Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • DA: শনিবারের বারবেলায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়, প্রস্তুতি শুরু

    DA: শনিবারের বারবেলায় ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়, প্রস্তুতি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় মিছিলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হন বকেয়া ডিএর (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীরা। আজ, শনিবার বহু চর্চিত সেই মিছিলই হতে যাচ্ছে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। এখানেই রয়েছে মমতার বাড়ি আর অভিষেকের ‘প্রাসাদ’।

    ডিএর দাবিতে মিছিলের ডাক…

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে গত ১০০ দিন ধরে চলছে আন্দোলন। আন্দোলন হচ্ছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ব্যানারে। দাবি আদায়ে বন্‌ধ পালন করেছেন আন্দোলনকারীরা। করেছেন কর্মবিরতিও। মহামিছিলও হয়েছে বার কয়েক। গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দিল্লির যন্তরমন্তরেও ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা। বেশ কিছুদিন ধর্মতলায় অনশনও করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। আদালতের নির্দেশে সরকারের সঙ্গে আলোচনায়ও বসেছিলেন তাঁরা। তার পরেও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মিছিল করার পরিকল্পনা করেন আন্দোলনকারীরা (DA)। ঠিক ছিল, ৬ মে ডিএর দাবিতে মিছিল হবে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়।

    আরও পড়ুুন: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    যদিও প্রথমে পুলিশ এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। তার পরেই আন্দোলনকারীরা দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। মামলার শুনানি হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। আদালতের প্রশ্ন, শান্তিপূর্ণ মিছিল হলে অসুবিধা কোথায়? এর পরেই তৃণমূলের ‘আঁতুড়ঘরে’ মেলে মিছিলের অনুমতি। তবে আদালত এই অনুমতি দিয়েছে শর্ত সাপেক্ষে। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, মিছিল করতে হবে সুশৃঙ্খলভাবে। এমন কোনও স্লোগান সেখানে দেওয়া যাবে না, যাতে উত্তেজনা ছড়ায়। আদালতের রায় আন্দোলনকারীদের পক্ষে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। ডিসি পদমর্যাদার বেশ কয়েকজন আধিকারিককে এদিন সকাল থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে হাজরা মোড়ে।

    আন্দোলনকারীদের (DA) মিছিল শুরু হবে হাজরা মোড় থেকে। পরে তা হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট, হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে আশুতোষ কলেজের পাশের রাস্তা দিয়ে বেরবে। এই রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পড়ে না। কারণ তাঁর বাড়ি গলির ভিতরে। তবে অভিষেকের বাড়ির উঠোন দিয়ে যাবে ডিএর দাবিতে আন্দোলনকারীদের মিছিল। আন্দোলনকারীদের তরফে যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, শনিবার রেকর্ড জমায়েত হতে চলেছে। আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে, তা মেনেই হবে মিছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তের দত্তক নেওয়া গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেই তৃণমূলের, সরব বিজেপি

    Sukanta Majumdar: সুকান্তের দত্তক নেওয়া গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেই তৃণমূলের, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামে যাওয়ার বেহাল রাস্তার কারণে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। বালুরঘাট ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরামপ্রসাদ গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামতে চলেছেন এলাকাবাসী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কারে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগ নেই। ফলে, বহু জায়গায় রাস্তার পিচ উঠে পাথর বেরিয়ে গিয়েছে। বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দরবার করেও রাস্তা সংস্কার হয়নি। অপরদিকে, বিজেপির অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি হ‌ওয়ায় এবং বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) গ্রামটি দত্তক নেওয়ায় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জেলা পরিষদ ইচ্ছাকৃতভাবে বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ভাঙা রাস্তায় টোটো না আসায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এখন এক কিলোমিটার পথ হেঁটে গিয়ে টোটো, অটো ধরতে হয়। ছাত্র ছাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়। ভোটের আগে নেতারা এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়ে যান, ভোটপর্ব মিটলে আর কারও দেখা মেলে না। এবার এই বেহাল রাস্তা সংস্কার না হলে আমরা ভোট বয়কট করব।

    বেহাল রাস্তা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা

    বিজেপির স্থানীয় নেতা সুবিমল হেমব্রম জানান, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দত্তক নেওয়ার পর গ্রামে প্রায় চল্লিশটি সোলার লাইটের ব্যবস্থা করেছেন। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য স্থানীয় স্কুলের উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা করেছেন। আরও উন্নয়নমূলক কাজ তিনি করবেন। কিন্তু, রাস্তাটি জেলা পরিষদের। ফলে, তিনি চাইলেও রাস্তাটি করতে পারেননি। স্থানীয় বিজেপি বুথ সভাপতি অজয় দেবনাথ জানান, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। আর এই এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির এবং বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) গ্রামটি দত্তক নেওয়ার জন্য জেলা পরিষদ বেহাল রাস্তা সংস্কারে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। তৃণমূলের ভাটপাড়া অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি পুলক দেবনাথ জানান, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) দত্তক নিলেও কোনও কাজ করেননি। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের বিষয়ে দল থেকে চেষ্টা চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে কেন অনুব্রত? প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার্জশিট পেশের পরেও দলীয় পদে বহাল রয়েছেন অনুব্রত, তাঁকে সরানোর হিম্মত নেই মমতার কারণ, তিনি নাম বলে দিতে পারেন। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর আরও প্রশ্ন, হিমশৈলের চূড়া রয়েছে অনুব্রতর কাছে, জলের নীচের অংশ কার কাছে আছে? এদিন এনআরসি ইস্যুতেও মমতাকে একহাত নেন বালুরঘাটের সাংসদ। তাঁর মতে, রাজ্যের সংখ্যালঘুদের এনআরসি নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুসলিমরা বুঝতে পেরেছেন মমতার এই দ্বিচারিতা, তাই তাঁরা সরে আসছেন। প্রসঙ্গত, দুমাস আগেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হয় শাসকদল। জেতেন কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাস। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, ক্রমশ সংখ্যালঘু মানুষদের আস্থা হারাচ্ছে তৃণমূল, তারই প্রতিফলন দেখা গেছে সাগরদিঘিতে, ২০২১ সালে বিপুল ভোটে জেতা আসন শাসকদলকে খোয়াতে হয়।

    প্রসঙ্গ অনুব্রত…

    শুক্রবার দলীয় দফতরে বসে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, প্রশাসনের পুরো চেষ্টা ছিল যাতে অনুব্রতকে রাজ্যে রাখা যায়। প্রশাসন যে তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে চলছে এদিন সে কথাও বলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, এত অভিযোগের পরেও কেষ্ট মণ্ডলকে বীরভূম জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়নি।

    প্রসঙ্গ এনআরসি…

    এনআরসি নিয়ে মুসলিমদের মুরগি বানাচ্ছেন মমতা এমন অভিযোগও তোলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর মতে, মুসলিমদের ক্রমাগত প্ররোচনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের শত প্ররোচনা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে বলে জানান সুকান্ত। সুকান্তর আশ্বাস, এই মূহূর্তে এনআরসির কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ আইন পাশ করার সময় রাজ্যে যে পরিস্থিতি হয়েছিল তাই আবারও ফিরিয়ে আনতে চাইছে বলে জানান বালুরঘাটের। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সিএএ আইন পাশ হওয়ার পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নেতাদের সামনেই  ‘চোর চোর’ স্লোগান! ভাইরাল ভিডিও, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    TMC: ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নেতাদের সামনেই ‘চোর চোর’ স্লোগান! ভাইরাল ভিডিও, চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যালট লুঠ হওয়ার ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন রাজ্যবাসী। দুদিন আগে মালদহের ইংরেজবাজারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা চুরি করার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সেই নবজোয়ার কর্মসূচির ভার্চুয়াল মিটিংয়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই চরম অস্বস্তিতে নেতৃত্ব। তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের ভার্চুয়াল মিটিং চলাকালীন জেলা ও রাজ্যের নেতাদের সামনেই ‘চোর চোর’ স্লোগান!

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    পশ্চিম মেদিনীপুরে শুরু হতে চলেছে তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে বৃহস্পতিবার একটি ভার্চুয়াল মিটিং এর আয়োজন করা হয়। গুগল মিটের মাধ্যমে এই মিটিং হয়। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ও প্রাক্তন ছাত্র সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী, মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৈয়দ মিলু, রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চক্রবর্তী এবং অন্যান্য ব্লক ও জেলা স্তরের নেতৃত্বরা। রাজ্যস্তরের নেতারা মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই মিটিং ছিল তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের কোর কমিটির মিটিং। তবে সেই মিটিং এর শুরুতেই হোঁচট। হঠাৎই স্লোগান ওঠে “চোর চোর চোরটা, অভিষেকের পিসিটা। “এমনকী মিটিং চলাকালীন একাধিক মেসেজে ভেসে আসতে থাকে ত্রিপল ও কয়লা চুরির ঘটনা। এছাড়াও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও আক্রমণ করা হয় রাজ্য তৃণমূলের আইটি সেল এর সভাপতি দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তীব্র আক্রমণ করা হয় মেসেজ ও স্লোগানের মাধ্যমে। প্রশ্ন উঠছে, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, আর তার আগে তৃণমূলের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে এধরনের দলবিরোধী স্লোগান ভাবাচ্ছে বুথ থেকে রাজ্যস্তরের নেতৃত্বদের।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    ভার্চুয়াল মিটিং এর এই ভিডিওই রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবিরের ছাত্র সংগঠন। প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব জানাচ্ছে, মিটিংয়ে যারা বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করেছে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অরূপ দাস বলেন, এটা ওদের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। কর্মীদের ওপর নেতৃত্বের কোনও লাগাম নেই। তাই, মিটিংয়ের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কালজানি নদীর বোরোলি! দাম শুনলে চমকে উঠবেন

    Alipurduar: বাজার দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কালজানি নদীর বোরোলি! দাম শুনলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। আর যদি উত্তরবঙ্গের কথা ওঠে, তাহলে বোরোলিকে বাদ দিয়ে মাছ নিয়ে তো আলোচনা করা যায় না। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, আগে কালজানি নদীতেও প্রতিনিয়ত মিলত এই মাছ। এখন তা কার্যত দুষ্প্রাপ্য। গত দু-একদিন ধরে আবার কালজানি নদীতে সে মাছের সন্ধান মিলেছে। দাম যতই হাতে ছ্যাঁকা লাগানোর মতো হোক না কেন, বাজারে আনামাত্রই তা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আসলে দীর্ঘদিন পর কালজানির সুস্বাদু বোরোলির দেখা পেয়ে ক্রেতারা আর দামের তোয়াক্কা করছেন না।

    কালজানি নদীতে জেলেদের জালে উঠছে বোরোলি মাছ

    টানা খরা কাটিয়ে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালজানি নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে উত্তরের সুস্বাদু মিষ্টি জলের নদীয়ালি বোরোলি মাছ। গত কয়েক দিনে সামান্য পরিমাণ বৃষ্টি হতেই কালজানি নদীতে ধরা পড়ছে এখানকার রুপোলি ফসল বোরোলি মাছ। মৎস্য প্রেমিকদের কাছে ইলিশের সঙ্গে টক্কর দিতে পারে এই  বোরোলি মাছ। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাইরে থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছেও বোরোলি মাছ খুবই আকর্ষণীয়।

    বাজারে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে বোরোলি মাছ?

    কালজানি নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন বাচ্চু বর্মন, প্রদীপ দাসরা। তাঁরা বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময়ই বোরোলি জালে ধরা পড়ে না। বর্ষাকালে বেশি জলে যেমন ওই মাছকে ধরা যায় না, তেমনি শীতকালে নদীতে জল কমে গেলেও এই মাছের দেখা পাওয়া যায় না। তবে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে ওই মাছ কিছু দিনের জন্য ধরা যায়। বাজারে বোরোলি মাছের প্রচুর চাহিদা থাকায় প্রতি কেজি ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কালজানি নদীর ওই রুপোলি ফসল বিক্রি করে বেশ লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরাও। মে মাসে কিছুদিনের জন্য বোরোলি আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিভিন্ন বাজারে পাওয়া গেলেও বছরের অন্যান্য সময় গঙ্গার পিয়ালি মাছকে এখানে বোরোলি মাছ বলে বিক্রি করা হয়। যদিও একই রকম দেখতে হলেও স্বাদের দিক থেকে বোরোলির ধারে কাছে আসতে পারবে না পিয়ালি মাছ। ফলে কিছুদিনের জন্য কালজানি নদীর ওই রুপোলি ফসল বাজার থেকে কিনতে দরদামের তোয়াক্কা করছেন না আমবাঙালি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Agitation: ভাবাদিঘি রেল প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা

    Agitation: ভাবাদিঘি রেল প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রেল আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাবাদিঘি জটে দীর্ঘ দিন ধরেই থমকে রয়েছে তারকেশ্বর – বিষ্ণুপুর রেল লাইনের কাজ। দিঘি বাঁচাও কমিটির আন্দোলনের (Agitation) জেরে রেললাইনের প্রকল্পের কাজ গোঘাটের ভাবাদিঘি এলাকায় থমকে রয়েছে। বারবার রেল কর্তারা ভাবাদিঘি পরিদর্শন করলেও কাজের অগ্রগতি কিছুই হয়নি। এদিকে দিঘির জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। তার মাঝে ফের শুক্রবার ভাবাদিঘি পরিদর্শন করেন পূর্ব রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। কিন্তু, কোনও কথাই হল না আন্দোলনকারীদের (Agitation) সঙ্গে। উল্টে আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদের মুখে পড়লেন তাঁরা। হাতে পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ দেখান এলাকাবাসী।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    রেললাইনের কাজ কবে শুরু হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে এলাকার মানুষ। এদিন ভাবাদিঘির রেললাইনের কাজ পরিদর্শন করতে আসেন পূর্ব রেলের আধিকারিকরা। তাঁরা তারকেশ্বর থেকে ট্রেনে করে গোঘাট স্টেশনে এসে নামেন। তারপর সড়কপথে ভাবাদিঘির রেল লাইনের কাজ পরিদর্শনে যান। বিষয়টি জানার পরই এলাকাবাসী সেখানে যান। রেল আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁরা প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতে চান। কিন্তু, তাঁরা কথা বলেননি। এরপরই এলাকাবাসী পোস্টার হাতে নিয়ে রেল আধিকারিকদের সামনে ক্ষোভে (Agitation) ফেটে পড়েন।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    রেল আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা রেল প্রকল্পের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু, ভাবাদিঘির উপর দিয়ে এই প্রকল্প হোক আমরা চাই না। কারণ, এই দিঘির জলের ওপর শতাধিক পরিবার নির্ভরশীল। আমরা রেল আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেই আমাদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরতাম। কিন্তু, তাঁরা কেউ আমাদের সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজনবোধ করলেন না। তাই পোস্টার লিখে আমরা দাবিদাওয়ার বিষয়টি তাঁদের কাছে তুলে ধরতাম। গ্রামের মানুষ রেলকর্তাদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ (Agitation) দেখান।

    এদিন রেল কর্তারা এলেও ভাবাদিঘির জট ক্রমশ খোলার জায়গায়, আরও বেশি করে জট পাকিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও রেল আধিকারিকরা এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। ভাবাদিঘির পর তাঁরা বাঁকুড়ার- বিষ্ণুপুর এলাকায় রেল লাইনের কাজ খতিয়ে দেখতে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি নয়, সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানালেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে খুন হওয়া মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার মালদহের ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুর পাওয়ার গ্রিড এলাকায় জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা এই দাবি জানান। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, সিআইডি তদন্তে আমাদের আস্থা নেই। তাই, পুলিশের গুলিতে খুনের ঘটনায় আমরা সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল এলাকা। পরে, দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কালিয়াগঞ্জ থানায় আদিবাসী ও রাজবংশী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় থানা। ঘটনার পর পরই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে ধরতে গিয়ে নিরীহ যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব সরব হয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

    মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা কেন ঘরছাড়া?

    ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন মৃতের পরিবার। বিভিন্নভাবে চাপ আসছে পরিবারের ওপর। এমনই অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা বলেন, ঘটনার পর থেকে রাতে গ্রামে পুলিশ আসছে। ভয় দেখাচ্ছে। আতঙ্কে আমরা ভিটে ছেড়ে চলে এসেছি। কখনও সপরিবারে শিলিগুড়িতে রয়েছি। কখনও আবার মালদহে। রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ এসে আমার ভাইকে গুলি করে খুন করল। আমাদের সঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা ফের ঘটতে পারে। আতঙ্কে আমরা আর বাড়িতে থাকার সাহস পাইনি। এদিন কমিশনের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়েছি।

    কী বললেন জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান?

    জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণবাবু বলেন, এদিন আমাদের কালিয়াগঞ্জে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু, জানতে পারলাম, তাঁরা কেউ বাড়িতে নেই। পুলিশের আতঙ্কে তাঁরা ভিটে ছাড়া। মালদহে রয়েছে জেনে আমরা তাঁদের ডেকে কথা বললাম। পরিবারের সকলের সঙ্গে বিস্তারিত আমরা কথা বলেছি। সমস্ত বিষয় আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। পরে, আমরা পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে কালিয়াগঞ্জের ঘটনাস্থলে যাব। সেখানে পরিবারের লোকজনকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা এবং তাঁদের নিরাপত্তা আমরা সুনিশ্চিত করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat Pond Filling: ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর? পৌরসভার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

    Barasat Pond Filling: ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর? পৌরসভার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে ময়লা ও আবর্জনা ফেলার ফলে পুকুরের বেশিরভাগটাই বুজে গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতের (Barasat) একটি পুকুর এইভাবে দিনের পর দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। অথচ পুকুর পুনরুদ্ধারের কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি পৌরসভা কিংবা প্রশাসনের তরফ থেকে, এমনটাই অভিযোগ। জমির মালিক ও পৌরসভা একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে রেহাই পেতে চাইছে।

    কীভাবে পুকুর ভরাট?

    বারাসত পৌরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের হৃদয়পুর স্টেশন রোড দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ রোজ যাতায়াত করেন। সেই রাস্তার পাশেই ৮৪ শতক জমি জুড়ে বিশাল একটি (Barasat) পুকুর ছিল কয়েক বছর ধরে। সেই পুকুরেই এলাকার লোকজন একসময় স্নান করতেন। বৃষ্টি হলেই এলাকার জমা জল গিয়ে পড়ত পুকুরে। সেই ৮৪ শতক অংশের মধ্যে ২৮ শতক কয়েক বছর আগে কিনেছিলেন এলাকার ব্যবসায়ী সঞ্জীব দত্ত। সেই পুকুরটির ২৮ শতক জমি (প্রায় ১৮ কাঠা) দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল অবহেলিত অবস্থায়। সেখানেই নোংরা ও আবর্জনা ফেলতে ফেলতে পুকুরের অনেক অংশ ভরাট হয়ে যায়, এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। বর্তমানে পুকুরটিকে দেখলে আর বোঝার উপায় নেই, সেটি এককালে পুকুর ছিল। বুজিয়ে ফেলা পুকুরের জমির অংশে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। জমি দখলের চেষ্টাও চলছে। আর এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসী।

    এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া

    স্থানীয় এক বাসিন্দা ভাস্কর চক্রবর্তী জানান, এককালে গোটাটাই পুকুর ছিল এখানে। সেই পুকুরে (Barasat) আমরাও একসময় স্নান করতাম। সাঁতার কাটতাম৷ সেই পুকুর ভরাট হতে দেখে এখন খারাপ লাগছে। এটা অবিলম্বে প্রশাসনের দেখা উচিত। পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিশেষ ভয়ের কারণে সেভাবে এতদিন মুখ খুলতে পারিনি আমরা। বর্তমানে অনাচার দেখে এখন মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি। পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসন আর পৌরসভা কী ভূমিকা পালন করে, তাই এখন দেখার।

    জমির মালিকের বক্তব্য

    যার বিরুদ্ধে পুকুর (Barasat) বুজিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সেই জমির মালিক সঞ্জীব দত্ত বলেন, এটা পুকুর নয়। গোটাটাই বাস্তু জমি। তার রেকর্ড এবং তথ্য সবকিছুই রয়েছে আমাদের কাছে। প্রশাসন দেখতে চাইলে তা দেখিয়ে দেব। পুকুর ভরাট করার চেষ্টা কখনও করিনি আমি।

    পৌরসভার বক্তব্য

    জমির মালিকের অভিযোগ উড়িয়ে পৌরসভার (Barasat) পৌরপারিষদ সৌমেন আচার্য বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। পৌরসভা কখনও অন্যের জায়গায় গিয়ে নোংরা, আবর্জনা ফেলে না। পৌরসভার নিজস্ব ডাম্পিং গ্রাউন্ড রয়েছে। এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন স্থানীয় কাউন্সিলর।

    কাউন্সিলরের বক্তব্য

    অপরদিকে, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাম কাউন্সিলর শুক্লা ঘোষকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও জমির মালিকের উপর দোষ চাপিয়েছেন। তাঁর কথায়, পৌরসভা কেন ওখানে নোংরা, আবর্জনা ফেলতে যাবে! বিষয়টি নজরে আসার পরই চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তবে, এখনও সদুত্তর মেলেনি। পুকুর (Barasat) ভরাট রুখতে বদ্ধপরিকর আমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ১০০ দিনের কাজে ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, কোথায়?

    TMC: ১০০ দিনের কাজে ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে! তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের আলোতে পুকুর চুরির অভিযোগ তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জেলার জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি জমিতে চলছে সবুজ ভুট্টার চাষ। স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই ভুট্টাখেতকে পুকুর খনন দেখানো হয়েছে ১০০ দিনের কাজে। এবং এই দুর্নীতিতে তৃণমূল (TMC) নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। পুকুর চুরির এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় জেলায়। ১০০ দিনের কাজের এই দুর্নীতিতে উচ্চ আদালত আজকে উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী দুমাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। ১০০ দিনের কাজে এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত বছরই মামলা করেন উত্তর দিনাজপুর জেলার এক ব্যক্তি। সেই মর্মে গত বছরের ৩১ অক্টোবর জেলাশাসককে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু, তদন্ত সন্তোষজনক না হওয়ায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজকে এই পর্যবেক্ষণ দিল। 
    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ১০০ দিনের কাজের ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নবজোয়ার সভাতে ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছেনা বলে বারংবার অভিযোগ তুলছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ১০০ দিনের কাজে চুরি বন্ধ করলে তবেই কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে মিলবে টাকা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে বিজেপি, তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোতে চুরির যে অভিযোগ করে আসছে, এদিনের পুকুরচুরির ঘটনা বিজেপির অভিযোগকেই কার্যত সিলমোহর দিল।

    কী বলল হাইকোর্ট

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করবেন জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। তদন্তের ওপর নজরদারি চালাবেন পঞ্চায়েত সচিব। তদন্তের রিপোর্ট প্রতি সপ্তাহে পঞ্চায়েত সচিবকে দেবেন জেলাশাসক। ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে এই তদন্ত। আদালতের আরও পর্যবেক্ষন, তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত প্রধানদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতিতে এমনিতেই আদালতে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে শাসক দল। এবার ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতিতে উচ্চ আদালতের এই নির্দেশ রাজ্যের ওপর চাপ বাড়াল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নাপিতের কাজ করে দিন কাটত, এখন কোটি কোটি টাকার মালিক এই তৃণমূল নেতা, কে জানেন?

    TMC: নাপিতের কাজ করে দিন কাটত, এখন কোটি কোটি টাকার মালিক এই তৃণমূল নেতা, কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠে এল হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার। সামনে এল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গুণধর খাঁড়ার নাম। বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল তাঁকে। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় জেলা রাজনীতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই হুগলির শান্তনু এবং কুন্তলের নাম শিরোনামে উঠে এসেছে। এবার দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়াল আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির। সূত্রের খবর, শান্তনু, কুন্তল এবং সাহিদ ইমাম নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে। তাদের ছায়া সঙ্গী ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি সালেপুর ১নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা।

    কে এই গুণধর খাঁড়া?

    গুণধর খাঁড়া শাসক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পাওয়া থেকে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হয়ে ওঠার ঘটনা অনেকটা রূপকথার গল্পের মতো। দিন আনা দিন খাওয়া ঘরে অভাবি নাপিত পরিবারে জন্ম তাঁর। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর পৈতৃক বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। পড়াশুনা তিনি খুব বেশিদূর জানেন না। তবে, মাজা-ঘষা করে নাম সই করা ভালো করে শিখে নিয়েছেন তিনি। একসময় তিনি ক্ষুর, কাঁচি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষের চুল-দাড়ি কাটতেন। শুরুর দিকে এটাই ছিল রোজগারের মাধ্যম তাঁর। তারপর হুগলি জেলার সালেপুর এলাকায় একটি সেলুনের দোকান শুরু করেন তিনি। বেশ কয়েক বছর পর তিনি অন্য আর একটি পেশায় যুক্ত হন। চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে চাল তৈরি করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে তিনি চাল বিক্রি করতেন। জানা যায়, ১৯৮৩ সালে কংগ্রেসের হয়ে আরামবাগের সালেপুর পঞ্চায়েতের সদস্য হন। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দল বদল করে তিনি তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেন। এরপর ভোটে জিতে জন প্রতিনিধি হয়ে নিজের প্রভাব বাড়াতে শুরু করেন। ২০১৩ সালে সালেপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে তিনি প্রধান নির্বাচিত হন। পরে, ২০১৮ সালে তিনি পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হন। সেখানে জয়ী হয়ে তিনি আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন।

    কত সম্পত্তির মালিক এই তৃণমূল (TMC) নেতা?

    গুণধরবাবু তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর আস্তে আস্তে তাঁর সম্পত্তি ফুলে-ফেঁপে উঠতে শুরু করে। প্রথমে তিনি ধানের বীজ ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমদিকে অবশ্য পার্টনারশিপেই ব্যবসা চললেও পরবর্তীতে ক্ষমতার জোরে ব্যবসা নিজের হাতে হাতিয়ে নেন। এলাকা সূত্রে জানা যায়, তাঁর একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি রয়েছে, যার নাম কালীমাতা সিড ফার্ম। এই কোম্পানিটি সালেপুরের পাঁচ মাইল এলাকায় রয়েছে। তাঁর রাজকীয় বহুতলবাড়ি আছে। এমনকী তাঁর নামে বাঁকুড়ার তালডাঙরা এলাকাতেও একাধিক জমি এবং বহু বাড়ি রয়েছে। সবমিলিয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। গুণধরবাবু নিজের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দুই মেয়ে, মেয়ের জামাই ও তাদের বন্ধুবান্ধবদের চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন আগে চাকরি করে দেওয়ার নামে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে নাম উঠে এসেছে তাঁর। তাই এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি দফতরে তলব করা হয় তাঁকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। ২৬ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু, কারও চাকরি হয়নি। ইডি-র কাছে তিনি সব তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share