Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    BJP: ময়নায় বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে ৩ অভিযুক্তকে শনাক্ত করলেন নিহতের স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনে অভিযুক্ত তিনজনকে বৃহস্পতিবার শনাক্ত করলেন তাঁর স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া। তমলুক আদালতে গত ৮ই মে এই তিনজনকে গ্রেফতার করে তোলা হলে পুলিশের পক্ষ থেকে টিআই প্যারেডের আবেদন করা হয়। সেইমতো এদিন তমলুক সংশোধনাগারে এসে এই তিনজনকে শনাক্ত করলেন বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার স্ত্রী লক্ষীরানি ভুঁইয়া।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ৭

    বিজেপি কর্মী (BJP) খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ময়না থানার পুলিশ। এর মধ্যে চারজন আছে পুলিশি হেফাজতে। বাকি তমলুক উপ সংশোধনাগরে থাকা এই তিনজনকে এদিন শনাক্ত করলেন তিনি। এরা হল শ্যামপদ মণ্ডল, সাগর মণ্ডল, মধুসূদন সাউ। তিনজনই তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই তিনজনকে গত ৭ তারিখে গ্রেফতার করে ৮ তারিখ তমলুক আদালতে তোলা হয়।

    কীভাবে হয়েছিল এই খুন?

    প্রসঙ্গত, ১ লা মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকেই মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায় বিজয়কৃষ্ণকে। উদ্ধার করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিশ। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবার। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত, বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ই মে রাতে ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার বাড়িতে আসেন জওয়ানরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    TMC: নন্দীগ্রামে গৃহযুদ্ধ! তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের হুমকিতে ঘরছাড়া দলেরই পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের ঘরছাড়া করার অভিযোগ বারবার উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এবার তৃণমূল কংগ্রেসেরই পঞ্চায়েত সদস্যকে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠল দলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ। এখানকার প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি এবং আরও কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য (TMC)। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় এফআইআর দায়ের করেন নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও। শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির দায়ে জেলে যেতে হয় দাউদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেখ শামসুল ইসলামকে। প্রায় দুমাস জেলে থাকার পর ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু ফেরার পর থেকেই পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন প্রধান, অভিযোগ এমনই। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ওই পঞ্চায়েত সদস্যের। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম থানা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। শেষ পর্যন্ত প্রাণ বাঁচাতে নন্দীগ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য?

    আব্বাস বেগ বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি এবং অন্য দুই পঞ্চায়েত সদস্য মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলাম শামসুল ইসলামের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করার পর দুমাসের জেল হয় শামসুল ইসলামের। জেল খেটে বাড়ি ফেরার পরই আমাকে ঘরছাড়া করা হয়। আমি শেখ সুফিয়ান সাহেবের অনুগামী। আলোচনার ভিত্তিতে আমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর ফের আমাকে ঘরছাড়া হতে হয়। নানা জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। কয়েকদিন আগে দাদা মারা যাওয়ার পর আমি বাড়ি ফিরেছিলাম। কিন্তু গত ৭ তারিখ শামসুল ইসলাম (TMC) আমাকে ফোন করে হুমকি দেয়, তোকে কেস তুলে নিতে হবে। না হলে মার্ডার করে দেব। তার অডিও ক্লিপ আমার কাছে আছে। আমি এ নিয়ে এফআইআর করি। তারপরই বাড়ি ঘিরে ধরে চলে হুমকি। আমি ধামসাবাদে এক আত্মীয়ের-বাড়িতে ছিলাম। সেখানেও আমাকে তাড়া করা হয়। ফলে এই মুহূর্তে আমি নন্দীগ্রামছাড়া। যে কোনও সময় খুন হয়ে যেতে পারি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান সেখ শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য আব্বাস বেগ বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত। এলাকার বহু মানুষের কাছে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। বহুবিধ দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় নিজেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

    নবজোয়ারের আগে গৃহযুদ্ধ!

    তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য এবং তৃণমূলের গ্রাম প্রধানের ফোনে কথাবার্তার অডিও রেকর্ডিং ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পঞ্চায়েত ভোট এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নবজোয়ার যাত্রার আগে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামে শাসকদলের ভয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যেরই ঘরছাড়ার এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Scam: বিচারকের নির্দেশ! সিবিআই আদালত থেকেই গ্রেফতার কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র

    Coal Scam: বিচারকের নির্দেশ! সিবিআই আদালত থেকেই গ্রেফতার কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে আসানসোলের সিবিআই আদালত থেকে ফের গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযুক্তকে চারদিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর সুপ্রিম নির্দেশকেই বহাল রাখলেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল বিকাশকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারপর কেটে গেছে এক মাস। এদিন ফের বিকাশ মিশ্রকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারল সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে বিকাশ ছাড়া পায়। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই এবং সেখানে তারা দাবি করে যে, বিকাশকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারলে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে এবং কয়লা পাচারকাণ্ডের (Coal Scam) তদন্তে এগনো যাবে, এই তথ্য শোনার পরে সুপ্রিম কোর্ট বিকাশকে চারদিনের হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশের পরে বিকাশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। চারদিন হেফাজতে থাকার পরে পঞ্চম দিনে কী হবে? জামিন মিলবে নাকি তাকে আবারও হেফাজতে টানা হবে? এই ছিল বিকাশের প্রশ্ন। কিন্তু ইতিমধ্যে একমাস অতিক্রান্ত হয়েছে সুপ্রিম নির্দেশের। সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী নির্দেশ বিকাশ দেখাতে পারেনি, তাই আদালত কক্ষ থেকেই বিকাশকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।

    কয়লা পাচার-কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করল দুই সরকারি আধিকারিককে

    অন্যদিকে, কয়লা পাচার-কাণ্ডে (Coal Scam) বৃহস্পতিবার সিবিআই গ্রেফতার করেছে দুই সরকারি আধিকারিককে। জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের জেরায় কোন সদুত্তর দিতে না পারায় ইসিএল-এর ডিরেক্টর টেকনিক্যাল অপারেশন সুনীল কুমার ঝা এবং সিআইএসএফ-এর ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার সিংকে গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবারে এই দুইজনকে সিবিআই অফিসে তলব করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য‌। ধৃত দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কয়লা পাচারকাণ্ডের (Coal Scam) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লালার কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে কয়লা পাচারে সুবিধা করে দিতেন এই দুই আধিকারিক। এদিন জেরার সময় দুইজনের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে, তখনই তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই।

    শুক্রবার দুই ধৃতকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে হাজির করানো হবে বলে জানা গেছে। সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ ইসিএল-এর লিজ নেওয়া খনি থেকে কয়লা পাচার হতো। লিজ নেওয়া খনির দেখাশোনা করে থাকে সিআইএসএফ। এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়েই কয়লা পাচারে অভিযুক্ত লালাকে সাহায্য করতেন দুইজন ধৃত, এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই। অন্যদিকে কয়লা পাচার-কাণ্ডে ইডি দফতরে হাজিরা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবারই দিল্লি হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন আসানসোলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। হাইকোর্টের প্রশ্ন, ‘‘ইডি দফতরে হাজিরা দিতে অসুবিধা কোথায় মন্ত্রীর?’’

    ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল অবধি অনুপ মাঝি অবাধে কয়লা পাচার করেছে

    সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত লালা ওরফে অনুপ মাঝি এবং তার সহযোগীরা ইসিএল-এর কয়লা খনি থেকে কয়লা পাচার করত এবং এই কাজে তাদের মদত দিত কয়েকজন ইসিএল-এর আধিকারিক। এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্মীদের একাংশও জড়িত বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে ৪১ জনের বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে বলে জানা গেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কেন ওএমআর নষ্ট? বাড়তি নম্বর কীসের ভিত্তিতে? সুপ্রিম-প্রশ্নবাণের মুখে পর্ষদ

    Recruitment Scam: কেন ওএমআর নষ্ট? বাড়তি নম্বর কীসের ভিত্তিতে? সুপ্রিম-প্রশ্নবাণের মুখে পর্ষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের মোবাইলে আচমকা এসএমএস পাঠিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, সেটা ছিল ২০১৭ সালের মে মাস। টেট উত্তীর্ণ নন বলে তাঁরা কেউই চাকরির আবেদন করেন’নি, অথচ শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নিয়ে বিকাশ ভবনে তাঁদেরকে দেখা করতে হবে, এমনটাই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরে আবার ওই বছরেই ডিসেম্বর মাস নাগাদ জেলা প্রাথমিক পর্ষদ থেকে প্রতিটি প্রার্থীকে ফোন করে জানানো হয়েছিল যাবতীয় নথি যাচাই করা হবে। অভিযোগ এরপরে কোনওরকম ইন্টারভিউ ছাড়াই ওই সমস্ত টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে যান (Recruitment Scam)। এই গোটা ঘটনায় এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্ন, ‘‘কেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ওই প্রার্থীদের এসএমএস পাঠিয়েছিল? কেনই বা তাদেরকে ফোন করা হল?’’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ টেট পরীক্ষার একটি প্রশ্নে ভুল ছিল বলে মামলা করা হয় এবং তার ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষার্থীদের এক নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরবর্তীকালে। সুপ্রিম কোর্টের আরও প্রশ্ন, ‘‘সেই নম্বরের ভিত্তিতে টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন যাঁরা, সেই তালিকা তখনও তৈরি হয়নি তাহলে কেন বাছাই করা কয়েকজনকে নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হলো?’’ দেখা যাচ্ছে, ২৬৯ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছিল যারা বাড়তি এক নম্বর নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরিতে জয়েন করেছিলেন, কিন্তু সেখানেও দেখা যাচ্ছে জালিয়াতি (Recruitment Scam)। কারণ টেট পরীক্ষা হয় মোট দেড়শো নম্বরের। যেখানে একজন সাধারণ ক্যাটাগরির প্রার্থীকে পেতে হয় ৯০ নম্বর। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ৬৮ বা ৭১ নম্বর পেয়েও জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ তাদের এক নম্বর করে বাড়ার ফলে যে নম্বর দাঁড়াচ্ছে, তা কখনোই যোগ্যতামানে পৌঁছাচ্ছে না। অপরদিকে দেখা যাচ্ছে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও একজন প্রার্থী ১৪১ নম্বর পেয়ে আগে চাকরি পাননি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অবশ্য তাদের এই দুর্নীতি কিছুটা হলেও স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয় এদিন। যেখানে তারা বলছে যে, ‘‘২৬৯ জনের মধ্যে ১৮ জনের চাকরি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সেই  ১৮ জনের মধ্যে ৪ জন এমন আছেন, যাঁরা সত্যিই টেট উত্তীর্ণ নন।’’ এখানেই দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলেন, ‘‘একশোর বেশি নম্বর পেয়েও প্রথমে চাকরি না পাওয়ার উত্তরও জানা দরকার।’’

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই চাকরি গিয়েছিল ২৬৯ জনের

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছিল। তাঁরাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং যুক্তি খাড়া করেছিলেন যে প্রশ্নে এক নম্বর বাড়তি পেয়ে তাঁরা চাকরিতে জয়েন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অন্য চিত্র। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ এদিন আরও প্রশ্ন তোলেন যে, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৪২ হাজারের বেশি শূন্য পদ ছিল তা সত্ত্বেও সেখানে দুই হাজারের বেশি পদ খালি রেখে দেওয়া হল কেন?’’ অভিযোগ উঠছে, এই দুই হাজার পদ বিক্রির জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগকারীদের দাবি সমস্ত রকমের নিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ লোপাট করতেই নথি গুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diploma Doctors: এবার ডিপ্লোমা চিকিৎসক, ১৫ দিনেই নার্স! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা রাজ্যে

    Diploma Doctors: এবার ডিপ্লোমা চিকিৎসক, ১৫ দিনেই নার্স! মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছরের ডিপ্লোমা কোর্স করেই হওয়া যাবে চিকিৎসক! ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই নার্স! সিনিয়র নার্সদের পদোন্নতি দিয়ে করা হতে পারে ‘সেমি’ ডাক্তার! রাজ্যে চিকিৎসকদের ঘাটতি পূরণে এমনই একাধিক প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ঘোষণায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। গরিব মানুষদের স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব সকলে।

    জীবন নিয়ে ছিনিমিনি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সিভিক ভলান্টিয়ার, সিভিক টিচারের পর এবার সিভিক ডাক্তার বানাচ্ছেন। বিজেপি দাবি করছে রাজ্যকে আরও ভাল করে চালানোর জন্য সিভিক মুখ্যমন্ত্রীর পদ তৈরি করা হোক।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গোটা রাজ্যকেই সিভিক বানিয়ে দিয়েছেন। খেলা মেলা আর সিভিক দিয়েই চলছে গোটা রাজ্য।” মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা তথা চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খাঁ। তিনি বলেন, “এবার এই রাজ্যে ঘুরে বেড়াবে ভুয়ো চিকিৎসক। যা মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণার ফল। আর রাজ্যের তৈরি করা।” পাশাপাশি তিনি বলেন “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব

    বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে মন্ত্রী-আমলাদের সঙ্গে উৎকর্ষ বাংলা নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বিভিন্ন বণিক মহলের সদস্যরা। সেখানেই স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে, ডিপ্লোমা ডাক্তার তৈরির পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়োজনে কমিটি তৈরির নির্দেশও দেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘লোকসংখ্যা বাড়ছে, হাসপাতাল বাড়ছে। ডাক্তারদের একটা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করতে পারি কি না দেখব, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো।’’ সাধারণত ডাক্তারি পড়ার কোর্সের মেয়াদ ৫ বছরের। সেখানে ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের পর চিকিৎসক তৈরি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসক মহলে। সিনিয়র নার্সদের পদোন্নতি দিয়ে ‘সেমি’ ডাক্তার করার কথাও বলেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘নার্সদের সংখ্যা কম থাকার জেরে সমস্যা হচ্ছে। নার্সিং কলেজ তৈরি করা হোক আরও। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগানো যেতে পারে। ১৫ দিনের প্রশিক্ষণই যথেষ্ট।’’ এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সব নার্স সিনিয়র, যাঁদের অবসর নিতে ৫-১০ বছর বাকি রয়েছে, তাঁদের পদোন্নতি দিয়ে যদি সেমি ডাক্তার করা যায়। ডাক্তার তো করতে পারব না!’’ 

    বিজেপির সমালোচনা

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “ভাবনাস্তরেই বিষয়টা থেকে যাবে, বাস্তবায়িত করার সময় আর এই সরকার পাবে না। বঙ্গে শিক্ষার চরম অবক্ষয় ঘটেছে, মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছেন রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায়। সবাই দক্ষিণ ভারত অভিমুখে ছুটছেন। এই ধরণের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার কথা ভেবে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে চরম রসাতলে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচা, “উনি চাইলেই তো এভাবে ডাক্তার বানিয়ে দিতে পারেন না, বিদেশে পড়ে এলেও এখানে পরীক্ষা দিতে হয়। উনি তো বলেছিলেন সাতদিনে নার্স বানিয়ে দেবেন, তেমনটা হলে সে আর জ্যান্ত রাখবে কাউকে?”

    আরও পড়ুন: একলাখী-বালুরঘাট স্পর্শ করল মাইলফলক, সুকান্তর উপস্থিতিতে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের সূচনা

    বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মানুষ সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ন্যূনতম পরিষেবা পায় না। এ বার কি মুখ্যমন্ত্রী নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত কায়দায় ডাক্তার, নার্স তৈরি করে রাজ্যে গরিব মানুষের জীবন বিপন্ন করে দেবেন? যাঁদের মাথায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এই ধরনের ভাবনা আসে, তাঁদের মানসিক চিকিৎসার দাবি করছি।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চান অভিষেক, আবেদন হাইকোর্টে

    Abhishek Banerjee: কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলা থেকে অব্যাহতি চান অভিষেক, আবেদন হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। সেই মামলা দুটি গিয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। এর একটি তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সংক্রান্ত। বিচারপতি সিনহা অভিষেককে মামলায় যুক্ত হতে বলেছিলেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার মামলাটিতে যুক্ত হয়েছেন তৃণমূলের দু নম্বর ব্যক্তি। সেই সঙ্গে মামলা থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন অভিষেক।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)…

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে কুন্তল অভিযোগ করেন, ইডি এবং সিবিআই তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠি দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দেন হেস্টিংস থানায়ও। সেই চিঠির বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি বা সিবিআই প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠি ও অভিষেকের বক্তব্যের মধ্যে মিল রয়েছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলা হয়েছিল।

    হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা সরিয়ে নেওয়া হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। মামলা চলে যায় বিচারপতি সিনহার এজলাসে। ওই মামলায় বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ ছিল, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন। তাহলে তদন্তে সহযোগিতা করতে অভিষেকের অসুবিধা কোথায়? অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এই মামলায় কীভাবে তাঁর মক্কেলের নাম জড়াল, সেটাই পরিষ্কার নয়।

    আরও পড়ুুন: মধ্যরাতেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মোকা, শুক্রে কমবে তাপমাত্রা

    অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী, তাও জানা নেই। সেই বক্তব্য শুনেই বিচারপতি অভিষেককে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর এদিন বিচারপতি সিনহার কথা মতো মামলায় যুক্ত হন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পরে আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে এই মামলা থেকে অব্যাহতি চান। শুক্রবার হবে এই মামলার শুনানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Shyamnagar: অটোচালকদের দাদাগিরি! বেধড়ক মার চার সিভিক ভলান্টিয়ারকে

    Shyamnagar: অটোচালকদের দাদাগিরি! বেধড়ক মার চার সিভিক ভলান্টিয়ারকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্যামনগর (Shyamnagar) স্টেশনের সামনে অটোচালকদের দাদাগিরি। আর তার জেরেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল অটো চালকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল এলাকা। একজন এএসআই পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাঁর ওপরও অটো চালকরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। অটো চালকদের হামলার জেরে একজন এএসআই, চারজন সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। জখম সিভিকদের ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। হামলা চালানোর অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটে?

    এমনিতেই ২৪ নম্বর রেলগেটের কাছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ২৪ নম্বর রেল গেট থেকে চৌরঙ্গী পর্যন্ত অটো, টোটো সোজা না যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করেই অটো, টোটো চলাচল করে। এনিয়ে এক অটো চালকের সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ারের বচসা হয়। এমনিতেই রাস্তার ওপর অটো দাঁড় করে অটো চালকরা যাত্রী তোলেন। যাত্রী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত দোকানের সামনেই অটো দাঁড়িয়ে থাকে। এই বিষয় নিয়ে সিভিকরা বলতে গেলেই অটো চালকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অটো চালকরা দল বেঁধে এসে সিভিকদের বেধড়ক পেটায়। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কী বললেন অটো চালক?

    এক অটো চালক বলেন, শ্যামনগরে (Shyamnagar) রাস্তায় অটো চলাচল করা নিয়ে সিভিকের সঙ্গে বচসা বাধে। সেই সময় এক সিভিক ভলান্টিয়ার এসে এক অটো চালকের নাক ফাটিয়ে দেয়। এক সিভিক ভলান্টিয়ার ইট নিয়ে আসে। সেই ইট কেড়ে নেওয়া হয়। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। তাতে দুপক্ষের কয়েকজন জখম হয়েছে। আর আমাদের সাতজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন আক্রান্ত এএসআই?

    আক্রান্ত এএসআই বলেন, আমি শ্যামনগর (Shyamnagar) স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে ডিউটি করছিলাম। গণ্ডগোল শুনে ছুটে আসি। এসে দেখি, অটো চালকরা সিভিকদের মারধরক করছে। একজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। আমি ছাড়াতে গেলে আমার ওপর ওরা চড়াও হয়। আমাকে ধাক্কা মেরে রাস্তায় ওরা ফেলে দেয়। বুকে আর কোমড়ে চোট লেগেছে। মোবাইল ভেঙে গিয়েছে। অটো চালকরা আমাদের উপর দাদাগিরি করছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone: মধ্যরাতেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মোকা, শুক্রে কমবে তাপমাত্রা

    Cyclone: মধ্যরাতেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে মোকা, শুক্রে কমবে তাপমাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার। আজ মধ্যরাতেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হবে মোকা (Mocha)। ভারতের আবহাওয়া দফতরের তরফে এই খবর মিলেছে। ওই দফতরের তরফে ট্যুইট-বার্তায় বলা হয়েছে, পোর্ট ব্লেয়ারের প্রায় ৫১০ কিমি পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে ১১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। আজ মধ্যরাতেই সেটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে এর গতি এবং শক্তি।

    ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)…

    আবহাওয়া বিভাগের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি গত ছ ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার বেগে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে সরে গিয়েছে। এটি ঘূর্ণিঝড় মোকা হিসেবে ঘনীভূত হয়েছে। ১১ মে ২০২৩ তারিখে সন্ধে সাড়ে ৫টায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে। ১১.২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি এই অঞ্চল, পোর্ট ব্লেয়ারের প্রায় ৫১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১২১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং মায়ানমারের সিত্তে থেকে ১১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে।

    বিবৃতি জারি করেছে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীও। ওই বিবৃতি থেকে জানা গিয়েছে, মোকার (Cyclone) জন্য ভারতের আবহাওয়া দফতরের তরফে সতর্কবার্তা পাওয়ার পর হাই অ্যালার্ট এলাকায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মোকা সংক্রান্ত যেসব আপডেট পাওয়া যাচ্ছে, তা মৎস্য দফতর এবং সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে শেয়ার করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    তবে মোকা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেই সোমবার জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, মোকাকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি পরিস্থিতি বিপ্রতীপ হয়, তাহলে আমরা উপকূল অঞ্চল থেকে মানুষকে উদ্ধার করব। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও মায়ানমারের দিকে চলে যাবে।

    মোকার (Cyclone) প্রভাবে শনি ও রবিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার সামান্য কমতে পারে তাপমাত্রা। তবে আগামী সপ্তাহের শুরুতে বাংলায় ফের তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে, মোকার মোকাবিলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে মহকুমা শাসকের দফতরে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির ওপর। কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মহকুমায় ঝড়ের মোকাবিলায় ৬৪টি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার, ১২টি ফ্লাড শেল্টার এবং ১৫৪টি অস্থায়ী জায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নবজোয়ারের আগেই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখালেন এক ঝাঁক তৃণমূলের নেতা, কেন জানেন?

    TMC: নবজোয়ারের আগেই বিধায়কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখালেন এক ঝাঁক তৃণমূলের নেতা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যালট লুটের ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন রাজ্যবাসী। এবার নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই একঝাঁক তৃণমূলের (TMC) নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি এবং পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই একসঙ্গে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের বিদ্রোহের ঘটনা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী অভিযোগ তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের?

    আগামীকাল পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ পাননি এক ঝাঁক তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। এরপর সেখানে হাজির হলে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে এই জনপ্রতিনিধিদের। এমনই অভিযোগ তুলে এদিন পূর্বস্থলী দু’নম্বর ব্লকের সান ঘোষপাড়া এলাকার দলীয় পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ একাংশ। এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ফজলুল হক মন্ডল, তাপস দে, মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান প্রতিমা দাস, পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায়, মুকসিমপাড়া পঞ্চায়েতের সদস্য ছালেক সেখ সহ একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের বক্তব্য, অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন বিধায়ক। কোনও কিছুতেই আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয় না। শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সভায় গেলে আমাদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। আমরা চাই না কোনওরকম বিতর্ক হোক। তাই নবজোয়ার কর্মসূচিতে আমরা কেউ যাব না। তবে, দলীয় কর্মসূচিতে না গেলেও বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতির কার্য কলাপের বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি আমরা দেব। সেই চিঠিও তাঁরা প্রকাশ্যে তুলে ধরেন।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিধায়ক?

    এ প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, নবজোয়ার কর্মসূচিতে দলের সকলেই যোগ দিতে পারেন। আর আমি হুমকি দিয়েছি এইরকম কোনও প্রমাণ ওরা দেখাতে পারবে? যা বলছে সবই মিথ্যে। বিধানসভা ভোটের সময় আমাকে হারানোর পরিকল্পনা করেছিল ওরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শুভেন্দুর কনভয় দুর্ঘটনা মামলায় কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শুভেন্দুর কনভয় দুর্ঘটনা মামলায় কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়ে মৃত্যু মামলায় এবার কেস ডায়েরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ভিআইপিদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী কী বন্দোবস্ত করা হয়, রাজ্যের কাছে তাও জানতে চাইল আদালত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, ভিআইপিদের ক্ষেত্রে রুট লাইনিং, ওয়াচার্স ম্যানেজমেন্ট কী প্রক্রিয়া মেনে করা হয়, তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে। রিপোর্ট দিতে হবে সোমবারের মধ্যে। পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, আপাতত ইয়োলো বুক মেনে কাজ করুন।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির বিস্ময়…

    এই মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার। এই শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কোনও কনভয় সুরক্ষা কর্মীকে ডাকবে না পুলিশ। আদালতে (Calcutta High Court) রাজ্যের আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। সেই কারণেই এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে গাড়ি দুর্ঘটনার মতো একটি বিষয়ের তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর মন্তব্য, “সিআইডি কেন? আরও বেশি কিছু দেওয়া দরকার”!

    বুধবার শুভেন্দুর আইনজীবী আদালতে দাবি করেছিলেন, কনভয় দুর্ঘটনার অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, শুভেন্দু ছিলেন প্রথম গাড়িতে। দুর্ঘটনাটি ঘটে তাঁর কনভয়ের ৭ নম্বর গাড়িতে। তিনি এও বলেছিলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা খুবই দুঃখজনক। কনভয়ের সাত নম্বর বুলেটপ্রুফ গাড়িটিতে ধাক্কা লেগেছে। রাস্তার ধার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর মিছিলে অশান্তি, ৬টি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু এনআইএ-র

    বৃহস্পতিবার দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়কের চণ্ডীপুরে শুভেন্দুর কনভয়ের একটি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের ইস্রাফিল খানের। পরে ইস্রাফিলের বাবা সফিরউদ্দিন অভিযোগ দায়ের করেন চণ্ডীপুর থানায়। মৃত ইস্রাফিলের দেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে মিছিল করে তৃণমূল। ওই ঘটনায় শুভেন্দুর কনভয়ের এক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। পরের দিনই সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, যে রুটে তাঁর কনভয় যাচ্ছে, সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share