Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nisith Pramanik: নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    Nisith Pramanik: নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়েছে, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এই ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “আদালত যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে। নথিপত্র খতিয়ে দেখে আদালত মনে করছে, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের জন্য সিবিআইকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত।” ঘটনার পিছনে কোনও গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

    কী ঘটেছিল

    গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথের কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, বোমা, গুলি এবং পাথর ছুড়ে হামলা চালানো হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ওই দিন দিনহাটায় গিয়েছিলেন নিশীথ। বুড়িরগ্রামের কাছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এই পুরো ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল বিজেপি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। এমনকী, ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছিলেন তিনি। অন্য দিকে, পুরো ঘটনার দায় নিশীথের ঘাড়েই চাপিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ।

    বিজেপির দাবি

    উল্লেখ্য, বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ের হামলার ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার দাবি ছিল, ঘটনার সিবিআই তদন্ত করানো হোক। আদালতের কাছে তিনি আবেদন করেছিলেন, একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর গাড়িতে যদি এভাবে আক্রমণ হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে? সেই যুক্তিতে সিবিআই-এর আবেদন জানানো হয়েছিল। কারণ, মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, রাজ্য পুলিশ যদি তদন্ত করে, তাহলে সঠিকভাবে কারা অভিযুক্ত তা বোঝা যাবে না।

    সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    ঘটনা নিয়ে (Nisith Pramanik) সরব হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। হামলার ঘটনাকে ‘শোচনীয়’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। এর পরেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল বিজেপি। তাদের তরফে আইনজীবী সূর্যনীল দাস প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিচারপতি শ্রীবাস্তবের বেঞ্চ সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছিলেন। এদিন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় বোমা-বন্দুক পাওয়া যাচ্ছে। তারপর যদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও সুরক্ষিত না থাকেন, তাহলে তো ধরে নিতে হবে আফগানিস্তানের থেকেও খারাপ অবস্থা। স্বাভাবিকভাবেই এটির সমাধান হওয়া উচিত এবং আদালত এটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। আশা করি রাজ্য সরকারও এবার থেকে সাবধান থাকবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ‘‘আমরা হলাম ছোট চোর, ইনি বড়’’! দুই ছিঁচকের বিদ্রুপে অতিষ্ট পার্থ, জানালেন নালিশ

    Partha Chatterjee: ‘‘আমরা হলাম ছোট চোর, ইনি বড়’’! দুই ছিঁচকের বিদ্রুপে অতিষ্ট পার্থ, জানালেন নালিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখ আমরা হলাম ছোট চোর আর ইনি বড়ো চোর! দুই ছিঁচকে চোরের এমন বিদ্রুপে রেগে লাল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। গত ফেব্রুয়ারিতেই তাঁকে ‘মোটা টুকি’ বলে বিদ্রুপ করার অভিযোগ উঠেছিল দুই ছিঁচকে চোরের বিরুদ্ধে। ফের আবার তাঁকে জেলের ভিতর উত্যক্ত করা শুরু করেছে ছোটখাটো চোরেরা। এমনকী এই অভিযোগও উঠেছিল যে পার্থর দিকে মলভর্তি মগ ছুড়ে মেরেছিল জঙ্গি মুসা। আর এবার ফের তাঁকে লক্ষ্য করে টিপ্পনি কাটল ছিঁচকে চোরের দল। অভিযোগ, পার্থকে ‘বড় চোর’, ‘চাকরি চোর’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।

    জেলের ভিতরে বাইরে কটাক্ষ শুনে যাচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

    জেল কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁকে ঘিরে এহেন অত্যাচার দ্রুত বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে শুধু কটাক্ষই শুনতে হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আদালতের এজলাসে ইডি অথবা সিবিআইয়ের কটাক্ষ, আদালতের বাইরে সাধারণ মানুষের চোর চোর স্লোগান তো রয়েছেই। এবার জেলের ভিতরেও যেন ব্যঙ্গবিদ্রুপ তাঁর নিত্যসঙ্গী হয়ে যাচ্ছে। যা নিয়ে রীতিমতো অতিষ্ঠ পার্থ (Partha Chatterjee)। যদিও বিষয়টি নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে এবার থেকে পাহারা দেবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী যতীন

    জেল সূত্রে খবর, বাঁশদ্রোণীর এক কুখ্যাত আসামী এবার থেকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর (Partha Chatterjee) সেলের সামনে পাহারা দেবে। ছিঁচকে চোরদের উপদ্রব ঠেকাবে। সূত্রের খবর, যতীনের সঙ্গে তার এক আত্মীয় কয়েকদিন আগেই দেখা করতে জেলে এসেছিল। সেসময় যতীন তাকে নিজের মুখেই বলেছে একথা।

    কয়েকদিন আগেই ইডি বলেছিল উনি হলেন দুর্নীতির মাস্টার 

    দিনকয়েক আগেই আদালতে পার্থকে (Partha Chatterjee) উদ্দেশ্য করে ইডি বলেছিল, “উনি হচ্ছেন দুর্নীতির মাস্টার। আর কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়রা ছাত্র।” এবার আদালতে ইডির পাশাপাশি জেলেও অন্যান্য চোরদের কাছে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার হতে হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জানা গেছে, গত সপ্তাহেই পার্থকে ‘বড় চোর’ বলে ডেকে খেপিয়ে দেয় দুই ছিঁচকে। শুধু তাই নয়, ওঁর সেলের সামনে গিয়ে ‘চাকরি চোর’ বলেও ডাকা হয়। যদিও এই ঘটনায় সেইসময় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী কিছুই বলেননি বলে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • University: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে থার্ড সেমেস্টারের ৩০ হাজার পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট অনিশ্চিত! কেন জানেন?

    University: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে থার্ড সেমেস্টারের ৩০ হাজার পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট অনিশ্চিত! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এক পরীক্ষকের কাছ থেকে বিএ থার্ড সেমেস্টারের বাংলা বিভাগের ১০ জন পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। আর তার জেরে বিএ থার্ড সেমেস্টারের ৩০ হাজার পরীক্ষার্থীর রেজাল্ট বের হওয়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কারণ, ১০ জনের উত্তরপত্র না পাওয়া গেলে বাকীদের রেজাল্ট বের করা সম্ভব হচ্ছে না। আর এই বিষয়টি জানাজানি হতে মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় (University) জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষার্থীরাও চরম ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, একজন পরীক্ষকের ভুলের মাশুল ৩০ হাজার পরীক্ষার্থীকে কেন দিতে হবে? এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় সঠিক সময়ে রেজাল্ট বের করার উদ্যোগ গ্রহণ করুক।

    ঠিক কী হয়েছিল? (University)

    গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) পক্ষ থেকে তার অধীনে থাকা সব কলেজ কর্তৃপক্ষকে ১৭ মার্চের মধ্যে থার্ড সেমেস্টারের উত্তরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, সাতজন অধ্যাপক সময় মতো খাতা জমা দেননি। পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অন্যান্য কলেজের অধ্যাপকরা খাতা জমা করেন। কিন্তু, মালদহ কলেজের এক অধ্যাপক খাতা জমা করেননি বলে অভিযোগ। ২৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই অধ্যাপকের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করা হয়। ওই অধ্যাপক ২৪ মার্চ খাতা জমা করার কথা বলেন। সেই মতো ওই অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ে (University) আসেন। কিন্তু, খাতা জমা করার সময় দেখা যায়, ১০ জন পরীক্ষার্থীর খাতা উধাও। যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (University) কয়েকজন অধ্যাপকদের মধ্যে একটি গোলমালের ঘটনা ঘটে। সেখানে মালদহ কলেজের ওই অধ্যাপককে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। তারপরে সেই অধ্যাপক গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) উপাচার্যের ঘরের সামনে বেশ কিছুক্ষণ ধর্নায় বসেন। ওই অধ্যাপকের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে।

    কী বললেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক? University

    গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) অধীনস্থ মালদহ কলেজের ওই অধ্যাপক তথা পরীক্ষকের উদাসীনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) পরীক্ষা নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, একজন পরীক্ষকের ভুলের মাশুল এখন ৩০ হাজার পরীক্ষার্থীকে দিতে হচ্ছে। আর ওই অধ্যাপকের সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। কীভাবে থার্ড সেমেস্টারের দশটি উত্তরপত্র উধাও হয়ে গেল সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু জানা যাচ্ছে না। ওই অধ্যাপককে উত্তরপত্র খুঁজে বের করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সামিনেশন মনিটরিং কমিটি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখন তাদের সিদ্ধান্তের উপরই অপেক্ষা করে থাকতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ডিএ-র দাবিতে জারি আন্দোলন, কালো ব্যাজ পরে পালন হবে ধিক্কার দিবস

    DA: ডিএ-র দাবিতে জারি আন্দোলন, কালো ব্যাজ পরে পালন হবে ধিক্কার দিবস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে ৪৪ দিনের মাথায় তুলেছিলেন অনশন আন্দোলন। সেদিনই ডিএর (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিলেন অনশন (Fasting) তোলা হলেও, জারি থাকবে আন্দোলন। সেই মতো বকেয়া ডিএর দাবিতে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারি অফিস ও স্কুলে কালো ব্যাজ পরে ধিক্কার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৪২টি সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। দুপুর ২টো থেকে শুরু হবে এই কর্মসূচি। ওই সময় রাজ্য সরকারের সব দফতরে কালো ব্যাজ পরে মিছিল করবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। এই মুহূর্তে কলকাতায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মু্র্মু। তাঁর সফরের মাঝেই হবে আন্দোলন।

    ডিএর (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    এদিকে, ডিএর (DA) দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আন্দোলন এদিন পড়ল ৬১ দিনে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধবার অভিনব অনশন কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা করেছেন আন্দোলনকারীরা। পালন করা হবে কর্মবিরতিও। ৩০ মার্চ যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে মহা সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    অন্যদিকে, এদিনই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রেড রোডে আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এখানেই রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। তৃণমূলের (TMC) ছাত্র-যুবদের সমাবেশে ভাষণ দেবেন তিনি। অভিষেকের সভার বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। তাঁদের আবেদন, ওই দিন অভিষেকের সভা অন্যত্র করার নির্দেশ দিক হাইকোর্ট। গোলমালের আশঙ্কা থেকেই ওই আবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবারই দুপুর ২টোয় শুনানি হবে ওই মামলার। এদিকে, ডিএর (DA) দাবিতে আন্দোলনকারীদের একদিনের বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ১০ মার্চ ধর্মঘট পালন করায়ই কাটা হচ্ছে ওই বেতন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    এদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের উৎসব বোনাস বাড়াল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, উৎসব বোনাস ৪৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হবে ৫৩০০টাকা। গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্য সরকার উৎসব বোনাস বাড়িয়ে চলেছে। এবার এই বোনাস বাড়ল ৫০০ টাকা। তবে গত ছ বছরে উৎসব বোনাস বেড়েছে ১৭০০ টাকা। রমজান মাস চলছে। সামনেই ইদ। তার আগেই এই রাজ্য সরকারের এই ঘোষণায় উপকৃত হবেন বহু মানুষ। তবে উৎসব বোনাস বাড়ানো হলেও, ডিএ আপাতত বাড়ছে না। রাজ্য সরকারের সাফ কথা, আর্থিক সঙ্গতি নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
     

  • Panchayat Election: শুভেন্দুর অভিযোগকে মান্যতা দিয়েও পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    Panchayat Election: শুভেন্দুর অভিযোগকে মান্যতা দিয়েও পঞ্চায়েত নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) দিন ঘোষণা করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আর কোনও বাধা থাকল না৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিবর্গের গণনার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েও নির্বাচন নিয়ে আপাতত হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সেই মামলার রায়ে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপাতত কোনও বাধা নয়। এই পর্যায়ে আদালত নির্বাচনে (Panchayet Election) কোনও বাধা দেবে না। তবে মামলাকারী চাইলে নতুন আবেদন করতে পারেন। নির্বাচনী আইন মেনে কমিশন যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে।

    আদালতের রায়

    রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালে তফসিলি জাতি এবং উপজাতির গণনা করা হলেও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র গণনা হয়নি। পাল্টা কমিশন বলেছিল, তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই গণনা করছেন। শুভেন্দু সেই প্রক্রিয়াকেও চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। মঙ্গলবার শুভেন্দুর সেই জনস্বার্থ মামলাটিই ওঠে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে মূলত দু’টি বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা করেছিলেন শুভেন্দু। অন্যটি ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আর্জি জানিয়ে। এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, শুভেন্দু চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টি নিয়ে আলাদা মামলা করতে পারেন। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    জট আপাতত কাটল

    পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election) ঘিরে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল,আদালতের এদিনের রায়ের পর সেই জট আপাতত কাটল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এক্ষেত্রে নিয়ম মেনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার ক্ষেত্রে আপাতত কোনও বাধা থাকল না কমিশনের হাতে। রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উভয়ের ক্ষেত্রেই হাইকোর্টের এই রায় কিছুটা স্বস্তির বলেই মনে করা হচ্ছে। এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করার ইঙ্গিত রয়েছে কমিশনের দিক থেকে। আদালতের রায় প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, আদালতের রায়কে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। তবে আদালত মামলাকারীর আবেদন পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে এমন নয়। আদালত জানিয়েছে, মামলাকারী যদি পুনরায় আবেদন করতে চান, তা তিনি করতে পারেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অয়ন শীলের হাত ধরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার ছেলের চাকরি! জানেন কোন পুরসভায়?

    Anubrata Mondal: অয়ন শীলের হাত ধরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার ছেলের চাকরি! জানেন কোন পুরসভায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার নাম জড়াল গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতার বাড়ি বীরভূমে। তিনি তৃণমূলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতা। তাঁর ছেলের চাকরি হয়েছে বরানগর পুরসভায়। আর সেটা হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের হাত ধরে। এমনিতেই শাসক দলের নেতার পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের চাকরি হয়েছে এই পুরসভায়। অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে এই পুরসভায় নিয়োগ হওয়ায় প্যানেল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এমনিতেই তৃণমূলের একটি অংশকে বাদ রেখে কয়েকজন মিলে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গঠন করে নিয়োগ করা হয়েছিল। ফলে, দলীয় কর্মীদের একাংশ তাতে ক্ষুব্ধ ছিল। এবার অয়ন শীলের কোম্পানির হাত ধরে নিয়োগ হওয়া কর্মীদের তথ্য জানতে গিয়ে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। যদিও এই বিষয়ে বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, এই পুরসভায় নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে সব কিছু হয়েছে। যারা এই পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন নিজেদের যোগ্যতায় পেয়েছেন।

    বরানগর পুরসভায় নিয়মিত আসতেন অয়ন শীল! Anubrata Mondal

    এমনিতে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগ হয়েছিল। তবে, তাঁর নিত্য যাতায়াত ছিল বরানগর পুরসভায়। এমনিতেই টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রির পাশাপাশি তাঁর পছন্দের লোকজনদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। ২০১৭ সালে এই পুরসভায় কর্মী নিয়োগ হয়। অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে সমস্ত নিয়োগ হয়েছিল। প্রায় কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থীর আবেদন জমা পড়েছিল। তারমধ্যে ১৭০ জনের চাকরি হয়। কিন্তু, চাকরি প্যানেলে দেখা যায়, বরানগর পুরসভার একাধিক কাউন্সিলারের পরিবারের লোকজন চাকরি পেয়েছেন। শুধু তাই নয় কামারহাটি পুরসভার দাপুটে তৃণমূল নেতার আত্মীয় বরানগর পুরসভায় চাকরি পান। আর তার বিনিময়ে বরানগর পুরসভার তৃণমূলের সামনের সারির এক নেতার পরিবারের লোকজন কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পান। আর এসবই নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে হয়েছে। এমনকী তৃণমূলের পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতার ছেলের চাকরিও হয় বরানগর পুরসভায়। অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হিসেবেই তিনি বীরভূম জেলায় পরিচিত। তাই, ওই জেলায় চাকরি পাইয়ে দিলে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে পারে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় তৃণমূলের ওই নেতা বারাকপুর মহকুমা জুড়ে একাধিক গেট মিটিং করেছিলেন। নিজের প্রভাব বুঝিয়ে দেওয়ার পর অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে তাঁর ছেলেকে বরানগর পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেন। তাঁর ছেলে বরানগর পুরসভায় ইলেকট্রিক্যাল বিভাগে চাকরি করছেন বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। এখন বরানগরে ঘর ভাড়া করে পরিবার নিয়ে তিনি থাকেন। ফলে, কলকাতা লাগোয়া পুরসভায় ছেলে চাকরি করায় এতদিন কেউ প্রশ্ন তোলেননি। নিয়োগ নিয়ে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির অভিযোগ আসায় বরানগর পুরসভায় তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ইডি বা সিবিআই তদন্ত হতে পারে। তাই, পুরসভার পক্ষ থেকে আলাদা করে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumder: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রতিদিন ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বেড়ে চলেছে, আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

    বিরোধী মুখ কে? 

    আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হবেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর মুখ, এই নিয়ে চরম দ্বন্দ্বে তৃণমূল! এ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, ‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে ভাইপোর হিল্লে হচ্ছে না, তাঁর চেয়ারে বসা হবে না।’ গত লোকসভা নির্বাচনে মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছিল তৃণমূল। কিন্তু এবারের বিরোধী  জোটে তৃণমূলের অবস্থান ঠিক কী হবে?

    সুকান্তর কটাক্ষ 

    এ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “তৃণমূল কনফিউজড তারা বুঝতে পারছে না কী করবে। মমতা না রাহুল এর মধ্যে আটকে রয়েছে। তৃণমূলের ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো অবস্থা। তারা কখনও বিরোধীদের বৈঠকে যাচ্ছে, কখনও যাচ্ছে না। কখনও কংগ্রেসের গলা জড়িয়ে ধরছে কখনও সম-দূরত্ব বজায় রাখছে। ” এরপরই কটাক্ষের সুরে সুকান্ত জানান, “যতই আলাদা দেখান না কেন আসলে পর্দার পিছনে সবই এক। অধীর-মমতা কবে হাত ধরবেন, একসাথে আয় তবে সহচরী গাইবেন, বিজেপি দেখার জন্য মুখিয়ে আছে।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    রাজ্যে নারী নির্যাতন

    এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumder) আরও দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ নারী নির্যাতনের হাব হয়ে গিয়েছে। কখনও নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ তো কখনও শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন, প্রতিনিয়ত এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীও তা-ও রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে এটা লজ্জার। এটা কখনও কেউ মেনে নেবে না। সেই জায়গায় থেকে সকলকে সমবেতভাবে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে এমন ঘটনা না ঘটে। রাজ্যে যেভাবে নারীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে তাতে একটা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। রাজ্য সরকার এ বিষয়ে উদাসীন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
     

  • TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের প্রশাসন দলদাস হয়ে গিয়েছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করে। এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগের সত্যতা মিলল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম-১ ব্লকে। এই ব্লকের তৃণমূলের (TMC) সভামঞ্চে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এক আসনে বসে রয়েছেন কেতুগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল। যুব তৃণমূল ও তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের ডাকে শহিদ মিনার চলো প্রস্তুতির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লক অফিস চত্বরে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে একটি সভা ঘর তৈরি করা হয়। এই সভাগৃহে শুধুমাত্র সরকারি অনুষ্ঠান হয়। আর সেখানেই দেখা গেল সরকারি অনুষ্ঠান না হয়ে, তৃণমূলের (TMC) রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর ওই কর্মসূচিতে দেখা গেল খোদ কেতুগ্রাম -১ নম্বর ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালকে। রাজনৈতিক ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ, বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি রাজবিহারী হালদার। এই দুজনের পাশে বসে ছিলেন কেতুগ্রাম- ১ নম্বর ব্লকের বিডিও। তৃণমূলের (TMC) সেই সভামঞ্চে বিডিওর উপস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিডিও? TMC

    সভাগৃহে প্রচুর তৃণমূল (TMC)  কর্মী, সমর্থক হাজির ছিলেন। সভাগৃহের পিছনের দেওয়ালে বড় ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে, শহিদ মিনার চলো। আর এই ফ্লেক্সের সামনেই বসে রয়েছেন বিধায়ক ও তৃণমূলের (TMC)  যুব বর্ধমানের নেতা রাজবিহারী হালদার এবং কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের বিডিও। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালের সাফাই, আসলে ওই সভাগৃহে সবসময় সরকারি অনুষ্ঠান হয়। সভাতে প্রধান, উপ প্রধানরা ছিলেন। সরকারি প্রকল্প নিয়ে প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার প্রয়োজন ছিল। সেই মিটিং করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমার পিছনে একটি দলের ফ্লেক্স লাগানো রয়েছে তা আমি দেখিনি। এটা আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। সরকারি সভাগৃহে রাজনৈতিক সভা হয় না, এখন প্রশ্ন তাহলে রাজনৈতিক সভা কি করে হল ওই সভাগৃহে? বিডিও এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? TMC

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ বলেন, সরকারি সভাগৃহে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি হয় না। কে বা কারা দলীয় ফ্লেক্স লাগিয়ে দিয়েছিল জানি না। আর বিডিও প্রধান, উপ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তৃণমূলের (TMC) দুজন নেতা সেখানে চলে আসে। আগামিদিনে ওই সভাগৃহে যাতে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান না হয় তা দেখব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? TMC  

    বিজেপির জেলা নেতা কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, প্রশাসন আর তৃণমূল (TMC) যে এক হয়ে গিয়েছে তা এই ঘটনা প্রমাণ করে। আসলে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই, প্রশাসনকে ব্যবহার করে কী করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হবে তার রণকৌশল ঠিক করা হচ্ছে। আর সরকারি ভবনে রাজনৈতিক কর্মসূচি হওয়ার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: সকালে বেলুড়মঠে, দুপুরে শান্তিনিকেতনে রাষ্ট্রপতি! কড়া নিরাপত্তা কলকাতা থেকে বোলপুরে

    Draupadi Murmu: সকালে বেলুড়মঠে, দুপুরে শান্তিনিকেতনে রাষ্ট্রপতি! কড়া নিরাপত্তা কলকাতা থেকে বোলপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার শান্তিনিকেতন (Santiniketan) যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সেখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তবে তার আগে মঙ্গলবার সকালে বেলুড় মঠে যেতে পারেন তিনি। রাষ্ট্রপতির বেলুড় মঠ সফরের আগেই বালি বেলুড় অঞ্চল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

    বেলুড় মঠ থেকে শান্তিনিকেতন

    বেলুড় মঠ সূত্রে খবর, ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মূল মন্দির, মা সারদা দেবীর মন্দির সহ স্বামীজি ও ব্রহ্মান্দজীর মন্দির পরিদর্শন করবেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি অধ্যক্ষ মহারাজের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল ন’টা থেকে সাড়ে ন’টা পর্যন্ত মঠেই থাকার কথা রাষ্ট্রপতির। এরপর শান্তিনিকেতনের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। কলকাতা থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় এদিন বেলা ১২টা নাগাদ শান্তিনিকেতনে পৌঁছবেন রাষ্ট্রপতি (President Draupadi Murmu)। এরপর ঘুরে দেখবেন রবীন্দ্রনাথের বাড়ি। মধ্যাহ্নভোজনে রাষ্ট্রপতির জন্য বিশেষ বাঙালি পদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    কড়া নিরাপত্তা

    আজ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) ঐতিহ্যবাহী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।  তাঁর নিরাপত্তা (security) সুনিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার যখন নামবে, মঙ্গলবার সেইসময় বা তার আগে আশেপাশের সমস্ত বাড়িতে ছাদে ওঠা যাবে না। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এই নির্দেশ নিয়ে বলেন, “কেবলমাত্র হেলিপ্যাড সংলগ্ন বাড়িগুলির ছাদে কাপড় মেলতে বা সেখানে গিয়ে কাউকে দাঁড়াতে বারণ করা হয়েছে। কারণ, কোনওভাবে যদি হাওয়ায় কাপড় উড়ে গিয়ে হেলিকপ্টারে লেগে যায়, তাহলে বড়সড় অঘটন ঘটতে পারে। তাই রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার খাতিরে এই নির্দেশ মানতে বলা হয়েছে। শান্তিনিকেতনের মানুষজন নিশ্চয়ই আমাদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।”

    আরও পড়ুন: তিহাড় জেলের হাসপাতালে ভর্তি কেষ্ট, সিবিআইয়ের তলব বীরভূমের চালকল মালিককে

    বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি

    প্রশাসন সূত্রে খবর, বিশ্বভারতীর বিনয় ভবন মাঠেই মঙ্গলবার নামবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হেলিকপ্টার। ইতিমধ্যে সেখানে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহরকে। চতুর্দিকে অসংখ্য সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। শুরু হয়েছে নজরদারিও। আজ, শান্তিনিকেতনে পৌঁছনোর পর প্রথমে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। মেনুতে থাকছে ভাত, দেশি ঘি, পোস্তর বড়া, কয়েক রকমের ভাজা। এছাড়া মুগের ডাল, সবজি, পনির, মাশরুম, পাঁপড়…পুরোটাই নিরামিষ। এছাড়া বিদেশি কিছু নিরামিষ পদেরও আয়োজন করা হয়েছে। তারপর আড়াইটে নাগাদ রবীন্দ্র ভবনের উদয়ন, কোর্নাক, শ্যামলী, পুনশ্চ, উদীচি— রবীন্দ্রনাথের এই পাঁচটি বাড়ি পরিদর্শনের পর কলাভবন ঘুরে দেখবেন তিনি। দুপুর ৩টেয় আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। এদিনের সফরে তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: ‘সিআইডির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই’, ভুয়ো শিক্ষক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর  

    Murshidabad: ‘সিআইডির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই’, ভুয়ো শিক্ষক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডির (CID) ভূমিকায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গোথা এআর হাইস্কুলে চাকরি করছিলেন জনৈক অনিমেষ তিওয়ারি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা আশিস তিওয়ারি। আশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুতির স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ছেলে অনিমেষকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

    অনিমেষ অধরা…

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার তদন্তে সিবিআই নয়, সিআইডির ওপর ভরসা রেখেছিল আদালত। সেই মতো তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৭ ফেব্রুয়ারি ভবানী ভবনে টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আশিসকে (Murshidabad) গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। যদিও আশিসের ছেলে অনিমেষ এখনও অধরা। এদিন সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি বসু বলেন, সিআইডির ভূমিকায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। এভাবে তদন্ত চললে সিআইডির ডিআইজিকে ডেকে পাঠাব। প্রয়োজনে আদালতের পর্যবেক্ষণ সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেব। সেটা কিন্তু ভাল হবে না। বিচারপতি বলেন, মামলাকারীরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। আমি সিআইডির ওপর ভরসা করেছিলাম। তার এই পরিণাম।

    আরও পড়ুুন: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

    তিনি বলেন, এমন কড়া মন্তব্য করতে বাধ্য করবেন না যাতে সিআইডির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাঁর প্রশ্ন, কেন অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারিকে এখনও গ্রেফতার করা গেল না? কীভাবে এতদিন তিনি বেতন পেতেন? কার বদান্যতায় সেটা হল? কেন এখনও তার সন্ধান পেল না সিআইডি? এদিন আদালতে সিআইডি জানায়, অনিমেষ এ রাজ্যে নেই। তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন কখনও উত্তর প্রদেশ কখনওবা বিহার দেখাচ্ছে। ৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ফের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

    বিচারপতি বসু বলেন, আমি কিছু শুনতে চাই না। যেখান থেকে হোক অভিযুক্ত বহিষ্কৃত শিক্ষককে (Murshidabad) খুঁজে বের করুন। তিনি বলেন, তদন্তে যে গাফিলতি হয়েছে, সেটা স্পষ্ট। ৬ এপ্রিলের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা না হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি বসু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share