Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Primary Recruitment Scam) দুর্নীতির মূল কারিগর মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দাখিল করা রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই (CBI)। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিভিন্ন বৈঠক হত মানিক ভট্টাচার্যের নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশে। বাকি সদস্যদের যান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্মতি জানাতে হত। কী কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদে মানিকের মেয়াদ দুবার বাড়িয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে, পর্ষদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল মানিকের হাতে। তদন্তের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি সবটাই এড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিছু চাকরিপ্রার্থীকে বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তাই তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন।

    মূল কারিগর মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)…

    সিবিআইয়ের দাবি, ওই ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বোর্ডের যে বৈঠকে এই বাড়তি নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেখানে উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনার ১১, মুর্শিদাবাদের ২৬, বীরভূমের ১৩ জনকে দেওয়া নিয়োগপত্রের নম্বর যোগ্যতামানের চেয়ে কম। কলকাতা, কোচবিহার এবং পুরুলিয়ার ৩৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হননি। রিপোর্টে সিবিআইয়ের আরও দাবি, উর্দু মাধ্যমের দুজন প্রার্থী যাঁরা বাংলা ভাষায় টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বাংলা মাধ্যম স্কুলে।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাখিল করা রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, এই দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, তাঁরা সব কাজ করেছেন মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) নির্দেশে। সংসদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি জানিয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পাঠানোর সময় যে ফরওয়ার্ডিং লেটার পাঠাতে হয়, তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশে সই করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, তালিকা না দেখেই সই করেছেন তিনি। সিবিআইয়ের দাবি, অন্য অভিযুক্তরা তদন্তে সহযোগিতা করলেও মানিক করছেন না। তাই বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে স্ত্রী ও পুত্র সহ জেলবন্দি রয়েছেন মানিক। দীর্ঘদিন জেলে থাকলেও মানিককে বিধায়ক পদ ছাড়তে বলেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। কুন্তল, শান্তনুর মতো তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে হাত ধুয়ে ফেলারও চেষ্টা করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মানিক (Manik Bhattacharya) সব ফাঁস করে দিতে পারেন বলেই কি তাঁকে সমঝে চলেছে তৃণমূল? উঠছে প্রশ্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Bandh: বিজেপির বন‍্‍ধকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ময়না, অবস্থান বিক্ষোভ দিলীপ-দিন্দার

    BJP Bandh: বিজেপির বন‍্‍ধকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ ময়না, অবস্থান বিক্ষোভ দিলীপ-দিন্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বন‍্‍ধকে (BJP Bandh) কেন্দ্র করে দিনভর অশান্ত হয়ে রইল ময়না। উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। প্রসঙ্গত, ১ মে রাতে বাড়ি থেকে অপহরণ করে খুন করা হয় বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। তিনি ছিলেন বাকচার বুথ সভাপতি। জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতা ১ মে রাতে যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় তাঁর স্ত্রীর সামনেই তাঁকে জোর করে প্রথমে মোটরবাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কিছুটা দূরে রাতে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। খুনের ঘটনার এখনও অবধি কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ ময়না জুড়ে চলছে বন‍্‍ধ (BJP Bandh)। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ জেলার পরিস্থিতি।

    ময়না বন‍্‍ধ (BJP Bandh)…

    সকাল থেকেই দফায় দফায় বন‍্‍ধ (BJP Bandh) সমর্থনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ময়নার বিভিন্ন এলাকা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পূর্বেই ঘোষণা করেছিলেন, জেলা জুড়ে সকাল ১০টা থেকে ১১টা অবধি চলবে অবরোধ। পুলিশ জোর করে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ তুলতে গেলে বন‍্‍ধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে বেধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, বেঞ্চ পেতে অবরোধ শুরু করে। সরকারি অফিসগুলোতে বাঁধা হয় দলীয় পতাকা। পটাশপুর থেকে ময়নার অন্নপূর্ণ বাজার জায়গায় জায়গায় বন‍্‍ধ (BJP Bandh) তুলতে আসা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের ধস্তাধস্তি বচসা শুরু হয়। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে। লাঠি চার্জের ফলে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ।

    পাঁশকুড়ার অবরোধে সামিল দিলীপ ঘোষ

    পাঁশকুড়ার অবরোধে সামিল হন দিলীপ ঘোষ। বনধ (BJP Bandh) অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসাবে এদিন ২০৫ পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভার রাতুলা বাজারে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ সমেত অসংখ্য বিজেপি কর্মী তৃণমূলের খুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পথ অবরোধে সামিল হন।

    দিনভর দাপালেন অশোক দিন্দা..

    বন‍্ধের সমর্থনে একের পর এক বাজার, পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রাখার আবেদন জানান দিন্দা। তিলখোলা পঞ্চায়েত অফিসে কাজকর্ম স্বাভাবিক চলছে দেখে পঞ্চায়েত কর্মীদের গেট বন্ধ রেখে কাজ করার অনুরোধ করেন তিনি। পাশাপাশি, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়েও তিনি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলেন। পরে রাস্তায় বসে পড়ে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন দিন্দা। অবস্থান বিক্ষোভের পর বাইক ব়্যালি করে ময়নার বিডিও অফিসের উদ্দেশে যেতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দাকে। দলীয় কর্মীর বাইকে চেপেই তিনি বিডিও অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন দেড় দিন পার হয়ে গেলেও বিজেপি কর্মীর খুনিদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে অশোক দিন্দা বলেন, এখানে বিজেপি নেতাকে যে ভাবে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানানো হবে। আমরা বার বার বলেছিলাম অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। সেখানে অখিল গিরি-সহ অন্যরা বলছেন এটা পারিবারিক ঘটনা। এর পেছনে বড় মাথা কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Gangopadhyay: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের প্রাথমিকে (2016 TET Examination) যে হাজার হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল, পর্ষদকে তার মেধাতালিকার বিশদ তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি। পর্ষদকে তাঁর নির্দেশ, আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে রিপোর্ট দিতে হবে। এদিন নিজের এজলাসে বসে পর্ষদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ২০১৬ সালের শেষ প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করতে হবে। আদালতকে সে বিষয়ে জানাতেও হবে। রিপোর্টে উল্লেখ করতে হবে প্রার্থীর জেলা, জাতি, শ্রেণি সহ সমস্ত তথ্য। বোর্ডকে জেলা অনুযায়ী তালিকায় শেষ প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর জানানোর নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ…

    ২০১৪ সালে জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ২০১৬ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ করা হয়েছিল ৪২ হাজার ৫০০ জনকে। অভিযোগ, কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই হয়েছিল নিয়োগ। প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি এই টেস্ট না হয়, সেক্ষেত্রে কীভাবে নিয়োগ করা সম্ভব? তাঁর পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে যে হলফনামা দেওয়া হয়েছে, তা অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় অ্যাপটিটিউড টেস্ট না করে একটি নম্বর গড়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই মামলার প্রেক্ষিতে কোচবিহার, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং হাওড়ার যাঁরা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন, তাঁদেরও আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। যাঁদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের রাহা খরচও দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাস থেকে। তবে এখনও তাঁর হাতে রয়েছে প্রাথমিকের অন্যান্য মামলা। তারই একটিতে এদিন পর্ষদকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলা চলাকালীন একটি বিষয়ের ওপর এক বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার জেরে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে দুটি মামলা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেই মতো মঙ্গলবারই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দুটি মামলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মালদার সাংসদ মৌসম ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আয়কর হানা

    TMC: মালদার সাংসদ মৌসম ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আয়কর হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ির পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতেও এদিন চলল আয়কর দফতরের হানা। বুধবার সকালে মালদার তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মার বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা তল্লাশি চালান। জানা গেছে, প্রথমে তাঁর হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীর বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দপ্তর। পরে তাঁরা পৌঁছে যান তৃণমূল (TMC) নেতার মালদা শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লীর বাড়িতে। তল্লাশির সময় দুটি বাড়িই ঘিরে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও কেন এই হানা, তা এখনও জানা যায়নি, তবে সূত্র মারফত জানা গেছে, গত কয়েক বছরে শাসক দলের বদান্যতায় ফুলে ফেঁপে উঠেছে হেমন্ত শর্মার সম্পত্তি, তাই এদিন তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে অবশ্য এখনও অবধি কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়েও মৌসম নূরের সফর সঙ্গী হতে দেখা যায় হেমন্ত শর্মাকে। শোনা যায়,  জঙ্গল থেকে পাহাড় যখনই ঘুরতে গেছেন মৌসম নূর, তখনই তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছেন এই হেমন্ত শর্মা। এবার মৌসম ঘনিষ্ঠ হেমন্ত শর্মার বাড়িতে আয়কর দফতরের হানার ঘটনায় রীতিমতো সরগরম মালদার রাজনীতি। 

    কী বলছে বিরোধীরা?

    বিরোধীদের অভিযোগ এই হেমন্ত শর্মার অবস্থা সাধারণ আর পাঁচটা লোকের মতোই ছিল! প্রথম থেকেই তিনি তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মৌসম নূরের ঘনিষ্ঠ। কংগ্রেসে থাকাকালীন তিনি দলের হবিবপুর ব্লকের দায়িত্বে ছিলেন। মৌসম তৃণমূলে যোগদান করার পরেই হেমন্ত শর্মাকে দেখা যায় জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদে। আর এরপর থেকেই হেমন্ত শর্মার উত্থান চোখে পড়ার মতো। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, উল্কার গতিতে আর্থিক শ্রী বৃদ্ধি হতে থাকে হেমন্তর। তাঁর এলাকায় কান পাতলে শোনা যায়, হবিবপুর ব্লকের বাড়ি বাদ দিয়েও মালদা শহরে প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে বাড়ি নিয়েছেন তিনি। তবে শুধু মালদা নয়, হেমন্তর সাম্রাজ্য গড়িয়েছে কলকাতা অবধি। শোনা যাচ্ছে, কলকাতাতেও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে এই হেমন্ত শর্মার নামে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আয় বহির্ভূত সম্পত্তির খোঁজেই এদিন হেমন্তর বাড়িতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হানা দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছতে অভিষেকের গণভোট সামলাচ্ছেন কারা? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছতে অভিষেকের গণভোট সামলাচ্ছেন কারা? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মীদের অপব্যবহারের অভিযোগে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রায় সরকারি কর্মীদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু। ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে ট্যুইটারে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে, প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য শুধু পুলিশ নয় সরকারি কর্মীদেরও ব্যবহার করছেন পিসি’।

    শুভেন্দুর প্রশ্ন

    বুধবার একটি তালিকা প্রকাশ করে শুভেন্দু দাবি করেন, ‘পিসি-ভাইপো’র দলের প্রাথমিক প্রার্থী নির্বাচনের জন্য সরকারি কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে। একদিকে ডিএ না পেয়ে সরকারি কর্মীরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের বদলি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, দলের ফান অ্যান্ড গেমের জন্য সরকারি কর্মীদের পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। কী আশ্চর্য সমাপতন। পঞ্চায়েত ভোটে দলের প্রার্থী বাছতে জেলায় জেলায় গণভোট করাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ভোট সামলাচ্ছেন কারা? প্রশ্ন শুভেন্দুর।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় পুলিশি ব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে আগেই সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে এই নিয়ে একটি দুই পাতার চিঠিও লিখেছেন তিনি। চিঠিতে শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূলের এই প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে ‘পাবলিক ইনটারেস্টের’ কোনও যোগ নেই। তাহলে কোন আইনে বা কোন নিয়মে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে? এই পুলিশ বাহিনী যে জনগণের সরকারি টাকায় গঠিত, সেই কথাও চিঠিতে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের গণভোটের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারেরই বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীদের। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক ভোটাভুটির জন্য এখন শুধু পুলিশকেই নয়, সরকারি কর্মচারীদেরও ব্যবহার করছে আঞ্চলিক দল তৃণমূল।’’

    শুভেন্দু তাঁর অভিযোগের প্রমাণ হিসাবে একটি হোয়াট্‌সঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট এবং সেই কথোপকথনে থাকা একটি তালিকা শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জলপাইগুড়ি সংগঠন শীর্ষক ৪৯ জনের একটি তালিকা দিয়ে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কর্মীদের ‘‘মাননীয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে ডিউটি করতে হবে।’’ এর সঙ্গে কোথায় কবে ঠিক ক’টার সময় ওই কর্মচারীদের ‘ডিউটি’ করতে হবে, তার বিশদও জানানো হয়েছে ওই হোয়াট্‌সঅ্যাপ বার্তায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার (Moyna) নিহত বিজেপি (BJP) কর্মীর দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে হবে ময়নাতদন্ত। বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, বিশেষ দল গঠন করে ময়নাতদন্ত করবে কমান্ড হাসপাতাল। ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন রাজ্যের দুই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। পরিবার চাইলেও উপস্থিত থাকতে পারবেন ময়নাতদন্তের সময়। তাঁর নির্দেশ, কমান্ড হাসপাতাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেবে পরিবার ও ময়না থানাকে।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ…

    বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, এখন তমলুক হাসপাতালে পরিবারকে দেহ দেখিয়ে অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় দেহ কলকাতায় নিয়ে আসতে হবে এবং ময়নাতদন্তের পর আবার ফেরত নিয়ে যেতে হবে। চার সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় থাকবে পরিবার। সোমবারের মধ্যে রাজ্যকে এই ঘটনার রিপোর্ট দিতে হবে বলেও নির্দেশ বিচারপতি মান্থার। আদালতের আরও নির্দেশ, তফশিলি জাতি-উপজাতি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ধারা সহ বাকি উপযুক্ত ধারা এফআইআরে যুক্ত করতে হবে। মঙ্গলবার আদালতে (Calcutta High Court) রাজ্য জানায়, মাথায় গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছে বিজয়কৃষ্ণের।

    দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে কোনও আপত্তি নেই রাজ্যের। বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, এই মুহূর্তে আমার কাছে যে জিনিসগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলি হল, কীভাবে ওই বিজেপি কর্মী নিখোঁজ হলেন, আর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল। পুলিশের কাজের পদ্ধতি ও সত্য খোঁজার পদ্ধতি, নিহতের পরিবারের নিরাপত্তা, যাঁদের নামে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই তিনি জানান, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। এই মামলার প্রথম বাহাত্তর ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ প্রসঙ্গে নিহত বিজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বলেন, কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ায় আমি খুশি। রাজ্য পুলিশের কাজে আমি খুশি নই। পুলিশের পায়ে ধরে আমি বলেছি, স্বামীকে বাঁচান। আমার ছেলেও বলেছে বাবাকে বাঁচাতে। কিন্তু পুলিশ কিছু করেনি। কোনও অভিযোগ নেয়নি। প্রসঙ্গত, ময়নার বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করা হয়। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ওই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, মমতার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে না। ময়নাতদন্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP Murder: গত ৭ দিনে খুন ৩ বিজেপি নেতা-কর্মী! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে

    BJP Murder: গত ৭ দিনে খুন ৩ বিজেপি নেতা-কর্মী! রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রশ্নের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ৭ দিনে খুন (BJP Murder) ৩ বিজেপি নেতা। পশ্চিমবঙ্গে যে আইনের শাসন একেবারেই নেই তা নিয়ে বহুবার সরব হয়েছে বিজেপি সমেত বিরোধী দলগুলি। রাজ্যের বর্তমান হিংসার চিত্র প্রমাণ করছে, বিরোধী দলের দাবি মিথ্যা নয়। এমনটাই বলছে কোনও কোনও মহল। একদিকে, রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার ২ বছর পূর্তি পালন করছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২ মে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের উপর নামে লাগামছাড়া সন্ত্রাস। প্রায় ১ লক্ষের ওপর বিজেপি কর্মী ঘর ছাড়া হয়। ২৫ হাজারের বেশি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে। পরিসংখ্যান বলছে ভোট পরবর্তী হিংসায় ৬১ জনের প্রাণহানি ঘটে (BJP Murder)। লুট, সন্ত্রাস, মহিলাদের ওপর নির্যাতন কোনও কিছুই বাদ যায়নি। বিজেপি ইতিমধ্যে তাই ২ মে’ কালা দিবস হিসেবে পালন করেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব শহিদদের উদ্দেশে তর্পণও করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতির বদল হয়নি এতটুকু। ফের একবার শাসক দলের সন্ত্রাসের শিকার হতে হচ্ছে বিজেপিকে। পুলিশ-তৃণমূলের যৌথ সন্ত্রাস।

    ১ মে রাতে ময়নায় খুন (BJP Murder) হন বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া

    বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন (BJP Murder) করা হয় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। তিনি ছিলেন বাকচার বুথ সভাপতি। জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতা ১ মে রাতে যখন বাড়ি ফিরছিলেন সেই সময় তাঁর স্ত্রীর সামনেই তাঁকে জোর করে প্রথমে মোটরবাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কিছুটা দূরে রাতে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আজ ময়না জুড়ে বন‍্‍ধ চলছে ১২ ঘণ্টার । 

    ২৯ এপ্রিল খুন (BJP Murder) হন জামুড়িয়ার বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউ

    গত ২৯ এপ্রিল জামুড়িয়ায় শুটআউটে মৃত্যু হয় বিজেপির কনভেনর রাজেন্দ্র কুমার সাউয়ের। গাড়ির মধ্যে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বলছেন, শনিবার দুপুরে জামুড়িয়ার বোগরা এলাকায়, ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে নির্জন জায়গায় দীর্ঘক্ষণ এই সাদা গাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল। সন্দেহ হওয়ার গাড়ির কাছে যান স্থানীয়রা। তখনই দেখা যায়, গাড়ির ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। 

    ২৭ এপ্রিল খুন (BJP Murder) হন কালিয়াগঞ্জের বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মন

    গত ২৭ এপ্রিল নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেদিন, গভীর রাতে অভিযান চালানোর সময় গুলি চালায় পুলিশ। নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মন, বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের খুড়তুতো ভাই এবং একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে জানা যায়। বারবার পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। এই ঘটনা বিজেপির আনা অভিযোগকেই সত্য প্রমাণ করল বলে মনে করছেন, ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    Tamluk: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতাকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না। এহেন আবহে তমলুক (Tamluk) ও কাঁথির আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) চিঠি লিখলেন তমলুকের সাংসদ তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষিতে এক তৃণমূল সাংসদের এহেন অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে তমলুকের সাংসদ লিখেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তমলুকের নির্বাচিত সাংসদ হিসেবে আমার লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু এলাকায় বিশেষ করে ময়না, নন্দীগ্রাম এবং খেজুরি, হেঁড়িয়া, ভগবানপুর, পটাশপুরের মতো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে দেখছি। আমার পাশের কেন্দ্র কাঁথিতেও একই অবস্থা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে আপনার কাছে আমার আর্জি সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আপনি যথাযথ পদক্ষেপ করুন।

    কেন চিঠি লিখলেন তমলুকের (Tamluk) সাংসদ?

    প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে ময়নার (Tamluk) বাকচা পঞ্চায়েতের গোরামহল এলাকায় বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে সোমবার রাতভর ময়না থানা ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেও রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এদিন মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ১২ ঘণ্টার ময়না বনধের ডাকও দেওয়া হয়।

    দলীয় কর্মীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনার পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, পরিকল্পনা করেছেন ডাকাত এসপি অমরনাথ। আর মমতার থেকে ৬০ থেকে ৭০ জন জেহাদি খুন করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে খুন করিয়েছে। পুলিশ খুনিদের হাত থেকে দেহ নিয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গে এ রকম ঘটনা আগে হয়েছে কি? শুভেন্দু বলেন, এই ঘটনায় আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। আর মমতার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে না। ময়নাতদন্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে (Tamluk) দিব্যেন্দু এও লিখেছেন, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ও লাগোয়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলার এই অবস্থা। তাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনি যেন পদক্ষেপ করেন। প্রসঙ্গত, ময়নার ঘটনা নিয়ে এখনও রাজভবন কোনও বিবৃতি দেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Kalyani: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে ইডি-আয়করের জোড়া হানা!

    Krishna Kalyani: রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে ইডি-আয়করের জোড়া হানা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যেই, এবার রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা পিএসি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়িতে ইডি ও আয়কর দফতরের জোড়া হানা। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলে বিধায়কের বাড়ি ও অফিস। প্রায় তিরিশ থেকে চল্লিশ জনের আয়কর আধিকারিকদের একটি দল এই তল্লাশিতে রয়েছেন বলে খবর। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আর্থিক বেনিয়ম ও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিধায়কের বিরুদ্ধে। কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) পরিবার সূত্রে খবর, আজ খুব ভোরেই বিধায়কের বাড়ি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যায় ইডি। জানা গেছে, কৃষ্ণ কল্যাণীর (Krishna Kalyani) বাড়ি, রয়্যাল এনফিল্ড শো রুম, বিধায়কের কার্যালয়, কল্যাণী সলভেন্ট, ওয়া-বাজার সহ সমস্ত প্রতিষ্ঠানে হানা দিয়েছে ইডি এবং আয়কর দফতর। সূত্রের খবর, বিধায়ককে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছেনা। তৃণমূল কংগ্রেসের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর প্রদীপ কল্যাণী, যিনি সম্পর্কে বিধায়কের ভাই, তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আচমকাই বিধায়কের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ঢুকে পড়ে। বাড়ি থেকে কাউকেই বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।

    ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে?

    সূত্রের খবর, রায়গঞ্জের বিধায়কের একাধিক সংস্থা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কল্যাণী সলভেক্স নামে কোম্পানি। সেই সংস্থার আর্থিক লেনদেন নিয়ে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, ওই কোম্পানির মাধ্যমে বেশ কয়েক কোটি টাকা পাচার হয়েছে। সেই সূ্ত্র ধরে এর আগে ২০১৮ সালে ২৫ জুলাই কলকাতা জোন ওয়ান ইডি মামলা দায়ের করেছিল। সেই মোতাবেক গত বছর জুলাই মাসে কল্যাণী সলভেক্সকে নোটিশ পাঠায় ইডি। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই কোম্পানি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য কত টাকা ব্যয় করেছে। কিন্তু সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় এরপর আরও দু’দফা নথি চাওয়া হয়। কিন্তু তাতেও সন্দেহ দূর হয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তাই আজকের এই তল্লাশি বলেই জানা যাচ্ছে।

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Haridevpur: হরিদেবপুর-কাণ্ডে নয়া মোড়! মা ও তাঁর প্রেমিককে ফাঁসাতে গল্প ফেঁদেছিল মেয়েই

    Haridevpur: হরিদেবপুর-কাণ্ডে নয়া মোড়! মা ও তাঁর প্রেমিককে ফাঁসাতে গল্প ফেঁদেছিল মেয়েই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে মা ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। একদিন পরেই জানা গেল, মা ও তাঁর প্রেমিককে ফাঁসাতে গল্প ফেঁদেছিল মেয়েই। হরিদেবপুর-কাণ্ডে নয়া চমক। নাবালিকার বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে তাকে হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ (Police)।

    মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, মায়ের ফোন ক্লোন করে ভুয়ো স্ক্রিনশট বানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিল মেয়ে। এর পর ১৬ বছরের ওই নাবালিকাকে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, অসুস্থ পারিবারিক পরিবেশই কিশোরীকে এই ধরনের কাজ করার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

    হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত মতিলাল গুপ্ত রোডের বাড়িতে সোমবার ভোরে আগুন লেগেছিল। অভিযোগ ওঠে, মেয়েকে বদ্ধ ঘরে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন সোনালি চন্দ। হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মেয়ে। প্রথম অবস্থায় পুলিশ নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকার মা সোনালি চন্দ এবং তাঁর সঙ্গী প্রসূন মান্নাকে গ্রেফতার করে।

    মায়ের সিম ক্লোন করে মেয়ে

    পুলিশ জানতে পেরেছে সোনালি দেবীর ফোনের কন্ট্রোল তাঁর মেয়ে নিজের ফোনে নিয়েছিল। মায়ের সিম ক্লোন করে নিয়েছিল। বেশ কিছু এসএমএস নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। যেখান থেকে খুনের পরিকল্পনার কথা উঠে আসে। তা দেখেই পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে সেই এসএমএস গুলোর প্রত্যেকটাই ফেক। ওই নাবালিকা নিজেই খুনের পরিকল্পনার গল্প বানাতে এসএমএস গুলো বানিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের।

    আরও পড়ুন: অভিষেক যেতেই প্রশাসনিক পদ থেকে অপসৃত তৃণমূল নেত্রী, এত সময় লাগল?

    পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করা, বিভ্রান্ত করার অভিযোগে কিশোরীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাকে পাঠানো হয় হোমে। আজ, বুধবার জুভেনাইল জাস্টিট বোর্ডের সামনে কিশোরীকে হাজির করবে পুলিশ। 

    অন্যদিকে রহস্য উন্মোচনের আগেই আদালতে পেশ করা হয় সোনালি ও তার বন্ধুকে। এরমধ্যে সমস্ত বিষয় স্পষ্ট হতেই আদালতে পুরো বিষয় জানায় হরিদেবপুর থানার পুলিশ। দুজনের একদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে পুলিশের অনুমান বাবা মায়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন, আলাদা থাকা সমস্ত কিছুর প্রভাব পড়ে থাকতে পারে কিশোরীর মনে। কিশোরীর বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পুলিশের তরফে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share