Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • TET Scam: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিবকে তলব ইডির! কী জানতে চাইলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?

    TET Scam: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিবকে তলব ইডির! কী জানতে চাইলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। নথি নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে গেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দুই প্রতিনিধি। ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই দুপুর ১২টা নাগাদ  ২০১২ এবং ২০১৪ সালে টেটের (TET Scam) প্যানেল সংক্রান্ত নথি নিয়ে তাঁরা হাজিরা দিয়েছেন।

    কেন এই তলব?

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচীকে এদিন নথি-সহ তলব করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে মানিক ভট্টাচার্য যখন ছিলেন, সেই সময় সচিব পদে কর্মরত ছিলেন রত্না। পর্ষদ সূত্রে খবর, বিভিন্ন সময়েই ইডির তরফ থেকে নথি চেয়ে পাঠানো হয়। সেই মতোই মঙ্গলবার নথি পাঠানো হয়েছে ইডির দফতরে। তবে ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে টেটের প্যানেলের মতো একই ধরনের প্যানেল পাওয়া গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই ডেকে পাঠানো হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে।

    আরও পড়ুন: পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি! রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা এই দুই প্যানেল (TET Scam) মিলিয়ে দেখতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে যদি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্যানেলের নথি ও অয়নের বাড়ি থেকে পাওয়া প্যানেলের নথির মিল পাওয়া যায়, তাহলে এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অয়নের যোগ আরও স্পষ্ট হবে।

    অয়ন যোগ

    প্রাইমারি স্কুলে (TET Scam) চাকরি করে দেওয়ার নামে অয়ন ৩৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন বলে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কলকাতার বাসিন্দা, জনৈকা সোমা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পুলিশের খাতায় অয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল, তারও আগে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এলাকাসূত্রে খবর, মাঝবয়সি অয়ন প্রথমে কম্পিউটার সারাতেন। বছর তিনেক ব্লক অফিসে করণিকের কাজ করেন। তার পরে প্রোমোটিং ব্যবসায় আসেন। প্রতিপত্তি বাড়ে। থাকতেন কলকাতায়।চুঁচুড়ায় আসতেন কম। টলিউডেও পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। অভিযোগ, ২০০২-০৩ সালে অয়নের বাড়ির সামনে ব্যাগে করে টাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।   

  • Suvendu Adhikari: খোদ কলকাতায় শীতলা মায়ের জাগরণে আক্রান্ত হিন্দুরা! তীব্র নিন্দা শুভেন্দুর, সরব নেটিজেনরাও

    Suvendu Adhikari: খোদ কলকাতায় শীতলা মায়ের জাগরণে আক্রান্ত হিন্দুরা! তীব্র নিন্দা শুভেন্দুর, সরব নেটিজেনরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্রে মা শীতলার জাগরণে হিন্দুরা আক্রান্ত হলেন বলে অভিযোগ উঠল। এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে হামলার ভিডিও প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    জানা গিয়েছে, শহরের প্রাণকেন্দ্র কলেজ স্ট্রিট বাটার কাছে একটি শীতলা মায়ের জাগরণ অনুষ্ঠান চলছিল। অভিযোগ, সেখানে দল বেঁধে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। আক্রান্তদের দাবি, হামলাকারীরা মুসলিম সম্প্রদায়ের। অভিযোগ, দল বেঁধে তারা এসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হিন্দুদের উপর মারধর করে বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়াতে ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মোবাইলে তোলা সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চারিদিকে লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। ভাঙা চেয়ার, ছেঁড়া জুতো রাস্তায় পড়ে রয়েছে। লোকজনের চিত্কার শোনা যাচ্ছে। কয়েকজনকে এলোপাথাড়ি পাথর ছুড়তে দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে একজন বলছেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। মোবাইলে তোলা সেই ছবি দেখলে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের স্মৃতি উসকে দেবে। খোদ কলকাতার বুকে এই ধরনের ঘটনায় শিউরে উঠেছেন নেটিজেনরা। 

    হামলার ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) কী টুইট করেছেন

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই হামলা চালানোর ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। ভিডিওটি নিজের টুইটার হ্যাণ্ডল থেকে শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি লেখেন, ‘এই হচ্ছে আমার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা। এই হল সেন্ট্রাল কলকাতার মতো জায়গার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি। জাগরণ মঞ্চের উপর হামলা চালানো হল। কারা হামলা চালিয়েছে এবং কী কারণে চালিয়েছে তা ভিডিওটি দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রেই চালানো হল এই আক্রমণ। কলকাতার নগরপালকে অনুরোধ করবো তিনি যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেন।’

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) শেয়ার করা ভিডিওতে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘মিনি পাকিস্তান তো হয়েই গেছে। এইবার বড় পাকিস্তান হয়ে যাবে। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনাতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এইবার আবার আমাদের উদ্বাস্তু হয়ে আসাম, ওড়িশাতে চলে যেতে হবে।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘পশ্চিমবাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে টিএমসি এবং এর সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারি হচ্ছে অসৎ গুন্ডা বদমাইশ। অতএব এখানে ওই দলের কাছে ভালো কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                     

  • Ayan Shil: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী’! ইডির নজরে অয়নের ‘বান্ধবী’ শ্বেতা চক্রবর্তী, কে তিনি?

    Ayan Shil: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী’! ইডির নজরে অয়নের ‘বান্ধবী’ শ্বেতা চক্রবর্তী, কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার শিকড় কতটা গভীরে ও কতটা দূরে ছড়িয়ে পড়েছে, তা ভালই টের পাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। প্রায় প্রতিদিন নিত্য নতুন নাম উঠে আসছে তদন্তের আওতায়। সেই তালিকার নবতম সংযোজন অয়ন শীল (Ayan Shil)। সদ্য বহিষ্কৃত হুগলি তৃণমূলের যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেই পরিচিত পেশায় প্রোমোটার অয়ন। ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর লিঙ্কম্যান হল এই অয়ন শীল। এবার সেই অয়নের এক ঘনিষ্ঠ-র সন্ধান পেলেন তদন্তকারীরা।

    প্রোমোটার অয়নের অফিসে ‘গুপ্তধন’

    বলাগড়ে অয়নের (Ayan Shil) গেস্ট হাউস ও সল্টলেকে তার দফতরে হানা দিয়ে বিপুল বেআইনি লেনদেনের নথি ও তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ওএমআর শিট থেকে অ্যাডমিট কার্ড— যা কি না পুরসভা নিয়োগ থেকে শুরু করে একাধিক সরকারি নিয়োগ-বিষয়ক বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও একাধিক কম্পিউটার থেকে ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। ৩৭-ঘণ্টা সল্টলেকের অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানের পর অয়নকে গ্রেফতার করে ইডি। গতকাল অর্থাৎ, সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি! রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    ফের এক রহস্যময়ীর খোঁজ

    ইডি সূত্রে খবর, অয়নের (Ayan Shil) ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখে এক রহস্যময়ী নারীর খোঁজ মিলেছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই রহস্যময় নারী অয়ন শীলের বান্ধবী। ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে এখনও অবধি। যার মধ্যে অয়ন শীলের নামে ৮টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। দুটো রয়েছে অয়নের স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ নামে। স্ত্রীর নামে পৃথকভাবে রয়েছে দুটো অ্যাকাউন্ট। দুটো অ্যাকাউন্ট অয়নের সংস্থা ও বাকি তাঁর ঘনিষ্টদের নামে। এছাড়াও, ওই বান্ধবীর নামেও একটি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। 

    রহস্যময়ীর পরিচয় কী?

    ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, অয়ন শীলের (Ayan Shil) অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ওই মহিলার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, অয়নের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে যে রহস্যময়ীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, তাঁর নাম শ্বেতা চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়। ইডির আরও দাবি, ওই মহিলা অয়নকে হোয়াটস্যাপে মেজেস করে বলেন, ‘পালিয়ে যাও, জিনিসপত্র সরিয়ে দাও। ইডি আসতে পারে।’  ইডি সূত্রে দাবি, শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। তিনি অয়নের থেকে ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি ইডির। জানা যাচ্ছে, শ্বেতা টালিগঞ্জের মডেল। কাজ করেছেন সিনেমা এবং টেলিফিল্মে। কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের সহকারি হিসেবে তিনি চাকরি করেন। নৈহাটির জেলাপাড়ার বাসিন্দা শ্বেতা চক্রবর্তী। অয়নের বান্ধবী হন্ডা সিটি গাড়ি কিনেছিলেন। 

    কী বলছেন তদন্তকারীরা?

    এখানেই শেষ নয়। ইডি সূত্রে খবর, ওই বান্ধবী ছাড়াও আরও দুই মহিলার অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। তিনজন মহিলার নামে মোট ৫টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নিয়োগকাণ্ডে যে টাকার কমিশন, তার প্রায় ৪-৫ কোটি টাকা শুধু আত্মীয় পরিজন নয়, এই মহিলাদের অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে। কী কারণে ওই টাকা ওই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল? তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    নিয়োগ-কাণ্ডে নারী-যোগ

    অর্থাৎ, নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে আবারও এক রহস্যময়ীর সন্ধান মিলল। নিয়োগ কাণ্ডের তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক মহিলার নাম। প্রথমেই উঠে আসে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম, যার জোড়া ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। সেই ঘটনা এই দুর্নীতিকাণ্ডের ওপর থেকে পর্দা সরিয়ে দেয়। এরপর তদন্ত যত এগিয়েছে, এক এক করে নাম এসেছে কখনও মোনালিসা, তো কখনও হৈমন্তী, তো কখনও আবার সোমা। এর আগে, পার্থ-অর্পিতা, গোপাল-হৈমন্তী ও কুন্তল-সোমাকে দেখেছে রাজ্যবাসী। এবার অয়ন-শ্বেতা।

  • Recruitment Scam: পুরসভাতেও চাকরি-বিক্রি! কোন পদের জন্য কত টাকা? অয়নের ছিল ‘রেট-চার্ট’

    Recruitment Scam: পুরসভাতেও চাকরি-বিক্রি! কোন পদের জন্য কত টাকা? অয়নের ছিল ‘রেট-চার্ট’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) জাল। শুধু শিক্ষা নয়, পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রোমোটার অয়ন শীলের কাছ থেকে মিলেছে একাধিক নথি। যার মধ্যে রয়েছে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও।  সোমবার অয়নকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। হুগলির প্রোমোটারকে আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত হেফাজতে পেয়েছে ইডি। অয়নের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে দাবি ইডির। 

    ছয় পুরসভার প্রতি স্তরের নিয়োগে দুর্নীতি

    ইডি সূত্রে খবর, সল্টলেক এফডি ব্লকের ৩৮৮ নম্বর বাড়িতে অয়নের যে অফিস ছিল, সেখানে প্রায় ৩৭ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে পুরসভা নিয়োগেও (Municipal Recruitment Scam) জালিয়াতির তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার ছয় পুরসভার প্রতি স্তরের নিয়োগে (Recruitment Scam) হাজার হাজার চাকরি বিক্রি হয়েছে। পুরসভার গাড়ি চালক থেকে টাইপিস্ট পদে চাকরি। সব ক্ষেত্রেই লাখ লাখ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে দাবি ইডির। এদিন অয়নকে আদালতে পেশ করে ইডি দাবি করে, ”শান্তনু ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটারের অফিস থেকে পুরসভা নিয়োগেও দুর্নীতির হদিশ মিলেছে।” ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ”দমদম, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, বরানগর, হালিশহর এবং কামারহাটি পুরসভার নিয়োগেও অনিয়ম হয়েছে।” তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান, শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, অয়ন শীলের সঙ্গে জুটি বেঁধে পুরসভাতেও নিয়োগ চক্র চালাতেন সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এজেন্টদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়

    ইডির তরফে দাবি করা হয় যে, সল্টলেকে অয়নের অফিস থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত প্রচুর পরিমাণে নথি উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েক জন এজেন্টের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা হলেন, ‘কানুদা’, ‘লাল’, ‘এমডি’, ‘তপনদা’। এই এজেন্টদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে পুরসভায় চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। প্রত্যেক এজেন্টের ক’জন চাকরিপ্রার্থী, তা যেমন উল্লেখ করা রয়েছে। তেমনই টাকার লেনদেন নগদ না ব্যাঙ্কে হয়েছে— সেই বিবরণও পাওয়া গিয়েছে ওই নথি থেকে। নথি থেকে জানা য়ায়, এজেন্ট ‘কানুদা’র ৯৬ জন প্রার্থী,‘লালে’র প্রার্থীর সংখ্যা ৬৮,‘তপনদা’র প্রার্থীর সংখ্যা ১৫,  ‘এমডি’ নামে আরও এক জনের প্রার্থীর সংখ্যা ৪৩। ওই চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর, পদ, পুরসভা, বিভাগ-সহ বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে ওই তালিকায়।

    আরও পড়ুন: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    কোন চাকরির দর কত?

    চাকরি ‘বিক্রি’র ‘রেট চার্ট’ ছিল অয়ন শীলের। পরীক্ষার খাতায় যা-ই লিখুন না কেন,‘রেট’ অনুযায়ী টাকা দিলে চাকরি ছিল বাঁধা। গ্রপ ডি-র বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার জন্য চাওয়া হত ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা, আর গ্রুপ সি পদের দর ছিল ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এমনকী শ্রমিক, চালক, সাফাইকর্মীর মত পদে কাজ দেওয়ার জন্যও ৪ লক্ষ টাকা করে চাওয়া হত। সেই রেট কার্ড ইতিমধ্যেই আদালতে পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। অয়ন শীলের পাঁচটি ল্যাপটপ, পাঁচটি ডেস্কটপ, দুটি ফোন ও একটা ম্যাক বুক উদ্ধার করেছে ইডি। সেই সব ডিজিটাল প্রমাণ থেকেই ওই রেট কার্ড মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত ৩০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে অয়ন শীলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত! ঠিকানা তিহাড় জেল

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত! ঠিকানা তিহাড় জেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আপাতত তিহাড় জেলই ঠিকানা তাঁর। গ্রেফতার হওয়ার পর ৫ দিন পর ইডি হেফাজত শেষে সোমবার আদালতে তোলা হয়েছিল মণীশ কোঠারিকে। এদিন মণীশকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি ইডি। তাদের দাবি, মণীশ কোঠারির থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে গিয়েছে। তবে ইডির যুক্তি ছিল,জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন মণীশ কোঠারি।

    মণীশের নামে বিপুল সম্পত্তি

    ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ও পরিকল্পনা ছিল। মণীশকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, কালো টাকা সাদা করার জন্য অনুব্রতর কালো টাকা ঢালা হয়েছিল আইপিএলেও। মণীশ কোঠারির ‘পরামর্শেই’ নাকি এই কাজ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বোলপুরের আশপাশেও মণীশের নামে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির হদিস মিলেছে। তাঁর নামে সমস্ত জমির বাজারমূল্য ১৭-১৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, মণীশকে জেরা করেই সুকন্যার নামে বোলপুর ও সল্টলেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় প্রায় ১০ কোটি টাকা মেয়াদি আমানতের সন্ধান মিলেছে। এদিন শুরু থেকেই জামিনের আবেদন জানান মণীশের আইনজীবী। কিন্তু ইডির যুক্তি মেনে মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। মণীশের স্ত্রী এদিন দাবি করেন তাঁর স্বামী নির্দোষ।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    ইডির তরফে জানানো হয়, জেরায় মণীশ জানিয়েছেন এনএম অ্যাগ্রোকেম সংস্থাটি আসলে তাঁর ছিল। তবে ২০১৮ সালে সেই সংস্থা তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে লিখে দিতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বিক্রি করার সময় সংস্থার বাজারদর ছিল ১৫ কোটি। তার বদলে মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা মণীশকে দিয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) । প্রসঙ্গত, গরুপাচারকাণ্ডের চার্জশিটে অনুব্রতর মেয়েকে একটি সংস্থা হস্তান্তরের কথা উল্লেখ করেছিল ইডি। মণীশ কোঠারির দাবি যাচাই করে দেখছেন গোয়েন্দারা। এই সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে মণীশকে। যেখানে রয়েছেন অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকেও (Anubrata Mondal) । তাঁর কী পরিণতি হয়? এখন সেদিকেই নজর সকলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে নতুন করে এফআইআর করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ওই বছর প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) প্রমাণ পাওয়ায় এ নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য গত ২ মার্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পৃথক এফআইআর করারও অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালত সেই নির্দেশ দেওয়ার পরে শনিবার, ১৮ তারিখ এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।

    নয়া অভিযোগ

    নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) নেপথ্যে থাকা অনেক মাথাই এখনও আড়ালে রয়ে গিয়েছে আশঙ্কা করে সিবিআইকে পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২ মার্চ ওই শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, সিবিআইয়ের সঙ্গে ইডিও এই মামলার তদন্ত করবে। তাদের ২০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার ১৮ মার্চ এই সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এফআইআরে সিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাত পরিচয় কিছু কর্মী এবং কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    সিবিআই-এর এফআইআর-এ নামোল্লেখ না করে নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, তথ্য-বিকৃতি, অপরাধের জন্য সরকারি নথি জাল-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২০২০-র বেআইনি নিয়োগের নেপথ্যে অন্যতম প্রধান চক্রী হিসেবে আদালত চিহ্নিত করেছে এস বসু রায় এন্ড কোম্পানিকে। ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল ওই কোম্পানি। তাঁদের দেখা উত্তরপত্রে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের বেশি নম্বর পাইয়ে দিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি সিবিআইকে বলেছিলেন, কী ভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এই সংস্থাকে দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই সমস্ত বিষয়টি সামনে আসতেই নতুন করে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় আদলত। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari:  রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে কীভাবে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ? প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে কীভাবে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ? প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক পোস্ট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র দফতরের চুক্তি ভিত্তিক অস্থায়ী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। তাই নিয়েই কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। ট্যুইটে শুভেন্দু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কি তাঁর কার্যলয়ের প্রবেশদ্বার পিকে (প্রশান্ত কিশোরের) সংস্থা আইপ্যাক বা ভাইপোর জন্য খুলে দিলেন?’

    শুভেন্দুর প্রশ্ন

    রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র দফতরে ৩ টি পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ দফতরে কীভাবে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। স্থায়ী সরকারি কর্মীদের বদলে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের তাৎপর্যপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্য কেন চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের হাতে থাকবে? প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। সম্প্রতি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঁচজনকে চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে দু’বছরের জন্য। বেতন এক লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা। ওই দফতরেই চুক্তির ভিত্তিতে জুনিয়ার পরামর্শদাতাও নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া,অভিযোগ নিস্পত্তি সেলে চুক্তিরি ভিত্তিতে ১০ জনকে দু’বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    শুভেন্দুর প্রশ্ন, শূন্যপদ সৃষ্টি না করে এবং পিএসসিকে এড়িয়ে গিয়ে নিয়োগের এই পদক্ষেপ কেন? রাজ্যের ডেটা অপারেটরের বেতন ১৩ হাজার টাকার আশপাশে। সেখানে বর্তমান বিজ্ঞপ্তিতে একই পদের জন্য বেতন দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা। এই অসাম্য কেন? তিনি উল্লেখ করেছেন, চুক্তিভিত্তিক পরামর্শদাতা হিসাবে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বেতনে কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। জুনিয়র পরামর্শদাতা হিসাবে ৭৫ হাজার টাকায় নিয়োগ করা হচ্ছে। চুক্তিভিত্তিকভাবে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদেরও নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের মতো এতটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় স্থায়ী কর্মীর বদলে কীভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে? এটা আদৌ নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে? সমকাজে সমবেতনেরও দাবি তুলেছেন শুভেন্দু।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Development: উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েতকে একী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    Development: উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েতকে একী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ এলাকায় শ্মশান এবং শবযাত্রী প্রতীক্ষালয়ের জন্য ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছেন বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। কিন্তু, তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের টালবাহানার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও উন্নয়ন (Development) হয়নি। পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর ব্লকের  মন্তেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের  লোহার গ্রামে এসে উন্নয়ন (Development) নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, এত বড় গ্রাম। কিন্তু, এখনও এখানে শ্মশান গড়ে ওঠেনি। অস্থায়ী শ্মশান যাওয়ার যে রাস্তা রয়েছে তা অত্যন্ত বেহাল। অথচ শ্মশান তৈরির জন্য আমি অর্থ বরাদ্দ করেছি। কিন্তু, গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা না দেওয়ার কারণে এখনও এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। বিজেপি সাংসদ লোহার গ্রামে প্রস্তাবিত শ্মশানের জায়গা ঘুরে দেখেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে তিনি কথা বলেন। গ্রামে যাওয়ার যে রাস্তা রয়েছে তা অত্যন্ত খারাপ। বেহাল রাস্তা নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন,চতুর্দশ অর্থ কমিশনের পর্যাপ্ত টাকা আসছে। কিন্তু, সেভাবে উন্নয়ন (Development)  চোখে পড়ছে না। আসলে এই এলাকার উন্নয়ন (Development)  নিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সেভাবে নজর দিচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

    বিজেপি সাংসদের অভিযোগ নিয়ে কী বললেন পঞ্চায়েতের উপ প্রধান? Development

    মন্তেশ্বর পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় শ্মশান সংস্কারের টাকা বিজেপি সাংসদ দিয়েছে বলে তৃণমূল পঞ্চায়েত কাজ করতে ঢিলেমি করছে। যদিও এই  অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন লোহার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বছরে দুই একবার পরিযায়ী পাখির মত  দশ মিনিটের জন্য সাংসদ এলাকায় আসেন। তাই এলাকার উন্নয়ন ওনার চোখে পড়ে না। মন্তেশ্বর, লোহার এবং সাহাপুর গ্রামের শ্মশানের জায়গার কাগজপত্র মাসখানেক আগেই জমা করা হয়েছে। আর লোহার গ্রামে শ্মশান নয়, প্রতীক্ষালয়ের জন্য তিনি টাকা বরাদ্দ করেছেন। শ্মশানের জন্য তিনি অন্য এলাকায় টাকা দিয়েছেন। আসলে তিনি কোথায় এসেছেন তা তিনি জানেন না। আর বেহাল রাস্তার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মাঠে যাওয়ার রাস্তা। গ্রামের রাস্তা নয়। এলাকার রাস্তা করার পর ওই রাস্তা করে দেওয়া হবে।

    পরে, মেমারি ২ ব্লকের ঝিকরা গ্রামে পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ঝিকরা গ্রামে কবরস্থান সংস্কার ও সীমানা পাঁচিল তৈরির জন্য এলাকাবাসী আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জায়গা পরিদর্শনে এসেছিলাম। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jitendra Tiwari: জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, জামিনে মুক্তি পাবেন কি?

    Jitendra Tiwari: জিতেন্দ্র তিওয়ারির গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, জামিনে মুক্তি পাবেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। কম্বলকাণ্ডে আগাম জামিন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই বিজেপি নেতা। ওই মামলার শুনানির আগেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত জিতেন্দ্রর গ্রেফতারিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর জামিনে মুক্তি পাবেন জিতেন্দ্র। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় জিতেন্দ্রর মামলার। আদালতের নির্দেশ, আগামী দু সপ্তাহের জন্য জিতেন্দ্রর গ্রেফতারির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে। দু সপ্তাহ পর এই মামলার শুনানি হবে। ওই দিন মামলার সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) কী বলেছিলেন… 

    রবিবার জিতেন্দ্রকে (Jitendra Tiwari) তোলা হয়েছিল আসানসোলের বিশেষ আদালতে।এদিন আদালতে নিজেই সওয়াল করেন জিতেন্দ্র। বলেন, সুপ্রিম কোর্টে সোমবার এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেজন্য পুলিশ হেফাজত দিন। কিন্তু দু দিনের জন্য দিন। তার পরে সুপ্রিম কোর্টের রায় যা হবে, তা দেখে প্রয়োজন হলে আরও ১২ দিন পুলিশ হেফাজত দিয়ে দেবেন। কিন্তু আজ দু দিনের পুলিশ হেফাজত দিন। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    প্রসঙ্গত, আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিতেন্দ্রর (Jitendra Tiwari) স্ত্রী চৈতালি। বিজেপির এই নেত্রীর উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর হয় কম্বল বিলি অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যাওয়ার পরেই হুড়োহুড়ি শুরু হয় কম্বল নেওয়ার জন্য। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। পুলিশ জানিয়ে দেয়, ওই অনুষ্ঠানের জন্য তাদের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    জিতেন্দ্রর (Jitendra Tiwari) বিরুদ্ধে অনচ্ছাকৃত খুন, অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা ও যৌথভাবে কোনও ঘটনা সংগঠিত করার মামলা রুজু করে পুলিশ। শনিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর ও আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করে জিতেন্দ্রকে। পরে তাঁকে আসানসোল নিয়ে যায় পুলিশ। জিতেন্দ্রর আইনজীবী হর্ষিকা বর্মা বলেন, মূল মামলায় রাজ্যকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রথম মামলাকারী জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও দ্বিতীয় মামলাকারী গৌরব গুপ্তকে জামিন দেওয়া হয়েছে। দু সপ্তাহ পরে ফের মামলাটির শুনানি রয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train: ডিজেল ইঞ্জিন নয়, ইলেকট্রিক ট্রেনে এবার চড়বেন বালুরঘাটবাসী, কবে থেকে জানেন?

    Train: ডিজেল ইঞ্জিন নয়, ইলেকট্রিক ট্রেনে এবার চড়বেন বালুরঘাটবাসী, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। এবার থেকে ইলেকট্রিক ট্রেনে (Train) চড়বে বালুরঘাটবাসী। বালুরঘাট স্টেশন থেকে ডিজেল ইঞ্জিনের ট্রেন (Train) আর ছুটবে না। ইতিমধ্যেই বৈদ্যুতিকরণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বালুরঘাট সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্টেশনে উন্নয়নমূলক কাজের অবস্থা পরিদর্শন করেন উত্তর পূর্ব রেলের কাঠিহার ডিভিশনের ডিআরএম শুভেন্দু কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, এই মাসেই বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু, সেই কাজ এখনও হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি, তাড়াতাড়ি সেই কাজ শেষ করার। আশা করছি, আগামী এপ্রিলের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এখন দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। এপ্রিল মাস থেকেই ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে ইলেকট্রিক ট্রেন (Train)  চলবে। এদিকে মার্চের মধ্যেই বালুরঘাট স্টেশনে পিট লাইনের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ধীর গতিতে কাজ হওয়ায় ডিআরএম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।

     হিলি- বালুরঘাট রেল প্রকল্পের কী অবস্থা? Train

    জমি অধিগ্রহণে দেরি হওয়ার জন্য এই রেল প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। জেলার পূর্ত দপ্তরের ঢিলেমিকেই দায়ী করেছে রেল মন্ত্রক। এই বিষয়ে ডিআরএম বলেন, জমি অধিগ্রহণ এখনও শেষ হয়নি। আমরা জমি অধিগ্রহণ করার জন্য যে টাকা প্রয়োজন তা দিয়ে দিয়েছি। জমি অধিগ্রহণ হলেই কাজ শুরু হবে। হিলি-বালুরঘাট রেল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার আনন্দ প্রকাশ বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। তবে, জমির মধ্যে থাকা ঘর, বাড়ির ভ্যালুয়েশন এখনও জেলার পূর্ত দপ্তর করেনি। ওই কাজে তারা দেরি করছে। এনিয়ে আমরা জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। মে মাসের মধ্যেই ওই জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হবে। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজ সঠিকভাবেই চলছে। দেরি হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই। অতি দ্রুত সেই কাজ শেষ করার  বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

    বালুরঘাট থেকে দূরপাল্লার ট্রেন চালুর জন্য স্টেশন চত্বরে পিট ও সিক লাইনের কাজ চলছে। কিন্তু, অভিযোগ ওই কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে হচ্ছে। যা নিয়ে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সামনেই বর্ষা, তাই ওই কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে না বলে আশঙ্কা আরও বাড়ছে। যদিও রেলের আধিকারিকরা দ্রুত কাজ শেষ হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। সময়মতো সেই কাজ হয় কি না সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বালুরঘাটবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share