Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mayna: বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে! পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

    Mayna: বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে! পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার (Mayna) বাকচা অঞ্চলের বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি ছিল, অভিযোগপত্রে ৩৪ জনের নাম রয়েছে। কিন্তু তাদের অনেকেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ গ্রেফতার করছে না। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি সহ পরিবারের লোকজনও। বিজেপির পক্ষ থেকে বেশ কিছু ছবি সামনে আনা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতৃত্ব অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে নিয়ে মিটিং করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এই ব্যাপারে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিষ মণ্ডল আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুমকি দিয়েছেন। 

    কী অভিযোগ করলেন বিজেপির জেলা নেতা (Mayna)?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি আশিষ মণ্ডল বলেন, আপনারা সকলেই জানেন, ময়নার (Mayna) বাকচা অঞ্চলে বুথ সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুন করা হয়েছিল। সেখানে ৩৪ জন আসামির নাম দেওয়া হয়েছে। টিমটা ছিল ৫০ জনের মতো। তা সত্ত্বেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত মাত্র ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। সন্ধ্যার পর পর্যন্ত ওখানকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরার নেতৃত্বে দুধকুমার হাজরা, শশাঙ্ক মাজি, সুশান্ত মাল, আশুতোষ দাস, পঙ্কজ ভুঁইয়া সহ প্রায় ২০ জনের একটা টিম পুরো বাকচা মাতিয়ে বেড়িয়েছে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল, বোমা ছিল, বন্দুক ছিল। তারা ধরে ধরে মানুষকে হুমকি দিয়েছে। তারা নানা জায়গা ঘুরে অঞ্চল অফিসের পাশে ফুটবল মাঠে গিয়ে জমা হয় এবং সেখান থেকে ফোন করে করে মানুষকে হুমকি দেয়। বিজেপির কয়েকজনকেও তারা হুমকি দিয়েছে। প্রকাশ্যে তারা এইভাবে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা পুলিশকে বারবার বলেছি, যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুন। আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি, ফের না কোনও ক্ষতি হয়ে যায়। ৩৪ জন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অথচ তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছে না? আসলে পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই তাদের গ্রেফতার করছে না। সেই কারণেই পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ হয়েছে। দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব আমরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: পথ অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, পুলিশের লাঠিচার্জ, সরব বিজেপি

    Arambagh: পথ অবরোধ তোলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, পুলিশের লাঠিচার্জ, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ অবরোধ তুলতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আরামবাগের (Arambagh) পুরশুড়ার সোদপুর এলাকা। গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ তুলতে গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে সকাল থেকেই পুরশুড়ার সোদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    জানা গেছে, সোমবার স্থানীয় সোদপুর এলাকায় একটি পুজোয় মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে পুরশুড়া থানার পুলিশ রাতে ওই এলাকায় হানা দিয়ে ডিজে মাইক সেটগুলি আটক করে নিয়ে যায়। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে আরামবাগ (Arambagh) -কলকাতা রাজ্য সড়ক পুরশুড়ার সোদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়  রাস্তার উপর কাঠের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধকারীদের বক্তব্য, “নিয়ম মেনেই মাইক বাজানো হচ্ছিল। পুলিশ কোনও কারণ ছাড়াই মাইক সেট তুলে নিয়ে যায়। তাই আমরা রাস্তায় নেমে অবরোধ করেছিলাম”। এদিকে অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে অবশেষে পুরশুড়া থানার পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের এলাকা থেকে হঠিয়ে দেয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, “আরামবাগ মহকুমা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় পূজা পার্বণ চলছে। যদি এমন কিছু সরকারি নির্দেশ বা আইন থাকে তাহলে সমস্ত পুজো কমিটিগুলোকে সেই নোটিশ দেওয়া উচিত। কিছুদিন আগে পাশের এলাকাতে আরো একটি পুজো হয়েছিল, একইভাবে সেখানে বক্স বাজানো হচ্ছিল। কিন্তু সে ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এক্ষেত্রে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে, পুজো কমিটির লোকজন বিষয়টি নিয়ে থানায় জানতে গেলে অন্য মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় তাদের। এর প্রতিবাদেই এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান। সেখানে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। সম্পূর্ণ নিন্দনীয় ঘটনা”।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে যদিও আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “পুলিশ প্রশাসন নিয়ম মেনেই কাজকর্ম করছে। বিষয়টি আইনি ব্যাপার। ওটা পুলিশ প্রশাসন বুঝবে। এ বিষয়ে আমার কোনও মতামত নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fire Crackers: বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল, ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বাজি

    Fire Crackers: বিস্ফোরণের পর টনক নড়ল, ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ বাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা, বজবজে ভয়াবহ বিস্ফোরণকাণ্ডের পর টনক নড়ল পুলিশের। জেলায় জেলায় শুরু হল পুলিশি অভিযান। আর সেই অভিযানে নেমে নদিয়ার কৃষ্ণনগর এবং উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণে বাজি (Fire Crackers) বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, একের পর এক বিস্ফোরণ না হলে এত বাজি মজুত রয়েছে তা জানা যেত না।

    দত্তপুকুর এলাকা থেকে কত বাজি (Fire Crackers) বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ?

    সোমবার দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জের ইছাপুর পঞ্চায়েতের কাঠুরিয়া এলাকায় ইবাদত মণ্ডল নামে একজনের বাড়িতে প্রচুর বাজি (Fire Crackers) মজুত ছিল। বিষয়টি জানার পরই দত্তপুকুর থানার পুলিশ অভিযান চালায়। প্রচুর বাজি সেখান থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। ইবাদতের খোঁজ মেলেনি। তবে, জাকির হোসেন নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া বাজির পরিমাণ প্রায় ২০০ কুইন্টাল। এত পরিমাণ বাজি বাড়িতে কীভাবে মজুত ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: বজবজের পর মালদা! বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, মৃত ২

    কৃষ্ণনগর থেকে বিপুল পরিমাণ বাজি (Fire Crackers) উদ্ধার করল পুলিশ

    নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ কালিনগরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি (Fire Crackers) উদ্ধার করল। কালিনগর এলাকার সাহা স্টোরের গোডাউন থেকে আনুমানিক ২৫ পেটি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে। ২৫ পেটি বাজির আনুমানিক ওজন প্রায় আড়াই কুইন্টাল। স্টোরের মালিক অভিযুক্ত উত্তমকুমার সাহা ঘটনার পর থেকে পলাতক। নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে জলে ভিজিয়ে নিষ্ক্রিয় করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কিছুদিন আগেই রাজ্যের এগরা সহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের মতো ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে মানুষ। কালিনগরে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারের ঘটনায় একপ্রকার ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। তবে, কীভাবে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি (Fire Crackers) জমায়েত করা হয়েছিল এবং এই ঘটনার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত”, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত”, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এবার অভিযোগের তির চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের দিকে। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) তোপ দাগলেন অসিতের বিরুদ্ধে। শুভেন্দুর অভিযোগ, বর্ধমানে ১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন বিধায়ক অসিত। 

    শুভেন্দুর দাবি

    সোমবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে বিজেপির প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুর্নীতি ইস্যুতে তিনি এদিন এক হাত নেন তৃণমূলকে। এর আগে হুগলিতে কখনও উত্তরপাড়ার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব, কখনও গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ককে নিশানা করেছেন শুভেন্দু। আর এবার সরাসরি দুর্নীতি ইস্যুতে বিঁধলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। সভার আগে বিরোধী দলনেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন অসিত। জানিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে চোর বলা যাবে না। করা যাবে না ব্যক্তিগত কুৎসাও। কিন্তু, শাসক দলের হুঁশিয়ারিকে তোয়াক্কা না করে শুভেন্দু এদিন সরাসরি বলেন, “চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার চাকরি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত।” বিরোধী দলনেতার দাবি, কম করে ১০০ চাকরি বিক্রি করেছেন অসিত। তবে হুগলিতে নয় সে সমস্ত চাকরি বর্ধমানে বিক্রি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। শুভেন্দু বলেন, “হুগলিতে কুন্তল, শান্তনু, অয়নকে দিয়ে সবে শুরু। দরজা খোলা হয়েছে। আগামীতে আরও তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা হাজতে যাবেন।”

    মমতাকে আক্রমণ

    কিছুদিন আগে ধনিয়াখালিতে দুর্গার হাতের ত্রিশূল খুলে সেখানে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সভা করে বিজেপি। প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন বিরোধী দলনেতা। অসিতকে নিশানা করে তিনি বলেন, “কী বিরাট নেতা হয়ে গেছে! এটাও চাকরি বিক্রি করে হয়েছে। নিজের এলাকায় নয়, ১০০ বেশি চাকরি বেচেছে বর্ধমানে। আমার কাছে তালিকা আছে। গতকাল জ্ঞান দিয়েছে ভদ্র কথা বললে ভদ্র হবে, অভদ্র কথা বললে অভদ্র হবে। আবার বললাম পিসি চোর ভাইপো চোর সঙ্গে আপনিও চোর। আপনি কর্মচারী, আপনার মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারিয়েছি। আপনারা যদি থাকেন মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করে তবে ছাড়ব।” 

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    অভিষেককে নিশানা

    রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, একের পর এক বিস্ফোরণ থেকে স্পষ্ট যে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে আর কিছু নেই। একই সঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, সব দুর্নীতির সঙ্গে অভিষেকের যোগ রয়েছে। তাঁর জ্ঞানত এই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda Blast: বজবজের পর মালদা! বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, মৃত ২

    Malda Blast: বজবজের পর মালদা! বাজির গুদামে বিস্ফোরণ, মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরা, বজবজের পর এবার মালদার ইংরেজ বাজারে বাজির গুদামে বিস্ফোরণ (Malda Blast) ঘটে। বিস্ফোরণ থেকে আগুন ছড়ায় পার্শ্ববর্তী বাজির দোকানে। মঙ্গলবার সকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদার ইংরেজবাজারের নেতাজি মার্কেট এলাকায়। বিস্ফোরণে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মঙ্গলু ঋষি (৪৫) ও গণেশ কর্মকার। দুজনেই পেশায় ভ্যানচালক।

    ঠিক কী করে বিস্ফোরণ (Malda Blast) ঘটে?

    মালদার ইংরেজবাজারের নেতাজি মার্কেট এলাকায় লাইন দিয়ে প্রচুর দোকান রয়েছে। সেখানে দুটি দোকানে বাজি মজুত করা ছিল। পাশাপাশি কয়েকটি দোকানে ডাঁই করে আম, লিচু মজুত ছিল। জামাইষষ্ঠীর আগে তা পাকানোর জন্য এদিন সকাল ছটা নাগাদ মার্কেটের সামনে দুটি গাড়িতে করে প্রচুর পরিমাণে কার্বাইড নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানেই কার্বাইড গাড়ি থেকে নামানোর সময় কোনওভাবে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। আর তা থেকে মার্কেটে আগুন লেগে যায়। চারিদিক আগুন ও ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে মার্কেটের ভিতরে থাকা বাজির গুদামে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। শুধু বাজির গুদামে নয়, আশপাশের দোকানে আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। মার্কেটের মধ্যে একজন ভ্যান চালক ছিলেন। আগুনে ঝলসে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকল ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। দমকল কর্মীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান ব্যবসায়ীরা। দমকলের ৮ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর কাজ করে।

    কী বললেন ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা?

    ব্যবসায়ী সমিতির অন্যতম সদস্য খোকন কুণ্ডু বলেন, প্রাথমিকভাবে কার্বাইড থেকে বিস্ফোরণ (Malda Blast) ঘটে। প্রচণ্ড গরমের কারণে হতে পারে। খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি। দেখি বাজারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ভিতরে বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লেগে যায়। কয়েকটি দমকলের ইঞ্জিন একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাজি মজুত থাকার কারণে আগুন ভয়াবহ আকার নেয়।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    ঘটনার পর পরই ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীও ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। দমকল কর্মীরা সমস্ত বিষয়টি দেখছে। দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে বিস্ফোরণের পর আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। পুরসভার পক্ষ থেকে আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পুকুরচুরি! ‘প্রমাণ’ দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের নানা প্রকল্পে এ রাজ্যে পুকুর চুরি হয়েছে বলে বারংবার অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার ট্যুইট-বার্তায় তার ‘প্রমাণ’ দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (PMYA) যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দুর্নীতির নাগাল পেতে এ রাজ্যের সাত জেলায় তদন্ত করেছিল ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিম।

    চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    এই টিমের সদস্য ছিলেন আইএএস মনোজ পন্থ এবং আইএএস পি উলগানাথন। এই টিমের রিপোর্টেই স্পষ্ট, আক্ষরিক অর্থেই পুকুর চুরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়। পূর্ব বর্ধমানে অবৈধভাবে দখল করা এক জমিতে গড়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর। দেওয়ালে অবশ্য লেখা, বাংলা আবাস যোজনা। মুর্শিদাবাদে আবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৫৩১ জন। দেখা গিয়েছে, এর মধ্যে যোগ্য মাত্রই ২৫ জন।

    আবাস প্লাস যোজনায় ঘর

    পূর্ব মেদিনীপুরে (Suvendu Adhikari) আবার চুরি হয়েছে অন্যভাবে। যাঁর পাকা বাড়ি রয়েছে, আবাস প্লাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন তিনিও। সুবিধাভোগীর তালিকায় এমন অনেকেরই নাম রয়েছে, যাঁদের আদৌ ওই সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। ৪ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, যোগ্য নন এমন সুবিধাভোগীর সংখ্যা এই জেলায় ১,৯৮০ জন। কিছু বাড়ির দেওয়ালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখা থাকলেও, অনেক ক্ষেত্রেই তা লেখা নেই।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে আবার অন্য ছবি। এখানে ভেরিফিকেশন টিম যাঁদের নাম প্রস্তাব করেছে, তাদের এই সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। আবাস যোজনায় যাঁরা বাড়ি পেয়েছেন, সেখানে এই প্রকল্প সম্পর্কে উচ্চবাচ্য করা হয়নি। কালিম্পংয়ের ছবিটাও প্রায় একই রকম। ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিমের আসার খবর পেয়েই লেখা হয়েছে দেওয়াল। দার্জিলিংয়েও প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন এমন অনেকে, যাঁদের তা পাওয়ার কথা নয়। প্রধানমন্ত্রী (Suvendu Adhikari) আবাস যোজনায় বাড়ি পেলেও, দেওয়াল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে লোগো। নদিয়ায়ও এমন অনেকেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন, যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে। এখানেও অনেক সুবিধাভোগীর দেওয়ালেও লোগো কিংবা অন্য কোনও চিহ্ন নেই, যা দেখে মনে হয় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন তিনি।

     

    আরও পড়ুুন: নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী ও বিজয়কৃষ্ণের ছেলেকে চাকরি দিলেন শুভেন্দু! কোথায় হল নিয়োগ?

  • Baranagar: পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের ছিনতাইয়ের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলার

    Baranagar: পুলিশের কাছ থেকে অভিযুক্তদের ছিনতাইয়ের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার প্রতারণার অভিযোগে কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নিয়ে যেতে যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ। আর সেই অভিযুক্তদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় কয়েকজন যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বরানগর (Baranagar) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আলমবাজার এলাকায়। পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    বরানগর (Baranagar) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার নীলু গুপ্তার আলমবাজারের বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার চালাত। ওই কল সেন্টার থেকে অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করা হত বলে অভিযোগ। ওই কল সেন্টারের কর্মীদের বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বরানগরের আলমবাজারে আসে। কল সেন্টারে যুবকরা কাজ করছিল। পুলিশ হানা দিয়ে সকলকে ধরে ফেলে। অভিযুক্তদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন যুবক এসে পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূল কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের কেন ছিনতাই করা হল, কেউ তার উত্তর দিতে পারেনি। জানা গিয়েছে, ভুয়ো কল সেন্টারে যারা কাজ করত সকলেই এলাকারই ছেলে।

    পুলিশের কাছে থেকে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করল?

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ বরানগরে (Baranagar) এসে ভুয়ো কল সেন্টারের কর্মীদের গ্রেফতার করতেই কাউন্সিলারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পুলিশের কাছ থেকে তারা ধৃতদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। চার অভিযুক্তকে দেখতে কাউন্সিলার থানায় যান বলে অভিযোগ। তবে, বাড়িতে ভুয়ো কল সেন্টার কেন কাউন্সিলার চালাতে দিয়েছিল, আর পুলিশি পদক্ষেপকে কেন বাধা দেওয়া হল, তা নিয়ে কেউ কোনও কথা বলেনি। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই কাউন্সিলারের মদতেই সেখানে ভুয়ো কল সেন্টার চলত। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় কাউন্সিলার সেটা মেনে নিতে পারেনি। তাই, কাউন্সিলার নিজের ঘনিষ্ঠদের দিয়ে অভিযুক্তদের পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যদিও এই বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার নীলু গুপ্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighater Kaku: কালো টাকা হতো সাদা! ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে যোগ থাকা তিন সংস্থায় নজর ইডির

    Kalighater Kaku: কালো টাকা হতো সাদা! ‘কালীঘাটের কাকু’-র সঙ্গে যোগ থাকা তিন সংস্থায় নজর ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো টাকা সাদা করার কাজ চলত, এরকম তিন সংস্থার সঙ্গে যোগ ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের প্রাক্তন কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তথা ‘কালীঘাটের কাকু’র (Kalighater Kaku)। এমনই সন্দেহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। গত শনিবার দুপুরে ওই সংস্থাগুলিতে তল্লাশি চালানো হয়। ইডি-র দাবি, ৩টি কোম্পানির সঙ্গে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, সুজয়কৃষ্ণের মোট ২০টি সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে তারা।

    আধিকারিককে তলব

    ইডি সূত্রের খবর, এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। চলেছে কালো টাকা সাদা করার কাজ। সোমবার সকালে একটি সংস্থার আধিকারিককে ডেকে পাঠায় ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই আধিকারিকের নাম অমিতকুমার কর্মকার। তাঁকে ওই সংস্থা সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কিছু নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে। ওই সংস্থার লেনদেন এবং টাকার উৎসে নজর রয়েছে তদন্তকারীদের। সে ব্যাপারেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে অমিতকে।

    আরও পড়ুুন: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    মোট ২০টি জায়গায় সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে

    ইডির তল্লাশিতে মোট ২০টি জায়গায় সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ষোলোটি জায়গায় তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে প্রায় দেড় হাজার পাতার নথি। এই নথিতে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুজয়কৃষ্ণর (Kalighater Kaku) ফোন-সহ ১১টি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, উদ্ধার হয়েছে প্রচুর হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইভ সহ ইলেকট্রনিক এভিডেন্স। তদন্তকারীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, তিনটি কোম্পানির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্রও মিলেছে। সেগুলির সঙ্গে সুজয়ের কোনও যোগ আছে কি না, নথিপত্র যাচাইয়ের পর তা নিয়ে ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এর আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ি গিয়েছিল সিবিআই৷ সূত্রের খবর, সেখানে অ্যাডমিট কার্ড ও নগদ কিছু টাকা উদ্ধার করেছিলেন তাঁরা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নিজাম প্যালেসে তলবও করেছিল সিবিআই। সেখানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরেও এল কালীঘাটের এই কাকু। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বহাল! রাজ্যের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ

    Recruitment Scam: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত বহাল! রাজ্যের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু এদিন রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে তদন্তে এখনই কোন হস্তক্ষেপ আদালত করবে না। তদন্ত যেমন চলছিল তেমনই চলবে, এটাও জানায় ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘‘দুর্নীতিকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে।’’ প্রসঙ্গত, গত মাসের ১৩ তারিখ ইডির পেশ করা অয়ন শীল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যকেও এদিন মান্যতা দেন বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগামী ৬ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।

    পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হন। সেই সূত্রে ধরা পড়ে শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। এবং সেখানেই একাধিক প্রমাণ মেলে অয়ন শীলের বিরুদ্ধে। সামনে আসে পুরসভা নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ। সে সময়ে এই নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা সরে বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে। তিনিও একই রায় বহাল রাখেন। অর্থাৎ হাকিম বদলেও হুকুম বহাল থাকে। এদিন ডিভিশন বেঞ্চেও রাজ্য জোর ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ৫০০০ চাকরি বিক্রি হয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভাতে

    শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়নশীল ৬০টি পুরসভায় ৫০০০ চাকরি বিক্রির দালাল হিসেবে কাজ করেছেন, এমনই অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। হালিশহর, বীরনগর, বরানগর, উলুবেড়িয়া, পানিহাটি, কামারহাটি, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, ডায়মন্ডহারবার, নিউ বারাকপুর সর্বত্র ছড়িয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির জাল, এমনটাই জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে অয়নশীলের কুড়িটিরও বেশি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। বিঘা বিঘা জমি, পেট্রলপাম্প সমেত প্রায় ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি মিলেছে অয়নের নামে। তাঁর অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বহু নথি এবং হার্ডডিস্ক। মিলেছে ওএমআর শিটও। প্রসঙ্গত, গত মাসের ২১ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নতুন করে এফআইআর করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sexual Harassment: তিলজলায় তরুণীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত দুই বিদেশি ফুটবলার

    Sexual Harassment: তিলজলায় তরুণীকে গণধর্ষণ! অভিযুক্ত দুই বিদেশি ফুটবলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক তরুণীকে ধর্ষণের (Sexual Harassment) অভিযোগে এক মহিলা ও দুই বিদেশি ফুটবলার সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল নিউটাউন থানার পুলিশ। অভিযুক্ত দুই ফুটবলার দক্ষিণ আফ্রিকার ঘানার বাসিন্দা। কলকাতায় তারা বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টে টাকার বিনিময়ে ফুটবল খেলে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে অভিযুক্ত মহিলা মিজোরামের বাসিন্দা। রবিবার তিনজনকেই বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

    টাকা চাইতে গিয়েই বিপদ

    পুলিশ সূত্রে খবর, এক তরুণী নিউটাউন থানায় এসে অভিযোগ করেন যে তাঁর সঙ্গে পূর্ব পরিচিত এক মহিলার কাছে টাকা চাইতে যান তিনি। ওই মহিলা জানান, তাঁর কাছে টাকা নেই। কিন্তু তাঁর সঙ্গে গেলে তিনি টাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। সেই বিশ্বাসে তাঁর সঙ্গে সাহায্যপ্রার্থী তরুণী গিয়েছিলেন দুই বিদেশি ফুটবলারের কাছে। অভিযোগ, তারা নিজেদের ফ্ল্যাটে টাকা দেওয়ার অছিলায় ধর্ষণ (Sexual Harassment) করে ওই তরুণীকে। পাঁচ দিন আগের এই ঘটনায় শনিবার রাতে তিলজলা ও নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক মহিলা-সহ তিন অভিযুক্তকে। নিউটাউন থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গত ১৯ মে। তার ভিত্তিতে এই ধরপাকড় চালায় পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    ধৃতদের পরিচয়

    বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, ধৃত দুই ফুটবলারের নাম ক্রিস জোসেফ ও মোজেস জুটা। কলকাতার তিলজলায় একটি ফ্ল্যাটে তাঁরা থাকেন। ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, ঘানার ওই দুই ফুটবলার চুক্তির বিনিময়ে খেলে থাকেন। তবে কলকাতার কোনও নামী ক্লাবের সঙ্গে তাঁদের এখনও কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলেই দাবি করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, দুই ফুটবলার ২০১৯ সালে কলকাতায় এসেছিলেন। কোভিডের সময়ে তাঁরা ঘানায় ফিরে যান। ফের ২০২১ সালে তাঁরা কলকাতায় আসেন। ময়দান সূত্রের খবর, দক্ষিণ শহরতলিতে এই ধরনের বিদেশি ফুটবলারদের বসবাস রয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নামী ক্লাবের সঙ্গে জড়িত নন। ধৃত তরুণী লিজার প্রসঙ্গে পুলিশের দাবি, ওই তরুণী নানা ধরনের কাজ করে থাকেন। অনেক বিদেশির সঙ্গেই তাঁর বন্ধুত্ব রয়েছে। লিজার কাজকর্ম নিয়েও সন্দেহ রয়েছে পুলিশের। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share