Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    Lakshmir Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেও বাধ্যতামূলক আধারকার্ড, এ কোন ‘মমতা’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তিনি ছিলেন আধার (Aadhar) কার্ডের ঘোরতর বিরোধী। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সরকার যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করে, তখন তার কড়া সমালোচনা করেছিল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেই তিনিই এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে বাধ্যতামূলক করে দিলেন আধারকার্ড।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করে মমতা সরকার। তখন আধার বাধ্যতামূলক ছিল না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মমতাকে ফের নিয়ে আসে নবান্নের কুর্সিতে। পরে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় রাজ্য সরকারের। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সাধারণ মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তফশিলি জাতি কিংবা উপজাতির মহিলারা মাসে পান ১০০০ টাকা করে। ফি মাসে এক ধাক্কায় বিপুল পরিমাণ টাকার জোগান দিতে হিমশিম খায় রাজ্য সরকার। বাধ্য হয়ে প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar) বরাদ্দ জোগান দিতে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হতে থাকে খয়রাতি প্রকল্পে। তার পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ভুয়ো ডকুমেন্ট দিয়ে অনেকেই মুফতের টাকা লুটেপুটে নিতে থাকেন। তার পরেই টনক নড়ে সরকারের। যার জেরে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও বাধ্যতামূলক করা হল আধার কার্ড।

    আরও পড়ুুন: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    এর আগে ভুয়ো রেশন কার্ড ধরতে হাতিয়ার করা হয়েছিল আধার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করতেই ধরা পড়ে ৬০ লক্ষ ভুয়ো গ্রাহক। রাতারাতি ছেঁটে ফেলা হয় তাঁদের। ফি মাসে সরকারের বাঁচে কয়েক কোটি টাকা। ভুয়ো রেশন কার্ডই নয়, জাল জবকার্ড বানিয়ে লুঠে নেওয়া হচ্ছিল সরকারের কোটি কোটি টাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের বহু নেতা-কর্মীও ভুয়ো জবকার্ডের সাহায্যে দিব্যি চালাচ্ছিলেন লুঠের কারবার। আধার অস্ত্র প্রয়োগ করে সেই কারবারেও ইতি টানা হয়েছে। এক ধাক্কায় বাদ গিয়েছে প্রায় এক কোটি ভুয়ো জবকার্ড। এবার জাল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) গ্রাহক ধরতে বাধ্যতামূলক করা হল সেই আধার কার্ড। এক সময় যে কার্ডের বিরোধিতা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল নেত্রী। এই মর্মে জারি করা হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এখন দেখার, পঞ্চায়েত নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই তৃণমূলের শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কিনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: অপেক্ষার অবসান, রবিবারই গঙ্গার নিচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো

    Kolkata Metro: অপেক্ষার অবসান, রবিবারই গঙ্গার নিচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্জিকা মতে রবিবারই মিলেছে শুভক্ষণ। তাই এই দিনেই গঙ্গার (Ganga) নিচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো (Kolkata Metro)। এদিনই হবে ট্রায়াল রান। রেলের তরফে এই ঘোষণার পরেই সাজ সাজ রব হাওড়ায়। মঙ্গলবার দুপুরে ট্রায়াল রান হওয়ার কথা ছিল। শেষমেশ ঠিক হয়, মঙ্গলের পরিবর্তে ট্রায়াল রান হবে রবিবার। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই যে গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো দৌড়বে, সে খবর জানা গিয়েছিল আগেই। মহাকরণ থেকে হাওড়া ময়দান ট্রায়াল রান শুরু হবে ৮ এপ্রিল। বউবাজারের পূর্বমুখী টানেল দিয়ে আসবে মেট্রোর রেক।

    মেট্রো (Kolkata Metro)…

    জানা গিয়েছে, হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ পর্যন্ত রেলের (Kolkata Metro) লাইন বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। বউবাজারের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় আপাতত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত পরিষেবা চালুর চিন্তাভাবনা করছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হতে পারে ট্রায়াল রান। মেট্রো সূত্রে খবর, শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ না হওয়ায় রেক আনা হবে টেনে। বউবাজারে সাইড ওয়াল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দেওয়াল হবে ৯ মিটারের মতো। কাজ হয়েছে ২ মিটারের মতো। দেওয়াল তৈরি হয়ে গেলে শুরু হবে ছাদের কাজ। এখানে কিছু ব্র্যাকিং রয়েছে। সাপোর্টিং স্ট্রাকচার হিসেবে এগুলি তৈরি হয়েছিল। সেই ব্র্যাকিংগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে। তার পরেই হাওড়া ময়দান এবং সল্টলেক সেক্টর ৫ এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে বউবাজার।

    আরও পড়ুুন: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    প্রসঙ্গত, গঙ্গার গভীরতা ১৩ মিটার। তারও ১৩ মিটার নিচে তৈরি হয়েছে টানেল (Kolkata Metro)। ২০১৮ সালে ৬৬ দিনে শেষ হয় গঙ্গার নিচে টানেল তৈরি। গঙ্গার নিচে লাইনের দৈর্ঘ্য সাড়ে ৫০০ মিটার। ২০১৯ সালে প্রথমবার বউবাজারে বিপর্যয় ঘটে। ২০২২ সালে দ্বিতীয়বার ফাটল দেখা দেয়। দ্বিতীয় বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার আগেই আসে তৃতীয় বিপর্যয়। তার জেরে বউবাজারকে নিয়ে বারংবার সমস্যায় পড়তে হয় মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। তাই এবার হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ পর্যন্ত ছুটবে মেট্রো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Pond: পুকুরে ডুব দিলেই মনোবাসনা পূরণ, কোলে আসছে সন্তানও! জেনে নিন কোথায় এই “কামনা পুকুর”?

    Pond: পুকুরে ডুব দিলেই মনোবাসনা পূরণ, কোলে আসছে সন্তানও! জেনে নিন কোথায় এই “কামনা পুকুর”?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর।” কিন্তু এখানে বিশ্বাস অন্ধ বিশ্বাস কি না, তা নিয়ে যেমন শিক্ষিত মহলে প্রশ্ন আছে , তেমনি অনেকেরই আবার দাবি, এ আসলে ঠাকুরের অপার মাহাত্ম্য। বাস্তব যাই হোক না কেন, এমনই একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ায়। পুকুরে ডুব দিলেই নাকি হচ্ছে মনোবাসনা পূরণ। শুধু তাই নয়, ডুব দিলেই মিলছে চাকরি, অসুস্থ শরীর হচ্ছে সুস্থ, এমনকী মিলছে সন্তানও। এমনটাই নাকি ঘটছে বানিপুরের ইতনা কলোনির এক পুকুরে, স্থানীয়রা যার নাম রেখেছেন “কামনা পুকুর”।  

    স্থানীয়দের কী দাবি এই পুকুর নিয়ে ?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পুকুরের জলে নাকি রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। এলাকার মানুষজন তাই পুকুরপাড়ে তৈরি করে ফেলেছেন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ-এর মন্দির। শুধু তাই নয়, দূর থেকে ঠাকুরবাড়ির পুকুরের ১০১ ঘটি জল এনে শোধনও করেছেন। এই পুকুরের খবর ছড়িয়ে যায় সর্বত্র। ভক্তরা আসতে শুরু করেন দূরদূরান্ত থেকে, তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য। আবার অনেকের, যাদের চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ কাজ করছে না, তাদের নাকি এই জলে ডুব দিলে শারীরিক সমস্যা দূর হচ্ছে। দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল এক গৃহবধূকে। মনের ইচ্ছা নিয়ে এই পুকুরে ডুব দিতেই কয়েক মাসের মধ্যে নাকি চলে আসে সন্তান। সকাল থেকেই ভক্তদের তাই লাইন পড়ছে এই এলাকায়, পুকুর সংলগ্ন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরেও পড়ছে লম্বা লাইন। সঙ্গে খিচুড়ি ভোগ প্রসাদ বিতরণ, কাঁসর, ডঙ্কা, নিশান নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন। উপস্থিত ছিলেন মতুয়া ভক্ত দলপতি গোসাই পাগল রাও। সব মিলিয়ে স্নান ঘিরে যেন উৎসবের মেজাজ গোটা এলাকায়।

    শুনুন, এক বৃদ্ধা কী বলছেন

    এখানেই দেখা হয়েছিল এক বৃদ্ধার সঙ্গে। নাতির পায়ে এতই যন্ত্রণা যে তারা কেউই রাতে ঘুমাতে পারতেন না। তাই তিনি এখানের শরণাপন্ন হলেন। নাতির রোগ সারলে এক মন চাল মানসিক হিসেবে দেব বলেছিলেন। তিনি এসেছিলেন সেই মানসিক দিতে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    Arjun Singh: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমানের ল্যাংচা হাবের সামনে শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা–কে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। আর এই খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা। দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত করে এই খুন করা হয়েছে বলে দাবি করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ (বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরা) অর্জুন সিং (Arjun Singh)।  

    রাজু বিজেপি করেনি

    কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা (Raju Jha) খুন হয়েছিলেন ১ এপ্রিল সন্ধ্যায়। সেই খুনের ঘটনায় সিট গঠন হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রাজু খুনের কিনারা করে উঠতে পারেনি বিশেষ তদন্তকারী দল। এরমধ্যেই শুক্রবার রাজুর দুর্গাপুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অর্জুন। রাজুর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অর্জুন বলেন, ‘‘আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। ওর (রাজুর) সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল না আমার। আসলে ওর গ্রামের বাড়ি (বিহারে) এবং আমার বাড়ি একই জায়গায় ছিল। সেই সূত্রে পরিচয়।’’ পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর উপস্থিতিতে রাজু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সে কথা উল্লেখ করে সাংসদ বলেন, ‘‘ও পার্টি (বিজেপি) করেনি। পরে আমরা ওকে তৃণমূলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলাম। তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে গেল।’’

    আরও পড়ুন: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

    লতিফেরও প্রাণহানির শঙ্কা

    ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও পরে সে ভাবে পশ্চিম বর্ধমানের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে আর রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি। রাজু যেদিন খুন হন সেদিন ওই গাড়িতেই ছিলেন গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তথা সিবিআইয়ের খাতায় ফেরার আবদুল লতিফ। অর্জুনের দাবি, ‘এটা পাকা মাথার কাজ। বাইরের রাজ্য থেকে শার্প শ্যুটার এসেছিল। রহস্য ভেদ করতে একটু তো সময় লাগবেই!’ রাজুর খুনের দিন তাঁর সঙ্গে এক গাড়িতেই ছিলেন লতিফ। আর এই ঘটনার পর থেকে গা–ঢাকা দিয়েছেন তিনি। অর্জুনের কথায়, ‘আমার মনে হয় লতিফ এই মার্ডার কেসে একটা লিঙ্ক!’ আবদুল লতিফের নাম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছে তারও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। ওকে পুলিশ না ধরতে পারলে হয়তো লতিফকেও সরিয়ে দেওয়া হবে। গরু-পাচার মামলায় কিং-পিন লতিফ। ইতিমধ্যেই তাঁকে দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই আবহে অর্জুনের এরকম দাবি চাঞ্চল্য ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Cancellation: বিপাকে পর্যটকেরা! কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনের জেরে শুক্রবারও বাতিল ৭০টি ট্রেন

    Train Cancellation: বিপাকে পর্যটকেরা! কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনের জেরে শুক্রবারও বাতিল ৭০টি ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনের জেরে খড়্গপুর ডিভিশনে গত কয়েক দিন ধরেই বাতিল করা হচ্ছে আপ এবং ডাউনের একাধিক ট্রেন। রেল সূত্রে খবর, কুড়মিদের আন্দোলনের জেরে শুক্রবারও খড়্গপুর ডিভিশনে আপ-ডাউনের বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল হয়েছে আপে ২৫টি এবং ডাউনে ১৭টি। সেই তালিকায় ভাস্কো ডা গামা-জসিডি এক্সপ্রেস, সেকেন্দ্রাবাদ-পটনা এক্সপ্রেস, এলটিটি-রাঁচী এক্সপ্রেস, আলাপ্পুঝা-ধানবাদ এক্সপ্রেস। বাতিল থাকছে দুরন্ত এক্সপ্রেসও। এ ছাড়াও আপ ও ডাউনে ৯টি করে প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে ডাউন লাইনের ৭টি ট্রেন। যার জেরে দূরদূরান্তের যাত্রীরা খড়্গপুরে পৌঁছে বিপাকে পড়েন।

    বিপাকে পর্যটকরা

    তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতির দাবিতে কুড়মি সম্প্রদায়ের রেল রোকো, ঘাঘর ঘেরা কর্মসূচি অব্যাহত। এর জেরে অবরুদ্ধ রেল থেকে সড়কপথ। এই কুড়মি আন্দোলনের জেরেই বেকায়দায় বাঙালি পর্যটকেরা। জানা গিয়েছে, কুড়মি আন্দোলনের জেরে প্রতিদিনই বাতিল লোকাল থেকে ৫০-এরও বেশি দুরপাল্লার ট্রেন। এই ট্রেন বাতিলের কারণেই বহুসংখ্যায় বাঙালি আটকে পড়ছেন বাইরে। ঘুরতে গিয়ে বাড়ি ফেরার রাস্তা বন্ধ।  কুর্মিদের আন্দোলন জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে গত কয়েকদিনে। রেল অবরোধের অবস্থার অবনতি হওয়ায় শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যাচ্ছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার অর্থাৎ ৭ এপ্রিলও প্রায় ৭০ ট্রেন বাতিল করা হয়েছে যার ফলে চরম অসুবিধায ঘুরতে বেরোনো বাঙালি।

    আরও পড়ুন: অবরোধের জেরে ৮৪টি ট্রেন বাতিল, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত, আন্দোলন জোরদার করার পথে আদিবাসীরা

    লাইনে কাজ, বন্ধ ট্রেন

    এছাড়াও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেললাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার জন্য আগামী শনিবার (৮ এপ্রিল) রাত ১০টা ২০ মিনিট থেকে থেকে রবিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত শিয়ালদহ ডিভিশনে বাতিল থাকবে একাধিক লোকাল ট্রেন এবং দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনও। ওই ১০ ঘণ্টায় কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের সময়সূচিও বদলানো হয়েছে। কিছু ট্রেনকে বিকল্প পথ দিয়ে নিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: যাত্রী দুর্ভোগের আশঙ্কা! ফের শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন বন্ধ

    এই কাজ চলার জন্য শুক্রবার অজমেঢ়-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস শিয়ালদহের পরিবর্তে কলকাতা স্টেশনে আসবে। শনিবারও আপ পদাতিক এবং অজমেঢ় এক্সপ্রেস শিয়ালদহের পরিবর্তে কলকাতা স্টেশনে এসে থামবে। সময় পরিবর্তন করা হয়েছে ডাউন গৌড় এক্সপ্রেস, দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস, আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং আপ বালুরঘাট-মালদা টাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনের। শিয়ালদহ ডিভিশনে ট্রেন বাতিলের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারির জট খুলতে গুগলকে চিঠি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এসএসসি (SSC Scam) মামলায় তথ্য চেয়ে গুগলকে (Google) চিঠি দিল সিবিআই (CBI)। জাল ওয়েবসাইট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগলের কাছে। জানা গিয়েছে, এই জাল ওয়েবসাইটেই অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে পাশ করার রেজাল্ট দেখানো হত। সেই কারণেই ওই জাল ওয়েবসাইট সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, দুটি ওয়েবসাইটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

    এসএসসি (SSC Scam) মামলা…

    এই দুটি ওয়েবসাইটে অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেখানো হত তাঁদের নাম। টাকা নেওয়ার পরে ডিলিট করে দেওয়া হত সেই তালিকা। সেই কারণেই আইপি অ্যাড্রেস সহ যাবতীয় তথ্য পেতে গুগলকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কিছু কর্মপ্রার্থী চাকরি পেলেও, অনেকেই পাননি। যদিও টাকা দিয়েছেন তাঁরা। যার অর্থ, প্রতারিত হয়েছেন তাঁরাও। কারা প্রতারিত হয়েছেন, কোন অযোগ্য প্রার্থী চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তা জানতেই তথ্য চাওয়া হয়েছে গুগুলের কাছে।

    সিবিআইয়ের দাবি, যাঁরা পরীক্ষায় (SSC Scam) ফেল করত, ওয়েবসাইটের দেওয়া রেজাল্টে তাঁকে পাশ দেখানো হত। সেই রেজাল্টের প্রিন্টআউটও দেওয়া হত। টাকা নেওয়ার পরে ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যেত সেই নাম। সিবিআই সূত্রে খবর, পর্ষদের আসল ওয়েবসাইটে .ইন রয়েছে। কিন্তু ভুয়ো ওয়েবসাইটে সেটাই .কম। জানা গিয়েছে, চাকরির জন্য যারা টাকা দিত, তাদের নাম তোলা হত ভুয়ো ওয়েবসাইটে। পরে সেটা দেখিয়েই আরও টাকা দাবি করা হত। যে ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ফুলে ফেঁপে উঠেছে দালালরা।

    আরও পড়ুুন: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    এদিকে, পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। অন্তত হার্ড ডিস্কে এমনই তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের (SSC Scam) ক্ষেত্রে অয়ন প্রার্থী পিছু লক্ষ লক্ষ টাকা নিতেন বলে অভিযোগ। নামে-বেনামে অয়নের নামে ফ্ল্যাট রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। অয়ন সেই ফ্ল্যাটগুলির টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। অয়নের প্রায় আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে। সেই টাকার উৎস কী তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: ছোট মেয়ের প্রেমে বাধা! তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী এবং বড় মেয়েকে খুন করল প্রেমিক

    Cooch Behar: ছোট মেয়ের প্রেমে বাধা! তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী এবং বড় মেয়েকে খুন করল প্রেমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের সঙ্গে প্রতিবেশী যুবকের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় সেই প্রেমিকের হাতে খুন হতে হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, তাঁর স্বামী এবং বড় মেয়েকে। আততায়ীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যার ছোট মেয়েও। শুক্রবার কোচবিহারের শীতলকুচির পশ্চিমপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে শীতলকুচি থানার পুলিশ।

    প্রেমে বাধা, তাই খুন

    শুক্রবার ভোর রাতে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে আর্তনাদ, গোঙানিতে ঘুম ভেঙেছিল প্রতিবেশীদের। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর রাতে চিৎকার শুনে পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মণের বাড়িতে ছুটে যান পড়শিরা। গিয়ে দেখেন, নীলিমা, তাঁর স্বামী বিমলকুমার বর্মণ (৬৮) এবং তাঁদের বড় মেয়ে রুনা বর্মণ (২৪) রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁদের মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে নীলিমা ও তাঁর স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে বড় মেয়েকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁরও মৃত্যু হয়। ছোট মেয়ে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠা দিবসেই যোগদান! বিজেপিতে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনির ছেলে অনিল অ্যান্টনি

    শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ এই ঘটনার পরই এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই দম্পতির মেয়ে ইতি বর্মন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল পাশের গ্রামের যুবক বিভূতি রায়ের সঙ্গে। যা নিতে তীব্র আপত্তি ছিল তার বাবা-মা দুজনেরই। বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারে এই নিয়ে অশান্তিও চলছিল। অভিযোগ,  শুক্রবার কাকভোরে বিভূতি হাতে একটি কাঠারি নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। অতর্কিতে হামলা চালাতে শুরু করে সে। প্রেমিকার মাকেই সবার আগে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। এরপর কোপায় বাবাকে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয় প্রেমিকা ও তার দিদিও। একাধিকবার নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছে বিমল বর্মন ও তাঁর স্ত্রী নিলীমাকে।

    ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র

     মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা বলেন, ‘‘প্রধান অভিযুক্ত বিভূতিভূষণ রায় এবং তাঁর সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রেমঘটিত সম্পর্কের কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।’’এই ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শীতলকুচি বাজার এলাকায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। কেবলই কি ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি রয়েছে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রও? মৃত নিলীমা বর্মন শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী বিমল চন্দ্র বর্মন তৃণমূলের এসসিএসটি ওবিসি সেলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীদের বয়ান ও ধৃতদের জেরায় করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ইতির সঙ্গে বিভূতিভূষণের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে কথা বিভূতিভূষণ জেরায় স্বীকারও করে নিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ‘প্রেমিকা’র পরিবার সেই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণেই এই খুন। তবে আর অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    Nadia: ভরা বাজারে গুলি করে খুন তৃণমূল নেতাকে, শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর রাশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল (TMC) পরিচালিত সরকার। বিরোধীরাও তেমন শক্তিশালী নন। এহেন আবহে ভরা বাজারে গুলি করে খুন করা হল তৃণমূলেরই এক নেতাকে। মৃতের নাম আমোদ আলি বিশ্বাস। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির ছোট চুপড়ি বাজারের কাছে। প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ায় এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বেহাল দশা নিয়েও।

    নদিয়ায় (Nadia) খুন…

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও বাজারে যান বড় চুপড়ির (Nadia) বাসিন্দা আমোদ। বাজার করার সময় সেখানে বাইকে চড়ে আসে দুই ব্যক্তি। আমোদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে তারা। পরে হয় কথা কাটাকাটি। আচমকাই আমোদকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আমোদকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে। খবর পেয়ে দ্রুত অকুস্থলে পৌঁছায় হাঁসখালি থানার পুলিশ। কী কারণে আমোদকে খুন করা হল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি শিশির রায় বলেন, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করলে সত্যিটা প্রকাশ্যে আসবে।

    আরও পড়ুুন: ফের বিতর্কে প্রেসিডেন্সি! সরস্বতী পুজোয় না, অথচ ইফতারের আয়োজন জাঁকজমকপূর্ণ

    রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান বলেন, আমোদ আলি বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক খুন ও খুনের চেষ্টার মামলা রয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছিল বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র। দুটি গোষ্ঠীর লড়াইয়ের জেরে খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এদিনই ভোরে খুন হয়েছেন কোচবিহারের শীতলকুচির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের নীলিমা বর্মণ। খুন হয়েছেন তাঁর স্বামী বিমলচন্দ্র বর্মণ এবং এক মেয়েও। গুরুতর জখম অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন নীলিমার আরও এক মেয়ে। রাজ্যের দু প্রান্তে একই দিনে দুই তৃণমূল নেতার খুনে উদ্বেগ শাসক শিবিরেও। 

    কেবল এই দুই খুন নয়, দিন তিনেক আগে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ল্যাংচা দোকানের (Nadia) সামনে খুন হন কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা। সাত সকালে তাঁকেও খুন করে পালিয়ে যায় খুনিরা। রাজুর খুনের আততায়ীরা এখনও অধরা। এরই মধ্যে একই দিনে পর পর দুটি খুনের ঘটনা এ রাজ্যেই। দিন দিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের ওপর কী ক্রমেই শিথিল হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাশ? উঠছে প্রশ্ন।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Environment: ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে জঙ্গল ধ্বংস করে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স? প্রতিবাদে সরব বিজেপি বিধায়ক

    Environment: ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে জঙ্গল ধ্বংস করে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স? প্রতিবাদে সরব বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পরিবেশ (Environment) বাঁচাতে কজনই বা এগিয়ে আসেন? কিন্তু উত্তরবঙ্গে বন ও নদী বাঁচাতে আন্দোলনে নেমেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক, বিজেপির (BJP) শঙ্কর ঘোষ। উত্তরবঙ্গের মূল সৌন্দর্য হল ওই নদী আর বনজঙ্গল। কিন্তু সম্প্রতি একটি খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন থেকে তিনি জানতে পারেন, ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি জঙ্গলে একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ হচ্ছে, যা পরিবেশবান্ধব নয়।  বনজঙ্গল ধ্বংস করেই সেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। 

    শঙ্করবাবুর মূল অভিযোগ কী ? 

    অভিযোগ, কোনওরকম নিয়মের তোয়াক্কা না করে এবং বনজঙ্গল (Forest) ধ্বংস করে চলছে এই নির্মাণকার্য। এর ফলে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্পের (Tourism) ওপর খারাপ প্রভাব পড়ছে। লাটাগুড়ির এই বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স (Commercial Complex) বানানো নিয়ে তাই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের বন আইন, পরিবেশ (Environment) আইন ইত্যাদি কিছুই মানা হচ্ছে না এই নির্মাণকার্যে। শুধু এটি নয়, আরও অনেক হোটেল, রিসর্ট নির্মাণ হচ্ছে এইভাবেই, আইনকে তোয়াক্কা না করেই। অপরদিকে তিস্তা নদীতে ক্রাসার নামিয়ে প্রকাশ্যে পাথর তোলার কাজ চলছে। এতে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এরপর এর থেকে বড় কোনও বিপর্যয় ঘটতে পারে। আর এর প্রতিবাদেই আমি উত্তরবঙ্গে নদী ও বন বাঁচাতে আন্দোলন করছি। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বনভূমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনও কংক্রিটের নির্মাণ করা যাবে না। কোর এলাকায় পিচরাস্তা নির্মাণ হবে না। এক্ষেত্রে কিছুই মানা হয়নি। এছাড়া বন্যপ্রাণ আইনও ভাঙা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।

    বিধানসভাতে পর্যন্ত জানানো হয় ব্যাপারটি, কিন্তু তারপর ?

    গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি শঙ্করবাবু নিজে বিধানসভাতে মুখ্যমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী ও বনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জানান। তিনি চিঠি দিয়ে জানতে চান, এই নির্মাণকার্যের ক্ষেত্রে পরিবেশ (Environment) দফতরের ছাড়পত্র আছে কিনা। কিন্তু আজও তার সদুত্তর মেলেনি। এরপর আবার তিনি জেলাশাসককে চিঠি দেন। তিনি কোনও উত্তর না দিয়ে সেটি বনদফতরের কাছে রেফার করে দেন। সেখান থেকেও কোনও উত্তর আসেনি বলে তিনি জানিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি পরিবেশপ্রেমীদের একজোট করে এর প্রতিবাদে সরব হবেন বলেই জানিয়েছেন। পাশাপাশি গ্রিন বেঞ্চে মামলা করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    তাঁর এই অভিযোগের ব্যাপারে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কী জানিয়েছেন ?

    দুদিন উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শিলিগুড়ির বিধায়কের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ উঠতে তিনি বলেন, “শঙ্কর ঘোষ বিধানসভায় বিষয়টি তোলেননি। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক ঠিক কথা বলছেন না। লাটাগুড়ির যে নির্মাণকার্য নিয়ে তিনি অভিযোগ করছেন, সেটি কোর এরিয়ার মধ্যে নয়। তার আগে থেকেই সেখানে অনেক বাড়ি রয়েছে। আর গরুমারা হল অভয়ারণ্য। তাই সেখানে নির্মাণের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নির্মাণ হচ্ছে লাটাগুড়িতে। ওই নির্মাণ আমাদের এলাকায় হচ্ছে না, তাই এই নির্মাণকার্যে আমরা বাধা দিতে পারি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

    CV Ananda Bose: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নির্দেশিকা পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। বৃহস্পতিবার রাজভবনের ওই নির্দেশিকা নজিরবিহীন, বলে দাবি  শিক্ষা মহলের। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম বাংলা। তাই সরাসরি উচ্চশিক্ষায় নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল। পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড়ের পর এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেনেও কড়া নজর রাখতে চান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    নয়া নির্দেশিকায় কী বলা হল

    রাজ্যপালের (CV Anand Bose) পাঠানো নির্দেশিকায় মূলত তিনটি কথা বলা হয়েছে। এক, বিশ্ববিদ্যালয় যদি কোনও আর্থিক লেনদেন করে তার আগে আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে। অর্থাৎ আর্থিক লেনদেনের যে কোনও বিষয়ে রাজভবনের আগাম অনুমোদন লাগবে। নইলে তা করা যাবে না। দ্বিতীয়ত বলা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহের শেষে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ইমেল করে রাজ্যপালকে জানাতে হবে কী কাজ হল গোটা সপ্তাহে। তৃতীয়, উপাচার্যদের ভায়া হয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে না। সরাসরি তাঁরা যোগাযোগ করতে পারবেন। একইভাবে রাজ্যপালও (CV Anand Bose) আচার্য হিসাবে উপাচার্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখবেন। এমনকী চাইলে সরাসরি রাজভবনের সঙ্গে টেলিফোনেও যোগাযোগ রাখতে পারেন উপাচার্যরা। 

    আরও পড়ুন: মাত্র চার বছর বয়সেই বই প্রকাশ করে কব্জায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড

    শিক্ষামহলের অভিমত

    এতদিন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরা শিক্ষা দফতরে রিপোর্ট পাঠাতেন। তাঁদের নিয়োগ থেকে বদলি সবটাই রাজ্যের সুপারিশ মেনে সই করতেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)। সেখানে এই নয়া নির্দেশিকার অর্থ, উপাচার্যদের কাজকর্মের নিয়ন্ত্রণ রাজভবনের হাতে নিয়ন্ত্রণ হওয়ার সামিল বলে মনে করছেন অনেকে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে বসিয়ে কিছুদিন আগে, রাজ্যপালের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব নয়। বাংলা নিজের শিক্ষা, সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। আমাদের সকলকে সেই জায়গা ধরে রাখতে হবে।” কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির জেরে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা যে লাটে উঠেছে, তা বুঝেই হয়ত উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কড়া হাতে সবকিছু খতিয়ে দেখতে চাইছেন রাজ্যপাল, অভিমত শিক্ষাবিদদের। রাজভবনের নয়া নির্দেশিকা সম্পর্কে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক এক্তিয়ার মেনেই এই নির্দেশিকা জারি করেছেন। আমার মনে হয় এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আর্থিক লেনদেন আরও স্বচ্ছ হবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share