Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Memari: অবাককাণ্ড! সামান্য ড্রেন তৈরি নিয়ে গুলি চালাল এক স্কুল পড়ুয়া, কেন জানেন?

    Memari: অবাককাণ্ড! সামান্য ড্রেন তৈরি নিয়ে গুলি চালাল এক স্কুল পড়ুয়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিছক ড্রেন তৈরি নিয়ে গণ্ডগোল। আর তার জেরেই চলল গুলি। যদিও গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় কেউ জখম হননি। তবে, সামান্য ড্রেন তৈরির ঘটনা নিয়ে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মেমারি (Memari) থানার দুর্গাপুর অঞ্চলের মগলামপুর গ্রামে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবাকে আটক করে নিয়ে যায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    মগলামপুর গ্রামের অশোক বিশ্বাস নামে এক বাসিন্দা জল নিকাশির জন্য বাড়ির সামনে ড্রেন তৈরি করছিলেন। মিস্ত্রিরা এসে এদিন ড্রেন তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। অশোকবাবুর প্রতিবেশী বিপ্লব সাধুখাঁ এসে ড্রেনের কাজ করতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সেইসময় তাঁরা একে অপরের মধ্যে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ঠিক সেই সময় বিপ্লব সাধুখাঁর ছেলে রাজীব সাধুখাঁ আচমকা ঘর থেকে তাদের লাইসেন্স প্রাপ্ত দোনালা বন্দুক বের করে গুলি চালায়। অশোকবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। স্থানীয় একজনের তত্পরতায় গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে, স্থানীয় লোকজন ওই যুবকের কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেয়। অশোকবাবু বলেন, সামনেই আমার ছেলের বিয়ে। তাই বাড়ির সামনে একটি ড্রেন তৈরির কাজ করছিলাম। এক প্রতিবেশী ওই কাজে আমাদের বাধা দেয়। এনিয়ে আমাদের মধ্যে বচসা চলছিল। আচমকা প্রতিবেশীর ছেলে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমার দাদা বন্দুকটি সরিয়ে না নিলে তিন-চারজনের মৃত্যু হতে পারত। ঘটনার পর খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।

    গুলি চালানো নিয়ে কী বলল অভিযুক্ত যুবক?

    রাজীব সাধুখাঁ উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া। ঘটনার পর পরই মেমারি (Memari) থানার পুলিশ এসে রাজীব ও তার বাবাকে আটক করে নিয়ে যায়। গুলি চালানো নিয়ে রাজীবের বক্তব্য, আমার বাবাকে সকলেই মারধর করছিল। চোখের সামনে আমি সেটা সহ্য করতে পারিনি। মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তাই, বাড়ি থেকে বন্দুক নিয়ে এসে গুলি চালিয়েছিলাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madhyamik Result: মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ আগামী সপ্তাহেই? ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর

    Madhyamik Result: মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ আগামী সপ্তাহেই? ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ (Madhyamik Result) কবে হবে তা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি জানান, আগামী দশ দিনের মধ্যেই ফলপ্রকাশ হবে। পর্ষদ সূত্রে খবর, ফলপ্রকাশের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

    ২ মাসের একটু বেশি সময় পরই ফলপ্রকাশ

    সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী সপ্তাহেই ফল প্রকাশিত (Madhyamik Result) হবে বলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে দাবি। দু’এক দিনের মধ্যেই পর্ষদ এই সংক্রান্ত নির্দেশিকাও প্রকাশ করে দেবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, ফল প্রকাশের শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ চলছে।  দু-একদিনের মধ্যেই ফলের দিনক্ষণের বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিল এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হয়েছিল ৪ মার্চ। এবারের পরীক্ষায় উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে যুক্ত রয়েছেন ১১৫৩ জন প্রধান পরীক্ষক এবং প্রায় ৪১ হাজার পরীক্ষক। পর্ষদ সূত্রে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, পরীক্ষা শেষের আড়াই মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশ হতে চলেছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মে মাসেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হবে। 

    আরও পড়ুন: “মমতা কি আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছিল, মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উত্তরপত্র মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় খাতা দেখা, নম্বর দেওয়া থেকে শুরু করে যাচাই পদ্ধতি অর্থাৎ ফলপ্রকাশের (Madhyamik Result) আগে পর্যন্ত মোট ৫টি ধাপ পেরোতে হয় পর্ষদকে। ভুল-ভ্রান্তি এড়াতে ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে শেষের দুই ধাপ এবার অনলাইনে করা হয়েছে। যার ফলে এবারের পরীক্ষার ফল অন্যান্য বারের তুলনায় অন্তত দু’সপ্তাহ আগে প্রকাশ হতে চলেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে যদি ফলপ্রকাশ হয়, সেক্ষেত্রে ২ মাসের একটু বেশি সময় পরই এই ফল বের হতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে, মে মাসের শেষের দিকেই উচ্চ মাধ্যমিকেরও ফলপ্রকাশ হতে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামো না থাকা সরকারের ব্যর্থতা,” রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামো না থাকা সরকারের ব্যর্থতা,” রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য (Health Services) সম্পর্কিত একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “জনগণকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া রাজ্যের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার মধ্যে পড়ে। কীভাবে এবং কী পরিষেবা দিতে হবে রাজ্যকে তা মনে করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আদালতের নয়”। আদালত জানিয়েছে, পরিকাঠামো না থাকা সরকারের ব্যর্থতা।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির মন্তব্য…

    যদি পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকে তাহলে সেটা সরকারের ব্যর্থতা এবং এটা ধরে নিতে হবে যে সরকার তার জনগণকে পর্যাপ্ত পরিষেবা দিতে পারছে না। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এলাকার বাসিন্দাদের আপৎকালীন সমস্ত জরুরি পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা উচিত”।

    নদিয়ার তাহেরপুরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের করুণ ও ভগ্নপ্রায় দশা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের। তাঁদের অভিযোগ, জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও সুরাহা হয়নি। এই মর্মে ২০১৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন নবীন চাকি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা।

    আরও পড়ুুন: খেজুরির ৬১ বিজেপি কর্মীকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের, দিতে হবে নিরাপত্তাও

    এদিন রাজ্যের সব প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করার জন্য স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশিকায় বলতে হবে, রাজ্যের কোনও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামোগত বা কর্মীর অভাব থাকলে তা যেন স্বাস্থ্য সচিবকে জানানো হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া রিপোর্টের নির্যাস রাজ্যকে জানাবেন সচিব এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সমাধান করতে হবে সমস্যার। তাহেরপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামোগত সব চাহিদা মেটানোর নির্দেশও দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ঠিকঠাক চলছে কিনা বা পর্যাপ্ত কর্মী রয়েছে কিনা, তা নজরদারি করার নির্দেশও দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

    মার্চ মাসেই জানা গিয়েছিল, রাজ্যে আরও ২৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। এ জন্য স্বাস্থ্য দফতর বরাদ্দ করেছে ২৩ কোটি টাকা। রাজ্যের তরফে ১৭টি জেলার বিভিন্ন ব্লকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি তৈরির ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার, বাঁকুড়া, কোচবিহার, দার্জিলিং, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, ডায়মন্ড হারবার ও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি নির্মাণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: খেজুরির ৬১ বিজেপি কর্মীকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের, দিতে হবে নিরাপত্তাও

    Calcutta High Court: খেজুরির ৬১ বিজেপি কর্মীকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের, দিতে হবে নিরাপত্তাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ঘর ছাড়া ছিলেন তাঁরা। এবার বিজেপির (BJP) ঘর ছাড়া ৬১ জন কর্মীকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, দীর্ঘদিন যাঁরা ঘর ছাড়া, তাঁদের ফেরাতে উদ্যোগী হতে হবে পুলিশকেই। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপেও ছাড় দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। আদালতের নির্দেশ, ঘর ছাড়াদের মঙ্গলবারই ফেরাতে হবে খেজুরির শেরখান চকে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরানোর পর গোটা এলাকায় অন্তত ৮জন পুলিশ কর্মীকে নিরাপত্তা দিতে হবে। ঘর ছাড়াদের এলাকায় লাগাতে হবে সিসিটিভিও। মামলা চলাকালীন যাতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ডিলিট না হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে শেরখানচক এলাকার ওই ৬১জন বিজেপি কর্মী ঘর ছাড়া রয়েছেন বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, তাঁদের একাধিকবার ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করা হলেও, তা সফল হয়নি। বিজেপির অভিযোগ, শাসক দলের হুমকির ফলে অনেকেই ঘরে ফিরতে পারছেন না। যদিও তৃণমূলের দাবি, হামলা চালানোর পর ভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়ে বসবাস করছেন বিজেপির ওই কর্মীরা। কাউকে বাড়ি ফিরতে বাধা দেওয়া হয়নি।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ…

    সোমবার হয় ওই মামলার শুনানি (Calcutta High Court)। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, ঘর ছাড়াদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হতে হবে রাজ্যকেই। যেহেতু এলাকায় বিস্ফোরণের অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনের ধারাও যুক্ত করতে হবে পুলিশকে।ঘর ছাড়াদের এলাকায় লাগাতে হবে সিসিটিভিও। মামলা চলাকালীন যাতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ডিলিট না হয়, তাও নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।

    আরও পড়ুুন: “মমতা কি আইএসআইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    বিচারপতি মান্থার পর্যবেক্ষণ, পরিস্থিতি উপলব্ধি করেই কোর্ট এমন নির্দেশ দিতে বাধ্য হল। এদিন শুনানির (Calcutta High Court) সময় সরকারি আইনজীবী বলেন, যাঁরা বাড়িতে নেই, তাঁদের কারও কারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, কেউ আবার ভিন রাজ্যে কাজ করেন। বিচাপতির মান্থার নির্দেশ, যাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধের মামলা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে পুলিশ আইনত পদক্ষেপ করতে পারবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Kerala Story: ‘‘আপনি ভয় পাচ্ছেন কেন?’’ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করায় মমতাকে প্রশ্ন বিবেকের

    The Kerala Story: ‘‘আপনি ভয় পাচ্ছেন কেন?’’ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করায় মমতাকে প্রশ্ন বিবেকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুদীপ্ত সেনের পরিচালনা এবং আদাহ শর্মা অভিনীত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) ছবিটি রাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সোমবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শান্তি-সৌহার্দ্য বজায় রাখতে এই রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করা হল। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্‌’-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।  

    বেঙ্গল ফাইলস

    সোমবার রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ (The Kerala Story) ছবিটির প্রদর্শন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই সিনেমায় যে সব দৃশ্য দেখানো হয়েছে, তা রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। তাই এই ছবিকে নিষিদ্ধ করা হল।’’ এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে ‘দ্য দিল্লি ফাইল্‌স’ প্রসঙ্গও। দিন কয়েক আগেই ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ খ্যাত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী এসেছিলেন বাংলায়। এসেছিলেন ওই ছবির অভিনেতা অনুপম খেরও। বাংলায় এসে তাঁরা জানিয়েছিলেন, খুব শীঘ্রই ‘দ্য দিল্লি ফাইল্‌স’ নামেও একটি ছবি করতে চলেছেন তাঁরা। সেখানে ‘বেঙ্গল ফাইলস’ অর্থাৎ বাংলার গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন তাঁরা। 

    মমতার দাবি

    মমতা সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘বিজেপি মনোনীত কিছু তারকা এখানে এসেছিলেন। ওঁরা বলেছিলেন, ওঁরা ‘বেঙ্গল ফাইল্‌স’ খুলবেন। যদি এঁরা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্‌স’ করে থাকেন কাশ্মীরের মানুষকে খাটো করে দেখানোর জন্য, এ বার কেরলের মানুষের ক্ষেত্রে একপেশে বক্তব্য দিয়ে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ করেছেন, বাংলাকে তা হলে এ ভাবেই দেখাবে।’’

    বিবেকের ট্যুইট

    এনিয়ে, বিবেকের ট্যুইট, ‘‘হ্যাঁ ঠিক কথাই। আমি দিন কয়েক আগে বাংলায় এসেছিলাম। গোপাল পাঁঠা ও খিলাফত দ্বারা সংগঠিত যে গণহত্যা হয়েছিল সেই সম্পর্কিত সাক্ষাৎকার নিতে। আপনি কেন এত ভয় পাচ্ছেন?’’ বিবেক মমতাকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ‘‘কিসের ভিত্তিতে আপনি বলছেন ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্‌’ ছবিতে সেখানকার মানুষদের ছোট দেখানো হয়েছে? এই ছবি কোনও একটি রাজনৈতিক দলের মদতে পুষ্ট— এমন তথ্যই বা পেলেন কোথা থেকে? এ বার আমি যদি একটি মানহানি ও গণহত্যা অস্বীকারের মামলা করি আপনার বিরুদ্ধে তা হলে কেমন হয়?’’

    বিবেকের খোলা চিঠি

    ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র (The Kerala Story)  মুক্তির প্রসঙ্গে ট্যুইটারে একটি খোলা চিঠিতে লেখেন, “প্রিয় বিপুল শাহ এবং সুদীপ্ত সেন। আদাহ্ এবং ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র সমগ্র দল, প্রথমে আমি আপনাকে সাহসী প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানাই। একইসঙ্গে, আমি আপনাকে এই দুঃসংবাদটিও দিই যে এরপর থেকে আপনার জীবন আগের মতো হবে না। আপনি অকল্পনীয় ঘৃণা দেখতে পাবেন। আপনার দমবন্ধ লাগবে। অনেক সময় আপনি বিভ্রান্ত এবং হতাশ হয়ে পড়তে পারেন।” তিনি আরও বলেছেন, “কিন্তু মনে রাখবেন, ঈশ্বর সেই কাঁধকে পরীক্ষা করেন যার উপর তিনি পরিবর্তনের এজেন্ট হওয়ার দায়িত্ব দিতে পারেন। সিনেমা যদি আপনার ধর্মের পথ অনুসরণ করার একটি মাধ্যম হয়, তবে কখনওই থামবেন না। ভারতীয় গল্পকারদের সম্প্রদায় বৃদ্ধি পেতে দিন। নতুন, তরুণ প্রতিভাবান, ভারতীয় গল্পকারদের সাহায্য করুন। এই ভারতীয় রেনেসাঁ একটি নতুন ভারতের পথপ্রদর্শক আলো হয়ে উঠুক।”

    আরও পড়ুন: “মমতা কি আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    ফোনে হুমকি

    ফোন করে হুমকি দেওয়া হল বিতর্কিত বলিউড ছবি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র (The Kerala Story) এক কুশলীকে। ছবির পরিচালক সুদীপ্ত সেন থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে মুম্বই পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই কলাকুশলীর জন্য পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ না করার কারণে কোনও এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। ছবির পরিচালক সুদীপ্তর অভিযোগ, তাঁর ছবিতে কাজ করার জন্যই ওই কলাকুশলীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফোনে হুমকি দিয়ে বলা হয়, এই ছবি তৈরি করে ভাল কাজ করেননি ছবির নির্মাতা এবং কলাকুশলীরা। ওই কলাকুশলীকে বাড়ি থেকে একা না বেরনোর হুমকি দেওয়া হয় বলেও সুদীপ্তের অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মমতা কি আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতা কি আইএস-এর প্রতি সহানুভূতিশীল?”, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখানো নিষিদ্ধ করেছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। রাজ্য সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে মমতাকে কার্যত ধুয়ে দিল বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক পদ্ম-নেতা নিশানা করেছেন রাজ্য সরকারকে। ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, “আমি যতটুকু জানি, কেরলে কীভাবে মহিলাদের মগজ ধোলাই করেন কট্টরপন্থী ধর্মগুরুরা, তা-ই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে কেরলে মহিলাদের ধর্মান্তরিত করে আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়ায় আইএসআইএসের হয়ে যুদ্ধ করতে পাঠানো হয়ে থাকে। আইএসআই এবং তাদের কার্য পদ্ধতির বিরুদ্ধাচরণ করে তৈরি হয়েছে ছবিটি। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি আইএসআইএসের প্রতি সহানুভূতিশীল?”

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ট্যুইট-বাণ…

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তাঁর ট্যুইটের সঙ্গে শাবানা আজমির একটি ট্যুইটের স্ক্রিন শট দিয়েছেন। যেখানে অভিনেত্রী এই ছবি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। শুভেন্দু লেখেন, “এই ছবি দেখানো হলে কেন আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে? ছবি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।

    আর যদি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে না পারেন, তাহলে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত”। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিল তৃণমূল আসলে কাদের দল। আগেই মুখ্যমন্ত্রী তোষণের নির্লজ্জ নজির দেখিয়েছেন। এবার জেহাদিদের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন। শিল্পের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা নিয়ে তৃণমূলের কোনও কথা বলার অধিকার নেই”।

    বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত ধর্মীয় মৌলবাদের কাছে আত্মসমর্পণের একটি নিদর্শন”। তিনি বলেন, “লাভ জিহাদ বিজেপির (Suvendu Adhikari) তৈরি করা নয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সমগ্র সংখ্যালঘু সমাজকে আজ অপমান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”।

    শমীক বলেন, “ভারতবর্ষে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন নিজের দেশকে দেশ বলে মনে করেন না, এটা আমরা কখনও মনে করি না। কেবলমাত্র ভোটব্যাঙ্ক তৈরির স্বার্থে সমস্ত সংখ্যালঘুকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে তাদের সর্বনাশ করার চেষ্টা করা হচ্ছে”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: সই সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক-প্রাক্তন বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Alipurduar: সই সংগ্রহ কর্মসূচি নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক-প্রাক্তন বিধায়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুমন কাঞ্জিলাল ও সৌরভ চক্রবর্তী। প্রথমজন তৃণমূল বিধায়ক, দ্বিতীয়জন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিধানসভার সাংগঠনিক রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরেই দুই গোষ্ঠীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, দুই গোষ্ঠীর বিরোধ ততই বাড়ছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী নিয়ে তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এল?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি দলের কোনও কর্মী-সমর্থক শাসক দলে যোগ দেননি। অপরদিকে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) বিধানসভা এলাকায় গত বিধানসভা নির্বাচনে সুমনবাবুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী। সুমন তৃণমূলে নাম লেখালেও তাঁকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ সৌরভ অনুগামীরা। অপরদিকে সুমন কাঞ্জিলাল নিজের জমি শক্ত করতে সৌরভ বিরোধী তৃণমূল নেতাদের সঙ্গী করে ময়দানে নেমে পড়েছেন। ফলে বর্তমান এবং প্রাক্তন বিধায়কের জমি দখলের লড়াই কার্যত প্রকাশ্যেই চলে এসেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নিচু তলার নেতাকর্মীরা। তাঁরা বর্তমান, নাকি প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে থাকবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত কয়েকদিন আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ১০০ দিনের কাজ করে টাকা না পাওয়া বঞ্চিত শ্রমিকদের সই সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের বিবেকানন্দ ১, বিবেকানন্দ ২, বঞ্চুকামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথে সই সংগ্রহের জন্য দলের জেলা নেতাদের নিয়ে গিয়েছিলেন সুমনবাবু। তবে, সেখানে দেখা যায়নি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি রায়কে। পীযুষবাবু সৌরভ ঘনিষ্ঠ নেতা বলেই পরিচিত। অন্যদিকে, সোমবার পরোরপার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পীযূষ বাবুর ডাকে সৌরভ চক্রবর্তী সই সংগ্রহ কর্মসূচিতে অংশ নেন। সেখানে সুমন অনুগামী কোনও নেতাকেই দেখা যায়নি। সোমবারই বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল নিজে উদ্যোগী হয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রতন মহন্ত সহ জেলার কয়েকজন নেতাকে নিয়ে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সই সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। একই অঞ্চলে কেন আলাদা আলাদাভাবে হবে দলের একই কর্মসূচি? এর ফলে বিভ্রান্তে রয়েছেন নিচু তলার নেতা কর্মীরা।

    সই সংগ্রহ নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূল বিধায়ক সুমনবাবু বলেন, সবার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ওই কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। তবে ওই কাজে অনেকেই এখন যুক্ত হয়েছেন। সেটা দলের পক্ষে ভালই হবে। অপরদিকে সৌরভ চক্রবর্তী তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে বিরোধের কথা স্বীকার করেননি। তিনি বলেন, দলের ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্বের ডাকেই অঞ্চলে যাবেন। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তেও ওই কর্মসূচিতে আমার অংশ নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah At Jorasanko: রবীন্দ্র জয়ন্তীতে জোড়াসাঁকোয় কবিপ্রণাম অমিত শাহের, ঘুরে দেখলেন ঠাকুরবাড়ি

    Amit Shah At Jorasanko: রবীন্দ্র জয়ন্তীতে জোড়াসাঁকোয় কবিপ্রণাম অমিত শাহের, ঘুরে দেখলেন ঠাকুরবাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবিপ্রণাম করে রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন অমিত শাহ। আগেই স্থির ছিল, পঁচিশে বৈশাখ রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ। যোগ দেবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানে। সেই জন্য গতকাল মধ্যরাতেই শহরে চলে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে পৌঁছে যান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মালা পরিয়ে তাঁকে প্রণাম করেন। এর পর কবিগুরুর বাড়ি ঘুরে দেখেন অমিত শাহ, সংগ্রহশালায় যান। জোড়াসাঁকোর ভিজিটার্স বুকে সইও করেন। কেমন লাগল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, নিজের ভাব ব্যক্তও করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আজ ২৫ বৈশাখ

    আজ রবীন্দ্রনাথের ১৬৩ তম জন্মদিন। এই দিনটিকে ঘিরে প্রতি বছরই উৎসবে মেতে ওঠে ঠাকুরবাড়ি। কথায়-গানে-কবিতায় দিনভর চলে রবি-স্মরণ। তবে, এবছর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসায় ঠাকুরবাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনেও অন্য মাত্রা যোগ হয়েছিল। অমিত শাহের সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ বিশিষ্টজনরা। তাঁরাও এদিন রবি-মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

    ট্যুইটে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর

    মঙ্গলবার সকালে, ট্যুইট করে কবিগুরুকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে গুরুদেবকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শিল্প থেকে সঙ্গীত এবং শিক্ষা থেকে সাহিত্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি ছাপ রেখে গিয়েছেন। সমৃদ্ধশীল, প্রগতিশীল, আলোকিত ভারতের যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’

    বাংলায় ট্যুইট অমিত শাহের

    অন্যদিকে, বাংলায় ট্যুইট করলেন অমিত শাহ। ট্যুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, ‘‘বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রকৃতিবাদ তথা মানবতাবাদের আদর্শকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়ে ভারতীয় দর্শনকে এক পূর্ণ রূপ প্রদান করেন। তাঁর কালজয়ী রচনা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তিকে আরও দৃঢ় করে। সদা প্রেরণাদায়ী, এমন দূরদর্শী কবিকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।’’

    এর আগে, বাংলায় আসার আগে সোমবার রাতেই ট্যুইটারে অমিত শাহ লেখেন, প্রত্যেক প্রজন্মের কাছে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ কবিগুরুর লেখনি।

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় অমিত শাহ, জেনে নিন চূড়ান্ত কর্মসূচি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    TMC: স্টেশন চত্বরে গাড়ি-দোকান ভাঙচুর, প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলে উত্তাল হয়ে উঠল বর্ধমান স্টেশন চত্বর। রাতের অন্ধকারে বর্ধমান স্টেশন চত্বর জুড়ে তাণ্ডব চলে। ১০ থেকে ১২ টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পাশাপাশি  ১০টি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। প্রকাশ্যে এই তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের (TMC) সাধারণ সম্পাদক ইফতিকার আহমেদ ও তৃণমূল নেতা গোলাব সোনকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এবার সেই কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ৭ মে রাতে গোলাব সোনকারের অনুগামীরা এসে স্টেশন চত্বরে একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। স্টেশনের গ্যারাজে রাখা ১০টি প্রাইভেট গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। বর্ধমান স্টেশন চত্বরে ঢুকে স্থানীয় বিধায়কের নামে ও প্রাক্তন আই এন টি টি ইউসির সভাপতির নামে গালিগালাজও করে। হামলাকারীদের হাতে রড, লাঠি এবং তরোয়াল ছিল। এমনকী ইফতিকারসহ তাঁর কয়েকজন অনুগামীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার এই ঘটনার প্রতিবাদে ইফতিকারের নেতৃত্বে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করা হয়। এই ঘটনায় রাতে বর্ধমান স্টেশনে ব্যবসায়ী থেকে  গাড়িচালক সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে বর্ধমান থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    কী বললেন ব্যবসায়ীরা?

    স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সেখ আলিউদ্দিন বলেন, আমরা অন্যদিনের মতো দোকানে বসেছিলাম। আচমকা কয়েকজন দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায়। বিধায়কের নামে তারা গালিগালাজ করে। আমার দোকানে তাণ্ডব চালায়। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    স্টেশনে তাণ্ডব নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা

    তৃণমূল নেতা ইফতিকার আহমেদ বলেন, গোলাব আগে সিপিএম করত। মধ্যে বিজেপিতে গিয়েছিল। এখন তৃণমূলে (TMC) রয়েছে। অকারণে এসে ওরা হামলা চালায়। স্টেশন চত্বরে তাণ্ডব চালায়। আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। অন্যদিকে, তৃণমূল (TMC) নেতা গোলাব সোনকার বলেন, আমার ছেলে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে চারচাকা গাড়ি করে ঘুরতে গিয়েছিল। উড়ালপুলের পাশে ছবি তোলার সময় তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে কয়েকজন এসে হামলা চালায়। ইফতিকার আমার ছেলেকে গালিগালাজ করে। সেটার প্রতিরোধ করা হয়েছে। স্টেশনে কোনও তাণ্ডব চালানো হয়নি। ওরা ভাঙচুর করে আমাদের নামে দায় চাপাচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক খোকন দাস বলেন, কে বা কারা তাণ্ডব চালিয়েছে তা জানতে পারিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে রয়েছেন। যে বা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নিচ্ছে ‘মোকা’! দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের ভ্রুকুটি

    Weather Update: বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নিচ্ছে ‘মোকা’! দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের ভ্রুকুটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’-র কারণে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। হাওয়া অফিসের (Weather Update) তরফে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় তাপপ্রবাহের পূর্বভাস জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার, সকাল থেকেই ঘামছে শহরবাসী। অস্বস্তিকর আবহাওয়া। সোমবার রাজ্যে ১৪টি জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সল্টলেকেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল। মঙ্গলবারও, দিনের বেলা লু বইবে শহরে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই।

    ফুটছে বাংলা

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। যার রেশ চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং বীরভূম— এই ৮ জেলায় তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। তবে বুধবার তাপপ্রবাহ চলবে দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই। বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হবে পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং বাঁকুড়ায়। শুক্রবার থেকে আবহাওয়ায় পরিবর্তন আসতে পারে বলেও হাওয়া অফিস সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন: নারী শক্তির জয়! ২০২৪ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে কি শুধুই মেয়েরা?

    সাইক্লোন ‘মোকা’-র (Cyclone Mocha) জেরেই বাংলায়  ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আলিপুর সূত্রে খবর, আপাতত বাংলায় সাইক্লোন আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং বাংলাদেশ অভিমুখী এই ঘূর্ণিঝড় এ রাজ্য থেকে সমস্ত জলীয় বাষ্প শুষে নিয়ে পারদ পৌঁছে দিচ্ছে ৪০ ডিগ্রির উপরে। মৌসম ভবন জানাচ্ছে, গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এই ঝড় মূলত উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর ল্যান্ডফল (Cyclone Mocha Landfall) হতে পারে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের উপকূলভাগে। এই ঘূর্ণিঝড় গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গ এবং পশ্চিমাঞ্চল থেকে সমস্ত জলীয় বাষ্প শুষে নিচ্ছে। ফলে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল চলাকালীন বাংলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হবে। শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে রাজ্য জুড়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share