Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Mukul Roy: ‘‘আবার বিজেপি করব’’! দিল্লিতে দাবি মুকুল রায়ের, গুরুত্ব দিতে নারাজ পদ্ম-শিবির

    Mukul Roy: ‘‘আবার বিজেপি করব’’! দিল্লিতে দাবি মুকুল রায়ের, গুরুত্ব দিতে নারাজ পদ্ম-শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়োজনে ফের তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানালেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। তিনি বলেন, ‘অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করব, বিজেপিতে গিয়ে রাজনীতি করব। কৈলাস বিজয়বর্গীর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনিই থাকার ব্যবস্থা করেছেন। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমি বিজেপি বিধায়ক, সেই হিসেবেই থাকার ব্যবস্থা করেছে দল।’

    মুকুলের দাবি

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লি যাওয়ার পর থেকেই মঙ্গলবার রাজনৈতিক মহল থেকে নানারকম প্রতিক্রিয়া মিলেছে। মুখ খুলেছেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়। শুভ্রাংশুর দাবি, তাঁর বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ। দিল্লি যাওয়ার জন্য তাঁকে কোনও একটি সূত্রে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় (Mukul Roy) বলেন, ‘শুভ্রাংশু জানে আমি কোথায়। আমার সঙ্গে ফোনে ও কথা বলেছে। বিজেপিতে এলে ভালই হবে শুভ্রাংশুর। ওর পরিবারের জন্যও ভাল হবে। শরীর ভাল ছিল না বলে কিছুদিন পুরোমাত্রায় রাজনীতি করতে পারিনি। এখন শরীরটা সুস্থ হয়েছে। তাই ফের রাজনীতির ময়দানে।’

    বিজেপি কী বলছে?

    খাতায়কলমে বিজেপি বিধায়ক হলেও মুকুলের সঙ্গে বিজেপির এখন দূরত্ব অনেক। তাঁর বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে সরব গেরুয়া শিবির। যদিও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মুকুল (Mukul Roy) এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন। তাই তিনি বিজেপির বিধায়ক। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সেভাবে কেউই গেরুয়া শিবিরের অবস্থান স্পষ্ট করেননি।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হুগলিতে সমাবেশের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুকুল রায়কে নিয়ে বাংলা বিজেপির কোনও আগ্রহ নেই।’’ অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার বলছেন, ‘‘মুকুল রায় তাঁর রাজনৈতিক আদর্শের কারণে আমাদের দল ছেড়েছেন। দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেননি বা অন্য কোনও বিজেপি নেতার সঙ্গে আলোচনাও করেননি।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘উনি তো বিধায়ক। গত ৬ মাস ওঁর কোনও খবর পেয়েছেন? উনি ‘লস্ট কেস’। ওঁকে নিয়ে মাথা ঘামানোর কারোর সময় নেই।’’

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ফিরল মাস্ক যুগ! কাদের সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিল নবান্ন

    তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলে রয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। পরে ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তারপরে আবার ২০২১ সালে তৃণমূল ভবনে গিয়ে উত্তরীয় পরেন। যদিও তিনি দাবি করেন, তিনি কোনওদিন তৃণমূলে ফেরেননি। মমতার সামনে অভিষেকের কাছ থেকে উত্তরীয় পরেও তৃণমূলে ফেরার কথা অস্বীকার করেন। যদিও এদিন তিনি বলেন, ‘‘আমি তৃণমূল আর করব না। এটা শিওর। হান্ড্রেড পার্সেন্ট করব না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: জাতীয় দলের তকমা বাঁচাতে শাহকে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার হলে এক মাসের মধ্যে সিঙ্গুরে (Singur) টাটাকে (TATA) এনে শিল্প হবে। মঙ্গলবার সিঙ্গুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে এবং সিঙ্গুরে শিল্প গড়ে তোলার দাবিতে আয়োজন করা হয়েছিল ওই সভার। তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, এরকম স্ট্রং অপজিশন গত ১২ বছরে দেখেনি মমতা সরকার। এর আগে সিপিএমের অপজিশন লিডার সূর্যকান্ত মিশ্র ছিলেন, সেটিং করে নিয়েছিলেন। কংগ্রেস ছিল তাকেও সেটিং করা গিয়েছিল। কিন্তু বিজেপিকে করা যায়নি। তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় যদি কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসা করা যায়, তাঁর অফিসের সবাইকে জেরা করা যায়, তাহলে যথেষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মমতা ব্যানার্জির ওপর কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সিবিআই?

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    এদিন সভা হয়েছে সিঙ্গুর বিধানসভার অন্তর্গত বড়া হাওয়াখানা ময়দানে। সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ শুভেন্দু যখন জনসভায় পৌঁছন তখন মাঠে উপচে পড়া ভিড়। এদিনের মঞ্চে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, বিধায়ক বিমান ঘোষ, খগেন মুর্মুর মতো বিজেপির হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, কৃষি জমি ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে মমতা সিঙ্গুর আন্দোলন করেননি। তিনি সব থেকে বড় সর্বনাশ করে গিয়েছেন টাটার কারখানা ধ্বংস করে। সিপিএমের জমি নীতির বিরোধিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৮৯৪ সালের ব্রিটিশদের জমি আইন বস্তাপচা ছিল। আমরা কিন্তু শিল্পের পক্ষে। শুভেন্দু বলেন, ১৬ দিন এখানে বসে ড্রামা করে টাটাকে তাড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তাহলে টাটাকে ফুলের মালা পরিয়ে রাজ্যে আনা হবে।

    আরও পড়ুুন: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    তিনি বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পে দুর্নীতি ধরা পড়েছে। জলজীবন প্রকল্পকে নিজেদের নামে করতে চায় তৃণমূল সরকার। তিনি বলেন, এখন তৃণমূলের দুয়ারে সিবিআই চলছে। শুভেন্দু বলেন, সর্বভারতীয় তকমা সরতেই মরিয়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জাতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে চারবার ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অমিত শাহজি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন যা করেছে, নিয়ম মেনেই করেছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহকে গুন্ডা বলেছেন। ওদিকে তাঁকে চারবার ফোন করে পা ধরেছেন। বলছেন, ২০২৪ পর্যন্ত আমার রাষ্ট্রীয় তকমাটা রাখা যাবে না? জবাবে অমিত শাহজি স্পষ্ট বলেছেন, আপনি তো ভোট পাননি। সেই নিয়মে আপনি আর সর্বভারতীয় নন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Jiban Krishna Saha: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    Jiban Krishna Saha: গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা জীবন কৃষ্ণের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সোমবার ভোরে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। সিবিআই সূত্রে খবর, জীবনকৃষ্ণের সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। এর পাশাপাশি রয়েছে বেনামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে ৪টি রয়েছে ওই তৃণমূল নেতার নামে। তাঁর স্ত্রী টগরী সাহার নামে রয়েছে ৩টি অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে কত টাকা লেনদেন হয়েছে, কত টাকাই বা রয়েছে, সে সংক্রান্ত যাবতীয় নথি ব্যাঙ্কের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, কেবল মুর্শিদাবাদ নয়, তৃণমূল বিধায়কের অ্যাকাউন্ট রয়েছে বীরভূমেও। এই দুই জেলা ছাড়াও অন্য কোথাও কোনও অ্যাকাউন্ট বিধায়কের রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) সম্পত্তি…

    জানা গিয়েছে, বীরভূমের সাঁইথিয়া, তালতোড়, তাতারপুর, বাঁধগোড়া ছাড়াও মুর্শিদাবাদের আন্দিতে জীবন (Jiban Krishna Saha) ও তাঁর স্ত্রীর নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। বোলপুরের তাতারপুর, বাঁধগোড়া, তালতোড় মৌজায় তাঁর জমি রয়েছে ১৩০ কাঠারও বেশি। জীবনের নামে এই সমস্ত জমি রেকর্ড হয়েছে ২০১৩-’২২ সালের মধ্যে।সাঁইথিয়ায় একটি চালকল, দুটি হিমঘর, একটি বাড়ি ছাড়াও সাঁইথিয়া থানার লাউটরি মৌজায় প্রায় ২২ কাঠা জমিও রয়েছে এই তৃণমূল বিধায়কের। সব মিলিয়ে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেশ কয়েক কোটি টাকা। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪ সালে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি বিক্রির দালাল হিসেবে কাজ করতেন জীবনকৃষ্ণ। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি টাকা তুলতে শুরু করেন। সেই সময়ই তিনি প্রচুর টাকা কামান। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই রাজনৈতিক মহলে পরিচিত জীবনকৃষ্ণ। সিবিআইয়ের দাবি, গরু পাচারেও উঠে আসছে তাঁর নাম।

    আরও পড়ুুন: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ (Jiban Krishna Saha)। কমিশনের কাছে পেশ করা এডিডেভিটে তিনি জানিয়েছিলেন, বন্ধন ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্টে ৪০ লক্ষের সামান্য বেশি কিছু টাকা রয়েছে তাঁর। ওই ব্যাঙ্কেই স্ত্রীর নামে রয়েছে ২৮ লক্ষ টাকা। স্টেট ব্যাঙ্কের কুলি শাখায় তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে ১৪ লক্ষ টাকা। বাকি অ্যাকাউন্টগুলির কোনওটায় ৮ লক্ষ, কোনওটায় বা ৫-৬ লক্ষ টাকা রয়েছে। পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্টে তাঁর নামে রয়েছে ১৫ লক্ষ টাকার। এমতাবস্থায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ কীভাবে বেশ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল কীভাবে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দমকলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার (Tapas Saha) বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। অতএব নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তেহট্ট-র বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে সিবিআই। রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখার হাত থেকে তদন্তভার গেল সিবিআইয়ের হাতে। অবিলম্বে সিবিআইকে নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত (Calcutta High Court)। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কার্যকরের ওপর স্বল্প সময়ের স্থগিতাদেশ চায় রাজ্য। যদিও রাজ্যের এই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মান্থা।

    বিধায়ক হিসাবে তদন্তে প্রভাব

    এই ঘটনার তদন্ত করছিল রাজ্য পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির এই ক্ষেত্রেও সিবিআই তদন্ত দাবি করে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী অফিসার অনুপম দাস যোগ্যতার সঙ্গে তদন্ত করছেন। গ্রেফতার হওয়া তিন জনের জামিন আটকাতে তিনি যে রিপোর্ট দিয়েছেন নিম্ন আদালতে তাও প্রশংসনীয়। কিন্তু তাপস সাহাকে তিনি ছুঁতে পারছেন না। এখানেই হাইকোর্ট মনে করছে, বিধায়ক হিসাবে তদন্তে প্রভাব খাটাচ্ছেন তিনি।

    তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১৬ কোটি টাকা নিয়েছেন তাপস। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ২০১৮ সাল থেকে চাকরি দেওয়ার নামে ৫ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে হাই কোর্টে মামলা করেন বিজেপি নেতা-আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। মঙ্গলবার হাই কোর্টের নির্দেশের পর আইনজীবী তিওয়ারি বলেন, ‘‘প্রাইমারি (প্রাথমিক), আপার প্রাইমারি (উচ্চ প্রাথমিক), এসএসসি, দমকল, ডব্লিউবিসিএস, আইসিডিএস-সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগে দুর্নীতিতে তাপস সাহার নাম আসে। পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। তাপসের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার হন। তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়। এক বছর ধরে চার্জশিট পেশ হয়নি। কেন তাপসকে ডাকা হয়নি, আদালতের (Calcutta High Court) এই প্রশ্নে কোনও উত্তর দিতে পারেনি তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই হবে না, জনসাধারণের কাছে বিশ্বাস যোগ্য হতে হবে যে তদন্ত স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই একাধিক চার্জশিট পেশ করেছে। হাইকোর্টের নজরদারিতে চলছে সিবিআই-এর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত। এই অবস্থায় প্রভাবশালী তাপস সাহার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত অন্য সংস্থা (ACB) কে দিয়ে করানো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে৷ তাই তাপস সাহার বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vice Chancellor: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ৫ শিক্ষাবিদ, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি পুনর্গঠনে সায় রাজ্যের

    Vice Chancellor: রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ৫ শিক্ষাবিদ, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি পুনর্গঠনে সায় রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষা (Education) ব্যবস্থার হালহকিকত খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। এই ঘটনায় রাজ্য-রাজভবনের সংঘাত বেড়েছে। রাজ্যপালের এই সারপ্রাইজ ভিজিটে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এহেন আবহে সোমবার রাজভবনে রাজ্যের পাঁচ শিক্ষাবিদকে নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, সুকান্ত চৌধুরী, শুভঙ্কর সরকার, কাজল দে এবং শিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এদিন মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে সর্বাগ্রে ছিল জাতীয় শিক্ষানীতি (Vice Chancellor)। ডিস্টেন্স লার্নিং ও রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলি নিয়েও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রকে নো কনফ্লিক্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। সকলের জন্য লাইব্রেরি, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্ত করা ও ভাবনা-চিন্তা আদানপ্রদানের বিষয়েও আলোচনা হয়।

    উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগে সার্চ কমিটি…

    এদিকে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটির পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে অর্ডিন্যান্স তৈরির জন্য সোমবার অনুমোদন মিলেছে রাজ্য মন্ত্রিসভার (Vice Chancellor)। আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটিতে তিনজনের পরিবর্তে থাকবেন পাঁচজন সদস্য। ইউজিসির প্রতিনিধিকেও ফিরিয়ে আনা হবে। থাকবেন রাজ্যপালের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট বা কোর্টের প্রতিনিধি, উচ্চ শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। সেই মতোই পাশ হয়েছে অর্ডিন্যান্স। সম্প্রতি নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সেখানকার সব চেয়ে সিনিয়র শিক্ষক চন্দন বসুকে দায়িত্বভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। নিয়ম অনুযায়ী, উপাচার্য পদে বসতে হলে প্রফেসর হিসেবে অন্তত ১০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। চন্দন বসুর তা নেই। এমতাবস্থায় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে সিনিয়র শিক্ষকদের তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    আরও পড়ুুন: ‘আতিকের খুনিদের সঙ্গে যোগ নেই বজরং দলের’, দাবি ভিএইচপি নেতার

    এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে ফাঁকা রয়েছে উপাচার্যের পদ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদও শূন্য হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী অস্থায়ী উপাচার্যের (Vice Chancellor) নামের প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাই এবার তিনি কী করেন, তা দেখার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই বা তিনি কী করেন, সেটাও দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Private Buses at Kolkata: যত বাড়ছে গরম, ততই রাস্তায় কমছে বাস! নাকাল হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা

    Private Buses at Kolkata: যত বাড়ছে গরম, ততই রাস্তায় কমছে বাস! নাকাল হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদিফাটা গরমে সকাল ৯টার পরে আর বাইরে বেরতে চাইছেন না কেউ। কিন্তু রুজি রুটির টানে গরম উপেক্ষা করেও রাস্তায় বেরতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। ঠিক তখনই দেখা মিলছে না সরকারি বেসরকারি বাসের (Private Buses at Kolkata)। এতে সমস্যায় পড়ছেন অফিস যাত্রীরা। তাঁদের একাংশের মতে, যে বাস ৩০ মিনিট অন্তর আমরা পেতাম, তা আসছে প্রতি দেড় ঘণ্টা অন্তর। কাঠফাটা রোদে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা, তারপর আবার গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি। নাজেহাল হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা।  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একসপ্তাহের জন্য বন্ধ আছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু অফিস–কাছারি তো খোলাই। সেখানে কোনও গরমের ছুটি নেই। তাই রাস্তায় দেখা যাচ্ছে অফিস যাত্রীদের। জানা গিয়েছে, কর্মী-সঙ্কটের জেরে একাধিক রুটে কোথাও ৩০ শতাংশ আবার কোথাও ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাস কম চলছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা ৪৮বি, ২০২, ২১৯, ৯১, ৯১সি রুটের। এই রুটগুলির কোনওটিতে ৪০টি বাস থাকলেও সপ্তাহখানেক ধরে ২৫টি বাস রাস্তায় নামছে, কোথাও আবার ৪৫টির মধ্যে গড়ে প্রতিদিন নামছে ৩০টি।

    কেন এই সংকট

    মুখ্যমন্ত্রীর ছুটি ঘোষণার পর পড়ুয়া ও অভিভাবকরাই একমাত্র রাস্তায় নেই। আর এই তীব্র দাবদাহে বেরচ্ছেন না অনেকেই। আর তার জেরে যাত্রী কমে যাওয়ায় বেলা গড়াতেই রাজ্যজুড়ে কমতে শুরু করেছে বেসরকারি বাস এবং মিনিবাস (Private Buses at Kolkata)। অন্য একটি মত হল, বাস কর্মীরাও গরমে কাজে আসতে চাইছেন না। মাঝে মধ্যে তীব্রগরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বাস চালকরাও।

    সমাধান কী

    ঠিক কী ঘটতে চলেছে?‌ সূত্রের খবর, বাস ইউনিয়নগুলি নতুন করে ডিউটি রোস্টার তৈরি করতে চলেছে। কারণ বাসের (Private Buses at Kolkata) ইঞ্জিন অসহ্য গরম হয়ে যাওয়ায় চালকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই চালকদের চারদিনের বদলে দু’দিন করে ডিউটি করার কথা ভাবা হয়েছে। তাপপ্রবাহের জেরে চালক ও কনডাক্টরদের মধ্যে ওআরএস বিলি করা হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling:  দার্জিলিংয়ে উধাও ঠান্ডা! হতাশ পর্যটকরা

    Darjeeling: দার্জিলিংয়ে উধাও ঠান্ডা! হতাশ পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমে হাঁসফাঁস করছে গোটা রাজ্য। এবার এপ্রিল মাস পড়তে না পড়তেই দাবদাহে জনজীবন নাজেহাল। এই অসহনীয় গরম থেকে রেহাই পেতে কয়েকদিনের জন্য একটু শীতলতার খোঁজে দার্জিলিঙে (Darjeeling) পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কিন্তু, যে আশায় দলে দলে পর্যটকরা আসছেন, এখানে এসে তারা হতাশ হয়ে পড়ছেন। কারণ, এখন দার্জিলিং-এর  তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। ফলে, প্রত্যাশা মতো সেরকম ঠান্ডা এখন নেই দার্জিলিংয়ে (Darjeeling)। কালিম্পঙে গরম আরও বেশি, সেখানে তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি। শীতের আমেজে কয়েকটা দিন পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যটকরা। এই অস্বাভাবিক গরমে  শীতলতার খোঁজে সকলের পক্ষে কাশ্মীর যাওয়া সম্ভব নয়। তাই এবার এপ্রিলের শুরুতেই অস্বাভাবিক গরম পড়ায় দক্ষিণবঙ্গ থেকে দলে দলে পর্যটক পাহাড়ে বেড়াতে আসতে শুরু করেছেন।

    দার্জিলিং (Darjeeling) ঘুরতে এসে পর্যটকরা কী বলছেন?

    পর্যটকরা হতাশ হলেও একটু স্বস্তিতে রয়েছেন। বারাসতের সুধীর রঞ্জন সরকার, গড়িয়ার দীপেন ঘোষ বা পাইকপাড়ার শ্যামল সাহা সকলেরই বক্তব্য, দার্জিলিং-এ (Darjeeling) ঠান্ডা পাবো ভেবেই এসেছিলাম। কিন্তু, সেই ঠান্ডা নেই। এখানে তাপমাত্রা বেশি হলেও স্বস্তি রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে অসহনীয় গরমের মধ্যে থাকতে হয়, আর এখানে গরম সহ্য করা যাচ্ছে। এটাই স্বস্তি। তবে, যতটা আরাম পাব বলে আশা করেছিলাম,তাতে আশাহত হয়েছি।

    কী বললেন উত্তরবঙ্গের এক ট্যুর অপারেটর?

    উত্তরবঙ্গের অন্যতম ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল বলেন, অনেকেরই তিন মাস আগে থেকেই দার্জিলিং-এ (Darjeeling) আসার সবকিছু ব্যবস্থা করা ছিল। কাজেই সেই পর্যটকরা এসময় আসবেন জানাই ছিল। কিন্তু, হঠাৎ করে গরম পড়ায় কলকাতার দিক থেকে হিসেবের বাইরে দলে দলে পর্যটক আসছে। ফলে দার্জিলিং-এ হোটেল থেকে শুরু করে হোমস্টে কোথাও জায়গা নেই। এই সময় দার্জিলিং-এ ঠান্ডা থাকবে ভেবে অনেকেই হালকা গরম জামা কাপড় এনেছিলেন। কিন্তু দার্জিলিং-এ (Darjeeling) পৌঁছে পর্যটকদের যে তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তাতে সেই হালকা গরম পোশাক বাক্সবন্দী হয়ে রয়েছে। সমতলের মত পাতলা পোশাকে দিব্যি দার্জিলিং-এর ম্যাল চৌরাস্তা, চিড়িয়াখানা,মহাকাল মন্দির সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই সময় ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। গত ৩ এপ্রিল সান্দাকফুতে বরফ পড়ায় দার্জিলিং-এর (Darjeeling) তাপমাত্রা অনেকটাই নেমে যায়। তখন পুরোপুরি ঠান্ডা ছিল। অসময়ের এই তুষারপাতে খুশি হয়েছিলাম। পর্যটকরাও বরফ দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, তার কয়েকদিন পর থেকেই হঠাৎ করে দার্জিলিং-এর (Darjeeling) তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দা বিক্রম রাই বলেন, এতদিন শুনে এসেছি ক্লাইমেট চেঞ্জ হচ্ছে উষ্ণায়নের জন্য। এখন সেটা চোখের সামনে দেখছি। প্রকৃতির এই বিরূপ চেহারায় পাহাড়ও উত্তপ্ত হচ্ছে।

    হোটেল মালিকরা কী বলছেন?

    এদিকে এবার এই গরম পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি হোটেল মালিকরাও সিলিং ফ্যান কেনার কথা ভাবছেন। এক হোটেল মালিক বলেন, এতদিন দাজিলিং-এ ফ্যান লাগতো না। এখন যে ভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে হোটেলে এবার ফ্যান লাগাতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital:‘‘রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা আনিবেন’’! সরকারি হাসপাতালে পোস্টার-বিতর্ক

    Hospital:‘‘রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা আনিবেন’’! সরকারি হাসপাতালে পোস্টার-বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীরা হাসপাতালে যান চিকিৎসা করে সুস্থ হতে। কিন্তু তথাকথিত উন্নয়নের জোয়ার বয়ে যাওয়া এই বাংলায় এমনও হাসপাতালের (Hospital) খোঁজ মিলল, যেখানে গিয়ে রোগীরা আধমরা হয়ে ফিরছেন। কেন এই শোচনীয় অবস্থা, তার উত্তর অবশ্য অনেকের কাছেই সহজ। রাজ্যজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে দুঃসহ অবস্থা মানুষের। বাড়িতে পাখার হাওয়া গায়ে লাগিয়েও তা থেকে যেন নিস্তার মিলছে না। এরকম একটা অবস্থায় কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিশাল সংখ্যক রোগীর জন্য যদি গুটিকয়েক পাখা থাকে, তাহলে কী অবস্থা হতে পারে, তা সহজেই অনুমেয়। ফলে প্রচণ্ড গরমে রোগীরা অসহনীয় কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। রোগী এবং তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে। এই অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।

    কোন পোস্টার ঘিরে শোরগোল?

    “ক্ষীরপাই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Hospital) করুণ দশা। রোগী ভর্তি করিতে আসিলে সঙ্গে করে পাখা বা ফ্যান আনিবেন।” হাসপাতালের বাইরে কে বা কারা এরকমই পোস্টার সেঁটে দিয়েছে। আর এটা নিয়েই এখন শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। কিন্তু কে এই পোস্টার লাগালো, তার হদিশ এখনও মেলেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব, তারা এ ধরনের কোনও পোস্টার লাগায়নি। 

    পাখা নিয়ে কী জানাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?

    হাসপাতাল (Hospital) কর্তৃপক্ষের দাবি, একটি মাত্র পাখা আছে বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। হাসপাতালে যতগুলি পাখার পয়েন্ট রয়েছে, সবকটিতেই পাখা লাগানো আছে। হাসপাতালে মোট শয্যাসংখ্যা হল ৬০ এবং ফ্যান রয়েছে ১২টি। অর্থাৎ এক একটি ফ্যানের জন্য পাঁচজন রোগী রয়েছেন। ফলে সেই হওয়া যে সব রোগীর গায়ে লাগে না, সেকথা তারা স্বীকার করেছে। এই সমস্যা কাটাতে কিছু দেওয়াল ফ্যানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তারা জানিয়েছে।

    কী জানালেন চন্দ্রকোনা ১ ব্লকের বিডিও? 

    ক্ষীরপাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি (Hospital) চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের মধ্যে পড়ে। এখানকার বিডিও জানিয়েছেন, তিনি এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও অভিযোগপত্র পাননি। তবে এই ঘটনার কথা তাঁর কানে পৌঁছেছে। সেই কারণে বিষয়টি দেখার জন্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    Mukul Roy: বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে বড় টাকার খেলা রয়েছে, মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধায়ক মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দিল্লি যাত্রা নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তিনি কি অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন, তা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার রাতেই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রহস্যজনকভাবে মুকুল রায় নিখোঁজ হয়ে যান বলে খবর রটে যায়। যা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় বিষয়টি নিয়ে থানারও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও তখনও পর্যন্ত মুকুল রায়ের (Mukul Roy) অবস্থান সম্পর্কে কারও কিছু জানা ছিল না। পরে জানা যায়, তিনি দিল্লি গিয়েছেন। আর তাঁর দিল্লি যাত্রা নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই মুখ খুললেন শুভ্রাংশু রায়।

    কী বললেন শুভ্রাংশু রায়?

    মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে সংবাদিক সম্মেলন করে শুভ্রাংশু রায় বলেন, বাবার মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নয়। বাবার (Mukul Roy) ব্রেন অপারেশন হয়েছে। পারকিনসন, ডিমেনশিয়া রয়েছে। হাই সুগার, হাই প্রেসার। সিরোসিস অব লিভার রয়েছে। দিনে ১৮ টা ওষুধ খান। ইনসুলিন নেন। বাবার দিল্লি যাত্রার পিছনে কোনও বড় টাকার খেলা রয়েছে। আমাকে না জানিয়ে দুই সঙ্গীকে নিয়ে দিল্লি গেছে বাবা। মুখ্যমন্ত্রী সোমবার দুপুরে বাবার শারীরিক অবস্থা জানতে ফোন করে খোঁজ নিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদনাম করার জন্য রাজনীতি করা হচ্ছে। বাবাকে বিমানবন্দর থেকে ফেরাতে চেষ্টা করেছিলাম। সিআইএসএফ কোনওরকম সাহায্য করেনি। এয়ারপোর্ট থানায় বলেছি।

    বাবার কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? প্রশ্ন শুভ্রাংশু-র

    শুভ্রাংশু রায় আরও বলেন, বাবার (Mukul Roy) কাছে এক টাকাও ছিল না, তাহলে কীভাবে টিকিট কাটলেন? বাবা এখন বেতন পান মাত্র একুশ হাজার টাকা। এজেন্সি একজন অবাঙালি ছেলেকে পাঠিয়ে ৫০ হাজার টাকা বাবার (Mukul Roy) হাতে দিয়েছে। অসুস্থ মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আমাদের পরিবারের পাশে অভিষেক ব্যানার্জি যেভাবে দাঁড়িয়েছে, তা কোনওদিন ভুলতে পারবো না। অসুস্থ মানুষ সেটিং করতে পারে? আমি চাই, বাবা রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নাতি-নাতনি নিয়ে থাকুন। পরিবারের সঙ্গে কাটান। পুলিশ সবরকম সহযোগিতা করছে। প্রথম কাজ বাবাকে (Mukul Roy) ফিরিয়ে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা। এয়ারপোর্ট থানা ও বিধাননগরের সিপি চেষ্টা করছেন। দিল্লি পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না। আর বাবা দিল্লিতে কোথায় আছে তা জানতে পারিনি। কারণ, বাবার ফোন সুইচড অফ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    SSC Scam: ভাঙড়ের মাঠে সরকারি নথি পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ! ঘটনাস্থলে পৌঁছে কী দেখল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙড়ের আন্দুল গড়িয়াতে পাঁচিল ঘেরা এলাকার মধ্যে সরকারি নথি পোড়ানোর অভিযোগ উঠল। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই নথি পোড়ালো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিবিআই-এর একটি দল। সিবিআই আধিকারিকরা আপাতত পুড়ে যাওয়া নথিতে কখনও বালি, কখনও নিজেদের বোতল থেকে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। জ্বলন্ত কাগজ ধরতে গিয়ে হাত পুড়ছে আধিকারিকদেরও। 

    কী ঘটেছিল

    স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূল নেতা সকালে লরি বোঝাই কাগজপত্র নিয়ে যান ভাঙড়ের আন্দুলবেড়িয়ার বাগানবাড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি মাঠে। সেখানে কাগজগুলি একসঙ্গে জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকেই খবর পায় সিবিআই। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। কাগজে সরকারি স্ট্যাম্প দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, সেগুলো নিয়োগ (SSC Scam) সংক্রান্ত কোনও নথির হতে পারে। কারণ যে তৃণমূল নেতারা লরিতে কাগজ এনেছিলেন, স্থানীয় এলাকায় তাঁরা আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। 

    আরও পড়ুন: ‘অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য এক হাজার বার গুন্ডামি করব’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    নথি উদ্ধারের চেষ্টা

    আগুন নিভিয়ে অর্ধেক পুড়ে যাওয়া নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বেশ কিছু আধপোড়া নথি উদ্ধার করা হয়েছে। আগুনে বালি ফেলে নিভিয়ে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই মুহূর্তে সেখানে রয়েছেন সাত থেকে আট জনের সিবিআই আধিকারিকের দল। গোটা বাগানবাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই নথিতেই হয়তো কোনও বড় ‘ক্লু’ ছিল, সেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছিল। সকাল থেকেই স্থানীয় বাসিন্দাদের চোখে পড়েছে, লরি লরি কাগজ এনে জমা করা হয়েছে বাগানবাড়িতে। যে বাগানবাড়িতে নথি পোড়ানো হয়েছে, তার মালিকানা হিসাবে নাম উঠে আসছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম মণ্ডল ও রাকেশ রায় চৌধুরীর। বাগানবাড়ির চতুর্দিকে কালো ছাই পড়ে রয়েছে। সেখান থেকেই ঝলসে যাওয়া কাগজের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করছেন আধিকারিকরা। পুড়ে যাওয়া এই নথির সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) সম্পর্ক থাকতে পারে,বলে মনে করছে সিবিআই। সেই কারণেই তারা তড়িঘড়ি এলাকায় ছুটে গিয়ে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share