৃত্যুর জন্য ওই গাড়ির চালক দায়ী”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: অভাবের মধ্যেও মাধ্যমিকে নজর কেড়েছে বালুরঘাটের ইশিতা মাহাতো

    Balurghat: অভাবের মধ্যেও মাধ্যমিকে নজর কেড়েছে বালুরঘাটের ইশিতা মাহাতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট (Balurghat) গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ইশিতা মাহাতো সকলের নজর কেড়েছে। প্রান্তিক এলাকার মেয়ে হয়েও কীভাবে সাফল্য পেতে হয়, সেই দৃষ্টান্ত দেখা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের এক দরিদ্র মাহাতো পরিবারে।

    বালুরঘাটে (Balurghat) থেকে কীভাবে পড়াশুনা করত ? 

    ইশিতার মূল বাড়ি তপন থানার প্রত্যন্ত গ্রাম চামটাকুড়িতে। কিন্তু বালুরঘাটের (Balurghat) চকভৃগু অঞ্চলের ময়ামারি গ্রামে তাঁর মামার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করত ইশিতা। প্রত্যন্ত প্রান্তিক এলাকা এবং অভাবের মধ্যে থেকে এক প্রকার লড়াই করে পড়াশুনা করতে হত গরিব মাহাতো পরিবারের এই মেয়েকে। অর্থাভাবে গৃহশিক্ষকও নিতে পারেনি ওই ছাত্রী। তার মা পলিদেবী বলেন, দুই আত্মীয়ের কাছে বিনামূল্যে পড়তে যেত মেয়ে ইশিতা। বাকিটা নিজের একাগ্রতা ও অধ্যাবসায়ের জোরে ইশিতা ৮৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে সকলের নজর কেড়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর হল বাংলাতে ৯৪, ইংরেজিতে ৮৪, অঙ্কে ৬৩, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৫, জীবন বিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৮৫ ও ভূগোলে ৯১ নম্বর। আগামীতে ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশুনা করতে চায় ওই দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রী। কিন্তু তার ওই স্বপ্নপূরণে অর্থাভাব দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে অভিভাবকদের।

    বালুরঘাটের (Balurghat) ইশিতার প্রতিক্রিয়া

    মাধ্যমিকের পরীক্ষায় সাফল্য পেয়ে ইশিতা বেশ খুশী। উচ্ছ্বসিত হয়ে ইশিতা মাহাতো উচ্চ শিক্ষার সম্পর্কে জানতে চাইলে জানায়, আমার ডাক্তার হবার ইচ্ছে রয়েছে। স্কুলে (Balurghat) পড়াশুনার সময় মাধ্যমিকের পরীক্ষার জন্য সে দিনে ৬ ঘন্টা করে পড়ত বলে জানিয়েছে। ইশিতা আরও বলে, আমি মামার কাছেই পড়াশোনা করেছি। আমার পড়াশুনায় মামা শিক্ষক হিসাবে সবসময় পাশে থেকেছেন। যে কোন বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে মামা আমাকে বুঝিয়ে দিতেন এবং শিক্ষক হিসাবে মামার ভূমিকা আমার কাছে অতুলনীয়।

    পরিবারের প্রতিক্রিয়া

    ইশিতার বাবা বিনোদ মাহাতো জানান, আমরা গরিব মানুষ আমাদের বাড়ি তপনে, কাজের সূত্রে আমরা বালুরঘাটে (Balurghat) থাকি। আমার একটাই মেয়ে। খুব কষ্ট করে তাঁকে পড়াশোনা শেখাচ্ছি। তাঁর মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল দেখে আমরা খুব খুশি। আমাদের ইচ্ছে মেয়েকে ডাক্তারি পড়াবো। কিন্তু আমার আর্থিক অবস্থা খারাপ। তাই যদি কেউ আমার মেয়েকে পড়াশোনার জন্য সাহায্য করেন তাহলে খুব উপকৃত হবো। সকলের কাছে আমি আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ কামনা করি। অভাবী পরিবারের মেয়েরা কীভাবে আর্থিক প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে নিজের স্বপ্নকে পূরণ করবেন তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar:  “অপদার্থ সরকারের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: “অপদার্থ সরকারের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপদার্থ সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। মঙ্গলবার বালুরঘাটে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) একথা বলেন। সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা না দেওয়াতেই রাজ্যের মানুষকে বাজি কারখানায় কাজ করতে হচ্ছে। এই বিষয় নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, “রাজ্যে কর্ম সংস্থান নেই বলে লোকে ১০০ দিনের কাজের জন্য অপেক্ষা করছেন। ১০০ দিনের কাজের মজুরি মাত্র ২০৭ টাকা। সামান্য এই মজুরির জন্য মানুষ কাজ করতে রাজি হচ্ছে। তার মানে রাজ্যে কর্মসংস্থানের কোনও জায়গা নেই। ৮ ঘণ্টা কাজ করার পর ৪০০-৫০০ টাকা রোজগারের ব্যবস্থা না থাকলে এই অপদার্থ সরকারের নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত”।

    অত্যধিক গরমে এত বিস্ফোরণ! সৌগত রায়ের নতুন তত্ত্ব প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা শুনেছি গরমে অনেক মানুষের মাথাও খারাপ হয়ে যায়। সম্ভবত বয়স হলে মাথা খারাপের সংখ্যাটা বেড়ে যেতে পারে। আমার মনে হচ্ছে সৌগতবাবুর এমনি একটা রোগ হয়েছে। গরমে তাঁর মাথাটা একটু খারাপ হয়ে গিয়েছে”।

    বিজেপির মেডিক্যাল ক্যাম্পে রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার দুপুরে বালুরঘাট শহরের নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবে বিজেপির উদ্যোগে একটি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সেখানে সুকান্তবাবুসহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন বালুরঘাট শহর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু থেকে বয়স্ক মানুষরা এই ক্যাম্পে চিকিৎসার সুবিধা নিতে আসেন। মূলত যে সমস্ত বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রতিবন্ধী কার্ড রয়েছে তারা এই ক্যাম্পে চিকিৎসার সুবিধা নিতে পারবে। এদিন দুপুর বারোটা থেকে এই বিকেল ক্যাম্পটি শুরু হয়।  আজকে শুধুমাত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। আগামী এক মাসের মধ্যেই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হবে। এই বিষয়ে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিন চাকা সাইকেল, শ্রবণযন্ত্র এই সব দেওয়ার ক্যাম্প চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: সোনামুখীতে বিদ্যুৎ দফতরে তাণ্ডব! ভাঙচুর গাড়ি, কর্মীদের হেনস্থা, কেন জানেন?

    Bankura: সোনামুখীতে বিদ্যুৎ দফতরে তাণ্ডব! ভাঙচুর গাড়ি, কর্মীদের হেনস্থা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখি শহরের বিদ্যুৎ বন্টন দফতরে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালাল উত্তেজিত জনতা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের উপরও চড়াও হয়। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়। শুধু অফিসে নয়, ভাঙচুর করা হয় গাড়িও। মাঝ রাতে আচমকা এই হামলার ঘটনায় দফতরের ঠিকা কর্মীরা রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ১৯ মে থেকে দফায় দফায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখীসহ আশপাশের এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ২১ মে রাত সাড়ে এগারোটা থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। ফলে, কয়েকদিন ধরে এলাকার মানুষের ক্ষোভ ছিল। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকার মানুষ তা মেনে নিতে পারেননি। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে দল বেঁধে হানা দেন সোনামুখি বিদ্যুৎ দফতরে। তখন রাত ১২ টা। সেই সময় অফিসে কোনও কর্মী ছিলেন না। বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন উত্তেজিত জনতা। প্রায় রাত দেড়টা নাগাদ বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকা শ্রমিকরা কাজ সেরে অফিসে ফিরে আসেন। উত্তেজিত জনতা সেখানে অপেক্ষা করছিলেন। ঠিকা কর্মীরা আসতেই লোডশেডিং নিয়ে বচসা বাধে। বচসার মধ্যেই বিদ্যুৎ কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কয়েকজন উত্তেজিত জনতা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। দফতরের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় অফিসের দরজার কাচ, কিছু আসবাবপত্র। খবর পেয়ে সোনামুখি থানা থেকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপর রবিবার ভোররাতে প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।

    কী বললেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক?

    বিদ্যুৎ দফতরের বিষ্ণুপুর ডিভিশানাল ম্যানেজার অর্ক মুসিব বলেন, ওইদিন কালবৈশাখীর ফলে বেলিয়াতোড় এলাকায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। প্রায় ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে এই বিভ্রাট হয়েছে, তা চিহ্নিত করতে প্রচুর সময় লেগে যায়। অবশেষে বিদ্যুৎ কর্মীদের লাগাতার চেষ্টায় ভোর সাড়ে ৩টে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। তার আগে কিছু লোক সোনামুখী অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। প্রচুর সরকারি সম্পত্তি এভাবে নষ্ট করে। পুরো বিষয়টি দেখার জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher: সাড়ে ১৭ কেজি বাজি রেখে এবার গ্রেফতার শিক্ষক! শোরগোল রাজনৈতিক মহলেও

    Teacher: সাড়ে ১৭ কেজি বাজি রেখে এবার গ্রেফতার শিক্ষক! শোরগোল রাজনৈতিক মহলেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বাজি সহ গ্রেফতার হলেন এক শিক্ষক (Teacher)! ১৭ কেজি ৫০০ গ্রাম বাজি রাখার অপরাধেই সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষককে। জানা গেছে, সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ মাজদিয়ায় প্রশান্ত অধিকারীর দোকানে হানা দেয়। উদ্ধার হয় ১৭ কেজি ৫০০ গ্রাম বাজি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই শিক্ষকের নাম প্রশান্ত অধিকারী। রাজনৈতিক মহলে শিক্ষক (Teacher) গ্রেফতার হওয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। 

    কে এই শিক্ষক (Teacher)? কী তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়?

    কান পাতলে শোনা যায়, মাঝদিয়ার সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ২০০৯ সালের জিএস ছিলেন এই প্রশান্ত অধিকারী (Teacher)। এ ব্যাপারে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শুভদীপ সরকার ক্যামেরার সামনে সেকথা স্বীকারও করে নেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, এখন তিনি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না হলেও তাঁকে বিজেপির সমর্থক হিসেবে দেখা যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রশান্তবাবু (Teacher) স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনও রাজনৈতিক দল করেন না। যুব সভাপতির দু’রকম মন্তব্যে শাসক দলের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তবে কি বাজির আড়ালে অন্য কিছু লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তৃণমূল নেতারা? প্রশ্ন অনেক, কিন্তু উত্তর অজানা। মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষক তথা তৃণমূলের প্রাক্তন জিএসকে আদালতে পাঠায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ।

    বর্ধমান শহরের ভরা বাজারেও নিষিদ্ধ বাজি?

    অন্যদিকে, এগরা, বজবজে বাজি কাণ্ডের পর তৎপর হল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশও। বর্ধমান শহর থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি। বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা বাজার এলাকায় রয়েছে প্রচুর ছোট-বড় মুদি-স্টেশনারি দোকান। সঙ্গে রয়েছে বাজির দোকানও। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ জেলা পুলিশ ও বর্ধমান থানার পুলিশের বিশাল বাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালায় এলাকায়। কয়েকটি দোকানে অভিযান চললেও একটি দোকান থেকে পাওয়া যায় প্রচুর বাজি। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েক কুইন্টাল নিষিদ্ধ বাজি, পুলিশ সূত্রে এমনটাই খবর। এর বাজারমূল্য লক্ষাধিক টাকা। বাজেয়াপ্ত করা বাজি দুটি গাড়ি ভর্তি করে নিয়ে যায় পুলিশ। যেহেতু তেঁতুলতলা একটি বাজার এলাকা, তাই এত পরিমাণ বাজি উদ্ধারে বর্ধমান শহরজুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় বলেন, বেআইনি বাজি মজুত হচ্ছে কি না, দেখতে অভিযানে নামা হয়েছে। এই অভিযানের ফলে প্রচুর পরিমাণে বেআইনি  বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ধরনের বাজি মজুত রাখার জন্য যথাযথ কোনও কাগজ দেখাতে না পারায় একজন বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা জুড়ে বাজি নিয়ে অভিযান  চলবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘৩৬ বছরেই এত দুর্নীতি, ৭২-এ কী হবে’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘৩৬ বছরেই এত দুর্নীতি, ৭২-এ কী হবে’’! অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে, তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) কটাক্ষ করলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “৩৬ বছরেই যদি কেউ এতো দুর্নীতি করে, ৭২ এ গিয়ে কি করবে? মোদি ৫০ বছর ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে আছেন। তাঁকে যারা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল, তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। উনি যেন ভুলে না যান, মোদি-শাহ কে ফাঁসাতে কেস গুজরাট থেকে তুলে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা সেখানেও গেছেন। কেউ রাস্তা অবরোধ করেনি। কেউ কোর্টের বিরুদ্ধে যায়নি। কেউ সরকারকে গালাগাল দেয়নি। আগুনের থেকে সোনা যেমন চকচকে হয়ে বেরিয়ে আসে, সেরকম কোর্টে নির্দোষ প্রমাণ হয়ে বেরিয়ে এসেছেন তাঁরা।”

    অভিষেককে নিশানা

    গতকালই সিবিআই জেরার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এদিকে বলছে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দিন। এদিকে রক্ষাকবচ চাইতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। এই বেঞ্চ থেকে ওই বেঞ্চ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আদালতের সময়, সরকারি পয়সা অপচয় করছেন। তাকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চাট্টিখানি কথা নয়। এই চালাকি সবাই বোঝে। একাধিক নেতা আগে এই চেষ্টা করেছেন। এই কোর্ট সেই কোর্ট ঘুরে তারা ভিতরে গিয়েছেন। অপেক্ষা করুন। কাজ চলছে।”

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোপ

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও এদিন মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “আমি গোড়া থেকেই বলছি, প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। সব তদন্ত হওয়া উচিৎ। সব জায়গায় দুর্নীতি পাওয়া যাবে। কোনও মামলায় ছাড় পাবেন না। যতই দৌড়াদৌড়ি করুন, সবাইকে জেলে যেতে হবে।”

    কেজরিওয়াল-মমতা বৈঠক

    অন্যদিকে লোকসভা ভোটের আগে আজ কেজরিওয়াল-মমতা (Mamata Banerjee) বৈঠক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “গতবারও একই হয়েছিল। মোদির সামনে কে যাবেন? কেউ যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে। গতবার মমতা লাফালাফি করেছিলেন। সবাইকে মাছ ভাত খাইয়েছিলেন। তারপর তো ওনার ১২টা সিট কমে গিয়েছিল। তাই উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। একটু হাওয়া দিলেই উনি অনেক সময় রাজি হয়ে যান। তাই একেক জন এসে হাওয়া দিচ্ছে। বলছে, দিদি আপনি রাজি হয়ে যান। ওনাকে আসরে নামানোর চেষ্টা চলছে। কেবল ওনাকে রাজি করাতে একেক সময়ে একেক জন কলকাতায় আসছে। কিন্তু মোদির সামনে গেলে হাওয়া খারাপ হয়ে যাবে তা উনি জেনে গিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: পথ অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, পুলিশের লাঠিচার্জ, সরব বিজেপি

    রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিবেশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্যে নতুন কোনও শিল্প নেই। বোমা বন্দুকই এখানকার শিল্প। যেকোনও নেতার বাড়িতে বোমা ও মশলা পেয়ে যাবেন। এই লোকগুলো সব সমাজবিরোধী। পার্টির টিকিটে নেতা হয়েছে। অভ্যাস যায়নি। এরাই তৃণমূল কংগ্রেসকে টিকিয়ে রেখেছে। মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: ‘‘একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে’’, মমতা-কেজরির বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে’’, মমতা-কেজরির বৈঠককে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে।” তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে আপ (AAP) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রস্তাবিত বৈঠককে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার দুপুরে মমতা-কেজরি বৈঠক হওয়ার কথা।

    দিলীপের (Dilip Ghosh) নিশানায় মমতা

    এদিন নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে এসে দিলীপ বলেন, “গতবারও একই ঘটনা ঘটেছিল। মোদির সামনে কে যাবেন? কেউ যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই একটা মুরগি খোঁজা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “গতবার মমতা লাফালাফি করেছিলেন। সবাইকে মাছ-ভাত খাইয়েছিলেন। তারপর তো ওঁর ১২টি সিট কমে গিয়েছিল। তাই আর উনি এবার রাজি হচ্ছেন না। একটু হাওয়া দিলেই অনেক সময় উনি রাজি হয়ে যান। তাই এক একজন এসে হাওয়া দিচ্ছে। বলছে, দিদি, আপনি রাজি হয়ে যান। ওঁকে আসরে নামানোর চেষ্টা চলছে। কেবল ওঁকে রাজি করাতে এক এক সময় এক একজন কলকাতায় আসছেন। কিন্তু উনি জেনে গিয়েছেন, মোদির সামনে গেলে হাওয়া খারাপ হয়ে যাবে।”

    দিলীপের (Dilip Ghosh) নিশানায় অভিষেক

    এদিন তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো তথা ঘাসফুল শিবিরের নম্বর টু নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “এদিকে বলছে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দিন। এদিকে রক্ষাকবচ চাইতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। এ বেঞ্চ থেকে ও বেঞ্চ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আদালতের সময় নষ্ট করছেন। সরকারি পয়সা অপচয় করছেন। তাঁকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। চাট্টিখানি কথা নয়। এই চালাকি সবাই বোঝে। একাধিক নেতা আগেও এই চেষ্টা করেছেন। এ কোর্ট সে কোর্ট ঘুরে তাঁরা ভিতরে গিয়েছেন। অপেক্ষা করুন। কাজ চলছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখতে গিয়ে সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ হিন্দু যুবতীর

    বর্তমানে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচিতে ব্যস্ত রয়েছেন অভিষেক। সেখানকারই এক সভায় মোদির বয়স তুলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন অভিষেক। এদিন সে প্রসঙ্গে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “৩৬ বছরেই কেউ যদি এত দুর্নীতি করে, ৭২ এ গিয়ে কী করবে?  মোদি ৫০ বছর ধরে সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে রয়েছেন। তাঁকে যারা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছিল, তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। উনি যেন ভুলে না যান, মোদি-শাহকে ফাঁসাতে কেস গুজরাট থেকে তুলে মুম্বই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁরা সেখানেও গিয়েছেন। কেউ রাস্তা অবরোধ করেনি। কেউ কোর্টের বিরুদ্ধে যায়নি। কেউ সরকারকে গালাগাল দেয়নি। আমরা আগুনের থেকে সোনা চকচকে হয়ে বেরিয়ে আসার মতো কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে বেরিয়ে এসেছি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share