Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mamata Banerjee: মমতার ঘাড়ে দিল্লির ‘ভূত’! মালদহকাণ্ডে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: মমতার ঘাড়ে দিল্লির ‘ভূত’! মালদহকাণ্ডে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) এখনও তাড়া করে চলেছে দিল্লির ভূত! রাজ্যে যে কোনও ঘটনা ঘটলেই বিরোধীদের চক্রান্ত, দিল্লির চক্রান্ত খুঁজে পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার দায়ভার অন্যের ঘাড়ে তুলে দিয়েই হাত ধুয়ে ফেলায় সিদ্ধহস্ত তিনি! এবারও অন্যথা হল তার। মালদহের (Malda) স্কুলে ঢুকে বন্দুকবাজের তাণ্ডবের ঘটনায়ও দিল্লির হাত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, এর পিছনে দিল্লির চক্রান্ত রয়েছে। এদিন স্কুলগুলিকে দারোয়ান নিয়োগের পরামর্শও দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাজুড়ে যে চক্রান্ত করছে তার মধ্যে দিল্লি আছে আমি এখনও বিশ্বাস করি। কে বা কারা আছে, আমি জানি না। কিন্তু দিল্লির (Delhi) চক্রান্ত এ টু জেড আছে। যেখানেই বিরোধী দল ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানেই ডিস্টার্ব করে। আমাকে তো প্রথম থেকেই করে। প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে পুরাতন মালদার একটি স্কুলে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ে এক ব্যক্তি। ক্লাসে ঢুকে ছাত্রছাত্রীদের পণবন্দি করে সে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে ওই বন্দুকবাজকে।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) দাবি…

    এদিন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ওদের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন দেখেছি। হয়তো প্রণয়ঘটিত কোনও ব্যাপার। কিন্তু আমার এসব বলা উচিত নয়। কারণ পুলিশ তদন্ত করছে। আমি পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেছি। আমরা অনেক তথ্য পাচ্ছি। তিনি বলেন, কিন্তু এটা আত্মহত্যার ঘটনা। চিকিৎসক জানিয়েছেন সে বিষপান করেছিল। ভিডিও, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট সব রয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

    আরও পড়ুুন: হাতে অ্যাসিড বোমা নিয়ে ক্লাসের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল বন্দুকবাজ, আতঙ্কিত পড়ুয়ারা

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বেফাঁস মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একথা বলার পর কোন পুলিশ আধিকারিকের ঘাড়ে কটা মাথা আছে যে তিনি এর বাইরে অন্য কিছু প্রমাণ করবেন? বিরোধীদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই পুলিশি তদন্তকে প্রভাবিত করা শুরু করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভবানীপুর থানায় গিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিলেন দুষ্কৃতীদের। পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে তাঁর মন্তব্যেও সৃষ্টি হয়েছিল বিতর্কের। এর আগে হাঁসখালির ঘটনার সময়ও একই রকম মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের প্রশ্ন, এর পরেও কি নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায়?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Primary TET: ২০১৪ সালে চাকরি পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের নথি তলব সিবিআইয়ের

    Primary TET: ২০১৪ সালে চাকরি পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের নথি তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে টেট (Primary TET) পাশ করে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে মঙ্গলবার এই মর্মে নোটিশ পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। নোটিশ পাঠিয়েছেন দুর্নীতি দমন শাখার ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ সঞ্জয় কুমার সামল। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ হয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সিরিয়াল নম্বর সহ নাম, জন্মের শংসাপত্র, বাবার নাম, ঠিকানা, কোন স্কুলে তাঁরা চাকরি করছেন এবং তাঁদের মোবাইল নম্বর দ্রুত জানাতে হবে সিবিআইকে (CBI)।

    টেট (Primary TET) পাশ শিক্ষকদের তথ্য তলব…

    ২০২২ সালের ৮ জুন কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া একটি নির্দেশের ভিত্তিতে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তের স্বার্থে এই তথ্য তলব করেছে সিবিআই। কেবল তাই নয়, ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, সেই বিজ্ঞপ্তির প্রতিলিপিও জমা দিতে বলেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চিঠি পাওয়ার পরে পরেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary TET)। মঙ্গলবারই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার।

    সেই বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। ওই শিক্ষকদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করে সিবিআইয়ের কলকাতার নিজাম প্যালেসের অফিসের ১৪ তলায় জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই শিক্ষকদের তথ্য দিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ যাতে কোনও বিলম্ব না করে, তাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

    আরও পড়ুুন: এবার অধ্যক্ষ নিয়োগেও অনিয়মের অভিযোগ! হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি রাজ্যপালকে

    বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, সিবিআইয়ের এমন পদক্ষেপ করা দেখে বোঝা যাচ্ছে, টেট বা স্কুল সার্ভিস কমিশন মারফত যে সব শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল, তার সবেতেই দুর্নীতি রয়েছে। শুধু ২০১৪ সালের টেট (Primary TET) নয়, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। এই সরকার ক্ষমতায় আসর পর ২০১২ সালে যে টেট হয়েছিল, তাতেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তাই আমরা চাই এই সমস্ত নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করে দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ‘‘৯ মাসেও পারলেন না…’’! পার্থর আংটি বিতর্কে হাইকোর্টের রোষে জেল সুপার

    Partha Chatterjee: ‘‘৯ মাসেও পারলেন না…’’! পার্থর আংটি বিতর্কে হাইকোর্টের রোষে জেল সুপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আংটি বিতর্কে সংশোধনাগারের উত্তরে অসন্তুষ্ট আদালত। একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়লেন সংশোধনাগার সুপার। জেলে ঢোকার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আঙুল ফোলা ছিল। আর সেই কারণেই তাঁর আঙুল থেকে আংটি খোলা সম্ভব হয়নি! প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আংটিকাণ্ড নিয়ে বুধবার আদালতে হাজিরা দিয়ে এমনটাই দাবি করলেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী। জেল সুপারের জবাব শুনে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের বিচারকের প্রশ্ন, ৯ মাসেও কেন সেই আংটি খোলা গেল না। বিচারক বলেন, ‘‘৯ মাসে আপনি যেটা করতে পারলেন না আদালতের তরফে ৯ মিনিটে তা করে ফেলা গেল।’’

    সওয়াল ইডির

    আংটি বিতর্কে আদালতে জোরালো সওয়াল করে ইডি। ইডির আইনজীবীর দাবি, ‘রাজ্যে কারা আইনে বলা আছে এই ধরনের অভিযোগ উঠলে আইজি কারা বা এডিজি কারা অভিযুক্তকে রাজ্যের মধ্যে বা ভিন রাজ্যের জেলে স্থানান্তরিত করা যায়’। একজন বন্দীর আঙুলে আংটি (Partha Ring) থাকে কী করে? সম্প্রতি আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শরীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই আংটিগুলি আঙুলে ধারন। সাফাই দিয়েছিলেন পার্থ (Partha Chatterjee)। প্রশ্ন ওঠে কারা আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে পার্থর আঙুলে আংটি রাখার অনুমতি কীভাবে দিল জেল কর্তৃপক্ষ? এই ঘটনায় আদালতে প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে তলব করেন বিচারক। সেই নির্দেশ মেনে বুধবার আদালতে হাজির হন জেল সুপার। 

    আরও পড়ুুন: ‘মোদি’ পদবী মামলায় গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাহুল, শুনানি শীঘ্রই

    অসন্তোষ আদালতের

    সংশোধনাগারের উত্তরে অসন্তুষ্ট আদালত জেল সুপারকে মাত্র ১০ মিনিট সময় দিলেন উত্তর লিখতে। জেলারের উদ্দেশে বিচারকের প্রশ্ন, “আপনি কি নিজেই কারা আইন (Partha Ring) তৈরি করছেন?” আংটিকাণ্ড নিয়ে জেল সুপারের দেওয়া জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে পার্থের জেলে প্রবেশের সময়ের রেজিস্ট্রার খাতা খতিয়ে দেখেন বিচারক। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের জেল সুপার প্রসঙ্গে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজির দাবি, ‘‘উনি এমন একজন জেল সুপার, যাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশও অমান্য করেন উনি। ২০০০ টাকা জরিমানাও করা হয়। একটা অদৃশ্য হাত কাজ করছে। যার জেরে ওঁকে অন্যত্র বদলি করা যায় না।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: ঝাঁঝ বাড়ছে ডিএ আন্দোলনের! নবান্ন অভিযান ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে সভার ডাক

    DA Protest: ঝাঁঝ বাড়ছে ডিএ আন্দোলনের! নবান্ন অভিযান ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে সভার ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় মহার্ঘ ভাতা (DA Protest)-র দাবিতে শহিদ মিনারে অবস্থান করছেন রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা। আগামী ৬ মে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন ১০০ দিন পূর্ণ করবে। ওই দিন কলকাতায় এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করবেন তাঁরা। পাশাপাশি, ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকায় জনসভা করবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।

    নবান্ন অভিযান

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল সরকার। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, ডিএ-র (DA Protest) সমস্যা তাতে মেটেনি। নিষ্ফল বৈঠকের পরই চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল থেকে রাস্তায় নামছেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরা। বাংলার সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ছয় শতাংশ ডিএ পান। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা  ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। কেন্দ্রের থেকে রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৩৬ শতাংশ। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরাই দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন হারে মহার্ঘ ভাতা পেয়ে থাকেন। এই নিয়েই চলছে আন্দোলন।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে চালু হবে দ্বিতীয় বন্দে ভারত! ছুটবে কোন রুটে?

    বকেয়া ডিএ (DA Protest) মেটানোর দাবিতে আগামী ৪ মে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। সেই অভিযানে শামিল হতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরাও। তার আগে আগামিকাল, ২৭ এপ্রিল থেকে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটির। উল্লেখ্য, এর আগে ডিএ ইস্যুতে সরকারের সঙ্গে মঞ্চের বৈঠকে উপস্থিত হননি কো-অর্ডিনেশন কমিটির কোনও সদস্য। তাঁদের দাবি ছিল, মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তাই মামলাকারী হিসেবে সরকাররে সঙ্গে বৈঠকের প্রশ্নই ওঠে না। 

    হাজরা মোড়ে সভা

    অন্যদিকে, এত দিন কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় এবং ডিএ-র (DA Protest) দাবিতে দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্না দিয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। এবার একেবারে  মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে হাজরা মোড়ে সভা করার কথা জানালেন তাঁরা। হাজরা মোড় এলাকাটি মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের অন্তগর্ত। ৬ মে কলকাতায় মিছিলের পর ডিএ-র দাবিতে সেখানেই সমবেত হবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। তবে, হাজরা মোড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দূরত্ব এক কিলোমিটারও নয়। তাই এখানে পুলিশ সভার অনুমতি দেবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘হাজরা মোড়ে তো বিভিন্ন সভা হয়। তাই আমরা আমাদের দাবি নিয়ে সভা করব। সেক্ষেত্রে পুলিশ যদি আমাদের সভা করার অনুমতি না দেয়, তাহলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অনুমতি এনে সভা করব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: রাজ্যে চালু হবে দ্বিতীয় বন্দে ভারত! ছুটবে কোন রুটে?

    Vande Bharat: রাজ্যে চালু হবে দ্বিতীয় বন্দে ভারত! ছুটবে কোন রুটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা পেল আরও একটি বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস। কিন্তু দ্বিতীয় বন্দে ভারত (Vande Bharat) ছুটবে কোন রুটে? শোনা যাচ্ছে, হাওড়া-পুরী ও হাওড়া-রাঁচী রুটে বন্দে ভারত চালানোর বিষয়ে আগ্রহের কথা বোর্ডকে জানিয়েছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটিও সম্ভাব্য রুট। জানা গিয়েছে, প্রথম শ্রেণির সেই ট্রেনের রেক ইতিমধ্যে হাওড়া অভিমুখে রওনা হয়ে গিয়েছে।

    রেলের চিঠি

    বেশ কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল বাংলার ভাগ্যে আসতে চলেছে আরও একটি বন্দে ভারত। এবার সেই সম্ভাবনাই সত্যি হল। সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি বা আইসিএফ-কে পঞ্চদশ ও ষোড়শ বন্দে ভারতের রেক দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং উত্তর-সীমান্ত রেলের জন্য বরাদ্দ রাখার নির্দেশ দেয় রেল বোর্ড। সরকারি নির্দেশ অনুসারে ওই দু’টি রেক রেলের এই দুই জোন বা বিভাগের কাছে আসার কথা। রেল বোর্ডের তরফে চেন্নাইয়ের আইসিএফ এবং দুই বিভাগের কাছে ২৪ এপ্রিল পাঠানো চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। তার পরেই নতুন রেকের রওনা হওয়ার খবর মেলে।

    হাওড়া-রাঁচী রুটের প্রধান অন্তরায়…

    হাওড়া-রাঁচী রুটে শতাব্দী এক্সপ্রেসের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় মাত্র ৫৯ কিলোমিটার। ধানবাদের পরে বোকারো-চন্দ্রপুরা শাখায় খনি এলাকায় ভূগর্ভস্থ আগুনের জন্য ট্রেনটি ঘণ্টায় মাত্র ৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ছোটে। রেলপথের সমস্যা ওই রুটে বন্দে ভারত চালু করার অন্তরায়। খড়্গপুর, টাটানগর, পুরুলিয়া হয়ে রাঁচী যাওয়ার পথও বিবেচনায় আছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে, হাওড়া-পুরী রুটে যাত্রী বেশি। রেললাইনের সমস্যাও কম। তীর্থক্ষেত্র ও পর্যটনের নিরিখে পুরীর গুরুত্ব সমধিক।

    কী বলছেন রেল আধিকারিকরা

    রেল আধিকারিকরা বলছেন, বন্দে ভারত কোথায় কী ভাবে চলবে, সেই সিদ্ধান্ত নেয় রেল মন্ত্রক তথা রেল বোর্ড। দুই বিভাগের জন্য ১৬ কোচের পূর্ণাঙ্গ বন্দে ভারত বরাদ্দ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিয়ের জন্য চাপ দিতেই কালিয়াচকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, দাবি পুলিশের

    Malda: বিয়ের জন্য চাপ দিতেই কালিয়াচকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, দাবি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদহের (Malda) কালিয়াচক থানার উজিরপুরে নাবালিকা খুনের কিনারা করল পুলিশ। খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল। তার বয়স ৩০ বছর। তার বাড়ি কালিয়াচক থানার রামনগর এলাকায়। সে দিনমজুরের কাজ করে। যে জায়গায় নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে ধৃত যুবকের বাড়ি প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে। ইতিমধ্যেই ধৃত যুবককে ১৪ দিনের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

    নাবালিকাকে কেন খুন করা হল?

    নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মালদহ (Malda), গাজোল, কালিয়াচক এবং ইংরেজবাজার থানার আধিকারিকদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করা হয়। নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর বিভিন্ন সূত্র পেয়ে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে, একজন খুনের কথা স্বীকার করে। পরে, তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৯ দিন আগে মিসডকল থেকেই ওই নাবালিকার সঙ্গে আলাপ হয়। ফোনেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তার সূত্র ধরে সম্পর্ক গভীর হয়। এরপরই ওই নাবালিকা দেখা করার জন্য জোরাজুরি করে। ধৃত যুবক ফোনে তাকে একটি ঠিকানা বলে দেয়। সোমবার বাসে করে ওই কিশোরী সেখানে আসে। এরপর তারা দুজনে হাঁটতে হাঁটতে ঘটনাস্থল উজিরপুরে আসে। সেখানে দুজনের মধ্যে শারীরীক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে, ওই কিশোরী তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। আর ধৃত যুবক বিবাহিত। তার দুই সন্তান রয়েছে। তার পরিবারের অবস্থা বোঝানোর পর সে তা মানতে চায়নি। বরং, বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। এরপরই তার গলায় ওড়না জড়িয়ে ওই যুবক তাকে খুন করে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    মালদহের (Malda) পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ভিডিওগ্রাফি করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ৯ দিন আগে আলাপ হলেও সোমবারই তাদের দুজনের প্রথম দেখা হয়। ওই নাবালিকা বিয়ের পাশাপাশি ধৃত যুবকের বাড়ি যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তারপরই সে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে জানিয়েছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Saha: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে তাপস! জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    Tapas Saha: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে তাপস! জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে বাড়িতে তল্লাশির পরে সোমবার রাতে নোটিশ পাঠিয়ে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে (Tapas Saha) ফের তলব করে সিবিআই। সেইমতো মঙ্গলবার সকালেই তাপস সাহা (Tapas Saha) পৌঁছে যান সিবিআইয়ের আঞ্চলিক অফিস নিজাম প্যালেসে। সেখানে তাঁকে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।

    জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, তাপসের (Tapas Saha) ছেলে সাগ্নিক বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে আছেন। তাঁকেও ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সাগ্নিকের বয়ানের ভিত্তিতেই এ দিন বেলা ১১টা থেকে তাপসকে প্রশ্ন করা হয় দীর্ঘক্ষণ। জানা যাচ্ছে, তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে সাগ্নিকের অ্যাকাউন্টও। সিবিআই সূত্রে খবর, তাপস কীভাবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন? প্রবীরের সঙ্গে কীভাবে আলাপ? তাপসের নির্দেশে কি টাকা তুলতো প্রবীর ও অন্যান্যরা? তাপসের (Tapas Saha) থেকে ছেলের সঙ্গে লেনদেন রয়েছে কিনা?  এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় সিবিআই।

    তাপসের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের দাবি

    তদন্তকারীদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাপসের (Tapas Saha) আপ্ত-সহায়ক প্রবীর কয়াল তাঁদের জানিয়েছেন, তাপসের নির্দেশেই বাজার থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা তোলা হয়েছিল। কয়েক দফায় এক কোটি ৪২ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল প্রবীরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে এক কোটি টাকা তুলে তিনি তাপসকে দিয়েছিলেন বলে প্রবীর সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেছেন।

    সম্প্রতি তাপসের (Tapas Saha) তেহট্টের বাড়ি এবং প্রবীর-সহ তাপস-ঘনিষ্ঠ কয়েকজন তৃণমূল নেতানেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাদের দাবি, সেই সব জায়গা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে।

    দলের একাংশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তাপসের (Tapas Saha)

    নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরে ঢোকার সময় তাপস সাহা (Tapas Saha) বলেন, ‘‘আমি দলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের শিকার। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার দলীয় কর্মী ও জেলা পরিষদের এক সদস্য ষড়যন্ত্র করছেন। আমার আপ্ত-সহায়ক প্রবীর কয়াল নিজেকে বাঁচানোর জন্য এক-এক সময় এক-এক রকম কথা বলছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারীর গণ ইস্তফা! কেন?

    TMC: তৃণমূলের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারীর গণ ইস্তফা! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল তত প্রকাশ্যে চলে আসছে। ঘর গোছাতে যখন উত্তরবঙ্গে নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত, তখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর-২ ব্লকে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যার জেরে দলীয় নেতা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা গণ ইস্তফা দিলেন।

    কতজন গণইস্তফা দিয়েছেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে দলীয় কর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) শীর্ষস্থানীয় নেতারা। সেই সব নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই তৃণমূলের একদল নেতা, পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পটাশপুর-২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, অঞ্চল যুব সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য, তৃণমূলের (TMC) বুথ কমিটির সভাপতি সহ মোট ৩০ জন তৃণমূলের পদাধিকারী ইস্তফা দিয়েছেন। এই পটাশপুর-২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ভগবানপুর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    গণইস্তফা প্রসঙ্গে কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে এই গণইস্তফা বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মূলত পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা, ব্লক, অঞ্চল ও বুথ স্তর থেকে নেতৃত্বে রদবদল এনেছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। সেই মতোই বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি মথুরা পঞ্চায়েত এলাকায় অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটিতে জায়গা না পেয়ে ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলবাজির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সেই সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত মণ্ডল বলেন, ব্লক স্তরে দলীয় কোন্দল এবং দ্বিচারিতার জন্যই আমরা পদত্যাগ করেছি। তবে, আমি প্রধান হিসেবে একা নই, অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, দলকে ভালোবাসতে গিয়ে কর্মীরা অনেক আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তাই কিছু কর্মী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পদ থেকে পদত্যাগ করা কোনও সমাধান নয়। বরং, সকলে মিলে জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে বাংলা থেকে উত্খাত করতে হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গণ ইস্তফার বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি স্বপন রায় বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পরাজয় নিশ্চিত, বুঝে গেছে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের নীচু তলার নেতা কর্মীরা। তাই এই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • STF: মেধাবী ছাত্রও জঙ্গি! এসটিএফের জালে যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    STF: মেধাবী ছাত্রও জঙ্গি! এসটিএফের জালে যুবক, হতবাক এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মামারবাড়িতে ঘুরতে এসে এসটিএফের (STF) জালে ধরা পড়ল এক যুবক। তাকে জঙ্গি সন্দেহে হুগলি থেকে গ্রেফতার করল রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) (STF)। হুগলির দাদপুরে মামার বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে সে ছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম সেখ নাসিম। তাঁর মামার বাড়ি দাদপুরের আমড়া গ্রামে। অসুস্থ দিদিমাকে দেখতে রবিবার বিকালে দাদপুরে গিয়েছিল নাসিম। সেখানেই সে ছিল।

    ধৃত যুবক কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত?

    পুলিশ জানিয়েছে, নাসিমের বাড়ি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে। সে আল কায়দার সঙ্গে জড়িত। বহু তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সে মৌলানা পাশ করে, পড়াশোনা করছিল পাঁশকুড়ায়। মাঝে মধ্যে সে হুগলির দাদপুরে আমড়া গ্রামে মামারবাড়িতে আসত। মামারবাড়িতে এসে সে কয়েকদিন থাকত। এই এলাকায় সে এই ধরনের কোনও কার্যকলাপ শুরু করেছিল কি না এসটিএফের (STF) আধিকারিকরা তা খতিয়ে দেখছেন।

    কী করে ধরা পড়ল সে?

    দাদপুরের আমড়া গ্রামে নাসিমের মামারবাড়িতে আচমকা পুলিশ হানা দেয়। বাড়িটিকে চারিদিকে ঘিরে ফেলা হয়। এরপরই এসটিএফের (STF) আধিকারিকরা বাড়িতে ঢোকেন। নাসিমের মামা গোলাম মোস্তাফা বলেন, দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেয়ে আমি বাইরের দরজা খুলে দেখি পুলিশ। জিজ্ঞাসা করে নাসিম কোথায়? নাসিম তখন দোতলার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এসটিএফের টিম এরপরেই উপরে উঠে যায়। তাকে ঘুম থেকে তুলে বাড়িতেই কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে দাদপুর থানায় নিয়ে যায়। অ্যারেস্ট মেমোতে সই করিয়ে কলকাতায় নিয়ে যায় তাকে। তিনি আরও বলেন, দিদিমার শরীর খারাপ থাকায় সে এখানে এসেছিল। পুলিশ বলছে ভাগ্নে জঙ্গি সংগঠনের কাজের সঙ্গে যুক্ত। মইনুদ্দিন নামে কাউকে সে চেনে কিনা জিজ্ঞাসা করছিল। ভাগ্নে বলেছিল সে এমন কোনও কাজে যুক্ত নয়।

    কী বললেন এলাকাবাসী?

    এসটিএফের এই অভিযানে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে আমড়া গ্রামে। নাসিমের মামারবাড়ির সামনে গ্রামবাসীরা জড়ো হন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘নাসিম পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল। পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে গেল। শুনলাম সে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আমরা ভাবতে পারছি না।’

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: এবার মাথাভাঙাতেও অভিষেকের সভায় ব্যালট বক্স ছিনতাই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাথা ফাটল কর্মীর

    TMC: এবার মাথাভাঙাতেও অভিষেকের সভায় ব্যালট বক্স ছিনতাই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাথা ফাটল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে অভিষেকের সভায় বিশৃঙ্খলা চলছেই। মঙ্গলবার দুপুরে সাহেবগঞ্জ, গোঁসাইমারির পরে রাতে মাথাভাঙার কলেজে শুরু হয় দলেরই দুই গোষ্ঠীর মারামারি। একগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যালটবক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ তোলে অপর গোষ্ঠী। গণ্ডগোলের জেরে মাথা ফেটে যায় এক কর্মীর। পাশাপাশি, টি-শার্ট বিতরণকে কেন্দ্র করেও দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তুমুল কাড়াকাড়ি, মারামারিতে হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আসরে নামতে হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে। বিরোধী মহলের কটাক্ষ, দলের ব্যালটই যখন ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে, তখন সেখান থেকেই স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দল কী করতে চলেছে!

    কী ঘটল মাথাভাঙায়?

    জানা গেছে, মাথাভাঙা ও পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এই গণ্ডগোল বেঁধে যায়। একে ওপরকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, এমনকী হাতাহাতিও হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই খণ্ডযুদ্ধ। ব্যালট বক্স ভেঙে দেওয়ার ফলে আর ভোট হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে মাথাভাঙায় সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর শুরু হয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া। আর তাকে ঘিরেই চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট না দিতে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। দেখা যায় ব্যালট বাক্সের পাশেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী (TMC)। সব কিছু মিলিয়ে দলীয় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।

    অভিষেকের হুঁশিয়ারিই সার!

    তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার কর্মসূচিতে দফায় দফায় মারামারি, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ভোটের মাধ্যমে দল প্রার্থী ঠিক করবে! আর সেখানেই যত বিপত্তি। সকালে সাহেবগঞ্জ ও গোঁসানিমারির ঘটনার পর এদিন রাতেও মাথাভাঙার ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে অভিষেকের সতর্কবার্তার পরেও কোনও কাজ হয়নি। এবার অভিষেক তথা জেলার তৃণমূল নেতারা কী ব্যবস্থা নেন, সেই দিকেই নজর রয়েছে সকলের। একের পর এক বিশৃঙ্খলায় বিরোধী দলগুলি যে অক্সিজেন পেয়ে যাচ্ছে, একথাও চুপিসারে স্বীকার করছেন শাসক দলের বেশ কিছু নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share