Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BJP: ময়নায় নিহত বিজেপি নেতার বাড়িতে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী, কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    BJP: ময়নায় নিহত বিজেপি নেতার বাড়িতে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী, কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার পরিবারের সদস্যদের এবার নিরাপত্তা দেবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আদালতের নির্দেশে বুধবার সকালেই ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক সহ দুজন আসেন পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে। কেন্দ্রীয় জওয়ানরা কোথায় থাকবেন, কীভাবে মৃতের পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া হবে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপরই সন্ধ্যায় ১২ জন সিআইএসএফ জওয়ান বিজয়বাবুর বাড়িতে আসেন।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কী বললেন নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবারের লোকজন?

    বিজয়কৃষ্ণের মেয়ে টুম্পা ভুঁইয়া বলেন, বাবার মৃত্যুর প্রায় দেড় সপ্তাহ পর বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসেছেন। এরজন্য তাঁদের ধন্যবাদ। কারণ, রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। বাবা খুন হওয়ার পর রাজ্য পুলিশ তদন্ত করে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। আরও অনেকেই এখন বাইরে রয়েছে। অভিযুক্তরা সকলে গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আতঙ্কে রয়েছি। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় কিছুটা হলেও সাহস পাচ্ছি। বিজয়বাবুর ছেলে রনজিৎ ভুঁইয়া বলেন, তদন্তভার কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে যতক্ষণ না দেওয়া হচ্ছে, আমাদের আন্দোলন চলবে। বাবাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

    প্রসঙ্গত, ১ লা মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহল গ্রামের বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করে একদল দুষ্কৃতী। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর স্ত্রী ও ছেলের সামনে থেকেই মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায় বিজয়কৃষ্ণকে। উদ্ধার করার জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও পুলিশ সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ তাঁর পরিবারের। শেষ পর্যন্ত বিজেপি নেতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না থানার পুলিশ। ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার পরিবার। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট আদালত, বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ ই মে রাতে ময়নায় নিহত বিজেপি (BJP) নেতার বাড়িতে আসেন জওয়ানরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লটারির টাকায় রাজ্যজুড়ে নবজোয়ার তৃণমূলের! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: লটারির টাকায় রাজ্যজুড়ে নবজোয়ার তৃণমূলের! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলে নবজোয়ার নামে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আর এই কর্মসূচি ঘিরে একাধিক জেলায় ব্যালট ছিনতাই, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সন্ধ্যায় হুগলির উত্তরপাড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ডিয়ার লটারির টাকায় নবজোয়ার কর্মসূচি চলছে। লটারির টাকায় তৃণমূলের নবজোয়ার। ইনকাম ট্যাক্সের রিটার্নে লটারির উল্লেখ করেছে। তৃণমূলের নির্বাচনী বন্ডে মাসে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা দেয় এই লটারি সংস্থা। আমার কাছে সব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বঞ্চনা করার এই ব্যবসা বন্ধ করব। সাবধান ডিয়ার লটারি, সাবধান পশ্চিমবঙ্গের জনগন, সাবধান তৃণমূল। চলছে নবজোয়ার, যাচ্ছি আমি তিহাড়।

    দলত্যাগী এক বিধায়কের বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে সরব শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণকল্যাণীর বাড়িতে কিছুদিন আগেই আয়কর হানা দেয়। সেই প্রসঙ্গে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ভিতরে বিজেপি, বাইরে তৃণমূল এমন একজন বিধায়কের বাড়িতে তিনদিন ধরে আয়কর হানা দিয়েছিল। আপনারা সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি দেখেছেন। কিন্তু, ফলাফলটা পাননি। শুনে রাখুন, আমি যা বলি দায়িত্ব নিয়ে বলি। ওই মমতাভক্তের বাড়ি থেকে ৩ কোটি টাকা নগদ এবং ৬ কোটি টাকার গয়না উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতরকে বলব, বিরোধী দলনেতার অভিযোগ সত্যি হলে, সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।

    সিপিএম, কংগ্রেস কর্মীদের কী বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, সিপিএম এখন সাইনবোর্ড। কয়েকদিন আগে এই জায়গায় সিপিএম মিছিল করেছে। তাদের কোনও অনুমতি লাগেনি। অথচ আমাদের হাইকোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে মিছিল করতে হচ্ছে। তাহলেই ভাবুন সেটিংটা কে করছে। তাঁর কটাক্ষ, এই সিপিএমের দোসর কংগ্রেস। তাদের দিল্লির নেতারা এই চোর সরকারদের বাঁচাতে আইনি লড়াই করছেন। ভাবতে পারেন? এরপরই সিপিএমের উদ্দেশে তিনি বলেন এদের কালিয়াগঞ্জে মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের খুনের প্রতিবাদে পাবেন না, রিষড়া, শিবপুরে ইনসাফ মিছিলে পাবেন না, এই দল সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। বেশি কথা বলবনা। শুধু বলবো যে কজন এখনো আছেন তাঁরা চলে আসুন। আমরাই পারবো সাফ করতে। গত মাসের ২ তারিখে রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রিষড়া এলাকায় ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায়। রক্তাক্ত হন পুরশুরার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ সহ অনেকেই জখম হন। পুলিশও সেদিন আক্রান্ত হন। এই রেশ দু তিনদিন ধরে চলে। ওই ঘটনার জেরে পুলিশ প্রচুর লোককে ধরপাকড় করে। যদিও পরবর্তীকালে সবাই প্রায় জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। ওই দিন যে সমস্ত রামভক্তরা মার খেয়ে, জেল খেটে বেড়িয়েছেন তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে হিন্দমোটর ধারসা মোড় থেকে উত্তরপাড়া কোতরং পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। যদিও এই মিছিলের অনুমতি স্থানীয় পুলিশ দেয়নি। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদক হাইকোর্ট থেকে আইনি লড়াইয়ে অনুমতি বার করে আনেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Visva Bharati: বিশ্বভারতীর মুকুটে নয়া পালক! শান্তিনিকেতন পেতে চলেছে বিশ্ব হেরিটেজের স্বীকৃতি

    Visva Bharati: বিশ্বভারতীর মুকুটে নয়া পালক! শান্তিনিকেতন পেতে চলেছে বিশ্ব হেরিটেজের স্বীকৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় ফের উঠে এল বাংলা।​ রবীন্দ্র জয়ন্তীর পরেই জানা গেল সুখবর। ইউনেস্কোর (UNESCO) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় ঠাঁই পেতে চলেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় জায়গা করে নেওয়ার পর এবার শান্তিনিকেতনের পালা। ২৫ বৈশাখের ঠিক পরদিন, বুধবার ট্যুইট করে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। 

    বিশ্বে প্রথম হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয়

    এই প্রথম কোনও সক্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রসংঘের তরফ থেকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হবে। কারণ এই হেরিটেজ তকমা এতদিন দেওয়া হতো স্মৃতিসৌধগুলিকে। এই হেরিটেজ বা ঐতিহ্যশালী তকমার কথা বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মুখে আগেই শোনা গিয়েছিল। এ বছরের গোড়াতেই তিনি বলেছিলেন, বিশ্বভারতী হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয় তকমা পেতে চলেছে। বিশ্বে প্রথম হেরিটেজ বিশ্ববিদ্যালয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ইউনেস্কোর উপদেষ্টা সংগঠন (The International Council on Monuments and Sites) বা ইকোমসের পক্ষ থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় বিশ্বভারতীর নাম নথিভুক্তিকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্বভারতী এই তকমা পেতে চলায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: পড়ল রেকর্ড ভোট, ত্রিশঙ্কু হবে কর্নাটক বিধানসভা?

    খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনে

    জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের রিয়াধে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ (UNESCO World Heritage) বলে ঘোষণা করা হতে পারে। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন ইউনেস্কোর তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। তাঁদের সামনে শান্তিনিকেতনের স্থাপত্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতির প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। তারপরই সরকারিভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুখবর প্রকাশ্যে আসার পরেই শান্তিনিকেতন জুড়ে যেন উৎসবের আমেজ। বিশ্বভারতী অধ্যাপক কিশোর ভট্টাচার্য বলছেন, নতুন এই সাফল্যের কৃতিত্ব আচার্য ও উপাচার্যর। আমরা এই খবরে খুশি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: প্রাথমিকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য তলব সিবিআই-এর

    TET Scam: প্রাথমিকে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য তলব সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের তদন্তে এবার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য তলব করল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগেই অবগত করিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এ বার ধাপে ধাপে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকদের থেকে সেই তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে পর্ষদ।

    দ্রুত তথ্য পাঠাতে নির্দেশ

    এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকদের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। তথ্যগুলি এক্সেল সিট ১ এবং ২-তে পাঠাতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চাকরির নিয়োগপত্র, অ্যাডমিট কার্ড, প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শংসাপত্র, কেস সার্টিফিকেট, এক্সট্রা কারিকুলাম সার্টিফিকেট এবং টেট পরীক্ষায় পাশ করা শংসাপত্র-সহ মোট ছটি জিনিস চাওয়া হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের সেক্রেটারি, জেলা স্তরের স্কুলের সাব ইন্সপেক্টরদের এই তথ্যগুলি পাঠাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জেলা তাদের তথ্য পর্ষদের কলকাতার দফতরে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে খবর। 

    আরও পড়ুন: পড়ল রেকর্ড ভোট, ত্রিশঙ্কু হবে কর্নাটক বিধানসভা?

    পর্ষদ সূত্রে খবর, সিবিআই তথ্য তলব করার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আদালত নির্দেশ দিলে পর্ষদও দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ করে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও বীরভুম জেলা থেকে তথ্য পর্ষদ কর্তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। ঝাড়গ্রাম, মালদা, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি জেলায় পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করে চলতি মাসেই তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে যাবতীয় তথ্য কলকাতায় সিবিআই-এর নিজাম প্যালেসে জমা দিতে বলা হয়েছে। এই তথ্য সিবিআই-এর হাতে জমা পড়লে তদন্ত গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agitation: প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী, কী করলেন?

    Agitation: প্রচণ্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত এলাকাবাসী, কী করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমে হাঁসফাঁস রাজ্যবাসী। খনি অঞ্চল অন্ডাল, উখড়া পাণ্ডবেশ্বরের তাপমাত্রার পারদ দিনে দিনে ৪০ পেরিয়ে আজ ৪২ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। তীব্র গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জেরে তিতিবিরক্ত শফিক নগর এলাকার বাসিন্দারা। পরিষেবা ঠিক করার দাবিতে বুধবার উখড়া বিদ্যুৎ কার্যালয়ের সামনে এসে বিক্ষোভে (Agitation) সামিল হন এলাকাবাসী। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন উখরা বিদ্যুৎ কার্যালয়ের স্টেশন ম্যানেজারকে। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্টেশন ম্যানেজারের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    প্রতিদিন রাতের দিকে নিয়ম করে কয়েক ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে রাত দশটা থেকে রাত আড়াইটে পর্যন্ত এই সমস্যা থাকে। প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে পাল্লা দিলে লোডশেডিং হওয়ায় চরম নাকাল হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। শেখ শওকত আলী নামে শফিক নগর এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, বারবার লোডশেডিং এর সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। গরমে লোড শেডিংয়ের জেরে রাতে ঘুমোতে পারছি না। প্রতিদিন নিয়ম করে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। বয়স্ক লোকজনদের চরম কষ্ট হচ্ছে। আমরা বিদ্যুৎ পরিষেবা দ্রুত উন্নত করার জন্য আন্দোলনে (Agitation) সামিল হয়েছি। আমাদের দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন (Agitation) চলবে। প্রয়োজনে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিক?

    উখরা বিদ্যুৎ দফতরের স্টেশন ম্যানেজার বলেন, গরমে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চাহিদার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে, সব সময় সমস্যা থাকে এমন নয়। আমরা যতটা পারছি পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ওই এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনলাম। তাদের দাবিপূরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কারণ, অকারণে কোথাও লোডশেডিং করা হয় না। পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল হাইকোর্ট

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চ শুভেন্দুর রক্ষাকবচের মেয়াদ ২৬ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দিলেন। এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন। ২৬ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি। 

    রক্ষাকবচ প্রসঙ্গ

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বুধবার আরও বাড়ানো হল। এদিন শুভেন্দুর আইনজীবীরা বলেন, এই রক্ষাকবচের ফলে আগের সাতটি মামলার সূত্রে বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার করা যাবে না। সেই সঙ্গে নতুন কোনও এফআইআর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। একুশের ভোটের পর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ওই সাতটি মামলা দায়ের হয়েছিল। তার পরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়ায় বিতর্ক জুড়েছিল শাসক দল তৃণমূল।

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার ইমরান! মোদির বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়ে ট্যুইট পাক অভিনেত্রীর, কী বলল দিল্লি পুলিশ?

    আগের রায় বহাল

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটার পর থেকে শাসকদল তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ২৬ টি মামলা করেছে। অধিকাংশ মামলাতেই শাসকদল হেরে গিয়েছে। রাজ্য স্তরে পুলিশকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহারের অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন শুভেন্দু। এ ব্যাপারে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দ্বারস্থ হলে তিনি শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দেন। তা নিয়েই তৃণমূল প্রশ্ন তোলে।  বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বিরোধী দলনেতার প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন এই অভিযোগে তাঁর বাড়ির সামনে পোস্টারও পড়ে। একই ধরনের পোস্টার পড়ে হাইকোর্টেও। শাসকদলপন্থী একদল আইনজীবী বিচারপতি মান্থার এজলাসে বিক্ষোভ দেখান। এমনকী তাঁর এজলাস বয়কটেরও ডাক দেওয়া হয়। তা নিয়ে মামলা এখনও কলকাতা হাইকোর্টে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চের বিচারাধীন। বুধবার বিচারপতি সেনগুপ্ত শুভেন্দুর ক্ষেত্রে বিচারপতি মান্থার নির্দেশই বহাল রাখলেন। বাড়ানো হল বিরোধী দলনেতার রক্ষাকবচের মেয়াদ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে”, কনভয়কাণ্ডে আদালতে সওয়াল শুভেন্দুর আইনজীবীর

    Suvendu Adhikari: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে”, কনভয়কাণ্ডে আদালতে সওয়াল শুভেন্দুর আইনজীবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। প্রথম গাড়িতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা। দুর্ঘটনা ঘটে সাত নম্বর গাড়িতে।” কনভয় বিতর্কে বুধবার এই কথাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চণ্ডীপুরকাণ্ডে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcatta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই মামলার শুনানিতে সওয়াল করতে গিয়ে এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, রাজ্য কথা দেওয়ার পরেও কনভয়ে সঠিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। তবে শুভেন্দু সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও, মৃতের পরিবারের দাবি সিআইডি তদন্তের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আইনজীবীর দাবি…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, চণ্ডীপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কনভয়ের ৭-৮ নম্বর গাড়িতে দুর্ঘটনা। এই ঘটনা ঘটতই না যদি হাইকোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্য শুভেন্দু অধিকারীর সুরক্ষা বলয়ের জন্য পদক্ষেপ করত। তাঁর দাবি, তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক। এফআইআরের ওপরও স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।

    বৃহস্পতিবার রাতে দিঘা নন্দকুমার জাতীয় সড়কের চণ্ডীপুরে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের ইস্রাফিল খানের। শুভেন্দুর কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগ তুলে চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইস্রাফিলের বাবা সফিরউদ্দিন। ঘটনায় গাড়ির চালককে আটক করেছে পুলিশ। মৃতদেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে প্রতিবাদ মিছিলও করে তৃণমূল।

    আদালতে (Calcatta High Court) শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, আরটি ভেহিক্যালস, ক্যামেরা, রুট লাইনিং এই তিনটি বিষয় জেড সুরক্ষা বলয়ে সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। হাইকোর্টের নির্দেশে এই তিনটি বিষয় শুভেন্দুর সুরক্ষা বলয়ে দেওয়ার কথা রাজ্যের। রাজ্য না দেওয়ায় দুবার রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদন করেন শুভেন্দু। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন কানে তোলেনি রাজ্য। শুভেন্দুর কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তব্যরত কোনও জওয়ানকে এভাবে গ্রেফতার করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানকে গ্রেফতার ও একদিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, চণ্ডীপুরের ঘটনায় এফআইআর ও পুলিশের পদক্ষেপ নির্দষ্ট স্বার্থসিদ্ধির জন্য।

     

  • Recruitment Scam: ১৭টি জেলায় ছড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতির জাল! চার্জশিটে আর কী কী জানাল ইডি?

    Recruitment Scam: ১৭টি জেলায় ছড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতির জাল! চার্জশিটে আর কী কী জানাল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ১৭টি জেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) জাল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তারা প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একটি তালিকা হাতে পেয়েছিল। তালিকায় যেমন উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, মালদহ, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দুই দিনাজপুরের নাম রয়েছে, তেমনই নাম রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের হুগলি, নদীয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতার নামও। সোমবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই চার্জশিটে শান্তনু ও অয়নের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির উল্লেখ করার পাশাপাশি কী ভাবে চাকরি বিক্রি হয়েছে কী ভাবে নগদ টাকার হাত বদল হয়েছে, সমস্তটাই উল্লেখ করা হয়েছে।

    নামে-বেনামে সম্পত্তি

    ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগকাণ্ডে (Recruitment Scam) ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অয়ন শীলের নামে একগুচ্ছ অভিযোগের উল্লেখ রয়েছে সেই চার্জশিটে। নামে-বেনামে মোট ১৪টি সম্পত্তি রয়েছে শান্তনুর। ৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৪৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা। পাশাপাশি বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার কর্মচারী থেকে একাধিক সঙ্গীর নামেও সম্পত্তি থাকার হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একটি তালিকা উদ্ধার হয়েছিল। সেই তালিকায় রাজ্যের ১৭টি জেলার ৩৪৬ জন প্রার্থীর নাম রয়েছে। যার মধ্যে অন্তত ১০ জন অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ৩৪৬ জনের তালিকায় ১৪৮ জন চাকরিপ্রার্থীই বীরভূমের বাসিন্দা। তালিকায় এর পরেই রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সংখ্যার নিরিখে তার পরে রয়েছে মালদহ, কোচবিহার, বর্ধমান, উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া। সবচেয়ে কম প্রার্থী দক্ষিণ ২৪ পরগনার। সেখান থেকে মাত্র একজন প্রার্থী চাকরির জন্য শান্তনুদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুন: ১৯ মে প্রকাশিত হবে মাধ্যমিকের ফল, ঘোষণা পর্ষদের

    শান্তনুর বিরুদ্ধে চিঠি

    টাকা দিয়ে চাকরি না পাওয়ার বিষয়টিও জায়গা পেয়েছে ইডির চার্জশিটে । শান্তনুর বিরুদ্ধে লেখা একটি চিঠি এই তদন্তে ইডির হাতিয়ার। চাকরি পেতে কয়েক জন চাকরি প্রার্থীর তরফে দেওয়া হয়েছিল ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা।চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, যে চিঠি পেয়েছিলেন শান্তনু, তাতে জমি বিক্রি করে টাকা জোগাড় করেছিলেন অনেকে বলে জানতে পেরেছে ইডি। কিন্তু চার বছর অপেক্ষার পর মেলেনি চাকরি, টাকা ফেরত পেতে শান্তনুকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়েছিল চিঠি। ইডির কাছে শান্তনু নিজেও ওই চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    Arambagh: রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমে তীব্র জল সঙ্কটে অতিষ্ঠ হয়ে হুগলির আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকায় রাজ্য সরকার অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। তবে, শুধু বুধবার নয়, মঙ্গলবারও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। বাড়ির সব কাজ ফেলে মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে এদিন বালতি হাতে নিয়ে অবরোধে সামিল হন। অবরোধের জেরে আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের গড়বাড়ি এলাকায় পানীয় জলের জন্য জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মাধ্যমে ট্যাঙ্ক বসানো হয়। পরে গ্রামে গ্রামে সেই প্রকল্পের কলও বসানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, সেই কল থেকে জল পাননি গড়বাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা। যার জেরে ওই গ্রামে তীব্র জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়েই আরামবাগের (Arambagh) গড়বাড়ি এলাকার মানুষ মঙ্গলবার বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। কিন্তু, সমস্যার সমাধান হয়নি। এদিন ফের ওই এলাকায় আরামবাগ (Arambagh) – কলকাতা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসীরা।

    কী বললেন আন্দোলনকারীরা?

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ঘটা করে গ্রামে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে কল বসানো হয়। কিন্তু, সেখান থেকে পানীয় জলের পরিষেবা পাওয়া যায় না। প্রকল্প নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এই তীব্র গরমে এলাকাবাসীকে জল কিনে খেতে হচ্ছে। অনেকে দূরের কোনও এলাকা থেকে জল নিয়ে এসে প্রয়োজন মেটাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে বহুবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়েই জলের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই নিয়ে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, ঘটা করে জলপ্রকল্প করে কী লাভ হল। আসলে তৃণমূলের নাটক এবার শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই মানুষ বুঝতে পেরে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এভাবে আর বেশি দিন নয়। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ তার যোগ্য জবাব দিয়ে দেবে ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষ, কেন জানেন?

    Barrackpore: বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্পত্তি কর বৃদ্ধি নিয়ে বারাকপুর (Barrackpore) ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরোধ চলছিল। এবার তা সংঘাতের আকার নিল। সম্পত্তি কর ইস্যুতে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল। কোনও আবেদন, নিবেদন নয়, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিল তারা বর্ধিত সম্পত্তি করের টাকা দিতে পারবে না। বর্তমানে যে এক লক্ষ ১৫ হাজার ৭৬৯ টাকার সম্পত্তিকর দেন তাই দেবে, তার বেশি এক টাকাও তারা দেবে না। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের সিইও মমতা কানসেকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    কী নিয়ে বিরোধ?

    ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রতি তিন বছর অন্তর সম্পত্তি কর ধার্য হয়। তিন বছর আগে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সম্পত্তি কর ছিল ৭৫ হাজার টাকা। তা বেড়ে ১ লক্ষ ১৫ হাজার করা হয়েছিল। বছরে কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই করই দিত। এবার সেই সম্পত্তি কর ৭০ গুণ বাড়ানো হয়েছে। এক ধাক্কায় ৭০ লক্ষ টাকা করে প্রতি বছর সম্পত্তি কর দিতে বলা হয়েছে। কয়েকদিন আগেই বারাকপুর (Barrackpore) ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে নতুন সম্পত্তি কর বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়েছে। আর তা দেখেই মাথায় হাত কলেজ কর্তৃপক্ষের।

    কী বললেন সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ?

    ব্যারাকপুর (Barrackpore) রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ মনোজিৎ রায় বলেন, গত চার বছরে কলেজ বিল্ডিং একটুও বাড়ানো হয়নি। কিছু মেন্টেনেন্স এর কাজ করা হয়েছিল। রং করা হয়েছে। আমরা উচ্চ শিক্ষা প্রদান করি। আমাদের মতো প্রতিষ্ঠানে সম্পত্তি কর ধার্য করা উচিত্ নয়। তবুও, ধার্য করা হলে তার একটি নিয়ম থাকা দরকার। তাই সম্পত্তিকর কখনও এক ধাক্কায় বেড়ে ৭০ লক্ষ ৫১ হাজার ৮৫০ টাকা হতে পারে না। বর্তমানে যে টাকা সম্পত্তিকর দেওয়া হচ্ছে, সেই টাকাই দেওয়া হবে। বাড়তি কোনও টাকা দিতে পারবে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। অতিরিক্ত সম্পত্তিকর দিতে হলে আমাদের তা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকেই নিতে হবে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর তো আমাদের তা দেবে না। ফলে সাড়ে সত্তর লক্ষ টাকা কিছুতেই দেওয়া সম্ভব নয়।

    কী বললেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের আধিকারিক?

    কয়েকদিন আগেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ৭০ গুণ সম্পত্তিকর বৃদ্ধি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ উষ্মা প্রকাশ করতেই ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের তরফে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ল্য অফিসার দীপক রজ্জক জানান, অধ্যক্ষর সঙ্গে কথা হয়েছে। তার সঙ্গে আলোচনা হবে। তখন কমিয়ে দেওয়া হবে। একটি নিয়ম মেনে সম্পত্তিকরের মূল্যায়ন হয়েছিল। সেই মূল্যায়নের ভিত্তিতে বার্ষিক প্রস্তাবিত সম্পত্তিকর ধার্য হয়েছে। সেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। আলোচনা করে তা ঠিক করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share