Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • DA Case: এই নিয়ে ৬ বার! সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলা, পরবর্তী শুনানি কবে?

    DA Case: এই নিয়ে ৬ বার! সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলা, পরবর্তী শুনানি কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ-এর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ ধর্নায় বসেছেন দিল্লিতে। এরমাঝেই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি ফের পিছিয়ে গেল। বিচারপতিরা ব্যস্ত থাকায় সই শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে নতুন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৪ এপ্রিল। প্রসঙ্গত গত বছরের ২০ মে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে রাজ্য সরকার সেই পথে হাঁটেনি। বরং হাইকোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ডিএ মামলার প্রথম শুনানির দিন ধার্য ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু ওই দিন শুনানি হয়নি। এর পর আরও তিন বার পিছিয়ে যায় শুনানি। অবশেষে গত ২১ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মামলাটির শুনানি আবার স্থগিত রাখা হয়। পরে ফের ১১ এপ্রিল শুনানির কথা থাকলেও এদিন আবার তা পিছিয়ে গেল, এই নিয়ে ছ’বার পিছল শুনানি।

    দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি এম সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে ছিল শুনানি 

    বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি এম সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এদিন ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি ছিল। অল্প সময়ের জন্য তা হয়ও। তবে মূল মামলা নিয়ে কোনও সওয়াল জবাব হয়নি। এদিন বিচারপতিরা জানান, যেহেতু এটি বড় মামলা এবং শুনানিতে অনেকটা সময় লাগবে তাই আজ তা করা সম্ভব নয়। কারণ আজকের সূচিতে যেসব মামলা রয়েছে তারসঙ্গে ডিএ শুনানি সম্ভব নয়। 

    রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি রয়েছেন আইনজীবী

    আদালতের পক্ষ থেকে নতুন শুনানি ২৪ এপ্রিল হবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়, তার আগে একটা দিন ধার্য করা হোক। যেদিন তাঁরা তাঁদের বক্তব্যটা জানাতে পারেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, শুনানি হলে একই দিনে করা হোক। সেদিন রাজ্যের তরফে তিনিও তাঁর বক্তব্য জানাবেন। শেষ পর্যন্ত ২৪ এপ্রিল তারিখেই নতুন শুনানির দিন ঠিক হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: শিবপুর ও রিষড়ায় অশান্তি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পেশ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর

    CV Ananda Bose: শিবপুর ও রিষড়ায় অশান্তি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পেশ মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলির রিষড়ায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট জমা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মঙ্গলবার তাঁকে রাজভবনে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, এই বৈঠক পূর্ব নির্ধারিত নয়। শিবপুর এবং রিষড়ায় অশান্তির ঘটনার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গত শনিবার রাজ্যে এসেছিল তথ্যানুসন্ধানী দল (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম)। সোমবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) সঙ্গে বৈঠক করেন সেই টিমের সদস্যরা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় টিমের সদস্যরা জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক নেই। রাজভবন সূত্রে খবর, তারপরই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করেন রাজ্যপাল।

    মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনা

    রাজভবন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ রাজভবনে আসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্য সরকারের শীর্ষ প্রশাসনিক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হাওড়ার শিবপুর ও হুগলির রিষড়ায় অশান্তির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সোমবার রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) আলোচনা হয়।

    আরও পড়ুন: এই প্রথম! টেট দুর্নীতিতে ইডির দফতরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী

    ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম-এর সঙ্গে কথা

    গত শনিবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম-এর সদস্যরা গিয়েছিলেন রিষড়ায়। সেখানে তাঁরা ‘পুলিশি বাধা’র মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। রবিবার তাঁরা রওনা দিয়েছিলেন হাওড়ার উদ্দেশে। সেখানেও তাঁরা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। সোমবার রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে দেখা করেছিলেন ওই দলের সদস্যেরা। প্রায় ১ ঘণ্টার কাছাকাছি সময় রাজভবনে ছিলেন তাঁরা। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে তাঁদের ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হত বলে মনে করছেন তাঁরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কেন ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: এই প্রথম! টেট দুর্নীতিতে ইডির দফতরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী

    TET Scam: এই প্রথম! টেট দুর্নীতিতে ইডির দফতরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী। এই প্রথম তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি (ED)। সোমবার তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল ইডির তরফে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন রত্না। 

    চাপের মুখে নানান কাজ করতে হয়েছিল

    কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি (ED) সূত্রে খবর, মানিক ভট্টাচার্য ও নিয়োগ দুর্নীতি সম্পর্কে তথ্য জানার বিষয়েই তাঁকে ডাকা হয়েছে। রত্নাকে সচিব করা, সরিয়ে দেওয়া এবং ফের সেই পদে ফিরিয়ে আনার ঘটনায় একসময়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল শিক্ষামহলে। এর আগে রত্নাকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ঘণ্টা তিনেক। একবারই তাঁকে ডেকেছিল সিবিআই। সিবিআই যখন রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে ডেকেছিল, সেই সময়ে তিনি নাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে জানিয়েছিলেন, চাপের মুখে নানান কাজ করতে হয়েছিল তাঁকে। শুধু তাই নয়। সার্ভারে যে কলকাঠি নাড়া হয়েছে তাও তিনি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে।

    আরও পড়ুন: জাতীয় থেকে আঞ্চলিক! জানেন কী কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে মানিক ভট্টাচার্য যখন ছিলেন, সেই সময় সচিব পদে কর্মরত ছিলেন রত্না। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। কিছু দিন আগেই ইডি দফতরে নথি নিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন পর্ষদের দুই প্রতিনিধি। ২০১২ এবং ২০১৪ সালে টেটের প্যানেল সংক্রান্ত নথি নিয়ে তাঁরা গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। অর্ণব বসু নামে পর্ষদের এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি (ED)। অর্ণবের ল্যাপটপ, মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডির জেরার মুখে রত্না। এদিন কোমরে বেল্ট পরে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। শুরু হয়েছে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া। রত্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন কী তথ্য উঠে আসে তা জানার অপেক্ষায় শিক্ষামহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করলেন প্রতারিত এক চাকরি প্রার্থী। তাঁর নাম চয়নিকা আঢ্য। বাড়ি চুঁচুড়ার ষন্ডেশ্বর তলায়। দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-র (ED) হাতে অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর চয়নিকা তাঁর প্রতারণার কথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছিলেন। যোগ্যতা থাকার পরও টাকা না দেওয়ায় অয়ন চাকরি দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে, পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই প্রথম অয়নের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন। পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) দায়ের করা হয়েছে।

    অয়ন শীলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ (Complain)?

    চয়নিকা আঢ্য নামে ওই চাকরি প্রার্থী ২০১৯ সালে টিটাগড় পুরসভার গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই চাকরিতে যোগ দিতে গেলে অয়ন শীল ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিতে পারায় নিজের যোগ্যতায় পাওয়া চাকরি করতে পারেননি চয়নিকা। টিটাগড় পুরসভায় প্রায় এক সপ্তাহ তিনি কাজও করেছিলেন। জিরো ব্যালেন্সে ব্যাংকের স্যালারি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। এটিএম কার্ডও দেওয়া হয়। তারপরও চাকরি হয়নি তাঁর। পুরসভায় জানতে গেলে টাকা না দিলে চাকরি হবে না বলে জানানো হয়।

    এতদিন পর অয়নের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (Complain) নিয়ে কী বললেন চয়নিকা?

    ১ লা এপ্রিল বিজেপি আইনজীবী সেলের এক প্রতিনিধি দল চয়নিকার বাড়িতে গিয়ে আইনি সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপরই সোমবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন চয়নিকা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি আইনজীবী সেলের সদস্যরা। অয়ন শীল ছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) করা হয়। জানা গিয়েছে, যে পুলিশ কর্মী অয়ন শীলের বার্তা নিয়ে চয়নিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন সেই মানস সেন, টিটাগড় পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং টিটাগড় পুরসভার বড়বাবু শঙ্কর কুমার সিং-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ (Complain) করা হয়েছে। চয়নিকা বলেন, পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলাম। অয়ন শীলের এই চক্রের জন্য সেই চাকরি করতে পারিনি। আমার হকের চাকরি ফেরত চাই। অভিযুক্তের শাস্তি চাই। আর অয়ন শীলের লোকজন হুমকি দিত বলে এতদিন থানায় অভিযোগ (Complain) করতে পারিনি। এখন পাশে অনেকে রয়েছে, তাই সাহস করে থানায় অভিযোগ (Complain) জানালাম।

    কী বললেন বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য?

    চয়নিকার আইনজীবী তথা বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য শিবাজি দাস বলেন, চয়নিকার কাছে যে তথ্য প্রমাণ রয়েছে, তার ভিত্তিতে চাকরি ফিরে পেতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা না। তাই, এদিন এফ আই আর করা হয়েছে। পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hanuman Death: ‘রামভক্ত’ হনুমানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দুটি গ্রাম, তিনদিন ধরে চলল অশৌচ পালন

    Hanuman Death: ‘রামভক্ত’ হনুমানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দুটি গ্রাম, তিনদিন ধরে চলল অশৌচ পালন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমানের মৃত্যুতে (Hanuman Death) তিনদিন অশৌচ পালন করল দুটি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার। রীতিমতো হিন্দু শাস্ত্রমতে ক্রিয়াকর্ম সেরে, পিন্ডদান করে সন্ধ্যায় ভোজনেরও ব্যবস্থা করেন গ্রামবাসীরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল ? 

    ৬ এপ্রিল ছিল হনুমান জয়ন্তী। ওইদিন সকালে বীরভূম মুরারই ২ নম্বর ব্লকের লতাগ্রাম-পালিতপুর গ্রামে একটি হনুমানকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের যুবক শেষেন মাল তড়িঘড়ি হনুমানটিকে কোলে তুলে স্থানীয় পাইকরের পশু চিকিৎসালয়ে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক না থাকায় তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নগেন মালের সহযোগিতায় হনুমানটিকে গাড়িতে চাপিয়ে নলহাটি নিয়ে যান। নলহাটি পশু হাসপাতালে ততক্ষণে দুই চিকিৎসককে নিয়ে হাজির ছিলেন বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিং। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হনুমানটির মৃত্যু হয় (Hanuman Death)। এরপর বিধায়কের সহযোগিতায় পঞ্চায়েত সদস্য নগেন মাল ও গ্রামবাসী নকল মোল্লার প্রচেষ্টায় হনুমানটির মৃতদেহ পুনরায় গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামবাসীরা আলোচনা করে হনুমানের মৃতদেহ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। 

    শোকাচ্ছন্ন গ্রামের বাসিন্দারা

    হনুমান জয়ন্তীর দিন রামভক্তের মৃত্যুতে (Hanuman Death) শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দুটি গ্রাম। নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনদিন ঘরে ঘরে অশৌচ পালন শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তিনদিন পর অর্থাৎ রবিবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সেরে সন্ধ্যায় ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়। রাতে শাস্ত্র মেনে লতাগ্রাম, পালিতপুর গ্রামে হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়। গ্রামের বাসিন্দা নিত্যানন্দ কর, প্রণব পাল, সুবোধ পাল, দীপক মালরা বলেন, “হনুমান জয়ন্তীর দিন রামভক্তের মৃত্যুতে গোটা গ্রাম শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তাই মৃত হনুমানের আত্মার শান্তিতে শেষকৃত্য থেকে পিন্ডদান, ভোজন সব কিছুই ব্যবস্থা করা হয়। দুই গ্রামের হাজার দেড়েক মানুষ শ্রাদ্ধ ভোজনে অংশগ্রহণ করেন। গ্রামবাসীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করে গিয়েছেন বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিং”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি! তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    Scam: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি! তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দুর্নীতি (Scam) নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। দুর্নীতিতে (Scam) জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের একের পর এক রাঘববোয়ালরা জেলে যাচ্ছে। এবার চাকরি দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল আরামবাগের এক তৃণমূল নেতার ভাগ্নের। মামা তৃণমূলের আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান। আর তাঁকে ভাঙিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম অভিজিৎ হাজরা। তার বাড়ি হুগলি জেলার আরামবাগ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। সে আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারির ভাগ্নে। লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর চাকরি না হওয়ায় প্রতারিতরা সোমবার রাতে তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ঘর ছেড়ে চম্পট দেয় সে।

    ঠিক কী অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের?

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালসহ স্বাস্ব্য দফতরের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি দেওয়ার নাম করে তৃণমূল নেতার ভাগ্নে অভিজিৎ হাজরা টাকা তোলে। স্বাস্থ্য দফতরের পদ অনুযায়ী টাকা নেওয়া হত। ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত একজন চাকরিপিছু প্রার্থীর কাছে টাকা নেওয়া হত। প্রায় ১৫০ – ২০০ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে সবমিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে চেয়ারম্যানের গুনধর ভাগ্নে। তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো সোমবার হাওড়া থেকে কালিকাপুরে বেশ কয়েকজন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যান। সেখানে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন চাকরি প্রার্থীরা। কারণ, সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সবই ভুয়ো। কেউ কোথাও নেই। প্রতারিত হয়ে তাঁরা সকলে তৃণমূল নেতার ভাগ্নেকে ফোন করেন। কিন্তু, সে ফোন তোলেননি। এরপরই সকলে জোটবদ্ধ হয়ে আরামবাগে তার বাড়িতে এসে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই বিষয়ে আশিস মাঝি নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা চেয়েছিল। পুরসভার চেয়ারম্যানের ভাগ্নে বলে টাকা দিয়েছি। আট নয় মাস হয়ে গেল কোনও চাকরি পাইনি। আর টাকাও ফেরত দেয়নি। আমার মতো এই এলাকায় বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন।

    ভাগ্নেকে বাঁচাতে পুরসভার চেয়ারম্যান কী করলেন?

    দুর্নীতিগ্রস্ত (Scam)  ভাগ্নে বিপদে পড়েছে বুঝতে পেরে আসরে নামে তৃণমূলের আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারি। রাতেই ভাগ্নের বাড়িতে এসে তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে বরফ গলানোর চেষ্টা করেন। আর, সংবাদ মাধ্যম প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে তিনি রীতিমতো রেগে যান। সংবাদ মাধ্যমের সামনে গুণধর ভাগ্নের অপকীর্তি বলার মতো তিনি সাহস দেখাননি। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, দুর্নীতিতে (Scam) জড়িত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: আগামী ৫ দিন আরও চড়বে পারদ! তাপপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, কলকাতায় কী হবে?

    Weather Report: আগামী ৫ দিন আরও চড়বে পারদ! তাপপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গে, কলকাতায় কী হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ। সকাল থেকেই গনগনে রোদ। বেলা গড়াতেই অস্বস্তির আবহাওয়া। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তি এবং নববর্ষতে স্বস্তি মিলছে না আপাতত। পশ্চিমের জেলাগুলিতে সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Report), আগামী ৫ দিন এই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

    আগামী ৫ দিন বাড়তেই থাকবে তাপমাত্রা

    সকালে দেওয়া আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে (Weather Report) বলা হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টা অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল অবধি উত্তরবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী দিন পাঁচেকে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের সমতল এলাকার দিনের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলিসয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

    বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি হতে পারে

    সোমবার দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলির অধিকাংশ জায়গায় তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রির ওপরে। কোথাও কোথাও তা ৪০ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এদিন সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৮ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সোমবার যা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ।

    বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি হতে পারে। এই গরমে ত্বকে জ্বলুনি ভাব আসতে পারে। লু বইবার আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। ক্রমশ বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গের মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের নতুন পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতায় তাপমাত্রা আজই ৪০ ডিগ্রির কোঠা ছুঁয়ে যেতে পারে৷ আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৪৯ শতাংশ৷ ফিল লাইক তাপমাত্রা হবে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Party: জাতীয় থেকে আঞ্চলিক! জানেন কী কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    National Party: জাতীয় থেকে আঞ্চলিক! জানেন কী কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আর তারপর লোকসভা। তার আগেই জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারাল তৃণমূল (TMC Loses National Party Status)। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য রাজ্যে একাধিক বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলের জেরে এই তকমা হারাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। চার রাজ্যে ‘স্থানীয় দলে’র তকমা না থাকায়, তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন। ফলে বাংলার শাসক দল এখন থেকে শুধুই আঞ্চলিক দল।

    কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারানোর পর একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে তৃণমূলকে এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যেমন—

    ১. জাতীয় দলের তকমা হারানোয় ইভিএম অথবা ব্যালট পেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখা যাবে না তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন। 

    ২. দলের নামের আগে আর ‘সর্বভারতীয়’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না জোড়াফুল শিবির।

    ৩. নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে জাতীয় দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়। এ বার থেকে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানাতে বাধ্য থাকবে না নির্বাচন কমিশন। 

    ৪. নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা বা নির্বাচনী বিধি তৈরির ক্ষেত্রে মতামত দিতে পারে জাতীয় দলগুলি। তৃণমূল সেই সুযোগ পাবে না।

    ৫. তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তবে তার প্রতীক স্থির থাকবে না।

    ৬. জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারানোয়, আর্থিক অনুদানেও বড় ধরনের ফারাক লক্ষ্য করা যেতে পারে। অর্থের জোগান কমলে, দল চালাতে সমস্যা হবে।

     

    আরও পড়ুন: ‘‘সর্বভারতীয় শব্দটি কবে মুছবে?’’ প্রশ্ন শুভেন্দুর, তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত-দিলীপের

    কেন হারাল তকমা?

    জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারিয়ে তৃণমূল যদিও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাবে দল এমনই তৃণমূল সূত্রে খবর। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০২১-এ বাংলায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেও, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ফল হয় তৃণমূলের। এই দুটি রাজ্যেই রাজ্য দলের তকমা হারায় মমতার দল। ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনেও শোচনীয় হাল হয়। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট শতাংশ ছিল ০.৮৮ শতাংশ, যা নোটার থেকেও কম। গোয়া বিধানসভা ভোটে একটিও আসনে জিততে পারেনি তৃণমূল। মাত্র ৫.২ শতাংশ ভোট পায় তারা। ফলে জাতীয় স্বীকৃতি হারাতে হল তৃণমূলকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NJP: আসন নিয়ে বচসা! এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরার মধ্যেই চলল গুলি, মৃত্যু প্রাক্তন সেনাকর্মীর

    NJP: আসন নিয়ে বচসা! এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরার মধ্যেই চলল গুলি, মৃত্যু প্রাক্তন সেনাকর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতে এনজেপি (NJP) স্টেশন ঢোকার আগেই কামাখ্যা-আনন্দবিহার এক্সপ্রেসের এক যাত্রীর ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই ব্যক্তির কোমর থেকে পা পর্যন্ত গুলিতে রক্তাক্ত হয়ে যায়। সহযাত্রীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে তাঁরা তাকিয়ে দেখেন, ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েছেন। এনজেপি (NJP) স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে রেল পুলিশ ও আরপিএফ তদন্তে নামে।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    আটক যাত্রীদের জেরা করে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে, ওই ব্যক্তি প্রাক্তন সেনা কর্মী রাজস্থানের বাসিন্দা। গুয়াহাটি থেকে তিনি সোমবার ট্রেনে চেপেছিলেন। জেনারেল কামরায় বসার জায়গা নিয়ে তার সঙ্গে সহযাত্রীদের বচসা বাধে। নিজেকে সেনাকর্মী পরিচয় দিয়ে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি কোমর থেকে সে তার রিভলবার বের করে দেখায় এবং শূন্যে একটি গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে সহযাত্রীরা তাঁর ওপর  ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রাক্তন সেনাকর্মী তখন তার  রিভলবারটি ধরে রাখতে গিয়ে কোনওভাবে তিন রাউন্ড গুলি ছিটকে তাঁর শরীরে ঢোকে। এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এনজেপি (NJP) স্টেশন লাগোয়া সেনা ক্যাম্পের থেকে জওয়ানদের একটি দল স্টেশনে (NJP) এসে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ রেল পুলিশের তরফে সেনা বিভাগের প্রতিনিধিদের ডাকা হয় মৃতদেহ দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য জানানোর ব্যাপারে। তবে, সেনা বিভাগের পক্ষ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করেনি।

    কী বললেন রেল পুলিশের আধিকারিক?

    রেল পুলিশ সুপার এস সালভা মুরুগান বলেন, কী করে ওই প্রাক্তন সেনা কর্মীর কোমর থেকে শরীরের নিচের দিকে তিন রাউন্ড গুলি চললো তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি আত্মহত্যা, খুন না নিছক দুর্ঘটনা এ নিয়ে এখনও পরিষ্কার করে বলার মতো তথ্য আমাদের হাতে আসেনি। সব সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে সাতজন সহযাত্রী আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।

    সহযাত্রীরা কী বললেন?

    কামরার মধ্যে যাত্রীদের ভিড়ে থিক থিক করছে। অধিকাংশ যাত্রী ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকাই কামরার মধ্যে গুলির আওয়াজ শুনে সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সহযাত্রীরা বলেন, হঠাৎ গুলির শব্দে তাদের সকলের ঘুম ভাঙে। কেউ ভয়ে কামরার মধ্যেই ছোটাছুটি শুরু করেন, কেউবা চুপ করে নিজের জায়গাতে বসেছিলেন। কে গুলি চালিয়েছে এ নিয়ে তাঁরা জানেন না এমনটাই দাবি করেছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, আনন্দবিহার এক্সপ্রেস ট্রেনটি অনেকক্ষণ এনজেপি (NJP) স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। যে কোচে এই ঘটনা ঘটেছে সেই কোচটি কেটে আলাদা করে এনজেপি স্টেশনে রেখে দেওয়া হয়েছে তদন্তের জন্য। তারপর রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ প্রায় তিন ঘণ্টা দেরিতে এনজেপি (NJP) স্টেশন থেকে আনন্দবিহার এক্সপ্রেসকে রওনা করানো হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Party: ‘‘সর্বভারতীয় শব্দটি কবে মুছবে?’’ প্রশ্ন শুভেন্দুর, তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত-দিলীপের

    National Party: ‘‘সর্বভারতীয় শব্দটি কবে মুছবে?’’ প্রশ্ন শুভেন্দুর, তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত-দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দল (National Party) হিসাবে আর গণ্য করা যাবে না তৃণমূল কংগ্রেসকে। নির্বাচন কমিশন-এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সর্বভারতীয়’ তকমা নিয়ে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, তৃণমূলের নাম থেকে ‘সর্বভারতীয়’ শব্দটি কবে মুছবে? 

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমারকে ট্যুইট করে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু লেখেন, ‘‘ত্রিপুরা ভোটের ফলাফলের পরপরই আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় তকমা কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে সরব হয়েছিলাম।’’

    ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর পরই তৃণমূলকে নিশানা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে ভোটে লড়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। ত্রিপুরায় একটি আসনেও জিততে পারেনি জোড়াফুল শিবির। ট্যুইট করে শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে হলে যে সমস্ত শর্ত পূরণ করতে হয়, তৃণমূল কংগ্রেস তা করতে ব্যর্থ। এই কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হোক।

    সুকান্তর ট্যুইট

    তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোয় তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়ে এখন আঞ্চলিক দল। মানুষ জানে তৃণমূল সরকার সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত। তোষণ ও সন্ত্রাসের সরকার তৃণমূলের। তাই তৃণমূলের বিস্তারে দিদির আকাঙ্খা বাস্তবায়িত হল না। এখন সরকারের পতনও সময়ের অপেক্ষা। মানুষ বেশিদিন আর এই সরকারকে বরদাস্ত করবে না’।

    দাবি-পাল্টা দাবি

    বঙ্গ বিজেপির অপর নেতা তথা রাজ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিল। কিন্তু, তাদের সর্বভারতীয় তকমাই ধরে রাখতে পারল না।’

    আরও পড়ুন: জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল, কুয়োর ব্যাঙে পরিণত মমতার দল!

    তৃণমূল নেতা সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা আইনিভাবে এই তকমা হারানোর জবাব নির্বাচন কমিশনকে দেবেন। পার্টির তরফে সৌগত রায়ের দাবি, ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করছে কমিশন।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share