Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SSC Scam: ফের সিবিআই হেফাজতে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা

    SSC Scam: ফের সিবিআই হেফাজতে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে জেলবন্দি এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে ফের নিজেদের হেফাজতে পেল সিবিআই। বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত এই আবেদন মঞ্জুর  করে। ২৭ মার্চ পর্যন্ত শান্তিপ্রসাদের ঠাঁই হল সিবিআই হেফাজত।

    সুপারিশপত্রে হাতের লেখা শান্তিপ্রসাদের  

    এর আগে ধৃত এজেন্ট আব্দুল খালেকের কাছে একটি সুপারিশপত্র পাওয়া গিয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, সেই হাতের লেখা শান্তিপ্রসাদের। কিন্তু কেন তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন গত শুনানিতে সিবিআইকে করে আদালত। তার পরেই হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা এবং তদন্তে আরও কিছু সূত্র বেরিয়ে আসার যুক্তিতে শান্তিপ্রসাদকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারীরা।

    কী বলছেন সিবিআই-এর আইনজীবী

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে গত ১৭ এবং ১৯ মার্চ প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরাও করেছেন তদন্তকারীরা। এর আগে দু’বার শান্তিপ্রসাদকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। আর কত বার?’ যদিও সিবিআই কৌঁসুলি দাবি করেন, ‘এই মামলায় অনেকগুলি নতুন সূত্র সামনে এসেছে। যে কারণে হেফাজতে রেখে জেরা করা দরকার।

    শান্তিপ্রসাদের অনুযোগ 

    এ দিকে সিবিআই সূত্রের খবর, শান্তিপ্রসাদ এ দিন এক তদন্তকারীর কাছে অনুযোগ করেন যে তাঁর সঙ্গে কুভাষা ব্যবহার করেন তদন্তকারীরা।’ সিবিআইয়ের সেই অফিসার শান্তিপ্রসাদকে আশ্বস্ত করেন, এমনটা আর হবে না। একই সঙ্গে খানিকটা হাল্কা চালে বলেন, ক্যান্টিনের ভালো খাবার, পানমশলা দেওয়া হবে। তা শুনে হেসে ফেলেন শান্তিপ্রসাদ।

    গ্রেফতার ওএমআর শিট প্রস্তুতকারক সংস্থার আধিকারিক

    এদিকে, ওএমআর শিট প্রস্তুতকারক সংস্থার সিইও নীলাদ্রি দাসকে গ্রেফতার করল সিবিআই। শুক্রবার টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গাজিয়াবাদের নাইসা সংস্থার ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআইয়ের সূত্রে দাবি, গ্রুপ-সির ৩৪৮১ টি, গ্রুপ-ডির ২৮২৩ টি, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৫২টি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯০৭টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

  • Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের বগটুইয়ের (Bogtui) ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। বগটুইয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘শাসক দল খুন করল, আবার তারাই শহিদদের স্মরণ করল। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুইয়ের (Bogtui) নিহত সংখ্যালঘুদের নিয়ে নীরব থাকলেন।’’ বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের পরই আক্ষেপ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কী করিনি ওদের জন্য। চাকরি দিয়েছি, ক্ষতিপূরণ দিয়েছি, সমাজিক প্রকল্পের সুযোগ দিয়েছি। তারপরেও ওরা অন্য দলের সংস্পর্শে যাচ্ছে।”

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের বগটুইয়ে (Bogtui) গত বছরের ২১ মার্চ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ১০ জনের। ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। তার এক বছর পার। নিহতদের স্মরণ করতেও রাজনৈতিক টানাপোড়েন। প্রথমে শহিদ বেদি তৈরি করে বিজেপি। তার কাছেই আবার রাতারাতি শহিদ বেদি তৈরি করে তৃণমূলও। পরে সেখানে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজনীতি করতে এখানে আসিনি। বগটুইয়ে (Bogtui) আমরা বিগত নির্বাচনে মাত্র ১৭টি ভোট পেয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে আগামী দিনেও নিঃস্বার্থভাবে আপনাদের পাশে থাকব। আপনাদের পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব আমার।’’ সেদিনই বগটুই গ্রামের শহিদ বেদি সংলগ্ন মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা যায় অন্যান্য শহিদ পরিবারের সদস্যদেরও। এমনকী নিহতদের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখকেও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির মঞ্চে দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    মমতার আক্ষেপ

    বীরভূম নিয়ে শুক্রবার কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা জানান বগটুই (Bogtui) নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন মমতা। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বগটুইয়ের বাসিন্দারা এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাগের কারণ। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় তাহলে বীরভূমের বাসিন্দারা এখনই জবাব দিয়ে দেবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Scam: দমকল বিভাগের নিয়োগেও দুর্নীতি? অভিযুক্ত তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস

    TMC Scam: দমকল বিভাগের নিয়োগেও দুর্নীতি? অভিযুক্ত তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি, পৌরসভার পরে কী এবার দমকল বিভাগের নিয়োগে কী দুর্নীতি? রাজ্যজুড়ে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। দমকল বিভাগের দুর্নীতিতে নাম জড়াল তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার। ঘটনার সূত্রপাত বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট ঘিরে। সেখানে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন তরুণবাবু (যদিও ওই অডিও’‌র সত্যতা যাচাই করেনি ‘মাধ্যম’)। সেখানে এক ব্যক্তি অপর একজনের সঙ্গে দমকল বিভাগের নিয়োগ ও টাকা লেনদেন নিয়ে আলোচনা করছেন।  তাপস সাহার বিরুদ্ধে দমকল বিভাগের নিয়োগ দুর্নীতিতে (TMC Scam) জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন। তবে তৃণমূল (TMC Scam) বিধায়ক তাপস সাহা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

    ঠিক কী শোনা গিয়েছে অডিও ক্লিপে

    এই ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ফায়ার ব্রিগেডে তোর ওই ছেলেটার তো কাজ হয়েছে। এই মাসের ২৫ তারিখের পর বলে দেব, কোন ডেটে কলকাতায় যাবে। বাকি টাকাকড়ি রেডি করতে বল। ৫০ দেওয়া আছে আরও সাড়ে চার পাব।’ এই কণ্ঠস্বর তাপসবাবুর বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি তাপসবাবুর গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন। 

    তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন কিছু নয়

     নদিয়ার এই তৃণমূল কংগ্রেস (TMC Scam) বিধায়কের বিরুদ্ধে সরকারি দফতর এবং স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। যার জেরে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এমনকী প্রবীর কয়াল নামে তাপসের এক ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

    বিধায়ক কী বলছেন

    তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার অবশ্য দাবি, ওই কণ্ঠস্বর মোটেই তাঁর নয়। তিনি বলেন, ‘‌জেলা পরিষদ সদস্যা টিনা ভৌমিক সাহা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির সঙ্গে যোগসাজশ করে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। টিনা ভৌমিক সাহা টেটে পাশ না করেও স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। ওই গলা আমার নয়। এরকম কোনও কথাও হয়নি। বিজেপি এবং তৃণমূলেরই নদিয়া জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা চক্রান্ত করে এই সব কাজ করেছে।’‌

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Civic Volunteers: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    Civic Volunteers: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে এবার রাজ্য পুলিশের তরফে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteers) নিয়ে সার্কুলার জারি করা হল। এই সার্কুলারে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না (West Bengal Police)। ২৯ মার্চের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।  সেই মতো শুক্রবার সার্কুলার জারি করে রাজ্য পুলিশ। তাতে হাইকোর্টের নির্দেশ মাফিক কোন কোন কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteers) ব্যবহার করা যাবে, সেই সম্পর্কিত তথ্য স্পষ্টভাবে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। 

    কেন নির্দেশিকা

    সম্প্রতি জেলায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteers) দিয়ে স্কুলে পড়ানোর বিষয়টি সামনে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়। শিক্ষক হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। আবার তাঁদের কাজ কী? সেই প্রশ্নও ওঠে। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে। সেই অনুযায়ী, নয়া গাইডলাইন তৈরি করা হল।

    নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে

    ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা (Civic Volunteers)। পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসবে ভিড় সামলাতে, বেআইনি পার্কিং রুখতে এবং মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশকে সাহায্যকারীর ভূমিকায় থাকবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। তবে নির্দেশিকায় যে বিষয়টি সবচেয়ে নজর কেড়েছে, তা হল, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না। একেবারে স্পষ্ট ভাষায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা কেন্দ্রের! আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    রাজ্য পুলিশে বর্তমানে ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৫ জন সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteers) রয়েছেন। কলকাতা পুলিশ এলাকায় রয়েছেন ৬ হাজার ৯৩২ জন। ২০১২ সালে চুক্তিভিত্তিক এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ন্যূনতম শিক্ষা যোগ্যতা আগে ছিল মাধ্যমিক উত্তীর্ণ। পরে তা আরও কমিয়ে অষ্টম শ্রেণি করা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে নেওয়া হয় না কোনও পরীক্ষাও। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন ৯ হাজার টাকা। আর কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান আছে এমন সিভিক ভলান্টিয়াররা থানায় ডেটা এন্ট্রির কাজ করেন। আবার রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ, লাইন সামলানো এবং যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করেন সিভিক ভলান্টিয়ারা। থানাতেও মোতায়েন রাখা থাকে। তাঁরা পুলিশ অফিসারদের সহযোগিতা করেন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাছে কোনও অস্ত্র থাকে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ফের ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধি কেন্দ্রের! আরও তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    DA: ফের ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধি কেন্দ্রের! আরও তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) ফের বাড়ছে। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ পার্থক্যও ক্রমশ বাড়ছে। রাজ্যের ডিএ (DA) আন্দোলনের মাঝেই শুক্রবার কেন্দ্র সরকার আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির কথা জানাল।

    ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা কেন্দ্রের

    শুক্রবার ৪ শতাংশ হারে ডিএ (DA) বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এই ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৪২ শতাংশ। এরফলে জানুয়ারি থেকে বকেয়া ডিএ মার্চের শেষেই পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ওই ডিএ বৃদ্ধির ফলে উপকৃত হবেন প্রায় এক কোটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগী। ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে কেন্দ্রের খরচ হবে ১২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।

    কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ফারাক

    কেন্দ্রের এই ডিএ (DA) বৃদ্ধির ফলে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ -র ফারাক বেশ কিছুটা বাড়ল। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এনিয়ে একদফা কর্মবিরতি করা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানো হবে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া রাজ্যের পক্ষে সম্ভব নয়। 

    তোপ সুকান্তের

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্র যখন ডিএ (DA) বাড়াচ্ছে তখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আবেদন সত্বেও সরকার তাতে কান দিচ্ছে না। বরং পাল্টা আক্রমণ করা হচ্ছে। মোদিজি কাজ করে দেখিয়েছেন। দিনের পর দিন বঞ্চিত হওয়ার জন্যই রাজ্যের কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন।” কেন্দ্রের এই ঘোষণার ফলে  রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের ডিএ-র তফাত হয়ে গেল ৩৬ শতাংশ। নয়া ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এখনও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ডিএ প্রদান করা হয়। তাও সেটা মাত্র ছয় শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হুঁশিয়ারি

    কেন্দ্রের ডিএ (DA) বৃদ্ধির কথা ঘোষণার পরই  রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা হুঁশিয়ারি দেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ডিএ দিতেই হবে। মহার্ঘ ভাতা আদায় করেই ছাড়বেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা জানান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনের অবক্ষয় হচ্ছিল। সেজন্য সর্বভারতীয় মূল্যসূচকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চার শতাংশ ডিএ (DA) বাড়ানো হয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাতে কোনও ভ্রূক্ষেপ করছে না। এই সরকারকে সম্পূর্ণ ডিএ দিতেই হবে। খেলা-মেলায় খরচ করে যাচ্ছে সরকার। সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: অয়নের বান্ধবী শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র! কী কথা হল?

    Madan Mitra: অয়নের বান্ধবী শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র! কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের কোম্পানির হাত ধরেই কামারহাটি পুরসভায় দুদফায় কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি ইডি-র নজরে রয়েছে। কারণ, অয়ন টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করত তার প্রমাণ ইডি আধিকারিকরা আগেই পেয়েছেন। কামারহাটি পুরসভায় যে সব কর্মী নিয়োগ হয়েছিল তাদের পিছনে কত টাকার খেলা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ইতিমধ্যে বিতর্কিত প্যানেলে চাকরি নিয়ে চরম আতঙ্কিত কামারহাটি পুরসভার কর্মচারীরা। শুক্রবার স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) কাছে কর্মীরা সেই উদ্বেগের কথা জানালেন। একইসঙ্গে পুরসভায় চেয়ারম্যান গোপাল সাহার কাছে তাঁদের আতঙ্কের কথা তুলে ধরেন। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, আমাদের কর্মীরা কোনও অপরাধ করেনি। তাঁরা ভয়ে রয়েছে। অন্যায় না করলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি।

    কী বললেন বিতর্কিত প্যানেলে চাকরি হওয়া কর্মীরা? 

    অয়নের হাত ধরে ব্যারাকপুর মহকুমার ৬টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। তারমধ্যে কামারহাটি পুরসভা রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে এবং ২০১৯ সালে দুটি অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। আর ২০১৯ সালে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। সবমিলিয়ে ১০৪ এবং ১২৫ জনকে পুরসভায় নিয়োগ করা হয়। আর সবটাই অয়নের কোম্পানির হাত ধরে হয়েছে। দেখা যায়, পুরসভায় নিয়োগ  হওয়া ২২৯ জনের মধ্যে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। শ্বেতার নাম সামনে আসতেই এই প্যানেলের অন্যান্য কর্মীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। প্যানেলে চাকরি পাওয়া পুরসভার এক কর্মী বলেন, নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি হয়েছে। কিন্তু, যে কোম্পানির হাত ধরে আমাদের নিয়োগ হয়েছে, সে জেলে রয়েছে। তাতেই আমাদের ভয় লাগছে। আমাদের প্যানেল বাতিল করে দেবে না তো?

    শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন মদন মিত্র (Madan Mitra), কী কথা হল? 

    অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী শুক্রবার কামারহাটি পুরসভায় আসেন। নিজের দপ্তরের চেয়ারে তিনি বসেছিলেন। অনেকে তাঁকে এসে দেখে যান। তবে, কারও সঙ্গে তিনি কোনও কথা বলেননি। নিজের চেয়ারে চুপচাপ তিনি বসেছিলেন। এদিন বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বিধায়ক (Madan Mitra) বলেন, আমি সব কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন দেখছিলাম শ্বেতা চক্রবর্তী বসে আছেন। টিভিতে দেখে তাকে চিনতে পেরেছি। জিজ্ঞেস করলাম নাম কী। কোথায় থাকেন। ব্যাস এইটুকুই। শ্বেতাও তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেছেন। তাঁর বেশি কথা বলেননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayan Sil: ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন! টাকা লগ্নি করেছিলেন আবাসন শিল্পে?

    Ayan Sil: ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন! টাকা লগ্নি করেছিলেন আবাসন শিল্পে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ হাজার নয়, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় অন্তত ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিল প্রোমোটার অয়ন শীল (Ayan Sil)। অয়নকে জেরা করেই এমন অনুমান করছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। কতগুলি পুরসভার সঙ্গে অয়নের সংস্থার চুক্তি হয়েছে, এবিএস ইনফোজোনকে মেইল করে তা জানতে চাইল ইডি (ED)। শুধু তাই নয়, ৩টি ব্যাঙ্কের কাছেও চাওয়া হয়েছে অয়নের সংস্থার অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের ফ্ল্যাটের ডাস্টবিন থেকে পাওয়া কাগজে একাধিক পুরসভার নাম মিলেছে। এই ডাস্টবিনেই মিলেছিল পুরসভায় চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও। পুরসভার টেন্ডারেও একচেটিয়া আধিপত্য অয়নের। ইডির অনুমান, পুরসভার বরাত পেতে নিজেরই একাধিক সংস্থার নামে দরপত্র জমা দিতেন তিনি। টেন্ডার প্রক্রিয়াকে বৈধ দেখাতেই এই ছক কষা হয়েছিল বলে অনুমান ইডির।

    অয়নের (Ayan Sil) চাকরি চুরির টাকা…

    ইডির আধিকারিকদের দাবি, আবাসন তৈরিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছিল অয়নের (Ayan Sil) চাকরি চুরির টাকা। অয়নের এবিএস টাওয়ার নির্মাণে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছিল তাঁরই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। চুঁচুড়ায় অয়নের বিলাসবহুল আবাসন তৈরিতেও লগ্নি করা হয়েছে পুরসভা ও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এবিএস টাওয়ার আবাসন তৈরিতে টাকা গিয়েছে অয়নের এবিএস ইনফ্রোজোন প্রাইভেট লিমিটেডের নামে। এই কোম্পানিই ৯০টি পুরসভায় নিয়োগের টেন্ডার পেয়েছিল। যা নিয়ে উঠেছে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ।

    ইডির তদন্তকারীদের দাবি, এই কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা এভাবেই সাদা করা হয়েছে। অয়নের এই কোম্পানির মাধ্যমে সিনেমার প্রযোজনার পর আবাসন নির্মাণে বিনিয়োগের তথ্য সামনে এসেছে। অয়নের এই সংস্থার মাধ্যমে কত কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, তারই হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির স্ক্যানারে অয়ন (Ayan Sil) ও তাঁর আত্মীয়দের নামে থাকা ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। নামে ও বেনামে অয়নের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, নিজের কর্মচারীদের নামেও বেশ কিছু জমি কিনেছিলেন অয়ন। কোথা থেকে এল এত টাকা? কাদের অ্যাকাউন্টে লেনদেন? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chaitali Tiwari: সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি! কম্বলকাণ্ডে রক্ষাকবচ জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে

    Chaitali Tiwari: সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি! কম্বলকাণ্ডে রক্ষাকবচ জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সাময়িক স্বস্তি পেলেন কম্বলকাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি (Chaitali Tiwari)। আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালিকে আপাতত গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। শুক্রবার তাঁর গ্রেফতারিতে সাময়িক ভাবে স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    কী ঘটেছিল

    ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির (Chaitali Tiwari) উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি–সহ বিজেপির একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী বেরিয়ে যেতেই কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তখনই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। তার মধ্যে একজন শিশু ছিল। এই ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।  ওই ঘটনায় অভিযুক্ত জিতেন্দ্রকে গত শনিবার নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে এনেছিল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। এর পর আসানসোলের আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। জিতেন্দ্রকে রবিবার ৮ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল আসানসোল আদালত।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির উদ্যোগে রমজান মাসেই বেরোবে মোদির ‘মন কি বাত’-এর উর্দু সংকলন

     সুপ্রিম কোর্টে সুরক্ষাকবচের আবেদন

    শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, আসানসোলে কম্বল বিতরণী কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সুরক্ষাকবচের আবেদন করেন চৈতালি (Chaitali Tiwari)। সেই আবেদনের সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন, আগামী ৭ মে পর্যন্ত চৈতালিকে গ্রেফতার করা যাবে না। ৮ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির হওয়ার কথা। ওই দিন জিতেন-সহ এই মামলায় আরও দুই অভিযুক্ত আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলর গৌরব গুপ্ত এবং দলের যুবনেতা তেজপ্রতাপ সিংয়েরও শুনানি রয়েছে। আগেই সাময়িক ভাবে সুরক্ষাবচ পেয়েছেন গৌরব ও তেজপ্রতাপ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: এসএসসি গ্রুপ সি-র কাউন্সেলিং-এর উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: এসএসসি গ্রুপ সি-র কাউন্সেলিং-এর উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি গ্রুপ সি-র (Group C) কাউন্সেলিং-এর উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের এজলাসে এসএসসি গ্রুপ সি (Group C) সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। একইসঙ্গে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের এজলাসে নবম-দশম মামলার শুনানিও ছিল। সেই মামলাতেও বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আপাতত শূন্যপদ পূরণ করা যাবে না। এখন ৭ দিনের জন্য ওই শূন্যপদগুলিতে কোনও নিয়োগ করতে পারবে না এসএসসি।

    শীর্ষ আদালতের মত

    চাকরি বাতিল সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিচ্যুতরা। চাকরি বাতিলের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে চাকরিচ্যুতরা জানান, হাইকোর্ট তাঁদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই তাঁদের বক্তব্য শোনা হোক। নবম-দশমে ৬১৮ জন এবং গ্রুপ সি-র ৮৪২টি শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল এসএসসি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং সুধাংশু ধুলিয়া এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই স্থগিতাদেশ দেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ পদে কীভাবে নিয়োগ হতে পারে? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    হাইকোর্টের মত

    উল্লেখ্য, গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে কাউন্সেলিং-এর প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকাও হয়েছিল ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের। এরই মধ্যে এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিংয়ের উপর স্থগিতাদেশ। প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি চাকরিহারাদের আইনজীবী পার্থদেব বর্মণ জানাচ্ছেন, “আগামী দিনে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, শিক্ষক-অশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যত মামলা রয়েছে, সেই সব মামলা আমরা শীর্ষ আদালতে নিয়ে যাব।”

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি নবম-দশমে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে। এই চাকরিপ্রাপকদের বিরুদ্ধে উত্তরপত্রে কারচুপি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এসএসসি-র তরফে এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়। তারপরই হাইকোর্ট তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    Calcutta High Court: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত অবমাননার মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান (SSC Chairman) সিদ্ধার্থ মজুমদার। ‘ভুল’-এর জন্য হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন তিনি। সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের ব্যাখ্যা করতে আমাদের ভুল হয়েছে।’

    যা বললেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান

    নম্বর বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ অমান্য করার জন্য গত ১৭ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আদালতের নির্দেশমতো শুক্রবার হাজিরা দিয়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান জানান, আদালতের নির্দেশ বুঝতে তাঁদের ‘ভুল’ হয়েছিল। মামলাটি পুরনো বলে গোটা পদ্ধতিতে কোনও ভুল রয়েছে কি না, তা এসএসসিকে খতিয়ে দেখতে বলে আদালত। পদ্ধতিগত ত্রুটি দূর করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার কাজ কত দূর এগোল, তা আগামী শুক্রবার জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত। সূত্রের খবর, নির্দেশ না থাকলেও ওই দিন আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে দিতে পারেন এসএসসির চেয়ারম্যান। 

    আরও পড়ুুন: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    ২০১১ সালে উচ্চ প্রাথমিক টেটের পরীক্ষাকে কেন্দ্রে করে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর না দেওয়া সংক্রান্ত একটি মামলা চলছিল হাইকোর্টে। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এসএসসি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে আদালতে জানান সিদ্ধার্থবাবু। এসএসসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের ভিত্তিতে, সবটা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মামলা স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে এসএসসি খতিয়ে দেখবে এক্সপার্টদের রিপোর্ট। তারপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দেবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share