Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের ভোট-প্রার্থী! ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা তৃণমূলের আলোরানির

    Calcutta High Court: বাংলাদেশের নাগরিক এদেশের ভোট-প্রার্থী! ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা তৃণমূলের আলোরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একক বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেলেন একুশের বিধানসভা ভোটে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। তাঁর দায়ের করা নির্বাচন সংক্রান্ত পিটিশন খারিজ করে দিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

    দ্বৈত নাগরিকত্বের জায়গা নেই

    গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২০০৪ ভোটে পরাজিত হন আলোরানি। এই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। তাঁরই দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন আলোরানি সরকার। একক বেঞ্চে শুনানির সময় আদালতকে জানানো হয়, আলোরানি বাংলাদেশের ভোটার। ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর। হাইকোর্টে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন বিজেপি বিধায়ক স্বপনের আইনজীবী অরিন্দম পাল। আদালতকে তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছিল, আলোরানি বাংলাদেশের বাসিন্দা। বাংলাদেশেই তাঁর বিয়ে হয়েছে। সেখানেই তাঁর স্বামী থাকেন। 

    আরও পড়ুন: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    আলোরানির বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, দায়িত্বশীল দল হিসাবে কখনই একজন বাংলাদেশিকে ভারতের রাজনৈতিক দলের প্রার্থী করা যায় না। আলোরানিকে ভারত থেকে বিতাড়িত করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখাও হয়েছিল। গত বছর ২২ মে তাঁর মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী জানান, বাংলাদেশের ভোটার লিস্ট আলোরানি সরকারের নাম রয়েছে, তাই আলোরানি সরকার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করতে পারেন না। বিচারপতি জানান, ভারতের সংবিধানে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনও জায়গা নেই। ফলে মামলাকারী নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দাবি করতে পারেন না। তিনি দেশের নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলোরানি। এবার ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেলেন আলোরানি সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ফের অশান্তি ময়নায়! শুভেন্দুর সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত দুই বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ফের অশান্তি ময়নায়! শুভেন্দুর সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত দুই বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত ময়না। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষ হতেই নতুন করে অশান্তি তৈরি হয়। সভা থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে আক্রান্ত হন দুই বিজেপি (BJP) কর্মী। তাঁদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনিতেই বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুন হওয়ার পর পরই প্রায় পাঁচ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। ময়নায় এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৪মে দলীয় কর্মী খুনের সিবিআই তদন্ত এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করেছিলেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বৃহস্পতিবার ধিক্কার ও পদযাত্রায় পা মেলান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন গোবরাদন গ্রামের বিজেপি কর্মী তরুন দাস ও ঝন্টু মণ্ডল। সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ওই দু’জন বিজেপি কর্মীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গেলে দুই বিজেপি (BJP) কর্মীকে রাস্তায় ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় জখম দুই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তমলুক হাসপাতালে পাঠান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক দিন্দা হাসপাতালে গিয়ে জখম কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    ময়নার বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক দিন্দা বলেন, সভা থেকে ফেরার পথে আমাদের দু’জন কর্মীর ওপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাদেরকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও পা ভেঙে দেয়। তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই, এভাবে আমাদের কর্মীদের খুন, হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের রাজ্য মুখ্যপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, তৃণমূলের কেউ বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধর করেনি। আসলে ওদের দলের কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখন বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলে বিজেপি এসব নাটক করে মানুষের সমর্থন আদায়ের মরিয়া চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: এলাকায় পোস্টার “নো ব্রিজ নো ভোট”, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুরু রাজনৈতিক তরজা

    Panchayat Vote: এলাকায় পোস্টার “নো ব্রিজ নো ভোট”, পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুরু রাজনৈতিক তরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ব্রিজের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে পড়ল পোস্টার। আর তাকে ঘিরে শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের কেশেডাল এলাকায়। এই গ্রামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুরে শিলাবতী নদীর উপর স্থায়ী ব্রিজ তৈরির দাবিতেই এই পোস্টার বলে জানা যায়। পোস্টারে ‘গ্রামবাসীবৃন্দ’-এর নাম উল্লেখ করা হলেও তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে, ‘নো ব্রিজ নো ভোট’, ‘আর প্রতিশ্রুতি চাই না। এবার ব্রিজ চাই, নইলে ভোট বয়কট’ (Panchayat Vote)। আবার কোনও পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘অনেক হল বোকা বানানো আর নয়, ব্রিজ দাও ভোট নাও’।

    নদী পারাপারে ভরসা কাঠের পোল

    জানা যায়, ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুরে শিলাবতী নদী ও চাষিবাড় এলাকায় কেঠিয়া নদীর উপর স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ তৈরির দাবি জানিয়ে আসছেন চৈতন্যপুর, কেশেডাল সহ একাধিক গ্রামের মানুষ। দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর ধরে সরকারের কাছে দাবি জানানো হলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। এমনকী বর্তমান তৃণমূল সরকারের জমানাতেও স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি থেকে জেলা এবং রাজ্যস্তরে তদ্বির করেও ব্রিজের দাবি পূরণ হয়নি। ভগবন্তপুর-১ ও ভগবন্তপুর-২, এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে শিলাবতী ও কেঠিয়া নদী। ভগবন্তপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশেডাল, কমরপুর, দেউলবেড়িয়া, গদাধরপুর, ভগবন্তপুর, খিরেটি সহ একাধিক গ্রামের সংযোগকারী শিলাবতী নদী পারাপারে ভরসা কাঠের পোল। বর্তমানে এই পোলের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) ২০-২৫ টি গ্রামের বাসিন্দারা। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী হুগলি জেলার সঙ্গেও সংযোগ রয়েছে চৈতন্যপুরের এই কাঠের পোলের। 

    কাঠের সেতু ভেঙে গেলেও সারানো হয়নি

    জানা যায়, শিলাবতী ও কেঠিয়া নদী পারাপারের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে কয়েক বছর আগে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে চারটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয়। কিন্তু বিগত বছর দুই আগে বন্যায় জলের তোড়ে তিনটি সেতু ভেঙে যায়। এখনও তা মেরামত বা নতুন করে তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে প্রতিদিন স্কুল, কলেজ থেকে জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন পেশার হাজারো মানুষকে এইসব এলাকায় নদী পারাপারে চরম হয়রানির শিকার হতে হয়। বন্যার সময় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠে। গ্রামের মানুষ নিজ উদ্যোগে অস্থায়ী সাঁকো বানিয়ে নদী পারাপারের বন্দোবস্ত করে। ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুর ও চাষিবাড় এলাকায় দুটি স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ তৈরির জন্য বিগত ৪৫ বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসীরা। লিখিত আকারে বিভিন্ন দফতরে সেই দাবিপত্র পেশ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই চৈতন্যপুর ও চাষিবাড় এলাকায় কংক্রিটের ব্রিজের দাবিতেই ভোট (Panchayat Vote) বয়কটের ডাক দিয়ে এই পোস্টারিং বলে জানাচ্ছেন একাধিক গ্রামের মানুষ।

    শাসক-বিরোধী তরজা শুরু

    ভোটের আগে এই পোস্টারিংকে ঘিরে শাসক-বিরোধী তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির দাবি, গ্রামবাসীদের দাবি ন্যায্য। তারা তাদের পাশে থেকে আন্দোলন করবে এবং পঞ্চায়েত ভোটে এই ব্রিজের দাবিকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামবে। অপরদিকে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই পোস্টারিংয়ের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি, গ্রামবাসীদের নাম করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে বিজেপিই এই পোস্টারিং করেছে। মানুষ সরকারের উন্নয়নের সঙ্গেই রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। সামনে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। তার আগে ব্রিজের দাবিকে ঘিরে ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে এলাকায় পোস্টারিং অস্বস্তিতে ফেলেছে শাসকদলকে, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ধরতে হবে ময়নাকাণ্ডের মূল মাস্টার মাইন্ডকে, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ধরতে হবে ময়নাকাণ্ডের মূল মাস্টার মাইন্ডকে, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়না-কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। নিহত বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার পরিবারের তরফ থেকে দায়ের করা এফআইআরে ২৬ নম্বরে নাম থাকা, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মিলন ভৌমিককে তাঁর মেয়ের বাড়ি থেকে ভোররাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মত, অভিযুক্ত যেখানে ৩০ থেকে ৩৫ জন সেখানে ১ জনকে গ্রেফতার করে কিছু হবে না। আসল মাস্টার মাইন্ডকে খুঁজে বের করতে হবে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলা চলছেই, কখনও দলীয় ভোটে ব্যালট লুঠ তো কখনও তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ! এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বালুরঘাটের সাংসদ। ছোট চোরেরা বড় চোরের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছে এমনই মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের একাংশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ঘিরে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে চুরি ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল।

    আরও পড়ুন: আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও! কোন কোন বিধি মেনে চলতে হবে?

    ময়নাকাণ্ড…

    সল্টলেকে দলীয় কার্যালয়ে সুকান্ত এদিন বলেন, ময়নার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশ প্রথম থেকেই দুষ্কৃতিদের আড়াল করতে সচেষ্ট বলেও এদিন তোপ দাগেন তিনি। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, বাকচার দুটো পুলিশ ক্যাম্পই আসলে দুষ্কৃতীদের ঘাঁটি। পুলিশের মদতেই সেখানে তারা মজুত করে রাখে বোমা আর সন্ত্রাস করে এলাকায়।

    অভিষেকের নবজোয়ার প্রসঙ্গ…

    নবজোয়ার কর্মসূচিতে এদিন মালদায় ছিলেন, তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সেখানে স্থানীয় বিনোদপুর পঞ্চায়েতে একদল তৃণমূল কর্মী তাঁর গাড়ি আটকে দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের চুরি ও দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়। এ প্রসঙ্গে সুকান্তর কটাক্ষ, ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। তৃণমূলের এমন কেউ আছে নাকি যে চুরি ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়?

    আরও পড়ুুন: লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদিকে, ভারত সফরে এলেন সেই বিলাওয়াল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    Post Poll Violence: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের অষ্টম পর্ব।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা রাজ্যজুড়ে ঘটে চলা সন্ত্রাসের (Post Poll Violence) তথ্য এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিপি-কে ৮ মে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু রাজভবনে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ ছিলেন তাঁরা। রাজ্যপাল ১৪ মে এবং ১৫ মে হিংসা (Post Poll Violence) কবলিত এলাকা শীতলকুচি, আলিপুরদুয়ার, অসমের রিলিফ ক্যাম্প এবং নন্দীগ্রাম অঞ্চল পরিদর্শন করেন। শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরিতে নির্বাচনে একটাও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে নব নির্বাচিত শাসকদলের তরফে কোনও রক্তক্ষয়ী আক্রমণ করা হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার অপরাধেই নবনির্বাচিত শাসকদলের হিংসাত্মক আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে বহু মানুষকে। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর রিপোর্ট চেয়ে ৮ জুন নবনিযুক্ত তৎকালীন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, মুখ্যসচিবও নিজে কোনও প্রকার তথ্য দিতে ব্যর্থ ছিলেন।

    মানবিক ছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও 

    ২ জুলাই হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গে হিংসার (Post Poll Violence) সঠিক তদন্তের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ কমিটি গঠন করে। কমিশন ২০ দিনে ৩১১টি স্থান পরিদর্শন করে। মোট পঁচিশ হাজার মানুষের প্রায় ১৬৫০টি অভিযোগ জমা পড়ে। সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) প্রায় ৯৯৪৯ জনের ৩১৫টি অভিযোগ জমা পড়ে। মানবাধিকার কমিশন বলে, মহিলা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৫৭টি। ২ মে-র পর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা উচ্চস্বরে ডিজে বাজিয়ে লাঠি, বাঁশ, কাঠ, রড, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সর্বত্র লুটপাট, ধর্ষণ, হত্যা ভাঙচুর চালায়। কমিশন বলে, যাদবপুর, মালদা, চাপড়া, কোচবিহারে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা মানবাধিকার কমিশনের সদস্যের উপরও হামলা করে। সবথেকে বেশি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা হয় কোচবিহার, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ২৩টি জেলায় মোট ১৯৭৯টি হিংসার ঘটনা ঘটে। তথ্য দিয়ে কমিশন বলে, পুলিশ ৯৩০৪ জন অভিযুক্তের নামে এফআইআর দায়ের করেছিল। এর মধ্যে ১৩৫৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আবার অভিযুক্তদের ১০৮৬ জন জামিনে মুক্ত হয়েছিল। খুব স্পষ্ট করে কমিশন বলে, মোট অভিযুক্তদের ১৪ শতাংশকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তার মধ্যে ৮০ শতাংশ জামিনে মুক্ত হয়। কমিশন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে। কমিশনের সদস্যা ডঃ শ্রীমতী রাজুলবেন দেশাই ৭ জেলা পরিদর্শন করে মোট ৪২৫ জন আক্রান্ত মহিলার চরম ভয়াবহ নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন।

    হাইকোর্টের আদেশে তদন্তে সিবিআই ও সিট

    পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন, শিশু সুরক্ষা, নারী সুরক্ষা, তফশিলি জাতি-উপজাতি কমিশন এবং আদালতের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে হাইকোর্ট ১৯ অগাস্ট ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। বলেছিল, এই তদন্ত হবে দ্বিমুখী। ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) মামলার তদন্ত করবে সিবিআই, আর বাকি মামলার তদন্ত করবে সিট। ৩৩৮৮৭টি মামলার মধ্যে ১০০০ মামলায় রাজ্য পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। ধর্ষণ, খুন, লুট মামলার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও খবরই নেই বলে দাবি করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনও রাজ্য সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়ে বিশেষ কোনও সক্রিয়তা দেখায়নি। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মন্তব্য করেছিলেন “অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রশাসনকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা হয়। তার মানে এই নয় যে সাধারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ পুলিশ বন্ধ করে দেবে’’।

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন, “যে সময়কার অত্যাচারের (Post Poll Violence) কথা বলা হচ্ছে, তখনও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছিল প্রশাসন, আমার অধীনে ছিল না। গত তিনমাস ধরে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।” বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, হিংসার দায়ভার সম্পর্কে তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের পাঠানো এক চিঠির মধ্যেও রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, হিংসা ঠেকাতে রাজ্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। রাজ্য থেকে দ্রুত রিপোর্ট না পেলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। উল্লেখ্য, এতে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল, রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা কতটা নিষ্ক্রিয় ছিল। আজ পশ্চিমবঙ্গের ভোট-পরবর্তী হিংসার দু-বছর পার হয়ে গেল। অনেক হিংসার ঘটনাই বিচারাধীন। অনেক বিরোধী রাজনৈতিক সমর্থক ঘরছাড়া। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, হিংসা, হানাহানি, মারামারি, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট কিন্তু এখনও রোজ খবরের শিরোনামে।  (শেষ)

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: এবার মালদহ! অভিষেক চলে যেতেই প্রার্থী বাছাই ঘিরে তুুমুল বিশৃঙ্খলা, প্রকাশ্যে কোন্দল

    Abhishek Banerjee: এবার মালদহ! অভিষেক চলে যেতেই প্রার্থী বাছাই ঘিরে তুুমুল বিশৃঙ্খলা, প্রকাশ্যে কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের পর এবার মালদহের ইংরেজবাজার। এই জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচির শেষ দিনে ইংরেজবাজারের সুস্থানী এলাকায় ব্যালট পেপার দিয়ে প্রার্থী বাছাই-এর প্রক্রিয়া শুরু হতেই তুমুল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পরে, তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চলে যাওয়ার পর পরই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। এই ঘটনার আগেই বৃহস্পতিবার দুপুরে ইংরেজবাজার থানার বিনোদপুর অঞ্চলের সাতটারি এলাকায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় ঘিরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    এদিন অভিষেক (Abhishek Banerjee) সভা করার পর ইংরেজবাজার ব্লকের সব বুথে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। যদিও এই কর্মসূচি শুরু করে দিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) চলে যান। জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে চলছিল ভোটদান পর্ব। অভিযোগ, ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের নওদা বাজার এলাকার ৪৬ নম্বর বুথের সভাপতি তাহির মহালদারের নাম বুথ কমিটির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। জনসংযোগ যাত্রায় ভোট দান করতে গিয়ে অঞ্চল সভাপতি দেখেন লিস্টে বুথ সভাপতির নাম নেই। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা। ভোটদান প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেই দুপক্ষের মধ্যে বচসা চলে। পরে, হাতাহাতি হয়। জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। গণ্ডগোলের জেরে এই বুথের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, নিয়ম মেনে সব কিছু হওয়ার দরকার। এলাকার মানুষ বুথের সভাপতিকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ভোট দেওয়ার সময় দেখা যায় বুথ সভাপতির নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করেছে। এরপরই আমরা ক্ষোভে ফেটে পড়ি।

    কী বললেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ?

    যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ। তিনি বলেন, কারও নাম বাদ দেওয়া হয়নি। আর তালিকায় একাধিক নাম থাকতেই পারে। কোনও গণ্ডগোল হয়নি। আসলে যাদের সঙ্গে কোনও মানুষ নেই, তারা এই ধরনের অভিযোগ করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দেখা করতে বলা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁকে। এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে তিন আদিবাসী মহিলাকে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ দণ্ডি কেটে এসে যেভাবে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিতে হয়, সেই ঘটনায় প্রদীপ্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। দলও যে বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি, তা প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। দণ্ডিকাণ্ডের প্রায় এক মাস পর পুলিশি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে চলেছেন অভিযুক্ত এই নেত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন আদিবাসী মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। এরপর দণ্ডিকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে চলে তদন্ত। এবার আরও কিছুটা বিপাকে পড়লেন তিনি। দলীয় পদ খোয়ানোর পর এবার আইনি নোটিশ পাঠানো হল তাঁকে। ভিডিয়ো ফুটেজের ভিত্তিতে এই আইনি নোটিস পাঠাল পুলিশ। বৃহস্পতিবারই পুলিশের তরফে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এনিয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, বিচারাধীন বিষয় হওয়ায় এনিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরে জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে দণ্ডিকাণ্ডের তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, আগেই তৃণমূলের (TMC) দক্ষিণ দিনাজপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী পদ খোয়ান তিনি। পুলিশি নোটিশ পাঠানো নিয়ে তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, এটাই তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন পুলিশ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। পুলিশ ভাল ভাবে কাজ করছে। দলকে সাধুবাদ জানাবো। আগামী দিনও দলের ঊর্ধ্বে গেলে পরে তাঁর বিরুদ্ধে এমনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব

    এনিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আইনি নোটিশ পাঠানো নয়, অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে এসসি-এসটি আইন লাগু করতে হবে। তৃণমূল (TMC) নেতার নির্দেশ ছাড়া পুলিশ কোন কাজ করে না, সেটা আবারও প্রমাণিত হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cow Smuggling Case: মেয়ে সুকন্যার বয়ানই হাতিয়ার! অনুব্রতের বিরুদ্ধে ২০৩ পাতার চার্জশিট পেশ ইডির

    Cow Smuggling Case: মেয়ে সুকন্যার বয়ানই হাতিয়ার! অনুব্রতের বিরুদ্ধে ২০৩ পাতার চার্জশিট পেশ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের নামে চার্জশিট জমা দিল ইডি। গ্রেফতারির প্রা‍য় সাড়ে আট মাস বাদে অনুব্রতের নামে বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করেছে ইডি। ২০৩ পাতার চার্জশিটের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার পাতার নথিও জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সুকন্যার বয়ানই হাতিয়ার 

    ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রতর বিরুদ্ধে তাঁর মেয়ে সুকন্যার বয়ানকেই হাতিয়ার করেছেন তদন্তকারীরা। চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, বাবার কথা মতোই তিনি চেকে সই করে দিতেন। আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। চার্জশিটে অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল সহ তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের নামে বিপুল সম্পত্তির উল্লেখ করেছে ইডি। 

    প্রভাবশালী তত্ত্ব

    অনুব্রত মণ্ডল কতটা প্রভাবশালী, তা বোঝাতে তাঁর দিল্লি যাত্রা আটকাতে দুবরাজপুরের এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় এক বছর পর অনুব্রতকে পুলিশের গ্রেফতারির ঘটনাও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে৷ আবার দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্য পুলিশের ঘেরাটোপে থাকা সত্ত্বেও যেভাবে শক্তিগড়ের একটি হোটেলে অনুব্রত প্রাতঃরাশের ফাঁকে ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন, সে বিষয়টিও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

    নগদে লেনদেন

    ইডি-র দাবি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদে অর্থ জমার পাশাপাশি গরু পাচারের টাকাতেই অনুব্রত ১.৫১ কোটি টাকা খরচ করে স্ত্রী-কন্যার নামে ভোলে বোম রাইস মিল কিনেছিলেন। সুকন্যা ও বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে ২.৪২ কোটি টাকায় নীড় ডেভেলপার নামের সংস্থা কেনা হয়েছিল। সে টাকাও এসেছিল গরু পাচারের আয় থেকে। সুকন্যা ও বিদ্যুতের নামেই এএনএম অ্যাগ্রোকেম নামের আর একটি সংস্থা মাত্র ১ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল। বাকি টাকা গরু পাচারের আয় থেকে বেনামে লেনদেন হয়েছিল। 

    অনুব্রত-এনামুল যোগসূত্র

    ইডি দাবি করেছে, নিজের ‘রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব’ খাটিয়ে অনুব্রত এনামুল হককে গরু পাচারে (Cow Smuggling Case) সাহায্য করতেন। এনামুল ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতেন। তার বিনিময়েই গরু পাচারের আয়ের টাকা অনুব্রতের কাছে পৌঁছে যেত। তার সুবাদেই ২০১৫-১৬ থেকে মণ্ডল পরিবারের অর্থ-সম্পত্তি ফুলেফেঁপে উঠতে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের ১১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি আটক করা হয়েছে। ইডি জানিয়েছে, অনুব্রত মূলত তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মোবাইলে গরু পাচার কারবারি এনামুলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। সায়গলই অনুব্রত ও এনামুলের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করত।

    বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও অর্থের ব্যাখ্যা 

    ইডি চার্জশিটে জানিয়েছে, অনুব্রত তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও অর্থের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, মূলত জমির দালালি ও চালের ব্যবসা থেকে এই টাকা এসেছে। কিন্তু তার কোনও নথি দেখাতে পারেননি। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ ব্যাঙ্কে নগদ জমা থেকে ব্যবসায়িক লেনদেন, আয়কর রিটার্ন জমার বিষয়ে জানেন বলে অনুব্রত জানিয়েছেন। কিন্তু মণীশ নগদ টাকার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

    আরও পড়ুুন: জ্বলছে মণিপুর, জারি কারফিউ, অশান্তির কারণ কী জানেন?

    গরু পাচারের (Cow Smuggling Case) মূল অভিযুক্ত এনামুল হক, বিএসএফ অফিসার সতীশ কুমার, অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনরা আগে থেকেই তিহাড় জেলে ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ইডি আগেই চার্জশিট পেশ করেছে। অনুব্রত, সুকন্যা, মণীশও এখন তিহাড়ে। সব অভিযুক্তকে আগামী সোমবার, ৮ মে একসঙ্গে আদালতে তোলা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Mocha: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মোকাবিলায় হল বৈঠক, প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বিভিন্ন দফতরকে

    Cyclone Mocha: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মোকাবিলায় হল বৈঠক, প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বিভিন্ন দফতরকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha)। এই ঝড় যদি বাংলায় আঘাত হানে তাহলে কী করণীয়, তা নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে হল বৈঠক। মহকুমা শাসকের দফতরে হয় এই বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ। যদিও বৈঠকের পোশাকি নাম প্রি-মনসুন প্রিপারেশান মিটিং। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা। স্বাস্থ্য, পুলিশ, দমকল এবং সেচ দফতরের আধিকারিকরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।

    ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha)…

    জরুরি ভিত্তিতে দুর্বল নদীবাঁধের সংস্কার সহ প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় (Cyclone Mocha) (যদি হয়) সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টকে সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসক বলেন, যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় মানুষকে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অতি দ্রুত কীভাবে উদ্ধার করা যায়, সেদিকটি দেখা হয়েছে। কিছু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে, যেখানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেখানকার মানুষদের পরিষেবা কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার মালদহের সভায় ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৭ তারিখে মোচা না মোটা কী যেন একটা আসছে। অনেকেই বলছে, পাথরের মতো কিছু একটা আসবে, আর সব নাকি দুমদাম করে ভেঙে দিয়ে চলে যাবে। নানা লোক নানা রকম বলছে। আমাদেরও একটা আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের দল রয়েছে। আমরা যদি আগে থেকে সতর্ক হতে পারি, তবে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

    আরও পড়ুুন: জ্বলছে মণিপুর, জারি কারফিউ, অশান্তির কারণ কী জানেন?

    ২০২০ সালে আছড়ে পড়েছিল আমফান। সেটিই ছিল সব চেয়ে বিধ্বংসী। ২০২১ এবং তার পরের বছরও এই সময়ই আছড়ে পড়েছিল দুটি ঘূর্ণিঝড়। পরপর তিনটি ঘূর্ণিঝড়ের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলা। তার মধ্যেই ধেয়ে আসছে মোচা (Cyclone Mocha)। সেটির অভিমুখও বাংলা হতে পারে বলে অনুমান করছেন আবহাওবিদরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • SSC Scam: প্রায় দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে বিক্রি ২৬টি চাকরি! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিস্ফোরক ইডি

    SSC Scam: প্রায় দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে বিক্রি ২৬টি চাকরি! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিস্ফোরক ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) কাণ্ডেও কালো টাকা সাদা করার জন্য দিন মজুরদের ভুল বুঝিয়ে চেকে সই করানো হতো। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা (এখন বহিষ্কৃত) শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় আদালতে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। আদালতে ইডির আইনজীবীরা বলেছেন, একটি ২৬ জনের তালিকা তাঁদের হাতে এসেছে। এই ২৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। তার বিনিময়ে এক কোটি ৪০ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন শান্তনু। ইডির দাবি, হুগলির আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি গুণধর খাঁড়ার কাছ থেকেই চাকরি বিক্রি করতে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নেন শান্তনু। ২৬ জন প্রার্থীর জন্য গুণধর ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা শান্তনুকে দিয়েছিলেন বলে ইডির তদন্তে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার নথি নিয়ে ইডি দফতরে আবার গুণধরকে তলব করা হয়।

    ইডির দফতরে গুণধর

    ইডি সূত্রে খবর, প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়েও শান্তনু চাকরি করে দেননি বলে গুণধরের অভিযোগ। শান্তনু গ্রেফতার হওয়ার আগে থেকেই নাকি গুণধরের দেওয়া তালিকায় অনেকের চাকরি না হওয়ার বিষয়ে শান্তনুর সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন গুণধর। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ গুণধরের। যদিও শান্তনু টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন এবং তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। ইডির এই দাবি নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ‘এবার ভাবুন, শান্তনু যদি এক কোটি ৪০ লক্ষ টাকা পান তাহলে ওর প্রভুদের কাছে কত টাকা গিয়েছে!’

    আরও পড়ুুন: এবার শুভেন্দুর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা

    গুণধর প্রাইমারিতে চাকরির জন্য ৭ জন এবং আপার প্রাইমারিতে ১৯ জন প্রার্থীর জন্য শান্তনুকে টাকা দিয়েছিলেন বলে ইডি সূত্রে খবর। একটি সূত্রের দাবি, গুণধর তাঁর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের চাকরির জন্য শান্তনুকে টাকা দিয়েছিলেন। পরে কলকাতা হাই কোর্ট ২৬৯ জনের নিয়োগ বাতিলের যে নির্দেশ দেন, তাতে গুণধরের দুই মেয়ের নাম রয়েছে বলেও শোনা যায়। 

    দিনমজুরের অ্যাকাউন্টে টাকা

    ইডির তরফে বলা হয়, “৩০০ জনের থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন শান্তনু। এর বাইরে আরও ২৬ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা হাতে এসেছে গত। এদের প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা আদায় করেছেন। এবং সেই কালো টাকা সাদা করার জন্য একটি নির্মাণ সংস্থার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার পাশাপাশি এলাকার বেশ কিছু দিনমজুরদের অ্যাকাউন্টকেও কাজে লাগিয়েছেন শান্তনু।”এমনকী, প্রয়োজনে যাতে টাকা তুলতে পারেন সেজন্য দিন মজুরদের দিয়ে আগাম চেকবুকে সই করিয়ে নেওয়াও হয়েছিল। এধরনের অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কর্মীদের হাত রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share