Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: বাংলা ও দিল্লিতে অয়নের ২০টি ফ্ল্যাট, ৫টি দামি গাড়ি! ইডি-র রেডারে ছেলের বান্ধবীও

    Recruitment Scam: বাংলা ও দিল্লিতে অয়নের ২০টি ফ্ল্যাট, ৫টি দামি গাড়ি! ইডি-র রেডারে ছেলের বান্ধবীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় এবার ধৃত অয়ন শীলের নামে-বেনামে ২০টি ফ্ল্যাটের হদিশ মিলল। কেবল বাংলা নয়, রাজধানী দিল্লিতেও অয়নের ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া একাধিক দামি গাড়িও রয়েছে। যার মধ্যে একটি অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা এবং অন্যটি স্ত্রী কাকলি শীলের নামে। ফ্ল্যাট-গাড়ির পাশাপাশি তাঁর নামে এবং বেনামে রয়েছে বহু জমিও। মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে এমনই তথ্য পেশ করেছে ইডি।

    অন্যদিকে, অয়ন শীলের তরফে জামিনের আবেদন জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত ইডি-র আবেদন মেনেই সেটা খারিজ করে দেয় আদালত। আগামী ৮ মে পর্যন্ত অয়নকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক শুভেন্দু সাহা। ইডি সূত্রে খবর, প্রোমোটার হিসাবে পরিচিত অয়ন নিজের ফ্ল্যাট নিজেকেই বেচতেন। আয়কর ফাঁকি এবং সম্পত্তি বাড়ানোর এমন কৌশলই নিয়েছিলেন অয়ন।

    অয়ন-পুত্রের বান্ধবীকেও তলব ইডির

    অন্যদিকে, রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) এ বার অয়ন শীলের পুত্র অভিষেকের ‘পরিচিত’ ইমন গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। যদিও ইমনকে নিজের ‘বান্ধবী’ বলতে আগে অস্বীকার করেছিলেন অয়ন-পুত্র। বুধবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (কলকাতায় যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) ইমনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। 

    অয়ন-পুত্র অভিষেকের ভূমিকাও তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় আসে। ইমন এবং অভিষেক যৌথ মালিকানায় একটি পেট্রল পাম্প কিনেছিলেন বলে হলফনামায় জানিয়েছিল ইডি। সরকারি সিলমোহর থাকা ওই নথি অনুযায়ী, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ১ কোটি টাকায় পেট্রল পাম্পটি কেনা হয়েছিল। গুড়াপে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা জমির উপর এই পেট্রল পাম্প অভিষেক এবং ইমন কিনেছিলেন কলকাতার বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা নন্দগোপাল শুক্ল, অজয় শুক্ল এবং আশিস শুক্লর কাছ থেকে। স্থানীয়দের কাছে পাম্পটি ‘শুক্ল পাম্প’ নামেই পরিচিত। শুধু তাই নয়, কলকাতায় বন্ডেল রোডের উপরে অভিষেক এবং ইমন যৌথ মালিকানায় একটি ফার্ম খুলেছিলেন। তার নাম দিয়েছিলেন ‘ফসিল্‌স’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj and Kaliachak: জ্বলছে কালিয়াগঞ্জ! একই ঘটনা কালিয়াচকে, রাজ্যের রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    Kaliaganj and Kaliachak: জ্বলছে কালিয়াগঞ্জ! একই ঘটনা কালিয়াচকে, রাজ্যের রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জ ও কালিয়াচকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের (Kaliaganj and Kaliachak incident) অভিযোগের ঘটনা এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নের (Nabanna) কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি’কে চিঠি পাঠানো হয় রাজভবন থেকে। শীঘ্রই দিল্লি সফর কাটছাঁট করে কলকাতায় ফিরছেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, পরপর দু’টো একই ঘটনা নিয়ে বর্তমানে উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ। বুধবার সেই নিয়েই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে আসছেন বিজেপির উত্তরবঙ্গের আট বিধায়ক।

    উত্তাল কালিয়াগঞ্জ

    ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj and Kaliachak incident)। গত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকাতে। মঙ্গলবার কার্যত ব্যাপক আকার নিয়েছে এই ঘটনা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে কালিয়াগঞ্জ থানা। এমনকী একাধিক গাড়ি-বাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই পুলিশের দিকে ঢিল, ইট ছোড়া হতে থাকে। পথ চলতি মানুষ ও সংবাদমাধ্যমের দিকেও ইট ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে র‌্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়। শেষমেশ আন্দোলনকারীরা কালিয়াগঞ্জ থানার একটি অংশে আগুন ধরিয়ে দেয়। থানার একটি পাঁচিলও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

    উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল

    কালিয়াগঞ্জের ছবি দেখেই রাজ্যের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেন উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জানা গিয়েছে, সেই ফোনালাপে এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা নাকি মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে রাজ্যপালকে জানান বলে খবর। আজ বুধবার দিল্লিতে একাধিক কর্মসূচি ছিল রাজ্যপাল বোসের। বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকেও বসার কথা ছিল রাজ্যপালের। কিন্তু যেভাবে কালিয়াগঞ্জের ঘটনা ঘিরে মঙ্গলবার পরিস্থিতি ব্যাপক আকার নেয় তাতে তড়িঘড়ি কলকাতাতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: সামনেই ভোট, জেনে নিন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের গুরুত্ব এবং ইতিহাস

    রিপোর্ট তলব

    অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ও তাঁর মৃত দেহ পুলিশের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন (National Commission for Protection of Child Rights)। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন জানিয়েছে, মানুষের একটি মৃতদেহকে যথাযথ মর্যাদা দেওয়া ও সম্মান দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কালিয়াগঞ্জের ঘটনার ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। রাজ্যের মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তদন্ত কতদূর হয়েছে, মৃতার পরিবারকে কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। ওই দেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কতজনকে কী শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও জানাতে হবে রিপোর্টে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    Kaliaganj: থানায় আগুন, পুলিশকে ইট! গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ কালিয়াগঞ্জ, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল রাজবংশী এবং আদিবাসী সংগঠনের যৌথমঞ্চের। আর সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানা চত্বর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। পুলিশের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে, টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরে, আন্দোলনকারীরা থানার পাঁচিল ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুন লাগানো হয় থানার একটি ঘরেও।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের পালোইবাড়ি এলাকার পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে সরব হয় মৃতার পরিবার ও গ্রামবাসীরা। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে পরপর কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালোইবাড়ি সাহেবঘাটা সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এদিন থানায় ডেপুটেশনকে কেন্দ্র করে এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে এদিন আন্দোলন নামে রাজবংশী তফশিলি ও আদিবাসী সংগঠন গুলির সমন্বয় কমিটি। মঙ্গলবার তাদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে তারা। ঘটনায় পিছু হঠতে দেখা যায় পুলিশকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স ও বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের ধরতে পালটা দৌড় শুরু করে পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। ঘটনায় এক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। এরপরই আন্দোলনকারীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। থানার পাঁচিল ভাঙার পাশাপাশি থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আগুন ধরানো হয় থানার একটি গাড়িতেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rabindra Bharati University: পুরসভাকে ভৎর্সনা কোর্টের! রবীন্দ্রভারতীতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে নির্দেশ

    Rabindra Bharati University: পুরসভাকে ভৎর্সনা কোর্টের! রবীন্দ্রভারতীতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University) ভিতরে বেশ কিছু বেআইনি নির্মাণ। গজিয়ে উঠেছিল শাসকদলের পার্টি অফিসও। আর তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindra Bharati University) ভিতরে বেআইনি নির্মাণ আছে সেগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতীক, পতাকা–সহ যাবতীয় সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, জোড়াসাঁকোয় হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া ভবনের অব্যবহৃত ঘর ভেঙে বেআইনি ভাবে নির্মাণকাজ চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জনৈক স্বদেশ মজুমদার। মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীজিব চক্রবর্তী এদিন আদালতে উল্লেখ করেন, বলা হয়, জোড়াসাঁকো ‘গ্রেড ওয়ান হেরিটেজ’। অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের ‘শিক্ষাবন্ধু সমিতি’ নামে একটি সংগঠনের কার্যালয় তৈরি হয়েছে।তা হেরিটেজের অনুমতি ছাড়াই হয়েছে। এক্ষেত্রে ২১ নভেম্বরে হাইকোর্টের নির্দেশও উল্লেখ করেন তিনি। সেখানে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। আইনজীবী উল্লেখ করেন, আদালতের নির্দেশের পরেও কাজ হয়নি। আগের পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। হেরিটেজ কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

    কী বললেন বিচারক

    জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ক্যাম্পাসের অন্দরের সমস্ত বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। এই হেরিটেজ ভবনকে আগের অবস্থায় ফেরাতেই এমন নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমনকী আদালতের নির্দেশ কার্যকর করে ৪৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর কলকাতা পুরসভা প্রস্তুতি নিচ্ছে এই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলতে। কলকাতা পুরসভাকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘দ্রুত এই নির্মাণ ভাঙা দরকার। বুধবারের মধ্যে ভেঙে ফেলুন। সবাই মেনে নিয়েছে সেখানে নিয়ম মেনে নির্মাণ হয়নি। তাই আর ফেলে রাখার প্রয়োজন নেই।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট   

    Abhishek Banerjee: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Polls) আগে ঘর গুছোতে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। মঙ্গলবার কোচবিহারে শুরু হয়েছে সেই কর্মসূচি। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছিলেন ‘গ্রাম বাংলা মতামত’ কর্মসূচির আওতায় গোপন ব্যালটে ভোট নিয়ে হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। সেই কর্মসূচিকে ঘিরেই এদিন কোচবিহারে দেখা গেল চরম বিশৃঙ্খলা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি, হুড়োহুড়ি মায় ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটল। ঘটনায় যারপরনাই বিব্রত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শেষমেশ অভিষেক ঘোষণা করলেন, কেন এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে জেলাশাসককে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, বুধবার ওই জায়গায়ই ফের ভোট হবে প্রার্থী বাছাইয়ের।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় বিশৃঙ্খলা…

    এদিন সাহেবগঞ্জ ও গোঁসানিমারি এলাকায় জনসভা করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পঞ্চায়েতে কারা প্রার্থী হবেন, তা জানতে গোপন ব্যালটে ভোট দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন এই তৃণমূল নেতা। প্রথমে তিনি সভা করেন সাহেবগঞ্জে। পরে যান গোঁসানিমারি হাইস্কুল মাঠের সভায়। বক্তৃতার শেষে অভিষেক জানান, মঞ্চে ব্যালট বাক্স রেখে যাচ্ছেন। উপস্থিত তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন। বক্তৃতা শেষ করে শীতলখুচির উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক। তার পরেই শুরু হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। হুড়োহুড়ি করে যে যেখানে ছিলেন মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেন। কয়েকজন ব্যালট বাক্স নিয়ে পালানোর চেষ্টাও করেন। কয়েকজন আবার তাঁদের বাধা দেন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    ব্যালট বাক্স নিয়ে দু পক্ষে কার্যত চলতে থাকে দড়ি টানাটানি খেলা। কয়েকজনকে আবার ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলতে দেখা যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, মারামারি। ব্যালট বাক্স ভেঙে ফেলাও হয়েছে বলে অভিযোগ। বাক্স থেকে কয়েকজনকে ব্যালট পেপার বের করে ফেলতেও দেখা যায়। হট্টগোল পরিস্থিতির মোকাবিলায় পুলিশ মঞ্চ থেকে ঠেলে নামিয়ে দেয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। মঞ্চের নিচে পুলিশের সামনেই ফের একপ্রস্ত মারামারি শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে।

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Abhishek Banerjee) রাজ্যের সিংহভাগ আসনেই বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে। এমতাবস্থায় দলীয় প্রার্থী নির্বাচন নিয়েই ঘটে গেল ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট বাক্স ভাঙচুরের মতো ঘটনা। প্রত্যাশিতভাবেই অশনি সংকেত দেখছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার! জেলা জুড়ে শোরগোল

    TMC: ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার! জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতির। বন্যা, দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ সরকারি ত্রিপল নিজের বাড়িতে মজুত করে রেখে ভোটের আগে বিলি করছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হতেই মালদহের মানিকচকের বালুটোলা জিসারটোলা এলাকায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ কয়েকজনের থানায় অভিযোগও হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ত্রিপলের মধ্যে বিশ্ব বাংলা লোগো রয়েছে। সরকারি স্ট্যাম্প রয়েছে। এই ধরনের ত্রিপল সাধারণত ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের বিলি করা হয়। সেই ত্রিপল মজুত রয়েছে তৃণমূলের (TMC)  গোপালপুর অঞ্চলের সভাপতি মহম্মদ নাসিরের বাড়িতে। মঙ্গলবার জিসারটোলা এলাকায় সরকারি ত্রিপল তৃণমূল (TMC) নেতা বিলি করছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আসিদুর রহমানের বাড়ি থেকে সরকারি সিলমোহর লাগানো ত্রিপল বিলি করা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ত্রিপল চাইতে গেলে তাঁদের ত্রিপল দেওয়া হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় বচসা। পরে, এলাকাবাসীদের একাংশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    ত্রিপল বিলি নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী ?

    স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইফতাজুল বলেন, বন্যার সময় ত্রিপল বিলি হয়। এখন তো বন্যা নেই, তাহলে ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে কেন? আসলে জিসারটোলা এলাকায় প্রার্থী হওয়ার জন্য সরকারি ত্রিপল বিলি করা চলছিল। আমরা একটি ত্রিপলের নমুনা সংগ্রহ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। রাকেশ আলি অন্য এক বাসিন্দা বলেন, তৃণমূলে (TMC) ভোট দেওয়ার কথা কেউ বললেই তার হাতে ত্রিপল তুলে দেওয়া হচ্ছিল। আমরা গিয়ে প্রতিবাদ করি। এনিয়ে আমাদের সঙ্গে বচসা হয়। আমরা থানায় তৃণমূল (TMC) নেতাদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা মহম্মদ নাসির, আসিদুর রহমান, আজাহার আলী সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) গোপালপুর অঞ্চলের সভাপতি নাসির সেখ বলেন,বিরোধীরা কোনও ইস্যু পাচ্ছে না বলে এসব রটাচ্ছে। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। ত্রিপল বিলি হচ্ছে এমন ঘটনা আমার জানা নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপি নেতা গৌর মণ্ডল বলেন, বন্যার সময় সাধারণ মানুষ ত্রিপল পাননি। আর সেই ত্রিপল এখন বিলি করে মানুষের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল (TMC)। সরকারি ত্রিপল নিয়ে ওরা রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। আমরা তা ভাবতে পারছি না। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguli: ইস্তফা নয়, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন! কেন বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    Abhijit Ganguli: ইস্তফা নয়, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন! কেন বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই, যে লড়াই শুরু করেছেন, তার শেষ দেখে ছাড়বেন, বলে জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। গত এক সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেশ কয়েকটি নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে টিভিতে বিচারপতির সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে হলফনামাও জমা দিতে বলেছে দেশের শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার এ নিয়ে মুখ খুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন দুপুর ২টোর সময় এজলাসে এসেছিলেন বিচারপতি। সেখানে বসেই তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘শুনছি কেউ কেউ রটাচ্ছে আমি নাকি ইস্তফা দিচ্ছি…! আমি পদত্যাগ করছি না। যে লড়াই শুরু হয়েছে। সেই লড়াই চলবে।’’

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিমত

    মঙ্গলবার প্রথমে বিচারপতি বলেন, ‘‘যে লড়াই শুরু হয়েছে, তা চলবে। যত মিথ্যা কথা বলা হয়েছে, সেগুলির ব্যাখ্যা দিতে হবে। আমি হয়তো সব দিন থাকব না। কিন্তু আমি থাকি বা না থাকি লড়াই বন্ধ হবে না।’’তাঁর টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়া নিয়ে  বিচারপতি বলেন, ‘‘ইন্টারভিউ যখন আমি দিয়েছি, তখন উত্তরও আমাকেই দিতে হবে।’’ তবে একই সঙ্গে বিচারপতি বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার কপি এখনও আপলোড হয়নি শুনলাম। অর্ডার আসুক। উত্তর দেব।’’

    সুপ্রিম নির্দেশ

    এদিন সকালে হাইকোর্টে পৌঁছলেও প্রথমার্ধ্বে এজলাসে যাননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরই হাইকোর্ট পাড়ায় রটে যায় যে তিনি ইস্তফা দিতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কিনা তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে শুক্রবার মধ্যে সর্বোচ্চ আদলতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টে শিক্ষা বিষয়ক মামলাগুলো দেখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, আদৌ কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের এজলাসের মামলা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন?

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিমার বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট করে বলেছে, “কোনও বিচারপতি তাঁর এজলাসের মামলা নিয়ে কখনওই সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। এমনটা যদি সত্যি ঘটে থাকে তাহলে সেই সব মামলা তাঁর এজলাস থেকে অন্য এজলাসে সরিয়ে দেওয়াই ভাল।” এ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে বেশ কিছু আইনজীবী ভুল বোঝাচ্ছেন, যা কাম্য নয়”। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে হবে নবান্ন অভিযান, মহামিছিল

    DA: কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে হবে নবান্ন অভিযান, মহামিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ-র (DA) দাবিতে নবান্ন (Nabanna) অভিযানের ডাক দিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (Co-ordination Committee)। গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন সরকারি কর্মচারি সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথ মঞ্চ গড়ে ডিএর দাবিতে আন্দোলন করছে ওই কমিটি। কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। হয়েছিল অনশনও। কর্মবিরতি, ধর্মঘট দাবি-দাওয়া আদায়ের সব পন্থাই অবলম্বন করেছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। তার পরেও সমাধান হয়নি সমস্যার। সেই কারণে চলছে কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবিতে লাগাতার আন্দোলন। এবার ডাক দেওয়া হয়েছে নবান্ন অভিযানের। মে মাসের ৪ তারিখ দুপুর আড়াইটে নাগাদ হবে নবান্ন অভিযান।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএর (DA) দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে ইতি টানতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই বৈঠকেও মেলেনি রফাসূত্র। তাই বন্ধ হয়নি আন্দোলনও। সেই কারণে এবার নবান্ন অভিযানের সিদ্ধান্ত। যদিও সংগঠনের একাংশের আশঙ্কা, নবান্ন অভিযান করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে রাজ্য সরকার। ৪ মে কেবল নবান্ন অভিযানই নয়, আরও একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। ২৮-২৯ এপ্রিল রাজ্যের সব জেলার সদর দফতরে দুদিন ব্যাপী ধর্নায় বসবেন কমিটির সদস্যরা। কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেন, আমরা যে কেবলমাত্র ডিএর দাবিতেই আন্দোলন করছি, তা নয়।

    আরও পড়ুুন: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করবে না বিজেপি!

    আমাদের অন্যতম দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ, নিয়োগের ক্ষেত্র স্বচ্ছতা, ঠিকা কর্মীদের স্থায়ী পদে নিয়োগের মতো বিষয়গুলিও। তিনি বলেন, এই সব দাবি যতদিন না পূরণ হচ্ছে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। রাজ্যের কোষাগারে প্রতি মাসে ৩৬ টাকা করে ফেরত দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন যৌথমঞ্চের নেতারা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের পাওনা ৩৬ শতাংশ ডিএ (DA)। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তাদের আর্থিক অবস্থা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ডিএ দিতে পারবে না তারা। তাই ট্রেজারিতে ৩৬ টাকা করে অনুদান দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। ৪ মে নবান্ন অভিযানের পর যৌথমঞ্চ মহামিছিল করবে ৬ মে।

    এদিকে, মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতিটি জেলায় শীর্ষ প্রশাসনিক ভবনে সরকারি স্বাস্থ্য স্কিম নিয়ে স্মারকলিপি দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রাজ্যের সব সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত এবং অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল ও মাদ্রাসার সমস্ত শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীকে অন্য সরকারি কর্মীদের মতো হেল্থ স্কিমের সুবিধা দেওয়ার দাবিতে নবান্ন ও বিকাশ ভবনে ডেপুটেশনও দিয়েছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: অয়নের আরও ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ! অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ স্পষ্ট

    Recruitment Scam: অয়নের আরও ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ! অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ স্পষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রোমোটার ও প্রযোজক অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর থেকেই বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার একের পর এক পর্দা উঠেছে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রেই নয় পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। নেতা থেকে মন্ত্রী নাম জড়িয়েছে বহু হেভিওয়েটের। ইডি সূত্রে খবর, সম্প্রতি অয়নের আরও বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। আপাতত যত দূর জানা গিয়েছে, অয়ন শীলের মোট ষোলোটি ফ্ল্যাট রয়েছে। পাশাপাশি গত সপ্তাহেই আরও আটটি ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীরাদের।

    অয়নের আরও ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ

    ইডি সূত্রে খবর, হুগলিতে অয়নের আরও ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এগুলি প্রায় সবই অয়নের বিভিন্ন আত্মীয়ের নামে কেনা। জানা গিয়েছে, শ্বেতা চক্রবর্তীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও নিজের সংস্থার কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাচার করতেন অয়ন।  চাকরি দেওয়ার নাম করে অয়ন শীল বাজার থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে দাবি ইডির। অয়নের বিধাননগরের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে যে নথি উদ্ধার হয়েছে তাতে অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে স্পষ্ট। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দমদম ও বারকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রায় সমস্ত পুরসভা। অত্যন্ত প্রভাবশালীদের মদতে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে সোমবারই এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। সেকথা আদালতকে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অয়ন শীলের ছেলে অভিষেকের বান্ধবী ইমনকেও তলব করেছে সিবিআই। শ্রীরামপুরে থাকেন ইমন। তাঁর নামেও একাধিক সম্পত্তি রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। অয়নের সংস্থার একাধিক কর্মীকেও সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে জেরা করা হচ্ছে। তাঁদের জেরা করে একাধিক তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করবে না বিজেপি!

    Mukul Roy: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করবে না বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে আবেদন করেছিল বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দল। তৃণমূল (TMC) ঘুরে বিজেপিতে ফিরতে মরিয়া মুকুল দিল্লিতে পড়ে রয়েছেন হত্যে দিয়ে। যদিও বিজেপির কোনও শীর্ষ নেতা দেখা করেননি মুকুলের সঙ্গে। এমতাবস্থায় পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের যে আবেদন করা হয়েছিল, তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ভোলবদল…

    দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধের জেরে বছর কয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তরে তাঁকে প্রার্থী করে পদ্মশিবির। তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করে পদ্ম চিহ্ন নিয়ে ওই আসনে হইহই করে জিতে যান মুকুল (Mukul Roy)। এর পর ১১ জুন, ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। সপুত্র মুকুলের ঘর ওয়াপসির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এবং তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলবদলের পুরস্কার স্বরূপ মুকুলকে দেওয়া হয় পিএসি-র চেয়ারম্যানের পদ।

    এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে চিঠি দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের। স্পিকার তাঁর রায় ঘোষণা করলেও, আদলতে বিচারাধীন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন। এহেন আবহে গত ১৭ এপ্রিল আচমকাই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান মুকুল। বীজপুর থানা এবং দমদমের এয়ারপোর্ট থানায় মিসিং ডায়েরি করেন শুভ্রাংশু। পরে জানা যায়, মুকুল গিয়েছেন দিল্লিতে। সেখানেই রয়েছেন। এর পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুকুল বলেন, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। কোনওদিন তৃণমূলে ছিলেন না। তিনি এও জানিয়েছিলেন, বিজেপির সঙ্গে থেকেই কাজ করতে চান। তাই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে এসেছেন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মুকুলের (Mukul Roy) বিজেপিতে ফেরার প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুকুল যখন দলত্যাগ করেছিলেন, তখন তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। তাই তাঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার তা নেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দফতর জানিয়েছে, আবেদন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share