Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: ২ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খেজুরির সভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ২ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, খেজুরির সভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ মে পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে চায় তৃণমূল (TMC) সরকার। ভোট হবে এক দফায়। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির ঠাকুরনগরের সভায় এমন দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ২ মে পঞ্চায়েত ভোট করাবে রাজ্য সরকার। সব খবর আমার কাছে থাকে। একটা ফেজে ভোট করাবে। পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে চাইছে। যাতে রক্তগঙ্গা বওয়াতে পারে, তার ব্যবস্থা করছে।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন…

    তিনি বলেন, এক দফায় ভোট করার কারণ যাতে শত শত মানুষ মারা যায়। এই ব্যবস্থা করছে অত্যাচারী অহংকারী ভাইপোর একমাত্র পিসি। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অশান্তির আশঙ্কা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে শুভেন্দুর আবেদনে সাড়া দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করুন না, দেখবেন জেলায় ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন আছে। তার মধ্যে ২০টি আসন পাবেন না। গত বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় বিজেপি যে তৃণমূলের চেয়ে এক শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছিল, তাও মনে করিয়ে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে খেলা দেখাবেন বলেও মন্তব্য করেন শুভেন্দু। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, আপনাকে তো খেলা আমি দেখাব লোকসভায়। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে তমলুক ও কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তিনি বলেন, ঘাটাল নেব, তমলুক দেড় লাখে জিতব, কাঁথি তিনের ওপরে যাবে। লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সব কটি আসনই বিজেপির ঝুলিতে যাবে বলেও দাবি শুভেন্দুর।

    তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটে এজেন্ডা। প্রথম হল পরিবারবাদ, যেন তেন প্রকারেণ ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দ্বিতীয় তোষণ। সংখ্যালঘু বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রিষ্টান, মুসলিমদের উন্নয়নের ভাবনা তাঁর নেই। তাঁর ভাবনা হচ্ছে তুষ্টিকরণ করে কী করে ভোটব্যাঙ্কটা ঠিক রাখব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, শিবপুর, রিষড়ায় দাঙ্গা কোনও সম্প্রদায়ের লোক করেনি। দাঙ্গা করেছে তৃণমূলের মুসলিম নেতারা। দাঙ্গাবাজ কারা? তৃণমূল। দাঙ্গাবাজদের নেত্রী কে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দাঙ্গাবাজদের হঠাতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Kolkata Police: মদের দোকানের লাইসেন্সের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের আধিকারিক

    Kolkata Police: মদের দোকানের লাইসেন্সের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। সম্প্রতি এক শিক্ষক ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়ায় এবং তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় ওই কেলেঙ্কারি ফের অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। কিন্তু এবার দেখা গেল, সরষের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ভূত। এবার একই ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এক পদস্থ কর্তাকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুই ব্যক্তিকে মদের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বড় অঙ্কের টাকা তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারিত এক ব্যক্তি বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে ওই অভিযোগের তদন্তভার হাতে নেয় বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। গ্রেফতার করা হয় সোমনাথ ভট্টাচার্য নামে ওই আধিকারিককে, যিনি কলকাতা পুলিশের অষ্টম ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন।

    কী অভিযোগ ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ?

    অভিযোগ অনুযায়ী, বরাহনগরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই পুলিশ অফিসার (Kolkata Police) দু-দফায় ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। পানশালার লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বোনের চাকরি করে দেবেন, এমন আশ্বাসও তিনি দিয়েছিলেন। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে যা হয়, সেটাই ঘটেছে। দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পরও পানশালার লাইসেন্স মেলেনি, বোনের চাকরিও হয়নি। উত্তরপাড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তিও একই অভিযোগ জানান। তাঁর দাবি, তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল ৩০ লক্ষ টাকা। এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ কমিশনারেট পুলিশকর্তাকে গ্রেফতার করে। আদালতে এই অফিসারের ৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

    আরও কার কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, শুরু তদন্ত

    পুলিশ এখন ওই অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইছে, কার কার কাছ থেকে তিনি কত টাকা নিয়েছিলেন। এই ধরনের দুর্নীতির জাল আরও কতদূর বিস্তৃত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অফিসারকে গ্রেফতার করার আগে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সরকারের বিভিন্ন গ্রুপ ডি এবং অস্থায়ী পদে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। পাশাপাশি মদের দোকানের লাইসেন্স পেতে অনেকেই তাঁকে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এত বড় পদে থেকে কিভাবে তিনি এই ধরনের কাজ করলেন, তা দেখে অনেকেই অবাক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jitendra Tewari: কম্বল বিতরণের ঘটনায় শর্তসাপেক্ষে জামিন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির

    Jitendra Tewari: কম্বল বিতরণের ঘটনায় শর্তসাপেক্ষে জামিন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্বল বিতরণকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tewari)। সোমবার ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (calcutta High Court)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি পার্থসারথী সেনের ডিভিশন বেঞ্চে জামিন মঞ্জুর করা হয়। জামিন পেলেও এখনই আসানসোলে ফিরতে পারবেন না শহরের প্রাক্তন মেয়র।

    শর্তসাপেক্ষে জামিন

    ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আসানসোলে ঢুকতে পারবেন না জিতেন্দ্র (Jitendra Tewari)। কলকাতার শেক্সপীয়র সরণির বাড়িতে থাকবেন জিতেন্দ্র। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যে অভিযোগে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই মামলার তদন্ত অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে ডাকা যেতেই পারে। গত ১৮ মার্চ গ্রেফতার করা হয়েছিল জিতেন্দ্রকে। তার পর কিছু দিন পুলিশি হেফাজতে থাকার পর প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন জিতেন্দ্র (Jitendra Tewari)। জিতেন্দ্রর গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আসানসোল। থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। জিতেন্দ্রর স্ত্রী ও এই মামলায় অভিযুক্ত আরও বেশ কয়েকজনকে রক্ষাকবচ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে নিম্ন আদালতে জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন জিতেন্দ্র। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি। এবার গ্রেফতারির ২২ দিনের মাথায় জামিন পেলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ডিএ আন্দোলনকারীদের শহিদ মিনার থেকে অন্যত্র সরাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সেনা

    গত ডিসেম্বরে আসানসোলে আয়োজিত একটি কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত জিতেন্দ্র (Jitendra Tewari)। সোমবার তাঁকে জামিনের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ যে তিনটি শর্ত দিয়েছে, সেগুলি হল— এক, আপাতত আসানসোল এলাকায় ঢুকতে পারবেন না বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র। দুই, যেখানে থাকবেন, সংশ্লিষ্ট থানায় সপ্তাহে এক দিন হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। তিন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেই ঘটনার সাক্ষীদের হুমকি দেওয়া যাবে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরির নাম করে বিভিন্নজনকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে অভিযোগ জানান। তারপরই বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশ, এই বিষয়ে যাবতীয় অনুসন্ধান চালিয়ে ৩ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে। হাইকোর্ট সূত্রের খবর, যেহেতু নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে, তাই এটিও দেখার ভার দেওয়া হল সেই সিবিআইকেই। একইসঙ্গে মূল মামলার সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কিনা, সেটিও খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে সিবিআইকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১ লা মে।

    বোঝাই যায়, নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) জট ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজির ওই শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে মামলা করা হয়েছে এই বছরের মার্চ মাসে। চাকরি দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুন্তল সহ অনেকে গ্রেফতার থাকা অবস্থায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই শিক্ষক নেতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বলেছিলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ?

    কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়ার পর এই নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে ওই শিক্ষককে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তরে তিনি যা জানিয়েছিলেন, তার সারমর্ম হল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে তার কাছে যে অনেকে চাকরির জন্য আসতেন, তদ্বির করতেন, সেকথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি নাকি তাদের পাত্তা দেননি। বরং অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে নেওয়ার কথাই বলেছিলেন। তার আশঙ্কা, এই আক্রোশ থেকেই হয়তো কেউ তার পিছনে লেগেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ থাকলে যে কোনও শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে রাজি, একথাও তিনি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, টাকা নিলে তো হাতে নেব, না হয় কোনও অ্যাকাউন্টে নেব। প্রমাণ থাকলে দেখান। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল করার বিষয়টি একেবারেই নেই বলে তিনি মনে করেন। তার আশঙ্কা, এর পিছনে রয়েছে জ্ঞাতি কেউই। চাকরি না পেয়ে তারাই এখন পিছনে লেগেছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ডিএ আন্দোলনকারীদের শহিদ মিনার থেকে অন্যত্র সরাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সেনা

    Calcutta High Court: ডিএ আন্দোলনকারীদের শহিদ মিনার থেকে অন্যত্র সরাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহিদ মিনার ময়দান থেকে ডিএ (DA Protest) আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল সেনাবাহিনী (Indian Army)। বকেয়া ডিএ (DA) বা মহার্ঘভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের একাংশ আন্দোলনে সামিল হয়েছে। শহিদ মিনার ময়দানে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান চলছে। সেনাবাহিনীর অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ মতো ওই জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। তার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা অগ্রাহ্য করেই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। সেনার তরফে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের করা মামলার শুনানি হতে পারে আগামী শুক্রবার। 

    শুক্রবার শুনানি!

    আগামী শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। আইনগতভাবে শহিদ মিনার চত্বর সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন। তাদের অনুমতি নিয়েই সেখানে যাবতীয় সভা-সমাবেশ করতে হয়। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ইতিমধ্যে ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ১৭ এপ্রিল রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসবেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তিন সদস্য। 

    আরও পড়ুুন: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    আন্দোলন মঞ্চ অন্যত্র সরানোর আর্জি

    ইতিমধ্যেই সোমবার থেকে দিল্লির যন্তর-মন্তরে দু’দিনের প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের দেখা করার কথা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের যুক্তি, বকেয়া ডিএ পেতে সাংবিধানিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণেই কলকাতার পাশাপাশি আন্দোলনকে দিল্লির দরজায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এদিন বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে চলা আন্দোলন ৭৪ দিনে পড়ল। এই নিয়ে কলকাতার শহিদ মিনারে ধর্না-অবস্থান চালাচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। কিন্তু, প্রায় দেড় মাস ধরে চলা তাঁদের এই আন্দোলন নিয়ে এবার আপত্তি জানিয়েছে সেনাবাহিনী। আন্দোলন মঞ্চ অন্যত্র সরিয়ে দিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ভারতীয় সেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: আচমকা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির রাজ্যপাল, কেন জানেন?  

    CV Ananda Bose: আচমকা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির রাজ্যপাল, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারপ্রাইজ ভিজিটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University) হাজির রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। সোমবার আচমকাই কলেজস্ট্রিট ক্যাম্পাসে চলে আসে রাজ্যপালের কনভয়। রাজ্যপাল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন, তখনও আসেননি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আশিস চট্টোপাধ্যায়। পরে খবর পেয়ে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন তিনি। এদিন প্রায় ২০ মিনিট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন উপাচার্য। এই সময়ের মধ্যেই তিনি বৈঠক করেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে। তবে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে স্পিকটি নট বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাজভবন।

    সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)…

    ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছিলেন। অন্য কাজ মিটিয়ে তিনি আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কোনও কর্মসূচি ছিল না রাজ্যপালের। আচমকাই গাড়ি ঘুরিয়ে ক্যাম্পাসে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। এদিনই জাতীয় শিক্ষানীতির প্রস্তাবিত কাঠামো নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজগুলির অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা উপাচার্যের। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও, সূত্রের খবর, এই বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। যেহেতু পদাধিকারবলে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য, তাই তিনি যদি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকেন, তাহলে তা হবে তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুুন: দু’দিনের সফরে শুক্রবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, কী কী কর্মসূচি থাকছে?

    রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য পদে নিয়োগ-পুনর্নিয়োগ ঘিরে রাজভবন-রাজ্য সরকার সংঘাত, আইনি লড়াই চলেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে বড় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, কোনওভাবেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের নিয়োগ কিংবা পুনর্নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও এক্তিয়ারই নেই।

    সম্প্রতি রাজভবনের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। তাতে (CV Ananda Bose) বলা হয়, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট পাঠাতে হবে আচার্যের কাছে। আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে আগাম অনুমোদন নিতে হবে রাজ্যপালের। রাজভবনের এই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের কাছে। এই নির্দেশিকাকে ঘিরে দূরত্ব বেড়েছে রাজভবন-নবান্নের। প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজভবনের তরফে জারি করা হয় একটি বিবৃতি। তাতে বলা হয়, আচার্য পদের ক্ষেত্রে বর্তমান পদ্ধতিই বজায় থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার অর্থ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে থাকবেন রাজ্যপালই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Veda Bandita Basu: ইন্ডিয়া নয়, হোক হিন্দুস্থান! নাম বদলের দাবিতে সাইকেলে দিল্লি-যাত্রা বারাসতের কিশোরীর

    Veda Bandita Basu: ইন্ডিয়া নয়, হোক হিন্দুস্থান! নাম বদলের দাবিতে সাইকেলে দিল্লি-যাত্রা বারাসতের কিশোরীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের নাম ইন্ডিয়ার বদলে রাখা হোক হিন্দুস্থান। এই দাবিতে সাইকেলে বারাসত থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দরবারে রওনা দিল বছর ১৪ এর কিশোরী বেদ বন্দিতা বসু (Veda Bandita Basu)।

    কী বললেন বেদ বন্দিতা (Veda Bandita Basu)?

    বারাসতের লিটল অ্যাঞ্জেলস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী এদিন লোকনাথ মন্দির থেকে রওনা দেয় দিল্লির উদ্দেশে। গন্তব্যে পৌঁছতে তার ২০ দিন মতো সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বেদ বন্দিতা। তার মতে, আমাদের দেশের নাম ইন্ডিয়া জোর করে চাপিয়ে দিয়েছে বিদেশীরা, আমরা এখনও তা বয়ে চলেছি। মোদিজীও বিভিন্ন বক্তব্যে হিন্দুস্থান শব্দ উল্লেখ করেন। আমি তাই ওনার সঙ্গে দেখা করে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আবেদন জানাবো। জানা গেছে, প্রায় দেড় হাজার কিমি রাস্তা সাইকেলে পাড়ি দেওয়ার সময় বেদ বন্দিতার (Veda Bandita Basu) সফর সঙ্গী থাকবেন তাঁর বাবা।

    আরও পড়ুন: চারচাকার বদলে অটোতেই স্বাচ্ছন্দ্য! ব্যতিক্রমী ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক অন্তরা সরকার

    বেদ বন্দিতার (Veda Bandita Basu) রওনা হওয়ার সময় শুভেচ্ছা জানাতে হাজির ছিলেন কয়েকশো বিজেপি কর্মীবৃন্দ

    এদিন বেদ বন্দিতার (Veda Bandita Basu) যাত্রার শুভকামনা জানাতে বারাসত লোকনাথ মন্দিরের সামনে হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি তাপস মিত্র। তিনি বলেন, কোথাও উল্লেখ করা নেই দেশের নাম ইন্ডিয়া রাখতেই হবে। এই ছোট্ট মেয়েটি যে উদ্যোগ নিয়েছে, আমরা তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। তার যাত্রা পথ শুভ হোক। তাঁর সঙ্গে এদিন হাজির ছিলেন বিজেপির কয়েকশো কর্মীবৃন্দ। এই ছাত্রীর সাথে তার সফর সঙ্গী ছিলেন তার পিতা। সোমবার সকালে বারাসত লোকনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে সে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বার্তালাভ করতে।

    আরও পড়ুুন: ফের প্রকাশ্যে কংগ্রেসের কোন্দল, গেহলটের বিরুদ্ধে অনশনে বসবেন পাইলট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রামনবমীর শোভাযাত্রায় এনআইএ তদন্তের দাবি, রায় ঘোষণা স্থগিত রাখল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল রাজ্যে। তার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। সোমবার রায়দান হওয়ার কথা ছিল ওই মামলার। তবে এদিন রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এনআইএর তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা এই ঘটনার তদন্ত করতে প্রস্তুত।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ…

    হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, কারা এই অশান্তির ঘটনায় জড়িত, কারাই বা উসকানি দিয়েছে, তা জানা রাজ্য পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের প্রয়োজন। হাইকোর্টের এও পর্যবেক্ষণ, পুলিশের রিপোর্টে স্পষ্ট যে অশান্তি হয়েছে। পুলিশের রিপোর্টে কোথাও কোনও বোমার উল্লেখ নেই, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। ইসলামপুরের গন্ডগোলে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। পুলিশ সুপার সহ অনেক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। মামলা দায়ের হয়েছে, গ্রেফতারও হয়েছে বলে রাজ্য জানিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত বিচারপতির প্রশ্ন, এই ধরনের গন্ডগোল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক বছর ৬,৭, ৮টা করে ঘটনা ঘটছে। এটা কীভাবে আটকানো সম্ভব?

    আরও পড়ুুন: প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি! বালুরঘাটের দণ্ডি-কাণ্ড নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর

    ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়া, অশান্তির সব ঘটনাই সাধারণ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। তাঁর প্রশ্ন, আদালতের (Calcutta High Court) আগের নির্দেশও কার্যকর হয়নি কেন? পুলিশের অদক্ষতা? গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা? নাকি অন্য কিছু? রিষড়া ও শিবপুর সহ রাজ্যের সর্বত্র গোলমালে এনআইএ অনুসন্ধানের পক্ষে সওয়াল কেন্দ্রের। বোমা বিস্ফোরণের কোনও ঘটনার উল্লেখই নেই রাজ্যের রিপোর্টে। বিস্ফোরণ ও নাশকতা যোগ খতিয়ে দেখতে এনআইএ অনুসন্ধান কেন্দ্রীয় আইনসঙ্গত। নাশকতা ও বিস্ফোরণের কিছু পাওয়া না গেলে সেখানে এনআইএ তদন্ত করবে না। সওয়াল কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এবং ডেপুটি সালিসিটর জেনারেলের। পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ জনস্বার্থ মামলায় প্রথম দিন থেকেই।

    হাওড়া সিপির রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখই নেই! পুলিশ কমিশনারের রিপোর্ট অবশ্যই অর্থবহ হওয়া উচিত, মন্তব্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির। রাজ্যকে দু দিন সময় দেওয়া হোক। সর্বশেষ তদন্তের অগ্রগতি সহ রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিওর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar:  প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি! বালুরঘাটের দণ্ডি-কাণ্ড নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি! বালুরঘাটের দণ্ডি-কাণ্ড নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডি-কাণ্ড নিয়ে এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ (Balurghat MP Sukanta Majumdar) তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে আসা ৪ আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটানোর বিষয়টিকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার কথা ট্যুইট করে জানান সুকান্ত। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি এসটি কমিশনকেও চিঠি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আগামী দিনে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে এমন আচরণ যাতে আর না করা হয়, সে ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে সোমবার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘তপন বিধানসভা এলাকা তথা বালুরঘাট লোকসভা এলাকার ২০০ জন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ গত ৬ এপ্রিল বিজেপিতে যোগ দেন। এই যোগদান তৃণমূল ভালভাবে নেয়নি। নানারকম হুমকি দেওয়া হয়, কয়েকজনকে তৃণমূলে যোগদানে বাধ্যও করা হয়। তৃণমূলে যোগদানের আগে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ‘দণ্ডবৎ পরিক্রমা’ করানো হয়েছে।’

    আদিবাসী জাতির অপমান

    সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে প্রায় ২০০ জন মহিলা তাঁদের পরিবার-সহ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এর পর ফের তৃণমূলে ফিরে আসায় তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করাতে দণ্ডি কাটানো হয়। ওই ৪ জন মহিলা তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের। এ নিয়েই আদিবাসী সমাজের প্রতি বাংলার শাসকদলের ‘নিম্নরুচির মানসিকতা’ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।

    চিঠিতে সুকান্ত লিখেছেন, ‘‘অতীতের বিভিন্ন ঘটনাবলি এবং নানা মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে, আদিবাসীদের প্রতি তৃণমূলের নেতাদের মানসিকতা কেমন। তবে এটা আর বরদাস্ত করা যাবে না।’’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবরই পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের প্রতি আন্তরিক এবং সংবেদনশীল।

    মহিলাদের অপমান

    রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি জাতীয় তফসিলি জনজাতি কমিশনের চেয়ারপার্সনকেও চিঠি লিখেছেন সুকান্ত। তপনের ঘটনায় অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দণ্ডি-বিতর্কে রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, অস্বস্তি বুঝে জেলার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিকে বদল করেছে তৃণমূল। তবে এর পরও শাসকশিবিরের বিড়ম্বনা বহাল রাখতে রাষ্ট্রপতি ও এসটি কমিশনকে চিঠি লিখলেন বিজেপি সাংসদ।

    আরও পড়ুুন: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আদিবাসী মহিলাদের যেভাবে দণ্ডি কাটানো হয়েছে, এর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ চাই। এটা তো দলের পদক্ষেপ। মহিলা সংগঠনের সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে। এসসি এসটি অ্যাক্টে এই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। তাকে গ্রেফতার করা উচিত। জেলে পাঠানো উচিত। এই আইনে জামিন হয় না। সরকার তো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যেভাবে আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানো হল, এটা সমগ্র মহিলা জাতির অপমান, আদিবাসীদের অপমান।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anganwadi Corruption: শিক্ষকের পর এবার অঙ্গনওয়াড়ির  সুপারভাইজার পদে নিয়োগেও ‘দুর্নীতি’?

    Anganwadi Corruption: শিক্ষকের পর এবার অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার পদে নিয়োগেও ‘দুর্নীতি’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার পদে নিয়োগ ঘিরেও উঠল দুর্নীতির (Anganwadi Corruption) অভিযোগ। এনিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতি। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে সংগঠনের তৃতীয় রাজ্য সম্মেলনে এই প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সি শিশুদের এবং প্রসূতি মায়েদের পরিচর্চার দায়িত্ব এই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। এর বাইরেও তাঁদের অনেক সরকারি কাজ করানো হয়। পালস পোলিও, দুয়ারে সরকারের শিবির, নির্বাচন, স্বাস্থ্যশিবির সবেতেই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ‘ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো’।

    সুপারভাইজার পদে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি কেন ?

    এই অমানুষিক পরিশ্রম করেও ন্যায্য সাম্মানিক পাচ্ছেন না তাঁরা। প্রাপ্য সুযোগসুবিধা থেকেও তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সুবীর সাহা। তাঁর অভিযোগ, সীমাহীন বঞ্চনার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে সরকারি স্থায়ী পদে নিয়োগের সুযোগ কেড়ে নেওয়া। তিনি বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সহকারি স্থায়ী সুপারভাইজার পদে উন্নীত করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করেছে। রাজ্যে ৩৪০০ সুপারভাইজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তাতে ১৭০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে নিয়োগ করার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মাত্র ৪১২ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত থাকা সত্ত্বেও প্রায় ১৩০০ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সুপারভাইজার পদে নিয়োগ পাচ্ছেন না। প্রায় ১৩০০ সুপারভাইজার পদে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-কর্মী-মন্ত্রীরা দুর্নীতি (Anganwadi Corruption) করছেন। এ নিয়ে আমরা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার দ্বারস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এবার সব বিধায়ক ও সাংসদের কাছে এই তথ্য তুলে ধরা হবে। তারপর আমরা এই সুপারভাইজার পদে নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হব। 

    মোবাইল নিয়েও দুর্নীতি ?

    অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কেনার জন্য প্রাপ্য টাকা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়েও সংগঠনের তৃতীয় রাজ্য সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খবর রয়েছে কেন্দ্র সরকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল কেনার জন্য আট হাজার টাকা করে দিয়েছে। কেননা এখন সবকিছুই অনলাইনে হয়ে গিয়েছে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল ফোন থেকে রিপোর্ট পাঠাতে হয়। পশ্চিমবঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা সেই মোবাইল কেনার টাকা পাননি (Anganwadi Corruption)। কেউ গয়না বিক্রি করে, কেউ ধারদেনা করে মোবাইল কিনে সরকারি কাজ করছেন। রাজ্যের ১ লক্ষ ১৬ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে মোবাইল কেনার টাকা দেয়নি রাজ্য সরকার।
    কুড়ি থেকে ৬৫ বছর বয়সের মহিলাদের অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকছে। ৬৫ বছর হয়ে গেলে সেই কর্মীদের অবসর নিতে হয়। অবসরের সময় এককালীন মাত্র তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। সুবীরবাবু বলেন, আমাদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন, গ্র্যাচুইটি দিতে হবে।

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মাড়োয়ারি ভবনে গত আট এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা কল্যাণ সমিতি তৃতীয় রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৮টি জেলা থেকেই প্রায় তিন হাজার সদস্যা উপস্থিত হয়েছিলেন। আর এই বিপুল সমাবেশ শিলিগুড়ি বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক বিজেপির শিখা চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও এই সম্মেলনে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রতি রাজ্যের সীমাহীন শোষণ, বঞ্চনা ও অবিচার (Anganwadi Corruption) নিয়ে সরব হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share