Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। গ্রামে গ্রামে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে বিজেপি। রবিবার বিজেপির বুথ স্বশক্তিকরন কর্মসূচিতে শালবনি গেলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিনই শালবনির প্রচার সভা থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করলেন সুকান্ত। তাঁর কথায় , “তৃণমূল নেতাদের বাড়ির রাঁধুনি হলেও ৬০ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। অনুব্রত মণ্ডলের রাঁধুনির অ্যাকাউন্টে যদি ৬০ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়, তাহলে বেকার যুবক-যুবতীরা এবার কী সেই কাজ করবেন?”  

    সুকান্ত যা বললেন

    এদিন কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও বাইক চালিয়ে  দলের সশক্তিকরণ কর্মসূচিতে দিনভর শালবনি চষে বেড়ালেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। শালবনির পিড়াকাটায় বাইক মিছিলে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত নিজেই বাইক চালিয়ে নেতৃত্ব দেন মিছিলের। সঙ্গে ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। যান শালবনির ভাউদি, কাশিজোড়া প্রভৃতি জায়গায়। কর্মসূচি থেকে একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হন তিনি। গ্রামের মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন তিনি। জঙ্গলমহলের মহিলাদের নিয়ে একটি ছোট সভারও আয়োজন করা হয়। সেখানে মহিলাদের কথাও শোনেন তিনি। বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির গ্রেফতারিকে ‘রাজনৈতিক’ বলে ব্যাখ্যা করেন সুকান্ত।

    আরও পড়ুুন: গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত, রিহ্যাব সেন্টারের আড়ালে ‘খাডকু’ তৈরি করতেন অমৃতপাল?

    রাজ্যে কৃষকদের অবস্থা নিয়েও সমালোচনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তাঁর কথায়, “অন্য রাজ্যের সঙ্গে আমাদের রাজ্যের কৃষকদের গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। এখানে মূলত ছোট জমির মালিক, ছোট চাষি,ভাগ চাষি রয়েছে।” তাঁর মতে, এখানে আলু চাষিরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আলুর চাষ থেকে তৃণমূল নেতারা কাটমানি খাচ্ছে বলেও দাবি তাঁর। এদিন চন্দ্রকোনায় মৃত আলু চাষি তাপস রুইদাসের  পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন সুকান্ত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sanitation: দুর্গাপুর পুরসভায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে কেন সাফাই কর্মীরা?

    Sanitation: দুর্গাপুর পুরসভায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে কেন সাফাই কর্মীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সাত সকালেই গোটা শহর ঝাঁ চকচকে করে রাখা তাঁদের কাজ। কিন্তু, তিন মাস ধরে পরিবার নিয়ে চরম অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গাপুর পুরসভার ৪৫৮ জন সাফাই (Sanitation) কর্মী। জানুয়ারি মাস থেকেই তাঁদের বেতন হচ্ছে না। বকেয়া বেতনের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান সাফাই কর্মীরা। যার জেরেই এদিন সকাল থেকেই শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে কোনও সাফাই (Sanitation) হয়নি। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, জানুয়ারি থেকে বেতন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। বেতন না পাওয়ায় সংসার চালাতে চরম সমস্যা হচ্ছে। দোকানে কেউ ধার দিচ্ছে না। ছেলেমেয়েদের টিউশন ফি দিতে পারছি না। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে আমরা সকলে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। বিষয়টি জানতে পেরে পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় সাফাই কর্মীদের দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে আমরা ওদের বকেয়া বেতন দেওয়ার চেষ্টা করব।

    সাফাই কর্মীদের বেতন পেতে সমস্যা হচ্ছে কেন? Sanitation

    দুর্গাপুর পুরসভার সাফাই কর্মীরা ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ হন। ফলে, তাঁদের বেতনও দেন ঠিকাদাররা। এতদিন যে ঠিকাদার তাঁদের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি নিয়মিত বেতন দিতেন বলে সাফাই (Sanitation) কর্মীদের দাবি। এখন নতুন ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ার পর থেকেই বেতন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সাফাই কর্মীদের বক্তব্য, সরকারি নিয়ম মেনে ঠিকাদার পরিবর্তন করা হয়েছে। তাতে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু, নতুন ঠিকাদার বার বার আমাদের কাছে বিভিন্ন কাগজপত্র চেয়ে হেনস্থা করছে। এমনিতেই আমাদের কোনও ছুটি নেই। এরপরও যদি আমাদের নিয়মিত বেতন না দেয় তাহলে আমরা কী করে কাজ করব?

    দুর্গাপুর পূর্বের বিজেপির বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, জোর করে তৃণমূল সরকার এই পুরসভার নির্বাচন করছে না। প্রশাসক বোর্ড বসিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখেছে। সাফাই (Sanitation) কর্মীরা সামান্য বেতনে কাজ করেন। তাঁদের ন্যায্য বেতন তিনমাস ধরে আটকে রেখেছে। আমরা চাই, অবিলম্বে পুরভোট করা হোক। স্বচ্ছভাবে  ভোট হলে এই বোর্ড থাকবে না। সাফাই কর্মীরা নিজেদের ন্যায্য পাওনা থেকে আর বঞ্চিত হবেন না। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, সাফাই কর্মীদের বেতন না দেওয়া অন্যায়। এই বোর্ডের উদাসীনতার কারণে এসব হচ্ছে। অবিলম্বে পুরভোট করা দরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, গুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    Sukanta Majumdar: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, গুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Polls)। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে জোরদার আন্দোলনে নামেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের তরফে ওবিসি মোর্চার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিজেপির ওবিসি মোর্চার কর্মসূচি পালিত হবে। এই কর্মসূচিতে মূলত কেন্দ্রের মোদি (PM Modi) সরকার ওবিসিদের জন্য কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ই প্রচার করা হবে ফলাও করে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েও বিশদে জানানো হবে জনতাকে। বিজেপির ওই ওবিসি মোর্চার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষরা। রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, যেহেতু বিজেপির কর্মসূচি, তাই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন বাধা দেবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। সেই বাধা জয় করেই আমরা এই কর্মসূচি সফল করতে বদ্ধপরিকর।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    দলের ওবিসি মোর্চার এই কর্মসূচি ঘোষণার পাশাপাশি এদিন তৃণমূলকেও একহাত নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু ভোট ফেরাতে তৃণমূল নতুন উঠে আসা মুসলিম নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু যাঁরা দলটা তৈরি করেছিলেন, তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সুকান্ত বলেন, সেই কারণে ফিরহাদ হাকিমদের পরিবর্তে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, মোশারফ হোসেনদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফিরহাদ হাকিমকে হাওড়া ও হুগলির দায়িত্ব ফিরিয়ে দিলেও, কোথাও একটা তার রাশ টানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, দলের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে তাঁকে (ফিরহাদ)। ভাইপোর অনুমতির পর গলার চাবি খুলতে পারবেন ফিরহাদ।

    আরও পড়ুুন: গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত, রিহ্যাব সেন্টারের আড়ালে ‘খাডকু’ তৈরি করতেন অমৃতপাল?

    বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের প্রচেষ্টাকে সোনার পাথরবাটি আখ্যা দেন সুকান্ত। সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে বৈঠক করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। তার পরেই তৃতীয় ফ্রন্ট গঠন নিয়ে ফের শুরু হয় চর্চা। এদিন সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, সিপিএম ছাড়া তৃতীয় ফ্রন্ট হবে কী করে? প্রকাশ কারাত বা ইয়েচুরির সঙ্গে মমতা হাত ধরে আয় তবে সহচরী গাইতে পারবেন?  তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, ২০১৯ সালে ইউনাইটেড ফ্রন্ট গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন। তখন তো সবাই হাত ধরাধরি করেছিলেন। সবার মনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা ছিল। মনে হচ্ছিল, থার্ড ফ্রন্ট প্রতিমাসে একজন করে প্রধানমন্ত্রী দেবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদটি অলরেডি অকুপায়েড বাই পিএম মোদি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: পারদ পতন, আজও বৃষ্টি শহর জুড়ে! কবে থেকে উন্নতি আবহাওয়ার?

    Weather Update: পারদ পতন, আজও বৃষ্টি শহর জুড়ে! কবে থেকে উন্নতি আবহাওয়ার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। সপ্তাহের শুরুতেই ব্যস্ত দিনেও ভিজল (Rainfall Forecast) কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল। সোমবার, সারাদিন জুড়ে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস (weather update) রয়েছে। কলকাতা-সহ রাজ্যের আরও নয় জেলায় সোমবারও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

    বুধবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি

    আবহাওয়া দফতর (weather update) সূত্রে খবর, সোমবারও ঝড় বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায়। উত্তরবঙ্গে শনিবার পর্যন্ত আর দক্ষিণবঙ্গে মঙ্গলবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। বুধবারের পর দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি হলেও উত্তরবঙ্গে পার্বত্য জেলাতে হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলতে পারে। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা  রয়েছে। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। তবে এদিন থেকে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার তীব্রতা কমবে। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উপকূলের জেলা সহ দু এক জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস (weather update)।

    আরও পড়ুন: ইডির হাতে আটক বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার, উদ্ধার হার্ডডিস্ক

    চৈত্রের শুরুতে শীতের পরশ

    ঝড়-বৃষ্টির জেরে শহরে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে অনেকটাই। তিলোত্তমায় চৈত্রের শুরুতে শীতের পরশ। ফাল্গুনের শেষ থেকেই যেভাবে গরমে নাজেহাল হচ্ছিল বাংলা, তাতে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে। এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৬ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৮ থেকে কমে দাঁড়িয়েছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের থেকে আট ডিগ্রি কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৭৭ থেকে ৯৪ শতাংশের মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে বৃষ্টি হয়েছে ৫.৬ মিলিমিটার। ভারী বৃষ্টির সতর্কতা (weather update) থাকবে শুধুমাত্র কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে উত্তরবঙ্গের চা বাগানের ক্ষতির সম্ভাবনা। যারা এখনও আলু তোলেননি সেই আলু চাষীদের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও সবজি চাষে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৫০ কোটির লেনদেন, উদ্ধার ৪০০ ওএমআর শিট! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল

    SSC Scam: ৫০ কোটির লেনদেন, উদ্ধার ৪০০ ওএমআর শিট! নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় আজ, সোমবার আদালতে তোলা হবে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে। টানা ৩৭ ঘণ্টা তাঁর সল্টলেকের অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি চালানোর পরে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। রবিবার গভীর রাত ৩.৩০ মিনিট নাগাদ তাঁকে নিয়ে আসা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। 

    অয়নের অফিসই কন্ট্রোল রুম

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে অয়নের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। এরপরেই ব্যাংকশাল কোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে অয়নকে। নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানাবে ইডি। শনিবার শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের অফিসে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ অয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একাধিক বিষয়ে সদুত্তর দিতে না পাওয়ায় অয়নকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ইডি সূত্রে খবর অয়নকে হেফাজতে নেওয়ার পর শান্তনুর মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। শনিবার হুগলির চুঁচুড়ায় গিয়ে প্রথম অয়নের ফ্ল্যাটের সন্ধান মেলে। সেখানেই সস্ত্রীক থাকতেন অয়ন। জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি জানতে পারে, সল্টলেকের এফডি ব্লকের ৩৮৮ নম্বর বাড়ির একতলায় অয়নের অফিস রয়েছে। ওইদিনই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইডি-র একটি দল ওই অফিসে হানা দেয়। শনিবার দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে তল্লাশি শুরু হয়। রাতেই অয়নকে নিয়ে আসা হয় সল্টলেকের অফিসে।

    আরও পড়ুুন: নিজের মাতৃভাষা কখনও ভুলোনা, তরুণদের বার্তা অমিত শাহের

    কালো টাকা সাদা করেছেন অয়ন

    ইডি-র দাবি, অয়নের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই শান্তনুর টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) ৫০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে। ইডি-র দাবি, ওই লেনদেন নিয়ে প্রোমোটার অয়নের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি। এছাড়াও, অয়নের সল্টলেকের অফিস থেকে ৩৫০-৪০০ ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড, চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা এবং রাজ্যের ৭০টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও ডিজিটাল নথি মিলেছে। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের অফিসে ৭টি কম্পিউটারের মধ্যে কয়েকটির অ্যাকসেস পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর অয়নকে এনে সেগুলি খোলা হয়। অয়নকে গ্রেফতারের পাশাপাশি, ২টি ট্রলি ব্যাগে করে প্রচুর নথি নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইডি অফিসে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amartya Sen: অর্মত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ বিশ্বভারতীর

    Amartya Sen: অর্মত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিশ বিশ্বভারতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার অর্মত্য সেনকে (Amartya Sen) উচ্ছেদের নোটিশ পাঠালেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Viswa Bhrati)। আজ, রবিবারই নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের শান্তিনিকেতনের ঠিকানায় পৌঁছে গিয়েছে উচ্ছেদের নোটিশ। অর্মত্যর বাড়ি প্রতীচীর ঠিকানায় পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে ২৯ মার্চ অমর্ত্য অথবা তাঁর কোনও প্রতিনিধি যেন বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স হলে উপস্থিত থাকেন। সেখানেই ওই ‘বিতর্কিত’ জমি নিয়ে শুনানি হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পাঠানো ওই নোটিশে বলা হয়েছে, অর্মত্য সেন বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। তাই আইন মেনে কেন তাঁকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না, তার জবাব চাওয়া হয়েছে।

    অর্মত্য সেনকে (Amartya Sen) নোটিশ…

    অর্মত্যকে (Amartya Sen) নোটিশ পাঠানোর আগে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ একটি চিঠি দিয়েছিলে তাঁকে। তাতে বলা হয়, অতি শীঘ্র ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ওই চিঠিকে ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। অর্মত্যর দাবি, ওই বাড়ির জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর থেকে লিজ নেওয়া, কিছুটা জমি কেনা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মিথ্যা কথা বলছেন। অর্মত্যর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিনিকেতনে গিয়ে তিনি দেখা করেন নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদের সঙ্গে। তাঁর হাতে জমির মাপজোক সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেন মমতা।

    আরও পড়ুুন: ‘যারা গদিতে ঘুমোয়, তারা ভাবুক, কী হবে’, বললেন কম্বলকাণ্ডে ধৃত জিতেন্দ্র

    সেই সময় অর্মত্যর পাশে বসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, এভাবে মানুষকে অপমান করা যায় না। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এরই কয়েক দিন আগে তাঁর বাবা আশুতোষ সেনের পরিবর্তে জমির লিজ হোল্ডার হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেন অর্মত্য (Amartya Sen)। বোলপুর ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরে তার শুনানি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অর্মত্য ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Jitendra Tiwari: ‘যারা গদিতে ঘুমোয়, তারা ভাবুক, কী হবে’, বললেন কম্বলকাণ্ডে ধৃত জিতেন্দ্র

    Jitendra Tiwari: ‘যারা গদিতে ঘুমোয়, তারা ভাবুক, কী হবে’, বললেন কম্বলকাণ্ডে ধৃত জিতেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমার যা লাইফস্টাইল আমি মাটিতেও শুতে পারি। আমার পুলিশ হেফাজত হোক বা জেল হেফাজত, কিচ্ছু যায় আসে না। যারা মোটা মোটা গদিতে ঘুমোয়, তারা ভাবুক, তাদের কী হবে। রবিবার কথাগুলি বললেন কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। এদিনই আসানসোলের বিশেষ আদালত (Court) জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তার পরেই ওই কথাগুলি বলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা। এদিন তাঁকে আদালত থেকে বের করার পথে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন তাঁরা।

    জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) বলেন…

    এদিন আদালতে নিজেই সওয়াল করেন জিতেন্দ্র। বলেন, সুপ্রিম কোর্টে আগামিকাল (সোমবার) এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেজন্য পুলিশ হেফাজত দিন। কিন্তু দু দিনের জন্য দিন। তার পরে সুপ্রিম কোর্টের রায় যা হবে, তা দেখে প্রয়োজন হলে আরও ১২ দিন পুলিশ হেফাজত দিয়ে দেবেন। কিন্তু আজ দু দিনের পুলিশ হেফাজত দিন। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    প্রসঙ্গত, আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিতেন্দ্রর (Jitendra Tiwari) স্ত্রী চৈতালি। বিজেপির এই নেত্রীর উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর হয় কম্বল বিলি অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যাওয়ার পরেই হুড়োহুড়ি শুরু হয় কম্বল নেওয়ার জন্য। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। পুলিশ জানিয়ে দেয়, ওই অনুষ্ঠানের জন্য তাদের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: ইডির হাতে আটক বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার, উদ্ধার হার্ডডিস্ক

    জিতেন্দ্রর (Jitendra Tiwari) বিরুদ্ধে অনচ্ছাকৃত খুন, অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা ও যৌথভাবে কোনও ঘটনা সংগঠিত করার মামলা রুজু করে পুলিশ। শনিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর ও আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করে জিতেন্দ্রকে। পরে তাঁকে আসানসোল নিয়ে যায় পুলিশ। এদিন তোলা হয় আদালতে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher Recruitment Scam: ইডির হাতে আটক বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার, উদ্ধার হার্ডডিস্ক

    Teacher Recruitment Scam: ইডির হাতে আটক বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার, উদ্ধার হার্ডডিস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Teacher Recruitment Scam) মামলায় আটক হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার। ইডির (ED) নজরে রয়েছেন বলাগড়ের এক সিভিক পুলিশও। শনিবার শান্তনুর রিসর্ট ও বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। টানা এগারো ঘণ্টা তল্লাশির পর এদিন সন্ধে নাগাদ ইডি আটক করে প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশি অভিযানে আধিকারিকদের হাতে বেশ কিছু ফাইলও এসেছে। প্রসঙ্গত, এবিএস টাওয়ারের ওই আবাসনে শান্তনুর ফ্ল্যাটের পাশেই রয়েছে অয়নের ফ্ল্যাট।

    ইডির চিরুনি তল্লাশি…

    এদিন চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ায় শান্তনুর ফ্ল্যাটে ঢোকেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটের ভিতরে কার্যত চিরুনি (Teacher Recruitment Scam) তল্লাশি চালান তাঁরা। তার পরেই উদ্ধার হয় একাধিক ফাইল। এদিন তদন্ত চালানোর পাশাপাশি বলাগড় থানার সিভিক ভলান্টিয়ার নিলয় মালিক, শ্রীপুর বলাগড় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিশ্বরূপ প্রামাণিক ও আকাশ ঘোষকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। আকাশ, বিশ্বরূপ ও নিলয়কে আগামী সপ্তাহে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয় বলে ইডি সূত্রে খবর। এদিন শান্তনুর রিসর্টের অদূরে জনৈক পূর্ণচন্দ্র ঘোষের বাড়িতেও যায় ইডি। সেখান থেকে দুটি ব্যাগে করে হার্ডডিস্ক নিয়ে আসা হয়। শান্তনুর গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর পরিবার দাবি করছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা নির্দোষ। শান্তনুর শাশুড়িরও দাবি, জামাই নির্দোষ। শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্বামীর কিছু সম্পত্তির বিষয়ে জানলেও, পুরোটা জানতাম না। ওর যে ২০ কোটির মতো সম্পত্তি রয়েছে, সেই বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি বলেন, ও বিয়ের আগে থেকে রাজনীতি করত।

    আরও পড়ুুন: ধৃত খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের পিছনে পাক যোগ?

    বলাগড়ে (Teacher Recruitment Scam) ১০ বিঘা জমির উপর রিসর্ট তৈরি করে শান্তনু। মোটা টাকা বিনিয়োগ করেই যে এই ঝাঁ চকচকে রিসর্টটি তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই গোয়েন্দাদের। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ এই রিসর্টে আসেন ইডির আধিকারিকরা। গেটের তালা ভেঙে রিসর্টে ঢোকেন তাঁরা। এরপর ভিতরের ঘরগুলির একের পর এক তালা ভাঙেন তাঁরা। সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে এবং এই সংক্রান্ত অন্য নথির খোঁজে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: রিসর্টের মালিক কে? নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী আকাশকে প্রশ্ন ইডির

    SSC Scam: রিসর্টের মালিক কে? নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী আকাশকে প্রশ্ন ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ। শনিবার সকালে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে বলাগড়ের রিসর্টে নিয়ে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকেরা। খাতায়কলমে বলাগড়ের চাঁদড়া বটতলা এলাকার ওই রিসর্টের মালিক  তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই রিসর্টের মালিক আকাশ হলেও, আদতে ওই রিসর্টের মালিক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর নাম জড়ানোর পর থেকেই নামে-বেনামে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর একাধিক সম্পত্তির হদিস মিলেছে। ইডির দাবি, একাধিক বাড়ি, রেস্তরাঁ, বিলাসবহুল বাগানবাড়ির মালিক এই শান্তনু। 

    বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে জমি কব্জা

    বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বন্দুক দেখিয়ে জমি দখলের অভিযোগ করলেন স্থানীয়রা। শনিবার বলাগড়সহ হুগলিতে শান্তনুর একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় ইডি। তল্লাশি চলে শান্তনুর বলাগড়ের রিসর্টেও। স্থানীয় ২ ব্যক্তির দাবি, ওই জমি মাথায় বন্দুক ধরে বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল শান্তনুর পোষা গুন্ডারা। জমি হারানো এক ব্যক্তি দাবি করেন,”বছর খানেক আগে জমি বিক্রির জন্য শান্তনু আমাকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আমি জমি বিক্রি করতে রাজি ছিলাম না। জমি বিক্রির জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে শান্তনুর পোষা গুন্ডারা। আমাকে বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। চাপের মুখে জলের দড়ে আড়াই বিঘা জমি বিক্রি করতে বাধ্য হই।”

    ১০০ দিনের কাজের আওতায় পাঁচিল তৈরি

    ১০০ দিনের সরকারি কাজের নাম করে গ্রামবাসীদের দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিয়েছেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই অভিযোগ তুলছেন এলাকার প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযোগ, বলাগড়ে শান্তনুর যে রিসর্ট রয়েছে, তার চারপাশে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়েছে বেশ কিছু জমি। ১০০ দিনের কাজের টাকাতেই সেই কাজ করানো হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কারও কারও অভিযোগ, শান্তনুর রিসর্টের কাজ করেও তাঁরা প্রাপ্য টাকা পাননি।

    আরও পড়ুুন: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    রিসর্টের মালিকানা ঘিরে জল্পনা

    বলাগড়ে ১০ বিঘা জমির উপর রিসর্ট তৈরি করে শান্তনু। মোটা টাকা বিনিয়োগ করেই যে এই ঝাঁ চকচকে রিসর্টটি তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই গোয়েন্দাদের। সংশয় রয়েছে ওই রিসর্টের মালিকানা নিয়ে। কাগজে কলমে ওই রিসর্টটির মালিক শান্তনুর ছায়াসঙ্গী সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ। বলাগড়ের জিরাট কলেজের কর্মী তিনি। তবে কাগজে তাঁর নাম থাকলেও আদপে রিসর্টটি শান্তনুর এমনই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। আকাশ এলাকায় শান্তনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ইডির সন্দেহ, রিসর্ট নিয়ে আকাশ অনেক কিছু জানেন। এমনকী শান্তনুর সঙ্গে আকাশের নিয়মিত আর্থিক লেনদেনও হত বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Interrogation: শান্তনুর স্ত্রী ও কুন্তলের পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি

    Interrogation: শান্তনুর স্ত্রী ও কুন্তলের পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: তৃণমূলের (TMC) বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা ও আর এক বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি (ED)। অন্তত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (Interrogation) দাবি তেমনই। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলকে জেরা করে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। প্রিয়ঙ্কাদের ওই সংস্থায় আরও দুজন পার্টনার ছিলেন। এবার তাঁদেরও জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রিয়ঙ্কাদের ওই সংস্থার মাধ্যমে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে, নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা এই সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে কিনা, সেসবই খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ইডির দাবি, কুন্তলের দুটি অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। টাকা গিয়েছে টালিগঞ্জের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টেও।

    ইডির দাবি…

    এদিন ইডির আইনজীবীর (Interrogation) দাবি, দুটো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেখানে সাড়ে ৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। টালিগঞ্জের কয়েকজনের সঙ্গেও যোগসূত্র রয়েছে। শর্ট ফিল্ম তৈরির জন্য পার্টনারশিপ ফার্ম তৈরি করেছেন কুন্তল। এই টাকার একটা বড় অংশ শর্ট ফিল্ম বানানোর জন্য টালিগঞ্জের স্টারদের কাছে গিয়েছে। একজনকে গাড়ি কিনে দিয়েছিল। যাঁর নাম বনি সেনগুপ্ত। তিনি স্বীকার করেন যে, গাড়ি কেনার জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা বনি ফেরত দিয়েছেন। টাকা নিয়েছিলেন সোমা চক্রবর্তীও। তিনিও ৫৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সেই সময় তাঁরা জানতেন যে এটা নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। জানতে পেরে টাকা ফেরত দিয়েছন।

    আরও পড়ুুন: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    এদিকে, শান্তনুকে (Interrogation) নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা। একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, তাঁর স্বামী পুরোপুরি নির্দোষ। তবে কেউ ষড়যন্ত্র করেছেন কি না, তা অবশ্য জোর দিয়ে বলতে পারেননি তিনি। শনিবার সকাল থেকে শান্তনুর বাড়ি, গেস্ট হাউস, ঘনিষ্ঠের বাড়িতে গিয়েছে ইডি। যদিও প্রিয়ঙ্কা বলেন, শান্তনু কোনও দুর্নীতির সঙ্গে একেবারেই যুক্ত নন। তদন্ত চলছে সবটাই দেখতে পাবেন। সবটাই তদন্তসাপেক্ষ। তিনি বলেন, এত টাকার সম্পত্তি রয়েছে, আমার জানা নেই। থাকলে আমি জানতাম। কুন্তল তাঁদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন বলেও জানান প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, কুন্তল ঘোষকে চিনতাম, ঠিক যেমন পাড়ার ছেলেদের চেনে। আমাদের বাড়িতেও এসেছে। বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান হলে নিমন্ত্রণ করা হত, তখন আসত। প্রিয়ঙ্কার দাবি, তাঁর স্বামীর যা কিছু সবটাই নিজে থেকে করেছেন। ধাবা, গেস্ট হাউস, বাড়ি সবই সৎপথের রোজগারে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share