Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: ‘গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’! মমতাকে কটাক্ষ করে আর কী কী বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে’! মমতাকে কটাক্ষ করে আর কী কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একই সঙ্গে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি  তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নদিয়ার শান্তিপুরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে এসে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূলের মধ্যে এখন পিসি তৃণমূল না ভাইপো তৃণমূল, এই নিয়ে লড়াই চলছে। আগে বাবার দরবারে সব পাগল ছিল, এখন পিসির দরবারে পাগলগুলো এসেছে।”

    সুকান্তের দাবি

    বুধবার প্রথমে জাতীয় সড়কে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার বাইক র‍্যালিতে অংশ নেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। এরপরেই শান্তিপুর থানার গোবিন্দপুরে একটি বেসরকারি লজে দলীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুকান্ত। মুকুল রায় প্রসঙ্গে বলেন, “অনেকেরই অনেক কিছু ইচ্ছা হয়। বিষয়টা পুরো ঘোলা জলের মধ্যে রয়েছে আগে পরিষ্কার হোক। উনি এখনও অফিসিয়ালি আমাদের দলের বিধায়ক। যদিও তাঁর পদ খারিজ নিয়ে আমরাই মামলা করেছিলাম। কারণ তিনি তৃণমূলের পতাকা হাতে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।”

    আরও পড়ুন: রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ! নববর্ষের পর ফের জনসভা বাংলায়

    বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে রাজ্যের শিল্প ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে। কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে যেখানে শিল্পবান্ধব পরিবেশ রয়েছে সেখানে শিল্প তৈরি করা হবে। সুকান্তের (Sukanta Majumdar) কথায়, “লাখ লাখ কোটি কোটি বেকার যুবক-যুবতীদের কেউ সরকারি চাকরি দিতে পারবে না। চাকরি হবে শিল্পের মাধ্যমে আর সেটা আমরা করব।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গরমে মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। বলছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যে এসে বলে গিয়েছেন ১৪ তারিখে আর প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন ১৭ তারিখে। তার থেকেই বোঝা যায় ওনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।” তৃণমূল জাতীয় দলের তকমা হারানোর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকেই তিনবার ফোন করেছিলেন বলে দাবি করেন সুকান্ত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পার্থ-অর্পিতার জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল! পরবর্তী শুনানি কবে?

    ED: পার্থ-অর্পিতার জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল! পরবর্তী শুনানি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতার। ১৯ জুন পরবর্তী শুনানি বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। প্রসঙ্গত গত বছরের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বান্ধবী অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। চাকরি প্রার্থীদের নথিও পাওয়া যায়। অন্যদিকে ৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জেলবন্দি আসামি আংটি পড়তে পারেন না। কিন্তু প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কতটা প্রভাবশালী ভাবুন! এখনও হাতে রয়েছে আংটি। ইডির (ED) আইনজীবির এই সওয়ালের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্সির জেলসুপারকে চলতি মাসের ২৬ তারিখে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিল আদালত।

    আরও পড়ুন: আজও চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টি শুরু হচ্ছে কবে?

    আংটি তত্ত্ব…..

    বুধবার পার্থর একটি মামলায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ভার্চুয়াল শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন ইডির (ED) আইনজীবী পার্থর আঙুলের দিকে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। দেখা যায় পার্থর আঙুলে বেশ কিছু আংটি। বিচারক পার্থর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, “আপনি তো জেলবন্দি। আপনার হাতে এতগুলো আংটি কেন? আপনি জানেন না যে, জেলবন্দিদের হাতে আংটি রাখা যায় না?” জবাবে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব বলেন, ‘এগুলো সোনার আংটি নয়। আমি স্বাস্থ্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এগুলো ধারণ করি।

    ইডি-র (ED) আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক এ নিয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে আইনজীবী বলেন, পার্থকে যখন নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করানো হয়েছিল তখন এগুলো খোলা হয়নি। কারণ জেলার ও ডেপুটি জেলারের দায়িত্ব এগুলো দেখার। আঙুলে থাকা আংটিগুলিকে অস্ত্র করে আদালতের সামনে পার্থর প্রভাবশালী হওয়ার তত্ত্ব ফের তুলে ধরেন ইডির (ED) আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ! পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়ছে নেপালে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amartya Sen: ১৫ দিনের মধ্যে অমর্ত্য সেনকে জমি ছাড়ার নির্দেশ দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

    Amartya Sen: ১৫ দিনের মধ্যে অমর্ত্য সেনকে জমি ছাড়ার নির্দেশ দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) জমি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকে সকলের নজর ছিল। উচ্ছেদ নোটিশ দেওয়ার পর থেকে নোবেলজয়ীর জমি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে বলে জল্পনা চলছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এবার ১৫ দিনের মধ্যে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে (Amartya Sen) জমি ছাড়তে বলে বুধবার নোটিশ দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

    নোবেলজয়ীকে (Amartya Sen) দেওয়া বিশ্বভারতীর নোটিশে কী রয়েছে?

    বিশ্বভারতীর দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, অনুমোদিত দখলদার উচ্ছেদ আইন ১৯৭১ ধারা ৫-এর উপধারা ১-এর অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করে ফেরানো হবে বিতর্কিত ১৩ ডেসিমেল জমি। ৬ মের মধ্যে বিশ্বভারতীর প্লট নম্বর ২০১ উত্তর পশ্চিম কোণে ১৯০০/২৪৮৭ সুরুল মৌজার ১৯০০ জেএল নম্বর ১০৪ পাবলিক সম্পত্তির উপর অনুমোদিত দখল জমি খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কর্মসচিব ও এস্টেট অফিসার। ওই সময়সীমার মধ্যে জমি খালি করা না হলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারির পাশাপাশি প্রয়োজনে বল প্রয়োগের মাধ্যমেও খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর আগে ‘প্রতীচী’র গেটে উচ্ছেদের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল, ১৯ এপ্রিল এই জমি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বুধবারই সেই দিন ছিল। এবার তারা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল।

    বিশ্বভারতীকে জবাবি চিঠিতে কী  লিখেছিলেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)?

    ১৭ এপ্রিল বিশ্বভারতীকে জবাবি চিঠি দিয়েছিলেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। অমর্ত্য সেন চিঠিতে লিখেছিলেন, লিজের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত কেমন করে কেউ এই জমি দাবি করতে পারেন? পাশাপাশি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ আরও জানান, ‘প্রতীচী’–র জমির আইনশৃঙ্খলা এবং শান্তিরক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। এই জমি তাঁর বাবার। ১.৩৮ একর জমি অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) নামে মিউটেশন করা হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে। মিউটেশন করার কথা জানানো হলেও বিশ্বভারতী তাঁদের নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ! নববর্ষের পর ফের জনসভা বাংলায়

    Amit Shah: রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় অমিত শাহ! নববর্ষের পর ফের জনসভা বাংলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখেই ফের একবার বাংলায় আসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। নববর্ষের পর ২৫ বৈশাখ। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ মে বঙ্গ সফরে আসতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তীতে শাহ থাকতে পারেন কলকাতায়। যোগ দিতে পারেন রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে। 

    বাংলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সাম্প্রতিক সফরে এসেই অমিত শাহ (Amit Shah) জানিয়েছিলেন লাগাতার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এরাজ্যে আসবেন। বিজেপি সূত্রে খবর, ৮ মে রাজ্যে এসে একটি জনসভাও করবেন শাহ। তবে কোথায় সেই জনসভা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে মুর্শিদাবাদ এবং কৃষ্ণনগর দুই লোকসভা কেন্দ্রকে জুড়বে এ রকম কোনও স্থানেই এই জনসভা হওয়ার কথা। কর্নাটক থেকে এসে সরাসরি এই জনসভায় যোগ দেবেন শাহ। পরের দিন অবশ্য তাঁর সমস্ত কর্মসূচি থাকবে কলকাতায়। ৯ মে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। ওই দিন সকালে অমিত শাহ যাবেন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। সেখানে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। বিকালে সায়েন্স সিটিতে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অপর এক অনুষ্ঠানেও শাহ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    লাগাতার কর্মসূচি বাংলায়

    নববর্ষের দিন বীরভূমের সভা থেকে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বাংলায় ৩৫ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই বাঙালি ভাবাবেগকে প্রাধান্য দিয়ে ভোটবাক্সে জয় নিশ্চিত করতেই বিশ্বকবির জন্মদিনে শাহের ফের বাংলায় আগমন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটও। শাহের কথা অনুযায়ী, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব ও রাজ্যের কর্মীদের সর্বশক্তি নিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাধ্যমে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতেও বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে। দলীয় সূত্রে খবর, তাঁর সাফ নির্দেশ, লাগাতার কর্মসূচি রাখুন। রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করুন। সেই লক্ষ্যেই বাংলায় আবার আগমন শাহের। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এখনও এই সফর নিয়ে কোনও কথা জানানো হয়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rain Forecast: ধেয়ে আসছে ঝড়বৃষ্টি, কবে মিলবে গরম থেকে রেহাই?

    Rain Forecast: ধেয়ে আসছে ঝড়বৃষ্টি, কবে মিলবে গরম থেকে রেহাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমবেশি সব জেলাতেই পারদ ৪০ পেরিয়েছে। হাঁসফাস অবস্থা রাজ্যবাসীর। এরমধ্যেই বৃষ্টি নিয়ে সুখবর এল। তবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে শনিবার পর্যন্ত। আগামী শনিবার দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গের কপাল অবশ্য আজ থেকেই খুলছে। এই বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রাও অনেকটাই কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। প্রসঙ্গত, অত্যধিক গরমে রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল-কলেজে। তবে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও, এখনই কালবৈশাখী বা ঝেঁপে বৃষ্টির মতো আশার আলো দেখাতে পাচ্ছেন না আবহাওয়াবিদরা। ছিটেফোঁটা হালকা বৃষ্টি হবে (Rain Forecast) সপ্তাহের শেষে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বেলা বাড়লেই লু বইবে। গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত। আপাতত ২ দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় দুই থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি থাকবে।

    কোন কোন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা (Rain Forecast), দেখুন একনজরে

    দক্ষিণ ২৪ পরগনা
    উত্তর ২৪ পরগনা
    পূর্ব মেদিনীপুর
    ঝাড়গ্রাম
    বাঁকুড়া
    পশ্চিম মেদিনীপুর
    নদিয়া
    কলকাতা

    তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃষ্টির (Rain Forecast) তালিকায় কলকাতার নাম থাকলেও শনিবার কলকাতার মাটি ভিজবে না। বরং রবিবার থেকে কলকাতা ও তার আশপাশের অঞ্চলে দু’দফায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    উত্তরবঙ্গের বৃষ্টি আজ থেকেই

    পাশাপাশি, আজ উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পংয়েও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের নীচের দিকের তিন জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    আজও সারাদিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত, রাতেও থাকবে অস্বস্তি 

    বুধবার সকাল থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে রোদের তাপ অব্যাহত ছিল। সকাল থেকে পারদ ঊর্ধ্বমুখী। বেলা বাড়তে গরমের দাপট বৃদ্ধি পেয়েছে। লু-ও বয়েছে। রাতের দিকেও গরমজনিত অস্বস্তি থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CPM: দুর্নীতির সমস্ত পরিকল্পনা করেছেন মমতা, তিন ঘণ্টা জেরা করলেই সব বেরিয়ে আসবে, বললেন বিকাশ

    CPM: দুর্নীতির সমস্ত পরিকল্পনা করেছেন মমতা, তিন ঘণ্টা জেরা করলেই সব বেরিয়ে আসবে, বললেন বিকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর মানিক ভট্টাচার্য এবং সবশেষে জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হয়েছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই-এর তদন্ত শুরু হতে চলেছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছে। এরইমধ্যে বুধবার দুপুরে বারাসত জেলা আদালতে একটি মামলার সূত্রে এসে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা সিপিএম (CPM) নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দুর্নীতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সরাসরি দায়ী করলেন। তিনি বলেন, গোটা দুর্নীতিটাই পরিকল্পনা করে করা হয়েছে। আর সেই পরিকল্পনা করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এবং রাজ্যের সচিবালয় থেকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো দু-নম্বরে ছিলেন। আমরা বারবার সওয়াল করেছি, সমস্ত কিছুর জন্যই দায়ী হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সবকিছু বেরিয়ে আসবে। নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন বিকাশবাবু। ফলে, তাঁর এই বক্তব্য যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    মুকুল রায়ের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কী বললেন বর্ষীয়ান সিপিএম (CPM) নেতা?

    মুকুল রায়কে জোর করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায় অভিযোগ করেছিলেন। এর পিছনে বড় টাকার খেলা হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছিলেন। যদিও দিল্লিতে গিয়ে সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছেন বিধায়ক মুকুল রায়। তিনি বলেছেন, কেউ জোর করেনি। আমি স্বেচ্ছায় দিল্লি এসেছি। বিজেপিতে থেকে রাজনীতি করারও তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। এসব নিয়ে যখন তর্ক-বিতর্ক চলছে, তখন তাঁর দিল্লি যাত্রাকে কটাক্ষ করলেন সিপিএম (CPM) নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিকাশবাবু আরও বলেন, মুকুল রায় কি এমনি এমনি দিল্লি গিয়েছেন। মুকুলকে মমতা (Mamata Banerjee) পাঠিয়েছেন। শরীর খারাপের যে কথা বলা হচ্ছে তা সবটাই নাটক। মমতাই তাঁকে পাঠিয়েছেন। আসলে তিনি চেষ্টা করছেন নিজেকে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচাতে। কারণ, তদন্ত যে জায়গায় গিয়েছে, সেখান থেকে তাঁদের বাঁচার কোনও রাস্তা নেই, একমাত্র অমিত শাহ আর নরেন্দ্র মোদির পায়ে ধরা ছাড়া। সেইজন্যই মুকুলকে এজেন্ট করে পাঠানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Road Block: রাস্তা বেহাল, নেই পানীয় জল, ক্ষোভে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    Road Block: রাস্তা বেহাল, নেই পানীয় জল, ক্ষোভে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা প্রবল। জল আনতে যেতে হয় বেশ কিছুটা দূরে। এছাড়া চলাচলের একমাত্র রাস্তাও বেহাল। আর এইসব দাবিকে সামনে রেখে পথ অবরোধ (Road Block) করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তপন ব্লকের জিটিহার মোড় এলাকার ঘটনা। এদিন সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত এই পথ অবরোধ চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে তপন থানার পুলিশ। তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেও অবরোধ তুলতে পারেনি। এরপর ঘটনাস্থলে আসেন তপন ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। ব্লক আধিকারিকদের আশ্বাসের পর পথ অবরোধ তুলে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  

    জল ও রাস্তা নিয়ে কী অভিযোগ বাসিন্দাদের?

    বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও এই সমস্যার সমাধান হয়নি। সেই ক্ষোভেই এদিন তাঁরা একত্রিত হয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ (Road Block) করেন। এর ফলে সকাল থেকেই রাজ্য সড়কে ব্যাপক যানজট লক্ষ্য করা যায়‌। উল্লেখ্য, তপন ব্লকের আওটিনা গ্রাম পঞ্চায়েতের কিরণ স্কুলপাড়া ও আদিবাসীপাড়া এলাকায় প্রায় এক হাজার মানুষের বসবাস। তিন কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা হওয়ার জন্য বর্ষাকালে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া গরম শুরু হতেই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা এতটাই সঙ্গীন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, মেশিন দিয়েও জল ওঠে না। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার পথ পেরিয়ে জল নিয়ে আসতে বাধ্য হন। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে তাঁরা জানান। অবরোধকারীরা বলেন, এখানে একটা জলের বড় ট্যাংকি করা হয়েছে। কিন্তু তা থেকে জল মেলে না। সাব-মার্শিবল থেকেও জল ওঠে না। আমরা অনেক কষ্টে রয়েছি। তাই রাস্তা এবং জলের দাবিতে আমরা এদিন পথ অবরোধ করেছি। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান না হলে আমরা আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করবো।

    কী বললেন জয়েন্ট বিডিও?

    এই বিষয়ে (Road Block) জয়েন্ট বিডিও জয়ন্ত পাঠক বলেন, এদের এই রাস্তা পথশ্রী প্রকল্পে ধরা আছে। রাস্তার কাজ এই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আর জলের একটা সমস্যা রয়েছে। তা মেটানোর জন্য আমরা দুটি গ্রামের মাঝখানে একটি একটি ট্যাংকি বসিয়ে দিয়েছি। সেই সমস্যাটাও এই মাসের মধ্যে মিটে যাবে। আর গ্রামের মাঝখানে কিছু কাঁচা রাস্তা আছে। সেগুলোকে আমরা পাকা করে দিচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arrest: রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার! কে এই ধৃত ব্যক্তি?

    Arrest: রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতার! কে এই ধৃত ব্যক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম অভিজিৎ মণ্ডল। তার বাড়ি কাঁকসা থানার বামুনাড়া এলাকায়। সেখানে একটি বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতো সে। সেই ফ্ল্যাট এখন তালাবন্ধ। রাজু ঝা খুনের ঘটনায় এটিই প্রথম গ্রেফতার (Arrest)। রাজু ঝাকে খুন করার পিছনে ধৃতের ঠিক কী ভূমিকা ছিল, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুন হওয়ার পর বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১২ সদস্যের সিট গঠন করা হয়েছিল। এতদিন ধরে তল্লাশির পর অবশেষে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করতে সমর্থ হল। ধৃত ওই যুবক শিল্পাঞ্চলের দাপুটে এক ব্যবসায়ীর গাড়ির চালক ছিলেন। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পয়লা এপ্রিল, শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে ফিল্মি কায়দায় এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে রাজু ঝা-কে খুন করে দুষ্কৃতীরা। জানা যায়, কয়লামাফিয়া রাজু ঝা দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বেতাজ বাদশা ছিলেন। তাঁর সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম মাথা আব্দুল লতিফও ছিলেন। এই লতিফের দুধসাদা গাড়িতে করেই রাজু ঝা কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়ির পিছনের সিটে বসেছিলেন লতিফ আর ব্রতীন মুখোপাধ্যায়। গাড়ি চালাচ্ছিলেন নুরুল হোসেন নামে একজন। শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে তাঁদের গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। শুটআউটের আগেই গাড়ির চালক নুরুল নেমে গিয়েছিলেন। হামলার সময় রহস্যজনকভাবে লতিফও গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিলেন। নীল রংয়ের একটি গাড়ি থেকে রাজু ঝা-কে গুলি করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, খুন হওয়ার ১৮ দিনের মাথায় একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হল। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের আদি বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি এলাকায়। সে পানাগড় এলাকায় থাকত, চাকরি করত প্রাইভেট কোম্পানিতে। মঙ্গলবার রাতে তাকে দুর্গাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার তাকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। বিচারক ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Kolkata Police: আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    Kolkata Police: আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বারের লাইসেন্সই নয়, আবগারি দফতরে চাকরি করে দেওয়ার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সোমনাথ ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। এমনিতেই সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার এক বাসিন্দার কাছ থেকে বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। আর একজনের কাছ থেকে নিয়েছিলেন ৩৬ লক্ষ টাকা। সঞ্জয়বাবুকে চালানও দিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police)। আবগারি দফতরের সেই চালান যে ভুয়ো, তা পুলিশ তদন্তে জানতে পারে।  সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।

    আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার জন্য কতজনের থেকে টাকা নিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার?

    ধৃত পুলিশ অফিসারের বাড়ি থেকে আবগারি দফতরের কিছু নিয়োগপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছিল। পরে সেই নিয়োগপত্রগুলি খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে, সবই ভুয়ো। আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police) টাকা তুলেছেন বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন। সেইমতো ধৃত পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। তাতে নতুন তথ্য পুলিশের হাতে আসে। জানা যায়, পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন। মূলত বরানগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই এই কারবার চালাতেন। পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার জন্য তিনি মাথাপিছু ৪ লক্ষ টাকা করে নিতেন। এইভাবে আটজনের কাছ থেকে মোট ৩২ লক্ষ টাকা তিনি তুলেছেন। উত্তরপাড়া এলাকায় এরকম বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে তিনি টাকা নিয়েছিলেন। এমনকী বারের লাইসেন্স দেওয়ার নাম করে যে সঞ্জয় বসুর কাছে থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে আবগারি দফতরে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। এজন্য তাঁর কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিলেন। কলকাতা এবং দক্ষিণেশ্বর এলাকাতেও অনেকের কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছিলেন। আর কার কাছ থেকে তিনি টাকা তুলেছিলেন, তা তদন্তকারী আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ফ্রিজ করা হল জীবনকৃষ্ণের ৮ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! যুক্ত আর কোন কোন নেতা, খতিয়ে দেখছে সিবিআই

    Recruitment Scam: ফ্রিজ করা হল জীবনকৃষ্ণের ৮ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! যুক্ত আর কোন কোন নেতা, খতিয়ে দেখছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক শাসকদলের বিভিন্ন নেতা ও এজেন্টের মাধ্যমে ২০১৫ সালের পর থেকে নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) চালিয়ে গিয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রের অভিযোগ। বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সিবিআই এখন খতিয়ে দেখছে, শাসকদলের আর কোন কোন নেতানেত্রীর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) জীবনকৃষ্ণের যোগ ছিল। পাশাপাশি চলছে ওই তৃণমূল বিধায়কের বিপুল বিষয়সম্পত্তি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য যাচাইও।

    ৮টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত জীবনকৃষ্ণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কয়েক কোটি টাকার লেনদেনের হদিশ মিলেছে ওই সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এরমধ্যে ৮টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। তাছাড়া মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে জীবনের বহু সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, ৬৮ ঘণ্টা তল্লাশির পরে সোমবার ভোরে জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করছেন তদন্তকারীরা।

    জীবনকৃষ্ণের মূল এজেন্ট কৌশিক ঘোষের বয়ানের ভিত্তিতেই বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই

    তল্লাশির সময় বিধায়ক দু’টি মোবাইল ফোন পানাপুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। পাম্প চালিয়ে পুকুরের জল ছেঁচে সেই মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে সিবিআই। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে সেই ফোন ঘেঁটে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীদের ধারণা, ওই মোবাইল থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে। জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নথিপত্র উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতে সিবিআই সূত্রের দাবি, এসএসসি এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে বিধায়কের যোগসূত্র মিলেছে। নিয়োগ-দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জীবনকৃষ্ণের মূল এজেন্ট কৌশিক ঘোষ জেল হেফাজতে আছেন। তাঁর বয়ানের ভিত্তিতেই জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল।

    সিবিআইয়ের দাবি, বিধায়কের বাড়ি থেকে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা, সুপারিশপত্র ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি যাচাই করা হচ্ছে। দুর্নীতির টাকা নামে-বেনামে ব্যবসায় নিয়োগের পাশাপাশি আর কার কার কাছে গিয়েছে, তারও খোঁজ চলছে সমানে। নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে (Recruitment Scam) জীবনকৃষ্ণের হয়ে আর কে কে এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন, সেই বিষয়েও খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share