Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Amit Shah: অনুব্রতর গড়ে অমিত শাহের সভা, সাজো সাজো রব সিউড়িতে

    Amit Shah: অনুব্রতর গড়ে অমিত শাহের সভা, সাজো সাজো রব সিউড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাটআউট, পোস্টার আর গেরুয়া পতাকায় ছয়লাপ অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমের জেলা সদর শহর সিউড়ি। সাজো সাজো রব। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাসক থেকে বিরোধী, সকলেই প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছে। এরই মাঝে বাংলায় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার সিউড়ির বেণীমাধব স্কুলের মাঠে একটি জনসভা করবেন শাহ। তার আগে বুধবার সন্ধ্যায় সিউড়িতে বেণীমাধব স্কুলের মাঠ পরিদর্শন করেছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। অমিত শাহের সভার প্রস্তুতি দেখে খুশি সুকান্ত। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। 

    সিউড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কী কী কর্মসূচি রয়েছে?

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দুর্গাপুর এয়ারপোর্টে পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে সিউড়ি যাবেন তিনি। শহরের দুটি জায়গায় হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। সিউড়ির মাটিতে পা দিয়ে তিনি সোজা সার্কিট হাউস চলে যাবেন। এরপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ বেণীমাধব স্কুলের মাঠে জনসভা করবেন। বিকেল ৪ টে নাগাদ সিউড়ি থেকে ফের দুর্গাপুর হয়ে সাড়ে ৫ টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছবেন। এরপর সন্ধ্যায় দলের নেতাদের সঙ্গে দফায়-দফায় বৈঠক করবেন শাহ। পরদিন শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    অমিত শাহের (Amit Shah) সভার প্রস্তুতি কেমন হয়েছে, বুধবার বীরভূমে এসে তা ঘুরে দেখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরম এড়াতে জার্মান হ্যাঙার শেড করা হয়েছে। পাশাপাশি সভায় আসা কর্মীদের জন্য ৫০ হাজার জলের পাউচ রাখা হয়েছে। আর জেলা সফরের ফাঁকে শুক্রবার তিনি জাতীয় সড়কের ধারে দলীয় কার্যালয়েরও উদ্বোধন করবেন। 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন কর্মীরা

    গরুপাচার কাণ্ডে কেষ্ট এখন তিহাড় জেলে। এই জেলার সাংগঠনিক দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রেখেছেন। জানা গিয়েছে, চলতি বছরে বাংলায় মোট ১২টি সভা করতে পারেন অমিত শাহ (Amit Shah)। মূলত তৃণমূল সুপ্রিমোর দায়িত্বে থাকা বীরভূমকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। তাই, চলতি বছরে শুক্রবার তাঁর প্রথম সভা হচ্ছে বীরভূমে। নিচুতলার কর্মীদের সামনে থেকে লড়াই করার সাহস জোগাতে বিজেপি নেতৃত্ব ময়দানে নেমেছে। মূলত শাহের (Amit Shah) সফরের মাধ্যমে দলীয় সংগঠন মজবুত করার দিকে ঝুঁকছে বিজেপি। বাংলায় প্রথম সভা করতে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন কর্মীরা। সিউড়িতে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন হওয়ার পর দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করারও কথা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rozgar Mela: ‘বিরোধিতা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা নিশীথের

    Rozgar Mela: ‘বিরোধিতা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করুন’, মুখ্যমন্ত্রীকে বার্তা নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধিতা নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুসরণ করুন। বেকার যুবকদের পুলিশের লাঠির বাড়ি নয়, চাকরি দিন। যুবরাই দেশের ভবিষ্যৎ। বৃহস্পতিবার এনজেপি-তে রোজগার মেলা (Rozgar Mela) অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি এই আবেদনই জানালেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এদিন কাশ্মীর কলোনিতে রেলের ভিআইপি গেস্ট হাউসে এই রোজগার মেলায় মোট ২৫৬ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২১২ জন রেলের। এদিন একই সময়ে দেশের অন্যান্য স্থানেও এই রোজগার মেলার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দফতরে মোট ৭১ হাজার ৫০৬ জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

    পশ্চিমবঙ্গে বেকার ছেলেমেয়েদের নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    নিশীথ প্রামাণিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে সমৃদ্ধ করতে প্রতিশ্রুতিমতো যুবদের চাকরি (Rozgar Mela) দিয়ে চলেছেন। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে বেকার ছেলেমেয়েরা চাকরির জন্য রাস্তায় ধর্না দিচ্ছে। ন্যায্য দাবির সেই কন্ঠকে রোধ করতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পুলিশ দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের পেটাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বলবো, প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা না করে তাঁকে অনুসরণ করুন। বেকার ছেলেমেয়েদের পুলিশের লাঠির বাড়ি নয়, চাকরি দিন। তাঁরাই দেশের ভবিষ্যৎ। এক প্রশ্নের উত্তরে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি চুরি করছেন। এক যুগ ধরে এরাজ্যে সরকারি দফতরে নিয়োগ নেই, শিল্প নেই। বেকার ছেলেমেয়েরা রাস্তায় কাঁদছে। সরকারি চাকরিজীবীরা ন্যায্য ডিএ’র জন্য ধর্না দিচ্ছেন। এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকার সবদিকেই  চূড়ান্ত ব্যর্থ। আইন-শৃঙ্খলা, উন্নয়ন সবেতেই ব্যর্থ। অর্থনৈতিক দিক থেকেও বেহাল অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে এই রাজ্য। তবু এদের দুর্নীতি থেমে নেই। একের পর এক তদন্তে সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা ধরা পড়ছেন। আগামীতে আরও রাঘববোয়াল ধরা পড়বে। 

    ‘খেলো ইন্ডিয়া’ নিয়ে রাজ্যকে তোপ

    রোজগার মেলায় (Rozgar Mela) এক প্রশ্নের উত্তরে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, দুঃখ লাগে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় কেন্দ্রের ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এরাজ্যের খেলাধুলোর উন্নয়নে কোনও উদ্যোগ নেননি। খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র তৈরির জন্য সব রাজ্যের কাছে প্রস্তাব চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। সবাই সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে একাধিক খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র তৈরি করে ফেলেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ কোনও প্রস্তাব পাঠায়নি, বারবার বলা সত্ত্বেও। তাই রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো উত্তরবঙ্গ খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অথচ উত্তরবঙ্গে ফুটবল-ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স-এর প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। এদের আত্মপ্রকাশের জন্য রাজ্য সরকার কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। শিলিগুড়িতে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে। সে ব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রী কোনও উদ্যোগ নিচ্ছেন না। তাঁরা যদি প্রস্তাব দেন, তাহলে কেন্দ্র সরকার শিলিগুড়িতে ক্রিকেটের জন্য স্টেডিয়াম তৈরি করে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Laxmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ‘লক্ষ্মী’র টান! জেলায় জেলায় আটকে টাকা, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Laxmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ‘লক্ষ্মী’র টান! জেলায় জেলায় আটকে টাকা, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) প্রকল্প চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুফতে টাকা পাওয়ার আশায় ফের তৃণমূলকেই ক্ষমতায় আনেন রাজ্যবাসী। তারপর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালাতে গিয়ে কার্যত ল্যাজেগোবরে দশা তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের। এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা ফি মাসে পান ৫০০ টাকা করে। আর তফশিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা মাসে পান ১০০০ টাকা করে। প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ টাকা খয়রাতি প্রকল্পে ঢালতে গিয়ে কখনও কেন্দ্রের কোনও প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে, কখনও আবার অন্য কোনও খাতের টাকা খরচ করা হয়েছে এই প্রকল্পে। তাতেও কুলোচ্ছে কই?  

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar)…

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmir Bhandar) রাশ ধরতে প্রথমে আধার কার্ডের বিরোধিতা করেছিলেন যে তৃণমূল সুপ্রিমো, সেই তিনিই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করেছেন কয়েক দিন আগেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে জালিয়াতি ধরতেই এটা করা হয়েছে। তার পরেও টান পড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, ডব্লুসিডি এবং এসডব্লু ডিপার্টমেন্ট উদ্বিগ্ন হবেন না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বকেয়া মেটাতে যদি ফান্ড কম পড়ে তাহলে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাহলে অনৈতিক ভাবে টাকা জোগাবে।

    এদিকে, মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না সেখানকার বাসিন্দারা। তৃণমূল নেতারা বলে বেড়াচ্ছেন, তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ায় ভাতা আর পাওয়া যাবে না। অবিলম্বে ভাতা চালুর দাবিতে এদিন সাগরদিঘি ২ নম্বর বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে কংগ্রেস।

    আরও পড়ুুন: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    অন্যদিকে, দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই যেন-তেন প্রকারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmir Bhandar) ফের চালু করতে চাইছে নবান্ন। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের যাবতীয় কাজ। বুধবার নবান্নের তরফে এমনই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। ঢোক গিলে এখন কীভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জোগায় রাজ্য সরকার, এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mid Day Meal: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    Mid Day Meal: মিড-ডে মিলেও কেলেঙ্কারি ফাঁস! রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেলেঙ্কারির (Scam) তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে বাংলায় (West Bengal)। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল আগেই। তার পর উঠেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি। তারও পরে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ। এবার উঠল মিড-ডে মিলেও (Mid Day Meal) দুর্নীতির অভিযোগ।

    মিড-ডে মিলে (Mid Day Meal) দুর্নীতির অভিযোগ…

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের জয়েন্ট রিভিউ মিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ছ মাসে অতিরিক্ত ১৬ কোটি মিড-ডে মিল দেখিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে ১০০ কোটিরও বেশি টাকা। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, গড়ে ৯৫ শতাংশ পড়ুয়াই মিড-ডে মিলের খাবার খায়। যদিও রাজ্যের যেসব স্কুল পরিদর্শন করা হয়েছে, সেগুলিতে দেখা গিয়েছে মিড-ডে মিল খাওয়া পড়ুয়ার হার ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ। যেসব স্কুলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন, তার ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, প্রয়োজনের তুলনায় কম ভাত রান্না হয়েছে। ৬০ শতাংশ স্কুলে চাহিদার তুলনায় কম রান্না হয়েছে ডাল। ৪৭ শতাংশ স্কুলে প্রয়োজনের তুলনায় কম তেলে রান্না হয়েছে। শাকসবজি কম রান্না হয়েছে ২৭ শতাংশ স্কুলে। ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র।

    আরও পড়ুুন: ‘আরএসএস সদস্যরা অপরাধী নন’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, দিল মিছিলের অনুমতিও

    এদিকে, রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট-বার্তায় তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রদের খাবারের প্লেট (Mid Day Meal) থেকেও চুরি করতে দ্বিধাবোধ করেন না। একবার ভাবুন, যদি তারা (তৃণমূল সরকার) একটা আর্থিক বছরের দুটি কোয়ার্টারেই (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর, ২০২২) ১০০ কোটি টাকা চুরি করতে পারে, তাহলে গত ১২ বছরে কত টাকা সরিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার শাসনের নামে দিনদুপুরে ডাকাতি করেছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকার মিড-ডে মিলের কোন ডাটা মেনটেইন করেনি। পাশের রাজ্য অসমে দেখুন প্রত্যেকটি স্কুলের লিস্ট আছে, তাদের কাছে সমস্ত কিছু হিসাব রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় কোনও হিসাব নেই, কোনও ডাটাও নেই। সবে ১০০ কোটি তো পাওয়া গেছে, আরও অনেক খবর হবে।

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্র ও রাজ্যের যেকোনও যৌথ প্রকল্পেই জয়েন্ট রিভিউ মিশন থাকে। সেই মিশনে কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও থাকেন। এ বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ ও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সেই জয়েন্ট রিভিউ মিশনই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্পের কাজকর্ম ঘুরে দেখে। সেই দলে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেটে ৬টি ভুল প্রশ্নের নম্বর পাবেন সকল পরীক্ষার্থী! নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেটে ৬টি ভুল প্রশ্নের নম্বর পাবেন সকল পরীক্ষার্থী! নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালের টেটে ৬টি ভুল প্রশ্নের উত্তর যে সব পরীক্ষার্থীরা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নম্বর দিতে হবে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ।

    নম্বর সবাই পাবে

    ২০১৪ সালের টেটে ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে এই অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। তৎকালীন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটি জানায়, ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এর পরে বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় শুধুমাত্র যাঁরা ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ‘নেগেটিভ মার্কিং’য়ের শিকার হয়েছেন, তাঁদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর ৬ টি ভুল প্রশ্নের নম্বর কেন সব পরীক্ষার্থী পাবেন না, এই নিয়ে মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে। তাঁদের বক্তব্য, শুধু মামলাকারীরা কেন ভুল প্রশ্নের নম্বর পাবেন? বাড়তি নম্বর সবাইকে দিতে হবে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে পরাজিত হন মামলাকারীরা। এরপর মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল মামলা কলকাতা হাইকোর্টেই (Calcutta High Court) ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলা এতদিন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল। সেই মামলাতেই ডিভিশন বেঞ্চ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সম্পূর্ণ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ডিভিশন বেঞ্চ এদিন এই নির্দেশ দেন। 

    আরও পড়ুন: অভিষেককে প্রশ্ন করতে পারে ইডি-সিবিআই! কুন্তলের চিঠি নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা ২০১৫ সালে হয়। পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন ২২ লক্ষ। পরীক্ষায় বসেন ১২ লক্ষ। টেট উত্তীর্ণ হন ১.২৫ লক্ষ। আাদালতের (Calcutta High Court) নয়া নির্দেশের জেরে টেট ২০১৪ রেজাল্ট আমূল বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সচিবকে আদালতের নির্দেশ, সকল পরীক্ষার্থীকে ৬টি ভুল প্রশ্নের নম্বর দিয়ে পদক্ষেপ করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Police Officer: অমিত শাহের সভার আগেই সরিয়ে দেওয়া হল কেষ্ট ঘনিষ্ঠ সিউড়ি থানার আইসি-কে!

    Police Officer: অমিত শাহের সভার আগেই সরিয়ে দেওয়া হল কেষ্ট ঘনিষ্ঠ সিউড়ি থানার আইসি-কে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরের আগেই বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে (Police Officer) সরিয়ে দেওয়া হল। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিউড়িতে সভা করবেন। তার আগেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ওই আইসি-কে (Police Officer) সরিয়ে দেওয়া হল। এমনিতেই মাসখানেক আগেই এই পুলিশ অফিসারকে সিবিআই এবং ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এরমধ্যেই তাঁকে আইসি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জেলা জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, রামপুরহাট থানার আইসি দেবাশিস চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, এটা রুটিন বদলি।

    দুই থানার আইসি-কে (Police Officer) কোথায় বদলি করা হল?

    মাসখানেক আগেই সিউড়ি থানার আইসি (Police Officer) শেখ মহম্মদ আলিকে  নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ (Police Officer)  হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি  বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের কয়লা পাচার করতে কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি ছিলেন মুশকিল আসান। পরে, জেলার এক উচ্চ পদস্থ কর্তার সঙ্গে তাঁর এতটাই সখ্যতা ছিল যে জেলার বিভিন্ন থানায় কে কোথায় অফিসার হবেন তা তিনি ঠিক করতেন। কয়েকদিন আগে দিল্লিতে ইডি তাঁকে ডেকে পাঠায়। এতকিছুর পরও সিউড়ি থানার মতো গুরুত্বপূর্ণ থানায় তাকে রেখে দেওয়ার অর্থ রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ফলে, তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নেয় তারদিকে জেলাবাসীর নজর ছিল। এবার তাঁকে সিউড়ি থানার আইসি-র (Police Officer) পদ থেকে সরিয়ে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চে বদলি করা হয়েছে। আর মহম্মদ আলির জায়গায় বর্ধমানের কোর্ট ইন্সপেক্টর দেবাশিস ঘোষকে সিউড়ি থানার আইসি (Police Officer) করা হয়েছে। অন্যদিকে, বগটুইকাণ্ডের পর রামপুরহাটের আইসি ত্রিদিব প্রামাণিককে সরিয়ে রাতারাতি দেবাশিস চক্রবর্তীকে রামপুরহাট থানার আইসি করা হয়েছিল। এবার তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআইবিতে বদলি করে দেওয়া হল। আর পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে নীলোত্পল বিশ্বাসকে রামপুরহাটের আইসি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেককে প্রশ্ন করতে পারে ইডি-সিবিআই! কুন্তলের চিঠি নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অভিষেককে প্রশ্ন করতে পারে ইডি-সিবিআই! কুন্তলের চিঠি নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজনে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই (CBI) এবং ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ, চাইলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার বিরুদ্ধে লেখা ওই চিঠি নিয়ে অভিষেক এবং কুন্তলকে প্রশ্ন করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই।

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, একটি সভায় অভিষেক বলেছিলেন তাঁর নাম বলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে কুন্তল-সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত অন্য ধৃতদের। নিয়োগকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষও এমন দাবি করেছেন একাধিকবার। এমনকী গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারের মাধ্যমে হেস্টিংস থানায় অভিযোগপত্রও পাঠান কুন্তল। এবার এই অভিযোগকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদ্বয় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। আর তা করলে দ্রুত করতে হবে বলেও জানান তিনি। আদালতের বক্তব্য, খতিয়ে দেখতে হবে অভিষেকের মন্তব্যের সঙ্গে কুন্তলের চিঠির কোথায় সাযুজ্য রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের, মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    “কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারীরা দলীয় নেতাদের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছেন”, কিছুদিন আগে আদালতে প্রবেশের মুখে এমনই দাবি করেছিলেন তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। এই মর্মে তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার মারফত হেস্টিংস থানায় অভিযোগপত্রও পাঠান। শুধু হেস্টিংস থানা নয়, আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতেও একই ধরনের একটি চিঠি দেন কুন্তল। এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। অভিযোগপত্র দেখতে চেয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবার এই মামলা ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। এদিন বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, চলতি বছর ২৯ মার্চ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয় একটি জনসভায় মন্তব্য করেছিলেন, তাঁর নাম বলার জন্য জোর করা হচ্ছে। এই বক্তব্যের সঙ্গে কুন্তল ঘোষের চিঠির বক্তব্যের মিল রয়েছে। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষকে পাশাপাশি রেখে জেরা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।  পাশাপাশি, এবার থেকে যে সমস্ত সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকরা নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনও অভিযোগ দায়ের করা যাবে না,বলেও স্পষ্ট জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘কেবল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না’, মন্তব্য বিচারপতি মান্থার  

    Calcutta High Court: ‘কেবল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না’, মন্তব্য বিচারপতি মান্থার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আসল সমস্যা পুলিশে (Police) নিয়োগ না করা। শুধুমাত্র সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) নিয়োগ করে সমস্যা মিটবে না। সরশুনা থানার বিরুদ্ধে ওঠা একটি মামলার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তিনি বলেন, রাজ্যের আসল সমস্যা পুলিশে নিয়োগ না করা। ফলে এক্ষেত্রে চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের ওপরে ভরসা করতে হচ্ছে। পুলিশের কাজ সিভিক ভলান্টিয়াররা করছে। কনস্টেবল, এসআই এবং এএসআই নিয়োগ করা না হলে উপায়ও নেই।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বলেন…

    বিচারপতি মান্থা বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায়ও দুজন সিভিক ভলান্টিয়ার ওই রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পুলিশের ঘাটতি মেটাচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ার। তাই পুলিশে নিয়োগ না করলে এভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়ে নিচুতলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার চেষ্টা হলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। বিচারপতির (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, যতদিন না সরকার পুলিশে নিয়োগের ব্যাপারে উদ্যোগী হবে, ততদিন এই এক বছরের চুক্তি ভিত্তিক লোকদের দিয়েই নিচুতলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা হবে।

    প্রসঙ্গত, ২১ মার্চের শুনানিতে এই মামলায়ই রাজ্যের আইজিকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন মান্থা। হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়, সে ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। আদালতে এদিন এই বিষয়টিই স্পষ্ট করা হয়।

    আরও পড়ুুন: ‘আরএসএস সদস্যরা অপরাধী নন’, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের, দিল মিছিলের অনুমতিও

    কয়েক দিন আগে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে সরশুনা থানার বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, দু জন সিভিক ভলান্টিয়ার ওই যুবককে তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গে ছিল পুলিশও। তার পর থেকে আর ওই যুবকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় যুবকের পরিবার। এর পরেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব বেঁধে দিয়ে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী ভূমিকা রয়েছে, কোন কোন কাজে তাঁদের ব্যবহার করা হয়, সে প্রসঙ্গেও রাজ্য পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিল উচ্চ আদালত।

    উল্লেখ্য, গত বছরই আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুতে তোলপাড় হয় রাজ্য। আনিসের পরিবারের অভিযোগ, রাতে পুলিশের পোশাকে বাড়িতে ঢুকেছিল কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়াররাও ছিলেন। তাঁকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাজ্যের তরফে আনিসকাণ্ডে পুলিশি গাফিলতির কথা আদালতে স্বীকার করে নিয়েছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের, মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    Nisith Pramanik: নিশীথকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ শীর্ষ আদালতের, মামলা ফিরল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। গত ২৮ মার্চ এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, পুনরায় রায় বিবেচনা করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে।

    সুপ্রিম নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। রাজ্যের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি আদালতে জানান, রাজ্য পুলিশই এই ঘটনার তদন্ত করার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু অপর পক্ষের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করে জানান, কনভয়ে হামলার ঘটনায় তৃণমূল সমর্থকরা অভিযুক্ত হলেও পুলিশ বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করেছে। গাড়িতে হামলা ও মারধরের অভিযোগে কতগুলি এফআইআর করা হয়েছে, সেই তথ্যও এদিন আদালতে পেশ করা হয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, আপাতত রাজ্য পুলিশ ওই মামলায় তদন্ত করবে। পরবর্তীতে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, তা হাইকোর্ট ঠিক করবে।

    আরও পড়ুন: তাপমাত্রার পারদ চড়ছে প্রতিদিন! জানেন কীভাবে সুস্থ রাখবেন আপনার সন্তানকে?

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ বোমা, গুলি এবং পাথর ছুড়ে হামলা চালানো হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ওই দিন দিনহাটায় গিয়েছিলেন নিশীথ। সেখানেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর কনভয় পৌঁছলে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। যার জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পরামর্শ, পুলিশের নথি খতিয়ে দেখে তবেই তদন্তের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কলকাতা হাইকোর্টের। পুলিশ এই ঘটনার সাম্প্রতিক রিপোর্ট আদালতের হাতে তুলে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heatwaves: তাপমাত্রার পারদ চড়ছে প্রতিদিন! জানেন কীভাবে সুস্থ রাখবেন আপনার সন্তানকে?

    Heatwaves: তাপমাত্রার পারদ চড়ছে প্রতিদিন! জানেন কীভাবে সুস্থ রাখবেন আপনার সন্তানকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চৈত্র মাসে তাপমাত্রার পারদ রোজই এক-দুই ডিগ্রি বেড়ে চলেছে। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ তো এখনও ঢের দেরি। দিন-দিন তাপমাত্রার পারদ এতটাই চড়ছে যে বাড়ির বাইরে পা রাখাই দুষ্কর হয়ে উঠছে। স্কুল তো বন্ধ করা যাবে না। সেশন সব স্কুলেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন পুরোদমে ক্লাস হচ্ছে। নতুন ক্লাস, নতুন বই। তবে এই তাপপ্রবাহে একদিকে যেমন বড়দের অসুস্থতার সম্ভাবনা রয়েছে তেমনই শিশুদেরও অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ রোদে গরমে হুড়োহুড়িতে সর্দিগরম খুব তাড়াতাড়ি ধরে যায়। আবার অনেকেই ডিহাইড্রেশনের শিকার হয়ে নেতিয়ে পড়ে। কারোর কারোর আবার ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়। তাই গরমের তীব্রতা থেকে শিশুদের বাঁচাতে কী কী করণীয় তা এখনই জেনে নিন।

    অভিভাবকেরা কী করবেন

    ● বাচ্চার সঙ্গে জল নিয়ে ঘুরুন। পারলে ছোট ওআরএসের প্যাকেট বাচ্চার সঙ্গে রাখুন। প্রচণ্ড ঘাম হলে জলে মিশিয়ে অথবা গুঁড়ো মুখে ঢেলে জল দিয়ে খাইয়ে দেবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। আপনার বাচ্চার যদি জল তেষ্টা নাও পায়, তাহলেও সারা দিনে ২-৩ লিটার জল খাওয়া মাস্ট!

    ● বাচ্চাকে হালকা সুতির পোশাক পরান। গরমে সব সময় হালকা রঙের সুতির পোশাক পরানোই ভালো। এই ধরনের পোশাক কম তাপ শোষণ করে এবং শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া সুতির জামা পরলে গরমের কারণে ত্বকের সংক্রমণ হয় না।

    ● দুপুরবেলায় বাচ্চাকে বেরোতে দেওয়া চলবে না। বরং শিশুকে ঘরের মধ্যে খেলতে দিন। সূর্যের তাপ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থাকে। এই সময় বাচ্চা যেন বাড়ির বাইরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।

    ● রুমাল বা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে অনবরত মুখ, কপাল, গলা, ঘাড়ের ঘাম মুছে দিন। নইলে শরীরে ঘাম শরীরে বসে যেতে পারে।

    ● হালকা, তেল-ঝালমুক্ত, পাতলা ঝোলযুক্ত খাবার দিন আপনার খুদেকে। মশলাদার, অতিরিক্ত তেল আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। সম্ভব হলে রোজ খাবারের সঙ্গে ঘরে পাতা দই, স্যালাড খাওয়ান।

    ● গরম বেশি পরলে রোজ অন্তত দুবেলা করে শিশুকে স্নান করান।

    আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ সাত জেলায় জারি তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা! বৃষ্টি নিয়ে কী পূর্বাভাস?

    ● বাচ্চাদের স্কুলে যাওয়ার সময় ব্যাগে টুপি, ছাতা দিয়ে দিন। টিফিনে শশা দিন। আলাদা বোতলে জলের সঙ্গে গ্লুকোজ মিশিয়ে দিন।

    ● বাইরের গরম থেকে এসেই ফ্রিজের জল দেবেন না। স্নান করাবেন না। এসি ঘরে ঢুকতে দেবেন না। ঘরের তাপমাত্রার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে সময় দিন।

    ● রাস্তার কাটা ফল, ঠান্ডা জল খাবেন না। বরং বাড়িতেই বেশি করে ফল খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করে ফেলুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share