Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Fake Candidate: ইন্টারভিউ দিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ!

    Fake Candidate: ইন্টারভিউ দিতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সেই আবহেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হল এক ভুয়ো টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থী (Fake Candidate)। জানা গিয়েছে ওই চাকরি প্রার্থীর নাম বাপ্পা দেবনাথ। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরালডাঙায়। সূত্রের খবর, জাল নথি নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলেন এদিন তিনি (Fake Candidate)। তখনই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন পর্ষদ কর্তারা। ধৃতকে (Fake Candidate) বিধাননগর পূর্ব থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে ধরা পড়ল এই ভুয়ো (Fake Candidate) টেট উত্তীর্ণ?

    জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণ একাংশের ইন্টারভিউ চলছে এখন। মঙ্গলবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য ইন্টারভিউ চলছিল। তার জন্য ইন্টারভিউ দিতে দুপুরের পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে এসেছিলেন ওই প্রার্থী (Fake Candidate)। ইন্টারভিউয়ে তাঁর যাবতীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আধিকারিকরা জানতে পারেন ওই প্রার্থীর ডিএলএড সার্টিফিকেট জাল করা। ওই সার্টিফিকেটটি ২০১৬ সালে রেজিস্ট্রেশন করা। তাঁর ডিএলএডের অ্যাডমিট, সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সব জাল ছিল বলে খবর পর্ষদ সূত্রে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিকের জানান, নথি যাচাইয়ের সময়ই ওই ভুয়ো টেট উত্তীর্ণকে ধরে ফেলা হয়। তাঁকে ইন্টারভিউ অবধি পৌঁছতে দেওয়া হয়নি, যাঁরা নথি যাচাইয়ের দায়িত্বে ছিলেন, বাপ্পা দেবনাথের সার্টিফিকেট দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়, সঙ্গে সঙ্গে পিটিটিআই সেল ইনচার্জকে পুরো বিষয়টি বলা হয়। এরপর নথির রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়, সেখানেই ধরা পরে যায় আসল সত্য। জানা গেছে, ওই প্রার্থীর (Fake Candidate) রেজিস্ট্রেশনে যে নম্বর রয়েছে আসলে ২০১৬ সালে ওই নম্বরের কোনও রেজিস্ট্রেশনের অস্তিত্ব নেই।’ আপাতত পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে, এর পিছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে কিনা সে বিষয়ে।

    ভুয়ো (Fake Candidate) টেট উত্তীর্ণ কী বলছে?

    ভুয়ো প্রার্থীর (Fake Candidate) অবশ্য দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেনুকা প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে একটি ডিএলএড কলেজ থেকে তিনি ডিএলএড করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর আরও দাবি, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তবে ডিএলএড সার্টিফিকেটটি ল্যামিনেশন করা থাকায় এবং তার রং আলাদা থাকায় আধিকারিকদের সন্দেহ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মানুষ মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ দেখে নিয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের চাপরাশিও হতে পারবেন না, ভোট পরবর্তী হিংসার দু বছর পূর্তিতে এমনই মন্তব্য করলেন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ পুলিশ-তৃণমূল যৌথ সন্ত্রাসের তত্ত্বকে সামনে আনেন এদিন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরেই তিনি বলেন, ময়নায় খুন হওয়া বিজেপি কর্মীর দেহ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে আততায়ীরাই।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল নেতার টাকা নেওয়ার ভিডিও

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির দিনই দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের ব্লক নেতার টাকার বদলে চাকরি দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় (মাধ্যম এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি), যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্যনীতি। প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই জেলা থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এনিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তোলাবাজিকে উৎসাহিত করার জন্যই চলছে নবজোয়ার কর্মসূচি, এমনই মন্তব্য করেন বালুরঘাটের সাংসদ। ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক দু-হাতে টাকার ব্যাগ তুলে দিচ্ছে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অনাদি লাহিড়ীকে। সিভিক থেকে কনস্টেবল পদে উন্নীত হওয়ার জন্যই নাকি এই ঘুষ নেওয়া হচ্ছিল, এমনটাই দাবি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির। এই ভাইরাল ভিডিওটি ট্যুইটও করেন সুকান্ত মজুমদার, তাতে তিনি লেখেন, নবজোয়ারের নামে বস্তা বস্তা টাকা তুলতেই জেলায় জেলায় ঘুরছেন যুবরাজ। তাঁর আরও সংযোজন, খোদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই টাকা তোলা হচ্ছিল কিনা তা একবার খোঁজ নেওয়া দরকার।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moyna BJP Bandh: বিজেপি নেতা খুনের প্রতিবাদে ময়নায় ১২ ঘণ্টা বন‍্‍ধ! সকাল থেকে থমথমে পরিবেশ

    Moyna BJP Bandh: বিজেপি নেতা খুনের প্রতিবাদে ময়নায় ১২ ঘণ্টা বন‍্‍ধ! সকাল থেকে থমথমে পরিবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে আজ, বুধবার বিজেপির ডাকে ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) ময়নায় (Moyna BJP Bandh)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবারই এই বন‍্‍ধ-এর কথা ঘোষণা করেন।

    থমথমে পরিবেশ

    বুধবার সকাল থেকেই ময়নায় বন্ধ দোকানপাট (Moyna BJP Bandh)।বন‍্‍ধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। ময়নার অন্নপূর্ণা বাজারে বন‍্‍ধ ঘিরে বিজেপির পিকেটিং চলছে। বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে ফেলা হয়েছে। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশও। রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। মজুত রয়েছে জলকামানও। বলাইপণ্ডা বাজারে রাস্তায় মিছিল করে বিজেপি। রাজনৈতিক হিংসা ও সন্ত্রাস বন্ধের জন্য মানবিকতার খাতিরে সকলকে দোকান বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: অভিষেক যেতেই প্রশাসনিক পদ থেকে অপসৃত তৃণমূল নেত্রী, এত সময় লাগল?

    পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাগচায় বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয় পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সারাদিন উত্তপ্ত ছিল ময়না। সেই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছে মৃতের পরিবার। ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। গতকাল ময়নায় উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারীও। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে বনধ (Moyna BJP Bandh) ও পথ অবরোধের ডাক দেন তিনি। 

    নিষ্ক্রিয় পুলিশ

    এদিকে, নিহত বিজেপি নেতার স্ত্রী লক্ষ্মী ভূঁইয়া জানান, ‘আমাদের নদীর পাড়ে একটা বাড়ি আছে, সেখানে আমি আর আমার স্বামী গিয়েছিলাম। তারপর ঘরে আসার জন্য বাঁধে উঠছিলাম। সেইখানেই ধরে নিয়েছিল। কাঠ দিয়ে, রড দিয়ে কী মার মেরেছিল। বন্দুক নিয়ে, ছুরি নিয়ে খুব মার মেরেছিল। আমি পায়ে ধরে কেঁদেছি তাও ছাড়েনি। তৃণমূলের লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পে পুলিশের পায়ে ধরে কেঁদেছি। পুলিশ বলে আমাদের থানা থেকে কোনও অর্ডার নেই। এখন যেতে পারব না।’ সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ময়নায় নিহত বিজেপি নেতার ছেলে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবিও জানিয়েছে পরিবার (Moyna BJP Bandh)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat TMC: অভিষেক যেতেই প্রশাসনিক পদ থেকে অপসৃত তৃণমূল নেত্রী, এত সময় লাগল?

    Balurghat TMC: অভিষেক যেতেই প্রশাসনিক পদ থেকে অপসৃত তৃণমূল নেত্রী, এত সময় লাগল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডি-কাণ্ডের জেরে আগেই দলীয় পদ থেকে সরানো হয়েছিল প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে (Balurghat TMC)। এবার প্রশাসনিক পদ থেকেও সরানো হল তৃণমূল নেত্রীকে। দণ্ডি-কাণ্ডে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নোটিস দেওয়া হল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে অভিযোগকারী তিন মহিলার সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। কড়া পদক্ষেপ করার কথাও বলেছিলেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই নোটিস দেওয়া হল। পুরসভার আইন মেনে এই পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। ২ মে অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই এই নোটিস কার্যকর হচ্ছে।

    ঘটনাস্থলে অভিষেক

    মঙ্গলবার নিজে বালুরঘাটে গিয়ে সেই মহিলাদের সঙ্গে বসে চা খান অভিষেক। পরে তাঁদের সঙ্গে একান্তে কথাও বলেন। তাঁদের কথা শোনেন। পরে বেরিয়ে অভিষেক ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, দলগতভাবে ও প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন বিপ্লব মিত্র, অর্পিতা ঘোষ প্রমুখ। এই সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই নোটিস নেত্রীকে (Balurghat TMC)।

    অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া গেল না

    প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বালুরঘাট পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ভাইস চেয়ারপার্সন (Balurghat TMC) ছিলেন। তাঁকে সরানোর কথা জেলাশাসক থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এদিনই। এই বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর।

    পদক্ষেপ নাকি সস্তা জনপ্রিয়তা?

    প্রশ্ন উঠেছে, এতবড় একটা কাণ্ডে অভিযুক্তর (Balurghat TMC) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এতখানি সময় লাগলো কেন? বিরোধীরা বিষয়টিকে আদৌ ভালো চোখে দেখছে না। তাদের বক্তব্য, মূল অভিযুক্তকে প্রশাসনিক পদ থেকে সরানোর জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল? এই ঘটনাই প্রমাণ করে, এ ধরনের কত অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়া অবস্থায় পড়ে থাকে। অনেকে আবার এই ঘটনাকে সস্তায় জনপ্রিয়তা কুড়নো বলেও মনে করছেন। তাদের বক্তব্য, ‘যুবরাজ’ যখন ছুটে এসেছেন, তখন কিছু তো একটা করতেই হয়। তাই ওই পদক্ষেপ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone: ধেয়ে আসছে ‘মোখা’ !  মে মাসেই কি ফের ঘূর্ণিঝড়,  কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Cyclone: ধেয়ে আসছে ‘মোখা’ ! মে মাসেই কি ফের ঘূর্ণিঝড়, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বাংলাদেশ সীমান্তে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক এবং আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোখা’। ইয়েমেনের দেওয়া এই নাম।

    আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্টের তথ্য অনুসারে, আগামী ১০ মে’র আশপাশে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোখা (Cyclone Mocha) তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এবার মে মাসেই খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। মঙ্গলবার নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (Disaster Management Department) সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। 

    বাংলায় ঘূর্ণিঝড়

    গত কয়েক বছরে মে মাসে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ২০২০ সালে ধেয়ে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। যার তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। লন্ডভন্ড হয়েছিল কলকাতাও। পরের বছর, ২০২১ সালে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ২০২২ সালের মে মাসে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। ওই বছরের অক্টোবর মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। আশঙ্কা সত্যি বলে, আবার মে মাসে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে।

    বাংলার উপর প্রভাব

    এই ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলার উপকূলের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে, সেই বিষয়টি অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। ওই ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ মে মধ্যরাত থেকে বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সরাসরি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ১৪০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল হার্মাদরা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়’! বিস্ফোরক সুকান্ত

    আগামী ৬ মে, অর্থাৎ, শনিবার দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। তার প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ওই অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত ৮ থেকে ৯ মে-এর মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ১০ থেকে ১২ মে-এর মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড় ১৪ মে থেকে ১৭ মে-এর মধ্যে বাংলাদেশ-এর চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন কুলের মাঝামাঝি কোথাও স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘ভোট-রঙ্গে’ বিশৃঙ্খলা, ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা সুকান্ত  

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘ভোট-রঙ্গে’ বিশৃঙ্খলা, ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা সুকান্ত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের গা থেকে কেলেঙ্কারির ময়লা ঝেড়ে ফেলতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নবজোয়ার যাত্রা করছেন তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর এই রাজ্য সফরে জনতার নাড়িও বুঝতে চান তৃণমূলের দু নম্বর ব্যক্তিত্ব। কর্মসূচি শুরু হয় কোচবিহার থেকে। পঞ্চায়েতে দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে পুরোদস্তুর ভোটের ব্যবস্থা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। তবে কোচবিহার থেকে এখনও পর্যন্ত যেসব জায়গায় ‘ভোট-রঙ্গ’ হয়েছে, সেখানেই দেখা গিয়েছে বিশৃঙ্খলা। লুঠ হচ্ছে ব্যালট পেপার, ছিনতাই হচ্ছে ব্যালট বাক্স। যার জেরে বারংবার অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। কী কারণে এমনটা হচ্ছে? এ প্রশ্নের জব্বর ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, জীবন বিজ্ঞানের প্রতিবর্ত তত্ত্বের কারণেই এই গোলমাল। 

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় অশান্তি…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল ২ মে। তখন থেকে রাজ্যে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার (Abhishek Banerjee) ধর্মতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিজেপি। এই সমাবেশেই ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপির অধ্যাপক নেতা বলেন, জীবন বিজ্ঞানে প্রতিবর্ত ক্রিয়া পড়ানো হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘণ্টা বাজিয়ে কোনও কুকুরকে দিনের পর দিন খেতে দেওয়ার পর ঘণ্টা না বাজালেও ওই সময় কুকুরের মুখ থেকে লালা পড়তে থাকে। তৃণমূল কর্মীদেরও একই অবস্থা। ব্যালট বাক্স দেখলেই লুঠ করতে ইচ্ছা করে। সত্যি ভোট না কি দলীয় ভোট সেই হুঁশ থাকে না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘শাসকদলের মিছিলে অসুবিধা হয় না?’’ ডিএ আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানে অনুমতি হাইকোর্টের

    রাজ্যের শাসক (Abhishek Banerjee) দলকে এই পরিস্থিতি থেকে বেরনোর পথও বাতলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, অভিষেকবাবুকে বলব, দুজন কর্মীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মতো পোশাক পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখুন। তবে আর ব্যালট বা ব্যালট বাক্স লুঠ হবে না। তৃণমূলের কর্মীরা কেবল কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই ভয় পায়। প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচি পালনের সূচনার দিনই ব্যালট নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ধুন্ধুমার লড়াই হয়েছিল কোচবিহারের গোঁসানিমারি ও সাহেবগঞ্জে। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি হয়। নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। হাপ্তিয়াগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে তো আবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে নামানো হয় র‌্যাফ। একই ঘটনা ঘটে হরিরামপুরেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • DL Ed: হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে ডিএলএড পড়ুয়ারা, থমকে থাকা রেজিস্ট্রেশন শুরু

    DL Ed: হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে ডিএলএড পড়ুয়ারা, থমকে থাকা রেজিস্ট্রেশন শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে স্বস্তিতে রাজ্যের কয়েক হাজার ডিএলএড (DL Ed) পড়ুয়া। টেটে বসার জন্য আবশ্যিক হয়েছে দু বছরের ডিএলএড কোর্স। আদালতের নির্দেশে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিতে পারবেন তাঁরা। ওই পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অনিশ্চয়তা। মঙ্গলবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদকে শর্তসাপেক্ষে রেজিস্ট্রেশন শুরু করার অনুমতি দিয়েছে। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ডিএলএডের প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় বসার জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে পরীক্ষায় বসার জন্য কিছু শর্ত মানতে হবে ডিএলএড পড়ুয়াদের।

    ডিএলএড (DL Ed) পড়ুয়ারা…

    এদিন হাইকোর্ট জানায়, রেজিস্ট্রেশনের সময় সব পড়ুয়ার তথ্য যাচাই করতে হবে পর্ষদকে। যাঁরা ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের নির্দিষ্ট করে দেওয়া নিয়ম মেনে ক্লাস করেছেন তাঁরাই একমাত্র পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। এই তথ্য যাচাইয়ের জন্য পর্ষদকে এক মাস সময়ও দিয়েছে হাইকোর্ট। এসব হওয়ার পরেই পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারবে পর্ষদ। পড়ুয়াদের জন্যও কিছু নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল হার্মাদরা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়’! বিস্ফোরক সুকান্ত

    প্রসঙ্গত, ডিএলএড (DL Ed) ভর্তিতে নিয়ম মানা হয়নি এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন সুকান্ত গুড়িয়া নামে এক চাকরিপ্রার্থী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০২১-২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড কোর্সে ভর্তির শেষ দিন ছিল ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। ভর্তি নেওয়া হয়েছিল অনলাইনে। পরে ক্লাস শুরুর চার-পাঁচ মাস পরে অফলাইনে অনেককে ভর্তি নেয় বেসরকারি কলেজ। গত বছর ২২ ডিসেম্বর পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, অফলাইনে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের নাম নথিভুক্ত হয়নি। পড়ুয়া পিছু তিন হাজার টাকা করে দিয়ে নাম নথিভুক্ত করা যাবে। মামলাকারীর অভিযোগ, পরে এসেও ওই পড়ুয়ারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাচ্ছেন কী করে।

    আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে বলেন, একটি শিক্ষাবর্ষের মাঝ পথে পিছনের দরজা দিয়ে পড়ুয়া (DL Ed) ভর্তির পিছনে আর্থিক বিষয় কাজ করে থাকতে পারে। তাছাড়া মাঝ পথে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁরা ক্লাস সম্পূর্ণ করেননি। এতে অর্ধ প্রশিক্ষিতরা শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন। এদিন সেই মামলারই রায় দিল আদালত। যার জেরে স্বস্তি পেলেন ডিএলএড পড়ুয়ারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানো হল প্রাথমিকের দুই মামলা

    Abhijit Gangopadhyay: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানো হল প্রাথমিকের দুই মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাস থেকে সরানো হল প্রাথমিকের দুটি মামলা। ওই মামলা দুটি দেওয়া হয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে। এবার থেকে এই দুই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি সিনহার এজলাসে। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ মতো সরানো হয়েছে এই মামলা দুটি। এদিন যে দুটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরানো হল, সেই দুটিই ছিল প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারির মূল মামলা। মামলাকারী সৌমেন নন্দী ও রমেশ মালিক। প্রাথমিকের এই মামলাতেই প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তার আগে অবশ্য প্রাথমিকের মামলার বিচার করতেন বিচারপতি সিনহা।

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) এজলাস থেকে সরানো হল…

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সোমবার সকালে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে মামলার ফাইল ফেরত চায় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই নির্দেশ দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কার্যালয়। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এদিন সেই নিয়োগ মামলার দুই ফাইলই চেয়ে পাঠানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘শাসকদলের মিছিলে অসুবিধা হয় না?’’ ডিএ আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানে অনুমতি হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার শুনানি চলাকালীনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ওই মামলা নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন বলে অভিযোগ। যা শুনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপতিরা কোনওভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। উনি যদি সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। তার পরেই সেই সাক্ষাৎকারের অনুবাদ কপি হাইকোর্টের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় দেশের শীর্ষ আদালত। সেই মতো অনুবাদের প্রতিলিপি দেওয়া হয় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টকে। তারপরই মামলা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ জানার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বলেছিলেন, আমার ধারণা ধীরে ধীরে সব মামলাই সরিয়ে নেওয়া হবে আমার এজলাস থেকে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তিনি পালন করবেন যথাযথভাবে। পরে আজ আমার মৃত্যুদিন বলেও আক্ষেপ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এও বলেছিলেন, আমি কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে এই মামলার বিচারের দায়িত্ব নিইনি। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি বরাবর সরব হয়েছি। বিচারক হিসেবে যতদিন আছি, ততদিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলব। যখন থাকব না, অন্য কাজ করব, তখনও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হব। প্রসঙ্গত, এদিন ১১ বান্ডিল ফাইল ফেরতের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই নতুন বেঞ্চ গঠন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিচ্ছেন তৃণমূল নেতা! ভাইরাল ভিডিও, জেলা জুড়ে শোরগোল

    TMC: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিচ্ছেন তৃণমূল নেতা! ভাইরাল ভিডিও, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার কর্মসূচিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেন। তার ঠিক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক তৃণমূল নেতার টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতার নাম অনাদি লাহিড়ী। তিনি তপন বিধানসভার গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি। যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?

    একটি ঘরের মধ্যেই ওই তৃণমূল (TMC) নেতাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল (TMC) নেতা দাঁড়িয়ে ফোনে একজনের সঙ্গে কথা বলছেন। আর যে ব্যক্তি ওই তৃণমূল নেতাকে টাকা দিতে এসেছেন, তিনি খাটে বসে রয়েছেন। আর তিনিই সমস্ত ভিডিওটি তুলছেন। তৃণমূল নেতা ফোন রাখার পর একজন ব্যাগ থেকে ৫০০ টাকার কয়েকটি বাণ্ডিল বের করে তৃণমূল (TMC) নেতার হাতে তুলে দেন। এরপর ওই ব্যক্তি তৃণমূল নেতার কাছে জানতে চান, পঞ্চায়েত ভোটের পর ছাড়া হবে। তৃণমূল নেতা বলেন, পঞ্চায়েতের আগেও হয়ে যেতে পারে। কত টাকা আর পাবেন ওই তৃণমূল নেতা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সাড়ে চার পেয়েছি। এখনও আরও দুই পাব। তবে, পরিমাণ কত সেটা তিনি বলেননি। পাশ থেকে একজন বলেন, এখন চাকরি নিয়ে যা হচ্ছে ভয়ে কেউ টাকা দিচ্ছে না। কনস্টেবলের চাকরি কেউ টাকা দিয়ে ভয়ে নিতে চাইছে না। তৃণমূল নেতা তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, কিছু সমস্যা হলেও অরিজিনাল চাকরিও হচ্ছে। এদিকে ভাইরাল ওই ভিডিও নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আজ জেলায় অভিষেক এসেছে। আর তার আগেই দলের নেতার তোলাবাজি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, অভিষেক তাঁর দলের লোকেদের বলে রেখেছেন, চাকরির নাম করে টাকা তোলার জন্য। দলীয় নেতারা সেই কাজই করছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এ ধরনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, একটি ভিডিও দেখেছি তবে তার সত্যতা যাচাই করে দেখতে হবে। যদি সত্যতা থাকে তবে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। সংবাদমাধ্যম ওই তৃণমূল নেতা অনাদি লাহিড়ীকে ফোন করা হলে তিনি ফোন না ধরায় এই বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ‘‘শাসকদলের মিছিলে অসুবিধা হয় না?’’ ডিএ আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানে অনুমতি হাইকোর্টের

    DA: ‘‘শাসকদলের মিছিলে অসুবিধা হয় না?’’ ডিএ আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানে অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভ-প্রতিবাদ সবার মৌলিক অধিকার। এই আবহে রাজ্য সরকারি কর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করতে চাইলে তাতে বাধা দিতে পারে না সরকার। রাজ্য প্রয়োজনে মিছিল নিয়ে বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে। তবে কর্মসূচি বন্ধ করা যায় না। মঙ্গলবার ডিএ (DA) আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযান নিয়ে মামলার শুনানিতে এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha)। ডিএর দাবিতে আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানে সায় দিলেও, যে পথে তাঁরা অভিযান করবেন বলে ভেবেছিলেন, সেই পথে আন্দোলনকারীরা নবান্নে যেতে পারবেন না। বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, মিছিলের যাত্রাপথ বদল করতে হবে।

    ডিএর (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    ৬ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডিএর (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীরা। বিচারপতি মান্থার এজলাসে চলছে ওই মামলা। বিচারপতি জানান, নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে প্রায় ৪০টি মামলা তাঁর এজলাসে জমা পড়েছে। রাজ্যকে তাঁর প্রশ্ন, মিছিল করার জন্য কেন আদালতকে বারবার হস্তক্ষেপ করতে হবে? রাজ্যের কাছে তিনি জানতে চান, আন্দোলনকারীরা নিজেদের অসুবিধার কথা জানাতে চাইছে। তা যদি শান্তিপূর্ণভাবে হয়, তবে বাধা দেব কেন? রাজ্য এই ধরনের কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, কিন্তু বাধা দিতে পারে না। প্রতিবাদ করা মানুষের মৌলিক অধিকার বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি মান্থা। তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে থেকে সাড়ে চারটে পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করা যাবে। হাওড়ার ফেরিঘাট, বঙ্কিম সেতু, মহাত্মা গান্ধী রোড হয়ে হাওড়া ময়দানে গিয়ে শেষ হবে মিছিল।

    আরও পড়ুুন: এনসিপি-র সভাপতি পদে ইস্তফা পাওয়ারের, উত্তরসূরি কে?

    প্রসঙ্গত, পুলিশ এই মিছিলের (DA) অনুমতি দেয়নি। হাইকোর্টে রাজ্য জানিয়েছিল, যে পথে মিছিল করার কথা বলা হচ্ছে, সেটা মিছিলের জন্য নির্দিষ্ট করা কোনও পথ নয়। এটা জনবহুল এলাকা। সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। স্কুল ও অফিস যাত্রীদের অসুবিধা হবে। ট্রাফিকের অসুবিধা হবে। অন্য পথে অন্য কোনও জায়গায় করলে কোনও অসুবিধা নেই। এর পরেই বিচারপতি মান্থা বলেন, যে বিধি নিষেধের কথা আপনারা এখানে বলছেন, সেটা রাজ্যের শাসক দলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য তো? তিনি বলেন, রেড রোড বন্ধ করে যখন কর্মসূচি হয়, মিছিল হয়, তখন পুলিশের অসুবিধা হয় না? কিছু দল যখন মিছিল করে তখন গোটা কলকাতা স্তব্ধ হয়ে যায়। আমি শুধু শাসক দলের কথা বলছি না। মানুষ পরিবার নিয়ে রাস্তায় বেরোতে চান, কিন্তু বেরোতে পারেন না। তাঁর প্রশ্ন, তখন পুলিশের অসুবিধা হয় না?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
LinkedIn
Share