Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda: আর্থিক সঙ্কটকে দূরে ঠেলে নিজের প্রতিভায় মাধ্যমিকে উজ্জ্বল টোটো চালকের মেয়ে

    Malda: আর্থিক সঙ্কটকে দূরে ঠেলে নিজের প্রতিভায় মাধ্যমিকে উজ্জ্বল টোটো চালকের মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একজন টোটো চালকের মেয়ে এবছর মাধ্যমিকের ফলাফলে সবাইকে চমকে দিয়েছে। মালদা (Malda) জেলার রতুয়ার ওই টোটো চালকের মেয়ে, উত্তর মালদা সহ নিজের ব্লকেও মাধ্যমিকে নজরকাড়া ফল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। পরিবার, স্কুলের শিক্ষক এবং এলাকার মানুষ স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত।

    স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সমাজের জন্য বিশেষ কিছু করা

    মালদার (Malda) রতুয়ার ১ নং ব্লকের কাহালা অঞ্চলের লক্ষ্মীপুর প্রত্যন্ত গ্রামের এই কৃতী ছাত্রীর নাম তাপসী মণ্ডল, বাবা কৃষ্ণ মণ্ডল। মাধ্যমিকে তাপসীর প্রাপ্ত নম্বর হল ৬৭১। সে যে স্কুলে পড়াশুনা করত, সেই স্কুলের নাম নরোত্তমপুর কাহালা বি বি হাই স্কুল। তাপসীর এই ফলাফলেই পরিষ্কার, শহরের তুলনায় গ্রাম্য অঞ্চলের ছেলেমেয়েরাও মেধা তালিকায় পিছিয়ে নেই। মাধ্যমিক পরীক্ষায় শহরের থেকে দূরে গ্রামের দুঃস্থ ও মেধাবীদের জীবন সংগ্রামের প্রধান অস্ত্র পড়াশুনা। আর তাকেই হাতিয়ার করে সমাজের বুকে বিশেষ জায়গা করে নেওয়ার নানান দৃষ্টান্ত এবছর মাধ্যমিকের ফলাফলে লক্ষ করা যাচ্ছে। সেরকমই একটি প্রতিভার পরিচয় মিলল মালদা জেলার মধ্যেও। পরিবারের অর্থনৈতিক সঙ্কটকে কখনও প্রতিবন্ধকতা মনে না করে, কেবলমাত্র পড়াশুনাকে নিজের প্রতিভা হিসাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে তাপসী। এবার তার স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সমাজের জন্য বিশেষ কিছু করা।

    কৃ্তী ছাত্রীর এখন কীভাবে স্বপ্ন পূরণ হবে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাপসী মণ্ডল খুব ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। তাঁর পরিবার ভীষণ হতদরিদ্র এবং দুঃস্থ। এলাকার মানুষ বলেছেন, শহরের ভালো স্কুলগুলো বাছাই করে ভালো ছাত্রদের নিয়ে থাকে। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকার (Malda) স্কুলের দিকে সবার নজর একটু কম থাকে। তবুও এই স্কুলে তাপসী নিজের যোগ্যতায় ভালো ফল করেছে। এলাকার মানুষ ওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বাবা খুব পরিশ্রম করে সংসার চালান। এই অবস্থায় বাড়িতে তাপসীর পড়াশুনার জন্য খুব কষ্ট করে অর্থের ব্যবস্থা করতে হত। বাবা নিজে টোটো চালিয়ে যা রোজগার করেন, তাতে পরিবারের পেট চলে না বললেই চলে। নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এমন অবস্থায় অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছেন কৃষ্ণবাবু। আর সেই মতো মেয়েও রতুয়া ১ নং ব্লক সহ গোটা উত্তর মালদায় খুব ভালো ফল করেছে। আর তাতেই খুশি গোটা এলাকা। তাপসী মণ্ডলের ইচ্ছা, আগামীতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা ঠিক না থাকায় ভালো ফল করেও আগামী দিনের পড়াশোনা নিয়ে চিন্তিত। এই কৃ্তী ছাত্রীর এখন কীভাবে স্বপ্ন পূরণ হবে, সেটা নিয়েই চিন্তায় পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মোদি সরকারের ৯ বর্ষ পূর্তি, বাংলায় ১০০ জনসভা করবে বিজেপি

    BJP: মোদি সরকারের ৯ বর্ষ পূর্তি, বাংলায় ১০০ জনসভা করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছিলেন বিজেপির (BJP) নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ২৬ মে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। সেই হিসেবে এবার প্রধানমন্ত্রী পদে ৯ বছর পূর্তি হচ্ছে তাঁর। এই উপলক্ষে দেশজুড়ে এক মাস ব্যাপী ব্যাপক প্রচারাভিযান শুরু করতে চলেছে বিজেপি। প্রথম সভাটি হবে ৩০ মে। ওই জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ ছাড়াও আরও ৫১টি সভা করবেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দেশের পাশাপাশি বাংলায়ও প্রধানমন্ত্রী পদে মোদির ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রচারাভিযানে নামতে চলেছে পদ্ম শিবির। এই প্রচারাভাযানে মূলত তুলে ধরা হবে মোদি সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা। তুলে ধরা হবে মোদি সরকারের সাফল্যের কথাও।

    বিজেপি (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ

    বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, মোদি সরকারের এই ৯ বছর পূর্তিতে এ রাজ্যে কমপক্ষে ১০০টি জনসভা করবে গেরুয়া শিবির। এই সব জনসভায় নেতাদের পাশাপাশি এলাকার প্রভাবশালীদের হাজির করা হবে। আয়োজন করা হবে চা চক্র এবং নৈশভোজেরও। জনসভাগুলিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ এবং দলীয় বিধায়কদেরও উপস্থিত থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। শীর্ষ নেতৃত্বের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে জনসভাগুলির ব্যাপক প্রচার করতে হবে। তুলে ধরতে হবে মোদি সরকারের সাফল্যের সাতকাহনও। কর্মসূচি শুরু হবে ৩০ মে। শেষ হবে জুনের ৩০ তারিখে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাংলায় মণ্ডলস্তরে ১০০টি জনসভা করতে হবে। সব লোকসভা কেন্দ্রে একত্রিত করতে হবে বুদ্ধিজীবীদের।

    জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ

    সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ, শিল্পী, শিল্পপতি এবং যুদ্ধের নায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। জনসংযোগ বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় (BJP) বলা হয়েছে, জনগণের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে অন্তত ২৫০টি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ২৯ মে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। উপস্থিত থাকবেন দলের বর্ষীয়ান নেতারাও।

    আরও পড়ুুন: “মুখ্যমন্ত্রী, পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন?” বজবজ-বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ৩০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মোদি সরকারের সাফল্যের প্রচার অভিযান চলবে। বিশেষভাবে পালন করা হবে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বলিদান দিবস। তিনি বলেন, লোকসভাভিত্তিক সভার কথা বলা হলেও, মণ্ডলভিত্তিক সভায় জোর দিচ্ছি আমরা। বিধানসভাওয়াড়ি সব মোর্চাকে একত্রিত করে সংযুক্ত মোর্চার সম্মেলন করা হবে। সর্বশক্তি দিয়ে এই প্রচারে নামতে হবে আমাদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    West Bengal Health: “এভাবে চলতে পারে না”! হাসপাতাল নিয়ে মদনের মতোই বেজায় চটেছেন শতাব্দী রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মদন মিত্রের সুরে এবার হাসপাতালে (West Bengal Health) দালাল চক্রের অভিযোগ তুললেন দলেরই দুই সাংসদ এবং বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককেও। সিসিটিভি দেখে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। মাস দুয়েকের মধ্যে এনিয়ে ফের পর্যালোচনা বৈঠকে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন শতাব্দী রায়? কেনই বা বললেন? 

    প্রসঙ্গত, ধীরে ধীরে নতুন পালক লেগেছে রামপুরহাট হাসপাতালের (West Bengal Health) মাথায়। এক সময়ের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল সুপার স্পেশালিটি থেকে স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতাল হয়ে এখন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু পরিষেবা সেই তলানিতে। আজও রোগীদের বদলি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিংবা স্থানীয় কোনও নার্সিং হোমে। অভিযোগ, এক শ্রেণির দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়রা। এনিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছেন সাংসদ থেকে বিধায়ক। সেই সমস্ত পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ নিয়ে রবিবার রামপুরহাটের নিশ্চিন্তপুরে তারাবিতান গেস্ট হাউসের সভাকক্ষে বৈঠকে বসেন বীরভূম এবং বোলপুরের সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা শাসক বিধান রায় সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেখানেই দালাল রাজ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শতাব্দী রায় অভিযোগ করেন, একজন রোগীর জন্য তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাননি। বাধ্য হয়ে রোগীকে নার্সিং হোমে ভর্তি করতে হয়। তিনি বলেন, “আমরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে পরিষেবা পাবে। এভাবে চলতে পারে না। আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের আর এক সাংসদ অসিত মাল?

    সাংসদ অসিত মাল বলেন, “হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে অসাধু কর্মী এবং দালাল চক্র রোগীদের নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য করে। হাসপাতালে (West Bengal Health) উন্নত পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে এক্স রে, ইউএসজি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বাধ্য করছে দালাল চক্র। এছাড়া রোগীদের সঙ্গে নার্সিং স্টাফদের দুর্ব্যবহার বন্ধ হওয়া দরকার। দুপুরে ভর্তি হওয়া রোগীকে একদিন পর কেন চিকিৎসক দেখবেন?” এছাড়াও জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র দ্রুত দেওয়ার দাবি জানান অসিতবাবু। এতদিন হাসপাতালের সামনে জল জমা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রোগীর আত্মীয়রা। এবার এনিয়ে অভিযোগ তুললেন খোদ সাংসদ অসিত মাল। তিনি বলেন, “অবিলম্বে হাসপাতালের সামনে জল জমা বন্ধ করতে হবে”।

    নজর দেওয়ার চেষ্টা হবে, মিলল শুধু আশ্বাস

    দালাল চক্রের কথা মেনে নেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী অনেক উন্নয়ন করেছেন। কিছু ত্রুটি রয়েছে। তা সংশোধনের চেষ্টা চলছে”। জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “কিছু অভিযোগ (West Bengal Health) উঠেছে। সেগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে কোনও ত্রুটি না থাকে, সেদিকে নজর দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বলা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: এসএসকেএমে মদন মিত্রের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা! 

    West Bengal Health: এসএসকেএমে মদন মিত্রের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে রোগী যাবেন। চিকিৎসক প্রয়োজন বুঝে ভর্তি করাবেন। চলবে চিকিৎসা। এই সহজ স্বাভাবিক নিয়ম আর চলে না। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে দরকার শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের সুপারিশ। ক্ষমতার লম্বা হাত না থাকলে পাওয়া যাবে না সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা (West Bengal Health)। সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালে রোগী ভর্তিকে কেন্দ্র করে মদন মিত্র-বিতর্ক অন্তত সেটাই স্পষ্ট করে দিল।

    কী কারণে বিতর্ক? 

    সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনায় জখম এক যুবককে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করাতে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। কিন্তু সেই রোগীকে ভর্তি করানো যায়নি। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মদন মিত্র। শনিবার থেকে তিনি বারবার বলতে থাকেন, ‘সে নো টু পিজি’! মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ না করলে পিজি-র পরিষেবা কেউ নেবেন না। এমনকী তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চক্ষুশূল, একথাও বলেন। পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেন এসএসকেএম হাসপাতালের অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, হাসপাতাল চত্বরে কোনও গণ্ডগোল বরদাস্ত করা হবে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মদন মিত্রের বিরুদ্ধে ভবানীপুর থানায় অভিযোগও দায়ের করে। রবিবার রাতে অবশ্য অনেকটাই অবস্থান বদল করে মদন মিত্র বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এসএসকেএম-এর পরিষেবা ভালো। চাপ অনেক। কিন্তু এই পুরো ঘটনায় একটা প্রশ্নই সবচেয়ে জোরালো হচ্ছে, মাথার উপরে শাসকদলের হাত না থাকলে কি স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) পাওয়া যাবে না?

    কী বলছেন ভুক্তভোগীরা? 

    এসএসকেএম হাসপাতালে আউটডোরে চিকিৎসক দেখাতে লাইন দিতে হয় ভোরবেলা থেকে। রাত থেকেই রোগী ও পরিজনেরা ভিড় জমান। সকাল দশটায় চিকিৎসক দেখাতে হলে, ভোর তিনটেয় এসে বসে থাকতে হয়। রোগীদের পরিজনেরা জানাচ্ছেন, অস্ত্রোপচারের দিন পেতে অপেক্ষা করতে হয় দিনের পর দিন। বিশেষত, কার্ডিওলজি, কার্ডিওভাসকুলার, প্লাস্টিক সার্জারির মতো বিভাগে দেখা যায়, কয়েক বছর পরে অস্ত্রোপচারের দিন পাচ্ছেন রোগী। অনেক সময় এক-দু মাস নয়, অপেক্ষা করতে হয় দেড় থেকে দু’বছর! তালিকা থাকে এতটাই দীর্ঘ! রোগী হয়রানির (West Bengal Health) চূড়ান্ত।

    কী বলছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, এসএসকেএম হাসপাতালে রোগীদের অপেক্ষার লাইন প্রমাণ করে, জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজের ঘোষণাই হয়েছে মাত্র। কাজ কিছুই হয়নি। যদি সব মেডিক্যাল কলেজে সম মানের পরিকাঠামো (West Bengal Health) থাকত, তাহলে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য এত হয়রানির শিকার হতে হত না। অধিকাংশ সময় এই ভিড়ের জন্য সুপারিশ ছাড়া কোনও পরিষেবা পাওয়া যায় না। রাজ্যের শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীর সুপারিশেই একমাত্র এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যায়। তা না হলে, অপেক্ষা করতে হয় মাসের পর মাস। কিন্তু স্বাস্থ্য পরিষেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার সুরক্ষিত থাকছে না।

    স্বাস্থ্যসাথী কি শুধুই বিজ্ঞাপনে? 

    রোগীর পরিজনদের একাংশ জানাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী বারবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা বলেন। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেতে বারবার শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের অনুরোধ করতে হয়। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) কেন আগে সুনিশ্চিত হচ্ছে না? কার্ড হাতে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুযোগও থাকে না। বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা অনেকটাই বিজ্ঞাপনে আটকে থাকছে, অভিযোগ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের রোগী ও পরিবারের একাংশের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Strike: দণ্ডিকাণ্ডে আদিবাসীদের ডাকে বন্‌ধ! দক্ষিণ দিনাজপুরে কেমন সাড়া মিলল?

    Strike: দণ্ডিকাণ্ডে আদিবাসীদের ডাকে বন্‌ধ! দক্ষিণ দিনাজপুরে কেমন সাড়া মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতারসহ একাধিক দাবিতে সোমবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্‌ধের (Strike) ডাক দিয়েছিল আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান। সকাল থেকে সংগঠনের সদস্যরা বন্‌ধ সফল করতে রাস্তায় নামে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন ছিল।

    বন্‌ধে (Strike) কেমন প্রভাব পড়ল?

    রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও এদিন সকাল থেকে বন্‌ধ (Strike) পালিত হচ্ছে। বন্‌ধের কারণে বালুরঘাট পাবলিক বাসস্ট্যান্ডে বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেসরকারি বাস চলাচল না করলেও সকালের দিকে কিছু সরকারি বাস চলাচল করেছে। বন্‌ধ সমর্থকরা বালুরঘাটের মঙ্গলপুর মোড়ে পথ অবরোধ করেন। ফলে, বালুরঘাট থেকে মালদা ও রায়গঞ্জের দিকে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও বালুরঘাটে বন্‌ধ সমর্থকরা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। বালুরঘাট শহরের দোকান বাজার এদিন বন্ধ ছিল। সমগ্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় একই চিত্র দেখা গিয়েছে। এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বালুরঘাট শহর জুড়ে বিশাল পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এদিকে বন্‌ধের কারণে নিত্যযাত্রীরা চরম নাকাল হন। বালুরঘাটসহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে বেসরকারি যানবাহন চলাচল না করলেও হাতে গোনা কিছু টোটো রাস্তায় চলাচল করেছে।

    কী বললেন আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের নেতা?

    প্রসঙ্গত, দণ্ডিকাণ্ডে প্রথম থেকেই তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আড়াল করেই রাখা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আগেই সরব হয়েছিল আদিবাসী সংগঠনগুলি। গত ৭ এপ্রিল তপনের গোফানগরের কয়েকজন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে একান্তভাবে কথা বলার পরেই রাতারাতি পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সনের পদ থেকে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরানো হয়। পাশাপাশি পুলিসও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় তাঁকে। কিন্তু, এতেও খুশি নয় আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান। তাই এবারে ফের বন্‌ধের (Strike) ডাক দিয়েছে তারা। আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান এর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নেতা বিক্রম মুর্মু বলেন, এদিনের বন্‌ধ সফল। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আদিবাসীদের সামাজিক বহিষ্কারের প্রতিবাদে, কুর্মিদের এসটি সূচিতে সামিলের চক্রান্তের বিরুদ্ধে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের দণ্ডিকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে এদিনের বন্‌ধ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রী, পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন?” বজবজ-বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মুখ্যমন্ত্রী, পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন?” বজবজ-বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরক ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাজি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এগরার পর বজবজ। ৫ দিনের ব্যবধানে আবার বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়েছে এক নাবালিকা-সহ ৩ জনের। বজবজ বিস্ফোরণকাণ্ডেও এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    ট্যুইটবার্তা শুভেন্দুর

    ট্যুইটবার্তায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন, ‘খাদিকুল গ্রামে পোড়া মাংসের গন্ধ আর বিস্ফোরকের অবশিষ্টাংশ এখনও বাতাসে ভাসছে। আহতদের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। সেই রেশ মেলানোর আগেই বজবজের নন্দরামপুরের দাসপাড়ায় আরও একটা বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত ৩ জনের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এটা পুনরাবৃত্তি মনে হতে পারে, কিন্তু এক্ষেত্রেও আমি এনআইএ তদন্ত চাইছি। মুখ্যমন্ত্রী, আপনি ঘুম থেকে উঠে পোড়া লাশের গন্ধ পাচ্ছেন? আর কত মৃত্যু আপনার বিবেককে নাড়া দেবে?’ 

    সরব দিলীপ ঘোষ

    রবিবার রাত পৌনে ৮টা নাগাদ, একটি বাড়ির ছাদে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ভেঙে পড়ে অস্থায়ী ছাউনি। তাতেই চাপা পড়েছিলেন তিনজন। পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। সোমবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে আসেন দিলীপ ঘোষ। ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই এগরার পর বজবজের বাজি কারখানায় আগুন প্রসঙ্গে তিনি জানান, যেখানে বাজির কারখানা সেখানেই ভয়ের পরিবেশ থাকে। বলেন, ‘এটা অনেকদিন ধরে চলছে। বেশিরভাগ বাজি কারখানা বেআইনি ভাবে চলে। তাদের ক্যাপাসিটি বা নিয়মকানুন কিছুই মানা হয় না। বেশিরভাগ গরিব লোক এখানে কাজ করে, তাদের জীবনহানি হয়। যেখানে বাজির কারখানা সেখানেই এইরকম ভয়ের পরিবেশ থাকে। এগরাতে অনেক মহিলা কাজ করতেন, ৭-৮ জন মহিলা যারা মারা গিয়েছেন, তাদের বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। তারা অনাথ হয়ে গিয়েছে। পুলিশ সব জানে। সব জায়গা থেকে টাকা খাওয়ার এইরকম অভ্যাস হয়ে গেলে এই সমস্যার কোনদিন সমাধান হবে না।’

    আরও পড়ুন: এগরার পর বজবজ! বিস্ফোরণে বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, মেয়েসহ তিনজনের মৃত্যু

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর সিবিআই জেরা থেকে ছাড়া পেলেন অভিষেক, কী বললেন?

    Abhishek Banerjee: ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর সিবিআই জেরা থেকে ছাড়া পেলেন অভিষেক, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছিল সিবিআই। ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জেরার পর ছাড়া পেলেন তিনি। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে নিজের ঘড়ির দিকে সময় দেখে বললেন, ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। মুখে না বললেও সিবিআই জেরার পর তিনি যে হাফ ছেড়ে বাঁচলেন, তা তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট।

    কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    দিনভর সিবিআই জেরার পর তিনি বাইরে বেরিয়ে সেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তোপ দাগলেন। একইসঙ্গে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিজেপিকে। তিনি (Abhishek Banerjee) বলেন, “২০১৪ সাল থেকে আমি টার্গেট হয়ে রয়েছি। রাজ্যে নবজোয়ার কার্যত জনপ্লাবনে পরিণত হয়েছে। আর তাতে আতঙ্কিত হয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। একদিনের নোটিসে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে ওরা যে সব প্রশ্ন করেছে, সব প্রশ্নের আমি উত্তর দিয়েছি। নিয়োগ দুর্নীতিতে কয়েকজন এজেন্টের কথা বলা হয়েছে। ৯০ শতাংশ পূর্ব মেদিনীপুর আর মুর্শিদাবাদের লোক। আর ওই দুটি জেলার দায়িত্বে কে ছিলেন আপনার সকলেই তা জানেন। তাঁকে সিবিআই ডাকবে না। হাতে করে তাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তবুও তাঁকে সিবিআই ডাকবে না। কারণ, তিনি বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক।” এরপর কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “কুন্তলের চিঠির জন্য আমাকে ডাকা হয়েছে। তাহলে সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে অধীর চৌধুরী, শুভেন্দু অধিকারী এবং সুজন চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। তাদের সিবিআই, ইডি ডাকল না কেন? এসব সিবিআই, ইডি আমাকে দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। সোমবার থেকে দ্বিগুণ উত্সাহে ফের নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হবে। আগের থেকে অনেক বেশি কর্মী-সমর্থক হাজির হবেন।”

    অভিষেকের বক্তব্য নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব থাকা নিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) যে অভিযোগ তুলেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুর্শিদাবাদে আমি দায়িত্বে ছিলাম বলে তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল। আমি এখন নেই। তাই, সাগরদিঘিতে তৃণমূল হেরেছে। এরপর সিবিআই জেরা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “তোলাবাজ ভাইপো ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সিবিআই জেরায় কেমন লাগলো? দেখ কেমন লাগে। ভাইপো নবজোয়ার করতে যে যে জেলায় যাবে, তৃণমূলের ভোট হু হু করে কমবে। বিজেপির ভোট বাড়বে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Attacks Mamata: ‘‘মমতা লোকের কতটা ক্ষতি করতে পারেন, মদনের কথাই প্রমাণ’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Attacks Mamata: ‘‘মমতা লোকের কতটা ক্ষতি করতে পারেন, মদনের কথাই প্রমাণ’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসকেএম-কাণ্ডের জেরে শনিবার নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন দলেরই বিধায়ক মদন মিত্র। প্রয়োজন হলে বিধায়ক পদ, এমনকি রাজনীতিও ছেড়ে দেবেন বলে হুঙ্কার দেন তিনি। শুধু তাই নয়, রীতিমতো সাংবাদিকদের সামনে কামারহাটির বিধায়ককে বলতে শোনা যায়— তাঁর ক্ষতি করলেও তাঁর পরিবারের কারও প্রতি যেন ‘প্রতিহিংসামূলক আচরণ’ না করা হয়। তাঁর পরিবারের কেউ যেন ক্ষতি না করে।

    মমতা নিয়ে ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত

    মদন মিত্রর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই সুকান্ত মজুমদার জানান, এর থেকেই পরিষ্কার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হতে পারেন। কারও ক্ষতি করতে মমতা কতদূর যেতে পারেন, তা মদন মিত্রর কথাতেই স্পষ্ট। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, “মদন মিত্র প্রমাণ করে দিয়েছেন তার মত দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার বাড়ির লোকেরও ক্ষতি করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দল কি কি করতে পারে মদন মিত্র সেটা হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেন।”

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল মমতা-অভিষেকের একার দল নয়”, এসএসকেএমকাণ্ডে তোপ মদনের

    গতকাল রাতে মদন মিত্র দাবি করেন, তৃণমূল আমলে তাঁর থাকা সত্ত্বেও পিজি-তে ভর্তি নেয়নি। এই প্রসঙ্গে পূর্বতন বাম জমানার উল্লেখ করে তুলনাও করেন কামারহাটির বিধায়ক। মদনের এই মন্তব্য নিয়েও প্রতিক্রিয়া দেন সুকান্ত। জানিয়ে দেন, মদন মিত্রের কথা থেকেই প্রমাণিত স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে দাবিগুলো করেন সেগুলো মিথ্যে দাবি। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কথা যে ভুল, সেটা তার দলের লোকেরাই প্রমাণ করছে।”

    কেন মদন মিত্র বেসুরো? তার কারণ…

    মদন মিত্রের ক্ষোভের কারণ কী? প্রশ্নের জবাবে সুকান্তবাবু বলেন, ‘‘এ দিল মাঙ্গে মোর। মন্ত্রী হতে পারেননি, তাই দুঃখে এসব করছেন।’’ তিনি যোগ করেন, মদন মিত্র অনেক দিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ। অনেকদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে একাধিক কথা বলছেন। মদন মিত্রর দাবি, গত ৫ বছরে মুখ্যমন্ত্রী তার সঙ্গে ৫ মিনিটও কথা বলেননি। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি জানান, “এখন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মদন মিত্রর দিদি নন। এখন শুধু ভাইপো ছাড়া তিনি আর কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলেন না।’’

  • Madan Mitra: “তৃণমূল মমতা-অভিষেকের একার দল নয়”,  এসএসকেএমকাণ্ডে তোপ মদনের

    Madan Mitra: “তৃণমূল মমতা-অভিষেকের একার দল নয়”, এসএসকেএমকাণ্ডে তোপ মদনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা এসএসকেএম হাসপাতালে দুর্ঘটনায় জখম এক রোগী ভর্তি করা নিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) সঙ্গে সংঘাতের সূত্রপাত। আর তার জের কালীঘাট পর্যন্ত পৌঁছে যাবে শনিবার তা দলের কর্মীরাও আঁচ করতে পারেননি। শুক্রবারের ঘটনার জেরে এদিন মদন বাণে বিদ্ধ হয় এসএসকেএম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং মদন মিত্র একে অপরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিবৃতি পাল্টা বিবৃতি দিয়ে তোপ দাগে। শনিবার দিনভর এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিয়েছে। কারণ, মদনের বাণে বিদ্ধ শুধু এসএসকেএম নয়, তৃণমূল সুপ্রিমোও।

    হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাসপাতাল চত্বরে কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। আর এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীও আমাদের পাশে রয়েছেন”। মদন মিত্রের (Madan Mitra) নাম না করে তিনি আরও বলেন, “শুক্রবার রাতে হাসপাতালে যা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত। ইচ্ছাকৃতভাবে চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সদের হেনস্থা এবং গালিগালাজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে। আমি তাঁকে ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়েছি। তিনি এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বলেছেন।” হাসপাতালের ডিরেক্টর আরও বলেন, “যে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা হাসপাতালে কেউ হামলা করলে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হয়। এসএসকেএম হাসপাতালের ক্ষেত্রেও সেই একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। কাল যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের সকলের ছবি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ দেখে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

    কী বললেন মদন মিত্র (Madan Mitra)?

    মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কড়া বার্তায় মদন মিত্রের ক্ষোভের আগুনে কার্যত ঘি ঢেলেছে। পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে মদন মিত্র বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। মূলত তাঁর এই ক্ষোভ যতটা না হাসপাতালের বিরুদ্ধে তার থেকে অনেক বেশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “তৃণমূল দলটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের একার দল নয়। আমাদের মতো সকলকে নিয়ে তৃণমূল গঠিত হয়েছে। তৃণমূল ব্যক্তিগত কারও হলে প্রাইভেট লিমিটেড লেখা থাকত, সেটা তো কোথাও লেখা নেই। আর এই দল করতে গিয়ে কারও শরীরে যদি আঘাতের চিহ্ন লেগে রয়েছে, তো আমারও ২৩ মাস জেল খাটার আঘাত শরীরে রয়েছে। দরকার হলে আমি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব। আমি সোনালি গুহ, দীনেশ ত্রিবেদী, মুকুল রায় নই। আমি মদন মিত্র (Madan Mitra)। উনি আমাকে কী দিয়েছেন?” তিনি আরও বলেন, “ওই তো বিধায়কের মাইনে। যদি ছেড়ে দিতে বলেন, তা ছেড়ে দেব। তেমন হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। যা পড়াশুনা জানি তাতে টিউশন পড়িয়ে মাসে ৩০ হাজার রোজগার করতে পারব।” এরপর তিনি অনুরোধ করে বলেন, “আমার পরিবারের প্রতি প্রতিহিংসামূলক আচরণ করবেন না। আর আমি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলে এক মাসের মধ্যে ভোট করাবেন। আমি নির্বাচিত কামারহাটি থেকে। তৃণমূল আমাকে জেতায়নি। আমাকে জিতিয়েছে কামারহাটির মানুষ।”

    কী নিয়ে বই লেখার কথা বললেন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra)?

    বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলে কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra) টিউশন করার কথা বলেছেন। একইসঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আমি বই লিখব। আর সেই বই বেস্ট সেলার হবে। সারদা মামলায় ২৩ মাস জেলে ছিলাম। আমার বইয়ে সেই সময়করার ঘটনা তুলে ধরব। আমার বিশ্বাস, আমার বই বেস্ট সেলার হবে। আমেরিকার মানুষও পড়বে আমার বই।”

    কী বললেন তৃণমূলের মুখপাত্র?

    তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, মদনদা (Madan Mitra) বাম আমল থেকে পিজি হাসপাতালে প্রভাবশালী। দলমত নির্বিশেষে তিনি মানুষের চিকিত্সার ব্যবস্থা করে এসেছেন। কোনও একটি ঘটনায় তাঁর রাগ হয়েছে। তবে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেটা বলেছে সেটাও একটি দিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, জাল দিয়ে মাছ ধরে, অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    Nadia: রাস্তার জমা জলে মাছ ছেড়ে, জাল দিয়ে মাছ ধরে, অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি হলে রাস্তায় এক হাঁটু জল জমে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তা। যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। জল জমা রাস্তায় সবথেকে বেশি অসুবিধায় পড়েন নিত্যযাত্রী গ্রামের মহিলা এবং স্কুলের ছাত্রীরা। তাই নদিয়ার (Nadia) আসাননগর পঞ্চায়েত প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জমা জলে মাছ ছেড়ে সেই মাছকে জাল দিয়ে ধরে অভিনব প্রতিবাদ জানালো বিজেপি।

    জমা জলে আসননগরে (Nadia) সমস্যা

    বৃষ্টির জমা জলে রাস্তার সমস্যায় রয়েছেন আসাননগর (Nadia) পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভাটপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। বৃষ্টির ফলে এলাকার প্রায় একশো মিটার রাস্তায় জমে রয়েছে জল। আর এই রাস্তার জমা জল দিয়ে যাতায়াতের সমস্যা এখন নিত্যদিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এই রাস্তা দিয়ে প্রত্যেক দিন ৮ থেকে ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এ বিষয়ে বারংবার পঞ্চায়েতের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোন সুরাহা মেলেনি। দীর্ঘদিন ধরে জল নিকাশি ব্যবস্থা নেই এলাকায়। রাস্তার জমা জলে বাড়ছে মশার উপদ্রব। একে রাস্তার সমস্যা, তারপর আবার ডেঙ্গি সংক্রমণের আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

    নদীয়া (Nadia) বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব ও স্থানীয় (Nadia) বাসিন্দারা। জাল দিয়ে মাছ ধরে অভিনব প্রতিবাদ জানানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ দে বলেন, এই রাস্তার পাশেই নদী বয়ে গেছে, রাস্তা থেকে একটা ড্রেন করে নদীর সঙ্গে সংযোগ করলে বৃষ্টির জল রাস্তা থেকে দ্রুত নেমে যাবে। কিন্তু আসাননগরে (Nadia) তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত বোর্ডের প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনকে আমারা ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে প্রতিবাদ জানালাম। প্রশাসন দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থা না করলে আগামীদিনে আমারা বৃহত্তর আন্দোলন করব বলে হুমকি দেন বিজেপির এই মণ্ডল সভাপতি। প্রতিবাদ অভিনব হলেও, পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রশাসন কতটা তৎপর হয়, তাই এখন দেখার।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share