Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী! শান্তি বজায় রাখতে কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    Hanuman Jayanti: হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী! শান্তি বজায় রাখতে কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তীতে (Hanuman Jayanti) শান্তি বজায় রাখতে রাজ্যে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুধবার এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করবে আধা সাময়িক বাহিনী। জানাল কোর্ট। এ ব্যাপারে রাজ্যকে অবিলম্বে সাহায্য করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকেও। বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী। তার আগে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার কথা বলল উচ্চ আদালত।

    শুভেন্দুর মামলার প্রেক্ষিতে নির্দেশ

    রাজ্যে অশান্তির ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। আদালতের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করাতে। সেই মামলার শুনানিতেও সম্প্রতি অশান্ত হয়ে ওঠা এলাকাগুলিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

    এদিন আদালতে রাজ্যের বক্তব্য ছিল, রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti) রাজ্যে পালিত হওয়া সাধারণ উৎসবের মধ্যে পড়ে না। আদালতে রাজ্য জানায়, শেষ ৫ বছর ধরে এটা শুরু হয়েছে। রাজ্যের দাবি, এ ক্ষেত্রে অপরিচিত সংগঠন অনুমতি চাইছে। পরের বছর থেকে ১৫ দিন আগে অনুমতি চাইতে হবে। রাজ্য জানিয়েছে, সব মিলিয়ে হনুমান জয়ন্তীতে মিছিল করার অনুমতি চেয়ে প্রায় ২০০০ আবেদন জমা পড়েছে। সেই মিছিলগুলিতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্পর্শকাতর এলাকাগুলি চিহ্নিত করতে বলেছে আদালত। বুধবার থেকেই সেই এলাকাগুলিতে পুলিশ যাতে রুট মার্চ করে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি রাজ্যের অনুরোধ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাহিনি মোতায়েনের ব্যবস্থা করার জন্য পৃথক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকেও।

    আদালতের নির্দেশিকা

    হনুমান জয়ন্তী নিয়ে কোনও রাজনৈতিক নেতা কোথাও কোনও বক্তৃতা করবেন না

    হনুমান জয়ন্তীর জন্য কেন্দ্রের কাছে আধা সামরিক বাহিনী চাইবে রাজ্য

    মিছিল বা শোভাযাত্রা যদি প্রশাসনের কোনও শর্ত না মেনে হয় তা হলে তার দায় সেই প্রতিষ্ঠান এবং তার আধিকারিকদের উপর বর্তাবে

    শোভাযাত্রায় কত জন থাকবেন তা আগে থেকে পুলিশকে জানাতে হবে

    শোভাযাত্রা শুরু এবং শেষ নির্দিষ্ট সময়ে করতে হবে

    স্পর্শকাতর এলাকায় ব্যারিকেড করা হবে

    স্বেচ্ছাসেবকদের নাম এবং ফোন নম্বর দিতে হবে

    স্পর্শকাতর এলাকায় বসানো হবে সিসিটিভি

    ১৪৪ ধারা এলাকার মধ্যে কোনও হনুমান জয়ন্তী মিছিল হবে না। 

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য রিকুইজিশন দেবে রাজ্য। 

    সারা রাজ্যে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য পুলিশ রুট মার্চ করবে। 

    কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্যের পদক্ষেপ রিপোর্ট আকারে হাইকোর্টে পেশ করবে রাজ্য।

    আরও পড়ুন: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    কেন্দ্রের নির্দেশ

    হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanti) ঠিক আগে বুধবার (৫ মার্চ) বিশেষ পদক্ষেপ করল কেন্দ্রও। সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব উদযাপন এবং সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে, এমন যে কোনও বিষয়ের উপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর থেকে ট্যুইট করা হয়েছে, “রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারগুলিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালন এবং সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করতে পারে এমন যে কোনও কিছুর উপর নজরদারি নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের (COVID) সময় ব্যয় সংকোচ ঘটাতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। অর্থনীতির ভাষায় একে বলা হয় এমবার্গো।
    করোনা দেশের বিভিন্ন জায়গায় চোখ রাঙালেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত তার কোনও প্রভাব নেই। জনজীবনও কার্যত স্বাভাবিক। সরকারের তরফে খেলা, মেলা, দান, খয়রাতি সবকিছুই চলছে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই।  

    কিন্তু করোনার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি অর্থ দফতর। তার প্রমাণ মিলল একটি নির্দেশিকায়, যা জারি করা হয়েছে ৩০ মার্চ এবং কার্যকর নতুন বছরের শুরু, ১ এপ্রিল থেকেই। নতুন অর্থবর্ষের শুরু থেকেই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)। যা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, সরকার বাইরে সবকিছু স্বাভাবিক দেখাতে চাইলেও ভিতরে ভিতরে আসলে কঙ্কালসার হয়ে গিয়েছে।

    কী বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে? 

    ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর বাজেট (Budget) বরাদ্দের কত শতাংশ টাকা খরচ করতে পারবে। এতেই দেখা যাচ্ছে, বেতন, অনুদান, হাসপাতালের ওষুধ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা ছাড়া যাবে, তার বেশি কোনওভাবেই নয়। বহু ক্ষেত্রেই কোনও দফতর ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কী কী শর্ত পূরণ করে ওই টাকা খরচ করা যাবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

    কী বলল বিজেপি? 

    এই নির্দেশিকার কথা প্রকাশে আসতেই রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব কড়া সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নানা কথা বলা হলেও বাস্তবে সরকারের ভাঁড়ারে কোনও টাকাই নেই। রাস্তাশ্রী হোক বা কন্যাশ্রী, কোনও প্রকল্পই আর বেশিদিন চলবে না। ঠিকাদাররা পেমেন্ট পাবেন না। সরকারকে যারা পণ্য সরবরাহ করে, তারা টাকা পাবে না। হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ হবে না, রাস্তা সারাই হবে না, রাস্তার আলো জ্বলবে না, সেচের জল পাওয়া যাবে না, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন পর্যন্ত অনিয়মিত হয়ে পড়বে। মাথার উপর সাড়ে ছয় লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। বোঝাই যায়, এই সরকারের আয়ু আর কতদিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sagar Dutta Medical College: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের আসন সংখ্যা! কত জানেন?

    Sagar Dutta Medical College: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের আসন সংখ্যা! কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক কামারহাটির (Kamarhati) সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে (Sagar Dutta Medical College) আন্ডার গ্র্যাজুয়েটে আগেই আসন সংখ্যা বেড়েছিল। এবার এই মেডিক্যাল কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে আসন সংখ্যা বাড়তে চলেছে। আর সেই জন্যই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই এই কলেজে আন্ডার গ্র্যাজুয়েটে আগে ১০০টি আসন ছিল। এখন তা বেড়ে ১২৫টি হয়েছে। আর পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে ৪০টি আসন রয়েছে। এবার সেখানে আরও ৫০টি আসন বাড়তে চলেছে। নতুন করে ৫০টি আসন সংখ্যা বাড়লে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে মোট ৯০টি আসন হবে।

    সাগর দত্তে (Sagar Dutta Medical College) পরিকাঠামো উন্নয়নে কী করা হচ্ছে?

    আসন সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পড়ুয়াদের হস্টেল থেকে শুরু করে সমস্ত রকম পরিকাঠামো থাকার প্রয়োজন। তাই, এখন থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ১৫ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। সাগর দত্ত হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) চত্বরের মধ্যেই নতুন করে বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম প্রধান বলেন, এবার পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে আরও ৫০টি আসন বাড়তে চলেছে। তবে, শুধু আসন বাড়ালে তো হবে না, উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। এবার সেই কাজও আমরা শুরু করেছি।

    হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) সূত্রে কী জানা যাচ্ছে? 

    হাসপাতাল ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) এখন মোট বেড রয়েছে প্রায় ৬০০টি। সিসিইউ ইউনিট রয়েছে। তবে, কার্ডিওলজি বিভাগ নেই। যদিও হার্টের সাধারণ চিকিৎসা এই হাসপাতালে হয়। কিন্তু, কোনও রোগীর স্টেন্ট বসানোর প্রয়োজন হলে তাঁকে রেফার করা ছাড়া উপায় থাকে না। জানা গিয়েছে, হাসপাতালটি (Kamarhati) এখন ছয় তলার। এবার সেখানেই আরও নতুন করে তিনটি তলা তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই সাততলা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই এই হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা কম। তাই, আলাদা ক্যাম্পাস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

    স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই খড়দহের বলরাম হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) সেকেন্ড ক্যাম্পাসের জন্যই পরিদর্শনও করা হয়েছে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের কর্মকর্তারা বলরাম হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। এই হাসপাতালে আদৌ মেডিক্যাল কলেজের সেকেন্ড ক্যাম্পাস করা যাবে কি না তার সার্বিক রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে জমা করা হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Toilet: পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির হওয়ায় গ্রামে কারও বাড়িতে নেই শৌচালয়! কোথায় জানেন?

    Toilet: পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির হওয়ায় গ্রামে কারও বাড়িতে নেই শৌচালয়! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত সদস্যা বিজেপির। তাই, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ি গ্রামে “নির্মল বাংলা মিশন” এর প্রভাব এখনও পড়েনি। এই অঞ্চলের আদিবাসী পাড়ার সমস্ত মানুষকে মাঠে ঘাটে খোলা আকাশের নীচেই শৌচকর্ম করতে হয়। বছর তিনেক আগে এই জেলাকে নির্মল ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা প্রশাসন যাতে মানুষকে মাঠে ঘাটে শৌচকর্ম করতে না যেতে হয় তারজন্য প্রচারও করেছিল। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করার জন্য জরিমানাও করতে দেখা যায় প্রশাসনকে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে এই সচেতনতা মূলক অভিযান চালানো হয়। কিন্তু, এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি শৌচালয় (Toilet) করে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? Toilet

    স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় মার্ডি বলেন, যা রোজগার করি তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চালাই। বাড়িতে শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার মতো আর্থিক অবস্থা আমাদের নেই। এক গৃহবধূ বলেন, “খোলা আকাশের নীচে শৌচকর্ম করা ঠিক নয় তা জানি, কিন্তু, নিজের পয়সা দিয়ে শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার মত সামর্থ্য আমাদের নেই। শুধু বাড়িতে নয়, স্থানীয় বিদ্যালয়েও নেই শৌচাগার। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কল্পনা মণ্ডল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শৌচাগারটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে। পড়ুয়াদের চরম সমস্যা হয়।

    কী বললেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা? Toilet

    বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্যা মীরা মণ্ডল বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। আর আমি বিজেপির সদস্য বলে এলাকায় কোনও উন্নয়ন ওরা করছে না। আমরা শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার জন্য বহুবার বলেছি। কিন্তু, ওরা কোনও কর্ণপাত করেনি। ফলে, আমার বুথে সেভাবে কোনও উন্নয়ন নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Toilet

     বিজেপির তোলা এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি। তিনি বলেন, বিজেপি সদস্য রয়েছে বলে ওই এলাকায় শৌচালয় (Toilet)  তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি তা ঠিক নয়। এটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা। ইতিমধ্যে প্রশাসনকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Human Sacrifice: হুগলির ষাটোর্ধ্ব মহিলাকে কামাখ্যায় নরবলি! চারবছর পরে পুলিশের জালে ৫ আততায়ী 

    Human Sacrifice: হুগলির ষাটোর্ধ্ব মহিলাকে কামাখ্যায় নরবলি! চারবছর পরে পুলিশের জালে ৫ আততায়ী 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার বছর আগে অসমের কামাখ্যায় নরবলি (Human Sacrifice) দেওয়া হয়েছিল হুগলির তাঁতিপাড়ার এক ষাটোর্ধ্ব মহিলাকে। ঘটনার চারবছর পরে রহস্যভেদ করতে সক্ষম হল পুলিশ। গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দিগন্ত বরা জানিয়েছেন, নিহতের নাম শান্তি সাউ (৬৪)। পুলিশ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হল সুরেশ পাসওয়ান (৫৬), প্রদীপ পাঠক ওরফে দীনেশ বা রাজু (৫২) এবং আরও দুই ব্যক্তি, কানু আচার্য্য ওরফে কানু তান্ত্রিক (৬২), এবং রাজু বাবা (৬০) কে গ্রেফতার করে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজ চলছে।

    ঘটনাটি কী ?

    অসমের কামাখ্যা মন্দিরের ফাঁড়িতে ২০১৯ সালের ১৯ জুন সন্ধ্যায় খবর এসেছিল, জয় দুর্গা মন্দিরে নামার রাস্তায় এক মহিলার মুণ্ডহীন দেহ পড়ে আছে। পাশে রয়েছে পুজোর সামগ্রী। প্রথম থেকেই পুলিশ সন্দেহ করছিল, নরবলি (Human Sacrifice) দেওয়া হয়েছে ওই মহিলাকে। এই ঘটনায় সেসময় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লেও মহিলার পরিচয় কিছুতেই জানতে পারছিল না পুলিশ। হত্যাকারীদেরও ধরা যাচ্ছিল না। অবশেষে হত্যা রহস্যের কিনারা করতে পারল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অম্বুবাচীর সময়ে কামাখ্যায় নরবলি (Human Sacrifice) দিলে বিশেষ ক্ষমতা মিলবে, এমন অন্ধবিশ্বাসের বশবর্তী হয়েই মথুরার এক ব্যক্তি ও এক সাধু মিলে ছক কষে হত্যা করে শান্তিকে।

    মৃতের ছেলে কীভাবে শনাক্ত করলেন দেহ ?

    গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার এক প্রেস বিবৃতিতে জানান, মৃত শান্তি শাউয়ের ছেলে মিডিয়া রিপোর্টের মাধ্যমে ঘটনার কথা জানতে পেরে জামাকাপড় এবং শরীরে থাকা ট্যাটু থেকে মৃতদেহটিকে তার মায়ের বলে শনাক্ত করেন এবং পুলিশকে জানান যে তিনি ২০১৯ সালের জুনের শুরুতে তার মা অম্বুবাচী মেলার উপলক্ষে কামাখ্যা মন্দিরে আসেন এবং তারপর থেকে মা নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, এক তান্ত্রিক এবং আরও দুই মহিলার সঙ্গে ওই মহিলা বাংলা থেকে কামাখ্যা মন্দিরে আসেন।

    কীভাবে মিলল তদন্তে সাফল্য ?

    পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে একটি বিশেষ দল সম্প্রতি অতীতের প্রমাণ এবং সূত্রগুলি বিশ্লেষণ করে কোচবিহারে পৌঁছায় এবং ১৮ মার্চ, ২০২৩-এ কৈলাশ বর্মন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় মহিলার মোবাইল ফোন, জামাকাপড় এবং আধার কার্ড। ওই ব্যক্তি তদন্তে পুলিশকে জানায় এই জিনিসগুলি ২০১৯ সালের জুন মাসে এক ‘সাধুবাবা’, তার বাড়িতে রেখে যান। সেই সূত্র ধরে পুলিশ ২৫শে মার্চ মধ্যপ্রদেশের জবলপুর থেকে মাতা প্রসাদ পান্ডে ওরফে মাতেশ্বরী গিরিকে গ্রেফতার করে।

    নরবলির (Human Sacrifice) দিন ঘটনাক্রম

    তদন্তে পুলিশ জেনেছে ওই মহিলাকে নরবলি (Human Sacrifice) দেওয়ার পরিকল্পনা অনেক আগেই করা হয়। সেই মত ২০১৯ সালের ১৮ এবং ১৯ জুন বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। সেখানে মহিলা ছাড়াও আরও ১২ জন ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, দলের প্রত্যেকে প্রথমে ভূতনাথ মন্দিরে একটি পুজোর আয়োজন করে, যেখানে সবাই মদ্যপান পান করেন এবং মহিলাকে জোর করে আকন্ঠ মদ্যপান করানো হয়। এরপর কামাখ্যা শ্মশানে গিয়ে আরেকটি পুজো করা হয় এবং তৃতীয় পুজোটি হয় জয় দুর্গা মন্দিরে। মহিলার কাটা মুণ্ডু এরপর ব্রহ্মপুত্র নদীতে ফেলে দেয় তারা। এই মামলার বাকি আসামীদের খোঁজে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra Violence: অশান্তির জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    Rishra Violence: অশান্তির জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন? রাজ্যের জবাব তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিষড়ায় অশান্তি নিয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে দুপুর ১২ টার মধ্যে রাজ্যের মতামত চাইল হাইকোর্ট। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এসে জানাবেন আদালতে। নির্দেশ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। 

    রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব

    এর আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম শিবপুর-ডালখোলায় অশান্তির ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেন। বিচারপতি জানতে চেয়েছেন, এই ধরনের মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কেন? গত বছর এই ধরনের মিছিলের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়েছিল কিনা! আদালতের মন্তব্য, “চিকিৎসার থেকে প্রতিষেধক ভালো। গতবার গণেশ চতুর্থীর শোভাযাত্রা নিয়ে আমি শুনানি করেছি। গত ৮-৯ বছর ধরে কোনো ঘটনা ঘটেনি। সামনে হনুমান জয়ন্তী আসছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। রাজ্য পুলিশ না পারলে প্যারা মিলিটারির সাহায্য নিন।”

    শান্তি ফেরাবার জন্য কিছু করুন

    ডায়মন্ড হারবারের একজন বিচারকের পরিবার শ্রীরামপুরে থাকে। তিনি নিজে থানা এবং পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে পাননি। তিনি হাইকোর্টের কাছে নিরাপত্তা চাইছেন, বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “মানুষের মনে আস্থা ফেরাবার জন্য রুটমার্চ প্রয়োজন। শান্তি ফেরাবার জন্য কিছু করা দরকার। প্রাকৃতিক দূর্যোগ হলেও কেন্দ্রীয় টিম আসে। সেরকম কিছু দরকার হলে প্রয়োজনীয় সাহায্য নিন। এই ধরনের মিছিল কোন যানবাহন নিয়ে করতে দেওয়া ঠিক নয়। নির্দিষ্ট রুট ঠিক করে মিছিলের গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। মুম্বইতে গণেশ চতুর্থীর সময় ব্যারিকেড করে মিছিল নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।”

    আরও পড়ুন: ‘‘যা কখনও বলিনি, তা আমার মুখে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে’’! বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    আদালতের নির্দেশ, যে সব এলাকায় অশান্তি হয়েছে, সেখানকার সব সিসিটিভি-ভিডিও ফুটেজ আগামী ৫ তারিখের মধ্যে জমা করতে হবে রাজ্যকে। শিবপুরের রেশ কাটার আগেই রিষড়ায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় এই বিষয়েরও কারণ জানতে চায় হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারি আইনজীবীর মতে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে যেকোনও সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যেতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: ‘‘যা কখনও বলিনি, তা আমার মুখে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে’’! বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Gangopadhyay: ‘‘যা কখনও বলিনি, তা আমার মুখে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে’’! বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে যা যা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। ‘কিছু মানুষ আমার নামে বদনাম করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা সফল হবে না।’ প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। সেই প্রসঙ্গেই এভাবে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কলকাতা উচ্চ আদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি আরও বলেছেন, ‘শুধু দুর্নীতি নয়, অনেকের সঙ্গে আমাকে লড়াই করতে হচ্ছে। তাতে আমি ভীত নই। এই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়ব। যে কথা আমি কখনও বলিনি, তা আমার মুখে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিছু মানুষ আমার নামে কুৎসা-অপপ্রচারও শুরু করে দিয়েছে। তাঁরা যদি ভাবেন আমি ভয় পেয়ে যাব, তাহলে মুর্খের স্বর্গে বাস করছে। কয়েকজন রক্তপিপাসু দালাল আমার পিছনে পড়েছে। তাঁরা আমার পিছনে ছুটছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও লড়তে হবে আমাকে।’

    সুপ্রিম-রায়ে আস্থা

    প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকায় আপাতত শুনানি বন্ধ রেখেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এজলাসের মধ্যে এক বিচারপ্রার্থী জানতে চান, কবে তাঁরা বিচার পাবেন? জবাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। কিছুটা সময় লাগছে ঠিকই, তবে সঠিক বিচার পাবেন।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হাইকোর্ট করতে পারে কি না, মামলকারীদের আইনজীবীকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তা জেনে আসতে বলেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    শীর্ষ আদালতের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট এবং বিচারপতিদের ওপর আমার বিশ্বাস, আস্থা এবং শ্রদ্ধা আছে। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা নিয়ে আমি কোনও বক্তব্য পেশ করিনি। যে কথা আমি বলিনি সেগুলো আমার নামে প্রচার করা হচ্ছে। আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। ভারতের আইন সভ্য আইন, কিছুটা সময় হয়তো লাগছে, কিন্তু বিচার হবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রিষড়াকাণ্ডে পুলিশি বাধার মুখে সুকান্ত-লকেট, ধর্নায় বসতে দেওয়া হল না বিজেপি কর্মীদের

    Sukanta Majumdar: রিষড়াকাণ্ডে পুলিশি বাধার মুখে সুকান্ত-লকেট, ধর্নায় বসতে দেওয়া হল না বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার রিষড়াকাণ্ডে জখম বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে হাসপাতালে দেখে ফেরার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) কোন্নগর বিশালাক্ষীতলায় আটকায় পুলিশ। রিষড়া যেতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবস্থানে বসেন। পরে, মঙ্গলবার শ্রীরামপুর বটতলায় ধর্নায় বসবেন বলে তিনি ঘোষণা করেছিলেন। এদিন সেখানে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারটের এক আধিকারিক বলেন, এই ধর্নার কোনও অনুমতি নেই। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই এখানে এখন কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদক বলেন, তাঁরা ইমেল করে অনুমতি নিয়েছেন। মানুষের কোনও অসুবিধা না করে ধর্না দিতে চান। তবে, ধর্না মঞ্চ খুলে নেওয়ার পরেই থানায় যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) শ্রীরামপুর যাওয়ার জন্য রওনা দেন। কিন্তু, ডানকুনির জগন্নাথপুর মোড়ে দিল্লি রোডে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পরে, বিজেপি কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?  Sukanta Majumdar

    এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বাংলা থেকে অশান্ত মুক্ত করার জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছি। দক্ষিণেশ্বর থেকে বেরিয়ে শ্রীরামপুর যাওয়ার পথে ডানকুনিতে তাঁকে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, রিষড়ায় আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই পরিবারের পাশে থাকার জন্যই আমরা সেখানে যেতাম। কিন্তু, আমাদের ডানকুনি এলাকায় আটকে দেওয়া হয়। এই এলাকায় ১৪৪ ধারা নেই। অথচ সেখানে আমাকে বাধা দেওয়া হল। রিষড়ায় শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন। ডিজি, পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।

    ট্রেনে করে কেন রিষড়ায় গেলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়?

    শ্রীরামপুর ও রিষড়া এলাকায় মঙ্গলবারও ১৪৪ ধারা জারি ছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ বাধা এড়াতে এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বালি স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সোজা রিষড়া স্টেশনে যান। ট্রেন থেকে নামতেই পুলিশ কর্মীরা তাঁকে আটকে দেন। এনিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ব্যাপক বচসা হয়। পরে, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের না আটকে রামনবমীর মিছিলের দিন রিষড়ায় পুলিশ যদি হামলাকারীদের আটকাতে পারত, তাহলে হিন্দুরা নিরাপদে থাকত। আসলে এই সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। এই আগুনে ওদেরও হাত পুড়বে।

    মঙ্গলবার রিষড়া এবং শ্রীরামপুরের সার্বিক অবস্থা কেমন ছিল?

    রিষড়া, শ্রীরামপুর এলাকা জুড়ে সোমবার রাত থেকে পুলিশি টহলদারি শুরু হয়েছে। দুজায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চন্দননগর ও হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠানো হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। দোকানপাটও প্রায় বন্ধ। রিষড়ায় ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তির জেরে সোমবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবারও সকাল থেকে আতঙ্কে ও আশঙ্কায় বিস্তীর্ণ এলাকা একেবারে থমথমে। এতটাই যে ব্যান্ডেল-হাওড়া লাইনে মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনও খাঁ খাঁ করেছে। সোমবার রাতে রিষড়া ৪ নম্বর রেলগেটে গন্ডগোলের ঘটনায় ৩৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলা! রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা সিবিআই-এর

    Nisith Pramanik: নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলা! রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার মামলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সিবিআই-এর আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, ওই ঘটনায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেও পুলিশ মামলার নথি হস্তান্তর করছে না। ফলে তদন্তও শুরু করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি চায় সিবিআই। 

    সিবিআইয়ের দাবি

    ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনহাটায় নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-কে দেয় আদালত। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করুক বলে রায় দেয় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। নথি হস্তান্তরের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সিবিআই-এর অভিযোগ, এখনও সেই নথি হস্তান্তর করেনি রাজ্য পুলিশ। ফলে তদন্তে অসুবিধা হচ্ছে। মঙ্গলবার আদালতকে সিবিআই জানায়, পুলিশ মামলার নথি হস্তান্তর করছে না। ফলে তদন্তের কাজও শুরু করা যাচ্ছে না। সিবিআইয়ের দাবি, এর মধ্যে দিয়ে পুলিশ আদালত অবমাননা করেছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    মামলা দায়েরের অনুমতি

    সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সিবিআইকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মার্চ মাসের ৩১ তারিখেও হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে সিবিআইয়ের অভিযোগ করেছিল, নিশীথ প্রামাণিকের মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছে না রাজ্য পুলিশ। গত শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, যেহেতু এখনও পর্যন্ত কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই এই আদালত চায়, তার নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হোক। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Sukanta Majumdar: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রেরণা দিচ্ছেন, অভিযোগ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আটকানো হল বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। রবিবার তাঁকে হাওড়ার (Howrah) শিবপুরে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে অবশ্য যেতে দেওয়া হয় বালুরঘাটের সাংসদকে। সোমবার রিষড়ার পর মঙ্গলবার শ্রীরামপুরেও (Serampur) ধর্নায় যেতে বাধা দেওয়া হয় সুকান্তকে। এদিন দুপুরে ডানকুনির জগন্নাথপুরে দিল্লি রোডে আটকে দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়ি। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। কিছুক্ষণ পরেই ধর্না শেষ করে রাজ্যপালের কাছে যাব। ১৭ বছরের ছাত্রকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাইছি।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ চলে গিয়েছে। যারা রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা মেরেছিল, মুখ্যমন্ত্রী তাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, যারা অশান্তি করছে, পুলিশ তাদের আশ্রয় দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। রাজ্যপালকে সব কিছু জানিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাইব। এদিন পুলিশের বাধা পেয়ে ডানকুনিতে পুলিশ ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থানে বসে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি না হওয়া সত্ত্বেও যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধীদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ইচ্ছে করে জনমানবহীন এলাকায় আটকে রাখা হচ্ছে, যাতে জল, খাবারটুকুও কেউ না পায়।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ব্যারিকেড দিয়ে গাড়ি আটকে আমাদের আহত কর্মীদের দেখতে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকলে পাঁচজনের বেশি জমায়েত করা যায় না। আমিও পুলিশকে বলেছিলাম পাঁচজনের বেশি লোক যাবে না, আমাদের ঢুকতে দিন। দুই সাংসদ সহ যেতে চাইলেও, তাও দেওয়া হচ্ছে না। সুকান্ত বলেন, ডানকুনি থানা এলাকায় চন্দননগর কমিশনারেট নিয়ন্ত্রণ করছে। কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    সোমবার আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির কনভয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে টানাপোড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এর প্রতিবাদেই মঙ্গলবার শ্রীরামপুর বটতলায় ধর্নায় বসার কথা ঘোষণা করেন সুকান্ত। সেই মতো এদিন সকালে মঞ্চ বাঁধতে শুরু করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ গিয়ে খুলে দেয় সেই মঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।    

     

LinkedIn
Share